শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

১৫ ঘণ্টা পর ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

unb
প্রকাশিত
unb
প্রকাশিত : ১০ মে, ২০২৫ ১৭:৫২

১৫ ঘণ্টা পর ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

শনিবার (১০ মে) বেলা ১১টার পর পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার সঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া পয়েন্টম্যান নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তা।

এর আগে, গতকাল (শুক্রবার) দিবাগত রাত ৯টার পরপর পয়েন্টম্যানের ভুল সিগন্যাল দেওয়ার কারণে ঢাকা থেকে খুলনা গামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি ভাঙ্গার বামনকান্দা জংশন এলাকায় লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বেনাপোল ও ঢাকা-রাজবাড়ী রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়লেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন রেল কর্মকর্তারা।

লাইনচ্যুত ট্রেনটিকে উদ্ধারে ঈশ্বরদী ও খুলনা থেকে দুটি রিলিফ ট্রেন নিয়ে এসে রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেন।

ভাঙ্গা জংশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার সুমন বাড়ৈ জানান, ঢাকা থেকে খুলনাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেসটি ভাঙ্গা রেল জংশন থেকে বের হওয়ার কিছুদূর পরে গিয়ে ইঞ্জিন সহ একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ট্রেনের সামনের ইঞ্জিন ও লাগেজ ভ্যান এক লাইন থেকে অন্য লাইনের ওপর চলে যায়।

তিনি আরও জানান, গতকাল রাত ৯টা ৫ মিনিট থেকে পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। রাজবাড়ী ও খুলনা থেকে উদ্ধারকারী ক্রেনসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাজ করার পর আজ (শনিবার) বেলা ১১টার দিকে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়।

রেলওয়ের পাকশি বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা হাচিনা খাতুন বলেন, পয়েন্টম্যানের ভুলের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। পয়েন্টম্যান নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়েই সিগনাল বা পয়েন্ট পরিবর্তন করেছেন। এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।


টিসিজেএ-ইস্পাহানি বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ডের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে কর্মরত টেলিভিশন চিত্রসাংবাদিকদের সংগঠন টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (টিসিজেএ), চট্টগ্রাম আয়োজিত নিয়মিত দ্বিবার্ষিক উদ্যোগ ‘লেন্সের ভেতর সত্য, প্রতিবেদনে দায়িত্ব’ শীর্ষক টিসিজেএ ইস্পাহানি বেস্ট রিপোর্টিং ও ডকুমেন্টারি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫-এর বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর জামাল খান এলাকার মোমিন রোডের একটি হলরুমে বিচারকার্যের সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

এবারের প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক রওশন সোমা, নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুবীর মহাজন, এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্যামেরা অপারেটর ও ডিরেক্টর অব ফটোগ্রাফি সৌমেন গুহ। তাদের মূল্যায়নের ভিত্তিতেই বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা প্রতিবেদন ও সেরা ডকুমেন্টারি নির্বাচন করা হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, টিসিজেএ সভাপতি শফিক আহমেদ সাজীব, সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল আলম চৌধুরী মামুন, অ্যাওয়ার্ড পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী আকবর, এবং সদস্য দীপংকর দাশ, সুমন গোস্বামী ও রবিউল হোসেন টিপু। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক জানান, এবারের প্রতিযোগিতায় ১৫ জন রিপোর্টারের ১৫টি প্রতিবেদন এবং ১৪ জন ক্যামেরা পার্সনের ১৪টি ডকুমেন্টারি জমা পড়ে, যা মানসম্মত সাংবাদিকতার ইতিবাচক প্রতিফলন।

পুরো আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা করছে ইস্পাহানি মির্জাপুর চা। আগামী ২১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার প্রদান করা হবে।


কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের তীব্রতা

তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুড়িগ্রাম ও তেতুলিয়া প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে এক সপ্তাহ ধরে পড়ছে ঘন কুয়াশা। বইছে হিমেল হাওয়া। ফলে বেড়েছে শীতের তিব্রতা। শনিবার তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ সময় তেঁতুলিয়ায় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল চারদিক।

ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। কুয়াশার সাথে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ১০/১১টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে ঠান্ডা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। ফলে আবহাওয়ার পরিবর্তনে শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে নারী, শিশু-বৃদ্ধরা।

শীতের তীব্রতা ও ঠান্ডার বাড়ায় জেলার বিভিন্ন শপিংমল ও ছোট বড় দোকানগুলোতে দিন-রাত গরম কাপড় কেনার ভিড় বেড়েছে ক্রেতাদের।

