২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানার অংশ নিয়ে বংশাল থানা গঠিত হয়। থানার কার্যক্রম চলছে সিটি করপোরেশন থেকে ভাড়া নেয়া ফজলুল করিম কমিউনিটি সেন্টারের দোতলায়। থানাটির নিজস্ব কোনো পার্কিং ব্যবস্থা নেই। এই থানায় বিভিন্ন মামলার আলামত রাখার কোনো ব্যবস্থাও নেই। জব্দকৃত গাড়ি রাখার জন্য থানার সামনের রাস্তাই একমাত্র ভরসা। যার কারণে এসব জব্দ করা গাড়িতে দখল হয়ে আছে ইংলিশ রোড সড়কের অর্ধেক অংশ।
ইংলিশ রোডের এই রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ৩০০ মিটার। এর পূর্বে ধোলাইখাল সড়ক, পশ্চিমে বাবুবাজার ব্রিজ, উত্তরে নবাবপুর রোড এবং দক্ষিণে সদরঘাটের রাস্তা। সদরঘাটমুখী রাস্তায় আছে আদালতপাড়া, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু রাস্তা দখল হয়ে থাকায় যানজটের ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বংশাল থানার সামনে রাখা অনেকগুলো মোটরসাইকেল, পুলিশের ভ্যান এবং কিছু জব্দ করা গাড়ি ও রিকশা, আলমারি-সিন্দুক। দিনের পর দিন অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে কোনো গাড়ির চাকা মাটিতে মিশে গেছে। পুরো সড়কের একপাশের রাস্তার ওপর ফেলে রাখা হয়েছে রড, রিকশা, ভ্যান, ট্রাক ও বাণিজ্যিক দোকানের স্টিলের মালপত্র। থানার অপর পাশের মালিটোলা পার্কের সামনেও একই অবস্থা। রাস্তায় সারি করে রাখা হয়েছে ট্রাক। দুই পাশের রাস্তার প্রায় অর্ধেক অংশই দখল হয়ে আছে এসবে।
থানার পাশে থাকা একটি স্টিল ফার্নিচারের দোকানদার শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘এই রাস্তায় থানার কারণে কেউ ফুটপাত ব্যবহার করে না। থানার মালপত্র রাখায় আগে থেকেই বন্ধ হয়ে আছে। আমরা ডেলিভারি দেয়ার জন্য কিছু জিনিস রাস্তায় রাখি।’
বংশাল থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) আবুল খায়ের দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। আমাদের জব্দকৃত মালামাল রাখার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। থানার কার্যক্রম চলছে দোতলায়। এগুলো সব সরকারি মালামাল। আলামত আসছে, রেখে দিচ্ছি। আমরা এগুলো রাখব কই?’ রাস্তায় আলামত রাখার জন্য কোনো অনুমতি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি। ‘মিটিং এ আছি’ বলে প্রতিবেদকের ফোন কেটে দেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু সাঈদ দৈনিক বাংলাকে জানান, থানার সামনে গাড়িগুলোর জন্য রাস্তা ছোট হয়ে গেছে। যার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। এখান থেকে থানা দ্রুত সরিয়ে নিতে এরই মধ্যে সিটি করপোরেশন থেকে তাদের চিঠি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া আশপাশের দোকানের মালামাল রাস্তায় রাখার ব্যাপারে কাউন্সিলর বলেন, ‘আমরা মাঝেমধ্যেই অভিযান চালাই। অভিযান চালানোর কিছুক্ষণ পরই আবার তারা আগের অবস্থায় চলে আসে।’
নিয়োগবিধি সংশোধন করে ১৪তম গ্রেড দেওয়াসহ ছয় দাবিতে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সারাদেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬ দাবি হলো:
১. নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক/সমমান এবং ১৪তম গ্রেড প্রদান।
২. ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণ সনদপ্রাপ্তদের ১১তম গ্রেডসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান।
৩. পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিতকরণ।
৪. স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা পূর্বের নিয়োগ বিধি দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও সবাইকে প্রশিক্ষণবিহীন স্নাতক পাস স্কেলে আত্তীকরণ করতে হবে।
৫. বেতন স্কেল উন্নতি/পুনর্নির্ধারণের পূর্বে স্বাস্থ্য সহকারী/সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক/স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা যতসংখ্যক টাইম স্কেল (১/২/৩টি)/ উচ্চতর স্কেল (১/২টি) পেয়েছেন তা উন্নীত পুনর্নির্ধারিত বেতন স্কেলের সঙ্গে যোগ করতে হবে।
৬. পূর্বে ইন-সার্ভিস ডিপ্লেমা (এসআইটি) কোর্স সম্পন্নকারী স্বাস্থ্য সহকারী/সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক/স্বাস্থ্য পরিদর্শকগণ ডিপ্লেমা সম্পন্নকারী সমমান হিসেবে গণ্য করতে হবে।
সারাদেশ থেকে ব্যুরো, জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠনো খবরে বিস্তারিত...
