মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
২৭ কার্তিক ১৪৩২

গজারিয়ায় মহাসড়কে ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক ১

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ৩১ মার্চ, ২০২৫ ০৯:৩০

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের ভিটিকান্দি এলাকায় এয়ারপোর্টগামী মাইক্রোবাসে ছিনতাইয়ের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক চিকিৎসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে সে। তার কাছ থেকে ছিনতাই করা একটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৪৭৯০ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আটককৃত ছিনতাইকারীর নাম বিল্লাল হোসেন ওরফে ফারদিন (২৩)। সে গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে।

গজারিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, রবিবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাত পৌণে তিনটার দিকে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য ফারদিনকে ধরতে বালুয়াকান্দি গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তার বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সে। তার কাছ থেকে ছিনতাই করা একটি মোবাইল ফোন এবং ছিনতায়ের নগদ ৪৭৯০টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

খবর নিয়ে জানা যায়,শুক্রবার ( ২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের ভিটিকান্দি এলাকায় দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে ঢাকা এয়ারপোর্টগামী একটি মাইক্রোবাস থেকে ৩টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ২৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় তিন ছিনতাইকারী। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসটির চালক রাজু বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, 'এ ঘটনায় ছিনতাইকারী চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছি আমরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে আমাদেরকে জানিয়েছে তারা চারজন ছিলো। একজন সিএনজি নিয়ে অপেক্ষা করছিল আর তিনজন সরাসরি ছিনতাইয়ে অংশগ্রহণ করে। বাকি আসামি আটকে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


নেত্রকোনায় নিরাপদ খাদ্য ও ভেজালবিরোধী প্রতিরোধ অভিযান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এ বি চৌধুরী নাদিম, নেত্রকোনা

নেত্রকোনায় নিরাপদ খাদ্য বিরোধী কার্যক্রম প্রতিরোধে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে শহরের পৌর জয়ের বাজার ও মেছুয়া বাজারে এই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান। অভিযানে মনিটরিং সেলের সদস্যরা বিভিন্ন খাদ্য দোকান, মসলার মিল, মিষ্টির দোকানসহ খাদ্য উৎপাদন ও বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে পরিদর্শন করেন। এ সময় ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মধ্যে নিরাপদ খাদ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রচারপত্র ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। অভিযানের সময় কোর্টের সামনে অবস্থিত ‘জয় গুরু দই ঘরসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে খাদ্যপণ্যের মান যাচাইয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিছু পণ্যে অনুমোদিত রঙ, লেবেলবিহীন মোড়ক এবং মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য শনাক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্মকর্তারা। জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, খাদ্য ভেজালে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি সকল স্তরের মানুষকে ভেজাল খাদ্য বর্জন ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আহ্বান জানান। অভিযানে দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক এ বি চৌধুরী নাদিম, কবি ও সাংবাদিক সৈয়দ সময় উপস্থিত থেকে কার্যক্রমটি পর্যবেক্ষণ করেন। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের এই নিয়মিত অভিযানকে স্থানীয়রা স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, এমন উদ্যোগ বাজারে ভেজাল ও নিম্নমানের খাদ্যপণ্যের প্রবণতা কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।


নওগাঁয় জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় ২ কি.মি. সড়কের কাজ বন্ধ

আঞ্চলিক মহাসড়কে বেড়েছে জনদুর্ভোগ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সবুজ হোসেন, নওগাঁ

জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় নওগাঁ-বদলগাছী আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ২ কিলোমিটার কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে সড়কের পীচ ও ইটের খোয়া উঠে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। এতে বাড়ছে দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগ। আগামী এক বছরেও রাস্তার কাজ হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে সংশ্লিষ্টরা। তবে দ্রুত সমস্যা সমাধনে করে সড়ক উন্নয়নের কাজ করার দাবি স্থানীয়দের।

নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যমতে, নওগাঁ সড়ক বিভাগাধীন ৩টি আঞ্চলিক ও ৩টি জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্থতায় উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারিতে ৭ কিলোমিটার সড়কের কাজ শুরু হয়। কাজের মেয়াদ ছিল চলতি বছরের ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। যেখানে ব্যায় ধরা হয়েছে ৫৮ কোটি ৩৮ লাখ ৫১ হাজার টাকা। কাজটি করছেন ‘জামিল ইকবাল- মাহফুজ খান লিমিটেড জয়েন ভেঞ্চার’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

নওগাঁ-বদলগাছী আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজের সময় শেষ হয়েছে আরো প্রায় দুই মাস আগে। যেখানে ৭ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কের কাজ এখনো বাঁকী। সদর উপজেলার ঠ্যাংভাঙ্গা মোড়, পাহাড়পুর বাজার ও র্কীত্তিপুর বাজার সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ২ কিলোমিটার। এ তিনটি জায়গায় সড়কের পিচ ও ইটের খোয়া উঠে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় ভাঙা সড়কে ছোট-বড় যানবাহন চলছে হেলেদুলে। এতে মাঝেমধ্যে ঘটছে দূর্ঘটনা। বর্ষায় খান্দাখন্দে বৃষ্টির জমে থাকা পানি, আর শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালি। এতে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। ভাঙা সড়কে চলাচলে প্রায় ভ্যান ও বাসের যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। এতে আয়ের একটি অংশ চলে যাচ্ছে যন্ত্রাংশ মেরামতে।