কুড়িগ্রাম পৌর শহরের সুপার মার্কেট, নছর উদ্দিন মার্কেট ও ফুটপাতের দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ করা গেছে। গত ৬ দিন ধরে হিমাঙ্কের কাটা নিম্নমুখী হওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে কয়েকগুণ। শীত নিবারণের জন্য মানুষ ছুটছেন বিপণী বিতানগুলোতে।

সল্প আয়ের মানুষের ভরসা পুরোনো কাপড় বিক্রির দোকানগুলো। সাধ্যমত তারা কিনছেন গরম কাপড়। প্রকারভেদে সোয়েটার বিক্রি হচ্ছে ৩০০- ৫০০ টাকা, জ্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৭০০-১২০০ টাকা।

গরম কাপড় কিনতে আসা যাত্রপুর ইউনিয়নের আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডায় কাজ কাম করতে পারি নাই। হাতে টাকা নাই তাই ধার দেনা করে বাচ্চাদের জন্য কাপড় কিনতে এসেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর কাপড়ের দাম বেশি। ছোট বাচ্চার একটা সোয়েটার ৫০০ টাকা দিয়ে কিনলাম অথচ আগে এই সোয়েটার ছিল ২০০-৩০০ টাকা।

তেতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১০.৫ ডিগ্রি: সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তিন দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। সেখানে দিন দিন বাড়ছে শীতের তীব্রতা। রাতভর ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারদিক।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ সময় তেঁতুলিয়ায় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল চারদিক। সকাল সাড়ে আটটার পর কুয়াশা ভেদ করে হালকা রোদ উঠলেও তেমন বাড়েনি রোদের তীব্রতা। এতে দিনের বেলায়ও শীত অনুভূত হচ্ছে।

এর আগে গত শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল তেঁতুলিয়া ও শ্রীমঙ্গলে। এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল তেঁতুলিয়া ও নওগাঁর বদলগাছীতে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় মুঠোফোনে বলেন, আজ তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এটা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আভাস। উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবেশ করায় এই জনপদে দিন দিন শীতের তীব্রতা বাড়ছে।

হেমন্তের শুরু থেকেই উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে সন্ধ্যার পর থেকেই হালকা শীত অনুভূত হচ্ছিল। এর মাঝে কুয়াশার পরিমাণ কম থাকায় দিনের বেলায় ঝলমলে রোদের দেখা মিলত। তবে কয়েক দিন ধরেই জনপদে সন্ধ্যার পর থেকে বাড়ছে কুয়াশার দাপট। সেই সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় রাতভর অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। তবে দিনের বেলায় ঝলমলে রোদ থাকায় দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ছে। শুক্রবার বিকেলে তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশায় ছেয়ে আছে চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছেন অনেকে। শীতের শাকসবজি নিয়ে বাজারে যাচ্ছেন কৃষকেরা। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্বাকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই রোদের তীব্রতা।

সকাল পৌনে আটটার দিকে জেলা শহরে কথা হয় ইজিবাইক চালক এনামুল হকের (৪০) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আইজকা সারা রাতি খুপে ঠান্ডা (শীত) নাগিছে। সকালে বাইর হওয়ার সময় খুপে কুয়াশা ছিল, এ্যালা কনেক (একটু) কমিছে। আইজকার ঠান্ডাখানোত হাত-পাও পটপটাছে।’

এ ব্যাপারে শনিবার সকালে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, সকাল ৬টায় তেতুলিয়া তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি।


গজারিয়ায় এক দিনে নদী থেকে ২ লাশ উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা ও কাজলী নদী থেকে এক নারী ও এক পুরুষের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে মেঘনা নদীর ডুবারচর ও কাজলী নদীর মধ্য বাউশিয়া (দাস পাড়া) এলাকা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার হয়। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

জানা যায়, শনিবার গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ডুবারচর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এক নারীর অর্ধগলিত লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ৪-৫ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে। শারীরিক অবয়ব দেখে তার বয়স ৩২ এর কাছাকাছি হতে পারে অনুমান করা যাচ্ছে। এদিকে একই দিনে দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে বাউশিয়া ইউনিয়নের মধ্য বাউশিয়া (দাস পাড়া) এলাকা থেকে এক পুরুষের লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। তার দুই পা রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ছিল। শারীরিক গঠন থেকে ধারণা করা হচ্ছে তার বয়স ৩৫ এর কাছাকাছি হতে পারে।

