সোমবার, ৯ জুন ২০২৫
২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
পঞ্চগড়ে সারজিস আলম

নির্বাচনকালীন দৃশ্যমান সংস্কার হলে এপ্রিলে নির্বাচনে দ্বিমত নেই

পঞ্চগড় জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন সারজিস আলম। ছবি: দৈনিক বাংলা
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ৯ জুন, ২০২৫ ১৫:৩০

জাতীয় নাগরিক পাটি (এনসিপি)'র মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘যদি দৃশ্যমান বিচারিক প্রক্রিয়াটি দেখতে পাই, মৌলিক সংস্কারগুলো আমাদের সামনে দৃশ্যমান হয় এবং নির্বাচনকালীন থেকে সংস্কার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগের, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর, নির্বাচন কমিশনের সংস্কারগুলো সম্পন্ন হলে এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোন দ্বিমত নেই৷ কিন্তু তার পূর্বে নির্বাচনকালীন সংস্কারগুলো নিশ্চিত করতে হবে। বিচার ও দৃশ্যামান বিচারিক কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে এবং মৌলিক সংস্কারের দৃশ্যমান অবস্থা দেখতে চাই।’

আজ সোমবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমরা সব সময় দেখে এসেছি নির্বাচনকালীন সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়, কালো টাকার ব্যবহারসহ পেশি শক্তি অপব্যবহার করা হয়। আমরা এই অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এই নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেখতে চাই। যেখানে ছোট দল হউক, বড় দল হউক সবাই তাদের জায়গা থেকে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু একটি নির্বাচনে একদম স্বয়ংক্রিয় ও স্বয়ং সম্পূর্ণভাবে নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে।’

নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে সারজিস আলম বলেন, ‘কেউ যেন কারও দ্বারা ক্ষমতার অপব্যবহারের শিকার না হয়৷ এমন কি অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো আমরা বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোট কেন্দ্র থেকে শুরু করে নির্বাচনী এলাকায় দেখেছি, ভোটকেন্দ্র দখল করা, ব্যালট চুরি করা, এই ধরনের ঘটনাগুলো যেন আর আমরা আগামীর বাংলাদেশে কোন নির্বাচনে না দেখি৷ এক্ষেত্রে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ততোটুকই পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনির মাধ্যমে, নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে এবং এবং বিচার বিভাগের মাধ্যমে৷

এসময় জাতীয় নাগরিক পাটি (এনসিপি) মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণ অঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, জাতীয় নাগরিক পাটির সদর উপজেলা শাখার সমন্বয়ক তানবিরুল বারী নয়ন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।

এর আগে সারজিস আলম হাসনাত আবদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে চৌরঙ্গী মোড়ে তার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।


গজারিয়ায় দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের তেতৈতলা হাঁস পয়েন্ট এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের তেতৈতলা হাঁস পয়েন্ট এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে অপর একজন।

আজ সোমবার পৌনে বারোটার দিকে মহাসড়কের তেতৈতলা হাঁস পয়েন্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

নিহতের নাম মোহাম্মদ ইয়াসিন (৩২)। সে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের আমূর বটতলা গ্রামের হারুন-অর-রশিদের ছেলে। আহত অপরজন তার বন্ধু ফয়সাল হোসেন (৩৩)।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোটরসাইকেল নিয়ে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর থেকে কুমিল্লার দিকে যাচ্ছিল দুই বন্ধু। পথিমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের তেতৈতলা হাঁস পয়েন্ট এলাকায় আসলে চট্টগ্রামগামী একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরতর আহত হয় মোটরসাইকেলে থাকা দুই বন্ধু। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী হামদর্দ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

হামদর্দ জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, 'দুপুর পৌনে একটার দিকে তাদের হাসপাতালে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত দুজনকে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে একজনকে মৃত ঘোষণা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। অপরজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. শওকত হোসেন বলেন,

'নিহতের লাশ বর্তমানে হামদর্দ জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। ঘাতক বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন'।


ঝিনাইগাতীতে ১ যুগ পর কোরবানির মাংস পেলো গুচ্ছগ্রামের মানুষ

গোমড়া গুচ্ছগ্রামে এক যুগ এবং কান্দুলী গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা গত ৬ বছর ধরে কুরবানীর মাংস পায়নি। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর (ঝিনাইগাতী) প্রতিনিধি