পালশা গ্রামের ভ্যানচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, সড়কে খানাখন্দের কারণে নিয়মিত ভ্যানের যন্ত্রাংশ বিশেষ করে বিয়ারিং নষ্ট এবং টায়ার কেটে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। এতে সপ্তাহে অন্তত ২০০-২৫০ টাকা ভ্যান মেরামতে খরচ হয়। যেখানে আয়ের একটি অংশ চলে যাচ্ছে।

মাহাবুব আলম নামে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন- মোটরসাইকেলের সামনে মেয়েকে বসিয়ে নিয়ে নওগাঁ শহরের দিকে আসছিলাম। কীর্ত্তিপুর বাজারে মোটরসাইকেলের সামনের চাকা গর্তে নেমে যাওয়ায় উল্টে পড়ে যায়। এতে মেয়ের পায়ে বাম পায়ের হাঁটুতে ব্যাথা হয়। আর আমার ডান পায়ের হাটু জখম হয়। বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ১০০ টাকার মতো খরচ হয়।

কীর্ত্তীপুর বাজারে সড়কের পাশে দোকানী হাসান আলী বলেন, সড়কের এমন বেহাল দশা যে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। বর্ষার সময় সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে পথচারীরা বুঝতে না পারায় যানবাহন নামিয়ে দিয়ে উল্টে পড়ে যায়। আবার শুষ্ক মৌসুমে প্রচুর ধুলাবালি হয়। এতে শ্বাসকষ্ট ও সর্দি-কাশিতে ভুগতে হচ্ছে। আমরা দ্রুত এ সড়ক সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানাই।

প্রজেক্ট ম্যানেজার রিফাত হাসান বলেন- জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় সড়ক উন্নয়ন কাজ যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি সড়ক সংস্কার ও পানি ছিটানোয় বাড়তি টাকা খরচ হচ্ছে। এতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকসান হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।

নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদুল হক বলেন, জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বন্ধ আছে সড়ক উন্নয়ন কাজ। জমি অধিগ্রহনের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন বিষয়টি দেখছেন। তবে অধিগ্রহণ কাজ শেষ হলেই সড়কের কাজ শুরু হবে।

নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহেল রানা বলেন, জমি অধিগ্রহণে ঠ্যাংভাঙ্গা মোড়ে ৮৫০ টি আবেদনের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৫০টির শুনানি হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪টি চেক বিতরণ করা হয়েছে। আরো ১২টি চেক প্রকিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া পাহাড়পুর বাজার ও কীর্ত্তীপুর বাজারে জমি অধিগ্রহণের আবেদন নেয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির কাজ করা হচ্ছে। তবে আগামী এক বছরের কাজ শেষ হতে পারে বলে জানান তিনি।


রূপগঞ্জে খেজুর গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত গাছিরা

শীত আসছে, চলছে রস সংগ্রহের প্রস্তুতি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

সকাল-সন্ধ্যার হালকা ঠান্ডা হাওয়ায় শীতের আগমনী বার্তা। শীত এখনো জেঁকে না বসলেও খেজুর রস সংগ্রহ করতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন গাছিরা। এখন তারা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন খেজুর গাছ পরিষ্কার ও ছাঁটাইয়ের কাজে। শীতের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে খেজুর রসের।

গাছি মিজানুর বলেন, ‘লাভ প্রায় নেই বললেই চলে। আগে ছুরি পাওয়া যেত ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, এখন দাম হাজার থেকে পনেরশ টাকা। হাঁড়ি ৩০/৪০ টাকায় কিনতাম। এখন কিনতে হয় ১০০/১৫০ টাকায়।

উপজেলার বরুনা, হরিনা, বাঘবেড়, টিনর, কেড়াব, মাসাব, কুশাব, কান্দাপাড়া, মুশরী, টান মুশরী, বিরাব, দক্ষিণবাঘ এলাকায় খেজুরের রস আহরণ শুরু করেছেন গাছিরা এবং তারা নিয়মিতভাবে গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন রাস্তার দুপাশে সারিবদ্ধ খেজুরগাছ। গাছিরা প্রথমে গাছের মাথা থেকে ডালপালা কেটে পরিষ্কার করেন। পরে নির্দিষ্ট স্থান হালকা করে কেটে পরিষ্কার করেন তারা। এর কিছুদিন বিরতির পর আবার কয়েক দফায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছেঁটে ফেলা হয় গাছের ছাল। গাছ কাটার এ কাজে গাছিরা ছ্যান (স্থানীয় ভাষায়) নামে ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করেন। গাছ কাটার সময় খেজুর গাছের সঙ্গে নিজেদের শক্তভাবে দড়ি দিয়ে বেঁধে নেন তারা। তাদের সঙ্গে থাকে বাঁশের তৈরি পাত্র। যার ভেতর থাকে গাছ পরিষ্কার করার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি। গাছ তৈরির প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর থেকেই মূলত রস নামানোর পর্বটা শুরু হয়।

