শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
২৪ কার্তিক ১৪৩২

শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন

আপডেটেড
৬ জুলাই, ২০২৫ ১৩:২৬
জালাল উদ্দিন ভিকু, দৌলতপুর(মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত
জালাল উদ্দিন ভিকু, দৌলতপুর(মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ৬ জুলাই, ২০২৫ ১৩:২৪

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে স্থানীয় মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাবের উদ্যোগে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট শুরু হয়েছে । উক্ত খেলা উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির ১ নং সদস্য , জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক এসএ জিন্নাহ কবির ।

শনিবার (৫ জুলাই) বিকাল ৪ টায় শিবালয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন করা হয় ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, জেলা বিএনপির সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপি'র সহ-সভাপতি এবং জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো: লোকমান হোসেন, উপজেলা বিএনপি সভাপতি রহমত আলী লাভলু, সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন, জেলা কৃষকদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ,জেলা বিএনপির সাবেক প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো: ফেরদৌস রহমান, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো: হোসেন আলী, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো: শহিদুল ইসলাম ।

এছাড়া উপস্থিত ঘিওর উপজেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক মো: রাজা মিয়া মেম্বার, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আসিফ ইকবাল রনি, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আখতারুজ্জামান আক্তার, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মামিনুল ইসলাম মমিন, জেলা যুবদলের সদস্য মোসলেম উদ্দিন,জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব খান অয়ন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জিহাদ প্রমূখ । সভাপতিত্ব করেন,মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার মহিদুর রহমান কাজল ।

প্রধান অতিথি এসএ জিন্নাহ কবির বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া রহমান এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এদেশে প্রথম ফুটবল খেলাকে আন্তর্জার্তিক পর্যায়ে নিয়ে যান। তাদের চেষ্টায় সার্ফ ফুটবল টুর্ণামেন্ট আয়োজন করার সম্ভব হয়। মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে যুব সমাজকে খেলার মাঠে আনতে হবে । মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে হলে খেলাধুলার বিকল্প নাই ।

স্থানীয় মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাব আয়োজিত টুর্ণামেন্টে নক-আউট পদ্ধতিতে আটটি দল অংশ নিচ্ছে। উদ্বোধনী খেলায় টাইব্রেকারে মানিকগঞ্জ কৈট্রা ফিউচার ফুটবল একাডেমী ৫-৪ গোলে পাবনার নবযুগ মিলন সমিতিকে হারায়। রেফারি ছিলেন আবুল কালাম।


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

সরাইলে বাড়ির পাশে খেলা করার সময় পুকুরের পানিতে ডুবে মো. তাকরিম (৩) ও মো. আদনান (৫) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর কুট্টাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মৃত মো. তাকরিম (৩) সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া উত্তর এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে ও একই উপজেলার উচালিয়াপাড়া এলাকার মো. আরাফাত মিয়ার ছেলে মো. আদনান (৫)।

জানা যায়, আদনান কিছুদিন আগে উত্তর কুট্টপাড়া এলাকায় তার নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে। সকালে তার মামাতো ভাই তাকরিমের সাথে বাড়ির পুকুরের পাশে খেলা করছিল। খেলার একপর্যায়ে দুই শিশু পুকুরের পানিতে ডুবে যায়।

পরে স্বজনরা শিশুদের বাড়ির পাশে না দেখে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তাদের সন্ধান পায়নি।

দুপুরে স্থানীয়রা বাড়ির পাশে পুকুরে দুই শিশুটিকে ভাসতে দেখেন। পরে তাদের পুকুর থেকে উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

