ভোলার ইলিশায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করেছে কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোন।
আজ বৃহস্পতিবার কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকূল/নদী তীরবর্তী চরঅঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনে সবসময় এগিয়ে এসেছে। দুস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষদের বিভিন্ন সময় মেডিকেল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে কোস্ট গার্ড। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা হতে দুপুর ১ টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোন কর্তৃক ভোলার সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের ১৯ নং মৌলভীর হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে ৩৯০ জন অসহায়, গরীব, দুস্থ ও শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা হয়। উক্ত মেডিক্যাল ক্যাম্পেইনের নেতৃত্ব দিয়েছেন কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার সার্জন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ইয়াসমিন আক্তার, এএমসি। এছাড়াও উপকূলীয়/নদী তীরবর্তী এলাকার জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নৌযান ও নৌপথে জানমালের নিরাপত্তা, অবৈধ মৎস্য সম্পদ আহরণ রোধ, মাদকদ্রব্য পাচার নিয়ন্ত্রণ, চোরাচালান ও মানব পাচার রোধে জনসচেতনতামূলক আলোচনা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক ভবিষ্যতেও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সড়ক পথে উত্তরবঙ্গের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক। প্রতি বছর ঈদে এ মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করেন, যা বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। যার কারণে এ মহাসড়কে যানবাহনের চাপে জটলা বাঁধে। অন্যদিকে মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কের চার লেনের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন না হওয়ায় গতবারের মতো এবারও তা ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গণপরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
তবে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক করতে আন্তরিকতার সঙ্গেই কাজ করছে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন। যমুনা সেতু সাইট অফিসের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এবারের ঈদযাত্রায় মহাসড়ককে ৪টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। এতে মহাসড়কে সাড়ে ৭শ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। লিংক রোডগুলোতে বাঁশকল বসানো হবে। সেখানে পুলিশের পাশাপাশি টাঙ্গাইল শ্রমিক ফেডারেশন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবে।
পরিবহন চালকরা বলছেন, ঈদ এলেই মহাসড়কে তড়িঘড়ি কাজ শুরু হয়। এতে গাড়ির গতি ঠিক থাকে না এবং দেবে যাওয়া রাস্তায় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। আর মহাসড়কের চার লেনের কাজ শেষ হয়েছে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত। এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত ৪ লেনের কাজ এখনও চলমান। এর ফলে মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, যমুনা সেতুতে টোল আদায় দুই প্রান্তেই হয়। তবে সফটওয়ারে সমস্যার কারণে কোন কোন প্রান্তে টোল আদায় দীর্ঘক্ষণ বন্ধের ঘটনা মাঝে মাঝে ঘটে। ফলে সেতুর ওপর দীর্ঘ সময় গাড়ি আটকা থাকলে যানজট হয়। এবার এসব আশঙ্কা তো আছেই সঙ্গে বড় আশঙ্কা সেতু থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা অংশ পর্যন্ত রাস্তায় চার লেনের উন্নয়ন কাজের জন্য ধীরগতি। ধারনা করা হচ্ছে, ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে ছেড়ে আসা যমুনা সেতু হয়ে উত্তরবঙ্গগামী গাড়ি এলেঙ্গা এলাকায় আসার পর সড়ক সংস্কার কাজের জন্য ধীরগতিতে পড়ায় এর প্রভাব পড়বে পেছনে থাকা টাঙ্গাইল শহর অথবা বাইপাস সড়কে। আর সিরাজগঞ্জ পার হয়ে যমুনা সেতু অতিক্রম করা যাত্রীবাহী বাসগুলোও এলেঙ্গাতে এসে ধীরগতিতে পড়লে তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হলে এর প্রভাবে যমুনা সেতুর ওপরেওযানজট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর ওপর যেন কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ও যানজট না হয় সে লক্ষ্যে ১৯টি পদক্ষেপ নিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। সরেজমিনে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, মহাসড়কের এলেঙ্গার পর থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে উন্নয়ন কাজ চলছে। ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। উত্তরবঙ্গগামী লেনে পুরোদমে কাজ চলছে। বিশেষ করে এই অংশে থাকা ছোট ছোট সড়ক সেতুর কাজ চলছে দ্রুতগতিতে।
