বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
১১ আষাঢ় ১৪৩২

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৫ জুন, ২০২৫ ১১:৫৫

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক সচরতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশ গ্রহণের সমন্বিত পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে (২৫ জুন) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় তৃতীয় তলায় মিনি কনফারেন্স হলরুমে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন,নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইয়াসিন, গ্রাম আদালত নোয়াখালী ম্যানেজার আহসানুল্লাহ চৌধুরী মামুনসহ এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।


প্রতিবন্ধী সমতা প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে জাতীয় সেমিনার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমতা প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা বিষয়ে বুধবার জাতীয় পর্যায়ের সেমিনার হয়েছে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কোর সহযোগিতায় গণমাধ্যম ও যোগাযোগবিষয়ক উন্নয়ন সংগঠন সমষ্টি ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে এ আয়োজন করে।

এতে সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, প্রতিবন্ধী অধিকারকর্মী, শিক্ষাবিদ, নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিরা অংশ নেন।

গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধী সমতা শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন ইউনেস্কো ঢাকা অফিস প্রধান ও বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সুজান ভাইজ। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব দিলারা জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট-এর মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ হিরুজ্জামান এনডিসি, দৈনিক কালের কণ্ঠ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি হাসান হাফিজ। গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তি: চর্চা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় বিষয়ে সেমিনারে ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ-এর সঞ্চালনায় বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে ছিলেন: মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং আইসিবিসি প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল কাদির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন, ইউএনডিপি'র এসপিএস‌এস সিনিয়র অ্যাডভাইজার - কমিউনিকেশনস এস‌এম মনজুর রশীদ এবং এ-টু-আই প্রকল্পের জাতীয় পরামর্শক ভাস্কর ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন প্রধান নূরে জান্নাত প্রমা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমষ্টির নির্বাহী পরিচালক মীর মাসরুরুজ্জামান।

প্রধান অতিথি দিলারা জামান এরকম অনুপ্রেরণামূলক আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, আলোচনা ও উপস্থাপনাগুলো আমার দৃষ্টি খুলে দিয়েছে। আমি ভালোবেসে আমার পাশের যে প্রতিবন্ধী মানুষটি আছে তার জন্য হাত বাড়িয়ে দেব। এখন থেকে আমি যে ক’টা দিন বাঁচব, আমি চেষ্টা করব আমার চারপাশে যারা আছে, আমি যাদের সঙ্গে অভিনয় করি, এবং যেসব মায়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়, তাদের অনুরোধ করব তোমার পাশে যেসব প্রতিবন্ধী মানুষেরা আছে তাদের জন্য অল্প সময়ের জন্য হলেও তোমাদের হাত দুটি বাড়িয়ে দাও।

ড. সুজান ভাইজ বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে কিছু অগ্রগতি হলেও, পদ্ধতিগত বাধা এবং অবচেতন পক্ষপাত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সুযোগ সীমিত করে চলেছে, বিশেষ করে মিডিয়া এবং কর্মসংস্থান খাতে। বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্বের তীব্র অবমূল্যায়নের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি মিডিয়া পেশাদারদের বিদ্যমান স্টেরিওটাইপগুলোকে চ্যালেঞ্জ করার এবং কেবল করুণা বা কষ্টের বর্ণনার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চিত্রিত করা থেকে দূরে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান।

হাসান হাফিজ বলেন, 'প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মর্যাদার সাথে উপস্থাপনে গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতা রয়েছে। গণমাধ্যমকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উপযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতেও কাজ করতে হবে।'

মুহাম্মদ হিরুজ্জামান এনডিসি বলেন, 'সরকার গণমাধ্যমকে প্রতিবন্ধীবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলায় সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটও কাজ করে চলেছে।'

অনুষ্ঠানে ইউনেস্কো প্রণীত গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধী সমতা শীর্ষক ব্যবহারিক নির্দেশিকার মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। নির্দেশিকার বাংলা রূপান্তরের সঙ্গে যুক্ত জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শাহনাজ মুন্নী এ সময় বক্তৃতা করেন।

এ আয়োজনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ও সমমানের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার আটজন বিজয়ীকে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। গণমাধ্যমের বার্তাকক্ষ ও অনুষ্ঠানের মূলধারায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বাংলা ও ইংরেজি বিভাগে প্রথম হয়েছেন যথাক্রমে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের মো. জারিফুল ইসলাম জিম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সুমাইয়া খানম।

