বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১০ আশ্বিন ১৪৩২

আ.লীগ নেতা দুরন্ত বিপ্লবের লাশ উদ্ধার: দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড?

আওয়ামী লীগ নেতা দুরন্ত বিপ্লব। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
১৩ নভেম্বর, ২০২২ ২৩:১৪
বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক বাংলা ও প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত
বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক বাংলা ও প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০২২ ২৩:০৮

টানা পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা দুরন্ত বিপ্লব। কেরানীগঞ্জের খামার থেকে মোহাম্মদপুরের বাসায় ফেরার কথা ছিল তার। কিন্তু বাসায় ফেরেননি। পাঁচ দিন পর গত শনিবার বিকেলে তার লাশ পাওয়া যায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে। স্বজন ও পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি তিনি নৌ-দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এখনো তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অবশ্য ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলেছেন, তাকে হত্যা করা হতে পারে। তার মাথায় ও বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, দুরন্ত বিপ্লবের নিখোঁজের বিষয়ে কেরানীগঞ্জ থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল। তারা দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। তাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি নৌ-দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে।

দুরন্ত বিপ্লব জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ছাড়া তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন।

এর আগে গত ৪ নভেম্বর রামপুরা থেকে নিখোঁজ হওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারদিন নূর পরশ নামে এক শিক্ষার্থীর লাশ তিন দিন পর উদ্ধার করা হয় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে। লাশ উদ্ধারের প্রায় সাত দিন পেরিয়ে গেলেও হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

নৌ-পুলিশের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশের বিভিন্ন নদ-নদী থেকে ৩১৮টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় ১৬২টি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। হত্যা মামলা হয়েছে ৪১টি। এখনো ৯২টি লাশের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। আর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে সারা দেশের বিভিন্ন নদ-নদী থেকে ৩৫৭টি লাশ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১২৩টি ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা ও ৩৬টি হত্যা মামলা হয়েছে। ৮৮টি লাশের পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, গত ৭ নভেম্বর কেরানীগঞ্জ থেকে কামরাঙ্গীরচরে আসার পথে সোয়ারীঘাট এলাকায় একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় একটি নৌকা থেকে একজন যাত্রী পড়ে যাওয়ার তথ্য পেয়েছেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দুরন্ত বিপ্লব ওই ব্যক্তিই কি না তা যাচাই করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার শিকার হওয়া নৌকার মাঝিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। দুরন্ত বিপ্লবের মোবাইলের কল ডিটেইলস রেকর্ড পর্যালোচনা করেও সর্বশেষ কামরাঙ্গীরচরের মুসলিমবাগ এলাকায় পাওয়া গেছে।

স্বজনরা জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করে অর্গানিক খাদ্যপণ্য ও কৃষি খামার নিয়ে কাজ শুরু করেন দুরন্ত বিপ্লব। সর্বশেষ তিনি কেরানীগঞ্জে রতনের খামারে একটি মাছ ও কৃষির সমন্বিত খামার গড়ে তুলেছিলেন। থাকতেনও কেরানীগঞ্জ এলাকার খোলামোড়া এলাকায়। গত ৭ নভেম্বর তিনি খোলামোড়ার বাসা থেকে রতনের খামারে যান। সেখান থেকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি মোহাম্মদপুরের হাউজিং সোসাইটির বাসায় ফেরার জন্য রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু রাত হলেও তিনি বাসায় না আসায় এবং মোবাইল বন্ধ পেয়ে স্বজনরা খোঁজ শুরু করেন। একদিন পর গত ৯ নভেম্বর তার বোন শাশ্বতী বিপ্লব কেরানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

নৌ-পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, গত শনিবার বিকেলে বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় একটি অজ্ঞাত লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে নৌ-পুলিশের সদস্যরা তার লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