আনালিয়াবাড়ী এলাকায় সেতুর কাজ করা শ্রমিক সেলিম মিয়া বলেন, কয়েকদিন আগে আমাদের কাজ করা জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। ঈদের আগে সেতুর কাজ শেষ করার তাগিদ রয়েছে। আমরা আট জন শ্রমিক মিলে এখানে সার্বক্ষণিক কাজ করছি। আশা করছি যথা সময়ে কাজ শেষ করতে পারবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নীলফামারীর তয়েজ এন্টারপ্রাইজের বাসচালক ইকবাল হোসেন বলেন, মহাসড়কে পুলিশের সঠিক তদারকি প্রয়োজন। এছাড়া এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত কাজ করছে। কাজ শেষ না হলে এবারও মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা করছি। গতবছরও এ মহাসড়কে যানজট হয়েছিল। প্রতিবছরই আমাদের যানজটের কবলে পড়তে হয়।
এ প্রসঙ্গে চার লেন বাস্তবায়ন প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক রবিউল আউয়াল জানান, এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত মহাসড়কের সাড়ে ১৩ কিলোমিটারের ৪০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে ঈদের আগেই মহাসড়কের এই অংশের কাজ শেষ করে উত্তরবঙ্গগামী পুরো লেন চলাচলের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে।
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক করতে ১৯টি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য যমুনা সেতু দিয়ে সার্বক্ষণিক টোল চালু রাখার চেষ্টা করা হবে। এবার সেতু পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের ১৪টি বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হবে। এর মধ্যে ৪টি করে উভয় প্রান্তে ৮টি বুথে ফাস্ট ট্রাক লেন এবং মোটরসাইকেলের জন্য ২টি করে আলাদা ৪টি বুথ থাকবে।
টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে যানজট নিরসনে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। যানজট নিরসনে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশে ৬৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জেলা পুলিশের সাড়ে ৭শ সদস্য দায়িত্ব পালন করাসহ মোবাইল টিম ও প্রিকেট টিম কাজ করবেন। তিনি আরও জানান, আগামী ২৫ মার্চ থেকে পুলিশ মহাসড়কে ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে। ঈদের পরেও যানজট নিরসনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। তিনি আশা করেন এবার মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হবে না।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের কলমতেজী ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন টেপারবিল এলাকায় গহীন বনে আগুন লেগেছে। শনিবার সকালে লাগা এ আগুন এখনও নেভানো সম্ভব হয়নি। এমন পরিস্থিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে বাগেরহাট মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও কচুয়া উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট কাজ করছে বলে জানা যায়।
তবে পর্যাপ্ত পানির অভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস। এরই মধ্যে বনরক্ষীরা ফায়ার লাইন কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। তবে আগুন লাগার স্থানে আশপাশে কোন পানির উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে বনরক্ষী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর ষ্টেশন কর্মকর্তা ফরেষ্টার বিপুলেশ্বর দাস জানান, আশেপাশে পানির কোন উৎস নেই। বনের খাল থেকে প্রায় দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে গহীন বনের মধ্যে আগুন জ্বলছে। আগুন যেন বনের ব্যাপক এলাকাজুড়ে ছড়াতে না পারে সেজন্য আগুনের চারপাশে ফায়ারলাইন কাটা শুরু করেছেন বনরক্ষীরা।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করীম জানান, সুন্দরবনে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসে ৪টি ইউনিট কাজ করছে। রাত হয়ে যাওয়ায় আজকের মত কাজ বন্ধ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সুন্দরবনের কি পরিমান ক্ষয়-ক্ষতি হয়ে তা জানাতে পারেননি তিনি।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় কক্সবাজারের টেকনাফে সমুদ্রে রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাডুবিতে নারীসহ চার রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় বিজিবির এক সদস্যসহ আরও কয়েকজন রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিখোঁজ বিজিবি সদস্য শাহপরীর দ্বীপ বিওপির অধীনে কর্মরত বিল্লাল হোসেন (সিপাহি)।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম উপকূল এলাকা থেকে ভেসে আসা রোহিঙ্গাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটায় টেকনাফে নৌকাডুবির ঘটনায় নারী, পুরুষ, শিশুসহ ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে বিজিবি।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকাডুবির ঘটনায় চার রোহিঙ্গার মরদেহ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিজিবির সদস্যসহ আরও বেশকিছু রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের বিষয়ে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।’