অনুষ্ঠানে বি-স্ক্যান এর শিল্পীদের পরিবেশনায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে নাটিকা, গান, নাচ ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন শিল্পীরা।


ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে জাতীয় সামাজিক ব্যবসা কেস প্রতিযোগিতা ২০২৫ অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো দ্বিতীয় জাতীয় সামাজিক ব্যবসা কেস প্রতিযোগিতা ২০২৫-এর গ্র্যান্ড ফাইনাল।

১৫তম সামাজিক ব্যবসা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতাটি যৌথভাবে আয়োজন করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার, সোশ্যাল বিজনেস স্টুডেন্টস ফোরাম এবং ইউনূস সেন্টার।

বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক ব্যবসা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি ও উদ্ভাবনী, টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবসায়িক ধারণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজন করা হয় এ প্রতিযোগিতা। এতে অংশগ্রহণ করে দেশের ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৬টি দল, যার মধ্যে ছিল মোট ৬৫৪ জন প্রতিযোগী।

এই প্রতিযোগিতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের "সিলকোনোমিস্টস" দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। প্রথম রানারআপ হয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের "সুশি" দল এবং দ্বিতীয় রানারআপ হয় ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির "নো সারপ্রাইজেস" দল।

সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনূস সেন্টারের ওয়াইএসবিসির রিলেশন ম্যানেজার জিনাত টি. ইসলাম, তুরস্কের ইস্তানবুল কৈতুর ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরি ও ডকুমেন্টেশন বিভাগের উপ-প্রধান সেরেফি সেনেম গুনিসু এবং গারবেজম্যানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সোশ্যাল বিজনেস স্টুডেন্টস ফোরামের আহ্বায়ক মো. কামরুজ্জামান দিদার, উপদেষ্টা ড. খাদিজা রহমান তানচি এবং সহ-আহ্বায়ক সৈয়দ রায়হান-উল-ইসলাম।


আগামীকাল এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আগামীকাল ২৬ জুন সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে। বাংলা প্রথম পত্রের মাধ্যমে শুরু হয়ে লিখিত পরীক্ষা চলবে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।

এ বছর মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী।

১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের আওতায় পরীক্ষায় অংশ নেবে ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৮ জন। অন্যদিকে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের (আলিম) পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ১০২ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৬১১ জন।

দেশে মোট পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৭৯৭টি। এছাড়া বিদেশে ৮টি কেন্দ্রে ২৯৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে। এ বছর মোট ৯ হাজার ৩১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। কেউ এ নির্দেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রের ২শ গজের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের জন্য মোবাইল ফোনসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।


দৌলতপুরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ, সার ও ফলের চারা বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ৬৩৫০ জন শিক্ষর্থী এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ, সার ও ফলের চারা বিতরণ কর্মসুচির শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বুধবার (২৫ জুন) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা কৃষি অফিস চত্তরে এ কর্মসুচীর শুভ উদ্বোধন করা হয়।

২০২৪-২৫ অর্থ বছরে খরিপ -২/২০২৫-২৬ মৌসুমে কৃসি প্রনদনা কর্মসুচীর আওতায় আমন (উফশী আমন) ধান গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, নারিকেল, তাল, আম, নিম, বেল, জাম ও কাঁঠাল, উফশী জাতের শাকসবজী ও হাইব্রীড জাতের মরিচের আবাদ ও উৎপাদণ বৃদ্ধির লক্ষে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ, সার ও ফলের চারা বিনামূল্যে প্রদান করেন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।

এসময় কৃষি অফিসার নুরুল ইসলাম জানান, উপজেলার ২৭০০ প্রান্তিক কৃষককে সার ও ধান বীজ, ৮০০ কৃষককে গৃষ্মকালীন সার ও পেঁয়াজ বীজ, ১০০ জন কৃষককে শাকসবজী বীজ, ১০০ জন কৃষককে মরিচের চারা, ৩০০ জন কৃষকের মাঝে তালের চারা এবং ১৭৫০ জন শিক্ষর্থীদের মাঝে আম, নিম, বেল, জাম ও কাঁঠালের চারা বিতরন করা হবে।

এসময় উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলী হোসেনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী ও সাংবাদিকবৃন্দ।


কুষ্টিয়ায় ‘টর্চার সেলের’ সন্ধান, অস্ত্র-মাদকসহ ৫ ‘সন্ত্রাসী’ আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

