বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
২৫ আষাঢ় ১৪৩২

তুমব্রু সীমান্তে অভিযান, সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধ র‌্যাব সদস্য

আহত র‌্যাব সদস্যকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
১৫ নভেম্বর, ২০২২ ০১:৪১
প্রতিনিধি, কক্সবাজার
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, কক্সবাজার
প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর, ২০২২ ২২:৩৮

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে র‌্যাবের আভিযানিক দলের ওপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এতে সোহেল বড়ুয়া নামে র‌্যাবের এক কনস্টেবল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন এক নারী।

সোমবার রাত ৮টার দিকে তুমব্রুর কোনারপাড়া সীমান্তে মাদক ও অস্ত্র আসার খবরে অভিযানে গেলে র‌্যাবের সদস্যদের ওপর এ হামলা চালায় একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী।

তুমব্রু সীমান্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ বলেন, অভিযান চলাকালে সন্ত্রাসীরা র‌্যাবের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে এক নারী মারা গেছেন। তবে এখনো তার পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি

কক্সবাজার সদর হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ রিপন চৌধুরী বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক র‌্যাব সদস্যকে ১০টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে বলেন, ঘটনাস্থলে একজন নারীর মরদেহ মিলেছে। তবে তিনি রোহিঙ্গা নাকি বাংলাদেশি তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।


দৌলতপুর সীমান্তে যৌথ অভিযানে ১ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকার জাল জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মানিকের চর ও বাংলাবাজার খারিজাথাক এলাকায় যৌথ অভিযানে ১ কোটি ৮৪ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার অবৈধ “চায়না দুয়ারি ও বেহুন্দী” জাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন ও বর্ডার গার্ড বিজিবি। সোমবার (৭ ও ৮ জুলাই) বিকাল ৫টা থেকে পরের দিন সকাল ১১টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি’র তরফ থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বিজিবি সূত্র জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন ৪৭ বিজিবি ও দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন মীমান্তের মানিকের চর ও বাংলাবাজার খারিজাথাক এলাকায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ “চায়না দুয়ারি ও বেহুন্দী” জালের মজুদ থাকায় ওই এলাকায় গত ৭ জুলাই বিকাল ৫টা থেকে ৮ জুলাই সকাল ১১টা পর্যন্ত দুই দফায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে প্রায় ৮৫০০ কেজি অবৈধ চায়না দুয়ারি জাল, ৩৫০০ কেজি বেহুন্দী জাল, ১৫টি বড় সাইজের ড্রাম এবং ৪,০০০ কেজি জাল তৈরীর যন্ত্রাংপাতি জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের মূল্য প্রায় ১,৮৪,৪৫,০০০ হাজার টাকা। এসময় ৩ জন আসামীকে ১৩,০০০ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভিযানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অংশ নেয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী, উপজেলা মৎস অফিসার হোসেন আহমেদ স্বপন, আনসার সদস্য এবং ৪৭ বিজিবি’র ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার সহকারী পরিচালক মোঃ জাকিরুল ইসলাম।

জব্দকৃত অবৈধ চায়না দুয়ারি জাল, বেহুন্দী জাল, ড্রাম এবং জাল তৈরীর যন্ত্রাংশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আব্দুল হাই সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ধ্বংস করা হয়।

অবৈধ মৎস্য আহরণ ও জালের অপব্যবহার রোধে ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) ভবিষ্যতেও উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করবেন বলে বিজিবি সূত্রে জানানো হয়।


চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউসুফ বিন হোছাইন, চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রোববার (৬ জুলাই) মালুমঘাট বাজার থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া সে যুবক সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল (ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট) অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। রাত প্রায় তিনটায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।

চকরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আসামি সাজ্জাদ হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।

এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামি সাজ্জাদ কে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হবে। তার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।


রূপগঞ্জে জ্বরের প্রকোপ, হাসপাতালে রোগীদের ভিড়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রূপগঞ্জ প্রতিদিধি

রূপগঞ্জে বর্ষাকালীন বিভিন্ন ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে চাপ বেড়েছে। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া সাধারণ সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভিড় করছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কেউ না কেউ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্কুলছাত্র রাতুলের () মা প্রিয়া রানী বলেন, "জ্বর সারছিল না বলে চিন্তিত হয়ে হাসপাতালে এসেছি।"

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছেন, জ্বর তিন দিনের বেশি স্থায়ী হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। এসময় বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা এবং মশার বংশবিস্তার রোধে সতর্ক থাকতে বলেছেন তারা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে জ্বরের রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।


পঞ্চগড়ে রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে  ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বালু উত্তোলনকারীকে 

আপডেটেড ৯ জুলাই, ২০২৫ ১১:৩৭
পঞ্চগড়(দেবীগঞ্জ) প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে যৌথবাহিনীর অভিযানে একজনকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলাঝাড়ি বাজারের করতোয়া নদীসংলগ্ন এলাকায় অভিযানটি চালানো হয়।

দেবীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর জুবায়ের হোসেন সিয়ামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত দুইটি ট্রাক্টরসহ চালক রাজু ইসলাম ও শান্ত আহমেদকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

আদালতের রায়ে রাজু ইসলামকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা লঙ্ঘন করায় দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। তবে রাজু ইসলাম অর্থদণ্ডের অর্থ পরিশোধ করায় ট্রাক্টর দুটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় প্রশাসন জানায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন রোধে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।


ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৫ স্থানে ভাঙন, ৩৫ গ্রাম প্লাবিত

ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার উত্তর শ্রীপুর এলাকায় মুহুরী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙ্গন স্থান। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৯ জুলাই, ২০২৫ ১৪:৫১
ফেনী জেলা প্রতিনিধি

ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধে অন্তত ১৫টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে অন্তত ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

ভাঙ্গনস্থান গুলোর মধ্যে পরশুরাম উপজেলায় ১০টি ও ফুলগাজী উপজেলায় ০৫টি রয়েছে। এসব ভাঙ্গন দিয়ে লোকালয়ে ঢুকেছে পানি। এতে দুই উপজেলার ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হলে পানি আরো বৃদ্ধি পাবে সাথে সাথে ভাঙ্গনও বাড়বে।

পরশুরাম উপজেলায় ভাঙ্গনস্থান গুলো হল: জঙ্গলগোনা-২ টি, উত্তর সালদর-১টি, নোয়াপুর -১ টি, পশ্চিম অলকা-১টি, ডি এম সাহেবনগর-১টি, পশ্চিম গদানগর-১ টি, দক্ষিন বেড়াবাড়ীয়া -১ টি, পূর্ব সাতকুচিয়া-১টিসহ মোট: ১০টি ।

ফুলগাজী উপজেলায় ভাঙ্গনস্থান গুলো হল: দেড়পাড়া-২ টি, শ্রীপুর-১টি, উত্তর দৌলতপুর -১টি, কমুয়া-১ টিসহ মোট: ৫টি ।

ফেনী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, জেলায় ০৭ জুলাই সকাল নয়টা হতে ০৯ জুলাই সকাল ৯ টা পর্যন্ত ৪৮ ঘন্টায় ৫৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম জানিয়েছেন, বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ৯ টায় মুহুরী কুহুয়া সিলোনিয়া নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে ।

ফেনী জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় ফুলগাজী উপজেলায় ৯৯টি (মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩২টি এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৭টি) এবং পরশুরাম উপজেলায় ৩২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতে ফেনী শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ সহ সবাই দুর্ভোগে পড়েছেন। টানা বৃষ্টির কারণে গতকাল মঙ্গলবার থেকে শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক, রামপুর, শাহীন একাডেমি এলাকা, পাঠান বাড়ি এলাকা, নাজির রোড, পেট্রো বাংলোসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তবে আজ পানি কমতে শুরু করেছে।

ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে যারা আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ব্যবস্থা আছে। সার্বক্ষণিক জেলা প্রশাসনের তদারকি রয়েছে। বন্যা পরবর্তী ভাঙ্গনস্থান সংস্কারের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সারাদেশে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নিয়োগবিধি সংশোধন করে ১৪তম গ্রেড দেওয়াসহ ছয় দাবিতে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সারাদেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬ দাবি হলো:

১. নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক/সমমান এবং ১৪তম গ্রেড প্রদান।

২. ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণ সনদপ্রাপ্তদের ১১তম গ্রেডসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান।

৩. পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিতকরণ।

৪. স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা পূর্বের নিয়োগ বিধি দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও সবাইকে প্রশিক্ষণবিহীন স্নাতক পাস স্কেলে আত্তীকরণ করতে হবে।

৫. বেতন স্কেল উন্নতি/পুনর্নির্ধারণের পূর্বে স্বাস্থ্য সহকারী/সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক/স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা যতসংখ্যক টাইম স্কেল (১/২/৩টি)/ উচ্চতর স্কেল (১/২টি) পেয়েছেন তা উন্নীত পুনর্নির্ধারিত বেতন স্কেলের সঙ্গে যোগ করতে হবে।

৬. পূর্বে ইন-সার্ভিস ডিপ্লেমা (এসআইটি) কোর্স সম্পন্নকারী স্বাস্থ্য সহকারী/সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক/স্বাস্থ্য পরিদর্শকগণ ডিপ্লেমা সম্পন্নকারী সমমান হিসেবে গণ্য করতে হবে।

সারাদেশ থেকে ব্যুরো, জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠনো খবরে বিস্তারিত...