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন, 'সমুদ্রপথে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টাকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম পাড়ায় রোহিঙ্গাদের একটি নৌকা ডুবে যায়। নৌকার তলা ফেটে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।'
স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকা টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া এলাকায় সাগরে ভাসতে দেখে বিজিবির সদস্যরা স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আমিনের মালিকানাধীন মাছ ধরার নৌকায় শাকের মাঝির নেতৃত্বে মাঝিমাল্লারা রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকাটি থামানোর সংকেত দেন সমুদ্রে। পরে ওই নৌকাতে ওঠেন বিজিবি সদস্য। এ সময় উত্তাল সাগরের ঢেউয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। তাদের চিৎকারে নারী-শিশুসহ ২৫ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে স্থানীয় জেলে ও বিজিবি।
বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাভারে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ তমিজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ ইকবালের নির্দেশে সাভার পৌর ছাত্রদলের মেহেদী হাসান সানির উদ্যোগে সাভার পৌর ১নং ওয়ার্ডের কো-অপারেটিভ অগ্রণী হাউজিং সোসাইটি মাঠে এ ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাভার পৌর মেয়র প্রার্থী লায়ন মো: খোরশেদ আলম।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,সাভার পৌর ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এসময় প্রধান অতিধির বক্তব্যে লায়ন মো: খোরশেদ আলম বলেন,বিগত ১৫-১৬ বছর আমরা যারা বিএনপি করেছি শুধু আমি নই সাভারের নেত্রীবৃন্দসহ সারা বাংলাদেশে বিরোধী দলে যারা রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো তাদের উপর অত্যাচারের একটি স্টীম রোলার চালিয়েছে বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার। নানা রকম মামলা হামলা নির্যাতন সয্য করেও যারা আজকে পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সম্পর্ক রেখেছে এবং দলের কাজ কর্ম করে যাচ্ছে তাদেরকে আমি দলের পক্ষ থেকে ও আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানাই। কারন চরম দৈর্য্য না ধরলে এই দীর্ঘদিন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের বিরোদ্ধে করা ভাবে লড়ে না গেলে আমরা সফল হতে পারতাম না।
তিনি এসময় আরো বলেন,পাঁচ আগষ্ট যে স্বাধীনতা এসেছে এই স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আর যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করছি।
লায়ন মো: খোরশেদ আলম বলেন,আমরা একটু সাভারের দিকে তাকাই। এই সাভার একটি অবহেলিত সাভার। দীর্ঘদিন এই সাভারে যে পরিমান উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিলো তা হয়নি। এই না হওয়ার পিছনে একটি জিনিস দায়ী সেটি হলো-দায়িত্বশীল যারা ছিলেন তারা কখনোই আপনাদের নিজের মানুষ মনে করেনি। যদি তারা কাজ করতো বা সাভারকে নিজের পৌরসভা হিসেবে যদি গ্রহন করতো তাহলে কাজ করতে পারতো।
আমি দীর্ঘদিন কাউন্সিলর ছিলাম সমস্যাগুলো আমি কাছ থেকে দেখেছি। এখানে শুধু দরকার একটু প্রচেষ্টা এবং জনগনের সহযোগীতা।
একজন মেয়র যদি চিন্তা করে আমি সাভারের জন্য কাজ করবো আর জনগন যদি চিন্তা করে আমরা মেয়রের পাশে আছি তাহলে কোন কিছুতেই সেই উন্নয়ন ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব না।
এসময় তিনি আরো বলেন,আমার কাজ দ্বারা যদি আমাকে আপনাদের যোগ্য মনে হয় তাহলে আপনারা আমাকে নির্বাচিত করবেন। যতদিন বেচে আছি আমি সাভারের জন্য এবং সাভারের মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় কক্সবাজারের টেকনাফে ঢেউয়ের কবলে পড়ে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত নারী, পুরুষ, শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার করেছে বিজিবি। এ ঘটনায় বিজিবির এক সদস্যসহ নিখোঁজ রয়েছেন বেশকিছু রোহিঙ্গা।
শনিবার রাত আড়াই টায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম পাড়া এলাকার সমুদ্রে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ বিজিবির সদস্য একজন সিপাহি। তিনি টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ বিজিবি বিওপির অধীনে কর্মরত ছিলেন।
নৌকা ডুবির ঘটনা স্বীকার করে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন, 'মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত শিশুসহ ২৫জন রোহিঙ্গাকে জীবত উদ্ধার করা হয়েছে। সাগরে বিজিবির উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে নিখোঁজ বিজিবির সদস্য বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি।'
এ বিষয়ে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, 'মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি অনুপ্রবেশের খবরে বিজিবি অভিযানে গেলে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে বিজিবির এক সদস্যসহ বেশ কিছু রোহিঙ্গা নিখোঁজ থাকার খবর পেয়েছি। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।'
