বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে তরুণের পদযাত্রা

মুহিববুল্লাহ মুহিব, কক্সবাজার
প্রকাশিত
মুহিববুল্লাহ মুহিব, কক্সবাজার
প্রকাশিত : ১১ নভেম্বর, ২০২২ ১০:৪৭

মাদকের কারণে কীভাবে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যায়, কীভাবে ধ্বংস হয়ে যায় পুরো পরিবার- তিনি দেখেছেন তার ছোটবেলায়। তাই তো যৌবনে এসে নামলেন মাদকবিরোধী প্রচারণায়। হেঁটে পুরো দেশ ঘুরে চালাবেন মাদক ও বৃক্ষনিধন-বিরোধী প্রচারণা। সেই সঙ্গে সবাইকে উৎসাহিত করবেন রক্তদানে।

এ সাহসী উদ্যোগ যিনি নিয়েছেন, তিনি হলেন মোহাম্মদ ইকবাল মণ্ডল ওরফে ইউসূফ (২২)। গতকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহীদ মিনার থেকে হেঁটে দেশের ৬৪ জেলা পাড়ি দেয়ার মিশন শুরু করেছেন এ কলেজ-শিক্ষার্থী। ৫৫ দিনে প্রায় ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার পাড়ি দেবেন তিনি। তার এ মিশন শেষ হবে রাজবাড়ীতে।

প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৫৫ কিলোমিটার পাড়ি দেয়ার কথা রয়েছে তার।

ইকবাল রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার তফাদিয়ান গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ দেলোয়ার মণ্ডলের ছেলে। রাজবাড়ী ড. আবুল হোসেন কলেজে ডিগ্রিতে পড়ছেন তিনি।

জানতে চাইলে ইকবাল দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘মাদকের ফাঁদে পা দিয়ে যেন আর একটি জীবনও নষ্ট না হয়, সেটিই আমার চাওয়া। আর সেই সঙ্গে তরুণদের মানবিক ও প্রকৃতিপ্রেমিক করতে রক্তদান কর্মসূচি ও বৃক্ষনিধনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাব আমি। একজন তরুণও যদি আমার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়, সেটিই হবে আমার পাওয়া।’

কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে নয়। নিজ উদ্যোগে এ মিশন জানিয়ে ইকবাল বলেন, ‘এলাকার বড় ভাই ও নিজের উদ্যোগে এ যাত্রা শুরু করেছি। রোডম্যাপ তৈরি করে আমি সহজে এ মিশন শেষ করব। কক্সবাজার থেকে আমি বান্দরবান যাব। দুই দিনে প্রায় ১০৫ কিলোমিটার হেঁটে বান্দরবান পৌছাব। সেখান থেকে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি। এভাবে ৬৪ জেলা ঘুরব।’

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা হাঁটবেন তিনি। তারপর যেখানে থামবেন, সেখানে যদি কোনো সরকারি ডাকবাংলো বা কোনো আবাসিক হোটেল পান, সেখানে রাত যাপন করবেন। তারপর আবারও হাঁটা শুরু করবেন। এ যাত্রাপথে কোনো সমস্যা যাতে না হয়, সে জন্য পুলিশের বিশেষ শাখা সিআইডির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

এর আগেও ইকবাল ২৪ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে খুলনা থেকে রাজবাড়ী গিয়েছিলেন, যা থেকে তার উৎসাহটা আরও বেড়ে যায়। তার পরই ৬৪ জেলা পাড়ি দেয়ার পরিকল্পনা নেন ইকবাল।


লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এলাকাগুলোতে গত দুই দিন ধরে থেমে থেমে মাঝারী বৃষ্টি হচ্ছে।

লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে এবং উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২৭ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় এ খবর জানানো হয়েছে।

সতর্কবার্তায় বার্তায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের কারণে উপকূলীয় এলাকা দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত মাছধরা ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে, লঘুচাপের কারণে আজ (বুধবার) ভোর থেকে পটুয়াখালিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনবির পটুয়াখালীর প্রতিনিধি।

তিনি আরও জানান, পটুয়াখালীর আকাশ আজ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। বাতাসের চাপ না বাড়লেও অমাবশ্যার জোয়ারের প্রভাবে নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর ‍উত্তাল হয়েছে উঠেছে।

তাছাড়া, ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগে অন্তত পাঁচ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানায়, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে তা বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ঢাকা বিভাগের পূর্বাঞ্চলসহ বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।

এর ফলে ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো কিংবা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আজ (বুধবার) সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১–২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রাও সামান্য কমার আভাস দেওয়া হয়েছে।

পরের তিন দিন একই ধরনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে জানানো হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো কিংবা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

দ্বিতীয় দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে, তবে পরের দুদিন প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