সরাইল থানার ওসি মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


বিয়ে আর করা হলো না ফিরে যাচ্ছেন দেশেই

প্রেমের টানে চীন থেকে এসেছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেয়ে সুরমার ভালোবাসার টানে সুদূর চীন থেকে এসেছিলেন চীনা নাগরিক তাওজেন। মাত্র দেড় মাসের প্রেমের সম্পর্ককে বিয়েতে পরিণতি দিতেই এসেছিলেন তিনি। মিয়া-বিবি রাজি থাকলেও শেষ পর্যন্ত বিয়ে করা সম্ভব হয়নি। ফলে বিয়ে না করেই নিজ দেশে ফিরতে হচ্ছে তাওজেনকে।
যাওয়ার সময় তাওজেন তার ভালোবাসার মানুষ সুরমাকে বলে গেছেন, সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আবার বাংলাদেশে এসে তাকে বিয়ে করবেন।
তবে বাংলাদেশি নারীদের বিয়ে করার বিষয়ে নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করেছে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস। চীনে নারী-পুরুষ অনুপাতে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হওয়ায় অনেক পুরুষ অন্য দেশ থেকে স্ত্রী আনার পরিকল্পনা করে থাকে। এটিকে কেন্দ্র করে একটি চক্র মানবপাচারে জড়িয়ে পড়েছে বলে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের এ বার্তায় ঝুলে গেছে বাংলাদেশি নাগরিক সুরমা বিয়ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা গ্রামের কোনাপাড়ার সুরমা আক্তারকে বিয়ে না করেই ফিরে যাচ্ছেন চীনা নাগরিক ওয়াং তাওজেন।
গত বৃহস্পতিবার ৬ নভেম্বর তিনি জেলার নাসিরনগর ছাড়েন। আপাতত ঢাকায় অবস্থান করে তিনি চীনে ফিরে যাবেন।
প্রেমের টানে চীন থেকে বাংলাদেশে আসেন চীনের নাগরিক ওয়াং তাওজেন। সব ঠিক থাকলে গত রোববার সুরমা আক্তারের সঙ্গে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় সেটি হয়ে ওঠেনি। গত সোমবারও সম্ভব হয়নি। আইনি জটিলতায় তাদের বিয়ে আটকে যায়। এরই মধ্যে তাওজেন ইসলামধর্ম গ্রহণ করেন। আদালতে বিয়ে পড়াতে এসে আইনজীবীরা চীনা দূতাবাসের পরামর্শ নিতে বলেন। চীনা দূতাবাসে যাওয়ার পর সেখান থেকে পাঠানো হয় আইন মন্ত্রণালয়ে। তবে সেখান থেকেও বিয়ের আইন বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
এদিকে প্রায় দেড় মাস আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুরমা ও তাওজেনের মধ্যে পরিচয়। ধীরে ধীরে প্রেম। ৩১ অক্টোবর চীনা যুবক বাংলাদেশে আসেন। তাওজেনের দাবি, সুরমাকে বিয়ে করতেই তার ছুটে আসা। প্রেমের টানে চীনা যুবক বাংলাদেশে চলে আসার ঘটনায় এলাকাতেও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। চীনা যুবককে দেখতে অনেকেই সুরমাদের বাড়িতে আসা শুরু করেন। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের নিয়ে খবর ছড়িয়ে পড়ে। তাওজেন যে কদিন সুরামদের বাড়িতে ছিলেন, একটু পরপর লোকজন আসতেন তাকে দেখতে। লোকজন সামলাতে হিমশিম খেতে হয় সুরমার পরিবারের সদস্যদের।
সুরমা জানান, তিনি ঢাকায় চাকরি করেন। দেড় মাস আগে ‘ওয়ার্ল্ড টক’ নামে একটি অ্যাপসের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। এর পর ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই পরিবারের সম্মতির মাধ্যমে তাদের বিয়ের বিষয়ে একমত হলে তাওজেন বাংলাদেশে আসেন। এয়ারপোর্ট থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। দুদিন ধরে তাদের বিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করে পরিবার।
সুরমার মা নুরেনা বেগম জানান, মেয়েকে বিয়ে করতে সে (তাওজেন) ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। কিন্তু বিয়ের বিষয়টি সমাধান করা যায়নি।
দূতাবাস বলছে, বাংলাদেশে বিয়ে করার আগে ভালোভাবে চিন্তা-ভাবনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
দূতাবাস জানায়, চীন সরকার কোনো সংস্থাকে আন্তঃসীমান্ত বিয়ের ম্যাচমেকিং পরিষেবা চালানোর অনুমতি দেয় না। এ কারণে এসব এজেন্টদের এড়িয়ে চলতে এবং অনলাইন রোমান্স স্ক্যাম থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে আর্থিক ও ব্যক্তিগত ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
সুরমার চাচা বলেন, চীন থেকে সে আসার পরই বেশ কয়েকদিন ধরে স্থানীয়ভাবে ও আদালতে গিয়ে বিয়ে পরাতে ব্যর্থ হই। আইনি জটিলতা থাকায় চীনা দূতাবাসে যাই। সেখান থেকে জানানো হয়, সে দেশের সরকার এ বিষয়ে বার্তা দিয়ে রেখেছে। তারা আইন মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখান থেকে বলা হয়, এ বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই। আমরা তাওজেনকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলেছি। তাকে বলেছি, তাদের দেশ থেকে অনুমতি নিয়ে আসতে। তিনিও আশ্বস্ত করেছেন, আইনি প্রক্রিয়া ঠিকঠাক মতো হলেই সুরমাকে বিয়ে করবেন। আপাতত তিনি চীনে চলে যাচ্ছেন।


রং মিশিয়ে লাল তিলকে কালো অভিযানে জব্দ ৫ মণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে লাল তিলে কেমিক্যাল মিশিয়ে রোদে শুকিয়ে কালো তিল বলে সরবরাহ করা হচ্ছিল দীর্ঘদিন। গোয়ালন্দ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নছর উদ্দিন সরদারপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী মো. ছাত্তার মোল্লা এই অনৈতিক কাজ করে আসছিলেন। অবশেষে পড়লেন ধরা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে মাঠে শুকানো অবস্থায় জব্দ করা হয় প্রায় ৫ মণ তিল। অভিযানে নেতৃত্ব দেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাথী দাস।
তিনি ব্যবসায়ী মো. ছাত্তার মোল্লা কে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং প্রায় ৫ মণ ভেজাল বিনষ্ট করেন।
জানা যায়, অভিযুক্ত ছাত্তার মোল্লা বিভিন্ন ধরনের খাদ্য-শস্য হাট-বাজার থেকে লাল তিল কিনে কালো রং মেশানো পর রোদে শুকিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন। এসব কালো তিলে বেশি লাভ পাওয়ার লোভে তিনি এটি করে আসছিলেন।
ইউএনও সাথী দাস বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি লাল তিলকে রং মিশিয়ে কালো করে বিক্রি করা হচ্ছে। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে রোদে শুকানো অবস্থায় প্রায় ৫ মণ তিল জব্দ করে তা বিনষ্ট করা হয় এবং অভিযুক্ত ছাত্তার মোল্লাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ইউএনও আরও বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি স্বীকার করেছেন তিনি আর এগুলো ভবিষ্যতে করবেন না, এরপর যদি আমরা আবার জানতে পারি তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সময় গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ইউএনওর সঙ্গে ছিলেন।


হঠাৎ কেন বাড়ল পেঁয়াজের দাম? কী বলছেন ব্যবসায়ীরা?