শেরপুরের ঝিনাইগাতীর দুটি গুচ্ছগ্রাম - গোমড়া ও কান্দুলীর বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে কুরবানীর মাংস থেকে বঞ্চিত ছিল। গোমড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা এক যুগ এবং কান্দুলী গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা গত ৬ বছর ধরে কুরবানীর মাংস পায়নি। তবে এবার ‘দৈনিক বাংলাদেশের খবর’ পত্রিকায় বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর স্থানীয় সংগঠন ও দাতাদের উদ্যোগে এই দুটি গ্রামের মানুষ কোরবানির মাংস পেয়েছে।

গোমড়া গুচ্ছগ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা আঙ্গুরী বেগম (৭০) বলেন, ‘১২ বছর ধরে আমরা কোরবানির মাংসের স্বাদ পাইনি। এবার রক্তসৈনিক ফাউন্ডেশন আমাদের জন্য গরু দিয়েছে। আল্লাহ তাদের ভালো রাখুন।’

গুচ্ছগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকার অনেক গরিব মানুষ আছে যারা কোরবানি দিতে পারে না। এই উদ্যোগ আমাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। আমরা সংগঠনটির কাছে কৃতজ্ঞ।’

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘গুচ্ছগ্রামের দুঃস্থ মানুষেরা দীর্ঘদিন ধরে কোরবানির মাংস থেকে বঞ্চিত ছিল। স্থানীয় সংগঠন ও দাতাদের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আমরা সামাজিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে কাজ করে সবাইকে কোরবানির মাংসের আওতায় আনার চেষ্টা করব। আমাদের বিভাগীয় কমিশনার স্যারও গোসত পাঠাচ্ছেন। যদি কোনো অসহায় মানুষ কোরবানির মাংস না পেয়ে থাকে, আমরা নিশ্চিত করব যেন তারা গোসত পায়।’

পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন সংগঠনটি বিষয়টি নজরে নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়। সংগঠনের সভাপতি রাজিয়া সামাদ ডালিয়া গোমড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের জন্য একটি গরু কোরবানির ব্যবস্থা করেন।

অন্যদিকে কান্দুলী গুচ্ছগ্রামে শাহ অলি উল্লাহ ইসলাম সেন্টার বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে এবং অরফান শেল্টার ফাউন্ডেশন, যুক্তরাজ্যের আর্থিক সহায়তায় একটি গরু কোরবানি দেওয়া হয়। স্থানীয়রা জানান, গত ৬ বছর ধরে এই গ্রামে কুরবানীর মাংস বণ্টন হয়নি। এবার দাতাদের সহযোগিতায় গ্রামবাসী মাংস পেয়ে খুশি।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে ঝিনাইগাতীর দুটি গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন পর কুরবানীর মাংস পেয়ে আনন্দিত। স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে আর কেউ যেন কুরবানীর মাংস থেকে বঞ্চিত না হয়।


সিংগাইরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গৃহবধূ নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বেলুন ফুলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে সুবর্ণা আক্তার (১৮) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছে।এ ঘটনায় আরো গৃহকর্তা আরিফসহ দুইজন আহত হয়েছেন।

আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চারিগ্রাম ইউনিয়নের মধ্য চারিগ্রামে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত ওই নারীর নাম সুবর্ণা আক্তার (১৮)। সে ওই গ্রামের বেলুন বিক্রেতা হাসান মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেনের স্ত্রী। নিহত সুবর্ণা আক্তার পৈতৃক বাড়ী নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায়। আহত আরিফ হোসেনকে (২২) ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিবেশী অন্য এক নারীও আহতের খবর পাওয়া যায়।
স্থানীয় কহিনুর জানান, উপজেলার মধ্য চারিগ্রামের মো. হাসান মিয়ার বাড়িতে সকাল ৯টার দিকে বেলুন ফুলানোর জন্য ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারে গ্যাস তৈরি করছিল আরিফ। এ সময় অতিরিক্ত গরম হয়ে হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়। এতেপাশে রান্না করছিল আরিফের স্ত্রী সুবর্ণা। এতে তার বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গুরুতর আহত হয়। এ সময় তাদের ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে আরিফের স্ত্রী সুবর্ণাকে (১৮) সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আরিফ (২২) গুরুতর আহত হওয়ার তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ ঘটনায় বিস্ফোরণের বিকট শব্দে হাসানের প্রতিবেশী কাওছারের স্ত্রী জোস্না আক্তার (৩৩) আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সিংগাইর থানার ওসি জেওএম তৌফিক আজম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ও আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