এছাড়াও পঞ্চম দিন রবিবারও বৃষ্টিপাতের পর এই প্রবণতা কমে ফের গরম বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।


লালপুরে বরেন্দ্র প্রকল্পে অনিয়ম

নদী ভাঙনের শঙ্কায় দুই শ পরিবার
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সজিবুল ইসলাম, লালপুর (নাটোর)

নাটোরের লালপুর উপজেলার কেশবপুর গ্রামে খলশিডাঙ্গা নদীর পাড় ভাঙন রোধে কোটি টাকা ব্যয়ে গাইড ওয়াল নির্মাণ করেছিল বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। তবে নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ও রড-সিমেন্ট কম দেওয়ায় ছয় মাসের মধ্যেই দেয়ালে ফাটল ও ধস দেখা দিয়েছে। এতে ওই এলাকার দুই শ পরিবার নদী ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের গাফিলতি ও যোগসাজশের কারণে এমন দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। গাইড ওয়াল ও সড়কের মাঝে ফাঁকা জায়গা ভরাটের জন্য নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, বর্ষা শুরু হলে ক্ষতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, নদীতে অস্থায়ী বাঁধ দিয়ে পানি সেচের মাধ্যমে খননযন্ত্র (ভেকু) ব্যবহার করে অবৈধভাবে মাটি তোলা হচ্ছে এবং সেটি ওয়াল ও সড়কের ফাঁকা জায়গায় দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে কেশবপুর গ্রামের আঞ্চলিক রাস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে এবং বাড়িঘরও ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আকরাম আলী ও মাহফুজুর রহমান জানান, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার আমলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও বিএমডিএ প্রকৌশলীদের যোগসাজশে অনিয়ম করে এসব কাজ করা হয়। কাজের কিছুদিন পরই সেটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে নদী ভাঙন বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি রাস্তা বিলীন হয়ে গেছে। তারা দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার গোলাপ আলী জানান, এই প্রকল্পে কাজটি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ঠিকাদার দ্বারা সম্পন্ন করা হয়েছে। বাইরে থেকে মাটি কেনা সম্ভব না হওয়ায় প্রকৌশলীর নির্দেশনা অনুযায়ী নদী থেকে মাটি উত্তোলন করে ব্যবহার হচ্ছে।

বিএমডিএর বড়াইগ্রাম জোনের লালপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল বাসার জানান, গত বর্ষায় সময় স্বল্পতার কারণে ওয়ালের ব্যাক সিলিংয়ে মাটি দেওয়া হয়নি, যা বর্তমানে দেওয়া হচ্ছে। সরকারি প্রকল্পের জন্য নদী থেকেই মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে। ওয়ালের কিছু মাটি সরার ফলে ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে এসব প্রকল্পের বরাদ্দ কত সেটা জানা নেই।

এ বিষয়ে বিএমডিএর বড়াইগ্রাম জোনের সহকারী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়গুলো সরাসরি উপ-সহকারী প্রকৌশলী দেখে থাকেন, তাই তিনিই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবেন। তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


কুষ্টিয়ায় রাসেলস ভাইপারের কামড়ে দুইজনের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও দৌলতপুরে রাসেলস ভাইপারের কামড়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৮ মে) সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।

নিহতরা হলেন, দৌলতপুর ইউনিয়নের গরবপাড়া এলাকার মৃত নাহারুল ইসলামের ছেলে কালু হালসানা (৩৫) ও কুমারখালীর জগন্নাথপুর ইউনিয়নের কৃষক কামরুজ্জামান প্রমানিক (৫০)।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) হোসেন ইমাম জানান, একজনের মৃত্যু রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে নিশ্চিত হলেও অপরজনের ক্ষেত্রে তা এখনো নিশ্চিত নয়।

তিনি আরও বলেন, ‘দেরি করে হাসপাতালে আনায় কাউকেই এন্টিভেনম দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাদের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’


চরাঞ্চল ও রোহিঙ্গা শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনালের অর্থায়নে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশীলনের বাস্তবায়নে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর দুর্গম শুশুয়া চরে এবং কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের ঈদ উপলক্ষে পোশাক ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

শুশুয়া চরের ৮৯জন এবং উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এর ২৫৫ জন শিশুদের মাঝে এসব উপহার বিতরণ করা হয়।

২৮মে বুধবার ও ২৭মে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ক্যাম্প-৪ দরবার হলে এবং শুশুয়া ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন সংলগ্ন মাঠে এই বিতরন অনুষ্ঠান চলে।

