রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
২৯ আষাঢ় ১৪৩২

চাঁদপুর পৌর লেক থেকে স্কুলছাত্রের লাশ উদ্বার, আটক ৭

ইউএনবি
প্রকাশিত
ইউএনবি
প্রকাশিত : ১৩ জুলাই, ২০২৫ ০৯:৪২

চাঁদপুর পৌর শহরের লেক থেকে আল আমিন (১৭) নামে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার ৭ সহপাঠীকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১২ জুলাই) রাত ৯টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত আল আমিনের বাড়ি সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর। সে এ বছর শহরের গণি মডেল হাই স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী প্রধানিয়ার ছেলে সে। শহরের মমিনপাড়া রোডে বাস করতেন তারা।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকালে পৌর লেকে নির্মিত ‘স্বাধীনতার স্মারক অঙ্গীকারের’ পাশে কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল। পরে রাত ৯টার দিকে লেকের পানিতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা তাকে উদ্বার করে দ্রত জেলা সদর হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আল আমিনের গায়ে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।

স্বজন ও বন্ধুদের অভিযোগ, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাকে মেরে পানিতে ফেলে দিয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তারা।

খবর পেয়ে হাসপাতালে যান সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহার মিয়া ও সদর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার।

স্বজনদের কাছ থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এরই মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আল আমিনের সহপাঠী দিদার গাজী, মামুন, জাহেদ, দিদারুল ইসলাম, মইন ইসলাম ও শামীমসহ ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন ওসি বাহার মিয়া।


দৃষ্টিনন্দন বাতিতে বদলে গেছে মান্দা শহরের চিত্র

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মান্দা (নওগাঁ) সংবাদদাতা

নওগাঁর মান্দা ইউএনও শাহ আলম মিয়া দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সামান্য চেষ্টা আর সুন্দর মনোভাব, সেই সঙ্গে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে বদলে গেছে নওগাঁ মান্দা উপজেলার চিত্র। উপজেলা সদর থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত অন্ধকার সড়কে যোগ হয়েছে আধুনিক সড়কবাতি, সেই সঙ্গে নওগাঁ রাজশাহী মহাসড়কের ফেরিঘাট ব্রিজের ওপরে যোগ হয়েছে আধুনিক রঙিন বাতি। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে আত্রাই নদীর পাশ দিয়ে বয়ে চলা অন্ধকার রাস্তাটি আধুনিক এলইডি স্ট্রিট লাইটের আলোতে আলোকিত হয়ে গেছে। এখন সন্ধ্যার পর রাস্তাটি দিয়ে নির্বিঘ্নে গাড়ি-ঘোড়া ও হেঁটে চলাচল করেছে মানুষ। নদীর ওপাশ থেকে দেখলে মনে হয় এযেন এক অন্য রকম আলোর নগরী। উপজেলা সদরের চৌরাস্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাটেও রয়েছে স্ট্রিট লাইটের ব্যবস্থা। মান্দার ইউএনও শাহ আলম মিয়ার উদ্যোগ ও তদারকির কারণে পুরোনো জরাজীর্ণ ভবণ টেন্ডারের মাধ্যমে ভেঙে উপজেলার নতুন ভবনে দপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে, চলছে ৫ তলা নির্মাণসহ উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরের রাস্তা নির্মাণের কাজ। ৫০০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক কুসুম্বা মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নির্মিত হয়েছে সীমানা প্রাচীর, রাস্তা নির্মাণ, দিঘিতে নামার সিঁড়ি, ছাগল-মুরগি জবায়ের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে জবাইখানা, সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে লাগানো হয়েছে টাইলস, মসজিদে আসা মানতকারীদের রান্নার স্থান সংস্কার করা হয়েছে, এছাড়া দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বেশকিছু নিরাপত্তা কর্মী।

স্থানীয় সরকার ও পিআইও অফিসের সহায়তায় করা হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট সংস্কার কাজ, অচল ব্রিজ ব্যবহারের উপযোগী।

মোবাইল আসক্তি ও মাদক থেকে যুব সমাজকে দূরে রাখতে ১৪টি ইউনিয়নকে সংগঠিত করে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন ও প্রথম পুরস্কার মোটরসাইকেল পুরস্কার বিতরণ করেছেন। বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাজের উৎসাহ জোগাতে কাজের মূল্যায়ন ও পুরস্কারকের ব্যবস্থা করেছেন ইউএনও।

মান্দাকে বাংলাদেশ সকল মানুষের কাছে তুলে ধরতে তার লেখনিতে মান্দার নাম করণ করেছেন ‘মনোহরা মান্দা’ মান্দাকে ঘিরে লিখেছেন অনেক ছোট গল্প, কবিতা।

ইউএনও শাহ আলম মিয়ার বলেন, আমার কখনো মনে হয়নি মান্দা আমার না। আমি সব সময় চিন্তা করেছি মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের কথা শুনে কাজ করার। মান্দাকে আধুনিকভাবে সাজাতে যেটুকু সম্ভব চেষ্টা করেছি। এমন কেউ নেই যে আমার অফিসে এসে আমার সঙ্গে দেখা না করে গিয়েছে। রাজনৈতিক ব্যক্তিরা, সাংবাদিক, সাধারণ মানুষ সকলকে সঙ্গে নিয়ে আমি কাজ করেছি। মান্দা পথপ্রান্তর, নদী, বিল গ্রামের আকাবাঁকা রাস্তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। মান্দাতে দেখার মতো যা কিছু আছে তা অন্য কোথাও নেই। আমি যেখানেই থাকব মান্দার খবর রাখব।


মধুপুর শালবনের ঐতিহ্য ফেরাতে নানা উদ্যোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হাবিবুর রহমান, মধুপুর (টাঙ্গাইল)