কোরবানির মাংস কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে ‘ছোট ভাইয়ের হাতে’ বড়ভাই খুন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পারিবারিক কলহ ও কোরবানির মাংস কাটাকাটি নিয়ে বাগবিতাণ্ডার জেরে বড় ভাই দুলাল মিয়াকে (৫০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুই ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

রবিবার (৮ জুন) জেলার বিজয়নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুলাল মিয়া উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পুইতারা উত্তরহাটি এলাকার মৃত ওমর আলীর ছেলে।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, কোরবানির মাংস কাটার সময় মাংসের আকার ছোট বড় করা নিয়ে দুলাল মিয়ার সঙ্গে তার ভাইদের তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে রুবেল ও আলমগীর দুলাল মিয়াকে মারধর করেন।

মারধরের এক পর্যায় দুলাল মিয়ার মুখে বিষ ঢেলে দেন তার ভাইয়েরা। পরে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম বলে, ‘এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ঘটনাটির তদন্ত চলছে। ঘটনার পর থেকে দুই ভাই রুবেল ও আলমগীর পলাতক রয়েছেন।’

পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।


খুলনায় ট্রাক-ইজিবাইকের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

খুলনা নগরীতে ট্রাক ও ইজিবাইকের মুখোমখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আর চারজন।

সোমবার (৯ জুন) সকাল ৬টার দিকে নগরীর খানজাহান আলী সেতুর (রূপসা সেতু) পশ্চিম প্রান্তে দারোগার লীজ নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন— ইজিবাইক চালক রফিকুল ইসলাম (৫৬) ও যাত্রী তানজিল (১২)।

লবণচরা থানার লবনচরা ক্যাম্প ইনচার্জ (আইসি) উপপরিদর্শক মো. আব্দুর রহিম জানান, সোমবার ভোরে চাঁদপুর থেকে কয়েকজন খুলনায় আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। বাস থেকে নেমে তারা ইজিবাইকে করে রং সাইডে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে বাগেরহাট থেকে আসা একটি ট্রাক তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইক চালক রফিকুল ও যাত্রী তানজিল নিহত হন। আহত হন আরও চার যাত্রী।

আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাছাড়া, নিহতদের লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান আব্দুর রহিম।


নড়াইলে সেনাবাহিনীর অভিযানে স্নাইপার রাইফেল উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নড়াইল প্রতিনিধি

রোববার(৮জুন) গভীর রাতে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে সোহান মোল্যা (২৬) নামে এক শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে উন্নত মানের স্নাইপার নাইট্রো রাইফেল উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। সোহান মোল্যা ওই গ্রামের আবুল কালাম মোল্যার ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,সে খুলনার একটি কলেজে লেখাপড়া করে।

সেনাবাহিনী জানায়,টেলিস্কোপিক সাইট ও সাইলেন্সার যুক্ত ৪.৫ ক্যালিবারের স্নাইপার নাইট্রো রাইফেলটি দিয়ে অবৈধভাবে ব্যবহার করে স্থানীয় বাসিন্দাদের হুমকীর মুখে ফেলছিল অভিযুক্ত সোহান মোল্যা। সূত্র আরো জানায় গোয়েন্দা তৎপরতা এবং পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে নড়াইল ও কালিয়ার সেনাক্যাম্প যৌথভাবে রোবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে।

জানাযায়,সেনা সদস্যরা প্রথমে আবুল কালাম মোল্যার বাড়িটি ঘিরে ফেলে। চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে সোহান মোল্যার বিছানার নিচে গোপনে রাখা রাইফেলটি উদ্ধার করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে আগেই পালিয়ে যান সোহান ও তার বাবা।পরে উদ্ধারকৃত রাইফেলটি কালিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিণয়টি আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে থানা পুলিশ জানান।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এলাকাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন বলে জানা যায়। সন্তাস দমন এবং অস্ত্রচক্র নির্মূলে এ ধরণের যৌথ অভিযান আগামিতেও চলমান থাকবে বলে সেনাবাহিনী আশাবাদব্যক্ত করেছেন।