এরপর গাছের মাথার নির্দিষ্ট স্থানে বাঁশের বানানো দুটি চোখা খুঁটি পোতা হয়। সঙ্গে দড়ি বা সুতা বেঁধে মাটির পাত্র ঝুলে দেয়া হয়। পাত্রের ভেতর রস পড়ার জন্য বাঁশের তৈরি নালার মতো ভিন্ন একটি খুঁটি পুঁতে দেওয়া হয় সেই গাছের সঙ্গে। এভাবেই গাছির নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরে খেজুর রস।

উপজেলার গাছি রফিক, রশিদ, মাসুদ জানান, শীতে গ্রামে গ্রামে চলে খেজুর রসের পায়েস, পিঠা-পুলি তৈরির ধুম। মেয়ে জামাই ও স্বজনদের নিমন্ত্রণ করে বাড়ি বাড়ি চলে শীতের বাহারি পিঠা উৎসব।

গাছিরা জানান, একটি সময় এখানে বিপুল সংখ্যক খেজুর গাছ ছিল। মানুষ সিংহভাগ খেজুর গাছ কেটে ফেলেছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় প্রায় ২৪ হাজারের মতো খেজুর গাছ রয়েছে। তবে কালের আবর্তে খেজুর গাছের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা জানান, সরকারি প্রকল্পের আওতায় গাছিদের মাঝে হাঁড়ি-ছুরি বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি তাদের আধুনিক চুলা, গাছে ওঠার সরঞ্জাম ও উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে পারি, তাহলে ওই ঐতিহ্য আরও সমৃদ্ধ হবে।’


ঘূর্ণিঝড় গোর্কির ভয়াবহ স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছেন স্বজনহারা মানুষরা

*৫৫ বছরেও হয়নি স্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ *সত্তরের ১২ নভেম্বরে প্রাণ হারায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাইফুল ইসলাম, চরফ্যাশন (ভোলা)

আজ ভয়াল ১২ নভেম্বর। ভোলাসহ উপকূলবাসীর বিভীষিকাময় এক দুঃস্বপ্নের দিন। ১৯৭০ সালের এই দিনে মহা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ভোলাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে অকল্পনীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। উপকূলীয় এলাকাগুলো মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়। সে সময় দেড় লক্ষাধিক মানুষ প্রলয়কারী এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারায়। একই সাথে নিখোঁজ হয় সহস্রাধিক মানুষও।

সেই ভয়াবহ স্মৃতি নিয়ে আজো বেঁচে আছেন অনেকে। ৫৫ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই বিভীষিকাময় দিনটি মনে পড়তেই আঁতকে উঠছেন স্বজনহারা মানুষরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ১৯৭০ সালের ১১ নভেম্বর বুধবার সকাল থেকেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে থাকে। পরদিন ১২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার আবহাওয়া আরও খারাপ হতে শুরু করে। মধ্যরাত থেকেই ফুঁসে উঠে সমুদ্র। তীব্র বেগে উপকূলীয় এলাকার দিকে ধেয়ে আসে পর্বতসম উঁচু ঢেউ। সেই ঢেউ আছড়ে পড়ে লোকালয়ের ওপর। আর মুহূর্তেই ভাসিয়ে নিয়ে যায় মানুষ, গবাদিপশু, -ঘরবাড়ি, খেতের সোনালি ফসলসহ বহু কিছু। পথে-প্রান্তরে খোলা আকাশের নিচে পড়েছিল কেবল লাশ আর লাশ। মৃত্যুপুরীতে রূপ নেয় ভোলাসহ গোটা অঞ্চল। এই বন্যাতে ভোলাতেই দেড় লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। উত্তাল মেঘনা নদীসহ খাল-বিলগুলো রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের স্তূপে। নদীতে এত মরদেহ ছিল যে, প্রশাসন মাছ ধরায় পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

ভয়াবহ দিনটির বর্ণনা দিয়ে নীলকমল ইউনিনের বাসিন্দা মো. রতন বলেন, ‘তখন ছিল পবিত্র রমজান মাস। এবং প্রচুর শীত ছিল। বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। মধ্যরাতে হঠাৎ মানুষের আত্মচিৎকার শোনে সবাই জেগে উঠি। তখন দক্ষিণ থেকে পানি আসতেছে এমন শব্দ শোনতে পাই। বাইরে প্রচুর বাতাস। মুহূর্তেই জোয়ারের পানিতে মানুষের বসতঘর ডুবে যায়। তখন কেউ চনের চালায়, কেউ টিনের চালায়, কেউ গাছের মগডালে, কেউ হাতের কাছে যা পেয়েছে তাই ধরে বেঁচে থাকার শেষ চেষ্টা করেছে। এতেও শেষ রক্ষা হয়নি অনেকের।’