এক সময় দেশের তৃতীয় বৃহত্তর মধুপুর গড়ের শালবন ছিল ইতিহাস ঐতিহ্য খ্যাত। পত্র ঝরা এ বন ছিল সমৃদ্ধ বনাঞ্চলের মধ্যে অন্যতম। প্রাকৃতিক নানা বৈচিত্র্য আর অভয়ারণ্যে বন্যপ্রাণী পাখি ভেষজ গুল্মলতায় দুর্ভেদ্য ছিল। প্রায় ৪৫ হাজার একরের এ বনে ছিল বুনো খাদ্যের বিশাল ভান্ডার। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বুনোখাদ্য, নানা ফরমূলসহ বিরল ও দেশি প্রজাতির জানা অজানা বৃক্ষ লতার সমাহারে সজ্জিত এ বনটি নানা কারণে তার আয়তন সংকুচিত হয়ে গেছে। হারাচ্ছে তার অতীত ঐতিহ্য। খাদ্য ভান্ডার, জীব বৈচিত্র্যেও বিরূপ প্রভাবের দেখা দিচ্ছে। বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে অনেক বৃক্ষ লতা। কমে যাচ্ছে বনের প্রাণীকূল। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বুনোখাদ্যের ভান্ডারে দেখা মেলে না আগের মতো বাহারি আলু লতা পাতাসহ নানা খাদ্য।

বন সংকোচনের ফলে বেড়েছে সামাজিক বনায়ন। শাল গজারি মানানসই বৃক্ষ না বেড়ে, সামাজিক বনায়নে বেড়েছে বিদেশি প্রজাতির আগ্রাসীর দাপুটে বাগান। আর এসব বাগানে বাণিজ্যিক চাষাবাদের ফলে জীব বৈচিত্র্য যেমন কমে যাচ্ছে, তেমনি ঐতিহ্যও হারাচ্ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

বনের ঐতিহ্য ফেরাতে সরকার বিদেশি প্রজাতির আগ্রাসী গাছ নিষিদ্ধের পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শালগজারিসহ দেশি প্রজাতির গাছের চারা বীজ রোপণ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এ কার্যক্রমের ফলে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও প্রথাগত বনবাসীদের নিয়ে মধুপুর শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠা পাবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা। সে লক্ষ্যে মধুপুর বনাঞ্চলে শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর গৃহ জরিপ ও জনশুমারি, বনের সীমানা চিহ্নিতকরণ, হারিয়ে যাওয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও মত বিনিময় সভার কার্যক্রম করে যাচ্ছে বন বিভাগ।

জানা গেছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)’র সহায়তায় মধুপুর জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ ও উত্তর বঙ্গের জাতীয় আদিবাসী পরিষদের যৌথ উদ্যোগে জনস্বার্থে ১৮৩৪/২০১০ নং রিট পিটিশন দায়ের করে। ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট প্রদত্ত রায়ে ৯টি ইস্যু গঠন করে উচ্চ আদালত কর্তৃক মামলাটি নিষ্পত্তি করে রায়ে বাদীগণের সমন্বয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করে আদালতের নির্দেশনা সমূহ বাস্তবায়ন করে বিস্তাারিত প্রতিদেন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। সে প্রেক্ষিতে ইস্যুগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রধান বন সংরক্ষকের সভাপতিত্বে বন ভবন ও মধুপুর জাতীয় উদ্যানে পৃথক দুটি সভা করে বন বিভাগ।

সভাসমূহের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে মধুপুর শালবন ও শালবন সংলগ্ন এলাকায় বসবাসরত বন নির্ভর জনগোষ্ঠীর প্রতিটি গৃহে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য ২০ জনের জরিপসহকারিদের একদিনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। সে লক্ষ্যে ৯ জুলাই বন বিভাগের দোখলা রেঞ্জের বাংলোতে টাঙ্গাইল বন বিভাগের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশ গ্রহণে মধুপুর শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠা প্রকল্প আয়োজিত মতবিনিময় সভা সহকারী বন সংরক্ষক মো. আবু সালেহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন, উপজেলা পরিসংখান কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র, রেঞ্জ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন, সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন,কারিতাসের বাঁধন চিরানসহ বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারি,সাংবাদিক ও জরিপসহকারী দল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে এ প্রকল্প শুরু হয়েছে। বনের সীমানা চিহ্নিত, হারিয়ে যাওয়া বন্য প্রাণীর ব্যবস্থা করা, গৃহ জরিপ করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করা হচ্ছে।

মধুপুর বনের শাল গজারি পুনঃপ্রতিষ্ঠা পেলে এ বন তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। সামাজিক বনায়নে শাল গজারিসহ দেশি পরিবেশ সম্মত বনজে ভরে উঠবে লাল মাটির এ শালবন। এমনটাই আশা স্থানীয়দের।

অ্যাপসের মাধ্যমে এ ডাটা সংগ্রহে থাকবে খানার লোকসংখ্যা, জমির পরিমান,আনারস কলা পেঁপেসহ চাষবাদকৃত কৃষি পরিমান, জমি অন্যত্র লিজ দেয়া থাকলে লিজকৃত ব্যক্তির নাম, শালবনে কিকি গাছ লাগাতে পছন্দ এসব তথ্যে সমৃদ্ধ করা হবে। জরিপ শেষে শাল গজারি ও শাল লাগসই গাছ লাগানো হবে। এভাবে শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে। অশিংদার যারা হবে তারা প্লটের গাছের পরিমাণ প্রভৃতি গাছ ঠিক করবে। লেজারে হিসাব কষে অংশিদার পাবে আবৃতের মূল্য ৪৫% অর্থ। তবে বনায়নের গাছ কাটা হবে না। এভাবে প্রতি আর্বতে একইভাবে টাকা পাবে।

তিনি বলেন, এভাবে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বন উদ্ধার হবে। জীববৈচিত্র্যও রক্ষা পাবে। আগের প্রকল্পগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে বন বিভাগ এভাবেই কাজ করবে।