সৎ নেতৃত্ব আসলে ৫ বছরেই দেশ বদলে যাবে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুলাউড়া প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমি সাধারণ একজন মানুষ। ন্যায়বিচারের দাবি যার, সে-ই ন্যায়ের পক্ষে ভাবে। যদি সৎ নেতৃত্ব আসে, তবে পাঁচ বছরেই দেশ বদলে যাবে। আল্লাহ যেনো দেশকে এমন নেতৃত্বের হাতে তুলে দেন, যিনি ন্যায়ের উপর অটল থাকবেন।’

আজ রোববার দুপুরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভা মিলনায়তনে পেশাজীবী প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়ত আমির বলেন, ‘বাংলাদেশ কোনো রাজতন্ত্র নয়, অথচ গত ১৫ বছরে যা হয়েছে, তা রাজতন্ত্রেও হয় না।’

তিনি বলেন, ‘সাড়ে ১৬ বছর আমাকে আপনাদের সামনে আসতে দেওয়া হয়নি। এ সময়ের মধ্যে অনেকেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। তাদের সামনে উপস্থিত হতে পারলে ভালো হতো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে তিনবার দীর্ঘ সময় জেলে রাখা হয়েছে। গুম করা হয়েছে অনেককে। সিলেটের ইলিয়াস আলী আজও নিখোঁজ। সে বেঁচে আছে, নাকি মারা গেছে- তার পরিবারও জানে না।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছে। ভয় আর নিপীড়নের মধ্যে মানুষ কথা বলার সাহস হারিয়েছে। অথচ সেই সময়ও বলা হতো, দেশ উন্নয়নের রোল মডেল।’

৩০০ আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমি সারা দেশেই নির্বাচন করবো। যারা জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করবে, আমি তাদের সঙ্গেই থাকবো।’

উপজেলা জামায়াতের আমির সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় আয়োজিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগর আমির মো. ফখরুল ইসলাম, ঢাকার পল্টন থানা জামায়াত আমির শাহীন আহমেদ খান, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মো. ইয়ামির আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, শ্রীপুর জালালিয়া দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. শামসুল হক, প্রিন্সিপাল আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সিনিয়র শিক্ষক মনির উদ্দিন চৌধুরী, কুলাউড়া ব্যবসায়ী সমিতির দপ্তর সম্পাদক এনামুল ইসলাম প্রমুখ।


করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় বেনাপোল চেকপোস্টে সতর্কতা

ভারত থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের করোনার উপসর্গ আছে কিনা তা যাচাই-বাছাইসহ শরীরের তাপমাত্রা মাফা হয়ে। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বেনাপোল প্রতিনিধি

ভারতের বিভিন্ন স্থানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন দেখা দেয়ায় বেনাপোল চেকপোষ্টে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাচ্ছিদের। জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে, এসব স্থানে ওমিক্রন ধরনের (variant) LF.7, XFG, JN.I and NB.1.8.1 উপধরনের (Sub variant), কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবেশী দেশসমুহে সংক্রমণ বাড়লে বাংলাদেশেও সেই সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এই সংক্রমণ এড়াতে দেশের সকল নৌ, স্থল ও আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সমুহে স্ক্রিনিংসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মানার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। চলতি মাসের ৪ জুন রোগ নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালীর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশ জারি করা হয়েছে।

এমতাবস্থায় ভারতসহ বিভিন্ন সংক্রমিত দেশ থেকে আগত সন্দেহজনক যাত্রীদের দেশের স্থল, নৌ বন্দর এবং বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন ও আইএইচআর হেলথ ডেস্কের সহায়তার বিষয়ে স্বাস্থ্য বার্তা প্রদান এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিবিড়ভাবে পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, মেডিকেল ডেস্কে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি কর্মকর্তাদের ভারত থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের করোনার উপসর্গ আছে কিনা তা যাচাই-বাছাইসহ শরীরের তাপমাত্রা মাফতে দেখা গেছে।