কুষ্টিয়ার একটি বাড়ি থেকে পাঁচ ব্যক্তিকে আটক করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর একটি দল। তারা সবাই সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দিবাগত গভীর রাতে সদর উপজেলার আইলচারা বাজার-সংলগ্ন একটি তিনতলা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও ফেনসিডিল জব্দ করে দলটি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আটকরা দীর্ঘদিন ধরে ওই ভবনটি অপরাধের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। তারা বাড়িটিকে একটি টর্চার সেল বা নির্যাতনকেন্দ্রে রূপান্তর করেছিল। সেখানে অপহরণ করে ধরে আনা ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন চালানো হতো। এরপর অপহৃতদের পরিবার থেকে আদায় করা হতো মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ।

আটকরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা ইমরান খান মানিক, বড় আইলচারা এলাকার বাসিন্দা রনি, মিরপুর থানার পোড়াদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ কাটদহ এলাকার বাসিন্দা সজীব এবং একই ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামের রাব্বি ও শাকিল।

স্থানীয়দের দাবি, মানিকের নেতৃত্বে এই চক্রটি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভয় ও ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিল। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাস ছিল তাদের নিত্যদিনের কাজ।

তবে যৌথ অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে এবং অনেকে বাইরে এসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অপহরণ সংক্রান্ত ধারায় একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।’


যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একটি বিচারাধীন মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়ে গেছে। আদালতের নথি থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই কাগজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে মামলার বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির ও আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুলকে শোকজ করেছেন বিচারক। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, ঘটনাটি ঘটে গত ২২ জুন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে। ওই দিন মামলাটির (এসসি-১৬৬৯/২০১৮) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ছিল। আদালতে আসামি, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও আসামিপক্ষের আইনজীবী—সবাই উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বিচারক মো. সালেহুজ্জামান মামলার নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান, নথিতে মামলার এজাহারের কপি নেই। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান, সাক্ষ্য গ্রহণের আগে আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল তার কাছ থেকে নথি নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এজাহার দেখে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। এরপর তিনি আবার নথি বিচারকের কাছে জমা দেন।

এরপর এজলাসেই বিচারক আইনজীবীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারাসহ সিনিয়র আইনজীবীরা এজলাসে হাজির হন। একপর্যায় বিচারক ওই দুইজনকে শোকজ করে আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিচারক এজলাসে ওঠার আগে আইনজীবী মামলার নথি নিয়েছিলেন। পরে ফেরত দেন। আমি নিজে নথিতে কোনো হেরফের করিনি। আইনজীবী কিংবা আইনজীবীর সহকারীর মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটতে পারে।’

অন্যদিকে, আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল জানান, তিনি নথি নিয়েছিলেন ঠিকই, তবে বিচারক এজলাসে চলে আসায় তা যথাযথভাবে বেঞ্চ সহকারীর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আসামির চালান কপি থেকে তথ্য নিয়েছেন। এজাহার সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন।

যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ গফুর বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। একজন আইনজীবী এমন কাজ করতে পারেন না। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।’

আদালত ও আইনজীবী সমিতি সূত্র আরও জানায়, আদালতে থাকা মামলার মুল কপি থেকে মামলার এজাহারের কপি সরিয়ে নিয়ে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া এজাহার কপি হারিয়ে গেলেও মামলার বিচারের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওই মামলার এজাহারের ফটোকপি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির কাছে সংরক্ষিত থাকে। এর বাইরেও অনেক মাধ্যমে মামলার এজাহারের কপি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তবে, মুল নথিতে এজাহারের কপি না থাকাটা সমীচীন নয়। এ বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানায় সূত্র।


পদ্মার চরে ভাঙনে দিশেহারা আশ্রয়নসহ হাজার পরিবার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

গত কয়েক মাস ধরে উজান থেকে বয়ে আসা বন্যার পানি আর অতি বৃষ্টিতে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের পদ্মার তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে সুতালড়ী, আজিমনগর ও লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের ঘরবাড়ি ও কয়েকশ বিঘা ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এরই মধ্যে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে লেছড়াগঞ্জ ইউপির ২নং ওয়ার্ডের হরিহরদিয়া, শ্রীলমপুর গ্রামসহ আশপাশের এলাকা। অসহায় হয়ে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে আশ্রয়নের ঘরে থাকা ১৪০টি পরিবার। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে জানা যায়, গত ২৪ বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় আশ্রয়নের ঘরে থাকা বাসিন্দাদের খবর নেয়নি কেউ।