জনবল সরঞ্জাম সংকটে সেবা বঞ্চিত গাইবান্ধার মানুষ

আপডেটেড ১৩ জুলাই, ২০২৫ ২২:৩৪
মাসুম বিল্লাহ, গাইবান্ধা

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা যেন এখনো এক অসমাপ্ত স্বপ্ন। ৪১ বছর আগে যাত্রা শুরু করা এ হাসপাতালটি আজও পরিপূর্ণ রূপে দাঁড়াতে পারেনি। ২৫০ শয্যার মর্যাদা পেলেও হাসপাতালটি চলছে ১০০ শয্যার জনবল, যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামো নিয়ে। এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষ। এ জেলার ২৭ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সকলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।

জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে ৫০ শয্যা নিয়ে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের যাত্রা শুরু হলেও সময়ের প্রয়োজনে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয় একাধিকবার। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর ২৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। শয্যা উন্নীত হলেও হাসপাতালে কর্মরত জনবল, অবকাঠামো এবং যন্ত্রপাতি সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে ১০০ শয্যার কাঠামোতেই। জনবল সংকট এতটাই প্রকট যে, ১০০ শয্যার হিসেবেও যেখানে ৪৩ জন চিকিৎসকের প্রয়োজন, সেখানে আছেন মাত্র ১৮ জন।

সিনিয়র ও জুনিয়র কনসালটেন্ট মেডিসিন, চক্ষু, কার্ডিওলোজি, অ্যানেস্থেসিয়া, শিশু, চর্ম ও যৌন এছাড়া সিনিয়র কনসালটেন্ট ইএনটি, অর্থ সার্জারি ও জুনিয়র কনসালটেন্ট অর্থপেডিক্সসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসকদের পদগুলো দীর্ঘদিন শূন্য পড়ে আছে। নেই পর্যাপ্ত নার্স, ওয়ার্ডবয়, ল্যাব টেকনিশিয়ান বা পরিচ্ছন্নতাকর্মী। প্রশাসনিক ও সহকারী পদগুলোতেও শূন্যতা ৬৩টি।

সরেজমিন দেখা যায়, নারী-পুরুষ একাকার হয়ে টিকিট কাউন্টারের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে রোগী ও রোগীর স্বজনরা। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা শিশুসহ, নারী-পুরুষ গাদাগাদি করে নিচতলায় ও দ্বিতীয়তলায় চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। চিৎকার আর গুমট পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে সেখানে। চিকিৎসা নিতে এসে দীর্ঘসময় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থেকে চমর ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। পৃথক ফার্মেসি থাকলেও অব্যবস্থাপনার অভাবে নারী-পুরুষ একাকার হয়ে ওষুধও নিচ্ছেন একটি ফার্মেসি থেকেই।

এছাড়া আন্তবিভাগে শয্যা সংকটে নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার বারান্দার মেঝেতে শয্যা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালের ভেতরে, বাহিরে এমনকি ওর্য়াড গুলোর মেঝেতে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জানা। নিচতলা ও দোতলার শৌচাগারগুলো অপরিচ্ছন্ন। সেখানে দুর্গন্ধে নিশ্বাস নেওয়া দায়।

আরও জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মনোযোগের অভাব দীর্ঘদিনের। যদিও মাঝে মধ্যে পর্যবেক্ষণ টিম আসে, কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা কমিটি কার্যত নিষ্ক্রিয়।

সম্প্রতি প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫০ শয্যার নয়তলা হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করা হয় এবং তা ২০২২ সালের এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে গণপূর্ত বিভাগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেন। অথচ ভবন বুঝে পাওয়ার ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি। কারণ- প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল না থাকায় আধুনিক এই অবকাঠামো পড়ে আছে অলসভাবে।

আন্তঃবিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত গত ৬ মাসে গাইনি, শিশু, স্ক্যানু, মহিলা, পুরুষ ও ডাইরিয়া-এই ছয়টি বিভাগ থেকে রেফার্ড করা হয়েছে ১ হাজার ৫৬৮ জন ভর্তি রোগীকে।

আর জরুরি বিভাগ বলছে, জনবল সংকটের কারণে প্রায় প্রতিদিন গড়ে ৮-১০ জন রোগীকে রেফার করা হচ্ছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তবে, জরুরি বিভাগের তথ্য বিভ্রাটের চিত্র ভয়াবহ- কত রোগী রেফার্ড হচ্ছে, কোনো রোগে রেফার্ড হচ্ছে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট রেকর্ড নেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে।

জরুরি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স ইনচার্জ মোজাম্মেল হক সরকার বলেন, যেসব রোগীকে বাহিরে রেফার্ড করারা হয়। তাদের কোনো তথ্য সংরক্ষণ করা হয় না বা সুযোগ থাকে না।

এদিকে, রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালের আশপাশে গড়ে ওঠা অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে রোগীদের টেনে নিয়ে যাচ্ছে দালাল চক্র। সেবা না পেয়ে রোগীরা যখন দিশেহারা, তখনই দালালদের দৌরাত্ম্যে নিঃস্ব হচ্ছেন গরিব মানুষগুলো। মাঝে মধ্যে কিছু দালাল ধরা পড়লেও শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কারণে তারা আবার মুক্ত হয়ে ফিরে আসে আরও বেপরোয়া হয়ে।

হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজি ইনচার্জ ফজলুল বারী বলেন, চারটি এক্সরে মেশিনের মধ্যে এখন শুধু একটি এক্সরে মেশিন চালু আছে। আর বাকি তিনটি নষ্ট। এছাড়া আলট্রাস্নোগ্রামের চারটির মধ্যে চারটিই নষ্ট।

গাইবান্ধার সচেতন নারী সংগঠক নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পি বলেন, চিকিৎসাসেবাকে গাইবান্ধায় স্থায়ী করতে হবে। দালাল নির্মূল, নিয়মিত ডাক্তার নিয়োগ, পর্যাপ্ত নার্স ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ৩ বছর ধরে ভবন তৈরি হলেও চালু হয়নি। ডাক্তার নেই, নার্স নেই- এটা সরকারের চরম অবহেলা। আমরা চাই দ্রুত চালু করা হোক।

হাসপাতালের আরএমও আসিফ উর রহমান নানা সংকটের কথা উল্লেখ করে দৈনিক বাংলাকে বলেন, চিকিৎসক সরঞ্জাম যথেষ্ট ঘাটতি। তবুও আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।