ফতুল্লার পাগলা নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক শাহ্জাহান আলী জানান, মরদেহটি পঁচে গিয়েছিল। চেহেরা ফুলে বিকৃত হয়ে গেছে। তবে মাথায় লালচে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে নিখোঁজ ব্যক্তির স্বজনরা মধ্যরাতে তার পরিচয় শনাক্ত করে।

নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক মফিজ উদ্দিন প্রধান জানান, ‘নিহতের মাথায় ও বুকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মাথার পেছনের দিকে বেশি আঘাত। বুকের দুপাশে আঘাতের দাগ আছে। ভারী কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়ে থাকতে পারে।’

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নিহত দুরন্ত বিপ্লবের পকেট থেকে ৩৫০ টাকা পাওয়া গেছে। কিন্তু তার মোবাইল ও মানিব্যাগটি পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, নৌ-দুর্ঘটনার শিকার না হলে ছিনতাইকারীদের হাতে তার মৃত্যু হতে পারে। কামরাঙ্গীরচর সংলগ্ন বুড়িগঙ্গার এপার-ওপার অপরাধপ্রবণ এলাকা। সন্ধ্যার পর ছিনতাইকারীরা তার সবকিছু কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিপ্লব বাধা দেয়ায় তাকে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর নদীতে ফেলে দেয়া হতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।

দুরন্ত বিপ্লবের বোনের স্বামী ইমরুল খান বলেন, ‘দুরন্ত বিপ্লব ভাই একজন হাসিখুশি মানুষ ছিলেন। আমরা ধারণাও করতে পারছি না তাকে কেউ হত্যা করতে পারে। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ভরসা করতে চাই। আমরা চাই এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হোক।’

স্বজনরা জানান, ময়নাতদন্ত শেষে দুরন্ত বিপ্লবের মরদেহ মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি এলাকার মসজিদে আনা হয়। পরে সেখানে জানাজা শেষে রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলায়।


কুমিল্লাতে লাউ চাষে সফল দুই গ্রামের তিন কৃষক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা দক্ষিণ

বসতবাড়ির সামনে তিন কৃষকের ভিন্ন ভিন্ন তিন খণ্ডে বিভক্ত মোট ১ একর জমি, তাও আবার উঁচুনিচু পরিত্যক্ত জায়গা, এগুলোতে প্রথমবারের মতো হাজারী জাতের উচ্চ ফলনশীল লাউ চাষ করে সফল হয়েছেন ফারুক মিয়া , সাইফুল ইসলাম , দুলাল মিয়া নামে তিন কৃষক। প্রান্তিক কৃষকদের সফলতার হাসি যেন তিন পরিবারের মাঝে ছড়িয়েছে। এই সফলতার হাসি যেন দুগ্রামের জনসাধারণের মধ্যে ও ছড়িয়ে পড়ছে এমনটাই কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়। কৃষকদের মধ্যে ফারুকের বাড়ি বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের কালিকাপুর দ. পাড়ায়, পিতা আ. আজিজ মিয়া, বাকিরা পাশের গ্রাম জঙ্গল বাড়ির পূর্ব পাড়াতে। সাইফুল ইসলাম ও দুলাল মিয়া,

৪০ শতকে সাইফুল ইসলাম আর বাকি ৪০ শতকে দুলাল মিয়া লাউ চাষ করেন। এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন কালিকাপুরের দক্ষিণ পাড়াতে ২০ শতক জমিতে ফারুক মিয়া লাউ চাষে সফলতা অর্জন করেছে তার সাথে সাথে একই পদ্ধতিতে পাশের গ্রামের সাইফুল, দুলাল মিয়াও একইভাবে লাউ চাষে সফল হয়েছে।

লাউ চাষে তাদের মোট খরচ হয়েছে মাত্র ৬০-৭০ হাজার টাকা। প্রথম বিক্রিতে হাতে এসেছে ৬৫ হাজার টাকা।