প্রত্যেকটি মেয়ে শিশুকে থ্রি পিস, জুতা , ফ্রক, স্যালোয়ার,স্কার্ফ এবং ছেলে শিশুদের শার্ট, প্যান্ট ও জুতা দেয়া হয়। এছাড়াও প্রত্যেকজনকে ১কেজি সেমাই,১কেজি চিনি, ১কেজি পাউডার দুধ, ২৫০গ্রাম কিসমিস, ৫০০গ্রাম বাদাম, গরম মসলা ৩০গ্রাম, শুকনা মরিচ ৫০০গ্রাম, আদা ৫০০গ্রাম , পেঁয়াজ ২কেজি, রসুন ১কেজি, লবণ ১কেজি, পোলাও চাল ২কেজি, নুডুলস ২প্যাকেট, শুকনো ছোলা ২কেজি এবং প্রতিদিনের স্ন্যাকস হিসাবে পাইনাপেল ক্রীম বিস্কুট ২১ প্যাকেট, ড্রাই কেক ২১ প্যাকেট ও এনার্জি বিস্কুট ২১ প্যাকেট করে দেওয়া । এছাড়াও ১২৫ জন কিশোরীকে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উখিয়ায় ক্যাম্প-৪ ইনচার্জ সুরাইয়া আক্তার সুইটি, হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি নাইমুল হাসান মিশু, সুশীলন এর প্রজেক্ট কো অর্ডিনেটর মোঃ আরিফুল ইসলাম, ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর আঁখি পারভিন, রুমা খাতুন, শুশুয়া ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন সভাপতি মোমিনূর রহমান, সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন প্রকল্পের ফোকাল পার্সন মোস্তফা বকলুজ্জামান, মনিটরিং অফিসার কাজী ফয়সাল কবির এবং অ্যাকাউন্টস অফিসার মো: দেলোয়ার হোসেন।


এক ঘণ্টার বাজার মাসে বিক্রি ৩ কোটি টাকার দুধ

খেয়া নৌকায় নদী পাড়ি দিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহমুদুল হাসান, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ)

মানিকগঞ্জের শান্ত, স্নিগ্ধ জনপদ সাটুরিয়া, যেখানে ধলেশ্বরী নদীর রূপালী ঢেউ আছড়ে পড়ে তীরের সবুজ প্রান্তরে। এই মনোরম প্রকৃতির বুকেই ঘটে গেছে এক নীরব অর্থনৈতিক বিপ্লব। উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের গোপালপুর নামের একটি বাজার, যা এখন দুগ্ধ অর্থনীতির এক প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় আট থেকে দশ লাখ টাকার তরল সম্পদ দুধ এখানে হাতবদল হয়। আর দুধের ব্যবসা এ অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষের জীবনযাত্রায় এনেছে পরিবর্তন।

উপজেলার রাজৈর, বরাইদ, ধুনট, কাকরাইদসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা কৃষিকাজের পাশাপাশি গাভী পালন করেন। প্রতিটি পরিবারে গড়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩৫ কেজি দুধ উৎপাদিত হয়। এই দুধই গোপালপুর বাজারে চলে আসে বিক্রির জন্য।

নদীর দুই কুলের প্রায় ১৫টি গ্রামের কৃষক-কৃষাণীর দৈনন্দিন জীবন আবর্তিত হয় দুধকে কেন্দ্র করে। সকাল হলেই কেউ মাথায় দুধের ভারী কলসি, কেউবা হাতে ছোট বালতি নিয়ে গোপালপুর বাজারের দিকে এগিয়ে চলেন। খেয়া নৌকার দোলানিতে নদী পার হয়ে, সবুজ মাঠের বুক চিরে তাদের গন্তব্য একটাই ধলেশ্বরীর পূর্বপাড়ের গোপালপুর বাজার।

এ বাজারে প্রতিদিন বিক্রি হয় ২৫০ থেকে ৩০০ মণ দুধ, যা এই অঞ্চলের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হয়ে ওঠেছে। মাসে এই বাজারে প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি টাকার দুধের বেচাকেনা হয়।

এই দুধের প্রবাহ শুধু স্থানীয় অর্থনীতিকেই সচল রাখছে না, বরং তা ছড়িয়ে পড়ছে রাজধানী ঢাকা এবং তার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলায়, যেখানে গোপালপুরের খাঁটি দুধ পৌঁছে দিচ্ছে মিষ্টির স্বাদ আর পুষ্টির সম্ভার।

