রোববার, ৩ আগস্ট ২০২৫
১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

সংকট উত্তরণে ম‌ন্ত্রিসভার ৬ নির্দেশনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার সভাপ‌তিত্বে সোমবার তার কার্যাল‌য়ে ম‌ন্ত্রিসভার বৈঠক হয়।
আপডেটেড
১৪ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:৫৭
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর, ২০২২ ১৫:৪৫

বৈশ্বিক সংকটের কার‌ণে দেশে যেন কোনো কঠিন পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে খাদ্য উৎপাদন বাড়া‌নোসহ ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার সভাপ‌তিত্বে সোমবার তার কার্যাল‌য়ে অনুষ্ঠিত ম‌ন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে এসব নি‌র্দেশনা দেয়া হ‌য় ব‌লে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জা‌নি‌য়ে‌ছেন।

‌তি‌নি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা পর্য‌বেক্ষণ দি‌য়ে‌ছে আমাদের সর্বাবস্থায় ফুড প্রোডাকশনটা বাড়াতে হবে। আমরা যতই ফুড ইমপোর্টের কথা বলি, ক্রাইসিসটা থাকবেই। যদিও ইউক্রেন ও রাশিয়াকে ফ্রি করে দেয়া হয়েছে যে, ফুডের বিষয়ে কোনো ইমপোজিশন থাকবে না। তবে স্টিল এটি ম্যাটার করবে।’

ম‌ন্ত্রিপ‌রিষদ স‌চিব ব‌লেন, ‘ফরেন কারেন্সির একটি সমস্যা হচ্ছে, ফেডারেল রিজার্ভের রেট অব ইন্টারেস্ট বৃদ্ধি হওয়ার কারণে যেসব দেশ লোন নিয়ে কাজ করে বা যাদের ইমপোর্ট বেশি তাদের কিন্তু দুদিক থেকেই অসুবিধা হচ্ছে। আমরা যখন টাকা দিচ্ছি, তখন বেশি দিচ্ছি আবার যখন পাচ্ছি, তখন কম পাচ্ছি। সেজন্য ডাবল নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এ জন্য সবাইকে ফুড প্রোডাকশন বাড়াতে আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। এটার সম্ভাবনাও আছে। আমরা গত ৪-৫ মাস থেকে দেখছি এগ্রিকালচার, ফিসারিজ ও লাইভস্টকে বেশ কিছু নতুন ভ্যারাইটি এসেছে। এগুলো অলরেডি টেস্টেড। এগুলো রিপ্লেস করলে আগামী ১-৩ বছরের মধ্যে ফুড প্রোডাকশন ডাবলের কাছাকাছি চলে যাবে।’

মন্ত্রিসভা বিদেশে প্র‌শি‌ক্ষিত জনবল পাঠা‌নোর নি‌র্দেশনা দি‌য়ে‌ছে জানিয়ে ম‌ন্ত্রিপ‌রিষদ স‌চিব ব‌লেন, ‘আমরা যেন আনস্কিলড লেবার না পাঠিয়ে স্কিলড লেবার পাঠাই, তাহলে তাদের জন্য হাই সেলারিতে কাজ করার সুযোগ হবে। সেক্ষেত্রে যেসব দেশে আমরা পাঠাব, সেসব দেশের চাহিদা অনুসরণ করে যেন ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করা হয়। তাদের সার্টিফিকেটগুলো যেন প্রোপার ইনস্টিটিউট থেকে তারা পায়, না হলে তাদের স্কিল বা ট্রেনিংয়ের কোনো দাম থাকে না।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘রেমিটেন্স বৃদ্ধির জন্য কিছু ইন্সট্রাকশন দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে একটি সার্কুলার দিয়েছে যে, এখন থেকে রেমিটেন্স পাঠাতে কাউকে ফি দিতে হবে না। যে ব্যাংকে পাঠাবে, সেই ব্যাংকই এটা হ্যান্ডেল করবে কীভাবে বেনিফিট দেয়া যায়। এটা এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ক্লিয়ার করেছে বা করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাইরে থেকে যারা রেমিটেন্স পাঠায় তাদের অনেকগুলো কলাম ফুলফিল করতে হয়, সেখানে তাদের কমফোর্ট দেয়া যায় কিনা। যেমন নাম বা এনআইডি দিয়ে পাঠানোর সিস্টেম। বাকিগুলো ডাটাবেজ থেকে নেয়া যায় কিনা। তাহলে বিষয়টি সহজ হয়ে যাবে।’

আনোয়ারুল ব‌লেন, ‘ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট আরও বাড়াতে হবে। এর জন্য যে শর্ত আছে, সেগুলোকে আরও কমফোর্ট করা যায় কিনা। অলরেডি আমরা কয়েকবার বসে কাজ চলছে, যাতে একমাত্র বিডাতেই যায় ইনভেস্টররা। এক বিডাতেই কয়েকটি উইন্ডো খোলা হবে, যেমন পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন যেখানে ইন্ডস্ট্রিটা হবে লাইসেন্স নিতে যাতে তাকে সেখানে যেতে না হয়। এনবিআরের ট্যাক্স দেয়ার ক্ষেত্রেও যাতে তাকে এনবিআরে যেতে না হয়।