জামালুদ্দিন হাওলাদার, চট্টগ্রাম ব্যুরো জানান, নিয়োগবিধি সংশোধন ও ১৪তম গ্রেডে বেতন-ভাতাসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন চেয়ে চট্টগ্রামে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল আটটা থেকে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করে তারা।

এ সময় বক্তারা বলেন, আমাদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিভাগে ‘ভ্যাকসিন হিরো’সহ সকল আন্তর্জাতিক অর্জন হওয়া সত্ত্বেও বিগত সরকার আমাদের শুধু আশার বাণীই দিয়ে গেছেন। কিন্তু আমাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই আমাদের নিয়োগবিধি সংশোধন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (বিজ্ঞান) সংযুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ প্রস্তাবিত ৬ দফা দাবি বাস্তবায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।

এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ফজলুল হক চৌধুরী। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম কুদরাত ই খুদা রকির সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিলা আরা চৌধুরী রশ্মি, অর্থ সম্পাদক মঈনুল আহমদ আলী সাগর, মহিউদ্দিন চৌধুরী, লোকমান হাকিম বাদশাহ, কাজী সাইফুল ইসলাম, হাসিনা বেগম, এস এম মিজানুর রহমান, আবুল কালাম, শামসুল আলম চৌধুরী, লকিয়ত উল্লাহ, করিমুন্নেসা সাদেকা ও আবদুল মোমেন।

তারা আরও বলেন, আমরা এ কমসূচি পালনের পূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি ও আবেদন দিয়ে আমাদের দাবি ও কর্মসূচি বিষয়ে অবগত করেছি। কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যদি আমাদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না করেন, তাহলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইপিআইসহ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন বন্ধ থাকবে। এ সময় তারা সরকারের প্রতি ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে নিবার্হী আদেশে নিয়োগ বিধি সংশোধন শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (বিজ্ঞান) সংযুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা সহ বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে ‘উন্নীতকরণ, পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিতকরণ, পূর্বের নিয়োগবিধি অনুযায়ী নিয়োগ পেলেও কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী সব স্বাস্থ্য পরিদর্শক স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের অভিজ্ঞতার আলোকে স্নাতক পাস স্কেলে আত্মীকরণ, বেতন স্কেলে উন্নীতকরণের পূর্বে স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক গন যত সংখ্যক টাইম স্কেল অথবা উচ্চতর গ্রেট প্রাপ্ত বা প্রাপ্য হয়েছেন তা পরবর্তী পুনর্নির্ধারিত বেতন স্কেলের সঙ্গে যোগ, পূর্বে ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা এসআইটি কোর্স সম্পূর্ণ কারী স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শকদেরকে ডিপ্লোমাধারী সম্পন্ন হিসেবে গণ্য করে সরাসরি ১১ তম গ্রেড দাবি করেন তারা।

কামাল হোসেন বাবুল, গাজীপুর থেকে জানান, বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন গাজীপুর জেলা স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টায় গাজীপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে হেলথ এসিস্ট্যান্ট এ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, বেতন বৈষম্য নিরসনে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, হেলথ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আরিফ হোসেন সিকদার, হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন গাজীপুর জেলা উপদেষ্টা মো. শামীম আল রাজি, সহ সব উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।

নাসির উদ্দিন শাহ মিলন, নীলফামারী থেকে জানান, ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে নীলফামারীতে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসুচি হয়েছে বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন নীলফামারী জেলা শাখার ব্যানারে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।


কর্মসুচি চলাকালে বাংলাদেশ হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এ্যাসোসিয়েশন নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি আনজারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান।
এতে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি আ খ ম আলমগীর সরকার ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ড. খায়রুল আনাম।
অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক জিকরুল হক সম্রাট, ডিমলা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক রবিউল করিম, জলঢাকা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মানিকুজ্জামান মানিক, কিশোরগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এ্যাসোসিয়েশন নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তাবিত মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীদের ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নিতকরণ, টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান, পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তি উচ্চতর গ্রেড প্রদানের দাবী করে আসছে।
আমরা আজকের কর্মসুচি থেকে দ্রুত ছয় দফা দাবী বাস্তবায়নে জোড় দাবী জানাচ্ছি।

নেত্রকোণা প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোণায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে জেলায় কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা বাংলাদেশ হেল্থ এসিসট্যান্ট এস্যোসিয়েশনের ব্যানারে এ কর্মসূচী পালিত হয়।

এসময় বক্তব্য দেন সংগঠনটির জেলা শাখার সভাপতি মোঃ হাবীবুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক মনসুরুল হক পাবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহিনূর ইসলাম প্রমুখ।

কর্মসূচীতে জেলার ১০ উপজেলায় কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশ নেন।

বক্তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তাবিত মাঠ পর্যায়ে কর্তব্যরত স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়োগবিধি সংশোধন পূর্বক স্নাতক সমমান সংযুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ, টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান, পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রদানসহ ৬দাবি দ্রুত বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোরতর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন বক্তারা।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান , ৬ দফা দাবি আদায়ে ঝিনাইদহে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার সকালে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে ঝিনাইদহ হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এ্যাসোসিয়েশন এ অবস্থান কর্মসূচীর আয়োজন করে।