আরও বলেন, বহুতল ভবনটি আমরা বুঝে নিলেও জনবল এবং সরঞ্জমাদির প্রয়োজনীয় কোনটিই এখনো দেওয়া হয়নি। আমরা নিয়মিত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখছি।


চাঁদাবাজি নয়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বেই সোহাগকে হত্যা করা হয়েছে

সহায়তা প্রদানকালে নূরুল ইসলাম মণি 
বরগুনার পাথরঘাটায় কাকচিড়া হাইস্কুল মাঠে রোববার এক পথসভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নূরুল ইসলাম মণি। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যাকাণ্ড চাঁদাবাজির কারণে নয় বরং ভাঙ্গারি দোকানের মালিকানা ও আয়-ব্যয় নিয়ে বিরোধের ফলাফল বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ নূরুল ইসলাম মণি। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক অংশীদার ও তার ভাড়াটে লোকজনই পৈশাচিকভাবে সোহাগকে হত্যা করেছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তেও এমন তথ্য উঠে এসেছে।

এই নৃংশস হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নূরুল ইসলাম মণি সরকারের কাছে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। রোববার বিকালে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়ায় নিহত সোহাগের পরিবারের খোঁজখবর নিতে এসে একথা বলেন তিনি।

এ সময়ে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নিহত সোহাগের স্ত্রীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এবং সোহাগের পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়া, এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে আইনি সহায়তাসহ সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

পরে স্থানীয় কাকচিড়া হাইস্কুল মাঠে এক পথসভায় নূরুল ইসলাম মণি বলেন, একটি মহল অত্যন্ত সুকৌশলে মিটফোর্ডের একটি ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বকে চাঁদাবাজি বলে প্রচার করার অপচেষ্টা করছে। মহলটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, অত্যন্ত সুচারুভাবে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের দায় বিএনপির ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে। যারা এটি করছে, তারা দেশে সময়মতো একটি নির্বাচন হোক তা চায় না। দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক তা চায় না।

তিনি বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি গোষ্ঠী আনুপাতিকহারে নির্বাচনের কথা বলছে। সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ আমেরিকা, ইংল্যান্ডসহ পৃথিবীর বহু উন্নত রাষ্ট্রে আনুপাতিকহারে নির্বাচন হয় না। এমনকি যারা তাদের মাথায় এই ভূত চাপিয়ে দিয়েছে সেই ভারতেও আনুপাতিক হারে নির্বাচন হয় না। এটি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের একটি অপচেষ্টা মাত্র।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল হচ্ছে বিএনপি। এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে বিএনপির রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এটা জেনেও আমার নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের এই অবস্থায় একটি জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে থাকা সবাইকে নিয়ে দেশ পরিচালনা করতে চান।

দেশবিরোধী সব চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে নূরুল ইসলাম মণি বলেন, তারেক রহমান সবার মেধাকে কাজে লাগিয়ে দরিদ্র এই দেশটাকে এগিয়ে নিতে চান। তিনি দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে বেকারত্বের হাত থেকে দেশকে বাঁচতে যে চান। অভাবি মানুষের অভাব মোচন করতে চান।

সভায় নিহত সোহাগের স্ত্রী লাকি আক্তার বক্তব্য রাখেন। তিনি তার স্বামীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তার স্বামীর মৃত্যু নিয়ে যারা নোংরা রাজনীতি করছেন তাদের তীব্র নিন্দা জানান।

মামলার বাদী নিহত সোহাগের বোন অভিযোগ করেন, মামলার এফআইআর-এ পুলিশ নাম পরিবর্তন করেছে। বেশ কয়েকজনের নাম বাদ দিয়ে নতুন লোকের নাম দেওয়া হয়েছে যাদের আমরা চিনি না, জানি না।

কাকচিড়া হাই স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বরগুনা বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুল হক মাস্টার, পিপি এডভোকেট নুরুল আমিন, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদ শফিকুজ্জামান মাহফুজ, হুমায়ুন হাসান শাহীন, পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির সভাপতি চৌধুরী মহম্মদ ফারুক, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, বামনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ রানা, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাবেদুল ইসলাম জুয়েল ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম নাভিল প্রমুখ।


রংপুরে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইফতেখারুল শুভ গ্রেফতার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যা চেষ্টা মামলায় রংপুর মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখারুল ইসলাম শুভকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (১৩ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আরপিএমপি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান।

এর আগে শনিবার (১২ জুলাই) রাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর সিও বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত ইফতেখারুল ইসলাম শুভ রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ ধুমখাটিয়া এলাকার আশরাফুল ইসলামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে গত বছরের জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।

আরপিএমপি কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে ছিলেন শুভ।

তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত শুভর বিরুদ্ধে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে আহত মামুনুর রশিদ মামুন, আহত জয়নাল আবেদীন বাপ্পী, আহত রমজান আলী ও আহত শহিদুল ইসলাম পৃথক চারটি মামলা করেছেন।

এসব মামলায় শুভকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।


ঘরে ঢুকে বৃদ্ধ ও নারীকে খুন: সড়ক অবরোধ করে ডুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আপডেটেড ১৩ জুলাই, ২০২৫ ১৪:৪৩
ইউএনবি

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) এমএসসি শিক্ষার্থী প্রকৌশলী শাহাব উদ্দিন শিহাবের বাবা ও ভাবীকে সন্ত্রাসী হামলায় হত্যার প্রতিবাদে গাজীপুরে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৩ জুলাই) সকালে ডুয়েট ক্যাম্পাস ও গেটে ঢাকা-শিমুলতলী সড়কে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

ডুয়েট ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে গিয়ে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে এ সময় তারা প্রায় ১৫ মিনিট ধরে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ করে তাদের দাবি সমূহ তুলে ধরেন।

কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ডুয়েট শিক্ষার্থী লিকুনুজ্জামান, রাশেদুল ইসলাম সিফাত, মো. শাহ আলমসহ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী।