কালিকাপুরের দ. পাড়ার কৃষক ফারুক মিয়া জানান, প্রথম দিনে বিক্রি করেছেন প্রায় ১০ হাজার টাকা। তার জমির পরিমাণ ২০ শতক, তার মোট খরচ ৮-৯ হাজার টাকা। আরও ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা বিক্রি করার আশা করছেন তিনি। খরচ বাদে তার সম্ভাব্য লাভের পরিমাণ প্রতি শতাংশে প্রায় ২ হাজার টাকা হতে পারে শেষ পর্যন্ত যদি গাছগুলো বেঁচে থাকে, লাউ গাছে লছ নেই, আগা ডগাও বিক্রি করে আয় করা সম্ভব।

কৃষক ফারুক আরও বলেন, বিষমুক্ত নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব ময়দানের সবজি বাগানের লাউ খেতে যেমন সুস্বাদু, বাজারেও এ সবজির চাহিদা বেশি।

স্থানীয় শরিফুর রহমান বলেন, কৃষি অফিসারদের পরামর্শ নিয়ে ফারুক মিয়া পরিত্যক্ত জমিতে অনেকবার লাউ চাষ করেছে কিন্তু এবার নিজের সিদ্ধান্তেই শুরু করে বেশ সফল হয়েছে। ওজন ভেদে প্রতিটি লাউ খুচরা ৫০-৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, এলাকার বাজারের চাহিদা মিটিয়ে কুমিল্লা শহরে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা আফরিন আক্তার দৈনিক বাংলাকে বলেন, বর্তমানে আমরা খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ কিন্তু নিরাপদ ফসল উৎপাদনে কৃষকরা পিছিয়ে আছে। আমারা কৃষকদের ওঠান বৈঠকের মাধ্যমে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করি, কৃষকরা যেন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদ ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোছা. তানজিনা আক্তার দৈনিক বাংলাকে বলেন, হাজারী লাউ একটি উচ্চফলনশীন লাউ জাত। এ জাতের লাউ রোপণের ৫ থেকে ৭ দিনে চারা হয় এবং ৪২ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ফুল ও ফল ধরে। এছাড়া ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যেই বাজারজাত করা যায়।


মাগুরা বিশ্বাস ড্রাগ হাউসকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মাগুরা জেলা কার্যালয় কর্তৃক শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল বাজার এলাকায় ফার্মেসি ও মুদিদোকানসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠান তদারকি করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় ‘মেসার্স বিশ্বাস ড্রাগ হাউজ’ নামক ফার্মেসি প্রতিষ্ঠানে তদারকিতে প্রচুর মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ওষুধ পাওয়া যায়, এছাড়া বিক্রয় নিষিদ্ধ ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ওষুধ কমার্শিয়াল প্যাকেটের মধ্যে লুকিয়ে বিক্রয় করা ও একই প্যাকেটে ২০২৭ সালের ভালো ওষুধের মধ্যে ২০২১ সালের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রেখে বিক্রয়ের অপরাধে মালিক মো. দীপক বিশ্বাসকে ৪৫ ও ৫১ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের আইন অমান্যকারী কার্যকলাপ না করার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়।

পরবর্তীতে অন্যান্য পণ্যের প্রতিষ্ঠান তদারকি করা হয়। এ সময় সবাইকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয়, মুল্যতালিকা প্রদর্শন ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। বাজারে কেউ যেন অযৌক্তিকভাবে পণ্যের দাম বৃদ্ধি না করে সে বিষয়ে সতর্ক করা হয় এবং সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম ও মাগুরা জেলা পুলিশের একটি টিম।


তিস্তা নদীতে অবৈধ পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। গত মঙ্গলবার এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে নদী থেকে পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত ১৩টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা বিনষ্ট করা হয় এবং বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়। এতে করে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে নদী ক্ষতিগ্রস্ত করে পাথর উত্তোলনকারীরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে। অভিযান পরিচালনা করেন ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরানুজ্জামান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রওশন কবির। এ সময় সহযোগিতা করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর ২৬ সদস্য এবং পুলিশের একটি বিশেষায়িত দল।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছিল স্থানীয় একাধিক চক্র। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছিল এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছিল। পাশাপাশি নদীভাঙনও আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছিল।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান বলেন, ‘নদী ও পরিবেশ রক্ষায় অবৈধ পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কেউ আইনের বাইরে নয়। নদী রক্ষায় শূন্য সহনশীলতা নীতি অনুসরণ করা হবে।’