গোপালপুর বাজারের ইতিহাস

গোপালপুর বাজারটি গড়ে ওঠে ১৯৮৫ সালে। আশির দশকের শুরুতে গোপালপুর বাজারের আশে পাশে কোনো বাজার ছিল না। স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করার জন্য উপজেলা সদর অথবা পার্শ্ববর্তী দরগ্রাম বাজারে যেতে হতো। এতে কৃষকদের বিড়ম্বনার শেষ ছিল না। ১৯৮৫ সালে গোপালপুর বাজারে বরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আব্দুল হাই ব্যক্তিগত উদ্যোগে জমি কিনেন। একই বছরের ডিসেম্বর মাসে এখানে তিনি বাজার বসানোর ব্যবস্থা করেন। প্রথমে গ্রামীণ কৃষিপণ্য ও দুধের লেনদেন সীমিত থাকলেও নব্বই দশক থেকে দুধের ব্যবসা বড় পরিসরে শুরু হয়। আশে পাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষকরা দুধ আনতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে এ বাজারে পরিধি বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে বাজারটি দেশব্যাপী ‘দুধের বাজার’ নামে পরিচিত।

বরাইদ ইউপি চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আবদুল হাই স্মৃতিচারণ করে বলেন, নিজের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে জমি কিনে তিনি এই বাজার স্থাপন করেছিলেন এবং পরবর্তীতে তা জনগণের কল্যাণে দান করে দেন। আজ গোপাল পুরের দুধের বাজার শুধু মানিকগঞ্জ নয়, সারা দেশে এক বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে।

গাভী পালন: আয়ের উৎস

সাটুরিয়া উপজেলার রাজৈর, বরাইদ, ধুনট, কাকরাইদ, গালাসহ আশেপাশের গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল। ধান, গম, ভূট্টাসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির আবাদ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। তবে এই এলাকার মানুষের অন্যতম আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে গবাদিপশু পালন। প্রায় প্রতিটি পরিবারে ২ থেকে ১০টি গাভী রয়েছে। বর্তমানে দুধ বিক্রি করে এই এলাকার বেশিরভাগ পরিবারের জীবিকা চলে। সকাল ৮টার মধ্যে দেশীয় পদ্ধতিতে দুধ সংগ্রহ করে গোপালপুর বাজারে নিয়ে যান তারা।

গোপালপুর বাজারে একদিন

সম্প্রতি সরেজমিনে গোপালপুর বাজারে সকাল সাড়ে ৭টায় গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষকরা দুধ বিক্রি করার জন্য আসতে শুরু করেছেন। তখনো বাজার ভরে ওঠেনি। ধলেশ্বরী নদীর পশ্চিম পাড়ে আসতে শুরু করেছেন কিষাণ- কিষাণিরা। অপেক্ষা করছেন খেয়া পার হয়ে গোপালপুর বাজারে আসার। খেয়া নৌকায় নদী পারাপার হওয়ার পর নদীর পাড় ঘেঁষা পথে ছুটতে থাকেন তারা। প্রায় ১০-১৫ মিনিট হাঁটার পর গোপালপুর বাজারে পৌছান।

সকাল ৮টার মধ্যে আশেপাশের গ্রামের শত শত কিষাণ-কিষাণির পদচারণায় ভরে ওঠে বাজার। দুধের পাইকারি ব্যবসায়ীরা দুধ পরখ করে দেখেন। দামদর মিলে গেলে দুধ কিনে নিচ্ছেন। কেনার পর দুধ বড় বড় গ্যালনে ভরে পিকআপ ভ্যানে করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই শেষ হয় এই বাজার। কৃষক দুধ বিক্রি করার পর গরুর জন্য কিনছেন খাবার। লাভের টাকা দিয়ে পরিবারের জন্য মাছ, বিভিন্ন সবজিসহ দৈনন্দিন বাজার।

কথা হয় গোপালপুর বাজারে দুধ বিক্রি করতে আসা বরাইদ গ্রামের কৃষক মো. আক্কাস আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, তার চারটি গাভী থেকে প্রতিদিন ২৫ কেজি দুধ পান। প্রতি কেজি দুধ বিক্রি হয় ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

কাকরাইদ গ্রামের কৃষক মো. সিরাজ মিয়া বলেন, ‘আমার বাড়িতে মোট ৮টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে ৬টি গাভী ও ২টি ষাঁড় গরু। আমি প্রতিদিন প্রায় ৩৫-৪০ কেজি দুধ পাই। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার গরুকে খাওয়ানো হয়। তাই দুধের মান ভালো থাকে। আমার মতো অনেকেই রয়েছে দুধ বিক্রি করে সংসার চালায়।’

সমস্যা: একটি সেতুর অভাব

ধলেশ্বরী নদীর দুই পাড়ের স্থানীয়রা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের জন্য দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছেন। সেতু না থাকায় নৌকায় নদী পার হতে হয়, যা সময়সাপেক্ষ ও ঝুঁকিপূর্ণ। আবার উৎপাদিত কৃষি পণ্য নিয়ে আসতে প্রতিনিয়ত বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

বরাইদ গ্রামের কৃষক রাসেল মিয়া বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে একটি ব্রিজের (সেতু) দাবি জানিয়ে আসছি। ব্রিজটি হলে দুধ নিয়ে বাজারে যেতে এত কষ্ট করতে হতো না।’

গোপালপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, প্রতিদিন গোপালপুর বাজারে ২৫০ থেকে ৩০০ মণ দুধ বিক্রি হয়, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার বেশি। পাইকাররা এই দুধ কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন। ধলেশ্বরী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হলে নদী পাড়ের মানুষের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে এবং বাজারের কার্যক্রম আরও সহজ হবে।


ভোলা থেকে হরিনের মাংস পাচার দুই পাচারকারী আটক

৪৫ কেজি হরিণের মাংসসহ আটক ২ পাচারকারী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভোলা প্রতিনিধি

ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকায় তাসরিফ-১ লঞ্চে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঢাকায় হরিণের মাংস পাচারকালে ৪৫ কেজি মাংসসহ ২ পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন।

বুধবার (২৮ মে) মধ্যরাতে ভোলার ইলিশা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহি লঞ্চ তাসরিফ-১ থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন-রাফেজ আহমেদ (৪১) ও মাকসুদুর রহমান (৩৫)। তারা দু'জন ভোলার বাসিন্দা।

আজ সকালে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদেরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাত ২টার দিকে ভোলার মনপুরা-হাতিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ তাসরিফ-১ এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় লঞ্চটিতে তল্লাশি করে ৪৫ কেজি হরিণের মাংসসহ দুই পাচারকারীকে আটক করা হয়। পরে জব্দকৃত মাংস এবং আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলা বন বিভাগের নিকট তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়েছে।


নিজের মন্ত্রণালয় নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

নিজের মন্ত্রণালয় নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে স্থানীয় জেলে সম্প্রদায় ও বাওড় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় হাওড় বাওড় সমস্যা নিয়ে এ অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন।

উপদেষ্টা বলেন, আমি যেটা খুব অবাক হই, আমার নিজের মন্ত্রণালয় হিসেবে আমাদের খুব অসহায় লাগে আপনাদের মতই। আমরা জেলেদের মন্ত্রণালয়। আমাদের জেলেদের জীবন-জীবিকা যেখানে চলে সেই হাওড়-বাওড় ভুমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তারা হাওড় বাওড় ইজারা দেয়, আর আমরা তখন কাতর হয়ে বলি—এটা আমাদের দেন।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, জল যার জলা তার, এই নীতি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করব। তরুণ প্রজন্ম আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে। এই প্রজন্মই সমাজের সকল বৈষম্য দূর করবে। প্রকৃত মৎসজীবীদের মাঝে বাওড়ের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আমি ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সকল দপ্তরের কথা বলব। বাওড়পাড়ের বাসিন্দাদের কাছে বাওড়ের প্রকৃত মালিকানা ফিরিয়ে দিয়ে তাদের দুঃখ দুর্দশা দূর করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। রাজনৈতিক ও সামাজিক সকল পকে এ বিষয়ে সংহত হতে হবে।

এর আগে সকালে উপজেলার বলুহর বাওড় পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। সেসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল, খেত মজুর সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান, মৎস্য অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ মৎস্য কর্মকর্তা মোতালেব হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।


ভাটি এলাকার মানবিক চিকিৎসক অধ্যাপক শাহীন রেজা চৌধুরী

অধ্যাপক ডাক্তার শাহীন রেজা চৌধুরী চক্ষু সেবা দিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছেন অসহায় দৃষ্টিহীনের দৃষ্টি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

