অপারেশন ডেভিল হান্টে চট্টগ্রামে ৩৫ জন, সুনামগঞ্জে ৭, মানিকগঞ্জে ১১, বাগেরহাটের মোংলায় ৬, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ৩, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৩, কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ৪ ও টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে সোমবার রাতে চাক্তাইয়ের চাউলপট্টি এলাকার বাসা থেকে চট্টগ্রাম মহানগরের ৩৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন নুরু আটক হয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক পটভূমি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ভূমিদখল ও চাঁদাবাজির খেলায় মেতে ওঠে কিশোর গ্যাং পরিচালিত নুরু গ্রুপ।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর (৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড) মেজর রিজোয়ান বলেন, সোমবার রাতে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। চাঁদাবাজির কারণে নুর হোসেন নুরুকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হাতিয়া থানাধীন ৬নং চরকিং ইউনিয়নে কাওসার মিয়ার ব্রিকফিল্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. নবির উদ্দিন, মো. ইমাম হোসেন ও মো. ফখরুল ইসলাম টিপুকে আটক করা হয়। অপরদিকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে হুমায়ুন কবির ওরফে বাবুল নামক এক সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দীপন ধর (৪০), মো. ফারুখ (৪৫), মো. ইমরান হোসেন (৩২), মো. মনির আলম (৩৩), পেয়ার আহমেদ (৪৫), মো. আব্দুর রহমি (৩৭), মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী (৫২), মামুনুর রশদি পাভেল (২১), শুক্কুর আহমেদ ওরফে মো. ফয়সাল (২২), আলী মর্তুজা (৩৫), শাহাজাহান ইসলাম সাজু (২৮), মো. নাহিদুল আলম এলিন (৪৩), মো. সফর আলী (৩৯), মো: ইকবাল হোসেন (৩৫), মো. নুরুল আলম (৬২), মো. রুবেল মিয়া (২৬), আব্দুর রউফ বাদশা (১৯), ওসমান গণি ওরফে ইমন (২৪), এ এন মেহেদী ইসলাম বাপ্পী (৪৪), মো. রফিক (৪০), মো. রাকিব(২৪), জুলফিকার আলী মাসুদ(৫০), সাইফুল ইসলাম (৪৭), মোহাম্মদ আরশাদুল নুর (২০), আবুল কাসেম (৪৫) ও মো. আকবর হোসেন (২৫), ইমাম হোসেন ওরফে ইব্রাহীম (২৫), মো. বেলাল (৩৩), মো. রুবেল (২৭) ও মো. আলমগীর হোসেন (৩৬)।
মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযান পরিচলনা করে অস্থিতিশীলতা পরিকল্পনার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১১জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ও দিনে সাতটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করেন জেলা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আব্দুল কাদের (৭২), আমজাদ হোসেন (৪৫) ও আব্দুস সামাদ (৫০), হাবিবুর রহমান শিবলী (৪৬), রিয়াদ হোসেন (৩৭), নজরুল ইসলাম শাহজাহান (৪৯), সাইফুল ইসলাম (৪০), মজনু মিয়া (৫৩), কুদ্দুস মিয়া (৪৪), আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৪) এবং আশরাফুল ইসলাম (৫২)।
মোংলা (বাগেরহাট)
মোংলায় কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশের পৃথক অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ ৬ আওয়ামী লীগ নেতা আটক হয়েছেন।
মঙ্গলবার ভোর রাতে কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশ মোংলার চাঁদপাই ইউনিয়নের মালগাজী এবং বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের দিগরাজ এলাকায় অভিযান চালান। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৩), মোঃ ডালিম (৫২), মোঃ শফিকুর রহমান (৭২), বিধান চন্দ্র রায় (৬৬) কে ১টি দুইনালা বিদেশি বন্দুক ও ১৫ রাউন্ড তাজা গুলিসহ আটক করা হয়।
অপরদিকে মঙ্গলবার রাতে মোংলার কুমারখালী ও গোয়ালেরমেঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম এবং মোঃ সাইফুল শেখকে আটক করেছেন পুলিশ।
সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও বগলাকাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. শাহান উদ্দিন (৩৩), সুনামগঞ্জ সদর থানার মঙ্গলকাটা গ্রামের বাসিন্দা রমজান আলী (৬০)। তিনি জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। মো. খোকন মিয়া (৪০), মধ্যনগর থানার রৌয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. খোকন মিয়া (৪০)। তিনি বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি। জগন্নাথপুর থানার কেশবপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. কামরুল হাসান তেরা মিয়া (৪০)। তিনি জগন্নাথপুর পৌরসভা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক। তাহিরপুর থানার সোলেমানপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আকরামিন হোসেন (২১)। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সহ-সভাপতি। ছাতক থানার নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা জানে আলম (২৮)। তিনি ইসলামপুর ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। সুনামগঞ্জ সদর থানার ঘাসিগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ (৪০)। তিনি জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক।