বক্তারা বলেন, ‘গত ৮ জুলাই গভীর রাতে শিহাবের বগুড়ার গ্রামের বাড়িতে মুখোশধারী একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ সময় তারা ঘরে ঢুকে শিহাবের বাবা আফতাব উদ্দিন ও ভাবীকে রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘুমন্ত মানুষের ওপর এমন বর্বর হামলায় শিক্ষার্থী শিহাব ও তার পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দায়ীদের সঠিক শাস্তির দাবিসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।’


পাবনা-ঢাকা দ্রুত সরাসরি এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর দাবি পাবনাবাসীর 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাবনা প্রতিনিধি

পাবনা থেকে ঢাকায় সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালু, শহরে চার লেন সড়ক নির্মাণ, আরিচা-কাজিরহাট ফেরিঘাট খয়েরচরে স্থানান্তরের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের ব্যানারে পাবনাবাসী। যেকোন মূল্যে ট্রেন সার্ভিস চালু করতে হরে এই সরকারকে। এসব চারদফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে চরম মূল্য দিতে হবে সংশ্লিষ্টদের বলে হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়।

রোববার (১৩ জুলাই) সকাল ১১ টা থেকে ঘন্টাব্যাপী আব্দুল হামিদ সড়কের শহীদ চত্ত্বর থেকে পুরো শহরজুড়ে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পাবনার রাজনৈতিক সংগঠনের চরম ব্যর্থতায় আমরা ট্রেনের দাবিতে রাজপথে নেমে এসেছি। এটাতো রাজনৈতিক দলের কাজ। পাবনা থেকে মাঝ পাড়া পর্যন্ত অকার্যকর একটি রেল লাইন চালু করা হয়েছে। সেটি কার্যকর করে দ্রুত পাবনা-ঢাকা ট্রেন সার্ভিস চালু করে ঢাকায় যাতায়াত সহজীকরণ করতে হবে। কাজিরহাটের ফেরিঘাট খয়েরচরে স্থানান্তর করা হলে দু'ঘন্টার পথ ১৫ মিনিটে পারাপার হওয়া যাবে। ঈশ্বরদী ইপিজেড, রপপুর প্রকল্পের জন্য বিমানবন্দর চালু করা হোক। যানজট নিরসনে পাবনা শহরে চার লেন সড়ক নির্মাণ করতে হবে। পাবনা আটঘরিয়া হয়ে মাঝপাড়া দিয়ে ৩০ কিলোমিটার ঘুড়ে ট্রেন ঢাকায় যাওয়ার কথা শুনতেছি। এটা আমরা কোনভাবেই মেনে নেবোনা।

যেকোন মূল্যে পাবনা ঢাকা ট্রেন চালু করতেই হরে। তাছাড়া এটার জন্য সংশ্লিষ্টদের চরম মূল্য দিতে হবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের আন্দোলন শেষে সরকার পতনের আন্দোলনে পরিনত হয়েছিল। আমাদের এই দাবি যেন অন্য দাবিতে পরিনত না হয়। আমরা সবদিক থেকেই বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার।

বক্তারা আরও বলেন, পাবনাবাসীর প্রাণের দাবি ছিল নগরবাড়ি আরিচায় নতুন যমুনা সেতু নির্মাণ করা। দ্বিতীয় যমুনা সেতু এখান দিয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে। ইছামতী নদী উদ্ধারে অনেক জটিলতা ছিল। এখন নদী খনন হচ্ছে। যারা মামলা করেছেন দ্রুত মামলা তুলে নিয়ে নদী খননের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে সহযোগীতা করুন। এটা হলে পাবনাবাসীর জন্য স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। এছাড়াও পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আধুনিকায়ন করা, মানসিক হাসপাতাল সংস্কার করতে হবে। এটা জুলাইয়ের মাস। এই চত্বরেই দুজন শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছিল। এখনো ওসব খুনি গ্রেফতার হয়নি। দ্রুত গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।

শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের সভাপতি খান হাবিব মোস্তফার সভাপতিত্বে ও আতাইকুলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক রাজু ইসলাম ওলির সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা মো: ইকবাল হোসাইন, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, জামায়াতের পৌর আমীর আব্দুল লতিফ, দেশ বরেণ্য শিল্পী ওবায়দুল্লাহ তারেক, সাইদুল ইসলাম, কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহফুজুর রহমান, আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল আলিম, এডভোকেট রানা, রোটারিয়ান বিনয় জ্যোতি কুন্ডু, সমন্বয়ক শাওন হোসাইন, আইডিয়াল গ্রুপের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম সহ পাবনার সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও মানবন্ধনে পাবনা শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও নার্সিং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।


হাজতখানায় ডাকাত শাহীনের ‘ফোন’ ব্যবহার, ৫ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ত্রাস খ্যাত শাহীনুর রহমান ওরফে শাহীন ডাকাতকে কক্সবাজার আদালতের হাজতে মুঠোফোন সুবিধা দেয়ার ঘটনায় দুই টিএসআই সহ ৫ জনকে দায়িত্ব অবহেলার দায়ে পুলিশ লাইন্স এ সংযুক্ত করা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এছাড়া কোর্ট হাজতে আসামিদের সাথে সাক্ষাৎতের বিষয়ে আরও সর্তক হওয়ার কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

ক্লোজড হওয়াদের দুই টিএসআই, তিনজন কনস্টেবল। তারা হলেন টিএসআই সুরেন দত্ত, আবদুল ওয়াহেদ, কনস্টেবল নাজম হায়দার, গোলাম।মোস্তফা ও ইয়াছিন নূর।

এর আগে এই ঘটনা নিয়ে শুক্রবার কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যোর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গত বুধবার (৯ জুন) আদালতে হাজিরা দিতে কোর্ট পুলিশের হেফাজতে হাজতখানা থেকে বের করে আনা হয় শাহীনকে। ঠিক তখনই তার পকেটে থাকা মোবাইল ফোন নজরে আসে কক্সবাজারের গণমাধ্যমকর্মী দের চোখে। এনিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে গঠিত হয় তদন্ত কমিুট।