দিনটির বর্ণনা দিয়ে বাসেদ সেকান্দার বলেন, ‘১২ তারিখে রাতে প্রচণ্ডভাবে আঘাত হানে। তখন কোনো ধরনের সিগন্যাল বা আবহাওয়ার কোনো খবর, কোনো কিছুই ছিল না। সকালে দেখলাম সদর রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় এক মাজা পরিমাণ পানি, সবকিছু ডুবে গেছে। সব দিকে ঘুরে দেখলাম, সকল ঘরবাড়ি, গাছ-পালা একদম ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। সব জায়গায় লাশ আর লাশ। মানুষের গবাদিপশুসহ সকল কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। যারা বেঁচে ছিল তাদেরও ছিল না বেঁচে থাকার মতো কোনো সম্বল। ছিল না কোনো খাবার বা পরনে কোনো পোশাক। সেই দিনের সেই ভয়াবহ স্মৃতির কথা মনে পড়লে এখনো প্রাণ আঁতকে ওঠে।’

বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা যায়, পৃথিবীর সর্বকালের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাণঘাতী ঝড়ের তালিকা করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও)। তালিকার প্রথমেই পৃথিবীর প্রাণঘাতী ঝড় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের উপকূলে সংঘঠিত ঝড় ‘সাইক্লোন ভোলা’। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ঝড়টি বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলীয় কয়েক জেলায় আঘাত হেনে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।

সাইক্লোন ভোলার বাতাসের গতি ও জলোচ্ছ্বাসের তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। ১৯৬০ থেকে ২০১৭ সালের মে পর্যন্ত বাংলাদেশের সীমানায় আঘাত হানা ঝড়ের সেই তালিকায় সাইক্লোন ভোলার বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২২৪ কিলোমিটার এবং এর প্রভাবে ১০-৩৩ ফুট জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই তালিকা থেকে আরও জানা যায়, ঝড় আঘাত করেছিল তখনকার পূর্ব পাকিস্তান বর্তমান বাংলাদেশের ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা এবং চট্টগ্রাম জেলায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রাণহানি হয় ভোলা জেলায়।

ভোলার ধনিয়া গ্রামের মো. আলমগীর গোলদার বলেন, ‘ঝড়ের পরের দিন দেখলাম নৌকাগুলো সব গাছের মাথায় আটকে আছে। গাছে গাছে মানুষের লাশ এবং সাপ একত্রে পেঁচিয়ে আছে। কত মানুষ যে মারা গেছে সেই হিসেব করার মতো কোনো অবস্থা ছিল না। নদীতে কচুরিপানার মতো মানুষের লাশ ভাসতে ছিল। মানুষকে গণকবর দেওয়া হয়েছে। এক কবরে কতজন করে দেওয়া হয়েছে সেই হিসাব করা সম্ভব হয়নি। সেই কথা মনে উঠলে এখনো গা শিউরে ওঠে। এখনো বাতাস-বৃষ্টি দেখলে বা কোনো সিগন্যালের কথা শোনলে ভয়ে ঘর থেকে বের হয়ে বাইরে বসে থাকি।’

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি বলেন, ‘তখনকার সময়ে মানুষের কাছে আবহাওয়ার খবর পৌঁছানোর জন্য বর্তমানের মতো কোনো প্রযুক্তি ছিল না। আধুনিক যুগে কোনো দুর্যোগ সৃষ্টি হলে সাধারণ মানুষ তার আগাম খবর পেয়ে যায়। এছাড়া জরুরি দুর্যোগ মুহূর্তে উপকূলের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার জন্য এই উপজেলাতে পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ মৌসুমে উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে থাকে।


মাগুরায় ভেজাল খাদ্য বিক্রি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জরিমানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মাগুরা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে মহম্মদপুর উপজেলার যশোবন্তপুর এলাকায় মঙ্গলবার অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের স্কুল ও মাদ্রাসার আশেপাশের দোকানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছে নিম্নমানের ও অননুমোদিত খাবার বিক্রি করার জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান তদারকি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে বড়রিয়া এলাকার ‘মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স’-এর গাড়ি তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ নিম্নমানের ও নকল শিশুখাদ্য জব্দ করা হয়। শিশুদের জন্য ক্ষতিকর এসব খাদ্য সরবরাহের অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক রফিকুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৪১ ধারা অনুযায়ী ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া বিনোদপুর এলাকার ‘মেসার্স রাজ ট্রেডার্স’-এর গাড়িতেও একই ধরনের অননুমোদিত খাদ্য জব্দ করা হয় এবং প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অন্যদিকে মেসার্স জাফর স্টোর নামের একটি দোকানকে নিম্নমানের শিশুখাদ্য বিক্রয়ের অপরাধে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে অন্যান্য দোকানেও তদারকি চালানো হয় এবং বিক্রেতাদের ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয়, মূল্যতালিকা প্রদর্শন ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।

সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মাগুরা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন এবং মাগুরা জেলা পুলিশের একটি টিম।


দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে ৯ মাস ধরে বন্ধ সড়কের সংস্কারকাজ

*মূলত ম্যাপ অনুযায়ী সড়ক সংস্কারকাজ করতে চায় এলজিইডি *সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগে পথচারী
দেওয়ানগঞ্জের কাঠারবিল-সানন্দবাড়ি সড়কের লংকারচর সকাল বাজার অংশের সড়ক সংস্কারকাজ বন্ধ থাকায় বেহাল দশা।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নজরুল ইসলাম, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর)