পদ্মার প্রায় ২০০ মিটার কাছে এই আশ্রয়নের ঘরে ভাঙন আতঙ্কে অশ্রুসিক্ত নয়নে ঘুম নেই কারো। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে জয়পুর নতুন হাটবাজার, মসজিদ, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ আরও হাজার পরিবার।

পদ্মার ভয়ংকর থাবায় সবকিছু হারিয়ে বাপ-দাদার রেখে যাওয়া মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু রক্ষায় স্থানীয় নেতাকর্মীসহ সরকারের সহায়তা চেয়েছেন তারা।

সরজমিনে দেখা যায়, হরিরামপুর উপজেলার তিন ইউনিয়নের মধ্যে লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনের হাত থেকে শেষ রক্ষা পেতে বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছেন এখানকার বাসিন্দারা। কিন্ত মাথা গোজার ঠাইটুকু মিলছে না করো।

উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের হরিহরদিয়া গ্রামের আঁখি বেগম জানান, আমার স্বামী রহিজ উদ্দিন ৫ বিঘা জমিতে চাষ করে ভাল ফলন ওইছিলো। এহন চোহের পলকে চইলা গেলো। এহন আমরা কি করুম?

আশ্রয়নে থাকা মেছের জানান, ‘নদীভাঙন বাড়ির কাছে চলে আসায় ঘর সরিয়ে কোথায় নেব? ভাইবা পাইতাছি না। পাশে নটাখোলা এলাকায় এক জায়গায় ৩৮ একর, আরেক জায়গায় ৩৫ একর জায়গা হার সোসাইটি নামের এনজিওর দখলে আছে। কিভাবে তারা ৭৩ একর জায়গা তাদের দখলে আছে, জানি না, তবে সেখানে আপাতত অস্থায়ী হলেও থাকার জায়গা করে দিলে অনেক উপকার হতো। যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে মনে হয় বাপ-দাদার রেখে যাওয়া ভিটেমাটিটুকুও থাকবে না।’

একই এলাকার আছিয়া বেগম বলেন, ‘এইবারের পদ্মার ভাঙনে শেষ সম্বল যাওয়ার পথে। লোকমুখে শুনছি, সাবেক সংসদ সদস্য, দানবীর মুন্নু মিয়ার সুযোগ্য কন্যা, জেলা বিএনপি আহ্বায়ক রিতা আপা কাউরে ফিরায়ে দেয় না। রিতা আপার কাছে আমগো দাবি- আমগো মাথা গোজার ঠাঁই করে দেন। আমরা পরান ভইরা আপার জন্য দোয়া করুম।

এরমধ্যে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতার নির্দেশে ভাঙন কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করে ভাঙন আতঙ্কে থাকা পরিবারের অনত্র সরিয়ে নেয়া এবং পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

হরিরামপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি হান্নান মৃধা জানান, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সংগ্রামী আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা আপার নির্দেশে আমরা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বিএনপি সব সময় অসহায় মানুষের পাশে থাকে। তাদের সুখ দুখের ভাগিদার আমরা সবাই।

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনুর আক্তার বলেন, আমরা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।


কক্সবাজার সৈকতে বালি কেটে কৃত্রিম খাল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আশরাফ বিন ইউছুপ, কক্সবাজার

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে এবার বাণিজ্যিক দুই প্রতিষ্ঠান মিলেমিশে বালিয়াড়ি কেটে তৈরি হয়েছে একটি কৃত্রিম খাল। প্রাকৃতিকভাবে পানি চলাচলের স্বাভাবিক পথ বন্ধ করে একটি বাঁধ তৈরি পর কৃত্রিম খালটি খনন করা হয়েছে।

এতে অবিচ্ছিন্ন সৈকত বিচ্ছিন্ন হওয়ার পাশাপাশি বালিয়াড়িতে তীব্র ভাঙ্গনের আশংকা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সৈকত জুড়ে গর্ত ও গুপ্তখাল সৃষ্টি হয়ে পর্যটকদের নিরাপদ সমুদ্রস্নানে প্রতিবন্ধকতারও আশংকা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া কৃত্রিম খাল দিয়ে হোটেল-মোটেল জোনের ময়লাযুক্ত পানি সরাসরি সাগরে মিশে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ ও প্রতিবেশ; এমনটা মন্তব্য পরিবেশবাদীদের।