*২৫ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম *আমদানি না থাকা ও দেশি য়াজের মৌসুম শেষ হওয়ার অজুহাত *শীতের সবজি উঠলেও দাম নাগালে নেই *নিত্যপণ্যের বাজারও চড়া
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজারে হঠাৎ বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। অক্টোবরে খুচরা পর্যায়ে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। তবে চলতি মাসের শুরুতেই প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। এর কারণ হিসেবে আমদানি না থাকা ও দেশি পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হওয়ার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। তবে শুধু পেঁয়াজই নয়; নিত্যপণ্যের বাজারেও বইছে উত্তাপ। রাজধানীর বাজারগুলোতে শীতের সবজি আসায় কিছুটা দাম কমলেও তা নাগালে আসছে না মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম দিনের ব্যবধানে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আগের দিন গত বৃহস্পতিবার ৯০ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ গতকাল শুক্রবার ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
রাজধানীর কাপ্তান বাজার, মালিবাগ বাজার, রামপুরা বাজার ও ডেমরার সারুলিয়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকায়। মুদি দোকানগুলোতে ১০৫ টাকা থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি পেঁয়াজ। তবে এসব বাজারে ভ্যান-গাড়িতে ১০০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে।
কী বলছেন ব্যবসায়ীরা: এ বছর পেঁয়াজের আমদানি খুব বেশি হয়নি। দেশি পেঁয়াজের ওপর বাজার নির্ভর ছিল। অক্টোবর পর্যন্ত বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ থাকলেও এখন তা কমে গেছে। ফলে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে বাজারে আগাম পেঁয়াজ আসা শুরু হতে পারে। তখন দাম কমবে। নভেম্বরে দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকতে পারে।
কাপ্তান বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজের একটা কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। ভারতের পেঁয়াজ আমদানিও বন্ধ রয়েছে। দেশি পেঁয়াজ চাহিদা অনুযায়ী পাইকারি বাজারে না পাওয়ায় প্রতিদিন দাম বাড়ছে। তিন-চারদিন আগেও ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা দরে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। গত বৃহস্পতিবারও ৯০ টাকায় বিক্রি করেছি। আজ (শুক্রবার) সেটি ১১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।’
এদিকে পাইকারি বাজারে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে, যা গত শুক্র-শনিবারও বিক্রি হয়েছে ৭২ থেকে ৮৫ টাকায়।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের আড়তদার মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ‘এক সপ্তাহের ব্যবধানে আড়তে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি প্রায় ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। মূলত দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ সংকটের কারণে দাম বাড়ছে।’
পেঁয়াজ আমদানিকারক ও শ্যামবাজার পেঁয়াজ আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘গত তিন মাস ধরে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সংকট চলছে। দেশে এখন আর পেঁয়াজের তেমন মজুত নেই। যার কারণে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। ভারতে এখন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৫ টাকা কেজিতে। তাই দেশে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে দ্রুত আমদানির বিকল্প নেই।’
অন্যদিকে, পেঁয়াজ চাষিরা বলছেন, এ বছর বিভিন্ন জেলায় পেঁয়াজ রোপণ করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। এর ফলে রবি মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে আসতেও কিছুটা দেরি হচ্ছে। অন্য বছর অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকেই রবি মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করে। এ বছর অনেক জেলায় এখনো পেঁয়াজ জমি থেকে উত্তোলন সম্ভব হয়নি।
নিত্যপণ্যের বাজারেও উত্তাপ: রাজধানীর বাজারগুলোতে শীতের সবজি আসায় কিছুটা দাম কমলেও তা ক্রেতাদের নাগালে আসছে না। বিভিন্ন বাজার ঘুরে প্রায় প্রতিটি সবজি ৮০ টাকার ওপরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম কমেছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, এখনো সবজির দাম বেশি।
গতকাল বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় টমেটো ১২০ টাকা, দেশি টমেটো ১২০-১৪০ টাকা, দেশি গাজর ৮০ টাকা, চায়না গাজর ১৫০-১৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৮০-১০০ টাকা, কালো গোল বেগুন ১২০ টাকা, শিম ৮০-১০০ টাকা, দেশি শসা ৮০-১০০ টাকা, উচ্ছে ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৮০-১০০ টাকা, পটোল (হাইব্রিড) ৮০ টাকা, দেশি পটোল ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০-১০০ টাকা, বরবটি ৮০-১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০-৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০-১৬০ টাকা, ধনেপাতা (মানভেদে) ২০০-৩০০ টাকা, শসা (হাইব্রিড) ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৬০-১২০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা। এছাড়া প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা করে।
সবজি বিক্রেতা শাহ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সবজির দাম কিছুটা কমের দিকেই আছে এখন। শীত প্রায় চলে আসছে; এখন দাম আরও কমে যাবে হয়তো।’
বাজার করতে আসা সাইফুল হক বলেন, ‘দোকানদাররা বলছেন দাম নাকি কমেছে। কিন্তু এখনো তো সবজির দাম বেশি। ছোট একটা ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর অন্য সবজিগুলোর দামও বেশিরভাগ ৮০ টাকার ওপরে। শুধু পেঁপে আর মিষ্টি কুমড়ার দামই কম। তো সব কিছু যদি এত দামে বিক্রি হয় সেগুলো কি কম দাম বলা যায়? আমাদের মতো সাধারণ মানুষ কীভাবে চলবে?’
মুরগির মাংসের বাজারও চড়া: বিক্রেতাদের ভাষ্যমতে, শীত আসছে বা শীতকালে মুরগির দাম কম থাকে। তবে এখন দাম কিছুটা বাড়তি। তবে কক মুরগির দাম কমেছে।
বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা কেজি দরে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১,২০০ টাকা কেজি দরে। ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা, কক মুরগি ২৬৩-২৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৯৩-৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি ডজন মুরগির লাল ডিম ১২০ টাকা এবং সাদা ডিম ১১০-১১৫ টাকা, হাঁসের ডিম ১৮০-১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দেখা যায়, ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির দাম প্রায় একই রকম রয়েছে। কক মুরগির দাম কমেছে ১০ টাকার মতো। এছাড়া সব ধরনের ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১০ টাকা করে কমেছে। আর অন্য মাংসের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।