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ডেভিল হান্ট অপারেশনে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে তাদের উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ সোহান হাসান, সোনারগাঁ পৌরসভার ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রনি বিল্লাহ ও জামপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মেসা. শফিকুল ইসলাম।
মেহেরপুর
মেহেরপুর সদর উপজেলার ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সকলেই সন্ত্রাসী বিরোধী আইনের মামলার আসামি।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- মেহেরপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মঞ্জুরুল কবির রিপন (৪৫), মেহেরপুর শহরের শিশু বাগান পাড়ার নুরূল ইসলামের ছেলে এনামুল হক বাবলু (৪৫) এবং নতুনপাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে হৃদয় হোসেন (২৭)।
কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
কলাপাড়ায় মহিপুর থানা যুবলীগের সদস্য ও মহিপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. মামুন হাওলাদার(৪৫) কে আটক করেছে পুলিশ।
মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, ডেভিল হান্ট অপারেশনে তাকে আটক করে নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে সেচ্ছাসেবকলীগ নেতাসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন সেচ্চাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি আলীম সরকার, তারাবো পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রনি হোসেন ও ভুলতা ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী বাছেদ মিয়া।
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ৪ জন আটক করেছে পুলিশ। সোমবার দিনভর অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি ও সাবেক কমিশনার আফজাল হোসেন ভূইয়া (৬৭)। অন্য আসামিরা হলেন, শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকার হাজী আব্দুর রহমান মিয়ার ছেলে ও আওয়ামী লীগ সক্রিয় কর্মী নান্নু মিয়া (৬২), গজারিয়া ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি এলাকার কালা মিয়ার ছেলে ও আওয়ামী লীগ সক্রিয় কর্মী বাদল মিয়া (৩৮) ও শিবপুর ইউনিয়নের মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মুর্শিদ মিয়া (৫০)।
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল)
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। সোমবার রাতে উপজেলার পৌর এলাকার বাহাদীপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ভূঞাপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন ও একই ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম।
ভরা মৌসুমেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা নেই বরিশালে। সংকটের কারণে চাহিদামতো রপ্তানি করতে পারছে না ব্যবসায়ীরা। এতে ধস নেমেছে ব্যবসায়, আর সাধারণ ক্রেতারা পড়েছেন আকাশছোঁয়া দামের চাপে।
বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার মণ ইলিশ আসত মোকামে। বর্তমানে দিনে ৩০ থেকে ৪০ মণও মিলছে না। ইলিশের এমন টানাপড়েন বাজারে তৈরি করেছে অস্থিরতা। সাধারণ ক্রেতা থেকে খুচরা বিক্রেতা সবাই পড়েছেন বিড়ম্বনায়।
এবার দুর্গাপূজায় ভারতে ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। ইতোমধ্যে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে বরিশালের চারটি প্রতিষ্ঠান রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে। কিন্তু সরবরাহ কম থাকায় ব্যবসায়ীরা পড়েছেন অনিশ্চয়তায়।
গত বছরের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর রপ্তানি শুরুর ৬ দিনে বরিশাল থেকে ভারতে গিয়েছিল প্রায় দেড়শ মণ ইলিশ। কিন্তু এবার একই সময়ে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৮০ মণ।
মোকামে ইলিশের দামও রেকর্ড গড়েছে, ৫০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ৬৪ হাজার টাকায়,৯০০ গ্রামের ইলিশ ৮০ হাজারে, এক কেজি ওজনের ইলিশ ৯২ হাজারে, ১২০০ গ্রামের ইলিশের দাম ছাড়িয়েছে ৯৭ হাজার টাকা। ছোট সাইজের ইলিশেও ব্যাপক ওঠানামা দেখা যাচ্ছে। আড়তদারদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় সরবরাহ কয়েকগুণ কমে গেছে। ফলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
আল আমিন হাওলাদার নামে এক ক্রেতা জানান,আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ বাজারে মাছ কিনতে এলে দাম দেখেই ফিরে যেতে হয়, কেনার সামর্থ্য থাকে না। ইলিশের এমন সংকট যদি চলতে থাকে, ভবিষ্যতে হয়তো এই মাছ একেবারেই হারিয়ে যাবে।