এদিকে প্রশাসনের এ অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি, অবৈধভাবে নদী কেটে পাথর উত্তোলনের কারণে প্রতিবছরই ভাঙনে শত শত পরিবার বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। তাই এ ধরনের অভিযান নিয়মিত হওয়া দরকার। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবৈধ উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত নজরদারি ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


বাংলাদেশ মানবাধিকার ফোরামের সম্মাননা পাচ্ছেন কবি মিয়া ইব্রাহিম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ মানবাধিকার ফোরাম সম্মাননার জন্য মনোনীত হয়েছেন কবি ও নাট্যকার মিয়া ইব্রাহিম। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ মানবাধিকার ফোরামের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক অনাড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে তাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হবে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের অ্যাপিলেট বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. ছিদ্দিকুর রহমান মিঞা।


বাগেরহাটের শরণখোলায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫” শীর্ষক মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেছে কোস্ট গার্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বৃহস্পতিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ বিকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনে এগিয়ে এসেছে। দুঃস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষদের বিভিন্ন সময় মেডিকেল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে কোস্ট গার্ড।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন কর্তৃক বাগেরহাটের শরণখোলা থানাধীন সোলামবাড়িয়া ও তৎসংলগ্ন এলাকায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫” শীর্ষক মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়। উক্ত মেডিকেল ক্যাম্পেইনে ২ শতাধিক অসহায়, দুঃস্থ ও শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা হয়।

এছাড়াও, দেশপ্রেম, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও অগ্নি নির্বাপণ বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এসময় আলোচনা এবং বাস্তব ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। উক্ত কর্মশালায় নৌ পুলিশ, মৎস্য অধিদপ্তর, বন বিভাগ, স্থানীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের জনসেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।


রাউজানে ৮০ কোটি টাকার বিসিক শিল্পনগরের দুরাবস্থা!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের রাউজান ওয়াপদা অফিস পার হওয়ার সময় চোখে পড়ে সীমানা প্রাচীর ঘেরা বিশাল এক এলাকা। সেখানে নানা নির্মাণকাজ চলছে। বিশাল এলাকাটিকে প্লটে ভাগ করা হচ্ছে। আছে একটি তিনতলা ভবনও। জানা গেল এটি রাউজান বিসিক শিল্পনগর এলাকা। তবে ভবনের ভেতর গিয়ে কাউকে পাওয়া গেল না। অফিসের একটি কক্ষে আছেন পাঁচজন আনসার সদস্য, তারা শিল্প এলাকার পাহারায় নিয়োজিত। একটু ঘুরে দেখতেই নজরে এলো বিসিক শিল্প এলাকার দুরবস্থা। ফাঁকা প্লটগুলোতে ঝোপঝাড়। পশ্চিম পাশের সীমানা প্রাচীর ধ্বসে পড়েছে। ভরাট করা মাটি সীমানা প্রাচীরের নিচ দিয়ে বাইরে চলে গেছে। তবে শিল্পনগরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারহ করতে সাব-স্টেশন করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে গ্যাস সরবরাহের পাইন লাইনও।