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে দুই পক্ষের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ৯ মাস ধরে বন্ধ কাঠারবিল-সানন্দবাড়ি সড়কের লংকারচর সকাল বাজার অংশের ৭০ মিটার সড়ক সংস্কারকাজ। সড়কটি কাঠারবিল থেকে সানন্দবাড়ি হয়ে রাজীবপুর রৌমারী যাতায়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এ সড়কে যাতায়াত করে শত শত যানবাহন। সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারী, যাত্রী ও যানবাহনচালক এবং বাজারে আসা লোকজন। তারা দ্রুত সড়কটির ওই স্থানে সংস্কার চায়।

জানা গেছে, কাঠারবিল-সানন্দবাড়ি সড়কের সংস্কার কাজের দায়িত্ব পায় ‘মেসার্স দূর্গা এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন সড়কটির সংস্কারকাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে। সড়কটির সকাল বাজারের অংশে কিছুটা বাঁকা রয়েছে। যা এলজিইডির ম্যাপে দেখানো হয়েছে। সড়কটির বাঁকা অংশের পাশে কিছুটা জমি নিয়ে স্থানীয় হাসান মাহমুদ গ্রুপ ও আমানত গ্রুপের মধ্যে বিবাদ চলে আসছে। সে কারণে সড়কটির পূর্বের ম্যাপ অনুযায়ী ওই স্থানে কাজ করতে গেলে হাসান মাহমুদের লোকজন বাধা দেয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় সড়কটির সকাল বাজারের ওই অংশের সংস্কারকাজ।

হাসান মাহমুদ গ্রুপের দাবি, সড়কটি পূর্বে থেকে যেদিক দিয়ে বয়ে গেছে সেই গতি পথ পাল্টিয়ে সোজা করতে। যা এলজিইডির নকশায় নেই এবং নকশার বিকল্প গতিপথ খোঁজা সম্পূর্ণ বেআইনি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমানত গ্রুপ। আমানত গ্রুপের দাবি, সড়ক সরকারি। পূর্বে যেদিক দিয়ে সড়কটি ছিল এলজিইডি নকশা অনুযায়ী সেদিক দিয়ে সড়কটি যাবে এবং মেরামত হবে। এতে স্থানীয় কোনো পক্ষ বাধা দিলে তা সম্পূর্ণ বেআইনি হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল বাজারের আগের কিছুটা বাঁকানো সড়কের ওপর ঘর তোলা হয়েছে। পরিবর্তে জোরপূর্বক অন্যের জমি দিয়ে করা হয়েছে সড়ক। সে সড়কে চলাচল করছে মানুষ ও যানবাহন। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সড়কটি কাদায় ভরে আছে। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে প্রায়। তাতে ভোগান্তি নিয়ে পথচারী ও যানবাহন চলাচল করছে। সড়কটি বাজারের ভেতরে হওয়ায় সকাল-বিকাল লোক-সমাগম ঘটে। কাদাজলে একাকার সড়কে ভোগান্তি বেড়েছে তাদের।

স্থানীয় হায়দার আলী বলেন, ‘লংকারচর সকাল বাজারের জমির মালিকানা নিয়ে হাসান গ্রুপ ও আমানত গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। হাসান মাহমুদ গ্রুপের দাবি সড়কটির গতিপথ পাল্টিয়ে ব্যক্তি মালিকানা জমির ওপর দিয়ে নেওয়া। আমানত গ্রুপের দাবি সড়কটি পূর্বের ম্যাপ অনুযায়ী রেখে সংস্কার করা। হঠাৎ ম্যাপ পালিয়ে সড়কটি সোজা করা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে মনে করছেন আমানত গ্রুপ। এটি বিধি লংঘনের মতো অপরাধও।’

লংকারচরের হযরত আলীর ভাষ্য, সকাল বাজারের ওই অংশের সংস্কারকাজ নিয়ে ইতোমধ্যে দুগ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে কয়েকবার। মীমাংসার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে কয়েকবার শালিস-বৈঠক হয়েছে। এমনকি প্রশাসনের মধ্যস্থতায়ও বিরোধের মীমাংসা হয়নি। বিরোধের বিষয়টি দ্রুত মীমাংসা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা রয়েছে বলে তিনি মনে করছেন। অন্যদিকে সড়কটির ওই স্থান চলাচলের খুব অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।

আমানত আলী বলেন, ‘সকাল বাজারের বাঁকানো রাস্তাটি বহু পুরোনো। হাসান মাহমুদের পক্ষ পেশিশক্তি দেখিয়ে ওই রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আগের রাস্তায় ঘর তুলে সংস্কারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। তারা নতুন করে যে সোজা রাস্তা করতে বলছে, সেটা কবরস্থানের ওপর দিয়ে যাবে। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে আদালত আগের রাস্তায় অবৈধ স্থাপনা অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন। এলাকাবাসীদের দাবি, দ্রুত সড়কটি আগের স্থানে হোক।’