গত মঙ্গলবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী পয়েন্টসংলগ্ন ডিভাইন ইকো রিসোর্টের পাশ দিয়েই দেখা মিলেছে কৃত্রিম খালটির। আশে পাশের পর্যটন সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, হোটেল-মোটেল জোনের কিছু অংশের পানি ডিভাইন ইকো রিসোর্টের পিছনের সীমানার পাশ দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি ছড়া দিয়ে চলাচল করত। ওই ছড়ার পানি প্যাসিফিক বিচ লাউঞ্জ ক্যাফের সামনে দিয়ে সাগরে গিয়ে মিশত। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে প্যাসিফিক বিচ লাউঞ্জ ক্যাফে মালিক পক্ষ ছড়াটি বন্ধ করে বালির বস্তা দিয়ে তৈরি করা হয় একটি বাঁধ। এতে বাঁধের কারণে ডিভাইন ইকো রিসোর্টের সামনে পানি জমে বড় ও গভীর ডোবার সৃষ্টি হয়। পরে জমে থাকা নিষ্কাষনের জন্য প্রতিষ্ঠানটির দক্ষিণ-পশ্চিম সীমানার কোণ ঘেঁষে বালিয়াড়ি কেটে তৈরি করা হয় একটি কৃত্রিম খাল। এতে খালটি দিয়ে জমে থাকা পানির পাশাপাশি ভারী বর্ষণে ঢলের পানি খালটি দিয়ে প্রতিনিয়ত সাগরে মিশে যাচ্ছে। আর জোয়ার-ভাটার সময় পানি যাতায়তের কারণে খালটির দিন দিন পরিধি বাড়ছে। এতে ক্রমাগত বিচ্ছিন্ন হতে যাচ্ছে অবিচ্ছিন্ন সৈকত। প্যাসিফিক বিচ লাউঞ্জ ক্যাফে ও ডিভাইন ইকো রিসোর্টের নিয়োগ করা শ্রমিকরা এই কৃত্রিম খালটি খনন করেছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু জানিয়েছেন, দুইটি প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিগত স্বার্থে এমন বিস্ময়কর ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এতে হোটেল-মোটেল জোনের ময়লাযুক্ত পানি প্রতিনিয়ত সাগরে মিশে যাওয়ার পাশাপাশি ভারী বর্ষণের খালটি বড় আকার ধারণ করছে। এ খালের কারণে পর্যটকদের নিরাপদ সমুদ্র স্নানের প্রতিবন্ধকতা তৈরি ছাড়াও প্রাণহানির আশংকা দেখা দিতে পারে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দায়িত্ব পালনকারি সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র কর্মী মোহাম্মদ শুক্কুর জানিয়েছেন, সম্প্রতি বর্ষায় সৈকতের বিভিন্ন স্থানে গর্ত এবং গুপ্তখাল সৃষ্টি হয়েছে। এতে সমুদ্র স্নানে যাওয়া ৮ জন পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। স্বাভাবিকভাবে সৃষ্ট গর্ত ও গুপ্তখাল চিহ্নিত করা খুবই কষ্ঠের।

ডিভাইন ইকো রিসোর্টের মালিকপক্ষের প্রতিনিধি মোহাম্মদ সেলিম জানান, প্রাকৃতিকভাবে যে পথে পানি নেমে যেত যেখানে একটি বাঁধ তৈরি হয়েছে। এতে তাদের প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রচীন ভাঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এখন বিকল্প পথে পানি যাচ্ছে। এটি কৃত্রিমভাবে খনন করা হলেও তারা এটার সঙ্গে জড়িত নন। কারা করেছে তাও জানেন না।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন জানান, বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব মূলত কক্সবাজার পৌরসভা ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। তারপরও অবৈধ পন্থায় কেউ কিছু খোঁজ খবর নিয়ে জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।


দৌলতপুরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সশস্ত্র ডাকাতদল বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, ১ভরি স্বর্ণালংকার ও ১০০ ভরি রুপা লুট করে নেয়। সোমবার (২৩ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের সিরাজনগর বেলতলীপাড়া গ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী হায়দার আলীর বাড়িতে এ দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সিরাজনগর বেলতলীপাড়া গ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী হায়দার আলী পাশর্^বতী বাহিরমাদী বাজারে তার স্বর্ণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা দোকান থেকে ব্যবসার নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়িতে যান। এসময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ৩-৪ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত বাড়িতে প্রবেশ করে ব্যবসায়ী হায়দার আলীর মাথায় পিস্তুল ঠেকিয়ে ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ব্যাগভর্তি নগদ ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, ১ভরি স্বর্ণালংকার ও ১০০ ভরি রুপা লুট করে নেয়। বাড়ির লোকজন চিৎকার ও কান্নাকাটি করতে গেলে ডাকাতদল তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে নির্বিগ্নে চলে যায়।