স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত একবছর তিনমাস ধরে এই শিল্পাঞ্চলের কাজ বন্ধ। এর কারণ ঠিকাদার পালিয়ে গেছেন। আবার জনবলও নিয়োগ হয়নি। বরাদ্দ দেওয়া হয়নি প্লট। ফলে শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে রাউজান বিসিক শিল্পনগর। ২০২২ সালে ৩৫ একর জমিতে রাউজান বিসিক শিল্পনগর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। শিল্পনগরে ১৮৪টি শিল্প প্লট তৈরির কাজ চলছিল। ৭০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হওয়ার কথা। হযরত গোফুর আলী বোস্তামী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শিল্পনগর ভরাট, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, তোরণ নির্মাণ ও তিনতলা বিশিষ্ট অফিস ভবন নির্মাণের কাজ পেয়েছিল। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ। গতবছরের ৫ আগস্ট থেকে তিনি আত্মগোপনে। তবে তার আগেই জুলাই মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বুঝিয়ে দিয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ বলেন, ‘প্রকল্পটি র্সম্পকে আমার তেমন কোনো ধারণা নেই। এটির সাথে যারা সংশ্লিষ্ট তারা কখনো এ বিষয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করেনি। তবে বিসিক শিল্পনগর প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে। বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে।’

জানা যায়, বিসিক শিল্পনগরের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল জনবল নিয়োগের মাধ্যমে। পাশাপাপশি লটারির মাধ্যমে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের প্লট বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল কর্তৃপক্ষের। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। ২০২১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একনেক সভায় অনুমোদিত হয় দেশের বিভিন্ন স্থানের সাতটি শিল্পাঞ্চল। তার মধ্যে চট্টগ্রাম ছিল তিনটি-মিরসরাই, সন্দ্বীপ ও রাউজান। রাউজান বিসিক শিল্পনগরের জন্য বরাদ্দ করা হয় প্রায় ৮০ কোটি টাকা।

বিসিক জানায়, রাউজানের এই শিল্পনগরে থাকবে ১৮৪টি শিল্প প্লট। এখানে পোশাক কারখানা, প্লাস্টিক কারখানা, খেলনা তৈরির কারখানাসহ কুটির শিল্পের মধ্যে পড়ে এমন কারখানা গড়ে উঠবে।

বিসিক চট্টগ্রাম জেলার উপমহাব্যবস্থাপক এস এম এম আলমগীর আলকাদেরী বলেন, ‘রাউজান সদর ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব ও জঙ্গল রাউজান মৌজায় ৩৫ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এখানে দ্রুত ১৮৪টি শিল্প প্লট তৈরির কাজ শুরু হবে। জনবল সংকট ও রাজনৈতিক পালাবদলের কারণে কাজে কিছুটা ধীরগতি তৈরি হয়। এখন কোন সমস্যা নেই। দ্রুত শিল্পনগর বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি।’


পঞ্চগড়ে ২ গ্রামে প্রধান সড়ক পাকা করার দাবি

ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মিজানুর রহমান, পঞ্চগড়

পঞ্চগড় সদর উপজেলার ৩ নং সদর ইউনিয়নের মোলানী পাড়া ও পূর্ব শিং পাড়া এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ ব্যবস্থার চরম দুর্ভোগে ভুগছেন। প্রায় দশ হাজার মানুষের বসবাস থাকা সত্ত্বেও এ দুইটি গ্রামের প্রধান সড়ক এখনো পাকা হয়নি। ফলে প্রতিদিনের যাতায়াতে নানান ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টির দিনে কাঁচা রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত হয়ে যায়। হাঁটাচলা করা তো দূরের কথা, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে রোগী ও গর্ভবতী নারীকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় চরম সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। শুকনো মৌসুমে ধুলাবালিতে নাক-মুখে শ্বাসকষ্টসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।

এলাকার কয়েজন জানান প্রতিবার নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি মিললেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

মোলানী পাড়ার বাসিন্দা এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে এই সড়ক পাকাকরণের দাবি জানাচ্ছি। গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষ প্রতিদিন এ রাস্তায় চলাচল করে। কিন্তু এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এটা আমাদের জন্য খুব কষ্টকর।

স্থানীয় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘প্রতিদিন স্কুলে যেতে খুব কষ্ট হয়। বর্ষায় কাদা আর শুকনো মৌসুমে ধুলার কারণে আমাদের পড়াশোনায় প্রভাব পড়ে।’