‘চোখ যে মনের কথা বলে, এটা তোমার কাজল রাঙা চোখ না দেখলে কোন দিন বিশ্বাস করতে পারতাম না। অথবা চোখে চোখে আশা, মনে মনে ভাষা, এরই নাম কি ভালোবাসা।’ এমন কব্যিক কথা প্রেমের গল্প উপন্যাসে পাওয়া যায়। কিন্তু কয়জন এমন ভালোবাসা খুঁজে পায়।
অধ্যাপক ডাক্তার শাহীন রেজা চৌধুরী এক অন্যরকম ভালোবাসায় আবদ্ধ হয়েছেন ভাটি এলাকার মানুষের। সৃষ্টি হয়েছে কিশোরগঞ্জের: ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম; নিখলী, তারাইল, বাজিতপুর, হবিগঞ্জের: আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং; লাখাই, সুনারুঘাট এবং সুনামগঞ্জের: দিরাই, শাল্লাসহ গোটা ভাটি এলাকার অসহায় মানুষের ভালবাসার বন্ধন।
অধ্যাপক ডাক্তার শাহীন রেজা চৌধুরী চক্ষু সেবা দিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছেন অসহায় দৃষ্টিহীনের দৃষ্টি। অন্ধত্ব থেকে রক্ষা পাচ্ছে প্রান্তিক এলাকার অতি দরিদ্র মানুষজন। বিনামূল্যে ছানি অপারেশনসহ চক্ষু চিকিৎসার নানা রকমের সহযোগিতা দিয়ে মানবিক ডাক্তারে পরিণত হয়েছেন তিনি।
তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন দৃষ্টি উন্নয়ন সংস্থা (ডাস) ঢাকা, কলাবাগান, ভুতের গলি, ৪ সার্কুলার রোড, ঢাকা, ডাস চক্ষু হাসপাতাল, মোহাম্মদপুর, চাঁদ উদ্যান ঢাকা। এছাড়া ঢাকায় প্রতি শুক্রবার কলাবাগানে আনোয়ার হোসেন ফ্রি ফাইডে চক্ষু সেবায় বিনা মূল্যে সপ্তাহে একদিন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
দৃষ্টি উন্নয়ন সংস্থা (ডাস) ঢাকা-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মো শাহীন রেজা চৌধুরী এবং চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী।
দৃষ্টি উন্নয়ন সংস্থার সেবা শুধু ভাটি এলাকায় সীমাবদ্ধ নেই। সারাদেশে তিনি এখন প্রতি বছর প্রায় লক্ষাধিক লোককে চক্ষু সেবা দিতে পারছেন এবং প্রায় ৩৫ হাজার লোককে ডাসের ব্যবস্থাপনায় বিনামূল্যে লেন্সসহ ছানি অপারেশন, ফ্রি ঔধষ, কালো চশমা দিয়েছেন।
যেভাবে অসহায় দৃষ্টিহীনের সেবা দেয়া হয়- তিনি যখন জানতে পারেন কোন একটি উপজেলায় দৃষ্টি সমস্যায় মানুষজন ভোগছে, সেখানে তিনি একটি ক্যাম্পের আয়োজন করেন। এতে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতা এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি চক্ষু সেবা ক্যাম্প পরিচালনা করেন। ক্যাম্পে আসা হাজার হাজার চক্ষু রোগীর চোখ পরীক্ষা করেন। সেখানে তিনি বিনামূল্যে চশমা, ওষুধ দেন। এছাড়া, ছানি অপারেশন প্রয়োজন এমন রোগী বাছাই করেন। বাছাইয়ের পর ঐ এলাকা থেকে রোগীকে বিনামূল্যে ঢাকায় এনে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান অবস্থিত দৃষ্টি চক্ষু হাসপাতালে, আগারগাঁওয়ের লায়ন চক্ষু হাসপাতালে এবং হবিগঞ্জের ডা. সহিদ চক্ষু হাসপাতালে অপারেশনের ব্যবস্থা করেন। বিনামূল্যে ল্যান্স, ওষুধ এবং চশমা দেন। তাদের দুই দিন দৃষ্টি চক্ষু হাসপাতালে রাখেন। ডাসের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় রোগীদের নিজ নিজ বাড়ি পৌঁছে দেন।
চলতি (মে) মাসের ১৭ তারিখ কিশোরগঞ্জে ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের লাইমপাশা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি ক্যাম্পের আয়োজন করেন হাজী তারা পাশা ফাউন্ডেশন। তিনি ওই চক্ষু সেবা ক্যাম্পে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেন। দিনব্যাপী প্রায় এক হাজার রোগীর চোখের পরীক্ষা, ছানি রোগ নির্ণয় ও প্রাথমিক চিকিৎসা এবং ৭০০ জনকে ওষুধ ও ৫০০ জনকে চশমা প্রদান করা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষার পর ১২০ জন ছানি রোগী বিনামূল্যে অস্ত্রোপচারের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়। তালিকা থেকে ২১ মে প্রথম ব্যাচ ঢাকায় আসে এবং অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করে ২৩ মে বাড়ি পৌঁছে। দ্বিতীয় ব্যাচ ২৩ মে ঢাকায় আসে এবং অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করে ২৫ মে ডা. সহিদ চক্ষু হাসপাতালে আসেন এবং ২৬ মে নিরাপদে বাড়ি ফিরেন ডাসের ব্যবস্থাপনায়।
এর অর্থায়ন করেন আমেরিকার হিউম্যানিটি বিওনড বেরিআরস (HBB, আমেরিকা) প্রতিষ্ঠান। তিনি মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যানে দৃষ্টি উন্নয়ন সংস্থার হাসপাতলে সারাবছর দৃষ্টি সেবা চালু রেখেছেন।


শেরপুরে পরিবেশ উপদেষ্টার গাড়ি বহরে হামলার খবরটি সঠিক নয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

শেরপুরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়ি বহরে হামলার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরটি সঠিক নয়।