আরেকটি বড় বিষয় ছিল, রিপ্যাট্রিয়েশন অব ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড, এটাও আমরা অনেক কমফোর্ট করে দিয়েছি। এটা আমরা নিজেরাই, আমাদের প্রায় এক-দেড় বছর লেগেছে। এখন এটা অনেক কমফোর্ট হয়েছে। এ রকম আরও কিছু কমফোর্ট দেয়া যায় কিনা যাতে করে ইনভেস্টররা আমাদের এখানে কাজ করতে আগ্রহী হন।’

ম‌ন্ত্রিপ‌রিষদ স‌চিব ব‌লেন, ‘ফুড স্টোরেজটাকে সব সময় কমফোর্টেবল রাখতে হবে। এখন এটা ভেরি কমফোর্টেবল অবস্থায় আছে। প্রাইভেট সেক্টরকেও অনেক ফুড ইমপোর্ট করার অনুমতি দেয়া হয়েছে, প্রায় ১৫ লাখ মেট্রিক টন। একাধিক বড় দেশ যারা সাপ্লিমেন্টারি ফুড যেমন তেল বা মসলা এক্সপোর্ট করে তাদের সঙ্গে সরাসরি আমাদের ইমপোর্টারদের যোগাযোগ করিয়ে দিয়ে সরাসরি করা যায় কিনা। সরাসরি গেলে কমফোর্টেবল প্রাইজে পাওয়া যাবে এতে আমাদের মার্কেটে প্রভাব রাখবে।’

তিনি বলেন, ‘ট্যাক্স কমফোর্টের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এটা আমাদের খাদ্যমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। উৎসে কর সংক্রান্ত কিছু বিষয় আছে, এটা দিতে হয়। এনবিআরকে বলা হয়েছে, আলাপ আলোচনা করে ইমিডিয়েটলি যেন তারা একটি সন্তোষজনক প্রোভিশনের মধ্যে যায় যাতে করে আমাদের ফুড ইমপোর্টারা কমফোর্টে আসতে পারে।’


নেত্রকোণায় ঝুঁকিপূর্ণ খুটিঁ সরিয়ে নতুন উন্নত বৈদ্যুতিক  খুটিঁ স্থাপন করার দাবী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এ বি চৌধুরী নাদিম,জেলা প্রতিনিধি

নেত্রকোনা সদর উপজেলার বাংলা ইউনিয়নের সহিলপুর থেকে নয়াপাড়া বাংলা এলাকায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বৈদ্যুতিক লাইনের বেহাল দশা জনমনে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসী দ্রুত এই ঝুঁকিপূর্ণ লাইন সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।নয়াপাড়া বাংলা এলাকার এই বিদ্যুৎ লাইনে কোনো বৈদ্যুতিক খুঁটি নেই, বরং নিম্নমানের বাঁশের খুঁটি ব্যবহার করা হয়েছে। এই লাইনটি বাঁশঝাড় ও লোকজনের চলাচলের রাস্তার পাশ দিয়ে গেছে। বিশেষ করে, বীণাপাণি বিদ্যাপীঠ স্কুলের ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এই ঝুঁকিপূর্ণ লাইনের পাশ দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। বীণাপাণি বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ অজিত কুমার সিংহ বলেন, "এই নিম্নমানের বৈদ্যুতিক খুঁটি দ্রুত সংস্কার করে নতুন বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি। এটি এলাকাবাসীকে চরম বিপদের হাত থেকে রক্ষা করবে।"

এলাকাবাসীর আশঙ্কা, যেকোনো সময় একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, বিশেষ করে ঝড়-তুফানের এই মৌসুমে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। বাংলা নয়াপাড়া এলাকায় অবস্থিত রায়বাড়ী ও ঐতিহ্যবাহী বীণাপাণি বিদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠাতা জনাব অসীম কুমার রায়ও এই সমস্যার দ্রুত সমাধানে গুরুত্বারোপ করেছেন। জানমালের নিরাপত্তার কথা ভেবে এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে জরাজীর্ণ ও চিকন বাঁশের খুঁটি দিয়ে নির্মিত এই লাইনের বেহাল দশা থেকে উত্তরণের মাধ্যমে সকল দুর্ঘটনা থেকে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়েছেন। নেত্রকোনা পিডিবি কর্তৃপক্ষ যাতে দ্রুত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে বৈদ্যুতিক লাইন সংস্কার করে নতুন খুঁটির ব্যবস্থা নেয়, সে বিষয়ে এলাকাবাসী সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।