জামালুদ্দিন হাওলাদার, চট্টগ্রাম ব্যুরো জানান, নিয়োগবিধি সংশোধন ও ১৪তম গ্রেডে বেতন-ভাতাসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন চেয়ে চট্টগ্রামে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল আটটা থেকে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করে তারা।
এ সময় বক্তারা বলেন, আমাদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিভাগে ‘ভ্যাকসিন হিরো’সহ সকল আন্তর্জাতিক অর্জন হওয়া সত্ত্বেও বিগত সরকার আমাদের শুধু আশার বাণীই দিয়ে গেছেন। কিন্তু আমাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই আমাদের নিয়োগবিধি সংশোধন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (বিজ্ঞান) সংযুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ প্রস্তাবিত ৬ দফা দাবি বাস্তবায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।
এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ফজলুল হক চৌধুরী। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম কুদরাত ই খুদা রকির সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিলা আরা চৌধুরী রশ্মি, অর্থ সম্পাদক মঈনুল আহমদ আলী সাগর, মহিউদ্দিন চৌধুরী, লোকমান হাকিম বাদশাহ, কাজী সাইফুল ইসলাম, হাসিনা বেগম, এস এম মিজানুর রহমান, আবুল কালাম, শামসুল আলম চৌধুরী, লকিয়ত উল্লাহ, করিমুন্নেসা সাদেকা ও আবদুল মোমেন।
তারা আরও বলেন, আমরা এ কমসূচি পালনের পূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি ও আবেদন দিয়ে আমাদের দাবি ও কর্মসূচি বিষয়ে অবগত করেছি। কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যদি আমাদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না করেন, তাহলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইপিআইসহ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন বন্ধ থাকবে। এ সময় তারা সরকারের প্রতি ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে নিবার্হী আদেশে নিয়োগ বিধি সংশোধন শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (বিজ্ঞান) সংযুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা সহ বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে ‘উন্নীতকরণ, পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিতকরণ, পূর্বের নিয়োগবিধি অনুযায়ী নিয়োগ পেলেও কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী সব স্বাস্থ্য পরিদর্শক স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের অভিজ্ঞতার আলোকে স্নাতক পাস স্কেলে আত্মীকরণ, বেতন স্কেলে উন্নীতকরণের পূর্বে স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক গন যত সংখ্যক টাইম স্কেল অথবা উচ্চতর গ্রেট প্রাপ্ত বা প্রাপ্য হয়েছেন তা পরবর্তী পুনর্নির্ধারিত বেতন স্কেলের সঙ্গে যোগ, পূর্বে ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা এসআইটি কোর্স সম্পূর্ণ কারী স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শকদেরকে ডিপ্লোমাধারী সম্পন্ন হিসেবে গণ্য করে সরাসরি ১১ তম গ্রেড দাবি করেন তারা।
কামাল হোসেন বাবুল, গাজীপুর থেকে জানান, বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন গাজীপুর জেলা স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টায় গাজীপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে হেলথ এসিস্ট্যান্ট এ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, বেতন বৈষম্য নিরসনে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, হেলথ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আরিফ হোসেন সিকদার, হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন গাজীপুর জেলা উপদেষ্টা মো. শামীম আল রাজি, সহ সব উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
নাসির উদ্দিন শাহ মিলন, নীলফামারী থেকে জানান, ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে নীলফামারীতে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসুচি হয়েছে বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন নীলফামারী জেলা শাখার ব্যানারে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
নেত্রকোণা প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোণায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে জেলায় কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা বাংলাদেশ হেল্থ এসিসট্যান্ট এস্যোসিয়েশনের ব্যানারে এ কর্মসূচী পালিত হয়।
এসময় বক্তব্য দেন সংগঠনটির জেলা শাখার সভাপতি মোঃ হাবীবুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক মনসুরুল হক পাবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহিনূর ইসলাম প্রমুখ।
কর্মসূচীতে জেলার ১০ উপজেলায় কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশ নেন।
বক্তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তাবিত মাঠ পর্যায়ে কর্তব্যরত স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়োগবিধি সংশোধন পূর্বক স্নাতক সমমান সংযুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ, টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান, পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রদানসহ ৬দাবি দ্রুত বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোরতর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন বক্তারা।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান , ৬ দফা দাবি আদায়ে ঝিনাইদহে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার সকালে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে ঝিনাইদহ হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এ্যাসোসিয়েশন এ অবস্থান কর্মসূচীর আয়োজন করে।