বরিশাল পোর্টরোড মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতি সভাপতি কামাল সিকদার বলেন,গত বছর বরিশাল থেকে ২৪ টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছিল ভারতে। কিন্তু এবার বেশি দাম দিয়েও পর্যাপ্ত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না।
বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম আকন্দ জানান, নদীতে ইলিশের আগমন এখন বড় চ্যালেঞ্জের মুখে। তবে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসদরের আদালতপাড়ায় অবস্থিত বউ সাঁজ বিউটি পার্লার থেকে ১০ লাখ ১৮ হাজার টাকার জাল নোট, একটি বিদেশি পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রোববার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা গেছে, জব্দ হওয়া সব জাল নোটের সিরিয়াল নম্বর একই- ট ৮৬২৭৩৬৯। অভিযানের সময় পার্লার মালিক বিলকিস বেগমকে পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাস্থল থেকে পার্লারের তিনজন নারী কর্মচারীসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ। সোমবার তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে আদালতে চালান করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- শেফালী আক্তার সাথী (৪২), স্বামী আলাউদ্দিন, গ্রাম কিশোরপুর, নবীনগর ; তাশলিমা আক্তার, পিতা: আব্দুল সালাম, করিমশাহ এলাকা, নবীনগর পূর্বপাড়া ; খাদিজা আক্তার, পিতা: মৃত আমিন মিয়া, নবীনগর পূর্বপাড়া ; লাকী বেগম পিতা: সুলতান খন্দকার, গ্রাম: ইব্রাহিমপুর।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সমাজসেবিকা সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল বলেন, ‘জনবহুল এলাকায় এ ধরনের ঘটনা সত্যি আতঙ্কের। আমরা চাই সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক এবং কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পায়।’
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত ম্যানেজার শেফালী আক্তার সাথীর দাবি, তারা ঘটনার সাথে জড়িত নন। তার ভাষ্য, এক যুবতী হাইড্রা ফেসিয়ালের কথা বলে পার্লারে এসে দরদাম করার পর একটি ব্যাগ রেখে বাইরে যায়। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে সেই ব্যাগ থেকেই জাল নোট ও অস্ত্র উদ্ধার করে।
ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, এক মেয়ে হাতে ব্যাগ নিয়ে পার্লারের সামনে নামছে। তবে সে আসলেই পার্লারে প্রবেশ করেছে কিনা তা ফুটেজে স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে, সচেতন এলাকাবাসী ও ছাত্র সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। তারা পার্লারের সুনাম নষ্টের ষড়যন্ত্রকারীদের গ্রেপ্তার এবং আটক কর্মচারীদের মুক্তির দাবি জানান।
অভিযান পরিচালনাকারী নবীনগর থানার ওসি মো. শাহীনুর ইসলাম জানান, ‘একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে এই পার্লার থেকে জাল নোট ছাপানো ও সঞ্চয়ের কাজ চালিয়ে আসছিল। তারা আসন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবকে কেন্দ্র করে জাল নোট বাজারজাতের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি।’
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরের চাঁদপুরে যমুনার তীব্র স্রোতে ঘূর্ণাবর্তে প্রায় ২৫টি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। গবাদিপশুসহ ঘরবাড়ির টিনের চাল চোখের সামনে নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় এলাকাজুড়ে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে ঘরবাড়ি ছাড়াও মসজিদ, মাদ্রাসা, সদিয়া দেওয়ানতলা সংকরহাটি উচ্চবিদ্যালয়সহ প্রায় ৫ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিলীন হয়ে যেতে পারে।
গত রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, কেউ ঘরের খুঁটি খুঁলছে, কেউবা টিনের চাল সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে। নারীরা বিছানাপত্র ও রান্নার জিনিসপত্র নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। আশপাশের বহু মানুষসহ যমুনা পাড়ে বয়স্ক ও শিশুদের ভিড়। গত শুক্রবার বিকালের দিকে যমুনার তীব্র স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর চরের বসতি লালচাঁন, জুড়ান, সাইফুল, রবি, ইয়াদুল, ডা. এরশাদের বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়ি কয়েক মিনিটের মধ্যে নদীতে চলে যায়।
বয়োবৃদ্ধ আতাহার মণ্ডল জানান, ৭৩ বছব বয়সে প্রায় ২৫ বার নদী গর্ভে চলে গেছে তার বসতভিটা। তবে এভাবে হঠাৎ করে যমুনার আগ্রাসী থাবায় লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এ গুলো দেখলে কেউ স্বাভাবিক থাকতে পারবে না। বেশ কয়েক বছর ধরেই চাঁদপুর এলাকায় নদীভাঙনে কয়েকশত ঘরবাড়ি নদীতে চলে গেছে। অবশিষ্ট এলাকা রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসেনি। এখন আমরা যাব কোথায়?