ভারত ফেরত যাত্রী পরিতোষ মন্ডল জানান, দশদিন আগে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলাম। আজ দেশে ফিরলাম। বাংলাদেশের মতো ভারতের কোথাও করোনা বা ওমিক্রনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেনি।

ভারত ফেরত যাত্রী সীমা রানি বলেন, একমাস চিকিৎসার পর আজ দেশে ফিরে আসলাম। ভারতের কোথাও নতুন করে করোনার প্রভাব ছড়িয়েছে শুনিনি। দেশে আসার পর দেখছি করোনার পরীক্ষা করছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের উপ-সহকারি মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ বলেন, ভারতে জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে ভারতের কিছু কিছু স্থানে ওমিক্রন ধরনের (variant) LF.7, XFG, JN.I and NB.1.8.1 উপধরন (Sub variant) সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে করোনার এ ধরনটি যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সতর্কতার জন্য ভারত ফেরত প্রত্যেক যাত্রীকে আমরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছি। আমাদেরকে পরিচালক স্যার নির্দেশনা দিয়েছেন যদি কারও শরীরে করোনা বা ওমিক্রনের উপধারার উপসর্গ পাওয়া যায় তাহলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন করার পরামর্শ দিয়েছেন।


রাজবাড়ীতে ‘তাণ্ডব’ চলাকালীন কারিগরি ত্রুটি, হল ভাঙচুর

‘তাণ্ডব’ প্রদর্শনের সময় কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রচারে বিঘ্ন ঘটায় উত্তেজিত দর্শকরা ভাঙচুর চালিয়েছেন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বৈশাখী সিনেমা হলে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শনের সময় কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রচারে বিঘ্ন ঘটায় উত্তেজিত দর্শকরা ভাঙচুর চালিয়েছেন।

গতকাল ঈদের দিন শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে মুক্তিপ্রাপ্ত শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’ সিনেমাটি দেখতে শুরু থেকেই দর্শকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ২৫০ আসনবিশিষ্ট বৈশাখী সিনেমা হলে রাতের শো চলাকালীন সময়ে হঠাৎ কারিগরি সমস্যার কারণে সিনেমা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষার পরও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় দর্শকরা ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ার, ফ্যান ও টিকিট কাউন্টারে ভাঙচুর চালান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দর্শক বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিনেমা বন্ধ হয়ে যায়। আমরা ৩০ মিনিট অপেক্ষা করেও কোনো সুরাহা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠি। পরে টিকিটের টাকা ফেরতের দাবি জানাই, তখন হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়।’
বৈশাখী হলের ব্যবস্থাপক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘রাতের শো চলাকালে সার্ভারজনিত সমস্যা দেখা দেয়, যা প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী ছিল। তখন কিছু দর্শক উত্তেজিত হয়ে ভাঙচুর চালান। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

এদিকে এ বিষয়ে কালুখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনার বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। হল মালিকও যোগাযোগ করেননি।’

প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত আলোচিত ছবি রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তান্ডব’-এ অভিনয় করেছেন মেগাস্টার শাকিব খান, সাবিলা নূরসহ আরও অনেকে।


ঢাকা–বগুড়া মহাসড়কে ট্রাক উল্টে গরু ব্যবসায়ী নিহত, আহত ১৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ঢাকা–বগুড়া মহাসড়কে ট্রাক উল্টে এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন।

শনিবার (৭ জুন) বিকালে মহাসড়কের বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুরের রাজাপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজলুর রহমান (৪৫) দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনাস্থলে একটি গরু বহনকারী মিনি ট্রাক পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং ট্রাকটি মহাসড়কের ওপর উল্টে যায়। এতে ফজলুর রহমান গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ দুর্ঘটনায় গরু ব্যবসায়ীর সহকারীসহ অন্তত আরও ১৫ জন আহত হন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি গুরুতর আটজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহতদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’


ফেরি থেকে অটোরিকশা ছিটকে নদীতে, ১৩ ঘণ্টা পর বউ-শাশুড়ির লাশ উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ফেরি থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিটকে নদীতে পড়ে নিখোঁজের সাড়ে ১৩ ঘণ্টা পর দুই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