মধ্য বাউশিয়া গ্রামের বাসিন্দা কাউসার হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় কয়েকজন শিশু প্রথমে লাশটি দেখতে পায়। খবর পেয়ে উৎসুক জনতা লাশটি দেখতে ভিড় করে। অবস্থা দেখে মনে হয়েছে রাত বা একদিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে। লাশটি উপুড় হয়ে পড়ে আছে তবে পায়ে রশি বাঁধা বলে জানতে পেরেছি।’

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাব্বির হোসেন বলেন, ‘দুই ক্ষেত্রেই নদীতে লাশ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নৌপুলিশ দেখছে।’

গজারিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, ‘দুপুরে হোসেন্দী ইউনিয়নের ডুবার চর থেকে আমরা এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছি। বাউশিয়া ইউনিয়নের কাজলী নদীতে এক পুরুষের লাশ দেখতে পেয়েছে স্থানীয়রা। আমরা সেখানে যাচ্ছি। এখনো পর্যন্ত লাশ দুটির পরিচয় পাওয়া যায়নি।’


অযত্ন-অবহেলায় বেহাল দশা নওগাঁ জেলা পরিষদ পার্কের

সংস্কারের দাবি স্থানীয়দের
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সবুজ হোসেন, নওগাঁ

নওগাঁ জেলা পরিষদ পার্কটি প্রায় দুই বছর ধরে অযত্ন-অবহেলায় বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। শিশুদের বিনোদনের রাইডগুলো ভাঙাচোরা, নেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে সাপ-পোকামাকড়ের আতঙ্কে থাকেন দর্শনার্থীরা। দ্রুত সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনের মাধ্যমে পার্কটি আবারও বিনোদনের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

শহরের প্রাণকেন্দ্র মুক্তির মোড়ে শতবর্ষ আগে ২ দশমিক ৪৬ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এ পার্কটি দীর্ঘদিন ধরে জেলার একমাত্র জনবিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় প্রবীণ ও মধ্যবয়সিরা হাঁটাহাঁটি করতে আসেন এখানে। বিকেলে উন্মুক্ত থাকে সবার জন্য। ছুটির দিনে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সি মানুষের পদচারণায় মুখর থাকে পার্কটি।

বর্তমানে পার্কের শিশুদের রাইডগুলোর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। তিনটি ঢেঁকির সবগুলোই ভাঙা, অধিকাংশ দোলনা অচল, দুটি স্লিপার থাকলেও তাতে মরিচা ধরেছে এবং যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। দোলনার নিচে গর্ত হয়ে বৃষ্টির পানি জমে থাকে, ফলে শিশুরা পড়ে কাদা-ময়লায় নোংরা হয়ে যায়। এসব কারণে শিশুদের বিনোদন ব্যাহত হচ্ছে। তা ছাড়া মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের।

গত দুই বছর ধরে পার্কের বাতিগুলো নষ্ট থাকায় সন্ধ্যার পর পুরো এলাকা অন্ধকারে ঢেকে যায়। এতে হাঁটতে গিয়ে প্রবীণদের প্রায়ই বিপদে পড়তে হয়। অনেকেই সাপ-পোকামাকড়ের ভয়ে সন্ধ্যার পর পার্কে প্রবেশ করেন না। স্থানীয়দের অভিযোগ পার্কটি যেন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে।

এছাড়া পার্কের প্রধান ফটকের সামনে মোটরসাইকেল রাখা এবং ফুটপাতে ফাস্টফুডের দোকান বসানোর কারণে পথচারীদের চলাচলে চরম ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। দর্শনার্থীরা এসব দোকান নির্দিষ্ট স্থানে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

উকিলপাড়ার গৃহবধূ মরিয়ম বেগম বলেন, ‘ছুটির দিনে বাচ্চারা পার্কে আসার জন্য জেদ করে। কিন্তু দোলনায় বৃষ্টির পানি জমে থাকে, মইগুলো ভাঙা, স্লিপারেও জং। বছরের পর বছর এমন অবস্থায় রয়েছে। কেউ যেন দেখার নেই।

সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব খাদেমুল ইসলাম ক্যাপ্টেন বলেন, ‘পার্কটি জেলার একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র হলেও কোনো উন্নয়ন নেই। রাইডগুলো নষ্ট, পুকুরের পাড় ভাঙছে, পানি অপরিষ্কার, ফুলের গাছ নেই। যে পরিবেশে মানুষ বিনোদন পাবে তার কিছুই নেই।’