এ বিষয়ে সদিয়া দেওয়ানতলা সংকরহাটি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ জানান, ভাঙন এলাকা থেকে মাত্র ৫৫ মিটার দুরে হাইস্কুল কমপ্লেক্স ভবন। এছাড়া অন্তত ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হুমকিতে রয়েছে। কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিতের দিকে। দ্রুত স্থায়ী তীর সংরক্ষণে জিওব্যাগ ডাম্পিং করতে হবে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে স্কুলগুলো নদীগর্ভে চলে যাবে।
সমাজসেবক হাফিজুর রহমান, শিক্ষক ইকবাল হোসেন ও আব্দুল মমিন, শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম জানান, নদীভাঙনের ভয়াবহতা দেখে আমরা হতবাক, চোখের সামনে কয়েশ মিটার এলাকা বিলীন হয়েছে। প্রায় ৩০টি বসতভিটা নদীতে চলে যাওয়ায় আমরাও আতঙ্কিত। এই চরের আশপাশের অন্তত ১২টি ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ বসতি স্থাপন করেছিল। ভাঙনে সবাই এখন আতঙ্কিত। ক্ষতিগ্রস্ত সকল অসহায় পরিবারকে বিশেষ সহায়তা দেওয়ার দাবি জানাই।
এদিকে ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে এসে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ পারভেজ জানান, প্রায় ৩০০ মিটার এলাকা ও বেশ কিছু বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। দ্রুত জিওব্যাগ ডাম্পিংসহ ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সুন্দরবনের সংলগ্ন নদী-খাল থেকে নিদারুণভাবে শামুক ও ঝিনুক সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, কিছু ক্ষেত্রে সীমান্তপথে পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের মতে, দিনে কিংবা গভীর রাতে ট্রলার ও নৌকা ব্যবহার করে নির্বিচারে এ আহরণ চলছে, যা বনভূমি ও নদীর তলদেশীয় পরিবেশের ভারসাম্য বিপন্ন করছে।
অবৈধ আহরণকারীদের অর্থের লোভে পরে প্রান্তিক জেলেদেরও এ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে বলা হয়, কয়েকশো মণ শামুক একদিনে সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তা সামগ্রিকভাবে সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সীমান্তপথে পাচার করা হচ্ছে। কিছু ব্যবসায়ী এসব শামুক ১৫ টাকা দরে কিনে ৮০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
পরিবেশবিদ ও গবেষকরা জানান, শামুক-ঝিনুক নদীর তলদেশের মাটির গুণগত মান বজায় রাখতে, মাটির উর্বরতা রক্ষায় এবং নদীতে বাস করা মাছের খাদ্য চক্র বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অধ্যাপক আশেক এলাহী ও গবেষক গৌরাঙ্গ নন্দীর মত অনুযায়ী, ব্যাপক হারে এ প্রাণীর নিধন হলে নদী জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ভয় রয়েছে। সুন্দরবনে আনুমানিক ২৬০ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে- তাদের মধ্যে শামুক ও ঝিনুকের গুরুত্ব উল্লেখযোগ্য।
আইনি দিক থেকেও সমস্যা গুরুতর। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী নদী, খাল ও প্রাকৃতিক জলাশয় থেকে শামুক ও ঝিনুক কুড়িয়ে নেওয়া বা পরিবহন করা নিষিদ্ধ। এ ধরনের কার্যক্রম পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) ও জলজ সম্পদ সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০-এর আওতায় অপরাধ হিসেবে দণ্ডনীয়।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরার রেঞ্জ—পশ্চিম সুন্দরবনের পশুরতলা খাল, কৈখালীর মাদার নদী ও জয়াখালীর খালসহ বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে শামুক আহরণ হয়ে থাকে। আগাস্ট মাসের শুরুতে বন বিভাগের এক অভিযানে পার্ক সংলগ্ন মালঞ্চ নদী থেকে শামুক ও ঝিনুক ভর্তি নৌকা জব্দ করে মুন্সিগঞ্জ ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির সদস্য ও নৌপুলিশ। পরে কদমতলা স্টেশন থেকে উদ্ধার করা দশ বস্তা শামুক-ঝিনুক নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