স্থানীয়দের মতে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম পাড়া এলাকায় সাগরে ভাসমান দেখে বিজিবির সদস্য স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আমিনের মালিকাধীন মাছ ধরার নৌকায় শাকের মাঝির নেতৃত্বে মাঝিমল্লারা রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাটি থামানোর চেষ্টা করে। এক প্রকারে রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকায় বিজিবি সদস্য পার হয়। এ সময় সাগরের ঢেউয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে তাদের জোর চিৎকার শোনে স্থানীয় জেলেরা এগিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে। পরে বিজিবি খবর পেয়ে ১০-১৫ কাঠের নৌকায় নিখোঁজ বিজিবির সদস্যসহ রোহিঙ্গাদের সন্ধ্যানে সাগরে তল্লাশি চালায়। তবে ডুবে যাওয়া নৌকায় অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গা ছিল বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকৃতরা।
নৌকার মালিক মো. আমিন বলেন, 'মাঝ রাতে সাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ধরতে যাওয়ার কথা বলে ওই বিজিবির সদস্য আমার নৌকাটি নিয়ে যায়। পরে রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকাটি কুলে নিয়ে আসার পথে সাগরে ঢেউর স্রোতে সাগরে ডুবে যায়। এতে ২৫ জনের মতো রোহিঙ্গা জীবত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবির এক সিপাহী নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারে সাগের তল্লাশি চলছে।'
দিনাজপুরে ট্রেনের ১৩০টি টিকিটসহ সাজেদুর রহমান (২৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। আটক সাজেদুর রহমান ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রাধানাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে দিনাজপুর জিআরপি থানায় আটক করে নিয়ে আসা হয়।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের পার্বতীপুর সার্কেলের পরিদর্শক হাসান শিহাবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিভিন্ন রুটের ট্রেনের ১৩০টি টিকিট ছাড়াও তাঁর কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ও বিভিন্ন কোম্পানির ১৪টি সিম কার্ডও পাওয়া গেছে।
দিনাজপুর জিআরপি থানা সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ঠাকুরগাঁও পৌঁছলে প্ল্যাটফর্মে টিকিট চেক শুরু করেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় সাজেদুরের টিকিট চেক করার সময় এক টিকিটে ২২ জনের আসন দেখতে পান।
বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হলে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে ঠাকুরগাঁও জিআরপি থানায় নিয়ে যান। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে টিকিট কালোবাজারির কথা স্বীকার করেন। পরে তার কাছে ট্রেনের বিভিন্ন রুটের আরও ১০৮টি আসনের টিকিট পাওয়া যায়। এসব টিকিট ২১ থেকে ২৫ মার্চের এবং যাত্রাপথ ঢাকা থেকে পার্বতীপুর ও পঞ্চগড়ের। রাতেই তাকে ঠাকুরগাঁও থেকে দিনাজপুর জিআরপি থানায় নিয়ে আসা হয়।
অভিযুক্ত সাজেদুর রহমান বলেন, খুলনায় থাকা অবস্থায় ১০ দিন আগে থেকে এসব টিকিট সংগ্রহ করি।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের পার্বতীপুর সার্কেলের পরিদর্শক হাসান শিহাবুল ইসলাম বলেন, আমরা রেলওয়ের ১৩০টি টিকিটসহ এক যুবককে ঠাকুরগাঁও থেকে আটক করি। তার কাছ থেকে আমরা ১৩০টি টিকিট, ১৪টি সিমকার্ড, তিনটি মোবাইল ফোনসহ আইডি কার্ড জব্দ করেছি।
নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
শুক্রবার (২১ মার্চ) ভোরে নরসিংদীর রায়পুরায় দুর্গম চরাঞ্চল চাঁনপুর ইউনিয়নে মোহিনীপুর গ্রামে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— রায়পুরা উপজেলা চাঁনপুর ইউনিয়নে মোহিনীপুর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে আমিন (২৩) ও একই গ্রামের বারেক হাজীর ছেলে বাশার (৩৫)।
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চাঁনপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর সালাম মিয়া ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক সোহাগের সঙ্গে চাঁনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসু মেম্বারের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপি নেতা সামসু মেম্বর ও তার সমর্থকরা এলাকাছাড়া ছিলেন। ৫ আগস্টের পর এলাকায় ফিরে আসেন তারা।
এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এমনকি দুপক্ষই মারামারি ও গোলাগুলি করে। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা সালাম মিয়া ও তার সমর্থকদের এলাকাছাড়া করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সবশেষ শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে সালাম মিয়া ও তার সমর্থকরা এলাকায় ফিরতে চান। এতে বাধা দেয় বিএনপি নেতা সামসু মেম্বার ও তার লোক জন।