সোমবার (২৬ মে) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শেরপুরে পরিবেশ উপদেষ্টার গাড়ি বহরে হামলা বিষয়ে কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরটি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এই খবরটি বিভ্রান্তিকর ও এটি সত্যনির্ভর নয়।’

এতে আরও বলা হয়, ‘উপদেষ্টা পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শেরপুরের নালিতাবাড়ীর দাওধারা গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরে মধুটিলা রেঞ্জে দীর্ঘমেয়াদি বাগান এলাকা পরিদর্শনের উদ্দেশে রওনা হন।

‘পরবর্তীতে তিনি মধুটিলাতে একটি জনসভা করেন। সেখানে তিনি হাতির আক্রমণে আহত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেন এবং হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব ও প্রাকৃতিক বন রক্ষার বিষয়ে মতবিনিময় করেন, যা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল।’

এসব অনুষ্ঠানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানানো হয়েছে। ‘এরপরে একটি স্থানে কয়েকজন সাংবাদিক ও কতিপয় ব্যক্তির মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছে।’

তবে, এটি উপদেষ্টার সফরের সম্পর্কিত নয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।


শিক্ষার্থীদের জমির দলিল চিনতে আগ্রহী করলেন ইউএনও

আপডেটেড ২৬ মে, ২০২৫ ১৮:০৭
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে একটি সরকারি বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের জমির দলিল চিনতে আগ্রহী করে তুললেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: খাইরুল ইসলাম।

রোববার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমি সেবা ও ভূমি সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সচেতনতা মূলক কথা বলেন তিনি।

একই সাথে অদূর ভবিষ্যতে যেন ভূমি সংক্রান্ত জটিলতায় ভোগান্তি না পোহাতে হয় এর জন্য শিক্ষার্থীদের জানার আগ্রহ জন্মানোর চেষ্টা করেন এই কর্মকর্তা।

দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে হাতে দলিল, জমির খতিয়ান ও নকশা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলছেন ইউএনও। শিক্ষার্থীরা গভীর মনোযোগ দিয়ে খাতায় লিখে নেন ইউএনওর গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ গুলো।

শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা লক্ষ্য করে আমাদের আশপাশে জমি নিয়ে অনেক মারামারি হয়, খুনাখুনি হয়। নানা অজ্ঞতার কারনে অনেকে ক্ষতিগ্রস্থ হন। আমরা আজ দলিল চিনলাম, পড়াশোনার মধ্যে বইয়ের বাইরেও আমাদের অনেক কিছু জানার আছে। আজ আবারও সেটা উপলব্ধি করলাম। এখন সমাজে চলমান যেসব ঘটনা ঘটছে জমি সংক্রান্ত কিভাবে সাধারণ মানুষকে সেবা দেয়া যায় এ পরামর্শ এখন আমরা দিতে পারবো। অন্তত আমাদের আশেপাশের অজ্ঞ মানুষদের কেউ বিপদে ফেলতে পারবেনা। আমরা এই পরামর্শগুলো কাজে লাগাবো।

ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহানুর বেগম চৌধুরী বলেন, জমি সংক্রান্ত দুর্ভোগ কমাতে ভবিষ্যতের কথা ভেবে এর আগে এ ধরণের পরামর্শ মূলক কথা নিয়ে আমাদের বিদ্যালয়ে কেউ আসেনি। আমি এটাকে ইতি বাচক দিক দেখছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা হয়তো আজকের পর থেকে এগুলো নিয়ে গবেষণার জন্য এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।

সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: খাইরুল ইসলাম বলেন, আমাদের সমাজে জমি সংক্রান্ত কলোহের কারনে ভাকৃত্ববোধ নষ্ট হয়। আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক মেধাবী আমরা যদি তাদের ভেতরে জানার আগ্রহটা তৈরি করতে পারি তবে সমাজ ও দেশ একদিন উপকৃত হবে। আমি আজ সেই চেষ্টাই করেছি মাত্র। আমি চাই আমাদের সন্তানরা অনেক বেশি জানতে আগ্রহী হয়ে উঠুক। এটা শুধু জমি সংক্রান্ত নয়, সুন্দর সমাজ গঠনে বাঁধা সৃস্টি হয় এমন সব সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আমাদের জানার আগ্রহ জন্মাতে হবে। এটা তারই একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস।


কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম-ঢাকা’র নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আজ রবিবার (২৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম-ঢাকা’র নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সাবেক কমিটির সভাপতি রাজেন্দ্র চন্দ্র দেব মন্টু নব নির্বাচিত সভাপতি এরফানুল হক নাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কিরণের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতি ঢাকার মহাসচিব উদয় হাকিম, সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম আঙ্গুর, সংগঠনের সাবেক সভাপতি এরশাদ উদ্দিন, নবনির্বাচিত কমিটির সিনিয়র সভাপতি হামিদ মোহাম্মদ জসিম, যুগ্ম সম্পাদক এম শাহজাহান, শফিকুল ইসলাম সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জাকির হোসাইন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ এনায়েত উল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক যোবায়ের আহসান জাবের, জনকল্যাণ সম্পাদক গোলাম রসূল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এম শাহীন আরিফিন, কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল হাছান, মুশতাক আহমেদ লিটন, জহুরুল আলম জাবেদ।