নড়াইলে ৮৫ বছরের বৃদ্ধার জমি লিখে নিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইল সদর উপজেলার চরশালিখা গ্রামে ৮৫ বছরের বৃদ্ধা ছিয়ারন নেসার জমি লিখে নিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রামবাসীর আয়োজনে শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে চরশালিখা গ্রামীণ রাস্তার তিনমাথায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন-বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাখা কাজী, ভুক্তভোগী ছিয়ারন নেসা ও তার ছেলে বাবু মোল্যা, মশিয়ার রহমান, নবীর হোসেন, লিটন শেখ, আব্দুর রহমান, মুরাদ হোসেনসহ অনেকে।

বক্তারা জানান, নাতনি কমলা বেগম চরশালিখা গ্রামে প্রায় ৪২ শতক বসতভিটার জমি লিখে নিয়ে নানী ছিয়ারন নেসাকে বাড়ি থেকে প্রায় এক সপ্তাহ আগে তাড়িয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়েছেন ছিয়ারন নেসার একমাত্র ছেলে বাবু মোল্যাসহ গ্রামবাসী।

প্রতিবেশিরা জানান, আড়াই মাসের সন্তান কমলাকে রেখে তার মা আনজিরা বেগম মারা যান। এরপর নানী ছিয়ারন নাতনি কমলাকে নিজের বুকের দুধ খাইয়ে বড় করেন। আদরের নাতনি কমলাকে নিজ গ্রাম চরশালিখায় বিয়ে দেন। এরপর নাতজামাইকে প্রায় সাত শতক জমি বিক্রি করে আট বছর আগে বিদেশ পাঠান। নাতনি কমলা বেগমের আবদারে বসতভিটার পাঁচ শতক জমি লিখে দিতে রাজি হন নানী ছিয়ারন। কিন্তু কমলা বেগম অপকৌশলে নানীর কাছ থেকে ৪২ শতক জমি লিখে নেন। প্রায় এক সপ্তাহ আগে বৃদ্ধা ছিয়ারন বেগমকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে উল্টো নানিসহ প্রতিবেশিদের নামে সংবাদ সম্মেলন করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন কমলা বেগম। কমলা দাবি করে জানান, তিনি নানীর কাছ থেকে ফাঁকি দিয়ে জমি লিখে নেননি।

তবে গ্রামবাসী বলেন, ছিয়ারন নেসার অনেক জমিজমা থাকতেও আদরের নাতিকে সব জমি লিখে দিয়ে আজ পথে পথে ঘুরছেন। বাড়িতে উঠতে পারছেন না। নিজের ঘরে মাথা গোঁজার ঠাঁই না পেয়ে গ্রামে এ-বাড়ি, ও-বাড়ি খেতে হচ্ছে ছিয়ারন নেসাকে। অনেক কষ্টে বিভিন্ন জায়গায় থাকতে হচ্ছে। ছিয়ারন নেসা ছেলে বাবুকেও মাথা গোঁজার মতো একটু জমি দিতে পারেননি। সব জমি তার নাতনি লিখে নিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে ছিয়ারন নেসার ছেলে বাবুর সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই। ঘটনাটি নড়াইল সদর থানা পুলিশ তদন্ত করছে। বৃদ্ধা ছিয়ারন নেসা যেন ন্যায়বিচার পান এই প্রত্যাশা করছেন গ্রামবাসী।

এদিকে সদর থানার এসআই সুকান্ত ও এএসআই জাবেদ বলেন, শুক্রবার বিকেলে আমরা সরেজমিন তদন্ত করেছি। ভুক্তভোগীসহ গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।


পল্লীকবি জসীম উদদীন স্মরণে "শতবর্ষে কবর" গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

আবহমান গ্রাম বাংলার মাটি ও মানুষের কবি পল্লীকবি জসীম উদদীন স্মরণে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে "শতবর্ষে কবর" গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফরিদপুরের সাবেক ডিসি ও ফরিদপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি জালাল আহমদ এর সভাপতিত্বে- ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলনের সঞ্চালনায় অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি. আর আবরার।

এসময় পল্লীকবি জসীম উদদীন এর কবর কবিতা ও তার সাহিত্যকর্ম নিয়ে অলোচনায় অংশ নেন কথা সাহিত্যিক ও গবেষক আন্দালিব রাশদী, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা পাখি বিশেষজ্ঞ, ইনাম আল হক, ভ্রমণ লেখক ও কথা সাহিত্যিক ফারুক মঈনুদ্দীন, নয়নজুলি প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী ড. মোহাম্মদ আলী খান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুস সামাদ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়, ডেইলী স্টারের সাহিত্য সম্পাদক ইমরান মাহফুজ, ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি প্রফেসর আলতাফ হোসেন, জুলাই যোদ্ধা ইমরান মাহফুজ সহ লেখক,সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিকগণ।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টাসহ অতিথিদেরকে ফুলেল শুভেচছা জানান ফরিদপুর মুসলিম মিশন প্রাক্তন ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন ও সদস্য মোঃ কামাল উদ্দিন মিয়াসহ অন্যান্যরা।