মুন্সীগঞ্জ চিকেন হাউসের বিক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহের থেকে কক মুরগির দাম কমেছে। লেয়ার আর ব্রয়লার মুরগির দাম প্রায় একই রকম আছে, কমেনি। শীতে সাধারণত দাম কমে, এবার কী হবে এখনো বলা যাচ্ছে না।’
এছাড়া বাজারে আকার ও ওজন অনুযায়ী ইলিশ ৯০০-২,৯০০ টাকা, রুই মাছ ৪০০-৬৫০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, কালিবাউশ ৪০০-৮০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৮০০-১৪০০ টাকা, কাচকি মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, কৈ মাছ ২৫০-১২০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-১,২০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০-১০০০ টাকা, বেলে মাছ ১,০০০-১,২০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০-৮০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৫০০-৯০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ১,২০০-১,৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।


শ্যামনগরে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ দুই জলদস্যু আটক

আপডেটেড ৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫২
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে স্থানীয়দের সহায়তায় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ সুন্দরবনের দুই জলদস্যুকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ২নং খেয়াঘাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন,খুলনার কয়রা উপজেলার ইমানপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম গাজীর ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৩) এবং দাকোপ উপজেলার জয়নগর গ্রামের মৃত জয়নাল গাজীর ছেলে আযহারুল ওরফে খানজাহান (৩৬)। তাদের কাছ থেকে একটি ট্রিগার, পাইপ, ছোট-বড় ২২টি স্প্রিং, বন্দুকের কার্তুজসহ দেশীয় অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, আটক দুইজনের বিরুদ্ধে কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও সোনাডাঙ্গাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বিল্লাল পূর্বে সুন্দরবনের কুখ্যাত ‘দাদাভাই বাহিনী’র সক্রিয় সদস্য ছিল। দশ মাস আগে কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক হয়ে কারাগারে যায় এবং সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে পুনরায় দস্যু কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, শুক্রবার রাতে কয়রা থানার কাশির খেয়াঘাট দিয়ে কপোতাক্ষ নদ পেরিয়ে শ্যামনগরের গাবুরা খেয়াঘাটে পৌঁছালে সন্দেহভাজন হিসেবে স্থানীয়দের সহায়তায় দু’জনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাদের কাছ থেকে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার আদালতে পাঠানো হবে।

বনজীবীদের দাবি, গত এক বছরে সুন্দরবনে আলিম, দুলাভাইসহ অন্তত তিনটি দস্যুবাহিনী ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আটক বিল্লাল ও আযহারুল পুরানো ‘দাদাভাই বাহিনী’ নাম ব্যবহার করে নতুন করে দস্যুতা শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

তবে আটক আযহারুলের দাবি, বিল্লাল তাকে কাজ দেওয়ার নাম করে ডেকে এনেছিল। অন্যদিকে বিল্লাল জানায়, সে কাজের খোঁজে যশোরে যাচ্ছিল। তবে তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও ২০ প্যাকেট সিগারেট কেন ছিল,সে বিষয়ে কেউই স্পষ্ট কোনো জবাব দিতে পারেনি।


টঙ্গীতে তুলার গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি তুলার গুদামে আগুন লেগেছে। টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জেলার টঙ্গী স্টেশন রোডের মিলগেটে আগুনের ঘটনা ঘটে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের দিকেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে টঙ্গীর স্টেশন রোডের মিলগেট এলাকায় একটি তুলার গুদামে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় কালো ধোঁয়া দেখে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে আগুন নেভাতে। ততক্ষণে আগুনের ভয়াবহতা বেড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করেন। খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীর এখনো কাজ করছে।


তেঁতুলিয়া বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে ৮১ টি ট্রাকে  ১হাজার ৭শত ০১ টন আলু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তেতুলিয়া প্রতিনিধি 

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে গেছে ১ হাজার ৭০১ মেট্রিক টন আলু। এস্টারিক্সসহ বেশ কয়েকটি জাতের আলু নিয়ে দিনভর ৮১টি ট্রাক বন্দরের কার্যক্রম শেষে সড়কপথে সীমান্ত অতিক্রম করে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জানান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক নুর হাসান।

এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫৭৫ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি হয়েছিল। পরে কম-বেশি রপ্তানি হলেও বৃহস্পতিবারের চালানে সেই রেকর্ড ভেঙেছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে মোট ৪৪ হাজার ৪১৫ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি হয়েছে।