শ্যামনগর উপজেলার পরিবেশকর্মী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু নৌকা জব্দ করলেই হবে না; চক্রের মূলহোতাদের সনাক্ত করে তাদের উৎসকে নির্ণয় করতে হবে। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরী।’ সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এ কে এম ফজলুল হক বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে; শামুক-ঝিনুক সংগ্রহ ও পাচার নদী সংরক্ষণ আইন ও পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের লঙ্ঘন—অভিযুক্তদের শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং স্থানীয়দের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।
ময়মনসিংহের সদর উপজেলা থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে মোক্ষপুর ইউনিয়নের কইতর বাড়ি (খলাবাড়ি) এলাকায় আড়াই একর জমিতে বিদেশি রেড লেডি জাতের পেঁপে চাষ করেছেন কৃষক রফিকুল ইসলাম। পেঁপের বাম্পার ফলন হাওয়ায় ত্রিশালের রফিক হয়েছেন আর্থিকভাবে লাভবান।
বিদেশি জাতের পেঁপে চাষের কিছু বিশেষ সুবিধা আছে, যা রফিককে সফল হতে সাহায্য করেছে। এই জাতের পেঁপের স্বাদ, রং এবং আকার ভালো হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি এবং দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়াও বিদেশি জাতের পেঁপেতে রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম, তাই ফলন নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি নেই। রফিক বলেন, পেঁপে চাষের সময় জমিতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে পাশাপাশি চারা রোপণের আগে জমি ভালোভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে। তাহলেই জমিতে পেঁপের ভাল ফলন হবে।
ত্রিশাল উপজেলা কৃষি কমকর্তা তানিয়া রহমান বলেন, রফিকের বাগানে বাম্পার ফলন হয়েছে। এক একটি গাছে ৪০ কেজির মতো করে পেঁপে এসেছে। ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা লাভ হবে বলে জানিয়েছে রফিক। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা তার বাগানের নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছি।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজারের বাদুরাগাছা গ্রামে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শাহ গাজীকালুর চম্পাবতীর মাজার কমিটির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার সকালে মাজার প্রাঙ্গণে মাজার কমিটি আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সভাপতি মো. মাহাবুবুর রহমান।
সে সময় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যরা।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, একটি মহল সম্প্রতি মাজারের কমিটির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। যার কোনো ভিত্তি বা প্রমাণ নেয়।
কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, প্রতিবছর মাজারে দুটি বড় মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। একটি ফাল্গুন মাসে, অন্যটি ভাদ্র মাসে। সর্বশেষ আয়োজিত মাহফিলে বিভিন্ন খাত থেকে আয় হয়েছিল ৪ লাখ ৩৮ হাজার ১১৬ টাকা। এর মধ্যে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার ৯২০ টাকা। অবশিষ্ট ৩ লাখ ৩৮ হাজার ১১৬ টাকা বর্তমানে বারবাজার সোনালী ব্যাংকে জমা আছে। তাই প্রশ্ন থেকেই যায়-এখানে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আসলো কীভাবে?