কুমিল্লার গোমতী নদীর সব অবৈধ স্থাপনা ৬ মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ হাইকোর্টের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার গোমতী নদীর দুই তীরে গড়ে ওঠা সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা ছয় (০৬) মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার (০৩ আগষ্ট) দুপুরে বিচারপতি মজিবুর রহমান ও বিচারপতি বশির উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ প্রদান করেন।

আদালত আদেশে বলেছেন, গোমতী নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষায় যেকোনো ধরনের দখলদারিত্ব কঠোরভাবে দমন করতে হবে। আদালত আরও বলেন, এই নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং জনস্বার্থের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে।

এই রিটের আবেদনকারী ছিলেন নদী রক্ষা ও পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া। রিটকারীর পক্ষে শুনানী করেন, সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোর্শেদ।

তিনি বলেন, "গোমতী নদী এখন দখলদারদের দখলে চলে গেছে। নদী চিহ্নিত করে সীমানা নির্ধারণ সত্ত্বেও সেখানে গড়ে ওঠেছে অবৈধ দোকানপাট, স্থাপনা ও বাড়িঘর।

তিনি আরও বলেন, "আদালতের এই রায় শুধু গোমতী নয়, দেশের সব নদী রক্ষায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা আশা করছি প্রশাসন এখন আর দখলদারদের সঙ্গে আপস না করে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করবে।"

আদালতের নির্দেশে, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, অন্যান্য সরকারি দপ্তরগুলোকে এই ছয় মাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, আমি এখনো নির্দেশনা হাতে পাইনি। তবে আমরা নিয়মিত ভাবে ই গোমতীর দুই পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চালিয়ে থাকি।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়সার বলেন, আমি রিটকারী আইনজীবীর সাথে কথা বলেছি এবং মহামান্য আদালতকে জানিয়েছি নদীর দুই তীরে সাড়ে পাঁচশোর বেশি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এগুলো উচ্ছেদের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ব্যয় বাজেট পাঠানো হয়েছে। আমরা অর্থ বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করব।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আমরা ইতিমধ্যে সদর উপজেলার গোমতী নদীর দুই তীরের বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি।


কুষ্টিয়ায় ১৫ লক্ষ টাকার জাল ও মাদক উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আতিয়ার রহমান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় পৃথক অভিযানে ১৫ লক্ষ টাকার জাল ও মাদক উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। এসময় মালিকবিহীন অবস্থায় ভারতীয় ৩০০ কেজি অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল, ১০০ গ্রাম হেরোইন এবং ৩০০ পিস সিলডিনাফিল ট্যাবলেট আটক করা হয় । রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজিবি সূত্র জানান, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর উপজেলার কাতলামারী এলাকায় ভোর ৫টার দিকে ব্যাটালিয়ন সদরের বিশেষ টহল দল অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ৩০০ কেজি অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল উদ্ধার করে, যার আনুমানিক মূল্য ১২,০০,০০০ টাকা।

এর আগে গত ২ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার জামালপুর এলাকায় মাদক চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ভারতীয় ১০০ গ্রাম হেরোইন এবং ৩০০ পিস সিলডিনাফিল ট্যাবলেট আটক করেন বিজিবি। যার আনুমানিক মূল্য- ২,৯০,০০০ টাকা। আটককৃত মাদক ও জালের সর্বমোট মূল্য- ১৪,৯০,০০০ টাকা।

আটককৃত এসকল অবৈধ জাল এবং মাদকদ্রব্য ধ্বংসের জন্য ব্যাটালিয়ন মাদক স্টোরে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান বিজিবি সূত্র।

কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি’র) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মাহবুব মুর্শেদ রহমান পিএসসি বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং মাদক পাচারসহ সব ধরনের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে ৪৭ বিজিবি। ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।


পরমাণু বিজ্ঞানী শমশের আলীর মৃত্যুতে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার শোকপ্রকাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সচিবালয় প্রতিবেদক

পরমাণু বিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ড. এম শমশের আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম।

এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহ আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে পরমাণু বিজ্ঞানী শমশের আলীর অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তাঁর মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

উল্লেখ্য, পরমাণু বিজ্ঞানী শমশের আলী শনিবার (২রা আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।


ভরা মৌসুমে ইলিশের আকাল,চিন্তিত লক্ষাধিক জেলে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
 মাহবুবুর রহমান,নোয়াখালী

বর্ষার ভরা মৌসুমে মিলছেনা ইলিশের দেখা। শুন্য হাতে ফিরছে জেলে নৌকা গুলো। ফলে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা হাতিয়ার লক্ষাধিক জেলে পরিবারকে। চোখে মূখে হতাশা ও চিন্তার ছাপ। জেলে, শ্রমিক, ব্যাপারী ও আড়ৎদার সবার একই অবস্থা।