ঘন্টা ব্যাপী অবস্থান কর্মসূচিতে দাবি সম্বলিত ব্যানার, লিফলেট নিয়ে জেলা ও উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশ নেয়। সেসময় হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এ্যাসোসিয়েশন জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক আমিনুল ইসলাম, সমন্বয়ক ফারুক হোসেন, ওলিউর রহমান, সোহেল রানা, মো. ফরহাদ, আক্তার হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
যশোর প্রতিনিধি জানান, চাকরিতে ১৪তম গ্রেড ও ‘টেকনিক্যাল পদমর্যাদা’সহ ৬ দফা দাবিতে যশোরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় চত্বরে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার আট উপজেলা থেকে আসা স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশ নেন।
লিটন ঘোষ, মাগুরা থেকে জানান, মাগুরায় ৬ দফা দাবীতে জেলার ৪ উপজেলার ২ শতাধিক স্বাস্থ্য সহকারিরা ৩ ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে । মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত মাগুরা সিভিল সার্জন অফিসের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচী পালন করে বাংলাদেশ হেলথ এ্যাসিটেন্ট এসোসিয়েশন মাগুরা পরিষদ।
এ সময় ৬ দফা দাবী তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন মাগুরা হেলথ এ্যাসিটেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মো: নজরুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন, স্বাস্থ্য সহকারি সঞ্চিতা চক্রবতী ও জামিরুল ইসলাম । অবস্থান কর্মসূচীতে জানানো হয়,প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রোগ প্রতিরোধ যোদ্ধা হিসেবে স্বাস্থ্য সহকারিরা মাঠ পর্যায়ে আন্ত:ব্যক্তি যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিটি ঘরে ঘরে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে । কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের পদের কোন পরিবর্তন হয়নি । তাই সরকারের প্রতি ৬ দফা দাবীতে সারাদেশে চলছে অবস্থান কর্মসূচী । স্বাস্থ্য সহকারিদের দাবীর মধ্যে রয়েছে নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক সমমান এবং ১৪ তম গ্রেড প্রদান,ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণ সনদ প্রাপ্তদের ১১ তম গ্রেড প্রদানসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান ও স্বাস্থ্য সহকারি,সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক,স্বাস্থ্র পরিদর্শকগণ পূর্বের নিয়োগ বিধি দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও সকলকে প্রশিক্ষণ বিহীন স্নাতক পাশ স্কেলে আত্তীকরণ করতে হবে ।
মীর আনোয়ার আলী, রংপুর থেকে জানান, বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রংপুরে স্বাস্থ্য সহকারীরা ছয় দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি চলছে। দাবি আদায় না হলে ১ সেপ্টম্বর থেকে কমপ্লিট শাটডাউন যাবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রংপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। এর আগে বিভিন্ন উপজেলা থেকে সিভিল সার্জন এর কার্যালয় সামনে এসে জড়ো হন তারা। এ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের রংপুর বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক মো. মাসুদার রহমান, রংপুর জেলা সভাপতি শাহ মো. শামিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আনিস রহমান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মারজান মিয়া। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দও বক্তব্য দেন।
হুঁশিয়ারি দিয়ে রংপুর বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক মো. মাসুদার রহমান বলেন, দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইপিআইসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হবে।
রংপুর জেলা সভাপতি শাহ মো. শামিম হোসেন বলেন, জন্মের পর থেকে শিশুদের ১০টি মারাত্মক রোগ থেকে সুরক্ষায় যে টিকা প্রদান করা হয়, তার পুরো কাজটি তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সহকারীরাই করেন। এই কাজ অত্যন্ত টেকনিক্যাল হলেও আমরা এখনো টেকনিক্যাল পদমর্যাদা থেকে বঞ্চিত। দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন করছে না। ফলে আমরা চরম বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
সাধারণ সম্পাদক মো. আনিস রহমান বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন অর্জনের পেছনে স্বাস্থ্য সহকারীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকলেও বিগত সরকারগুলো কেবল আশ্বাস দিয়েছে, বাস্তবায়ন করেনি। তাই আমাদের দাবি বাস্তবায়নে নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক (বিজ্ঞান) শিক্ষাগত যোগ্যতা যুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান এবং ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমার মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে।
স্বাস্থ্য সহকারীরা জানান, ৬ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা আরও কার্যকর ও টেকসই হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২৬ হাজার স্বাস্থ্য সহকারীর ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন করে বৈষম্যের অবসান ঘটাবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
খান রুবেল, বরিশাল ব্যুরো জানান, ছয়দফা দাবিতে বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসের সামনে মঙ্গলবার অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ হেলথ এসিষ্ট্যান্ট এসোসিয়েশন।
বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে তারা আন্দোলন করে আসছেন। দাবি না মানা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সহকারী অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক একেএম মইনুদ্দিন খোকনের সভাপতিতে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন অ্যাসোসিয়েশনের বরিশাল বিভাগের সভাপতি জিয়াউল হাসান কাবুলসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্বাস্থ্য সহকারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সকাল ৮টার দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। সেখানে বেলা ১১টা পযর্ন্ত কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের জেলা শাখার সভাপতি হাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য সহকারী রবিউল ইসলাম, মোর্শেদুল আলম, সুলতানা পারভীন কচি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের মুন্সীগঞ্জ জেলা সভাপতি মো. ফরহাদ হোসেন, সাধরণ সম্পাদক মো. মাহবুবার রহমান, কোষাধ্যক্ষ নুরুল আমিন বেপারী, সাংগঠকি সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. আজিজুল হক, বাসু দেব মোল্লা, আমিনুল ইসলাম ও জয়ন্ত ভট্টাচার্যসহ অনেকে।
ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, ঝালকাঠির সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বৃষ্টি উপেক্ষা করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন ঝালকাঠি শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইদা সুলতানা, সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক নাঈম প্রমুখ।
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে সকাল ৮টা বেলা ১১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের টাঙ্গাইল শাখার নেতাকর্মীরা। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের জেলা শাখার আহ্বায়ক মো. নুরুল ইসলাম, সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, উপদেষ্টা মো. সেলিম মিয়া, মো. আলমগীর হোসেন, মো. কামাল হোসেন প্রমুখ। কর্মসূচিতে টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার ৩৫০ জন নেতাকর্মী অংশ নেন।
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি জানান, সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন ভূইয়া, বিভাগীয় আহ্বায়ক এ কে এম শফিউল আজম, ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি আফজাল হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীরসহ অনেকে।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের অভয়ারণ্য এলাকায় প্রকাশ্যে চলছে মাছ ও কাঁকড়া শিকার। দিনের পর দিন শত শত জেলে নদী-খালে প্রবেশ করে অবাধে মাছ ও কাঁকড়া শিকার করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সুন্দরবনের দোবেকী, পুষ্পকাটি, নোটাবেকী, হলদেবুনিয়া, মান্দারবাড়িয়া, কাছিকাটা, আঙরাকেনা, বালিঝাকি, পাকড়াতলী, খোবরাখালীসহ একাধিক নদী ও খাল সরকারিভাবে অভয়ারণ্য এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এসব এলাকায় সব ধরনের নৌযান চলাচল ও মৎস্য আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
কিন্তু বাস্তবচিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্রতিদিনই অসংখ্য বাইনজাল, পাটাজাল, নেটজাল, ফাঁসজাল, দোন ও বড়শি ব্যবহার করে অভয়ারণ্যে প্রবেশ করে মাছ ও কাঁকড়া ধরছে।
একাধিক জেলে জানান, বন বিভাগের কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে সাপ্তাহিক বা গোনথ (১৫ দিন) ভিত্তিক চুক্তির মাধ্যমে তারা অভয়ারণ্যে প্রবেশ করেন। প্রতি গোনে ফাঁড়ি ও স্টেশন ভেদে দিতে হয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এতে কোনো বাঁধা ছাড়াই নির্বিঘ্নে শিকার চালাতে পারছেন তারা।
জেলেরা আরও জানান, আমরা জানি এটি আইনবিরুদ্ধ, কিন্তু পেটের দায়ে করতে হয়। যারা চুক্তি করে না, তাদের নৌকা অভয়ারণ্যে ঢুকতেই দেওয়া হয় না।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা সোলাইমান হোসেন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অভয়ারণ্যে জেলেদের অবৈধ প্রবেশ ও শিকারের মাত্রা ভয়াবহভাবে বেড়েছে। তার প্রত্যক্ষ মদদেই নটাবেকী, হলদেবুনিয়া, দোবেকী, কাছিকাটা, বালিঝাকি, ডিঙ্গিমারী, কাকাদোবেকী, আঙরাকোনা, পাকড়াতলীসহ বিভিন্ন স্থানে শত শত নৌকা প্রতিনিয়ত মাছ ও কাঁকড়া শিকার করছে।
চাইলে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত সহকারী বন সংরক্ষক ফজলুল হক বলেন, অভয়ারণ্যে কোনো নৌকা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না। কেউ নিয়ম লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। তবে বাস্তবতার সঙ্গে এই বক্তব্যের কোনো মিল পাওয়া যায় না।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সাবেক কাউন্সিলর ছালেহা বেগমের বাড়িতে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে সাড়ে ৮ লাখ টাকা লুটপাট ও ভুক্তভোগীর থেকে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া ৩ কর্মকর্তা হলেন- জেলা পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান এবং জিয়াউর রহমান। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (০৭ জুলাই) রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাসান মারুফ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল হোসেন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করা হয়। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, ১৮ জুন সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তার বাড়িতে অভিযান চালান। কোনো মাদকদ্রব্য না পেয়ে তারা গাড়ির তেলের খরচের জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। তিনি ১০ হাজার টাকা দেন। বাকি ১০ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠাতে বলেও চলে যান। কিছুক্ষণ পর তারা আবার এসে ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করতে থাকেন। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের কথা বলা হয়।