নিয়মিত ব্যায়াম করতে আসা সুমন চৌধুরী জানান, বছরের পর বছর পার্কে কোনো আলো নেই। অন্ধকারে কয়েকবার সাপের মুখোমুখি পড়েছি। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম জাকির হোসেন বলেন, ‘গত তিন বছরে ওয়ার্কওয়ে ও কিছু রাইডের কাজ করা হয়েছে। তবে শিশুদের রাইডগুলো বেশি ব্যবহারের কারণে দ্রুত নষ্ট হয়েছে। দোলনার নিচে ফুট টাইলস বসানোসহ আরও কিছু উন্নয়ন পরিকল্পনায় রয়েছে। পার্কটি দ্রুত সংস্কার ও আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান গেটের সামনে দোকান ও মোটরসাইকেল রাখার বিষয়টি নজরদারিতে রাখা হবে, যাতে দর্শনার্থীদের স্বাভাবিক চলাচলে আর সমস্যা না হয়।’


নীলফামারীতে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির বিশেষ সভা ও কমিটি গঠন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নীলফামারী প্রতিনিধি

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নীলফামারী ইউনিটের বিশেষ সাধারণ সভা গতকার শনিবার দুপুরে ইউনিট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভা শেষে ২০২৫-২৭ মেয়াদে কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করা হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নীলফামারী ইউনিটের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।

এর আগে ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম উপস্থাপন করেন সদস্য সচিব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র।

বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মীর সেলিম ফারুক, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা হক প্রধান বাচ্চু, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি সোহেল পারভেজ, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসলি অ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ সোয়েম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে নীলফামারী ইউনিটের আজীবন সদস্য মারুফ খান।

সভা শেষে সাত সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেন ২০২৫-২৭ মেয়াদে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নীলফামারী পৌরসভার প্রশাসক সাইদুল ইসলাম।

নির্বাচিতরা হলেন, বজলুল করিম চৌধুরী (সহসভাপতি), মীর সেলিম ফারুক (সাধারণ সম্পাদক), সৈয়দ মেহেদী হাসান আশিক, আলিফ সিদ্দিকী প্রান্তর, অধ্যাপক সেতারা সুলতানা চৌধুরী, মোস্তফা হক প্রধান বাচ্চু ও অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান খান রিনো (কার্যনির্বাহী সদস্য)।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় পতাকা ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় বিশেষ সাধারণ সভার কার্যক্রম। পরে মৃত্যুবরণকারী আজীবন সদস্যের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদের প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, নীলফামারী রেড ক্রিসেন্ট ভবনের উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নিজস্ব জমি এবং বহুতল ভবন নির্মাণ করে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা আনা হবে।

প্রশাসক বলেন, নতুন নির্বাচিত কমিটি এখন থেকে নিবেদিত হয়ে কাজ করবে। কাজে প্রশাসন ও জেলা পরিষদ সার্বিকভাবে সহায়তা করবে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক রইসুল আলম চৌধুরী, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নীলফামারী ইউনিটের আজীবন সদস্য আতাউর রহমান মুকুল বক্তব্য দেন।


নওগাঁয় শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর বদলগাছীতে শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টায় উপজেলার লাবণ্য প্রভা পাইলট ও কমিউনিটি গার্লস হাইস্কুল প্রাঙ্গণে এই শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বদলগাছী উপজেলার সর্বস্তরের শিক্ষকদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবং বিএনপির মনোনীত নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনে এমপি পদপ্রার্থী ফজলে হুদা বাবুল। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. হারুন অর রশীদ।

বদলগাছী মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদী চৌধুরী টিপু, নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক আবুল হাসনাত চৌধুরী, বদলগাছী মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাসুদ রানা, সহসভাপতি শাম্মী আকতার, মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, উপদেষ্টা ও ফতেজঙ্গেপুর দাখিল মাদ্রাসা সুপার আবুল গাফফার, বেসরকারি কলেজ ও শিক্ষক-কর্মচারী সমিতির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত প্রায় দুই হাজার শিক্ষক ও শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্যে শিক্ষকরা বলেন, বরাবরই আমরা শিক্ষকরা অবহেলিত। আমরা শিক্ষক সমাজে আর অবহেলিত থাকতে চাই না। আমরা জানি আপনি একজন শিক্ষিত ও সুযোগ্য ব্যক্তি এবং টকশো লিডার। আপনি চান না আমাদের শিক্ষক সমাবেশ অবহেলায় থাকুক। আপনি সর্বদা চান শিক্ষক সমাবেশ যথাযথ মর্যাদা পেয়ে থাকুক। তাই আপনি যেহেতু শিক্ষকদের নিয়ে ভাবেন, তাহলে আমাদেরও আপনাকে নিয়ে ভাবতে সমস্যা নেই। এই জন্য শিক্ষক সমাজের অধিকার ফিরিয়ে নিতে ভেদাভেদ ভুলে ফজলে হুদা বাবুলকে আমরা নির্বাচিত করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তারা। পরিশেষে প্রধান অতিথির কাছে মাদকমুক্ত ও মডেল উপজেলা হিসেবে এই বদলগাছী যেন গড়ে উঠে সেই দাবি জানান উপস্থিত সকল শিক্ষকরা।