হাতিয়া উপজেলায় নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজারের মতো জেলে রয়েছে। যাদের জীবিকা সরাসরি জড়িত মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা ও বিক্রির সাথে। এই জেলেদের মধ্যে প্রায় ৮০% ভাগ নির্ভর করে শুধুমাত্র ইলিশের মৌসুমের উপর। অথচ চলতি মৌসুমে জেলেরা বলছেন, মাছ ধরতে গিয়ে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে।

এপ্রিল থেকে আগষ্ট পর্যন্ত ইলিশের ভরা মৌসুম। এসময় জেলেরা পুরোপুরি ভাবে ব্যাস্ত সময় পার করে ইলিশ শিকারে। প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে ব্যাস্ত সময় পার করছে। নিঝুমদ্বীপ, বন্দরটিলা, সুইজের ঘাট, মোক্তারিয়া, দানারদোল, সূর্যমূখী, কাজিরবাজার বাংলাবাজার ও চেয়ারম্যানঘাট সহ দ্বীপের বড় ২০ টি ঘাটের ছোট বড় প্রায় ১০ হাজার জেলে নৌকা নদীতে বিচরণ করছে। কিন্তু হতাশার বিষয় হলো জেলেদের জালে মিলছে না কাংখিত ইলিশ। প্রতিদিনই শুন্য হাতে ঘাটে ফিরতে হচ্ছে তাদের। মৌসুমের বেশিরভাগ সময় ফেরিয়ে গেলেও এখনো লাভের মুখ দেখেনি তারা। অন্যদিকে নদীতে যেতে প্রতিদিনই যে ব্যয় হচ্ছে তাতে আর্থিক দেনার পরিমান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকে পরিবারের দৈনন্দিন ব্যয় মিটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। ঘাট গুলোতে হাঁকডাক নেই, দেখা দিয়েছে নিরব নিস্তব্দতা ও হতাশা।

সরেজমিনে উপজেলার সূর্যমূখী ঘাটে গিয়ে দেখাযায়, দক্ষিন পাশে খাল পাড়ে বসে আছেন করিম মাঝি (৫৮) নামে এক জেলে। কুশল বিনিময়ের এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।মূখের দাড়ি বেয়ে পড়তে থাকে চোখের পানি। করিম মাঝি বলেন, সিজনের শুরুতে ধার দেনা করে নদীতে নামি। যা মাছ পাই তা বিক্রি করে তেল খরচও মিটাতে পারিনা। এজন্য গত চারদিন নদীতে না গিয়ে ঘাটে বেকার বসে আছি। প্রতি সপ্তাহে এনজিও থেকে কিস্তির জন্য লোকজন আসেন। পরিবারের খরচ চলেনা। সমুদ্রে মাছ নেই চুলায় আগুন নেই।

করিম মাঝির মত অনেকে খাল পাড়ে দাড়িয়ে থেকে বসে সময় কাটাচ্ছেন। সবার মূখে হতাশার চাপ। কথা হয় সূর্যমূখী ঘাটের আব্দুর রব মাঝির সাথে । তিনি জানান, তার ইঞ্জিন চালিত নৌকায় ৮জন লোক কাজ করেন। গত দুই মাসে একটাকাও ভাগে পায়নি কেউ। একদিকে নৌকার খরচ অন্যদিকে সংসারের ব্যয় । সবমিলে দু মাসে একলাখ ৫০ হাজার টাকা দেনার মধ্যে পড়ে আছেন। এর মধ্যে দুজন লোক কাউকে না বলে গোপনে চট্রগ্রাম চলে গেছেন। এখন নৌকাটি ঘাটে পড়ে আছে। লোকের অভাবে নদীতে যেতে পারছেন না। তিনি আরো জানান, এই ঘাটে স্থানীয় ও বাহিরের মিলে ৫ শতাধিক ট্রলার রয়েছে। সব মিলে ৩০-৪০ টি ট্রলার নদীতে যায়। অন্যরা সবাই ঘাটে বেকার সময় পার করছে। মাছ না থাকায় কেউ এখন নদীতে যায়না।

সূযমূখী মাছ ঘাটের শ্রমিক সর্দার নুর ইসলাম জানান, তার অধিনে এই ঘাটে ৮৫ জন শ্রমিক কাজ করে। খালে কোন নৌকা বা ট্রলার এলে তারা টুরকিতে করে সেই মাছ ডাকের বাক্সে এনে দেয়। প্রতিদিন যে টাকা পায় তা ভাগ করে নেয়। এই বছর প্রথম থেকে মাছ নেই নদীতে। প্রতিদিন কাজ শেষে ভাগে ৩০-৪০ টাকা করে পায় শ্রমিকরা। এতে নিজেদের চা নাস্তাও হয় না। সংসার চালাতে হয় দেনা করে।