উপ-পরিচালক নুর হাসান বলেন, নেপালে আলুর চাহিদা বাড়ায় বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে বাছাই করে আলু রপ্তানি করছে। আলুর ট্রাকগুলো বন্দর এলাকায় প্রবেশের পর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।


নওগাঁ চেম্বার নির্বাচন: ১৯ পদের বিপরীতে লড়বেন ৪০ প্রার্থী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি 

নওগাঁয় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির প্রতিনিধি নির্বাচনে ১৯ টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪০ জন। ইতিমধ্যে ‘সম্মিলিত ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ’ ও ‘নওগাঁ ব্যবসায়ী উন্নয়ন ও কল্যাণ পরিষদ’ এর প্রার্থীরা তাদের মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন।


ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সভাপতি পদে ২ জন, সিনিয়র সহসভাপতি পদে ৩ জন এবং সহসভাপতি ৩ জন প্রার্থী হয়েছেন। পরিচালকের ১৬ টি পদের বিপরীতে ৩২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

‘সম্মিলিত ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. আহসান সাইদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়িক সততা, ন্যায্যতা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ব্যবসায়ী সমাজে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছি। নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যবসায়ী সমাজের কাছে দোয়া ও সমর্থন কামনা করছি। “ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা, সুষ্ঠু ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি ও তরুণ উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে আমি কাজ করতে চাই। আমরা নির্বাচিত হলে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে কাজ করব এছাড়া প্রান্তিক এলাকার ব্যবসায়ীদের জন্য আমরা কাজ করে যাবো। সিলেট অর্থনীতির বিরাট একটা ভাণ্ডার। বিগত সময়ে সরকার এগুলো থেকে ব্যবসায়ীদের দূরে রেখেছিল। আমরা এই দিকটাতে নজর দিব। আমরা প্রতিনিয়িত ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ রাখছি, তাদের কাছে যাচ্ছি, আশা করি নির্বাচনটি প্রতিদ্বন্দ্ধীতামূলক হবে। ব্যবসায়ী সমাজের পাশে থেকে তাদের অধিকার আদায়ে আমি সবসময় অঙ্গীকারবদ্ধ।

মনোনয়নপত্র ব্যবসায়ী উন্নয়ন ও কল্যাণ পরিষদের সভাপতি প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব তৌফিকুল আসলাম বাবু বলেন, নওগাঁ চেম্বর অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি জেলার সকল ব্যবসায়ীদের সংগঠন। আগামী দিনে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, ঝিমিয়ে পরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ঘুরে দাঁড়াতে এবং উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে উদ্যোগ গ্রহন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

চেম্বারের সিনিয়র সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আতাউর রহমান খোকা বলেন, অপার সম্বভাবনা থাকার পরও নওগাঁর ব্যবসায়ীরা নানা দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছেন। গ্যাস ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার অভাবে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে না। চালকসহ ক্ষুদ্র ও মাঝাড়ি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদন প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। অনেক উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এসব চালুসহ করতে চেম্বার আগামী দিনে উদ্যোগ গ্রহন করবে। এছাড়া সকল ট্রেড সংগঠন এবং সাধারণ ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে জেলার হারানো ব্যবসায়ী ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে আগামীর প্রতিনিধিগণ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান জেলা তথ্য অফিসের উপ পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মদ মাসুদুল হক বলেন, ১১ নভেম্বর মনোনয়নপ্রত্রগুলো যাচাই ও বাছাই করা করা হবে। ২১ নভেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। ৬ ডিসেম্বর ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারগণ সরাসরি ব্যালটে ভোট প্রদানের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। মোট ভোটার ১ হাজার ২৯৯ জন।


নগরবাড়ী নদী বন্দর আধুনিক টার্মিনালের উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাবনা জেলা প্রতিনিধি

পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার নগরবাড়ী নদী বন্দর আধুনিক টার্মিনাল কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ নদী বন্দর নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এই টার্মিনাল কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করা হয়।

বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম; জেলা প্রশাসক, পাবনা এবং প্রশাসক, জেলা পরিষদ মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খাঁন।

'নগরবাড়ীতে আনুষাঙ্গিক সুবিধাদিসহ নদী বন্দর নির্মাণ' শীর্ষক প্রকল্পটি রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত বৃহত্তর উত্তরবঙ্গের সাথে নৌপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে নগরবাড়ী এলাকায় উন্নত ও আধুনিক বন্দর অবকাঠামো সুবিধাদি নির্মাণের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ২০ জুন অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই বছরের ১ জুলাই নির্মাণকাজ শুরু হয়, যা শেষ হয় ২০২৫ সালের ৩০ জুনে। এ প্রকল্পে মোট হয়েছে ৫৫৬.৯০৭ কোটি টাকা।

যমুনা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত নগরবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী ঘাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে নৌপথে মূলত: সার, সিমেন্ট, পাথর, বালি, কয়লা, খাদ্য-দ্রব্যাদি এবং অন্যান্য বাল্ক সামগ্রী জাতীয় মালামাল উঠানামা করে সড়ক পথে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় পরিবাহিত হয়ে থাকে। ঘাটটি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত আরিচা নদী বন্দর দ্বারা পরিচালিত হতো। ১৯৯৮ সালে যমুনা সেতু প্রতিষ্ঠিত হবার পূর্বে বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, মেঘনা, পদ্মা নদীর দ্বারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে আরিচা-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-নগরবাড়ি নামে ফেরিঘাট ২টি যথাক্রমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে নৌ চলাচলে আরিচা নদী বন্দরের আওতায় পরিচালিত হতো।