ঘন্টা ব্যাপী অবস্থান কর্মসূচিতে দাবি সম্বলিত ব্যানার, লিফলেট নিয়ে জেলা ও উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশ নেয়। সেসময় হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এ্যাসোসিয়েশন জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক আমিনুল ইসলাম, সমন্বয়ক ফারুক হোসেন, ওলিউর রহমান, সোহেল রানা, মো. ফরহাদ, আক্তার হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

যশোর প্রতিনিধি জানান, চাকরিতে ১৪তম গ্রেড ও ‘টেকনিক্যাল পদমর্যাদা’সহ ৬ দফা দাবিতে যশোরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় চত্বরে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার আট উপজেলা থেকে আসা স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশ নেন।


‘বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন’ যশোর জেলা শাখার ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য সহকারীরা মাঠপর্যায়ে জনগণের পাশে থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছেন। অথচ তারা এখনো সরকারি স্বীকৃতি ও ন্যায্য মর্যাদা থেকে বঞ্চিত। তাদের চাকরির গ্রেড ও পদোন্নতিতে রয়েছে চরম বৈষম্য।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন দাবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন এবং মাথায় বাঁধেন মনিপতাকা। তারা দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, সহসভাপতি রবিউল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক এনামুল কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, অর্থ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, উপদেষ্টা আসাদুর রহমান, শাহনাজ পারভীন প্রমুখ।

লিটন ঘোষ, মাগুরা থেকে জানান, মাগুরায় ৬ দফা দাবীতে জেলার ৪ উপজেলার ২ শতাধিক স্বাস্থ্য সহকারিরা ৩ ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে । মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত মাগুরা সিভিল সার্জন অফিসের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচী পালন করে বাংলাদেশ হেলথ এ্যাসিটেন্ট এসোসিয়েশন মাগুরা পরিষদ।

এ সময় ৬ দফা দাবী তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন মাগুরা হেলথ এ্যাসিটেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মো: নজরুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন, স্বাস্থ্য সহকারি সঞ্চিতা চক্রবতী ও জামিরুল ইসলাম । অবস্থান কর্মসূচীতে জানানো হয়,প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রোগ প্রতিরোধ যোদ্ধা হিসেবে স্বাস্থ্য সহকারিরা মাঠ পর্যায়ে আন্ত:ব্যক্তি যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিটি ঘরে ঘরে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে । কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের পদের কোন পরিবর্তন হয়নি । তাই সরকারের প্রতি ৬ দফা দাবীতে সারাদেশে চলছে অবস্থান কর্মসূচী । স্বাস্থ্য সহকারিদের দাবীর মধ্যে রয়েছে নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক সমমান এবং ১৪ তম গ্রেড প্রদান,ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণ সনদ প্রাপ্তদের ১১ তম গ্রেড প্রদানসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান ও স্বাস্থ্য সহকারি,সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক,স্বাস্থ্র পরিদর্শকগণ পূর্বের নিয়োগ বিধি দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও সকলকে প্রশিক্ষণ বিহীন স্নাতক পাশ স্কেলে আত্তীকরণ করতে হবে ।

মীর আনোয়ার আলী, রংপুর থেকে জানান, বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রংপুরে স্বাস্থ্য সহকারীরা ছয় দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি চলছে। দাবি আদায় না হলে ১ সেপ্টম্বর থেকে কমপ্লিট শাটডাউন যাবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রংপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। এর আগে বিভিন্ন উপজেলা থেকে সিভিল সার্জন এর কার্যালয় সামনে এসে জড়ো হন তারা। এ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের রংপুর বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক মো. মাসুদার রহমান, রংপুর জেলা সভাপতি শাহ মো. শামিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আনিস রহমান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মারজান মিয়া। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দও বক্তব্য দেন।

হুঁশিয়ারি দিয়ে রংপুর বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক মো. মাসুদার রহমান বলেন, দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইপিআইসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হবে।

রংপুর জেলা সভাপতি শাহ মো. শামিম হোসেন বলেন, জন্মের পর থেকে শিশুদের ১০টি মারাত্মক রোগ থেকে সুরক্ষায় যে টিকা প্রদান করা হয়, তার পুরো কাজটি তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সহকারীরাই করেন। এই কাজ অত্যন্ত টেকনিক্যাল হলেও আমরা এখনো টেকনিক্যাল পদমর্যাদা থেকে বঞ্চিত। দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন করছে না। ফলে আমরা চরম বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

সাধারণ সম্পাদক মো. আনিস রহমান বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন অর্জনের পেছনে স্বাস্থ্য সহকারীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকলেও বিগত সরকারগুলো কেবল আশ্বাস দিয়েছে, বাস্তবায়ন করেনি। তাই আমাদের দাবি বাস্তবায়নে নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক (বিজ্ঞান) শিক্ষাগত যোগ্যতা যুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান এবং ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমার মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে।

স্বাস্থ্য সহকারীরা জানান, ৬ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা আরও কার্যকর ও টেকসই হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২৬ হাজার স্বাস্থ্য সহকারীর ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন করে বৈষম্যের অবসান ঘটাবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