এছাড়া উপস্থিত শিক্ষকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করেন প্রধান অতিথির কাছে।

এর আগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এবং অসুস্থ খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়। পাশাপাশি তারেক রহমানের জন্যও চাওয়া হয় দোয়া।


ওস্তাদ হাসান আলী খান স্মরণে নবীনগরে আলোচনা সভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক ওস্তাদ হাসান আলী খানের স্মরণে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় নবীনগর মহিলা ডিগ্রি কলেজ অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠান হয়।

ওস্তাদের ছেলে খুরশিদ হাসান খানের সভাপতিত্বে এবং আব্বাস উদ্দিন হেলাল ও রিপা আক্তারের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নজরুল সংগীতশিল্পী খাইরুল আলম শাকিল। মুখ্য আলোচক ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সুরকার ও সংগীত পরিচালক শেখ সাদী খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নজরুল সংগীতশিল্পী মাসুদা আনাম কল্পনা, লোকসংগীতশিল্পী আব্দুল আলীমের সন্তান আজগর আলীম, চলচ্চিত্র ও নাট্য অভিনেতা ইকবাল আহমেদ, নবীনগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অঞ্জন কুমার নাগ, উপাধ্যক্ষ গোলাম মাওলা খান দিপু ও করিম হাসান খান।

আলোচনায় শেখ সাদী খান বলেন, ‘সঙ্গীত হলো এক ধরনের জাদু। ভালোবেসে করলে সংগীত মানুষকে মোহিত করতে পারে।’

খাইরুল আলম শাকিল বলেন, ‘যে জাতি সংস্কৃতিতে অগ্রসর হয় না, সে জাতি মানবিকতাও হারায়।’

অনুষ্ঠানে দুজন একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য শিল্পীর উপস্থিতি এবং আব্দুল আলীমের সন্তান আজগর আলীমের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিশেষ মাত্রা যোগ করে।

বুলবুল ললিতকলা একাডেমির লোকসংগীত বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এই সংগীতজ্ঞ ১৯৪৪ সালে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে নিজের সংগীতজীবন শুরু করেন।

সমসাময়িক শিল্পীদের মধ্যে তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম- একাধারে লোকসংগীত, উচ্চাঙ্গসংগীত, আধুনিক গান ও নজরুলসংগীত পরিবেশন করতেন সমান দক্ষতায়।

তিনি তালিম নিয়েছিলেন পণ্ডিত মনোরঞ্জন চক্রবর্তী, মোহাম্মদ হোসেন খসরু, ওস্তাদ ছোটে খাঁ এবং ওস্তাদ আয়েত আলী খানের কাছে। তার গুণী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আছেন- ড. সনজিদা খাতুন, ইন্দ্র মোহন রাজবংশী, নীনা হামিদ, মুজিব পরদেশি প্রমুখ। ১৯৯৩ সালের ১২ জানুয়ারি এই কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী মৃত্যুবরণ করেন।


সবজির চারা উৎপাদন করে মাসে আয় ৭০ হাজার টাকা

৩০ শতক জমিতে শুরু করে বুড়িচংয়ের কৃষক কামাল
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা

বৃহত্তর কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা উত্তরপাড়ার রমজান আলীর ছেলে মো. কামাল অভাব-অনটনের কারণে বেশি দূর পড়াশোনা করতে পারেননি। তবে ইচ্ছাশক্তি, পরিশ্রম ও সাহসকে পুঁজি করে তিনি আজ বৃহত্তর কুমিল্লার সবচেয়ে বড় সবজির চারা উৎপাদনকারী হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে প্রতি মাসে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় করে তিনি গ্রামবাসীকে চমকে দিয়েছেন।

ভারেল্লা গ্রামের এই কামাল প্রথমে মাত্র ৩০ শতক জমিতে চারা উৎপাদন শুরু করেন। প্রথম বছরেই খরচের দ্বিগুণ লাভ পেয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে জমির পরিমাণ বাড়িয়ে ৬০ শতক করেন। জমিটি নিজের না হলেও বংশের তাজু মিয়ার কাছ থেকে বছরে ১ লাখ টাকা ভাড়ায় নিয়ে তিনি ২০২০ সালে বড় আকারে চারা উৎপাদন শুরু করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সুশৃঙ্খল সারিতে সাজানো বিভিন্ন প্রজাতির সবজির চারা, পরিচর্যার আধুনিক ব্যবস্থা এবং শ্রমঘন সমন্বিত কাজের এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ।