পাইকগাছার উলুবুনিয়া নদীতে হচ্ছে কাঠের সেতু 

লক্ষ্য জনভোগান্তি দূর করা
আপডেটেড ৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:২৯
খুলনা ব্যুরো

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউনিয়নের শামুকপোতা ও পুটিমারী এলাকার সংযোগ সেতু নদীতে ধসে পড়ায় সেখানে কাঠের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

স্থায়ী সেতু নির্মাণ ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ হওয়ায়, দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাঠের সেতু নির্মাণ করে জনভোগান্তি দূর করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

গত বুধবার রাতে পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউনিয়নের শামুকপোতা ও পুটিমারী গ্রামের মধ্যবর্তী উলুবুনিয়া নদীর সংযোগ সেতুটি আকস্মিকভাবে ধসে পড়ে। এই পথে যাতায়াতের একমাত্র সেতুটি ধসে পড়ায় দুই গ্রামের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকশ’ শিক্ষার্থীসহ দুই গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার লতা ইউনিয়নের শামুকপোতা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে উলুবুনিয়া নদীর উপর ২০০০ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণের ফলে পুটিমারী ও লতা ইউনিয়নবাসীর দুর্ভোগের অবসান ঘটে। দুই পাড়ের তিনটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তিনটি বাজার এবং এলাকাবাসীসহ সর্বসাধারণের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম এ সেতু।

ব্রিজটি ধসে পড়ার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন ও উপজেলা প্রকৌশলী সাফিন সোহেব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

উপজেলা প্রকৌশলী সাফিন সোহেব বলেন, ‘এখানে নতুন করে পাকা সেতু নির্মাণ করা সময় সাপেক্ষ যার জন্য পরিকল্পনা, অনুমোদন ও অর্থের প্রয়োজন এ কারণে আপাতত কাঠের সেতু নির্মাণ করে জনভোগান্তি দূর করার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন বলেন, ‘জনভোগান্তি লাঘবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এখানে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এটি সম্পন্ন হলে আপাতত সমস্যার সমাধান হবে। পরবর্তীতে স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হবে।


আন্তর্জাতিকমানের পর্যটন কেন্দ্র হবে খাগড়াছড়িতে

*বর্ষা কিংবা শীতে সবসময়ই ১০ ঝরনার রূপে মুগ্ধ হন পর্যটকরা *অর্থনীতিতে অপার সম্ভাবনা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

পাহাড়-নদী, ঝিরি, ঝরনা আর সবুজ বনবনানীর অনিন্দ্য সৌন্দর্যের লীলাভূমি দেশের অন্যতম পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি। একদিকে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের মহাসমারোহ, অন্যদিকে পাহাড়ি জনপদের ঐতিহ্যবাহী জীবনধারা এই জেলাকে সবার কাছে ভিন্ন এক মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় সবুজ এই অরণ্য দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে এক আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র।

ছোট-বড় দৃষ্টিনন্দন ঝরনা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ির পর্যটন অর্থনীতিতে অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারলে এই অঞ্চলে পর্যটক আকর্ষণ যেমন বাড়বে। পাশাপাশি দুর্গম এলাকার পর্যটন কেন্দ্রগুলোর উন্নয়ন করা হলে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে। খাগড়াছড়িতে রিছাং ঝরনা, সিজক, তৈদুছড়া, শিলাছড়ি, তুয়ারি মাইরাংসহ ছোট-বড় ১০টি ঝরনা আছে। এক একটি ঝরনার উচ্চতা ৮০ থেকে ১৫০ ফুট। বর্ষা কিংবা শীতে সবসময়ই এসব ঝরনার রূপ দেখে মুগ্ধ হন পর্যটকরা।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, এই জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যটন শিল্পের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাগড়াছড়িতে নতুন নতুন পর্যটন স্পট সংযুক্তি ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থাপনার উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। জেলায় সাত-আট লাখ বাসিন্দার মধ্যে পর্যটন খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশের সঙ্গে এই অঞ্চলে পরিবেশ ও প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রেখে টেকসই পর্যটন নীতি গ্রহণ করা জরুরি। টেকসই পর্যটন নীতি গ্রহণ করা হলে স্থানীয় ঐতিহ্য, পরিবেশগত ভারসাম্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুণ্ন রেখে খাগড়াছড়িকে ভারতের দার্জিলিং বা নেপালের পোখারার মতো একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা সম্ভব।

খাগড়াছড়িতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ ‘রিছাং ঝরনা’। রিছাং ঝরনার শীতল পানিতে গা ভাসাতে প্রতিবছর বিভিন্ন উৎসব-পার্বণে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটে। রিছাং ঝরনার অবস্থান খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে ১১ কিলোমিটার। আর খাগড়াছড়ি-ঢাকা আঞ্চলিক সড়ক ছেড়ে প্রায় এক কিলোমিটার দক্ষিণে রিছাং ঝরনা।