শনিবার ভোরে উপজেলার বিশনন্দী ফেরিঘাটে অটোরিকশাটি মেঘনা নদীতে পড়ে গিয়েছিল। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল সন্ধ্যা ৬টার দিকে নদী থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করে। অটোরিকশার ভেতর থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করে। আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজ্জাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মৃত দুই নারী হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার রসুলাবাদ এলাকার মোসাদ্দেক হোসেনের স্ত্রী খালেদা বেগম (৪০) ও তাঁর ছেলে সাগর হোসেনের স্ত্রী ফারজানা বেগম (১৯)।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ফেরি থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিটকে নদীতে পড়ে নিখোঁজের সাড়ে ১৩ ঘণ্টা পর দুই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

শনিবার ভোরে উপজেলার বিশনন্দী ফেরিঘাটে অটোরিকশাটি মেঘনা নদীতে পড়ে গিয়েছিল। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল সন্ধ্যা ৬টার দিকে নদী থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করে। অটোরিকশার ভেতর থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করে। আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজ্জাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মৃত দুই নারী হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার রসুলাবাদ এলাকার মোসাদ্দেক হোসেনের স্ত্রী খালেদা বেগম (৪০) ও তাঁর ছেলে সাগর হোসেনের স্ত্রী ফারজানা বেগম (১৯)।


আড়াইশ বছর ধরে চলছে পঞ্চায়েত প্রথা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. আল- আমিন(ফুলবাড়িয়া) ময়মনসিংহ

কোরবানির পশু জবাই করার পর তা তিন ভাগের একভাগ গোশত জমা রাখা হয়। আর এ গোশত জমা রাখাকেই বলা হয় 'পঞ্চায়েত'। কালক্রমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পঞ্চায়েত প্রথা হারিয়ে গেলেও ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের বৈলাজান গ্রামে আড়াইশ বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন এলাকাবাসী। বংশপরম্পরায় এই সামাজিক ঐতিহ্য ধরে রেখে ঐক্য ও সম্প্রীতির বার্তা দিচ্ছেন তারা। এবার ঈদ উল আজহা উপলক্ষে দেশের অন্যতম এ কোরবানির মাঠে ১৫৩টি খাসি ও ৭৬টি গরু কোরবানী করা হয়েছে। কোরবানির মাংসের সামাজিক বন্টন করা হয়েছে ১৬শত ২০টি। কেউ কেউ ঐতিহ্যবাহী কোরবানির মাঠকে দেশের বৃহত্তম কোরবানির মাঠ বলে বলেও দাবী করেন ।

স্থানীয়রা বলছেন, বৈলাজান গ্রামের কোরবানির মাঠটি পূর্বপুরুষদের রেখে যাওয়া দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ও ঐক্যের প্রতীক। সম্প্রীতি ধরে রাখতে দুটি ঈদগাহ ও সাতটি মসজিদ সমাজ নিয়ে এ কোরবানি মাঠ গঠিত। এ কোরবানির সমাজে এ বছর ১৫৩টি খাসি ও ৭৬টি গরুসহ ২২৯ টি পশু কোরবানি করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৈলাজান কোরবানির মাঠে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় পশু জবাই, গোশত প্রসেসিংয়ের কাজ চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। পরে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে জমাকৃত তিনের একাংশ গোশত কোরবানি সমাজের ১৬২০টি খানার মধ্যে তা সমহারে বন্টন করে যার যার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এ উপলক্ষে মাঠে বিরাজ করে আনন্দ ঘন পরিবেশ। মাঠের এক পাশে বসে দোকান। সেখানে ছোট ছেলে মেয়েরা আনন্দ উল্লাস করে থাকে।

পঞ্চায়েত সভাপতির দায়িত্ব থাকা ইব্রাহিম মাস্টার বলেন, আমাদের এ কোরবানির মাঠ কবে থেকে শুরু হয়েছে তা আমরা কেউই বলতে পারব না। আমাদের পূর্বপুরুষরা এই মাঠে কুরবানি করেছেন। আমার দাদা করেছে আমার বাবা করেছে আমরাও কোরবানি করছি।

স্থানীয় হাফিজুল ইসলামসহ অন্যান্যরা বলেন, এই কোরবানির মাঠ আমাদের ঐতিহ্য। এটি আমাদের ভাতৃত্ববোধ ও ঐক্যের বন্ধনকে সুদৃড় করেছে। যুগযুগ ধরে এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা সকলেই বদ্ধপরিকর।


banner close