এছাড়া তার আলমারি থেকে ৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা এবং ছেলের ঘরের আলমারি থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। এরপর ছালেহা বেগমের বাড়ি থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই ৩ কর্মকর্তাকে প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্তপূর্বক সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ক্ষেত থেকে আলু তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণিরা। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন হওয়ার পাশাপাশি বাজার দর ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে তৃপ্তির হাসি।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, উপজেলার ধারাবর্ষা, বড়বাড়ীয়া, কৈজুরী, কান্দারপাড়া, সৈয়দপুর, বয়সিংহ, ভাটারা, মোহনগঞ্জ, কাশারীপাড়া, পাখাডুবী, ফুলবাড়িয়া, পারপাড়া, গোপীনাথপুর, কৃষ্ণপুর, চর হরিপুর, আওনা, পোগলদিঘাসহ বিভিন্ন এলাকায় মিষ্টি আলুর চাষ করে কৃষকরা। খরচ কম ও লাভবান হওয়ায় মিষ্টি আলু চাষে ঝুকছে চরাঞ্চলের কৃষকরা।
উপজেলার কামরাবাদ ও ভাটারা ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সবুজ পাতায় ছেয়ে আছে ফসলের মাঠ। কৃষকরা কোদাল দিয়ে কুপিয়ে আগলা করছে মাটি। আর নারী ও শিশুরা আলু কুড়িয়ে এক জায়গায় রাখছে। পরে জমানো মিষ্টি আলু ক্ষেতে বসেই ওজন করে বস্তাবন্দি করছে কৃষকরা। কেউ আবার মিষ্টি আলুর লতা গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে ঘোড়ার গাড়ি করে।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল হাই, সাদেক আলী, রাশেদুল ইসলামসহ অনেকেই বলেন, চারা রোপণের কয়েকমাস পর থেকে মিষ্টি আলু মাটির নিচে পরিপক্ব হয়ে ওঠে এবং উপশী হাইব্রিড জাতের মিষ্টি আলু ৯০ দিনেই তোলা যায়। এবার আলু চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। মিষ্টি আলুর চাহিদা ঢাকায় অনেক বেশি। তাই এলাকা থেকে ১ হাজার হতে ১২০০ টাকা মণ কিনে বেশি দামে বিক্রি করেন পাইকাররা। এসব মিষ্টি আলু চরাঞ্চলে ঘুরে ঘুরে কেনেন পাইকার, অনেক সময় অনেক পাইকারি ক্রেতা মাঠ থেকেই আলু কিনে নেন। পরে এসব মিষ্টি আলু ট্রাকে করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যান।
মিষ্টি আলু চাষি আব্দুল মোতালেব বলেন, এই মৌসুমে চরাঞ্চল অনেক পতিত জমিতে বিশেষ করে নদীর ধারের প্রায় ১ একর জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করেছি। প্রতি শতাংশে দুই মণের বেশি মিষ্টি আলুর ফলন হয়েছে। ১ বিঘা জমিতে মিষ্টি আলু পেয়েছি ১০০ মণের ওপরে। প্রতি মণ মিষ্টি আলু পাইকারি বিক্রি করছি ১৪/১৩/১২ শত টাকা দরে। চাহিদা ও ফলন হিসেবে দাম কিছুটা ওঠানামা করে। ১ বিঘা জমি চাষ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। খরচ বাদে অনেক লাভ হয়েছে। অন্য কোনো ফসল করে এত লাভ করা সম্ভব না।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অনুপ সিংহ বলেন, এ উপজেলায় এই বছরের মিষ্টি আলু ৫৮০ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু চাষ হয়েছে ৬৭৫ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৯৫ হেক্টর বেশি। ফলনে খরচ কম হওয়ায় ও অধিক লাভজনক হওয়ায় মিষ্টি আলু চাষে ঝুকছে চরাঞ্চলের কৃষকরা।
বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সরকার দেশে বিকল্প হিসেবে নওগাঁর বিভিন্ন সড়কে সোলার প্যানেল চালিত ল্যাম্পপোস্ট (সড়ক বাতি) স্থাপন করেছিল। যেখানে সড়ক বাতির আলোয় উপকৃত হতো পথচারীরা। এসব সড়ক বাতি ৫ বছর চলার পর এখন ৭০ শতাংশ অকেজো হয়ে পড়েছে। এতে পথচারীদের প্রতিনিয়ত দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান এলাকাবাসী।
জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়- ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত জেলায় ৭ হাজার ৭৪১ টি সোলার সিস্টেম ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়। যেখানে ব্যয় হয় ৪৩ কোটি ৭২ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে বর্তমানে ৭০ শতাংশ সড়কবাতি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে।
নওগাঁ সদর উপজেলার তালতলি থেকে দুবলহাটি হয়ে কাটখৈইর বাজার পর্যন্ত দুরুত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এ সড়ক দিয়ে সহজেই জেলার মান্দা ও রানীনগর উপজেলার কিছু এলাকা জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। সন্ধ্যার পর চুরি ও ছিনতাইয়ের ভয়ে মানুষ নির্জন এ রাস্তা দিয়ে নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া চলাচল করত না। এ সড়কটি আলোকিত করতে গত ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে (১০ বছর আগে) জেলায় টিআর (টেস্ট রিলিফ) ও কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) প্রকল্প থেকে প্রায় ২০০টি সোলার সিস্টেম ল্যাম্পপোস্ট (সড়ক বাতি) স্থাপন করা হয়। ফলে সন্ধ্যার পর নিজ থেকে জ্বলে উঠে সোলার আলোয় আলোকিত হতো সড়কটি। যেখানে সন্ধ্যার পর ভ্যান, রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন ও পথচারিরা নিবিঘ্নে চলাচল করতে পারতো। কিন্তু ৫ বছর পর এ সড়কবাতি গুলো অকেজো হয়ে পড়ে। শুধু এ সড়কই না, জেলার বিভিন্ন সড়ক ও হাট-বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে সোলার প্যানেল চালিত ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়েছিল। বর্তমানে কোনটার খুঁটি থাকলেও নেই সোলার প্যানেল ও বাল্ব। আবার সোলার প্যানেল থাকলেও নেই বাল্ব। কোথাও ল্যাম্পপোস্টের খুঁটি ঠাই দাঁড়িয়ে আছে। আবার সোলার প্যানেল ও বাল্ব থাকলেও ব্যাটারি অকেজো হওয়ায় কোন কাজে আসছে না।
স্থানীয় ও পথচারীরা জানান- সড়ক অন্ধকার থাকায় তারা স্বাচ্ছন্দ্যে আগের মতো আর চলাচল করতে পারছে না। সড়কে চুরি-ছিনতাই ও অপরাধসহ সড়ক দূর্ঘটনা বেড়েছে। অন্ধকার থাকায় পথচারীদের চলাচলও কমেছে। সড়কবাতিগুলো দ্রুত সংস্কার করার দাবী জানান এলাকাবাসী।
মান্দা উপজেলার স্কুল শিক্ষক রিমন মোরশেদ বলেন- বাড়ি থেকে কাটখৈইর হয়ে তালতলি সড়ক দিয়ে নওগাঁ শহরের আসতে সময় কম লাগে এবং সুবিধা হয়। অনেক সময় কাজ শেষে ফিরে যেতে রাত হয়। সন্ধ্যার পর ল্যাম্পপোস্টের আলোয় সড়ক আলোকিত হতো। কিন্তু গত কয়েক বছর থেকে আবারও সন্ধ্যার পর অন্ধকার হওয়ায় এ সড়কে চলাচল কমে গেছে। পথচারীরা যতদ্রুত সম্ভব শহরে কাজ শেষে দিনের আলোয় বাড়ি চলে যায়।