কামাল বলেন, ‘প্রতিষ্ঠিত হতে হলে মেধা, শ্রম আর অর্থ- এই তিনটাই দরকার। করোনাকালে ৬০ শতক জমি ভাড়া নিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মূলধনে চারা উৎপাদন শুরু করি। চার ধাপে চারা উৎপাদন করে বছরে দ্বিগুণ লাভ করেছি। বৃহত্তর কুমিল্লায় এত বড় চারা উৎপাদন কেন্দ্র আর নেই।’

তার উৎপাদিত চারার মধ্যে রয়েছে; লম্বা বেগুন, তাল বেগুন, টমেটো, বাহুবলী টমোটো, ফুলকপি, ফেস কপি, সাতাত্তর কপি, চুন হোয়াইট কপি, হোয়াইট এক্সেল কপি, ১,৭০১ মরিচ, জুমকা মরিচ, কালো মরিচসহ আরও বহু প্রজাতির সবজির চারা। শ্রাবণ মাসে বীজ রোপণ করে বছরজুড়ে চার ধাপে চারা উৎপাদন ও সরবরাহ করেন তিনি। কামালের উৎপাদিত চারা শুধু কুমিল্লা জেলাতেই নয়, বরং চট্টগ্রাম, সিলেট, খাগড়াছড়ি ও কুমিল্লা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় বিপুল চাহিদা পাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন আক্তার বলেন, ‘চারা উৎপাদন কৃষি খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সরকারি বরাদ্দ পেলে আমরা অবশ্যই কামালের চারা উৎপাদন কেন্দ্রসহ সমেশপুরের অন্যান্য কেন্দ্রগুলোকে সহায়তা করব। জেলা পর্যায়েও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।’


টঙ্গীতে পলিথিন মোড়ানো মানুষের খণ্ডিত পা উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের টঙ্গীতে মানুষের খন্ডিত পা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে টঙ্গী রেলওয়ে ব্রিজসংলগ্ন এলাকা থেকে পরিত্যক্ত কার্টুনে পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় খন্ডিত পা টি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তুরাগ নদের পাড়ে রেলওয়ে ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় পরিত্যক্ত একটি কার্টুনের ভিতর পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় একটি মানব দেহের খন্ডিত অংশ (পা) দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে খন্ডিত পা টি উদ্ধার করে টঙ্গী রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশকে বুঝিয়ে দেয়।

টঙ্গী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানায়, খন্ডিত পা টি কিভাবে এই এলাকায় আসলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শক্রমে খন্ডিত পা টি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানে হবে। এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।


গ্রামবাংলার নারীদের নতুন স্বপ্নের ঘর ‘সজ্জাঘর’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাকিব আসলাম, ইবি

বাংলাদেশের গ্রামে নারীরা গ্রামীণ কার্যক্রমের সাথে সংযুক্ত থাকত। সময়ের পরিক্রমা ও কাজের ধরনের পরিবর্তনে ভিন্নতা লক্ষ্যণীয়। কারণ তাদের দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও সহযোগিতার অভাবে বহিঃপ্রকাশ ঘটে না। সমাজে দেখা যেত গ্রাম বাংলার নারীরা বিকেলে অলস সময় কাটাচ্ছেন অথচ হাতের কাজের প্রতি আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও পরিবেশ বা সুযোগের অভাবে সেই দক্ষতা কাজে লাগাতে পারছেন না। আজ সেই ছবি বদলেছে যুক্ত হয়ে নতুন মাত্রা এবং এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন। নারীদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে অসামান্য অবদান রাখছে ‘সজ্জাঘর’। এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রভাষক সাব্বির আহমেদের উদ্যোগে চালু হওয়া ‘সজ্জাঘর’ এখন গ্রামীণ নারীদের জন্য নতুন আশার আলো।

বাংলার গ্রামীণ নারীরা দক্ষ তবে তাদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে তাদের জীবনমান উন্নয়ন, পরিবার ও সমাজে তারা অনবদ্য অবদান রাখতে পারবে। নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের মেহেরপুর জেলা উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত পিআরএ মিটিংয়ে নারীদের সমস্যাগুলো উঠে আসে। অধিকাংশ নারীর প্রধান সমস্যার মধ্যে ছিল কর্মসংস্থানের অভাব। অনেকেই কাজ শিখতে আগ্রহী হলেও সুযোগ নেই। সেই চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে সাব্বির আহমেদ নারীদের জন্য এই সজ্জাঘর চালু করেন।