সূর্যমূখী ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক মো: ফয়েজুর রহমান নান্টু বলেন, ৯৩ সাল থেকে মাছ ব্যবসার সাথে জড়িত। এই বছরের মতো এতো কঠিন অবস্থা আর কখনো দেখিনি। মৌসুমের প্রথম থেকে মাছ নেই। অনেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে অন্যত্র চলে গেছে। ঘাটে পড়ে থাকা অসংখ্য জেলে নৌকার জেলেরা পালিয়ে গেছে। ঘাটে সবার মূখে হতাশা। একধরনের নিরব হাহাকার চলেছে জেলে পল্লী ও মাছ ঘাটে। তিনি আরো বলেন, শুধু সূর্যমূখী ঘাটে নয় একই অবস্থা হাতিয়ার ২০টি ঘাটে। মাছ ব্যবসার সাথে জড়িত সবাই অনেকটা দেউলিয়া হয়ে পড়েছে।

এছাড়াও জেলেদের অভিযোগ , বরাদ্দকৃত প্রণোদনা ও চাল বিতরণ কার্যক্রমে অনিয়ম রয়েছে। প্রকৃত জেলেরা বঞ্চিত হচ্ছেন সহায়তা থেকে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান দৈনিক বাংলাকে বলেন, 'এখনতো আমাবস্যা চলতেছে,এখন আগের তুলনায় মাছ পাওয়া যাচ্ছে। জেলেরা যদি বলে মাছ পায়না এটা ঠিক না। আমিতো এখানে একবছর যাবৎ চাকুরী করি, জেলেরা সবসময় বলে মাছ পায়না। অনেকের লাভ লোকসানের বিষয় থাকতেই পারে। এটাতো নদীর মাছ চাষের না, এখানেতো আর পুরোপুরি হাত নাই।'

তিনি ভরা মৌসুমে ইলিশ না পাওয়ার কারন হিসাবে জাটকা নিধন, মা ইলিশ ধরা ছাড়াও ডুবো চর, জলবায়ুর পরিবর্তন। এছাড়াও উপকূলীয় এলাকায় কলকারখানার বর্জ্য নদীতে আসাতে মাছের বিচরণ অনিরাপদ হয়ে উঠছে বলে উল্লেখ করেন ।

নোয়াখালী জেলা মৎস কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ' আমি গত পরশু চেয়ারম্যানঘাট, নিঝুম দ্বীপ ও সূর্যমুখী ঘাটে গিয়েছি। জেলেরা ইলিশ পাচ্ছে তবে তাদের আশানুরূপ পাচ্ছেনা। ইলিশ পরিপূর্ণভাবে আসে আগষ্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরে। আশাকরি সামনের এসময়ে তারা পর্যাপ্ত ইলিশ ধরতে পারবে।'


হাটহাজারীতে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাবলু দাশ,হাটহাজারী( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সালিশি বৈঠকে ফখরুল ইসলাম (৫৮) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা পুলিশ নুর আলম (৪২) ও মো.মুসলিম (৪৫) নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে হাটহাজারী থানাধীন ১নং চসিকস্থ সন্দীপ কলোনির আমতলী এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ফখরুল ইসলাম উল্লেখিত এলাকার ফয়জল মাওলার পুত্র।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মাসের ২৭ জুলাই স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে উল্লেখিত এলাকার জান্নাতুল মায়মুনা রুমিকে ওই এলাকার রিফাত ও তার সহযোগী জাহিদ,বাদল,রিপন,আব্দুর রহমান জোরপূর্বক তুলে নিয়ে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নিয়ে যায়। পরে সেখানে রিফাত জোরপূর্বক তাকে বিয়ের রেজিস্টারে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এদিকে ভিক্টিমের পরিবার জান্নাতুল মাইমুনা রুমিকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ঘটনারদিন রাতেই হাটহাজারী মডেল থানায় জিডি করেন। এরপর হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ নোয়াখালীর সুবর্ণচর থেকে সেখানকার থানা পুলিশের সহযোগিতায় জান্নাতুল মাইমুনা রুমিকে উদ্ধার করে হাটহাজারী এনে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরে শুক্রবার রাতে ছেলে মেয়ে উভয় পক্ষ একটি সমাধানের জন্য সন্দীপ কলোনীর আমতলী এলাকায় সালিশে বৈঠকে বসে। সেখানে এলাকার সমাজ প্রতিনিধি মেয়ের কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানার সময় ছেলে পক্ষ এবং মেয়ে পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ লেগে যায়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে মেয়ের বাবা ফখরুল ইসলামের উপর হামলা চালালে তিনি অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাটহাজারী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ইমরান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।


নওগাঁয় নারীকে এলোপাতাড়ি  কুপিয়ে জখম করলেন বাবা ছেলে

আপডেটেড ৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:২৫
নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বৈকুন্ঠপুর গ্রামে শাবনাজ আক্তার (৩২) নামের এক নারীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে।