হাসান মাহমুদ বলেন, ‘আগের বাঁকানো রাস্তাটি সোজা করা হলে কয়েকটি পরিবারের দ্বন্দ্ব নিরসন হয়। দুই সীমানার মাঝ বরাবর রাস্তা সোজা করলে আর কোনো বিরোধ থাকবে না। আমরা চাই সড়কটির গতিপথ সোজা করে সংস্কার করা হোক।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো. মঞ্জু হোসেন জানান, ‘এলজিইডির নির্দেশেই রাস্তার কাজটি শুরু করা হয়েছিল। সৃষ্ট দ্বন্দ্বে দীর্ঘদিন ধরে সড়কের সংস্কারকাজ স্থগিত থাকায় আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।

এলজিইডির দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘দুই পক্ষ দুই রকম দাবি করছে। তাদের দাবি মেনে কাজ করা সম্ভব নয়। মূলত ম্যাপ অনুযায়ী সড়ক সংস্কারকাজ করতে হবে। সে অনুযায়ী বাজেট করা হয়েছে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চলছে।’


জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চৌদ্দগ্রাম শাখার পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চৌদ্দগ্রাম শাখার ২০২৫–২০২৭ মেয়াদের কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে চৌদ্দগ্রামের ডলি রিসোর্টে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম তরুন।
সংস্থার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা শাখার সভাপতি ও দৈনিক কালবেলা পত্রিকার চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি আবু বক্কর সুজন সভায় সভাপতিত্ব করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কুমিল্লা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা মজুমদার।
সভাটি সঞ্চালনা করেন চৌদ্দগ্রাম শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন শরীফ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মাস্টার ইউসুফ মজুমদার, সহ-সভাপতি কাজী মো. শহীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ–এর চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি সানোয়ার হোসেন, এবং প্রচার সম্পাদক কামরুল হাসান পিংকন।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন—
সহ-সভাপতি আক্তারুজ্জামান মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক হুসাইন মামুন, অর্থ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম সুমন, দপ্তর সম্পাদক নাঈম ইকবাল, কার্যনির্বাহী সদস্য মাস্টার আবদুল কাদের, মাস্টার ফরিদ আহমেদ, নুরুল আলম আবীর,আবু বক্কর সিদ্দিক শিপু।


ফায়ার সার্ভিসের উদ্যোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ ১১-১১-২০২৫ খ্রিঃ বেলা ১১-০০ ঘটিকা হতে বেলা ১৫-০০ ঘটিকা পর্যন্ত এসকে ট্রেডার্স, ৭৪ পুঁথিঘর, শ্যামবাজার, সূত্রাপুর, ঢাকায় বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল গোডাউনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উদ্যোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এসকে ট্রেডার্সের কর্মকর্তা-কর্মচারী নয়ন দেবনাথ, মিজানুর রহমান ও দীপংকর রায়কে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১০০০ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারী সুশীল পাল, মনোরঞ্জন শিব ও মোঃ হাসেমকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

আবাসিক এলাকায় নীতিমালা না মেনে কেমিক্যাল গুদামজাত করায়, যথাযথ অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এবং বিভিন্ন সরকারি নির্দেশনা পালন না করায় উক্ত শাস্তি প্রদান করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন শরীফ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকা। এ সময় কাজী নজমুজ্জামান, সহকারী পরিচালক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ঢাকা; জনাব ফয়সালুর রহমান, জোন কমান্ডার, ঢাকা-৫; জনাব মোঃ এনামুল হক, জোন কমান্ডার, ঢাকা-১, ফায়ার সার্ভিস ঢাকার ৪ জন ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ঢাকার সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান জানান, ‘সচেতনতা বৃদ্ধির নানা কার্যক্রম পরিচালনা করার পাশাপাশি অগ্নিনিরাপত্তা জোরদার করার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও অগ্নি নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।’ তিনি মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে আবাসিক এলাকা থেকে অবৈধ কেমিক্যাল গুদাম নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানান। খবর: ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল।


ডিএমপির ৫ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার বদলি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পাঁচ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারকে (এডিসি) বদলি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলির আদেশ জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড অ্যানালাইসিস বিভাগের মো. নাজিম উদ্দিন আল আজাদকে লালবাগ বিভাগে, মোহাম্মদ আবু তাহেরকে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগে, এস্টেট বিভাগের মো. শওকত আলীকে রমনা বিভাগে, ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের মো. জাহিদ হোসেনকে মতিঝিল বিভাগে এবং প্রটেকশন বিভাগের কে এইচ এম এরশাদকে উত্তরা বিভাগে বদলি করা হয়েছে।


রাজধানীতে ইনচার্জ ছাড়া অন্য পুলিশের মোবাইল ব্যবহার না করার নির্দেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগরে দায়িত্ব পালনের সময় ইনচার্জ ছাড়া অন্য পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ ডিএমপি। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম সফলভাবে প্রতিরোধ করতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সম্প্রতি উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে ঢাকা মহানগর পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালনের সময়ে মোবাইল ব্যবহার করার ফলে তাদের সতর্ক নজরদারি ও দায়িত্ব পালন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে পুলিশ দৃশ্যমান থাকা সত্ত্বেও নিজেদের ও জনসাধারণের নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হচ্ছে না।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম সফলভাবে প্রতিরোধ করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের দায়িত্ব পালনরত সদস্যদের মধ্যে ইনচার্জ ছাড়া অন্যদের মুঠোফোন ব্যবহার না করার নির্দেশ প্রদান করা হলো। কোনো পুলিশ সদস্য এ নির্দেশ অমান্য করলে তা শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ বলে বিবেচিত হবে। তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