এ ঘটনায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী হায়দার আলী আজ মঙ্গলবার বিকালে দৌলতপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

ডাকাতির ঘটনার বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মো. নাজমুল হুদা বলেন, ডাকাতি ঠিক বলা যাবেনা, চুরির ঘটনা ঘটেছে। কিছু জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


গ্রাম বাংলায় হারিয়ে যাচ্ছে মাটির ঘর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

শ্যামনগরসহ আশপাশের এলাকায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির এসি খ্যাত ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি দেয়াল ঘর। উপজেলা সবত্র গ্রামগুলোতে গত কয়েক বছর পুর্বেও মাটির ঘর বা দেয়াল ঘরের বাড়ি ছিল। এসব দেয়াল ঘর বা মাটির ঘরে প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও ঘরের ভেতরে বেশ আরামদায়ক ও শীতল আবেশ ছিল। এর বিপরিতে শীতের দিনে ঘরে গরমের পরিবেশ ছিল। কারণ হিসেবে দেখা গেছে, মাটির দেয়াল ঘর এর চতুরপাশ্বের ওয়াল প্রায় দুই থেকে তিন ফুট পুরো ও বিশেষ পক্রিয়ায় মাটির দিয়ে প্রলেপ দেয়ার কারনে এসব ঘরে শীতের বাতাশ বা রুদ্রের তাপ সহজে প্রবেশ করতে না পারায় গরমে শীতল ও শীতে গরম অনুভত হওয়ায় লোকজন বেশ আরামে বসবাস করেছেন। যদিও এটি মাটি দিয়ে তৈরি তারপরও এর নির্মানশৈলী কিন্তু মোটেই সহজ নয়। প্রথমে মাটি কেটে বড় গর্তে ফেলে এটিকে দলাই-মলাইয়ের পর বিশেষ প্রক্রিয়ায় পর্যায়ক্রমে পানি দিয়ে বেশ অনেকদিন কুপিয়ে কুপিয়ে মাটিকে একবারে আঠালো করে পচন পক্রিয়ায় কাচাকাছি নিয়ে অনেকটা তুলতুলে মন্ডার মত করে ঘরের নিদিষ্ট মাপের মধ্যে মাটির কয়েকফুট নিচ থেকে বসিয়ে বিরতি দিয়ে ঘর বানাতেন কারিগড়রা। পরে দেয়াল সাইজ মত কেটে প্রলেপ দিয়ে এটিকে সাজিয়ে তুলতেন। বিত্তবানরা এতে বিভিন্ন নকশা করাতেন। অনেকে মাটির দু-তলাও বানাতেন। এটি অনেক কষ্টকর কাজ ছিল, তবে ঘর বানানোর মেস্তরীর চাহিদাও ছিল ব্যাপক। এক সময় প্রায় সব শ্রেণীর লোকেরাই মাটির ঘরে বসবাস করতেন। অতি ধনাঢ্য লোকেরা টিনের ঘরে বসবাস করতেন। বর্তমানে কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্তি পথে মাটির তৈরি ঘর। এর স্থানে উঠছে রড় রড় দালান বাড়ি। তবে গফরগাঁও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এখনো অনেক মাটির ঘর রয়েছে। এমনি ঘরে বাস করা ইমদাদুল হক টুটুল ও মর্জিনা দম্পত্তি সহ অনেকে জানান, এ ঘর অনেকটা এয়ারকন্ডিশনের মতো শীতে গরম থাকে ও গরমে ঠাণ্ডার আবেশে তারা বেশ আরামেই আছেন। প্রতি বছর মাটির সঙ্গে ধানের তুষ দিয়ে প্রলেপ দিলে এসব ঘর অনেক বছর (৪০-৫০)পর্যন্ত টিকে থাকে বলেও জানিয়েছেন। মাটির ঘর নির্মানেও বেশ খরচ হয়। বর্তমানে হোসেনপুর-গফরগাঁওসহ আশপাশের উপজেলার গ্রাম এলাকায় মাটির ঘর খুব কম দেখা যায়। এক সময় এ পেশায় অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করতেন। বর্তমানে মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে জীবন মানের ও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, ফলে মাটির ঘরের স্থানে উঠেছে বড়-বড় ইমারত। এতে হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালিদের চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী প্রকৃতির এয়ারকন্ডিশনখ্যাত মাটির ঘর।