পরে দেশীয় অস্ত্র, টেঁটা-বল্লম, দা, ছুরি, ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে একজন ও টেঁটা ও ছুরিকাঘাতের আরও একজনসহ দুইজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ সময় সংঘর্ষে আহত হয় অন্তত ১০ জন।
নরসিংদী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে বলে শুনেছি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
বগুড়ার শেরপুরে ট্রাকচাপায় দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন। শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার শেরপুর-ধুনট সড়কের রনবীরবালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাজর গ্রামের মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে হারুন অর রশিদ (৫২) ও একই ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান প্রামানিকের ছেলে হানিফ উদ্দিন (৩৫)।
আহতরা হলেন— সুন্দরী, বসন্তী, সুর্বতি, চায়না, পবিত্র, স্বরসতি, সাগরিকা, সুনিল, মনন্তর, পয়ত্রি, মো. সাত্তার, বাসরি, বাশরি, ক্ষন্নষশি। এরা সকলে খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাঝর এলাকার বাসিন্দা।
শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘ট্রাকটি ধুনট থেকে শেরপুর যাওয়ার সময় রনবীরবালা বশীর পাগলা মাজারের কাছে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা হানিফ নামের একজনকে চাপা দিয়ে ২০০ গজ দুরে গিয়ে আবার আরেকটি যাত্রীবাহী ভটভটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ট্রাক ও ভটভটি উল্টে যায়। এতে পথচারী হানিফ ও ভটভটি যাত্রী হারুন অর রশিদ ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় আরও ২১ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকে থাকা কাউকে আটক করা যায়নি। তবে ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।’
ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে এক শহীদের ১৭ বছর বয়সি মেয়েকে পটুয়াখালীর দুমকিতে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম আলগী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ বুধবার ভুক্তভোগী নিজে দুমকি থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন: পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আলগী গ্রামের মৃত মামুন মুন্সির ছেলে সাকিব মুন্সি (১৭) এবং সোহাগ মুন্সির ছেলে সিফাত মুন্সি (১৯)। অভিযুক্ত সাকিব মুন্সিকে পুলিশ আটক করলেও পলাতক রয়েছে সিফাত মুন্সি।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন শহীদ জসিম উদ্দীনের মেয়ে তার বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। পথে নলদোয়ানী এলাকা থেকে সাকিব ও সিফাত তাকে অনুসরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা মুখ চেপে ধরে পাশের জলিল মুন্সির ভিটা বাগানে নিয়ে যায়। সেখানেই দুজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে এবং ঘটনার ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
দুমকি থানার ওসি জাকির হোসেন জানান, ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই এজহার নিয়ে মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে এবং ভুক্তভোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পুলিশ প্রহরায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৯ জুলাই বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার গাড়ি চালক জসিম উদ্দীন হাওলাদার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোহাম্মদপুর চৌরাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে জসিমের স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ছুটে যান। পরে গুলিবিদ্ধ জসিমকে ২১ জুলাই মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করে আইসিইউতে রাখা হয়। দুদিন পর সেখানে তার একটা অপারেশন করা হয়। কিন্তু এরপর আর জ্ঞান ফেরেনি জসিমের। পরের দিন ২২ জুলাই জসিমকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় এবং এভাবে ১১ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হেরে যান জসিম। ১ আগস্ট তার মরদেহ পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার দক্ষিণ পাঙ্গাশিয়া নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়। এর পর থেকে জসিমের স্ত্রী পার্শ্ববর্তী বাবার বাড়িতেই থাকতেন।
নাটোরের সিংড়ায় নগদ টাকাসহ আটক গাইবান্ধার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) সেই নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাবিউল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ ও গাড়িতে অবৈধ অর্থ বহনের অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছাবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগের অভিযোগ পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে গাড়িতে অবৈধ অর্থ বহন ও যৌথ বাহিনী জব্দ করার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হয়। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিধিমালা অনুযায়ী ছাবিউল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা একটি প্রাইভেটকার রাজশাহী যাচ্ছিল। পথে নাটোরের সিংড়ার চলনবিল গেট এলাকায় পুলিশের চেকপোস্টে প্রাইভেটকারটিতে তল্লাশি চালানো হয়। এসময় প্রাইভেটকারটির পেছনে ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা দেখে প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামের কাছে টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