শীত আসছে, চলছে রস সগ্রহের প্রস্তুতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ

সকাল-সন্ধ্যার হালকা ঠান্ডা হাওয়ায় শীতের আগমনী বার্তা। শীত এখনো জেঁকে না বসলেও খেজুর রস সংগ্রহ করতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন গাছিরা। এখন তারা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন খেজুর গাছ পরিষ্কার ও ছাঁটাইয়ের কাজে। শীতের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে খেজুর রসের।
গাছি মিজানুর বলেন, 'লাভ প্রায় নেই বললেই চলে। আগে ছুরি পাওয়া যেত ৩০০/৪০০ টাকায়, এখন দাম হাজার/পনেরশ টাকা। হাঁড়ি ৩০/৪০ টাকায় কিনতাম। এখন কিনতে হয় ১০০/১৫০ টাকায়।
উপজেলার বরুনা, হরিনা, বাঘবেড়, টিনর, কেড়াব, মাসাব, কুশাব, কান্দাপাড়া, মুশরী, টান মুশরী, বিরাব, দক্ষিণবাঘ এলাকায় খেজুরের রস আহরণ শুরু করেছেন গাছিরা এবং তারা নিয়মিতভাবে গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন রাস্তার দু’পাশে সারিবদ্ধ খেজুরগাছ। গাছিরা প্রথমে গাছের মাথা থেকে ডালপালা কেটে পরিষ্কার করেন। পরে নির্দিষ্ট স্থান হালকা করে কেটে পরিষ্কার করেন তারা। এর কিছুদিন বিরতির পর আবার কয়েক দফায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছেঁটে ফেলা হয় গাছের ছাল। গাছ কাটার এ কাজে গাছিরা ছ্যান (স্থানীয় ভাষায়) নামে ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করেন। গাছ কাটার সময় খেজুর গাছের সঙ্গে নিজেদের শক্তভাবে দড়ি দিয়ে বেঁধে নেন তারা। তাদের সঙ্গে থাকে বাঁশের তৈরি পাত্র। যার ভেতর থাকে গাছ পরিষ্কার করার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি। গাছ তৈরির প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর থেকেই মূলত রস নামানোর পর্বটা শুরু হয়।
এরপর গাছের মাথার নির্দিষ্ট স্থানে বাঁশের বানানো দু’টি চোখা খুঁটি পোতা হয়। সঙ্গে দড়ি বা সুতা বেঁধে মাটির পাত্র ঝুলে দেয়া হয়। পাত্রের ভেতর রস পড়ার জন্য বাঁশের তৈরি নালার মতো ভিন্ন একটি খুঁটি পুঁতে দেওয়া হয় সেই গাছের সঙ্গে। এভাবেই গাছির নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরে খেজুর রস।
উপজেলার গাছি রফিক, রশিদ, মাসুদ জানান, শীতে গ্রামে গ্রামে চলে খেজুর রসের পায়েস, পিঠা-পুলি তৈরির ধুম। মেয়ে জামাই ও স্বজনদের নিমন্ত্রণ করে বাড়ি বাড়ি চলে শীতের বাহারি পিঠা উৎসব।
গাছিরা জানান, একটি সময় এখানে বিপুল সংখ্যক খেজুর গাছ ছিল। মানুষ সিংহভাগ খেজুর গাছ কেটে ফেলেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় প্রায় ২৪ হাজারের মতো খেজুর গাছ রয়েছে। তবে কালের আবর্তে খেজুর গাছের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা জানান, সরকারি প্রকল্পের আওতায় গাছিদের মাঝে হাঁড়ি-ছুরি বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমরা যদি তাদের আধুনিক চুলা, গাছে ওঠার সরঞ্জাম ও উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে পারি, তাহলে ওই ঐতিহ্য আরও সমৃদ্ধ হবে।'


সড়কে অদক্ষ ড্রাইভার, লাইসেন্স পেতে ভোগান্তি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খোরশেদ আলম, নোয়াখালী

সোনাইমুড়ীর বাজারে সিএনজি স্ট্যান্ডে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে চালক সাইফুল ইসলাম। তার বাড়ি এই উপজেলার কালুয়াই গ্রামে। তখন বেলা বারোটা বাজে। সে যাত্রী নিয়ে সোনাইমুড়ী থেকে চৌমুহনী যাবে। তার ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। গাড়ীর ফিটনেসসহ অন্যান্য কাগজপত্রও নেই। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। পরিবারের ভরণ পোষণ চালিয়ে আর তেমন টাকা থাকে না। প্রতিদিনই গাড়ি আটক করে ট্রাফিক পুলিশ ডাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটলেস না থাকায় হয়রানি করে। নোয়াখালী বিআরটিএ'র অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা সরকারি ফি'র চেয়ে অতিরিক্ত ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করায় ড্রাইভিং লাইসেন্স,গাড়ীর ফিটনেস কাগজ করতে পারছে না নাইসেন্স প্রত্যাসীরা। এমন অভিযোগ তুলে ধরেন এই সিএনজি চালক প্রতিবেদকের কাছে।