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা দাবি করেন, বিগত ১৭ বছর ধরে যারা মাজার কমিটি পরিচালনা করেছেন, তারা কখনোই আর্থিক হিসাব দেননি, এমনকি কোনো ব্যাংক হিসাবও খোলা হয়নি। অথচ বর্তমান কমিটি গঠিত হওয়ার পর থেকেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জে পুলিশি বাঁধায় হেযবুত তাওহীদের গোলটেবিল বৈঠক পণ্ড হয়ে গেছে। সোমবার সকাল ১১ টার দিকে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় কনফারেন্স রুমে গোলটেবিল বৈঠক শুরু হওয়ার পর বেলা সোয়া ১১ টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হয় কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। পরে পুলিশের বাঁধার কারণে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি হয়নি।
কেন্দ্র ঘোষিত ‘রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাবনা- তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা’ শিরোনামে ওই বৈঠকের আয়োজন করেছিল সংগঠনের জেলা শাখা।
এ বৈঠক আয়োজনের কয়েক দিন আগে থেকেই জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের দাওয়াত দেয়া হয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়।
সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন অনুষ্ঠানে এসে ওই বৈঠকের অনুমতি নেই বলে বাঁধা দেন। ফলে হেযবুত তওহীদের নেতা–কর্মীরা বৈঠক করতে পারেননি। পরে সংগঠনের লিফলেট বিতরণ করে উপস্থিতিদের বিদায় দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এ অনুষ্ঠান করার জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে তারা কোনো অনুমতি নেয়নি। অনুমতি ছাড়া এগুলো করা ঠিক না। এ জন্য আমরা তাদের অনুষ্ঠান বন্ধ করেছি।’
যশোর ও খুলনার ভবদহ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ রাজধানীর পান্থপথে পানি ভবনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে স্বাক্ষর করেন যশোর পানি উন্নয়ন সার্কেল, খুলনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক বি. এম. আব্দুল মোমিন। সেনাবাহিনীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মামুন উর রশিদ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি।
প্রকল্পের আওতায় যশোর ও খুলনা অঞ্চলের হরিহর নদী (৩৫ কিমি), হরি-তেলিগাতি নদী (২০ কিমি), আপারভদ্রা নদী (১৮.৫ কিমি), টেকা নদী (৭ কিমি) ও শ্রী নদী (১ কিমি)সহ মোট ৫টি নদীর ৮১.৫ কিমি পুনঃখনন করা হবে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৩৯৯৮ দশমিক ১৯ লক্ষ টাকা। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সেনাবাহিনী “অর্পিত ক্রয়কার্য (Delegated Procurement)” পদ্ধতিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
নদী খননের পাশাপাশি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন, ড্রেজড মাটি সংরক্ষণ ও স্থানীয় জনগণের চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহারযোগ্য করা হবে। পরিবেশবান্ধব পুনঃখনন নিশ্চিত করতে টার্ফিং ও বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমও হাতে নেওয়া হবে।
এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সেনাবাহিনী যৌথভাবে কাজটি বাস্তবায়ন, তদারকি ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে। কাজ সম্পন্ন হলে এ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় পরিবর্তন আসবে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. এনায়েত উল্লাহ ছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাপাউবোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম; সেনাবাহিনীর স্টাফ অফিসার-১ (পরিকল্পনা) লে. কর্নেল তানভীর আহমেদ, পিএসসি; যশোর পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী এবং সেনাবাহিনীর প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর গাজী নাজমুল হাসান।
নীলফামারীতে এস.এস.সি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া ৭০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে জেলা পরিষদের উদ্যোগে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার পরিষদের হলরুমে পাঁচ হাজার টাকা করে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে এই অর্থ তুলে দেন জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।
সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর রায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, ‘আজকের (সোমবার) মেধাবীরাই আগামী দিনের সম্পদ। শুধু ফলাফলে নয়, সৎ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবেও গড়ে উঠতে হবে। জেলা পরিষদের এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে। শিক্ষা খাতে সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর রায় জানান, ‘শিক্ষাই জাতির অগ্রগতির মূল ভিত্তি। এ বৃত্তি শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণে সহায়ক হবে। প্রতি বছরই মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো হবে। ভবিষ্যতে এর পরিধি আরও বাড়ানো হবে।’
ফেনীতে ১৫০ পূজামণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে সাজসজ্জা ও মণ্ডপ নির্মাণের কাজ।