সদর উপজেলার গোয়ালী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন- ‘বাড়ির পাশ দিয়ে কাটখৈইর সড়ক। এ সড়কে এক সময় অনেকগুলো ল্যাম্পপোস্ট ছিল। দীর্ঘ সময় চলার পর সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন থেকে অকেজো হয়ে পড়ে থাকায় অনেকটা চুরি হয়ে গেছে। সড়ক অন্ধকার থাকায় অনেক ধরনের অপরাধ বেড়েছে। তবে আবারও যদি সংস্কার করা হয় তাহলে পথচারীদের জন্য সুবিধা হবে।
হাঁসাইগাড়ী গ্রামের অটোরিকশা চালক আহাদ আলী বলেন- গোয়ালী থেকে হাঁসাইগাড়ী গ্রাম পর্যন্ত বিলের মাঝ দিয়ে
৩ কিলোমিটার সড়ক বয়ে গেছে। এরমাঝে কোন বসতবাড়ি নেই। সন্ধ্যার পর সুনশান নিরবতা। চুরি ও ছিনতাইয়ের ভয়ে সন্ধ্যার পর অটোরিকশা নিয়ে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা হয়না। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া যানবাহন নিয়ে কেউ আসতে চায় না।
নওগাঁ জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা আশেকুর রহমান বলেন- রাস্তা-ঘাট ও হাট-বাজার আলোকিতকরণ করতে সড়কবাতিগুলো স্থাপন করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন মেরামত না করা, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও ওয়ারেন্টি মেয়াদ শেষ হওয়া সহ নানা কারণে সড়কবাতিগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ইতোমধ্যে সড়কবাতিগুলো সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত সংস্কার করা হবে।
শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের উন্নয়নের ঘোষিত ১৬ দফা রূপকল্পের মধ্যে চারটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় পাবনা প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন। সংবাদ সম্মেলনে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ঢাকা-পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন সার্ভিস চালু, পাবনায় সরকারি মেডিকেল কলেজে পূর্ণাঙ্গ অবকাঠামো ও কার্যক্রম চালু, পাবনা সদর হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা এবং পাবনায় আইটি পার্ক স্থাপনের দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের জোর দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের সভাপতি খান হাবিব মোস্তাফা, সম্পাদক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আখতারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মো. জহুরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।
বক্তারা বলেন, ‘পাবনার সার্বিক উন্নয়নের জন্য এসব দাবি বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব বাস্তবায়িত হলে পাবনা স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে।’
সম্মেলনে জেলার উন্নয়নে সব রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
ফরিদপুর শহরের আলিপুর এলাকার বাসিন্দা এনসিপি ফরিদপুর জেলা শাখার যুগ্ম সমন্বয়ক এস এম জাহিদ হোসেনের বাড়িতে মধ্যরাতে ঘরের তালা ভেঙ্গে তাণ্ডব চালিয়েছে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। সোমবার (০৭ জুলাই) রাতে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী তার বাসার বাউন্ডারি টপকে দ্বিতীয় তলায় প্রবেশ করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ করেছেন এস এম জাহিদ হোসেন ।
স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগীর বর্ণনা অনুযায়ী, হামলাকারীরা বাসার চার থেকে পাঁচটি গেটের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। তারা ধারণা করেছিল, জাহিদ হোসেন ও তার ছেলে একটি নির্দিষ্ট কক্ষে ঘুমিয়ে আছেন। সেখানে কাউকে না পেয়ে ঘরের বিভিন্ন রুমে ব্যাপক তছনছ চালায়। এমনকি একটি রুমের বাহিরের লক খুলে ভেতরে তল্লাশি চালানোরও চেষ্টা চালায় তারা।
জানা গেছে, দুষ্কৃতিকারীরা জাহিদ হোসেনের রুমের দরজা জোরপূর্বক খোলার চেষ্টা করে, তবে ভেতর থেকে নিরাপদে লক থাকায় সফল হয়নি। তার ছেলের রুমেও সিটকিনি লাগানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, পর্দার ফাঁক দিয়ে ভেতরে তাকিয়ে তারা জাহিদ হোসেনকে দেখতে পেয়েছিল। তবে ভোরের আজানের ধ্বনি ও আশপাশের মসজিদের মুসল্লিদের চলাচল শুরু হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসিকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিদর্শন করেন এবং তার টিম প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করেন।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, এটি কোনো সাধারণ চুরির ঘটনা নয়, বরং পূর্বপরিকল্পিত। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা না হলেও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
করতোয়া নদীর বাঘডোকরা ঘাটে ব্রিজ নির্মাণের দাবি করে আসছে এলাকাবাসী। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও এস্বপ্ন পূরণ হয়নি এলাকাবাসীর।
পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ৩ নং বনগ্রাম বেংহাড়ী ইউনিয়ন ও ৪ নং কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যবর্তী করতোয়া নদী বাঘডোকরা ঘাটে সেতুটি নির্মাণ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই করতোয়া নদী পেরিয়ে দুটি ইউনিয়নের মানুষ প্রতিদিন যাতায়াতে নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এরমধ্যে শিক্ষার্থী, রোগী ও কৃষকরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন। বর্ষাকালে নদীতে পানি বাড়লে নৌকা কিংবা বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে। এতে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় শিশু ও বৃদ্ধদেরও।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বহুবার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানানো হলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচনের পর আর খবর রাখেন না কেউ।
এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, করতোয়া নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর করানো হয়েছে। তবে প্রকল্প অনুমোদন না হওয়ায় এখনো কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