সোনাইমুড়ী উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের সিএনজির চালক লিটন একইভাবে বলেন, সে অতি কষ্টে উপার্জিত অর্থ দিয়ে একটি সিএনজি ক্রয় করে। ওই সিএনজি চালিয়ে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। তার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন এবং হালনাগাদ ফিটনেস সার্টিফিকেট, রুট পারমিট ও ট্যাক্স টোকেন নেই।শুধু গাড়ির কাগজপত্র নয় তার ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই। নোয়াখালী বিআরটিএ অফিসে গেলে সরকারি ফির চেয়ে অতিরিক্ত দুই গুণ টাকা দাবি করায় লাইসেন্স ও গাড়ীর কাগজপত্র করতে পারেনি।

জানা যায়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) নোয়াখালী সার্কেলে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ভোগান্তির পোহাতে হয়। একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে চার থেকে পাঁচবার ধরণা দিতে হচ্ছে বিআরটিএ অফিসে। চাহিদা মতো ঘুষ না দিলে কিংবা দালাল ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে পদে পদে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে লাইসেন্স প্রত্যাশীদের। লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড (মাঠ) টেস্ট পরীক্ষায় পাস করার পর নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য সরাসরি ছবি তোলা ও আঙুলের ছাপ দেওয়ার সিরিয়াল পেতেও দিতে হচ্ছে উৎকোচ।

বিআরটিএ নোয়াখালী সার্কেলে দালাল চক্রের সদস্যের মাধ্যমে করাতে হয় ড্রাইভিং লাইসেন্স। সরকার নির্ধারিত পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ১৬৭৯ টাকা এবং রেফারেন্স বাবদ ৩৪৫ টাকা মোট ২০২৪ টাকা ও অপেশাদারদের ক্ষেত্রে ২৫৪২ এবং রেফারেন্স ৫১৮ টাকা মোট ৩০৬০ টাকা ব্যাংকে জমা দেয়ার পরে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগেই দিতে হচ্ছে ২ হাজার টাকা। আবার অনেকের কাছ থেকে এর থেকে বেশিও নেয়া হয়। ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফাইল বাবদ দিতে হয় ৫০০ টাকা, অফিস সহকারীকে দিতে হয় ৩০০ টাকা, ছবি তুলতে দিতে হয় ১০০ টাকা পরিশেষে লাইসেন্স নিয়ে আসার সময় চা-পান খেতে দিতে ১০০ টাকা।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী, বেগমগঞ্জ, চাটখিলসহ ৯ টি উপজেলায় প্রায় ২৫ হাজার সিএনজির কাগজপত্র নেই। নসিমন- করিমন, ট্রাক্টর, টেম্পু, পিকআপ, নির্মাণ সামগ্রী বহনকারী বড় ট্রাক্টর রয়েছে প্রায় ১০ হাজার। আন্ত: জেলা বাস ও ট্রাকের কাগজপত্র থাকলেও অন্যান্য গাড়ীর নোয়াখালী জেলায় কাগজপত্র নেই। প্রতিদিন ৯ টি থানায় ১০/১২ টি সিএনজি লাইনম্যানরা আটক করে থানায় দেয়। এই গাড়িগুলো থানার বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। বিনিময়ে চালকদের কোন পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। ফলে থানা পুলিশের সামনে অনুমোদনহীন গাড়িগুলো চলাচল করলেও গাড়ীগুলো আটক করছেনা পুলিশ।

জেলার বিভিন্ন গাড়ীর শো-রুমের সাথে বিআরটিএ কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যোগসাজশে ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং গাড়ীর লাইসেন্স করা হচ্ছে মোটা অংকের টাকা দিয়ে। এই টাকা না দিতে পেরে অনেকেই ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস বিহীন গাড়ী রাস্তায় চলাচলের কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ঝুঁকি।

নোয়াখালী বিআরটিএ'র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) উথোয়াইনু চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে মুঠোফোনে বার বার কল দিয়ে চেস্টা করেও তাকে পাওয়া নি।


ময়মনসিংহে বাসে আগুন, দগ্ধ হয়ে চালকের মৃত্যু 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় আলম এশিয়া পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে দগ্ধ হয়ে চালক জুলহাস মিয়ার (৩৫) মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার রাত সোয়া ৩টার দিকে উপজেলার ভালুকজান এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত জুলহাস উদ্দিন উপজেলার কৈয়ারচালা গ্রামের বাসিন্দা সাজু মিয়ার ছেলে।

ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকনুজ্জামান বলেন, গভীররাতে আলম এশিয়া পরিবহন নামের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে বাসটি পুড়ে যায়। এ সময় বাসে থাকা চালক জুলহাস মিয়া দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। ইতোমধ্যে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।


banner close