খান রুবেল, বরিশাল ব্যুরো জানান, ছয়দফা দাবিতে বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসের সামনে মঙ্গলবার অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ হেলথ এসিষ্ট্যান্ট এসোসিয়েশন।

বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে তারা আন্দোলন করে আসছেন। দাবি না মানা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সহকারী অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক একেএম মইনুদ্দিন খোকনের সভাপতিতে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন অ্যাসোসিয়েশনের বরিশাল বিভাগের সভাপতি জিয়াউল হাসান কাবুলসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্বাস্থ্য সহকারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সকাল ৮টার দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। সেখানে বেলা ১১টা পযর্ন্ত কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের জেলা শাখার সভাপতি হাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য সহকারী রবিউল ইসলাম, মোর্শেদুল আলম, সুলতানা পারভীন কচি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। বক্তব্য রাখেন বাংলা‌দেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসো‌সি‌য়েশনের মুন্সীগঞ্জ জেলা সভাপ‌তি মো. ফরহাদ হো‌সেন, সাধরণ সম্পাদক মো. মাহবুবার রহমান, কোষাধ্যক্ষ নুরুল আমিন বেপারী, সাংগঠ‌কি সম্পাদক মো. জা‌হিদুল ইসলাম, মো. আজিজুল হক, বাসু দেব মোল্লা, আমিনুল ইসলাম ও জয়ন্ত ভট্টাচার্যসহ অনেকে।

ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, ঝালকাঠির সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বৃষ্টি উপেক্ষা করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন ঝালকাঠি শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইদা সুলতানা, সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক নাঈম প্রমুখ।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে সকাল ৮টা বেলা ১১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের টাঙ্গাইল শাখার নেতাকর্মীরা। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের জেলা শাখার আহ্বায়ক মো. নুরুল ইসলাম, সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, উপদেষ্টা মো. সেলিম মিয়া, মো. আলমগীর হোসেন, মো. কামাল হোসেন প্রমুখ। কর্মসূচিতে টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার ৩৫০ জন নেতাকর্মী অংশ নেন।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি জানান, সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন ভূইয়া, বিভাগীয় আহ্বায়ক এ কে এম শফিউল আজম, ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি আফজাল হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীরসহ অনেকে।


সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের অভয়ারণ্য এলাকায় প্রকাশ্যে চলছে মাছ ও কাঁকড়া শিকার। দিনের পর দিন শত শত জেলে নদী-খালে প্রবেশ করে অবাধে মাছ ও কাঁকড়া শিকার করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সুন্দরবনের দোবেকী, পুষ্পকাটি, নোটাবেকী, হলদেবুনিয়া, মান্দারবাড়িয়া, কাছিকাটা, আঙরাকেনা, বালিঝাকি, পাকড়াতলী, খোবরাখালীসহ একাধিক নদী ও খাল সরকারিভাবে অভয়ারণ্য এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এসব এলাকায় সব ধরনের নৌযান চলাচল ও মৎস্য আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

কিন্তু বাস্তবচিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্রতিদিনই অসংখ্য বাইনজাল, পাটাজাল, নেটজাল, ফাঁসজাল, দোন ও বড়শি ব্যবহার করে অভয়ারণ্যে প্রবেশ করে মাছ ও কাঁকড়া ধরছে।

একাধিক জেলে জানান, বন বিভাগের কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে সাপ্তাহিক বা গোনথ (১৫ দিন) ভিত্তিক চুক্তির মাধ্যমে তারা অভয়ারণ্যে প্রবেশ করেন। প্রতি গোনে ফাঁড়ি ও স্টেশন ভেদে দিতে হয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এতে কোনো বাঁধা ছাড়াই নির্বিঘ্নে শিকার চালাতে পারছেন তারা।

জেলেরা আরও জানান, আমরা জানি এটি আইনবিরুদ্ধ, কিন্তু পেটের দায়ে করতে হয়। যারা চুক্তি করে না, তাদের নৌকা অভয়ারণ্যে ঢুকতেই দেওয়া হয় না।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা সোলাইমান হোসেন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অভয়ারণ্যে জেলেদের অবৈধ প্রবেশ ও শিকারের মাত্রা ভয়াবহভাবে বেড়েছে। তার প্রত্যক্ষ মদদেই নটাবেকী, হলদেবুনিয়া, দোবেকী, কাছিকাটা, বালিঝাকি, ডিঙ্গিমারী, কাকাদোবেকী, আঙরাকোনা, পাকড়াতলীসহ বিভিন্ন স্থানে শত শত নৌকা প্রতিনিয়ত মাছ ও কাঁকড়া শিকার করছে।

চাইলে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত সহকারী বন সংরক্ষক ফজলুল হক বলেন, অভয়ারণ্যে কোনো নৌকা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না। কেউ নিয়ম লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। তবে বাস্তবতার সঙ্গে এই বক্তব্যের কোনো মিল পাওয়া যায় না।


মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফরমান শেখ, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল)