‎ গত ৩০ জুলাই সকালে নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আহত শাবনাজ নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্তরা হলেন একই গ্রামের মৃত আবুলের ছেলে মো. সোহাগ (৩৬) এবং তার ছেলে মো. শুভ (১৯)।

‎স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এর আগেও গত ৯ জুলাই দুপুরে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে সোহাগ, গোলাপ, শুভ, রিনা ও সাবিনা ইয়াসমিন দলবদ্ধ হয়ে শাবনাজের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়ির বাগানে থাকা পেয়ারা, বাদাম ও আম গাছসহ বিভিন্ন ফলগাছ কেটে ফেলে। এ সময় শাবনাজ ও তার মা রশিদা বেগমকে বাঁশ ও লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়, যার ফলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা ও জখম হয়। অভিযুক্তরা ঘরের আলমারি ভেঙে আট আনার একটি স্বর্ণের চেইন (মূল্য আনুমানিক ৮০ হাজার টাকা) ও বিদেশযাত্রার জন্য জমাকৃত নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। বাধা দিলে শাবনাজ ও তার মায়ের পোশাক ছিঁড়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগও রয়েছে।

‎‎এ ঘটনায় শাবনাজের মা রশিদা বেগম বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ১ জনকে গ্রেপ্তার করলেও পরে জামিনে মুক্ত হয়ে গোলাপ বিদেশে চলে যায়। মামলার জেরে গত ২৯ জুলাই অভিযুক্তরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে শাবনাজের বাড়িতে গিয়ে হত্যার হুমকি দেয়।

‎গত ৩০ জুলাই পাশের বিরোধপূর্ণ জমিতে মরিচ গাছ কাটতে গেলে শাবনাজ নিষেধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে সোহাগ ও তার ছেলে শুভ ধারালো হাসুয়া নিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে শাবনাজের হাত ও মুখে গুরুতর জখম হয়। পরে তার তার ভাই ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।

‎ভুক্তভোগী শাবনাজ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমাকে এর আগেও একাধিকবার হামলা করেছে। কোথায় যাবো, কী করবো বুঝতে পারছি না। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলেই সোহাগ, শুভ, গোলাপসহ কয়েকজন আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। আমার বিদেশ যাওয়ার জন্য জমাকৃত সব টাকা ও স্বর্ণ লুট করে নিয়ে গেছে। সেদিন আমাদের জমির মরিচ গাছ কেটে ফেলছিল, আমি বাধা দিতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ছুরি ও হাসুয়া নিয়ে আমাকে কোপাতে থাকে সোহাগ,শুভ আরো ২-৩ জন। চিৎকার করতে করতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি, তবুও তারা থামেনি। আমি ও আমার পরিবারের উপর একাধিক হামলার সঠিক বিচার চাই।”

‎শাবনাজের মা রশিদা বেগম (৬৫) বলেন, “বর্তমানে সোহাগ ও তার ছেলে শুভ এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। কথায় কথায় বাড়ি থেকে ধারালো অস্ত্র বের করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমরা ভয়ে থানায় অভিযোগ করতেও পারি না। মামলা করায় আবারও মেয়ের উপর হামলা করে গুরুতর জখম করেছে। আমরা গরিব মানুষ, দয়া করে আমাদের বাঁচান।”

‎এ বিষয়ে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ আনিছুর রহমান বলেন, “জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে নারীর ওপর হামলার খবর পেয়েছি। তারা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


রাঙামাটির বাঘাইছড়ি–দিঘিনালা সড়কে পাহাড় ধস

৮ ঘন্টা পর সড়ক যোগাযোগ সচল 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি 

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার একমাত্র আন্তঃজেলা সংযোগ সড়ক মারিশ্যা–দিঘিনালা সড়কে পাহাড় ধসের কারণে রবিবার (৩ আগস্ট) সকালে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাঘাইছড়ি - খাগড়াছড়ির দীঘিনালা সড়কের ৯, ১০ ও ১৪ কিলোমিটার এলাকায় পাহাড় ধসে পড়েড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে । এতে চট্টগ্রামগামী শান্তি পরিবহনের একটি বাসসহ বেশ কয়েকটি ছোট-বড় যানবাহন আটকে পড়ে এবং ভোগান্তিতে পড়েন শতাধিক যাত্রী।

বাঘাইছড়ি পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও শান্তি পরিবহনের লাইনম্যান গিয়াসউদ্দিন নাছির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,

এখন পর্যন্ত তিনটি স্থানে পাহাড় ধসের খবর পাওয়া গেছে। সব যানবাহন সড়কে আটকে আছে, এখনও মাটি সরানোর কাজ শুরু হয়নি।”

শান্তি পরিবহনের এক যাত্রী মো. আরমান বলেন, “সকাল থেকে গাড়িতে আটকে আছি, চারপাশে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে, বড় ধসের শঙ্কা থেকে যাচ্ছে।”