দায়িত্ব হস্তান্তর শেষে নবনির্বাচিত সভাপতির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কিরণের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতি ঢাকার মহাসচিব উদয় হাকিম, সিনিয়র সাংবাদিক আজিজুল হক এরশাদ, সিনিয়র সহসভাপতি হামিদ মোহাম্মদ জসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম শাহজাহান, শফিকুল ইসলাম সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসাইন, নির্বাহী সদস্য জহুরুল আলম জাবেদ, জনকল্যাণ সম্পাদক গোলাম রসুল ভূইয়া, মুস্তাক আহমেদ লিটন, আবুল হাছান প্রমুখ।

বক্তারা সংগঠন কে অগ্রসর করার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন। সংগঠনের প্রয়াত নেতৃবৃন্দকে স্মরণ করা হয় এবং যারা অসুস্থ আছেন তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়। বক্তারা বেকার সদস্যদের চাকুরির ব্যবস্থা করা, সদস্যদের যে কোনো সমস্যায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, জনকল্যাণ ফান্ড কে শক্তিশালী করাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের পরামর্শ দেন।

উল্লেখ্য গত ১৭ মে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এ কমিটি ষোষণা করা হয়।


বোরহানউদ্দিনে ডিবি পুলিশের অভিযানে দুই মাদককারবারী গ্রেপ্তার

ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারকৃত মাদককারবারী জসীম (বাঁমে) ও হান্নান (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৫ মে, ২০২৫ ১৭:৩৯
ইউসুফ হোসেন অনিক, ভোলা

'ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় লাগামহীন মাদকের বিস্তার' এই শিরোনামে জাতীয় দৈনিক বাংলায় সংবাদ প্রকাশের পর ভোলা জেলা ডিবি পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে বোরহানউদ্দিন পৌর শহরের ওয়াপদা রোড ও বশির মিঞা সড়ক থেকে ৫০ পিছ ইয়াবা সহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো - জসিম (৩০) ও হান্নান (৩২)।

শনিবার (২৪ মে) রাত ৯টার দিকে ওয়াপদা রোডে মাদক বিক্রেতা জসিমের হোটেলে ডিবি পুলিশের এসআই নাজমুলের নেতৃত্বে একটি অভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে। এসময় জসিমের কাছ থেকে ২০ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এরপর জসিমের দেয়া তথ্যে ডিবি পুলিশের দলটি পৌর ৬নং ওয়ার্ডের বশির মিঞা সড়ক থেকে আরো ৩০ পিছ ইয়াবা সহ হান্নানকে গ্রেপ্তার করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়াপদা রোডের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গ্রেপ্তারকৃত জসিম পেশাদার মাদক কারবারি চক্রের সক্রিয় সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন ধরে তার এই হোটেল ব্যাবসার আড়ালে অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা বিক্রি করতো। তিনি দৈনিক বাংলার এই প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের চোখের সামনেই কোমলমতি কিশোর থেকে শুরু করে যুবক ও তরুণরা ইয়াবা ক্রয় করে নিয়ে যেতো উপযুক্ত প্রমানের অভাবে কিছুই বলতে পারতাম না। আজ ডিবি পুলিশ তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে এ জন্য ডিবি পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।

জসিম ওয়াপদা রোডের সিরাজের পুত্র ও হান্নান হাসপাতাল রোডের আ: মান্নান এর পুত্র পুলিশের দাবি, তারা চিহ্নিত মাদক কারবারি।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, জসিম ও হান্নান দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় ইয়াবা বিক্রি করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পুলিশ সোর্স লাগিয়ে তাদের ইয়াবা বিক্রি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। শনিবার রাতে ইয়াবা বিক্রির সময়ে পুলিশ তাদেরকে হাতেনাতে আটক করে।

ভোলা জেলা ডিবি পুলিশের ওসি ইকবাল হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। তাদেরকে কোর্টে প্রেরন করা হবে। মাদকের বিরুদ্ধে জেলা ডিবি পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।


সারা দেশে চার দিন বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আগামী চার দিন সারা দেশে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল শনিবার আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া ২৭ মে পশ্চিম-মধ্য এবং তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পাবে।

আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

আগামীকাল সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এছাড়াও আগামী মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

আর আগামী বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো কিংবা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা (১-৩) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।


banner close