জানা গেছে, গত ৫ জুন সকালে কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য শাকের আহমদের বাড়ি থেকে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় শাহীন ডাকাতকে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র, মাদকসহ অন্তত ২০টি মামলা রয়েছে।

কক্সবাজার আদালতের কোর্ট পরিদর্শক মো. গোলাম জিলানী ক্লোজড'র বিষয়টি স্বীকার করেন।


নওগাঁয় বর্ষা উৎসব উদযাপন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

‘মন মোর মেঘেরও সঙ্গী’ এই স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে নওগাঁয় উদযাপিত হলো বর্ষা উৎসব-১৪৩২।

শনবিার (১২ জুলাই) রাত ৮টায় শহরের প্যারিমোহন লাইব্রেরী গ্রন্থাগারে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই বর্ষা উৎসব। শুরুতে দলীয় গান পরিবেশনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় উৎসব। পরে একে একে গান, নাচ, আবৃত্তি পরিবেশন করেন শিল্পীরা।

এছাড়াও বর্ষাকথনসহ অন্যান্য আয়োজনের মাধমে রাত ১০টায় শেষ হয় এই বর্ষা বরণ উৎসবটি। বর্ষা বরণ উৎসবের আয়োজন করেন ‘নওগাঁ সাংস্কৃতিক ঐক্য’ নামে একটি সংগঠন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন সংগঠনটির সভাপতি মনোয়ার লিটন ও সাধারন সম্পাদক মাগফুরুল হাসান বিদ্যুৎ।

অনুষ্ঠানে নাচ, গান আর কবিতা আবৃত্তি ও বর্ষাকথনে ক্ষণে ক্ষণে ভেসে আসে গ্রাম বাংলার প্রকৃতিতে বর্ষার আবেদনের কথা। শিল্পীদের এমন পরিবেশনায় বর্ষা বন্দনায় মেতে ওঠে স্থানীয় শিল্পী এবং সংস্কৃতি কর্মীরা।

আয়োজকরা জানান, বর্ষা উৎসব উদযাপন করার মাধ্যমে প্রকৃতির প্রতি মানুষের ভালবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ প্রকাশ পায়। এছাড়াও প্রজন্মের সাথে প্রজন্মের মিল বন্ধন, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও শহরের যান্ত্রিক জীবনে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যর ধারনা দিতে এমন উৎসবের আয়োজন।

নওগাঁ সাংস্কৃতিক ঐক্য সংগঠনটির সভাপতি মনোয়ার লিটন বলেন, বর্ষা আবহমান বাংলার শিল্প, সাহিত্য সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। বর্ষার সাথে বাংলার মানুষের সম্পর্ক বহু প্রাচীন। বর্ষায় প্রকৃতির রূপ-বৈচিত্র্যে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। প্রচন্ড খরতাপের পর বর্ষা এলে প্রাণ ফিরে পায় প্রকৃতি। সাহিত্যের পরতে পরতে বর্ষা যেমন উদ্ভাসিত তেমই যাপিত জীবনেও বর্ষা এনে দেয় নিজেকে খুজে পাওয়ার মূহুর্ত। গ্রীষ্মের ধূলোমলিনতা ধুয়ে প্রকৃতি সবুজের সমারোহে সাজে। জীর্ণতা ধুয়ে মুছে, নব-যৌবন আর শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিক এবারের বর্ষা এমনি প্রত্যাশার কথা বলেন তিনি।


বর্ষায় রূপগঞ্জের হাটে বাজারে দেশি মাছ

স্বাদ বেশি দামও বেশি
আপডেটেড ১৩ জুলাই, ২০২৫ ১১:৩৭
নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ

গোলাকান্দাইলের হাটে এসেছেন শামীম মিয়া। তিনি বলেন, সারা বছর চাষের মাছ খেতে আর ভাল লাগে না। বর্ষাকালে আশেপাশের এলাকা থেকে প্রচুর দেশি মাছ রূপগঞ্জের হাট বাজারে পাওয়া যায়, তা কিনতেই হাটে আসা। আবুল হোসেন নামে আরেকজন বলেন, নতুন পানির টাটকা মাছ খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে দাম একটু বেশি। এখন বর্ষাকাল। নতুন পানি এসেছে নদী-নালা, খাল-বিল, খেত, হাওর-বাঁওড়ে। মুক্ত জলাশয়ে এখন পাওয়া যাচ্ছে দারকিনা, পুঁটি, মলা, ঢেলা, চেলা, চান্দা, খলসে, গজার, বোয়াল, চিতল, বাগাড়, আইড়সহ নানা প্রজাতির মাছ। গ্রামগঞ্জ হয়ে এসব মাছ যাচ্ছে রাজধানীসহ বড় বড় শহরে।
কায়েতপাড়া বাজারে শনিবার দেখা যায়, নীলাস্বরের দোকানে পুঁটি, বোয়াল, ট্যাংরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। পুঁটিগুলো টাটকা, আকারে বেশ বড়। তিনি প্রতি কেজি পুঁটি এক হাজার টাকা দর হাঁকাচ্ছিলেন। তাঁর দোকান থেকে আধা কেজি পুঁটি দর-কষাকষি করে ৪০০ টাকায় কেনেন ব্যবসায়ী আলো মিয়া। ৬০০ টাকায় আধা কেজি ট্যাংরা, ১ হাজার টাকায় এক কেজি ওজনের একটি বোয়াল কেনেন তিনি।
বর্ষার এই মৌসুমে দেশি মাছের প্রতি মানুষের আগ্রহও বেশি। গাউছিয়ার তাতবাজার এলকার কাঁচাবাজার থেকে বড় আকারে এক কেজি বেলে মাছ ১ হাজার ৩০০ টাকায় কেনেন বেসরকারি চাকরিজীবী মিঠু। এ ছাড়া এক হাজার টাকা কেজির চিংড়ি মাছ এবং ২ হাজার ৩০০ টাকা দরের ইলিশও কিনেছেন তিনি। মিঠু বলেন, দেশি মাছের দাম অনেক বেশি। বাসার লোকজন বাইল্যা মাছ খেতে চাচ্ছিল, দাম বেশি সত্ত্বেও এক কেজি কিনলেন।
বাজারে নানা প্রজাতির ছোট মাছের পাশাপাশি বড় মাছও লক্ষণীয়। ভুলতা বাজারের বাচ্চু মিয়ার দোকানে অনেক মাছের মধ্যে একটি রুই মাছ পাওয়া গেল ১২ কেজি ওজনের। প্রতি কেজি ১ হাজার ৬০০ টাকা হিসেবে এই মাছটি ১৯ হাজার ২০০ টাকা হাঁকাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর দোকানে চার কেজি ওজনের চিতলও ছিল। প্রতি কেজি এক হাজার টাকা করে চার হাজার টাকা দাম চান একটি চিতল মাছের। তাঁর কাছে ছয় কেজি ওজনের আইড় মাছও দেখা গেল। বাচ্চু মিয়া বলেন, নদীর মাছ এগুলো। সব সময় এমন মাছ পাওয়া যায় না। তাই দাম বেশি।
তাঁর পাশেই মাছ নিয়ে বসে ছিলেন মতিন। সাত কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছের দাম চাইছিলেন তিনি সাত হাজার টাকা। মতিনের মতে, যাদের বড় পরিবার তারা বড় আকারের মাছ কেনে। নদ-নদীর এসব বড় মাছ খুব সুস্বাদু।
মুক্ত জলাশয়ের মাছের দাম বেশ চড়া। বাজারভেদে ও আকারভেদে দেশীয় এসব দামের পার্থক্য হয়ে থাকে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পুঁটি ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, প্রতি কেজি ট্যাংরা ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, বেলে ৫০০ থেকে ১ হাজার ৩০০, বাইন ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০, চিংড়ি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৪০০, মলা ৬০০ টাকা, পিয়ালি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, গুলশা ৭০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, বাতাসি ১ হাজার ২০০, কাচকি ৮০০, শোল ১ হাজার টাকা, মাগুর ৫০০ থেকে ৬০০, শিং ৪০০ থেকে ৫০০, পাবদা ৪০০, বাগাড় ১ হাজার টাকা, আইড় ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০, বোয়াল ৭০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, চিতল ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বড় রুই ১ হাজার ৬০০ টাকা প্রতি কেজি।
মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে উৎপাদিত মোট মাছের ৫৯ শতাংশ চাষের। নদী, খাল, বিল, হাওরের মতো মুক্ত জলাশয়ের মাছ মোট উৎপাদনের মাত্র ১৫-১৭ শতাংশের মতো। অর্থাৎ মুক্ত জলাশয়ের মাছের উৎপাদন কম। তা ছাড়া মুক্ত জলাশয়ের মাছের স্বাদ বেশি। সরবরাহ কম এবং চাহিদা বেশি থাকায় মুক্ত জলাশয়ের মাছের দাম বেশি।
বর্ষার নতুন পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে খেতে, বিলে, হাওরে, নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের দেখা মেলে। মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, মিঠাপানির মাছ প্রায় ২৬১ প্রজাতির। এর মধ্যে বর্ষায় ৩০-৩৫ প্রজাতির ছোট মাছ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে দেখা যায়।
মুড়াপাড়া কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক খোরশেদ আলম বলেন, বর্ষা শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দারকিনা, পুঁটি, মলা, ঢেলা, চেলা, টাকি, শোল, গজার, শিং, মাগুরহ অসংখ্য ছোট প্রজাতির মাছ দেখা যায়। শুষ্ক মৌসুমে অল্প পানিতে কিছু মাছ থাকে। অনেক মাছ বৃষ্টি আসার সঙ্গে সঙ্গে ডিম ছাড়ে। ডিম থেকে পোনা খুব দ্রুত বড় হয়। বৃষ্টির কারণে বিল, খাল ও নদীর সংযোগ হওয়ায় মাছ ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পায়। মাছের প্রাচুর্য বাড়ে।
মৎস্য অফিসার আলমগীর হোসেন বলেন, মুক্ত জলাশয়ের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে অধিদপ্তর কাজ করছে। রূপগঞ্জে মাছের অভয়াশ্রম নেই বললেই চলে। এর আওতায় নদী বা খাল-বিলের গভীর অংশে মাছ ধরা নিষেধ থাকে সারা বছর। সেখানে মাছ তৈরি হবে এবং বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে যায়। প্রকল্প নিয়ে এ ধরনের অভয়াশ্রমের সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তা করা হচ্ছে।


চাঁদপুরে খতিবকে হত্যাচেষ্টায় অভিযুক্ত আসামি জেলহাজতে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

চাঁদপুরে ‘রাসূল (সা.) বার্তা বাহক’ এমন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মসজিদের ভেতরে খতিবের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি বিল্লাল হোসেনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

শনিবার (১২ জুলাই) তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন চাঁদপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাতুল হাসান আল মুরাদ।

আদালত সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে তাকে আদালতে হাজির করে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি। এরপর আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে, শুক্রবার (১১ জুলাই) এই ঘটনায় আহত খতিব মাওলানা আ ন ম নুরুর রহমান মাদানীর ছেলে আফনান তাকি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

এসব তথ্য ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এপিপি আব্দুল কাদের খান ও জেলা জজ আদালতের এপিপি ইয়াসিন আরাফাত ইকরাম।

চাঁদপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক শহীদুল্লাহ ইউএনবিকে জানান, শনিবার বিকাল ৩টার দিকে আসামিকে আদালতে আনা হয়। এরপর আসামি বিচারকের কাছে জবানবন্দী দেন। জবানবন্দী শেষে বিকালে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন— চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন।

এদিকে, শনিবার দুপুর থেকে একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ায়, খতিব নুরুর রহমান মাদানী মারা গেছেন।

তবে মামলার বাদী আহত খাতিবের ছেলে আফনান তাকী জানান, তারা বাবা প্রথমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর ঢাকা হলি কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং শঙ্কামুক্ত আছেন।