এদিকে, খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী প্রিয়দর্শী চাকমা জানান, “পাহাড় ধসের খবর পেয়ে দ্রুত কর্মী পাঠানো হয়েছে। ধসের মাটি সরাতে কিছুটা সময় লাগছে।”

পরে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানান, “সকাল থেকে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকলেও এখন সড়ক যোগাযোগ সচল হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে।”

টানা বৃষ্টিতে বাঘাইছড়ির নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি অভ্যন্তরীণ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।


মেহেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কৃষক নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শওকত আলী (৫৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন।
নিহত শওকত আলী ভাটপাড়া গ্রামের মৃত ফরাতুল্লাহ কাজীর ছেলে।
আজ রবিবার (৩ জুলাই) সকাল ১১ টার সময় নিজ জমির মটারের বিদ্যুৎ লাইনের সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বেলা ১১ টার দিকে কৃষক শওকত আলী নিজের জমির মটার চালু করতে সুইচ দিতে যান। এসময় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাত ও বুকের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
তবে, একটি সূত্র জানান, কৃষক শওকত আলীর মটারের বিদ্যুতের লাইনটি দীর্ঘদিন যাবৎ ফুটো হয়ে ছিল। মাঝে মধ্যে সেখানে স্কসটেপ দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে সেটি সচল রাখতেন। আজকেও সেই ফুটো জায়গায় স্কচটেপ মোড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি।


কাপ্তাই লেকে পানি ১০৭ ফুটের কাছাকাছি, আর ১ ফুট বাড়লেই খুলবে জলকপাট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি 

টানা বৃষ্টির কারণে রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে পানির উচ্চতা বাড়ছে ক্রমাগত। রবিবার (৩ আগস্ট) সকাল ১০টা পর্যন্ত কাপ্তাই লেকে পানির উচ্চতা পৌঁছেছে ১০৬.৮৪ ফুট মীন সি লেভেল পর্যন্ত, যা ১০৭ ফুটের কাছাকাছি।

কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র (কপাবিকে)-এর ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, যদি পানির উচ্চতা ১০৮ ফুট ছাড়িয়ে যায়, তবে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া হবে এবং লেকের অতিরিক্ত পানি কর্ণফুলি নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে বিষয়টি নিয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সাধারণ জনগণকে জানানো হবে বলে জানান তিনি।

প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান আরও জানান, শনিবার (২ আগস্ট) রাত ৮টা পর্যন্ত পানির উচ্চতা ছিল ১০৬.৪২ ফুট। সে তুলনায় মাত্র ১৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ০.৪২ ফুট পানি বেড়েছে, যা প্রমাণ করে বৃষ্টির কারণে পানি দ্রুত বাড়ছে।

চালু আছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট পানির চাপ বাড়লেও বর্তমানে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট সচল রয়েছে। রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এই ইউনিটগুলো থেকে মোট ২১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে।

উৎপাদন বিবরণী অনুযায়ী:-

১ ও ২ নম্বর ইউনিট থেকে প্রতিটিতে ৪৬ মেগাওয়াট করে মোট ৯২ মেগাওয়াট।

৩ নম্বর ইউনিট থেকে ৪৭ মেগাওয়াট।

৪ ও ৫ নম্বর ইউনিট থেকে প্রতিটিতে ৪০ মেগাওয়াট করে মোট ৮০ মেগাওয়াট উৎপাদিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশের একমাত্র পানি নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র কাপ্তাই হাইড্রো-পাওয়ার প্লান্টের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৩০ মেগাওয়াট। এখানকার উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা।


রাঙামাটিতে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষ রোপন অভিযান ও বৃক্ষ মেলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষ রোপন অভিযান ও বৃক্ষ মেলা। আজ শনিবার রাঙামাটি জিমনেশিয়াম মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

জেলা প্রশাসক মো: হাবিব উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব এমএ আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক আব্দুল আওয়াল সরকার, পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন ডাঃ নুয়েন খীসা, ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা ড. জাহিদুর রহমান মিয়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগের বন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, ঝুম নিয়ন্ত্রণ বনবিভাগের রেনজ অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান, দক্ষিণ বন বিভাগের মোঃ আব্দুল হামিদ, উত্তর বন বিভাগের কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন,

"প্রকৃতির কাছে আমরা সবাই কোনো না কোনোভাবে দায়ী। মানুষের অবিবেচিত কার্যকলাপের ফলেই আজ প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্রমাগত ধ্বংসের মুখে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ প্রভাব দৃশ্যমান হচ্ছে। এই অবস্থায় পরিবেশ রক্ষায় আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। সবুজ বাংলাদেশ গড়তে পরিকল্পিত ও টেকসই বনায়নের বিকল্প নেই।

আলোচনা সভার আগে বৃক্ষমেলা উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেলা প্রাঙ্গনে শেষ হয়।

আলোচনা সভা শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করা হয়।


banner close