বাংলাদেশের মুদ্রার মান এ দেশ থেকেই নির্ধারিত হবে, গুগল পে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গভর্নর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের মুদ্রার মান দেশীয়ভাবে নির্ধারিত হবে এবং কোনো অযৌক্তিক কারণে এক পয়সাও অবমূল্যায়নের সুযোগ নেই। দুবাই থেকে আমাদের টাকার মান নির্ণয় হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, নইলে মধ্যস্বত্বভোগীরা সুযোগ নিতে পারে। বাংলাদেশের সম্ভাবনা সীমাহীন, তবে তা নষ্ট করার সুযোগও সীমাহীন।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত গুগল পে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন গভর্নর।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যে গভর্নর জানান, ব্যাংক খাতকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে আগামী জানুয়ারি থেকে ‘রিস্ক বেজ সুপারভিশন’ চালু করা হবে। ইতোমধ্যে ২০টি ব্যাংকে সুপারভিশন পরিচালনা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব নয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করাকে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান দায়িত্ব হিসেবে উল্লেখ করেন।

তার মতে, মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসছে, তবে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় যেতে আরো সময় লাগবে।

আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষার অংশ হিসেবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কয়েকটি ব্যাংককে একীভূত করার পরিকল্পনার কথাও জানান গভর্নর। তিনি আশ্বস্ত করেন, আমানতকারীদের কোনো ধরনের ক্ষতি হবে না। সবাই তাদের বর্তমান ব্যাংকে থেকেই সেবা নিতে পারবেন।

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করল ‘গুগল পে’

অনুষ্ঠানে গুগলের ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘গুগল পে’র আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। গুগল, মাস্টারকার্ড এবং ভিসার সহায়তায় সেবা চালু করছে ‘সিটি ব্যাংক পিএলসি’, যা দেশের প্রথম কোনো ব্যাংক হিসেবে গুগল পে-র সঙ্গে যুক্ত হলো।

প্রথম পর্যায়ে কেবল সিটি ব্যাংকের ভিসা ও মাস্টারকার্ড গ্রাহকরাই গুগল ওয়ালেটে কার্ড সংযুক্ত করে গুগল পে ব্যবহার করতে পারবেন। পরবর্তী পর্যায়ে অন্যান্য ব্যাংক যুক্ত হলে সেবাটি আরো বিস্তৃত হবে।

গ্রাহকের হাতে আধুনিক ও নিরাপদ পেমেন্ট প্রযুক্তি

গুগল পে ব্যবহারে গ্রাহকেরা দেশে ও বিদেশে যেকোনো POS টার্মিনালে স্মার্টফোন ট্যাপ করেই লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন, ফলে কার্ড বহনের প্রয়োজন হবে না।

গুগল পে কোনো ট্রানজেকশন ফি নেয় না। নিরাপত্তার জন্য কার্ডের পরিবর্তে ‘টোকেন’ ব্যবহার করে।

গুগল পেমেন্টসের গ্রুপ প্রোডাক্ট ম্যানেজার শাম্মী কুদ্দুস, সিটি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ, সিইও মাসরুর আরেফিন, মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি জ্যাকবসন, মাস্টারকার্ড ও ভিসার দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সিটি ব্যাংকের সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের ভবিষ্যতমুখী ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেম গঠনের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। গুগল পে চালুর মাধ্যমে সিটি ব্যাংক আবারও প্রমাণ করল যে, আমরা ডিজিটাল উদ্ভাবনের অগ্রদূত।


জয়পুরহাটে হিমাগার সিন্ডিকেটে জিম্মি কৃষকরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাব্বিউল হাসান, জয়পুরহাট 

আলু উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা জয়পুরহাট। এ জেলার আলুর গুণগত মান ভালো হওয়ায় দেশ পেরিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হয়। আর এ আলু চাষ করে কৃষকরা ও আলু ব্যবসায়ীরা বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। আবার জেলার ২১টি হিমাগারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩টি হিমাগার অবস্থিত কালাই উপজেলায়।

একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন তারা। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহাতে প্রতি বস্তায় ৫০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হিমাগারগুলোতে আলু বিক্রির মৌসুম পুরোদমে শুরু না হতেই ভাড়া বাড়ানো এবং বাজার অস্থিরতায় জেলার অনেক কৃষক ও ব্যবসায়ী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। দ্রুত নীতিসহায়তা ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ না হলে সংকট আরও বেশি হবে বলে আশঙ্কা তাদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শ্রমিক বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি বস্তায় ৫০ পয়সা বেশি মজুরি দেওয়া হচ্ছে। যা তাদের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। অথচ বিদ্যুৎ-সংকট নেই, বিদ্যুতের ভাড়াও বাড়েনি, তা সত্ত্বেও প্রতি বস্তায় ৫০-৭০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া অযৌক্তিক

আলু ব্যবসায়ী মইনুল ইসলাম বলেন, এম ইসরাত হিমাগার, সালামিন ফুডস, আরবি স্পেশালাইজড কোল্ড স্টোরেজ ও পুনট হিমাগার থেকে প্রতিদিন তিনি ৫০০-১০০০ বস্তা আলু কেনাবেচা করেন। এসব আলু তিনি পাঠান কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে। গত দুই-তিন বছর ভালো লাভ হয়েছে। কিন্তু এবার প্রতিদিন বস্তা প্রতি গড়ে এক থেকে দেড় টাকা লোকসান গুনছি। বাজার ওঠানামা করছে। একদিন ৫০ পয়সা লাভ হলেও পরদিন ১ টাকা লোকসান হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ৬০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা আলু বিক্রি হচ্ছে ৮৮০-৯০০ টাকায়। অথচ সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩০ টাকা। গত বছর একই ওজনের বস্তার ভাড়া ছিল ৩৫০-৩৬০ টাকা।

জেলার সদর উপজেলার সোটাহার ধারকী গ্রামের কৃষক তোতা মিয়া বলেন, খুব কষ্টে ৬০ বস্তা আলু সংরক্ষণ করেছি আরবি কোল্ড স্টোরে। ভাড়া নেওয়া হচ্ছে প্রতি বস্তা ৪৩০ টাকা। অথচ মৌসুমের শুরুতে প্রশাসনের চাপে ৩৫০ টাকা নির্ধারিত হয়েছিল। একদিকে বাজার দর নেই, অন্যদিকে অতিরিক্ত ভাড়া এই সংকটে কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের কাছে আবেদন আমাদের হিমাগার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট থেকে মুক্ত করুন।

কালাই পৌরসভার সড়াইল এলাকার আলু ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, জয়পুরহাটের পার্শ্ববর্তী বগুড়ার হিমাগারগুলোতে এখনো প্রতি বস্তা আলুর ভাড়া ৩৫০-৩৬০ টাকা। অথচ জয়পুরহাটে তা ৪২০-৪৩০ টাকা।

কালাই উপজেলায় অবস্থিত পুনট হিমাগারের ব্যবস্থাপক বিপ্লব ঘোষ বলেন, কিছু কৃষক ঝুঁকি নিয়ে এবার বাড়িতেই আলু রেখেছেন। সেসব আলুই এখনো বিক্রি শেষ হয়নি। তাই হিমাগার থেকে আলু কম আনলোড হচ্ছে।

এম ইশরাত হিমাগার লিমিটেডের ব্যবস্থাপক রায়হান আলম বলেন, এবার হিমাগারে ২ লাখ ৩০ হাজার বস্তা আলু রাখা হয়েছে। অথচ এখন পর্যন্ত মাত্র ২১০০ বস্তা আনলোড হয়েছে, যেখানে গত বছর এ সময় পর্যন্ত হয়েছিল ২০ হাজার ৯৯০ বস্তা।

কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান বলেন, উপজেলার ১৩টি হিমাগার মালিকদের নির্দেশনা দিয়েছি তারা যেন কৃষকের স্বার্থে কেজি নয়, বস্তা অনুযায়ী ভাড়া নেয়।

জয়পুরহাট জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, এবার জেলায় ২১টি হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে। গত বছর হিমাগারের সংখ্যা ছিল ১৯টি।

উল্লেখ্য, এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে স্থানীয় কৃষক ও ছাত্র-জনতা কালাইয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। আলুর ন্যায্যমূল্য ও হিমাগারের অতিরিক্ত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবিতে তারা স্মারকলিপিও দেয় উপজেলা প্রশাসনকে। ফলে, গত বছরের দরেই আলু সংরক্ষণের ভাড়া নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন হিমাগার কর্তৃপক্ষ।


banner close