ফেনীতে গত বছর ১৪৭টি পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন হলেও তা এবার বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর তিনটি বেড়ে ১৫০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র জানায়, এ বছর কোনো পূজামণ্ডপকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হচ্ছে না, তবে সার্বিকভাবে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। পুলিশ, র্যাব, আনসারের পাশাপাশি এ বছর দুর্গোৎসবের নিরাপত্তায় থাকবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবি। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে জানালেন পুলিশ সুপার।
এ বছর দুর্গাপূজায় মা দুর্গা হাতিতে চড়ে আসবেন এবং দোলায় করে গমন করবেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব উদযাপন উপলক্ষে প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।
দুর্গাপূজায় পুলিশ, র্যাব, আনসারের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি নিরাপত্তায় সহযোগিতা করবে। মণ্ডপগুলোতে চলছে সাজসজ্জা ও প্রতিমা তৈরির কাজ। কোনো কোনো মন্দিরে দেখা যায় প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। দুর্গোৎসব পালনের জন্য সরকারি সহযোগিতা আগের তুলনায় বৃদ্ধির দাবিও জানিয়েছেন অনেকে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক মন্দিরে সিসি ক্যামেরা সচল রাখা ও পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রাখতে বলা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল জোরদার করা হলে কোনো বিশৃঙ্খলা হবে না- এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ফেনীতে ১৫০টি পূজা মণ্ডপের মধ্যে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপ নেই। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রতিটি পূজামণ্ডপে প্রশাসনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। দুর্গোৎসব সফল করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। মন্দির কমিটিগুলো সতর্ক করা হয়েছে।
ফেনী শহরে সবচেয়ে বড় ও বেশি প্রতিমা তৈরি হচ্ছে শ্রী শ্রী গুরুচক্র মন্দিরে। প্রতিমা তৈরির কারিগর সুশীল পাল গত ৪০ বছর যাবত প্রতিমা তৈরি করে আসছেন। তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত সুন্দর ও নিখুঁতভাবে সেরা প্রতিমা তৈরি করে থাকি। ভক্তরা খুবই পছন্দ করেন।
শ্রী শ্রী গুরুচক্র মন্দিরের পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শিফন চৌধুরী বলেন, এই মন্দিরে প্রতিমা তৈরিতে আমাদের কারিগররা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, যাতে ভক্তদের মন জুড়িয়ে যায়।
শহরতলির বারাহীপুর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি তপন কুমার কর বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম- সবখানেই দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য সবার মাঝে আনন্দ উৎসব পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা, এবার অত্যন্ত সুন্দর ও আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপন হবে।
ফেনী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হীরালাল চক্রবর্তী বলেন, সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ আনন্দ-উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। এবারের পূজায় কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে- এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে এ উৎসবটি পালিত হবে- এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।
ফেনী জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শুক দেবনাথ তপন বলেন, সকল ধর্মের জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান- শারদীয় দুর্গোৎসবটি সুন্দর ও শান্তিশৃঙ্খলার মাধ্যমে পালনে সবাই যেন সহযোগিতা করেন। জেলার সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতিও এ ব্যাপারে সজাগ ও সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানাই।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অ্যাডভোকেট পার্থ পাল চৌধুরী বলেন, দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে আমরা বারবার জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতারা, সামাজিক সংগঠনের নেতারাসহ সবার সাথে বৈঠক করেছি। আমাদের প্রত্যাশা, এবার দুর্গাপূজা সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।
ফেনী পুলিশ সুপার বলেন, নাশকতা ঠেকাতে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। দুর্গোৎসব ঘিরে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, পূজার পূর্বেই গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। মন্দিরগুলোতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব ও মন্দিরের জায়গা-সংক্রান্ত বিরোধ দুর্গাপূজার আগেই সমাধান করতে হবে, তা না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে নীলফামারী জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাচিত হলেন প্রীতম সাহা। তিনি কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গত রোববার জেলা প্রশাসন হলরুমে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান এ সম্মাননা সনদ প্রদান করেন।
বাল্যবিবাহ, মাদক, অবৈধ বালু উত্তোলন ও অসাধু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ বিশেষ অবদান রাখায় তিনি জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাচিত হয়। তিনি বিসিএস ৩৫তম ব্যাচের (প্রশাসন) ক্যাডার মেধাবী কর্মকর্তা। ২০২৫ সালের ০১ জুলাই তিনি কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র তিন মাসের মধ্যেই তিনি নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে উপজেলাবাসীর কল্যাণে কাজ করে তাদের মনে জায়গা অর্জন করেছেন।