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সাবেক কাউন্সিলর ছালেহা বেগমের বাড়িতে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে সাড়ে ৮ লাখ টাকা লুটপাট ও ভুক্তভোগীর থেকে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া ৩ কর্মকর্তা হলেন- জেলা পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান এবং জিয়াউর রহমান। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (০৭ জুলাই) রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাসান মারুফ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল হোসেন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করা হয়। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা যায়, ১৮ জুন সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তার বাড়িতে অভিযান চালান। কোনো মাদকদ্রব্য না পেয়ে তারা গাড়ির তেলের খরচের জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। তিনি ১০ হাজার টাকা দেন। বাকি ১০ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠাতে বলেও চলে যান। কিছুক্ষণ পর তারা আবার এসে ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করতে থাকেন। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের কথা বলা হয়।

এছাড়া তার আলমারি থেকে ৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা এবং ছেলের ঘরের আলমারি থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। এরপর ছালেহা বেগমের বাড়ি থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই ৩ কর্মকর্তাকে প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্তপূর্বক সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।


সরিষাবাড়ীর চরাঞ্চলে মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) সংবাদদাতা

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ক্ষেত থেকে আলু তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণিরা। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন হওয়ার পাশাপাশি বাজার দর ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে তৃপ্তির হাসি।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, উপজেলার ধারাবর্ষা, বড়বাড়ীয়া, কৈজুরী, কান্দারপাড়া, সৈয়দপুর, বয়সিংহ, ভাটারা, মোহনগঞ্জ, কাশারীপাড়া, পাখাডুবী, ফুলবাড়িয়া, পারপাড়া, গোপীনাথপুর, কৃষ্ণপুর, চর হরিপুর, আওনা, পোগলদিঘাসহ বিভিন্ন এলাকায় মিষ্টি আলুর চাষ করে কৃষকরা। খরচ কম ও লাভবান হওয়ায় মিষ্টি আলু চাষে ঝুকছে চরাঞ্চলের কৃষকরা।

উপজেলার কামরাবাদ ও ভাটারা ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সবুজ পাতায় ছেয়ে আছে ফসলের মাঠ। কৃষকরা কোদাল দিয়ে কুপিয়ে আগলা করছে মাটি। আর নারী ও শিশুরা আলু কুড়িয়ে এক জায়গায় রাখছে। পরে জমানো মিষ্টি আলু ক্ষেতে বসেই ওজন করে বস্তাবন্দি করছে কৃষকরা। কেউ আবার মিষ্টি আলুর লতা গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে ঘোড়ার গাড়ি করে।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল হাই, সাদেক আলী, রাশেদুল ইসলামসহ অনেকেই বলেন, চারা রোপণের কয়েকমাস পর থেকে মিষ্টি আলু মাটির নিচে পরিপক্ব হয়ে ওঠে এবং উপশী হাইব্রিড জাতের মিষ্টি আলু ৯০ দিনেই তোলা যায়। এবার আলু চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। মিষ্টি আলুর চাহিদা ঢাকায় অনেক বেশি। তাই এলাকা থেকে ১ হাজার হতে ১২০০ টাকা মণ কিনে বেশি দামে বিক্রি করেন পাইকাররা। এসব মিষ্টি আলু চরাঞ্চলে ঘুরে ঘুরে কেনেন পাইকার, অনেক সময় অনেক পাইকারি ক্রেতা মাঠ থেকেই আলু কিনে নেন। পরে এসব মিষ্টি আলু ট্রাকে করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যান।

মিষ্টি আলু চাষি আব্দুল মোতালেব বলেন, এই মৌসুমে চরাঞ্চল অনেক পতিত জমিতে বিশেষ করে নদীর ধারের প্রায় ১ একর জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করেছি। প্রতি শতাংশে দুই মণের বেশি মিষ্টি আলুর ফলন হয়েছে। ১ বিঘা জমিতে মিষ্টি আলু পেয়েছি ১০০ মণের ওপরে। প্রতি মণ মিষ্টি আলু পাইকারি বিক্রি করছি ১৪/১৩/১২ শত টাকা দরে। চাহিদা ও ফলন হিসেবে দাম কিছুটা ওঠানামা করে। ১ বিঘা জমি চাষ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। খরচ বাদে অনেক লাভ হয়েছে। অন্য কোনো ফসল করে এত লাভ করা সম্ভব না।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অনুপ সিংহ বলেন, এ উপজেলায় এই বছরের মিষ্টি আলু ৫৮০ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু চাষ হয়েছে ৬৭৫ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৯৫ হেক্টর বেশি। ফলনে খরচ কম হওয়ায় ও অধিক লাভজনক হওয়ায় মিষ্টি আলু চাষে ঝুকছে চরাঞ্চলের কৃষকরা।


নওগাঁর ৭০ শতাংশ সড়কবাতি নষ্ট, বাড়ছে চুরি-ছিনতাই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সবুজ হোসেন, নওগাঁ

বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সরকার দেশে বিকল্প হিসেবে নওগাঁর বিভিন্ন সড়কে সোলার প্যানেল চালিত ল্যাম্পপোস্ট (সড়ক বাতি) স্থাপন করেছিল। যেখানে সড়ক বাতির আলোয় উপকৃত হতো পথচারীরা। এসব সড়ক বাতি ৫ বছর চলার পর এখন ৭০ শতাংশ অকেজো হয়ে পড়েছে। এতে পথচারীদের প্রতিনিয়ত দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান এলাকাবাসী।

জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়- ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত জেলায় ৭ হাজার ৭৪১ টি সোলার সিস্টেম ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়। যেখানে ব্যয় হয় ৪৩ কোটি ৭২ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে বর্তমানে ৭০ শতাংশ সড়কবাতি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে।

নওগাঁ সদর উপজেলার তালতলি থেকে দুবলহাটি হয়ে কাটখৈইর বাজার পর্যন্ত দুরুত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এ সড়ক দিয়ে সহজেই জেলার মান্দা ও রানীনগর উপজেলার কিছু এলাকা জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। সন্ধ্যার পর চুরি ও ছিনতাইয়ের ভয়ে মানুষ নির্জন এ রাস্তা দিয়ে নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া চলাচল করত না। এ সড়কটি আলোকিত করতে গত ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে (১০ বছর আগে) জেলায় টিআর (টেস্ট রিলিফ) ও কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) প্রকল্প থেকে প্রায় ২০০টি সোলার সিস্টেম ল্যাম্পপোস্ট (সড়ক বাতি) স্থাপন করা হয়। ফলে সন্ধ্যার পর নিজ থেকে জ্বলে উঠে সোলার আলোয় আলোকিত হতো সড়কটি। যেখানে সন্ধ্যার পর ভ্যান, রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন ও পথচারিরা নিবিঘ্নে চলাচল করতে পারতো। কিন্তু ৫ বছর পর এ সড়কবাতি গুলো অকেজো হয়ে পড়ে। শুধু এ সড়কই না, জেলার বিভিন্ন সড়ক ও হাট-বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে সোলার প্যানেল চালিত ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়েছিল। বর্তমানে কোনটার খুঁটি থাকলেও নেই সোলার প্যানেল ও বাল্ব। আবার সোলার প্যানেল থাকলেও নেই বাল্ব। কোথাও ল্যাম্পপোস্টের খুঁটি ঠাই দাঁড়িয়ে আছে। আবার সোলার প্যানেল ও বাল্ব থাকলেও ব্যাটারি অকেজো হওয়ায় কোন কাজে আসছে না।

স্থানীয় ও পথচারীরা জানান- সড়ক অন্ধকার থাকায় তারা স্বাচ্ছন্দ্যে আগের মতো আর চলাচল করতে পারছে না। সড়কে চুরি-ছিনতাই ও অপরাধসহ সড়ক দূর্ঘটনা বেড়েছে। অন্ধকার থাকায় পথচারীদের চলাচলও কমেছে। সড়কবাতিগুলো দ্রুত সংস্কার করার দাবী জানান এলাকাবাসী।
মান্দা উপজেলার স্কুল শিক্ষক রিমন মোরশেদ বলেন- বাড়ি থেকে কাটখৈইর হয়ে তালতলি সড়ক দিয়ে নওগাঁ শহরের আসতে সময় কম লাগে এবং সুবিধা হয়। অনেক সময় কাজ শেষে ফিরে যেতে রাত হয়। সন্ধ্যার পর ল্যাম্পপোস্টের আলোয় সড়ক আলোকিত হতো। কিন্তু গত কয়েক বছর থেকে আবারও সন্ধ্যার পর অন্ধকার হওয়ায় এ সড়কে চলাচল কমে গেছে। পথচারীরা যতদ্রুত সম্ভব শহরে কাজ শেষে দিনের আলোয় বাড়ি চলে যায়।

সদর উপজেলার গোয়ালী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন- ‘বাড়ির পাশ দিয়ে কাটখৈইর সড়ক। এ সড়কে এক সময় অনেকগুলো ল্যাম্পপোস্ট ছিল। দীর্ঘ সময় চলার পর সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন থেকে অকেজো হয়ে পড়ে থাকায় অনেকটা চুরি হয়ে গেছে। সড়ক অন্ধকার থাকায় অনেক ধরনের অপরাধ বেড়েছে। তবে আবারও যদি সংস্কার করা হয় তাহলে পথচারীদের জন্য সুবিধা হবে।

হাঁসাইগাড়ী গ্রামের অটোরিকশা চালক আহাদ আলী বলেন- গোয়ালী থেকে হাঁসাইগাড়ী গ্রাম পর্যন্ত বিলের মাঝ দিয়ে
৩ কিলোমিটার সড়ক বয়ে গেছে। এরমাঝে কোন বসতবাড়ি নেই। সন্ধ্যার পর সুনশান নিরবতা। চুরি ও ছিনতাইয়ের ভয়ে সন্ধ্যার পর অটোরিকশা নিয়ে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা হয়না। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া যানবাহন নিয়ে কেউ আসতে চায় না।
নওগাঁ জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা আশেকুর রহমান বলেন- রাস্তা-ঘাট ও হাট-বাজার আলোকিতকরণ করতে সড়কবাতিগুলো স্থাপন করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন মেরামত না করা, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও ওয়ারেন্টি মেয়াদ শেষ হওয়া সহ নানা কারণে সড়কবাতিগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ইতোমধ্যে সড়কবাতিগুলো সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত সংস্কার করা হবে।