অবিলম্বে এই সড়কগুলো পাকা করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ। তাদের মতে, যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হলে শিক্ষা, চিকিৎসা ও স্থানীয় অর্থনীতিতেও নতুন গতি আসবে।

মো. আব্দুল লতিফ প্রধান জানান, ৩ নং সদর ইউনিয়ন অনেক পুরাতন ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের কিছু অংশ পৌরসভায় চলে যায়। ১৯৮৪ সালে পঞ্চগড় পৌরসভা স্থাপণ হয়। মাহি পাম থেকে মোলানী, পূর্ব শিং পাড়া থেকে ব্যারিস্টার বাজার পৌরসভা এবং জেলার বিভিন্ন জায়গায় হইতে এ রাস্তা যাতায়াত করা হয়। পঞ্চগড় সদর উপজেলা এলজিইডি উপসহকারী প্রকৌশলী কৃষ্ণ চন্দ্র রায় তিনি জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ রাস্তার বিষয় কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।


কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা কমাতে আল্টিমেটাম

জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাঙামাটি প্রতিনিধি

জনদুর্ভোগ লাগবে দ্রুত কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা কমনোর জন্য ৩ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে রাঙামাটি সচেতন নাগরিক ঐক্য। বৃহস্পতিবার সকালে এ সংগঠনের ব্যানারে রাঙামাটির সাধারণ জনগণের পক্ষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জোবাইদা আক্তার।

এ সময় রাঙামাটি সচেতন নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক জুই চাকমা, ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম, পলাশ চাকমা, নুরুল আবচার, শাখাওয়াত হোসেন, মো. বাদশাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কাপ্তাই হ্রদে দীর্ঘদিন যাবত ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা না হওয়ায় তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। হ্রদ সৃষ্টির সময় হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ছিলো ১০৯ ফুট। কিন্তু ক্রমান্বয়ে তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানি ১০৫ থেকে ১০৬ ফুট হলেই পানির উচ্চতা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এতে বর্ষা মৌসুমে রাঙামাটি পৌর এলাকাসহ লংগদু, বাঘাইছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি ও জুরাছড়ি উপজেলার হাজার হাজার বসতঘর ও বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ফসলী জমি পানিতে তলিয়ে যায়।

চলতি বছরও অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রায় দুমাস যাবত হাজার হাজার মানুষ পানিতে তলিয়ে আছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। পানিবন্দি মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ব্যাহত হচ্ছে।

এছাড়াও গত দুমাস যাবত হ্রদের পানিতে ডুবে আছে রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ঝুলন্ত সেতু। যার ফলে রাঙামাটির পর্যটন ব্যবসায় ধস অব্যাহত রয়েছে। আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা ১০ দিনের ছুটি থাকলেও পর্যটকদের আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতুটি পানিতে ডুবে থাকায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা চরমভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

এ সময় জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে এবং পর্যটন ব্যবসার ধস ঠেকাতে আগামী ৩ দিনের মধ্যে কাপ্তাই হ্রদের পানি কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আনার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

অন্যথায় ভুক্তভোগী সাধারণ জনতাকে সাথে নিয়ে আরো জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারী দেন সংগঠনের নেতারা।


মাগুরা সদর হাসপাতালে হুইলচেয়ার প্রদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে রোগী সেবার মানোন্নয়নে ৪টি হুইলচেয়ার প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে হুইলচেয়ারগুলো হস্তান্তর করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন খান। তিনি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মহসিন উদ্দিনের কাছে এগুলো তুলে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মেহেদী হাসান, জেলা বিএনপির সদস্য আলমগীর হোসেন, সাবেক থানা বিএনপি সভাপতি কুতুব উদ্দিন কুতুব, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মাসুদ খান কিজিল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিমসহ বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন খান বলেন, মাগুরা সদর হাসপাতাল নানা সমস্যায় জর্জরিত। দুর্ঘটনায় আহত বা অসুস্থ রোগীদের দ্রুত বিভিন্ন ওয়ার্ডে নেওয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। বিশেষ করে হাসপাতালের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় রোগী স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ভোগান্তি পোহাতে হয়। এই সমস্যা মোকাবেলায় আমরা ৪টি হুইলচেয়ার প্রদান করেছি।