২০০৩ সালে ভ্রমণ পিপাসুদের নজরে আসো রিছাং ঝরনাটি। সময়ের ব্যবধানে খাগড়াছড়ির অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নিজের জায়গা তৈরি করে নিয়েছে রিছাং ঝরনা। এক সময় এই ঝরনায় যাওয়ার রাস্তা না থাকলেও, জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের উদ্যোগে রাস্তা হওয়ায় পর্যটকরা সহজে এ ঝরনায় যেতে পারছেন। পর্যটকদের আকর্ষণ করতে জেলায় উন্মোচিত হচ্ছে নতুন নতুন পর্যটন স্পট। রিছাং ঝরনা, তৈদুছড়া ঝরনাসহ অসংখ্য ঝরনার পর খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার দুর্গম জনপদ কাতালমনি পাড়ায় সন্ধান মিলেছে প্রায় ৫০ ফুট উচ্চতার ‘তৈলাফাং ঝরনা’। অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ নিতে ‘তৈলাফাং ঝরনা’ দেখতে দুর্গম পথ পাড়ি দিচ্ছেন স্থানীয় ভ্রমণ পিপাসুরা।

তৈলাফাং ঝরনায় ঘুরতে আসা পানছড়ির উল্টাছড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বাবুল বলেন, তৈলাফাং ঝরনায় পৌঁছানো অত্যন্ত ভয়ংকর হলেও অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের কাছে এটি হতে পারে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। যাদের পাহাড় ঝরনা ভালো লাগে তারা নিঃসন্দেহে তৈলাফাং ঝরনা উপভোগ করবেন।

পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তৈলাফাং ঝরনা ঘুরে আসা রাঙামাটির উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অরুনাঙ্কর চাকমা বাসসকে বলেন, তৈলাফাং ঝরনার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ পরিকল্পিত অবকাঠামো গড়ে তোলা হলে এ ঝরনা পাহাড়ের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথকে সুগম করবে। স্থানীয়দের জীবনযাত্রার মানও উন্নত হবে।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ইতোমধ্যে পর্যটকদের কথা চিন্তা করে মাটিরাঙ্গার রিছাং ঝরনায় ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যটন খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করে সম্ভাব্যতা যাচাই করে তৈলাফাং ঝরনায় যাতায়াতের জন্য সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নের কার্যক্রম শিগগিরই হাতে নেওয়া হবে। তবে ঝরনাকেন্দ্রিক পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশকে অক্ষুণ্ন রেখেই অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।

জেলা পুলিশ সুপার মো. আরিফিন জুয়েল বাসসকে বলেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জেলার পর্যটন এলাকার নিরাপত্তায় জেলা পুলিশ সর্বদা নিয়োজিত আছে। নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলে সেখানেও পুলিশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তবেই দেশি বিদেশি পর্যটকরা এখানে আসতে আগ্রহী হবেন।

জেলায় নতুন নতুন পর্যটন স্পট উন্মোচিত হওয়ায় খাগড়াছড়ির অর্থনীতিতেও তার প্রভাব পড়েছে। পর্যটকদের আসা-যাওয়া, থাকা-খাওয়া, কেনাকাটা ইত্যাদিকে ঘিরে এলাকায় গড়ে উঠেছে পর্যটকবান্ধব নানা সেবা। এতে একদিকে যেমন পাহাড়ের মানুষের কঠোর পরিশ্রম কিছুটা লাঘব হচ্ছে, তেমনি তাদের সহজ কর্মসংস্থানের পথও তৈরি হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেল এর ব্যবস্থাপক উত্তম কুমার মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, এই জেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক পর্যটন স্পট আছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে প্রায় প্রতিটি উপজেলায় মনোরম স্থানগুলোকে আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগেও গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পর্যটন স্পট। এসব স্থানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ১৭০টি সরকারি-বেসরকারি হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস ও অতিথিশালা। এছাড়া চালু হয়েছে প্রায় ৩০০ ছোট-বড় রেস্তোরাঁ।

তিনি বলেন, নতুন নতুন ঝরনা আবিষ্কার হওয়াতে পর্যটকদের সমাগম বেড়েছে। ঝরনাকেন্দ্রিক পর্যটন গড়ে উঠলে জেলার পর্যটন অর্থনীতি আরও বিকশিত হবে। এতে ট্যুরিস্ট গাইডসহ স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হবে। তিনি বলেন, খাগড়াছড়িতে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার পর্যটকের সমাগম হয়। এতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতে মাসে ২৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়।

খাগড়াছড়ি পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আসলাম কালু বলেন, পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে ব্যক্তিগত ও সমিতিভিত্তিক ট্যুরিস্ট বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, কার, সিএনজি, চাঁদের গাড়ি ও মোটরসাইকেল। জেলার নয়টি উপজেলায় পর্যটকদের সেবা দিতে দুই শতাধিক গাড়ি সব সময় প্রস্তুত থাকে।

এছাড়া ‘পর্যটনকে কেন্দ্র করে ছোট-বড় প্রচুর গাড়ি নামানো হয়েছে। ফলে পরিবহন খাতে হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পর্যটন স্পট বাড়ানো সম্ভব হলে আরও বেশি লোকজনের কর্মসংস্থান হবে। পর্যটন শিল্পের বিকাশে সবসময় উন্নত সেবা থাকা চাই। তবেই এটি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি কাড়বে।’

খাগড়াছড়ি মিনি সুপার মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক নজির আহমেদ বাসসকে বলেন, ‘পর্যটকদের সুবাদে খাগড়াছড়িতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে। তারা স্থানীয়ভাবে তৈরি কাপড় কেনেন। মেয়েদের মধ্যে পাহাড়ি নারীদের বানানো থামী, পিনন, ব্লাউজ এবং কাঠের তৈরি বিভিন্ন শো-পিসের ব্যাপক চাহিদা।’