শেকর পাবনা ফাউন্ডেশন চারটি দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে সংবাদ সম্মেলন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের উন্নয়নের ঘোষিত ১৬ দফা রূপকল্পের মধ্যে চারটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় পাবনা প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন। সংবাদ সম্মেলনে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ঢাকা-পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন সার্ভিস চালু, পাবনায় সরকারি মেডিকেল কলেজে পূর্ণাঙ্গ অবকাঠামো ও কার্যক্রম চালু, পাবনা সদর হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা এবং পাবনায় আইটি পার্ক স্থাপনের দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের জোর দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের সভাপতি খান হাবিব মোস্তাফা, সম্পাদক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আখতারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মো. জহুরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।

বক্তারা বলেন, ‘পাবনার সার্বিক উন্নয়নের জন্য এসব দাবি বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব বাস্তবায়িত হলে পাবনা স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে।’

সম্মেলনে জেলার উন্নয়নে সব রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।


ফরিদপুরে এনসিপি নেতার বাড়িতে মধ্যরাতে তান্ডব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর

ফরিদপুর শহরের আলিপুর এলাকার বাসিন্দা এনসিপি ফরিদপুর জেলা শাখার যুগ্ম সমন্বয়ক এস এম জাহিদ হোসেনের বাড়িতে মধ্যরাতে ঘরের তালা ভেঙ্গে তাণ্ডব চালিয়েছে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। সোমবার (০৭ জুলাই) রাতে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী তার বাসার বাউন্ডারি টপকে দ্বিতীয় তলায় প্রবেশ করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ করেছেন এস এম জাহিদ হোসেন ।

স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগীর বর্ণনা অনুযায়ী, হামলাকারীরা বাসার চার থেকে পাঁচটি গেটের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। তারা ধারণা করেছিল, জাহিদ হোসেন ও তার ছেলে একটি নির্দিষ্ট কক্ষে ঘুমিয়ে আছেন। সেখানে কাউকে না পেয়ে ঘরের বিভিন্ন রুমে ব্যাপক তছনছ চালায়। এমনকি একটি রুমের বাহিরের লক খুলে ভেতরে তল্লাশি চালানোরও চেষ্টা চালায় তারা।

জানা গেছে, দুষ্কৃতিকারীরা জাহিদ হোসেনের রুমের দরজা জোরপূর্বক খোলার চেষ্টা করে, তবে ভেতর থেকে নিরাপদে লক থাকায় সফল হয়নি। তার ছেলের রুমেও সিটকিনি লাগানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, পর্দার ফাঁক দিয়ে ভেতরে তাকিয়ে তারা জাহিদ হোসেনকে দেখতে পেয়েছিল। তবে ভোরের আজানের ধ্বনি ও আশপাশের মসজিদের মুসল্লিদের চলাচল শুরু হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসিকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিদর্শন করেন এবং তার টিম প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করেন।

পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, এটি কোনো সাধারণ চুরির ঘটনা নয়, বরং পূর্বপরিকল্পিত। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা না হলেও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।


বাঘডোকরা ঘাটে ব্রিজ নির্মাণের অপেক্ষা শেষ হয়নি ৫৪ বছরেও 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মিজানুর রহমান, পঞ্চগড়

করতোয়া নদীর বাঘডোকরা ঘাটে ব্রিজ নির্মাণের দাবি করে আসছে এলাকাবাসী। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও এস্বপ্ন পূরণ হয়নি এলাকাবাসীর।

পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ৩ নং বনগ্রাম বেংহাড়ী ইউনিয়ন ও ৪ নং কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যবর্তী করতোয়া নদী বাঘডোকরা ঘাটে সেতুটি নির্মাণ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই করতোয়া নদী পেরিয়ে দুটি ইউনিয়নের মানুষ প্রতিদিন যাতায়াতে নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এরমধ্যে শিক্ষার্থী, রোগী ও কৃষকরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন। বর্ষাকালে নদীতে পানি বাড়লে নৌকা কিংবা বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে। এতে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় শিশু ও বৃদ্ধদেরও।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বহুবার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানানো হলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচনের পর আর খবর রাখেন না কেউ।

এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, করতোয়া নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর করানো হয়েছে। তবে প্রকল্প অনুমোদন না হওয়ায় এখনো কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।

তাদের দাবি, এই ব্রিজ নির্মাণ হলে দুই ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন আসবে এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং শিক্ষাক্ষেত্রে হবে নতুন দিগন্তের সূচনা।

স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের এই ন্যায্য দাবি মেনে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজ নির্মাণের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।


banner close