তাদের দাবি, এই ব্রিজ নির্মাণ হলে দুই ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন আসবে এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং শিক্ষাক্ষেত্রে হবে নতুন দিগন্তের সূচনা।
স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের এই ন্যায্য দাবি মেনে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজ নির্মাণের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
গোপালগঞ্জ-পয়সার হাট সড়কের কোটালীপাড়া উপজেলা জিরো পয়েন্টে ভাঙ্গাচোরা আর খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। সড়কের এই বেহাল দশার কারণে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে সড়কটিতে চলাচল করছে ছোট-বড় সকল যানবাহন।
গোপালগঞ্জ-পয়সারহাট সড়কটি একটি ব্যস্ততম সড়ক। পায়রা বন্দর থেকে মংলা বন্দরে এবং বরিশাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতের প্রবেশদার কোটালীপাড়া উপজেলা। যে কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল এই সড়ক দিয়ে। এই সড়কের কোটালীপাড়া উপজেলার জিরো পয়েন্ট পশ্চিমপাড় এলাকায় বড় বড় খানাখন্দ হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই হয়ে পড়ছে জলাবদ্ধতা। যে কারণে চলাচলের সময় প্রায়ই ভ্যান, ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ ছোট ছোট যানবাহনগুলো এই গর্তে পরে প্রায়ই উল্টে পড়ছে। যার ফলে যাত্রীরা পড়ছে দূর্ঘটনার কবলে। বাস, ট্রাকসহ বড় গাড়িগুলো চলাচলে পানি ছিটকে পথচারীদের কর্দমাক্ত করে দিচ্ছে।
কমলকুঁড়ি বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিসুর রহমান বলেন, চলাচলের সময় চোখের সামনে প্রতিদিন একাধিকবার দূর্ঘটনা ঘটতে দেখছি। উপজেলা সদরের ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী এই সড়ক দিয়ে ছোট ছোট যানবাহনে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। মাসের পর মাস সড়কটির এই বেহাল দশা হলেও সংস্কার হচ্ছে না।
ভ্যানচালক জামির মোল্লা বলেন, রাস্তাটির যেই অবস্থা তাতে যে কোন সময় বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সড়কটি দ্রুত মেরামত করা খুবই জরুরি।
পরিবহন শ্রমিক আলম মিয়া বলেন, পশ্চিমপাড়ে সড়কটির অর্ধেকের বেশি স্থানে খানাখন্দ হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। বৃষ্টির সময় এই সমস্যা আরো মারাত্মক হয়ে ওঠে। ভাঙ্গা অংশটুকু তারাতাড়ি মেরামত দরকার।
কোটালীপাড়ার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ভাঙ্গা অংশটুকু মেরামতে জন্য জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে বলা হয়েছে। আশাকরছি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।
গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আজহারুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে উপজেলা কৃষি প্রণোদনা পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় উপজেলা প্রশাসন এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে শিবপুর-রাধিকা আঞ্চলিক মহাসড়ক, মহেশ রোড় এবং বড়াইল- কৃষ্ণনগর সড়কে ২০০টি তালের চারা রোপণ করা হয়। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটন, আরো উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আহসানউল্লাহ, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শাহআলম মজুমদার, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র দত্ত, উপসহকারী কৃষি অফিসার নূর নবী, ফারুক আহমেদ, জাহিদুল ইসলাম, স্থানীয় কৃষকবৃন্দ। এ সময় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান-‘তাল গাছ আমাদের পরিবেশের বন্ধু। এর শিকড় মাটির ক্ষয় রোধ করে, আর পাতা ছায়া দেয়। এমনকি বজ্রপাত প্রতিরোধে ও তাল গাছের ভূমিকা রয়েছে। বিজ্ঞান বলে- উঁচু ও একক অবস্থানে থাকা তালগাছ বজ্রপাতের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক’। নবীনগর উপজেলায় ২০০টি তালের চারা এবং তাল গাছ রক্ষার জন্য বেড়া (খাঁচা) একযোগে স্থাপন করা হয়েছে।
আশাকরি সরকারের পাশাপাশি এই বর্ষা মৌসুমে স্থানীয়দের উদ্যোগেও তালের চারা রোপণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব রাজীব চৌধুরী জানান-‘তাল গাছ রোপণের পাশাপাশি সরকারের প্রণোদনার আওতায় নবীনগর উপজেলায় ১৭০০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে চারটি করে (নিম, বেল, জাম, কাঁঠাল) চারা বিতরণ করা হবে"। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও ফলের চাহিদা মিটাতে এই উদ্যোগ ভালো ভূমিকা পালন করবে।
ফেনীতে সোমবার (৭ ই জুলাই ) দুপুর ১২টা হতে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটি মৌসুমের সর্বাধিক বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
টানা বর্ষণে শহরের বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমে গেছে। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শহরবাসী। বৃষ্টির এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে দুর্যোগ সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান জানান, আগামী ২-৩ দিন জেলাজুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন সড়কে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। শহরের অধিকাংশ বাড়ির নিচতলায় পানি উঠে গেছে। সড়কে কোমর পরিমাণ পানি থাকায় স্কুলে যেতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে পানি ঠেলে হেঁটে ও রিকশায় চড়ে গিয়ে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন পরীক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের শহিদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক, রামপুর শাহীন অ্যাকাডেমি, পাঠান বাড়ি, নাজির রোড, পেট্রো বাংলাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের পাশে দোকানগুলোতে পানি ঢুকে পড়েছে। যানবাহনের ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বিকল হয়ে পড়ে অনেক গাড়ি। সকাল থেকে সড়কে আটকে পড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