জানাগেছে এর আগে তিনি যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে তিন বছর সঠিভাবে দায়িত্ব পালন করে জেলার শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার পান।
এরপর দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে দিনাজপুর জেলার শ্রেষ্ঠ এসিল্যান্ড নির্বাচিত হয়ে পুরস্কার পেয়েছেন।
তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে কৃষিতে স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, যোগদানের পর থেকেই উপজেলাবাসীর সহযোগিতা পেয়েছি। জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট,উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষের ঐকান্তিক সহযোগিতায় প্রতিটি কাজ সহজ হয়েছে। এজন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে উপজেলাকে কিভাবে রোল মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা যায় সেজন্য টিম গঠন করে কাজ করে যাচ্ছি। আগামী দিনেও যেন এরকম আরও সাফল্য অর্জন করতে পারি সেজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি প্রচারে দৌলতপুরে লিফলেট বিতরণ ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকেলে উপজেলার কলিয়া ইউনিয়নের বহড়া, বালিতা ও মুকন্দবাড়ি এলাকায় সাধারণ ভোটার ও মহিলাদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন উপজেলা বিএনপি নেতারা।
উঠান বৈঠকে বক্তারা বলেন, মানিকগঞ্জ-১ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এস.এ জিন্নাহ কবির দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে রাজপথে ছিলেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, আগামী নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পেয়ে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বক্তারা আরও বলেন, তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফায় মা-বোন, কৃষক-শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে জানান তারা। এসময় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফেরদৌস রহমান, ওলামা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাবিবুল্লাহ নোমানী, কলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম হোসেন নাসির, ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মুজিবুর রহমান, সহসভাপতি বিল্লাল মাতাব্বর প্রমুখ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে এবার ৪১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যার মধ্যে ভিপি পদে ২৩ জন, জিএস পদে ২১ জন ও এজিএস পদে ২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বাকিরা অন্যান্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সোমবার সকালে চাকসুর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চাকসু নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা তালিকায় এ তথ্য জানা যায়।
চাকসুর ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, চাকসু নির্বাচনে ভিপি, জিএস ও এজিএস ছাড়াও খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১১ জন, সহ-খেলাধুলা ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১২ জন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১৬ জন, সহ-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা পদে ১৬ জন, দফতর সম্পাদক পদে ১৮ জন, সহদপ্তর সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্রী কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক পদে ১২ জন, সহছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক পদে ১১ জন, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এছাড়া গবেষণা ও উদ্ভাবনবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৩ জন, সমাজসেবা ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক পদে ২০ জন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৭ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৭ জন, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৬ জন, যোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদক পদে ২০ জন, সহযোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৪ জন, আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়াবিষয়ক ম্পাদক পদে ১৯ জন এবং নির্বাহী সদস্য পদে ৮০ জনসহ মোট ৪১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
অন্যদিকে সইয়ের ভুল, তথ্যের অসংগতি থাকা ও অন্যান্য কারণে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা থেকে ১৯ জনকে বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে নির্বাচন কমিশনের কাছে সংশোধনের জন্য আপত্তি জানাতে পারবেন তারা।
চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন তথ্যের ভুলের জন্য ১৯ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। তবে তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে সংশোধনের জন্য আপত্তি জানাতে পারবেন। আগামী ২৫ তারিখ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
গত ২৮ আগস্ট ঘোষিত হয় চাকসু নির্বাচন তফসিল। সে অনুযায়ী গত ২১ সেপ্টেম্বও চাকসুর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। বহুল আকাঙ্খিত চাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১২ অক্টোবর। সকাল নয়টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।