বেসরকারি হোটেল গাইরিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা জানান, খাগড়াছড়িতে প্রচুর পর্যটক আসে। বেশিরভাগ হোটেল সবসময় বুকিং থাকে। পর্যটকদের জন্য তাদের হোটেলে স্থানীয় বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার রাখা হয়। এছাড়া কেউ চাইলে নির্ধারিত ফি দিয়ে স্থানীয় শিল্পীদের ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান উপভোগ করতে পারেন।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্কের হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছোটো মনি চাকমা বলেন, জেলায় পর্যটনকে ঘিরে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পর্যটন খাতে অনেকে যুক্ত হচ্ছেন। এখন পর্যটন স্পট বৃদ্ধি ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে জেলার বাসিন্দাদের জীবনমান ইতিবাচকভাবে বদলেছে। পর্যটনের মাধ্যমে কম করে হলেও একলাখ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে। স্বাচ্ছন্দ্যে পরিবার চালানোর পাশাপাশি তারা ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছেন এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন।

জানা যায়, খাগড়াছড়িতে আগে অনেক কৃষিজ পণ্য, ফল-ফলাদি পচে যেতো। কিন্তু এখন কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য আর নষ্ট হয় না। কারণ পর্যটকরা এসব কৃষিজ পণ্য ব্যবহার করায় কৃষকেরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন ও স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

বেসরকারি রেস্তোরাঁ স্বপ্ন চূড়ার মালিক ও নারী উদ্যোক্তা নেইম্রা মারমা জানান, তার হোটেলে এখন গড়ে দুই-তিনশ’ স্থানীয় ও বাইরের অতিথি আসে। তিনি বলেন, ‘পর্যটন শিল্পের বিকাশে শত শত খাবারের হোটেল ও রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে এবং হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে পর্যটন শিল্পের যেমন: বিকাশ হবে, তেমনই স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে।’

খাগড়াছড়ি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক সুদর্শন দত্ত বলেন, এই জেলাকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়তে সরকারের পাশাপাশি সব পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি ও শীর্ষ ব্যবসায়ীরা কাজ করছেন। তিনি উল্লেখ করেন, জেলার প্রতিটি উপজেলায় অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ নতুন নতুন পর্যটন স্পট গড়ে তোলা হচ্ছে। সবার সম্মিলিত চেষ্টা থাকলে খাগড়াছড়িকে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা বলেন, ‘পর্যটকদের থাকা ও ব্যবহারের জন্য অবকাঠামোগুলো অত্যাধুনিক মানের করার পাশাপাশি মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সব ধরনের ডিজিটাল সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ভ্রমণপিপাসুদের রাতে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকার জন্য নিরাপদ হোটেল এবং দিনের বেলা কাছাকাছি জেলায় যাতায়াতের জন্য আধুনিক ট্যুরিস্ট বাসসেবা চালু করা জরুরি।’


চট্টগ্রামে ৬০টি অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকান অপসারণ

চট্টগ্রাম নগরীতে অভিযান চালিয়ে ৬০টি অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকান অপসারণ করেছে সিটি করপোরেশন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো 

চট্টগ্রাম নগরীর জামাল খান ডা. খাস্তগীর স্কুলের সামনে থেকে চেরাগি পাহাড় মোড় পর্যন্ত জনভোগান্তি সৃষ্টি করায় অভিযান চালিয়ে ৬০টি অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকান অপসারণ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ১৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেমনের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোয়েব উদ্দিন খান শুক্রবার এই অভিযান পরিচালনা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, নগরীর অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক নগরীর জামাল খান ডা. খাস্তগীর বালিকা স্কুল থেকে চেরাগি পাহাড় মোড় পর্যন্ত অবৈধভাবে ভ্রাম্যমাণ দোকান পরিচালনা করায় জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছিল। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে দোকানগুলো অপসারণ করে চলাচলের পথ উন্মুক্ত করা হয়। এছাড়া যেসব স্থায়ী দোকানের মালিক অবৈধভাবে নিজ সীমার বাহিরে সম্প্রসারিত করে রাস্তা-ফুটপাত দখল করেছেন, সেগুলোর মালিকদের বর্ধিত অংশ অপসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

নগরী জুড়ে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোয়েব উদ্দিন খান জানান। অভিযানে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ সার্বিক সহায়তা করে।


নাটোরে নর্থ বেঙ্গল চিনিকলে আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের লালপুরে আজ নর্থ বেঙ্গল চিনিকলে আখ মাড়াই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান। ছবি: দৈনিক বাংলা

নাটোরের লালপুর উপজেলায় দুই লাখ টন আখ মাড়াই করে ১৩ হাজার টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নর্থ বেঙ্গল চিনিকলে চলতি মৌসুমের আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে আখ মাড়াই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান। পরে কেইন কেরিয়ার প্রাঙ্গনে আলোচনা ও মিলাদ-দোয়া মাহফিল হয়।

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান রশিদুল হাসানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. নুরুজ্জামান, নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম এবং নর্থ বেঙ্গল চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, চিনি শিল্পকে লাভজনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কৃষক পর্যায়ে আখের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে, কৃষক পর্যায়ে উন্নত জাতের আখের বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। কৃষকদের উচিত গুণগতমানের আখ চিনিকলে সরবরাহ করে চিনিকলের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহযোগিতা করা।


banner close