তিনি আরও বলেন, ‘সদর হাসপাতালে বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে। এ সমস্যার সমাধানে আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। জনগণ আমাদের সাথে থাকলে আমরা ভবিষ্যতে হাসপাতালের সেবার মান আরও উন্নয়নে কাজ করতে চাই।


নওগাঁর মান্দায় অজ্ঞাত নারী নিহত, রহস্যে ঘেরা মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকা অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের হলুদঘর গ্রামের পাশে পাকা রাস্তার ধারে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন।

খবর পেয়ে মান্দা থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত নারীর বয়স আনুমানিক ৩২ বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে এখন পর্যন্ত তার নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাটি এলাকায় চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়দের অনেকে বিষয়টিকে রহস্যজনক হিসেবে মনে করছেন।

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, “লাশটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য প্রস্তুতি চলছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডও হতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত ও তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।


পাংশায় যানজট নিরসনে কাজ করছে বণিক সমিতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এস,কে পাল সমীর, পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর পাংশায় আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে পৌর শহরে সৃষ্ট যানজট নিরসনে কাজ করছে পাংশা শিল্প ও বণিক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাংশা শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি মো. বাহারাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার সরদারের নেতৃত্বে সমিতির অন্যান্য সদস্যদের সহযোগিতায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে লাল রঙ দিয়ে যানবাহন চলাচলের নির্দেশনা আঁকা হয়। যাতে ভিড়ের সময় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয় এবং পথচারীরাও নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারেন।
পাংশা শিল্প ও বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার সরদার জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিদিন শহরে ভিড় বেড়ে যায়। বিশেষ করে পূজামণ্ডপ, বাজার ও শপিং সেন্টার ঘিরে যানজট সৃষ্টি হয়। এজন্যই আগে থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সমিতির সভাপতি বাহারাম হোসেন জানান, শুধু পূজার সময়ই নয়, সারাবছরই যেন পৌর শহরে শৃঙ্খলিতভাবে যান চলাচল করতে পারে—সেই দিকেও সমিতি নজর দেবে। এ কাজে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। এ কাজে তারা বাজারের ব্যবসায়ী, ভ্যানচালক, অটোচালক ও অন্যান্য যানবাহনের চালকসহ আগত জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেছেন। যাতে করে পাংশা বাজারের যানজট নিরসন করা সম্ভব জয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ বণিক সমিতির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের দাবি, এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে পাংশা শহরে যানজটের ভোগান্তি অনেকটাই কমে আসবে।


দূর্গা পূজার ছুটি কাটাতে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার বৃদ্ধি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বেনাপোল (যশোর )সংবাদদাতা