পানি উঠে যাওয়ায় আজ সকাল থেকে শহরের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
দুপুর ১২টার দিকে শহিদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের বিভিন্ন জায়গায় কোমর পানি জমে থাকতে দেখা যায়। বেশ কয়েকটি ব্যাটারিচালিত রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা এ সময় বিকল হয়ে সড়কের পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এদিকে ভারী বৃষ্টিতে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা সদরের শ্রীপুর রোডে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে কয়েকটি দোকান ধসে পড়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। এ কারণে নিলক্ষ্মী-গাবতলা সড়কে বন্ধ রয়েছে যানচলাচল।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, মুহুরী নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে ভারী বৃষ্টি হলে নদীর পানি বাড়বে। ভাঙনরোধে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।’
তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ০৭ জুলাই (সোমবার) ২০২৫ তারিখে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাছিবুর রহমান, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -রুপগঞ্জ -এর আওতাধীন গোলাকান্দাইল, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ এলাকার ৩টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে আনুমানিক ৪১৫ বাড়িতে ৯২৫ টি চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়া, ৩" ডায়া পরিত্যক্ত বিতরন লাইন থেকে মাছরাঙা কয়েল ফেক্টরীর ২'' ডায়া বিশিষ্ট অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের ২৩০ফুট লাইন পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। প্রতিটি বিতরণ লাইন উৎস পয়েন্ট থেকে কিলিং/ ক্যাপিং করা হয়েছে।
একই দিনে, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক রাজস্ব শাখা -ভালুকা ও জোবিঅ -ভালুকা -এর বিশেষ অভিযানে বকেয়ার জন্য ২টি আবাসিকের ০৩টি ডাবল চুলা ও অনুমোদন অতিরিক্ত স্থাপনায় গ্যাস ব্যবহার করায় ৬টি আবাসিকের ৮টি ডাবল চুলা সহ মোট ০৮টি আবাসিকের ১১টি ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
এছাড়া, বাইপাস লাইন এর মাধ্যমে গ্যাস ব্যবহার করায় মেসার্স আল মদিনা বোর্ড মিল, মুন্সিগঞ্জ এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হতে গত ০৭ জুলাই, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ২৬৯টি শিল্প, ২৫৮টি বাণিজ্যিক ও ৪৪,৮৬৪টি আবাসিকসহ মোট ৪৫,৩৯১ টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ৯৮,১৪৭টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ১৮৬ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মাত্র এক মাসের ব্যবধানে একই ক্লিনিকে সিজারিয়ান ডেলিভারির সময় দুই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার (৭ জুলাই) রাতে মুন্নি খাতুন (২৫) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী সিজারিয়ান অপারেশনের সময় মারা যান। এর আগে ৮ জুন ওই ক্লিনিকেই আখি খাতুন (২২) নামের আরেক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। পরপর এমন দু’টি মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্লিনিক মালিকের ছেলে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেস্টা করছে বলে জানাগেছে।
সোমবার রাতে মুন্নির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ক্লিনিক মালিক আবুল হোসেনের ব্রাকপাড়া এলাকার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। পরে তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত মুন্নি খাতুন উপজেলার তারাগুনিয়া ব্রাকপাড়া এলাকার মঞ্জু হোসেনের মেয়ে। আর নিহত আখি খাতুন পূর্ব কবিরাজপাড়া গ্রামের ইমনের স্ত্রী।
মুন্নির পরিবারের সদস্যরা জানান, গর্ভাবস্থায় জটিলতা দেখা দিলে সোমবার তাকে উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা ঝুঁকির কথা বলে কুষ্টিয়া বা রাজশাহীতে রেফার করার পরামর্শ দেন। সন্ধ্যায় তাকে তারাগুনিয়া থানার মোড় বাজারের আবুল হোসেনের মালিকানাধীন তারাগুনিয়া ক্লিনিক নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তৃপক্ষ সিজারিয়ানে সম্মত হয়। কিন্তু রাত ৯টার দিকে অপারেশনের সময়ই মুন্নির মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে তারাগুনিয়া ক্লিনিকের মালিক আবুল হোসেন বলেন, “রোগী কীভাবে মারা গেছে সেটা ডাক্তাররাই ভালো বলতে পারবেন। আমি নিজে অপারেশনে ছিলাম না, তাই কিছু জানি না। টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”
অপারেশনকারী চিকিৎসক ডা. সফর আলী বলেন, “রোগীকে ওটিতে আনার আগে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ওষুধ প্রয়োগ করেন। আমরা ওটিতে ঢুকেই দেখি রোগী স্ট্রোক করেছে। এরপর দ্রুত নবজাতকের প্রাণ রক্ষায় সিজারিয়ান সম্পন্ন করি।”
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, “একই প্রতিষ্ঠানে পরপর দুই প্রসূতির মৃত্যু অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। আজই ক্লিনিকটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, “গতকাল রাতে তারাগুনিয়া এলাকার একটি ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় ক্লিনিক এলাকায় উত্তেজনা ও হট্টগোলের আশঙ্কায় আমি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠাই। পরে জানতে পারি, নিহত নারীর এলাকা থেকে কিছু লোকজন ক্লিনিক মালিকের বাড়িতে হামলা চালায়। আমরা দ্রুত সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। শুনেছি দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করে নিয়েছে।”
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল হাই সিদ্দিকী বলেন, এক মাসের মধ্যে দুইজন রোগীর মৃত্যু অত্যান্ত দুঃখজনক। ঘটনায় কর্তৃপক্ষকে বলবো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
একই ক্লিনিকে এক মাসের ব্যবধানে দুই প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।