‘সজ্জাঘর’ এর মাধ্যমে নারীরা নিয়মিত কুশিকাটা, ম্যাক্রিম, সেলাইসহ বিভিন্ন হাতে কাজ শিখছেন। তবে শেখার পাশাপাশি কাজের মাধ্যমে তারা উপার্জনও করছেন। বর্তমানে একজন প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে প্রায় ২০ জন নারী কর্মরত আছেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীরা আনন্দের সাথে তাদের নিজস্ব প্রতিভা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তুলে ধরতে পারছে।

এক কর্মরত নারী বললেন, ‘আগে বিকেল মানেই সময়ের অপচয়, এখন আমরা প্রতিদিন নতুন কিছু শিখছি। উপার্জন কম হলেও আমরা আশা দেখছি, এবং আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্যও ফিরছে। ভালোবেসে এবং আনন্দের সাথে কাজগুলো উপভোগ করছি।

সাব্বির আহমেদ জানান, ‘নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর আহমেদ আখতারুজ্জামান স্যারের অনুপ্রেরণায় এই কাজের সূত্রপাত। পিআরএ মিটিংয়ে একশো জনের মধ্যে ৩০ জন নারীর একই সমস্যা ছিল কর্মসংস্থান। তাদের জন্য কাজ করার অভিপ্রায় থেকেই এই যাত্রা শুরু। ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতাম নারীদের জন্য কিছু করার, এখন সে সুযোগ এসেছে।

তিনি আরও যোগ করেন, ‘জানিনা কতদূর সফল হবে এই উদ্যোগ, কিন্তু চেষ্টা করে যেতে কোনো সমস্যা নেই। সকলের সহযোগিতায় একদিন এটি আশার আলো দেখাবে।’

সাজানো, শিখানো এবং উপার্জন—এই তিনটি অঙ্গনে এই সজ্জাঘর এখন শোভা ছড়াচ্ছে সেই অঞ্চলজুড়ে।


নীলফামারীতেই হবে চীনের উপহারের হাসপাতাল : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিনিধি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, চীনের উপহারের হাসপাতাল নীলফামারীতেই হবে।

এবিষয়ে তিনি বলেন, নীলফামারীতে চীনের উপহার হিসেবে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে কোনো সংশয় নেই।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সংস্কারের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা সংস্কার করার চেষ্টা করছি। বাকিটা নির্বাচিত সরকার এসে সম্পন্ন করবে বলে আশা করছি।

সভায় শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকরা এখন অনেক বেতন পান, কিন্তু তারা সেইভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেন না। আমার পরিবার একটি স্কুল চালায়। সেই স্কুলটি সরকারি হয়েছে, কিন্তু সেখানে শিক্ষার মানের কোনও উন্নয়ন হয়নি।

তিনি বলেন, প্রবাসী শ্রমিকের দিক থেকে রংপুর অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এই অঞ্চলকে এগিয়ে নিতে দক্ষ জনবল তৈরি করতে সরকার উদ্যোগ নেবে। দক্ষ শ্রমিক তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করতে হবে।

মত বিনিময় সভায় রংপুর জেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি প্রাণিসম্পদসহ বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।


গুলশানে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ জব্দ

গ্রেপ্তার ১
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলশানে মদের চালানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তার কাছ থেকে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম (২১) নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ভিটি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।

এ বিষয়ে র‍্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


তেলের দাম নিয়ে বাজারে হইচই, পেঁয়াজে আবার অস্থিরতা

আপডেটেড ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক 

তিনদিন ধরে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে চলছে হইচই। সরকারের অনুমতি ছাড়াই প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে আবার অস্থিরতা শুরু হয়েছে দেশি পেঁয়াজের দামে। দুই-তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ সংকটের কারণেই পেঁয়াজের দাম চড়েছে। এদিকে শীত এলেও কমেনি দাম, বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকার কারওয়ান বাজার, বাড্ডা, রামপুরা, সেগুনবাগিচা, ফার্মগেটসহ কয়েকটি খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। যদিও সেটা পরিমাণে খুব অল্প। এই পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। তবে চড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। এখন এক কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে অন্তত ১৪০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেই পেঁয়াজের দাম ছিল বাজার ও মানভেদে ১১০-১২০ টাকার মধ্যে। সেটা এখন কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের বাজার বিশ্লেষণের তথ্য বলছে, এক মাস আগের তুলনায় দেশি পেঁয়াজের দাম এখন ১৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া গত বছরের এই সময়ে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা, যা এবারে ছাড়িয়ে গেল।

সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারের মামা-ভাগিনা মুদি দোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ জানান, নতুন পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসেনি। দেশি পেঁয়াজ যেটা আসছে সেটার মানও খুব বেশি ভালো না। কারণ সরবরাহ একেবারেই কমে গেছে। ফলে পাইকারি পর্যায়ে গত দু-তিন দিন ধরেই দাম বাড়ছে। এই দাম নতুন পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত কমবে না।

জানা গেছে, পেঁয়াজের দামের এই সাময়িক উলম্ফন ঠেকানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে চেয়েছিল। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয় তার বিরোধিতা করে। তাদের যুক্তি ছিল নভেম্বরের মাঝামাঝিতেই নতুন উৎপাদিত দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসবে। কিন্তু সেটা হয়নি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রক্ষেপণের প্রায় মাসখানেক সময় পেরিয়ে গেলেও বাজারে দেশি পেঁয়াজ নেই। এ কারণে বাজারে আবার অস্থিরতা শুরু হয়েছে।

এদিকে, স্বাভাবিকভাবে শীতের মৌসুমে বাজারে সবজির দাম তুলনামূলকভাবে কম থাকে। তবে এবার শীতেও যেন সবজির বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম এখন বাড়তি যাচ্ছে। মূলা আর পেঁপে ছাড়া অধিকাংশ সবজির দাম প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকার ঘরে রয়েছে। এমনকি কিছু কিছু সবজি ১০০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে প্রতিপিস ফুলকপি (মাঝারি) বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, বাঁধা কপিও (মাঝারি) প্রতি পিস ৪০ টাকা, এছাড়া প্রতি কেজি বেগুন (গোল) ৮০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া শালগম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৫০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, নতুন আলু প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পেঁয়াজের ফুল প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আলতাফ হোসেন সবজির দাম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘শীত মৌসুম আসলে সব ধরনের সবজির দাম কমে যায়। কিন্তু এবার দেখছি উল্টোটা, শীত এসেছে ঠিকই কিন্তু সব সবজির দাম বেড়ে গেছে। এমন বাড়তি দাম আগে কখনো দেখিনি। তবুও বাধ্য হয়ে বাসায় খাবার জন্য সবজি কিনতে হচ্ছে, তবে আগে যেখানে এক কেজি কিনতাম, এখন সেটা আধা কেজি করে কিনতে হচ্ছে।’

সবজি দাম বাড়তি হওয়ার কারণ হিসেবে মালিবাগ বাজারের বিক্রেতা এরশাদ আলী বলেন, ‘পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ তুলনামূলক কম। সে কারণে আমাদের কেনা দাম বেশি পড়ছে, ফলে বিক্রিও বেশি দামে করতে হচ্ছে।’

তবে কাওরানবাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম দাম বাড়ার পেছনে অন্য একটি কারণ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে ক্ষেতে থাকা সবজির গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বৃষ্টির কারণে। এতে সবজির ফলন ঘাটতি হয়েছে এবং ক্ষেতের চারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ফলন ঘাটতির প্রভাব এখন বাজারে পড়েছে, সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে। এ ছাড়া কাওরানবাজারে সবজি বোঝাই ট্রাক আসার পর তা কয়েক হাত বদল হয়, যার ফলেও সবজির দাম বেড়ে যায় এবং সেই প্রভাব খুচরা বাজারে পড়ে।

বাড্ডার সবজি বিক্রেতা শফিকুল জানান, গত এক সপ্তাহে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এই সরবরাহের কারণে দাম কমতে শুরু করেছে। এতে করে বিক্রিও বেড়েছে।

তবে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম একেবারেই কমে গিয়েছিল। গত তিন-চার দিন ধরেই প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১১৫-১২০ টাকা দরে। যদিও শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ডিমের দাম আবারও খানিকটা বেড়েছে। পাইকারিতে বেড়ে যাওয়ার কারণে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন আবারও ১৩০ টাকায় উঠবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তারা। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকার মধ্যে। তবে দুদিন ধরেই সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে বেশ হইচই হচ্ছে। কারণ ব্যবসায়ীরা সরকারের অনুমোদন ছাড়াই বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছেন ৯ টাকা। একইভাবে ৫ লিটারের বোতলের দাম ৪৩ টাকা এবং ২ লিটারের বোতলের দাম বাড়িয়েছেন ১৮ টাকা।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন গত বুধবার সাংবাদিকদের জানান, সরকারের অনুমতি ছাড়াই ব্যবসায়ীরা তেলের দাম বাড়াতে পারেন না। এটা আইনের ব্যত্যয়। আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।


banner close