এ সময় ছাবিউল ইসলাম টাকাগুলো জমি বিক্রির টাকা বলে দাবি করলেও কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। পরে যৌথ বাহিনী ওই টাকা ও টাকা বহনকারী গাড়িটি জব্দ করে। সেই সঙ্গে প্রকৌশলীসহ প্রাইভেটকার ও তার ড্রাইভারকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে শুক্রবার বিকেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তের জন্য ডাকলে যেকোনো সময় হাজির হতে বাধ্য থাকবেন তিনি এমন মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
পুরো বিষয়টি উদঘাটন করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, ছাবিউল ইসলামের গাড়ি থেকে জব্দ করা প্রায় ৩৭ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত রোববার বিকেলে নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহান এই নির্দেশ দেন। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্তকারী কর্মকর্তা সিংড়া থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজু আহমেদ জব্দ করা টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ চেয়ে রোববার দুপুরে আদালতে আবেদন করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক জব্দ করা প্রায় ৩৭ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম আট দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবে যাতায়াত করতে পারবেন। ছবি: সংগৃহীত
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাপ্তাহিক ছুটিসহ আট দিনের জন্য লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবে যাতায়াত করতে পারবেন।
আজ বুধবার দুপুরে বুড়িমারী স্থলবন্দরের (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ নাহিদের সই করা এক চিঠির মাধ্যমে বুড়িমারী স্থলবন্দর সাপ্তাহিক ছুটিসহ আট দিন বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থলবন্দর সূত্র জানায়, বুড়িমারী স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সব সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৯ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বুড়িমারী স্থলবন্দর ও ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। উভয় দেশের কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর মাঝে ছুটির পত্র বিনিময় করা হয়েছে।
রোববার (৬ এপ্রিল ) থেকে যথারীতি বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক হোসেন বলেন, দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুড়িমারী স্থল বন্দরের শুল্ক স্টেশন ও সিঅ্যান্ডএফ কার্যক্রম সাপ্তাহিক ছুটিসহ আট দিন বন্ধ থাকবে। আগামী ৬ এপ্রিল বন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর পুলিশ অভিবাসন চৌকির (ইমিগ্রেশন) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, বুড়িমারী স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
নিয়মিত ট্রেন চলাচলের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার খুলে দেওয়া হবে নবনির্মিত যমুনা রেল সেতু। এই সেতু উদ্বোধনের ফলে রেলপথের মাধ্যমে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ঢাকা ও অন্যান্য অংশের সঙ্গে সংযুক্ত হবে।
সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ এম মাসুদুর রহমান জানান, ‘আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় শুরু হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং এ জন্য সার্বিক প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। উদ্বোধনের পর উভয় দিক থেকে সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে।’
তিনি বলেন, সেতুর দুটি লেনের একটি ব্যবহার করে গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবল ট্র্যাক ডুয়েলগেজ সেতুর একটিতে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
সেতুটি ৫০টি পিলার এবং ৪৯টি স্প্যানের ওপর নির্মিত। মাসুদুর রহমান বলেন, অত্যাধুনিক ইস্পাত প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্মিত এ সেতুর স্থায়িত্ব ১০০ বছর। এই কাঠামোটি ‘বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রমাণ’।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সকাল ১০টায় সেতুর পূর্ব পাশে ইব্রাহিমাবাদ স্টেশনে অনুষ্ঠিত হবে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম ফাহিমুল ইসলাম, ঢাকায় নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি এবং জাপানের বৈদেশিক উন্নয়ন সংস্থা জাইকার দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মহা-পরিচালক ইতো তেরুয়ুকি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক এম আফজাল হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে, উদ্বোধনী ট্রেনের অতিথি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সকাল ১১টা ২০ মিনিটে পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে সেতু পার হয়ে সিরাজগঞ্জের পশ্চিম প্রান্তে সায়েদাবাদ রেলওয়ে স্টেশনে যাবেন এবং দুপুর ১২টায় পূর্বপ্রান্তে ইব্রাহিমাবাদ রেলওয়ে স্টেশনে ফিরে আসবেন।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে, রাজশাহী থেকে সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে যমুনা রেল সেতু পার হয়ে ঢাকায় পৌঁছায়।
পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর সময় একটি ট্রেন ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে সেতুটি অতিক্রম করেছিল।
নতুন রেলওয়ে সেতুটি যমুনা বহুমুখী সেতুর ৩০০ মিটার উজানে অবস্থিত। দেশের দীর্ঘতম রেল সেতুর ওপর দিয়ে ৮৮টি ট্রেন দ্রুতগতিতে চলাচল করতে পারবে।
১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে প্রায় ৩৮টি ট্রেন প্রতিদিন তুলনামূলকভাবে ধীর গতিতে যাতায়াত করছে যা ঢাকাসহ বাংলাদেশের মূল অংশকে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, ‘যমুনা রেল সেতু পার হতে ট্রেনের আগের তুলনায় কম সময় লাগবে। এতে উভয় দিকে সময় সাশ্রয় হবে।’
রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকার ২০২০ সালে ডেডিকেটেড রেলওয়ে সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় এবং একই বছরের ২৯ নভেম্বর এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা যার ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ ঋণ হিসেবে দিয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) এবং বাকি অর্থ সরকার দিয়েছে। জাপানের ওটিজি এবং আইএইচআই যৌথভাবে সেতুটি নির্মাণ করেছে।
সেতুর প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি ব্যবহারের জন্য ট্রেন যাত্রীদের পন্টেজ চার্জ হিসেবে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হবে, যা পদ্মা সেতুতেও আদায় করা হয়।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একটি রুট-ভিত্তিক ভাড়া চার্ট তৈরি করেছে যার অধীনে পন্টেজ চার্জ আদায়ের জন্য ট্রেনের আসনের শ্রেণির ওপর নির্ভর করে সর্বনিম্ন ৪৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৬০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া আদায় করা হবে।
সূত্র: বাসস
স্ত্রীর সঙ্গে সাংসারিক কিছু তুচ্ছ ঘটনায় মনোমালিন্য ঘটে আলমগীর নামে এক যুবকের। এরপর তাকে ‘শাসন’ করার পরিকল্পনা করে ঘুমন্ত অবস্থায় তার দুই পায়ের রগ কেটে দিয়ে পাথরের আঘাতে তার হাত-পা থেঁতলে দিয়েছে ওই ‘বীর স্বামী’। পেশায় পোশাক শ্রমিক আলমগীর এ ঘটনার পর স্ত্রী-সন্তান ফেলে গা-ঢাকা দিয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে লক্ষ্মীপুর জেলার পৌর এলাকার কালু হাজী সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটায় অভিযুক্ত আলমগীর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ।
ঘটনার শিকার রিনা আক্তার নামের ওই ভুক্তভোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকায় এনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল তার অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে এখনো তিনি আশঙ্কামুক্ত নন। আলমগীরের পৈতৃক বাড়ি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর বাঞ্ছানগর এলাকায়।
রিনা আক্তারের ভাই অ্যাম্বুলেন্স চালক হোসেন আহমেদ গতকাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার বোনের অবস্থা খুবই খারাপ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আমি ঢাকা থেকে এসে থানায় মামলা করব।’
হোসেনসহ স্থানীয় লোকজন জানান, বাড়িতে ঘর না থাকায় রিনা ও তার স্বামী আলমগীর কালু হাজী সড়ক এলাকায় সন্তানদের নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকত। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো কারণে সম্ভবত মতের অমিল হয়েছিল। সংসারে এমন ঘটনা তো ঘটেই; কিন্তু আলমগীর নেশাসক্ত হওয়ায় তার স্ত্রীকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে।
তারা বলেন, গত শনিবার রাতে রিনা সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। আলমগীর অনেক রাতে বাসায় ফেরে। সে এসে ঘুমন্ত রিনার দুই পায়ের রগ কেটে দেয়। এছাড়া পাথর দিয়ে রিনার দুই হাত ও দুই পা থেঁতলে দেয়। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হোসেন আহমেদের অভিযোগ, ‘কোনো কারণ ছাড়াই আলমগীর আমার বোনকে কুপিয়েছে। হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। সে মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনও জানিয়েছে।’ এদিকে ঘটনার পর থেকে গা-ঢাকা দিয়েছে আলমগীর হোসেন। ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ‘সকালে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’