দীর্ঘদিন পর বেনাপোল চেকপোস্টে ভারত গমনে যাত্রীদের কোলাহল দেখা গেছে। দুর্গাপূজার ছুটি কাটাতেই হাজার হাজার পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে যাচ্ছে। কেউ যাচ্ছে দূরগাপূজা উৎসব পালন করতে কেউবা চিকিৎসা করতে কেউ যাচ্ছে বেড়াতে। গত দুদিনে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে গেছেন বলে ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এর পর ভারত সরকার বাংলাদেশীদের জন্য ভারতীয় ভিসা বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে সীমিত পরিসরে চিকিৎসা ভিসা কিছু ইমারজেন্সি ভিসা প্রদান করেন। সে সময়ে প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে ৭০ থেকে ৮০ জন পাসপোর্ট যাত্রী ভারত যেত। তবে ২৮ তারিখ থেকে শুরু হওয়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই দুর্গাপূজার কারণে ভারত সরকার বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রীদের ভিসা প্রদানে আরো একটু শিথিল করেছেন। এখন প্রতিদিন ২০০০ থেকে আড়াই হাজার বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রী ভারতের গমন করছেন। ভারত থেকেও প্রতিদিন আসে ৪ শ থেকে ৫ শত পাসপোর্ট যাত্রী। হঠাৎ করে ভারত গমনে পাসপোর্ট যাত্রীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বেনাপোল চেকপোস্টে যাত্রীদের কোলাহল দেখা যাচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ যাচ্ছে পূজা উৎসব পালন করতে কেউ চিকিৎসা করতে কেউ আবার পরিবার নিয়ে যাচ্ছে বেড়াতে। যাচাই-বাছাই করেই পাসপোর্ট-যাত্রীদের ভারত ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন এর ওসি ইলিয়াস হোসেন মুন্সি জানান, বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ভ্রমণের পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই দিনে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে গমন করেছেন। পূর্বের ন্যায় ভারত সরকার বাংলাদেশী যাত্রীদের ভিসা প্রধানের ব্যবস্থা করলে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ভ্রমণ অনেক বেড়ে যাবে। যাত্রী পারাপার বেশি হলে সরকারি রাজস্ব আদায় বেশি হবে এখান থেকে।


নবীনগরে নির্মাণের দীর্ঘদিন পরও তালাবদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জামাল হোসেন পান্না; নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝিকাড়ায় অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে প্রায় দুই বছর আগে (২০২৩ সালে)। কিন্তু ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্তও দৃষ্টিনন্দন তিনতলা এ ভবনটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

কমপ্লেক্সের ভেতরে রয়েছে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সম্বলিত স্মৃতিফলক। ভবনের প্রথম তলায় মার্কেট, দ্বিতীয় তলায় অফিসের জন্য ছয়টি কক্ষ এবং তৃতীয় তলায় একটি সম্মেলন কক্ষ নির্মিত হয়েছে।

২০১২ সালে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনায় ৬৪ জেলার ৪২১টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। প্রথমে ২০১৫ সালের জুনে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের মেয়াদ দুই দফা বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুনে শেষ করা হয়। প্রতিটি ভবন নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

যদিও ২০২৪ সালে সারাদেশে ৩৪টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স একসঙ্গে উদ্বোধনের পরিকল্পনা ছিল, তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এদিকে নবীনগরের মুক্তিযোদ্ধারা বর্তমানে পৌর ভবন সংলগ্ন অফিসে স্থান সংকুলান ও সুযোগ-সুবিধার অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

অপরদিকে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত আধুনিক এই ভবনটি দীর্ঘদিন তালাবদ্ধ থাকায় ভাঙচুর ও ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে। ভাঙা জানালার কাঁচ, ক্ষতিগ্রস্ত শাটার, বৃষ্টির পানি জমা, এমনকি একমাত্র নলকূপ চুরি হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। মূল গেইট না থাকায় ভবন এলাকায় অবাধে যাতায়াত করছে সাধারণ মানুষ।

নীতিমালা অনুযায়ী এই ভবনের ভাড়া থেকে শতকরা ১৫ ভাগ ব্যয় হবে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে এবং বাকি ৮৫ ভাগ জমা হবে সরকারি কোষাগারে। কিন্তু উদ্বোধনে বিলম্বের কারণে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি ভবনটিও ধীরে ধীরে অকার্যকর হয়ে পড়ছে।

এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সামসুল আলম বলেন—

“আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ভবনটি বুঝে পাওয়ার দাবি জানিয়েছি। তিনি জানিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অচিরেই ভবনটি বুঝিয়ে দেওয়া হবে।”

নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরী বলেন—

“ভবনটি সংস্কারের পর শিগগিরই উদ্বোধন করে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য চিঠি এসেছে। দ্রুতই তা করা হবে।”


banner close