গুরুতর আহত খতিব মাওলানা নূরুর রহমান মাদানী শহরের গুনরাজদী এলাকার বাসিন্দা। তিনি মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে প্রায় শুক্রবার খুতবা দেন।

অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেন সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মনোহর খাদি গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। শহরের বকুলতলায় বসবাস করেন তিনি।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বাদ জুমা মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদে হামলার শিকার হন মাওলানা নূরুর রহমান মাদানী। আগেই জুম্মার নামাজে আলোচনা ও খুতবা নিয়ে ক্ষিপ্ত ছিলেন ওই এলাকার ভ্রাম্যমাণ সবজি ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন। ঘটনার দিন নামাজ শেষে তিনি মসজিদের ভেতরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র (চাপাতি) দিয়ে খতিবের ওপর হামলা চালান। এতে খতিবের কানে ও মাথায় মারাত্মক জখম হয়। পরবর্তীতে মুসল্লিরা তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

এ সময় হামলাকারী বিল্লাল হোসেনকে আটক করে পুলিশ সোপর্দ করেন মুসল্লিরা।

এদিকে, এই ঘটনায় শহরে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিকাল ৩টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব।

এ ছাড়া, বিকাল ৫টায় শহরের রেলওয়ে বায়তুল আমিন জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর শহর শাখা।


বন্যায় বারবার ভেসে যায় স্বপ্ন, টেকসই বাঁধ চায় ফেনীবাসী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বর্ষা শুরু হতে না হতেই বন্যার আশঙ্কা উদয় হয় ফেনীবাসীর মনে। বন্যার ধ্বংসযজ্ঞ এই জেলায় যেন এক পরিচিত পুনরাবৃত্তি, বছর বছর ফিরে আসে একই দুর্যোগ, আর থেকে যায় দগদগে ক্ষত। প্রশ্ন ওঠে, টেকসই বাঁধ নির্মাণ কি হবে না? ফেনীবাসী কি রক্ষা পাবে না বন্যার ভয়াবহ থাবা থেকে?

শনিবার (১২ জুলাই) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম ফেনীর বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান। সে সময় স্থানীয়রা টেকসই বাঁধ নির্মাণের জন্য তার কাছে দাবি জানান। জবাবে ফেনীতে বাঁধ নির্মাণের জন্য ৭ হাজার ৩৪০ কোটির প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

সম্প্রতি ভারতের উজান থেকে নেমে আসা বাঁধভাঙা পানি পরশুরাম ও ফুলগাজী থেকে গড়িয়ে ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে পড়ে। শুক্রবার পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২৩টি স্থানে ভেঙে ১১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যাকবলিত গ্রামগুলোর অন্তত ৩৪ হাজার ৬০০ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ফলে সীমান্তবর্তী ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদরের আংশিক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়ে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। বন্যার্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ও নেটওয়ার্ক না থাকায় মানুষের বিপদ আরও বেড়েছে।

এখন ধীরে ধীরে বন্যার পানি নেমে যাচ্ছে, আর ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। পরশুরামে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি পানিতে ধসে পড়েছে। ফুলগাজীতে পানিতে ডুবে পচে গেছে রোপা আমন ধান। আবার কারো ধান বালুর স্তুপে ঢেকে গেছে। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হাজারো কৃষক।

আক্ষেপ করে ফুলগাজীর উত্তর শ্রীপুর এলাকার বৃদ্ধা রেজিয়া বেগম জানান, বছর না ঘুরতেই আবারও পানিতে ডুবতে হয়েছে। সব জিনিসপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। এ অঞ্চলে জুলাই-আগস্ট মাসে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। সবমিলিয়ে মাঝেমধ্যে মনে হয়, এখানে জন্মগ্রহণ করে ভুল করেছি।

শুধু রেজিয়াই নন, বারবার একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে এমন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে জেলার উত্তরের ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলার লাখো মানুষকে। এবারও তিন দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২৩টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

ফুলগাজীর উত্তর শ্রীপুর এলাকার বাসিন্দা আলী আজ্জম বলেন, বাঁধের ভাঙন স্থানে তীব্র স্রোতে পানি ঢুকছে। সময়ের সঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গত বছরের বন্যার মতো এবারও বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যা নিয়ে ভুগতে হচ্ছে। রাজনৈতিক দল বা ক্ষমতা পরিবর্তন হলেও আমাদের ভাগ্য কখনো পরিবর্তন হয় না।

গাইনবাড়ি এলাকার বাসিন্দা পুষ্পিতা রাণী বলেন, ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। পরিবারের শিশু ও বয়স্কদের নিয়ে অবর্ণনীয় কষ্ট করতে হচ্ছে। শুকনো খাবার ও নিরাপদ পানির সংকটে আরও বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু কর্মকর্তার দায়সারা কাজের জন্য প্রতি বছর এ জনপদে ভাঙন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এখন টেকসই বাঁধই আমাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য একমাত্র সমাধান।

বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পরশুরাম, ফুলগাজী উপজেলা। দুই উপজেলার ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৫০ শতাংশ বাড়িঘর। এ ছাড়া দুই উপজেলার পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা ও সুপেয় পানির সুবিধা একেবারে অচল হয়ে গেছে বলা চলে।

এখন পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করলেও দুর্গতদের মধ্যে জীবিকা হারানো ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দুই উপজেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতিদিন দুই বেলার বেশি খেতে পারছে না। পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় খোলা জায়গায় মলমুত্র ত্যাগ বাড়ছে, যা ডায়রিয়া ও কলেরার মতো পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। অনেকেই এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার বন্যাদুর্গত হোসনে আরা (৪০) নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘বন্যার সময় পরিবার নিয়ে আমরা বাড়ির ছাদে ছিলাম। আমাদের কাছে বিশুদ্ধ খাবার পানি বা খাবার কিছুই ছিল না। টয়লেটও ডুবে গিয়েছিল, এ ক্ষেত্রে মেয়েদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিশ্চিত সম্ভব হতো না। আমরা কেবল রাতের বেলা শাড়ি দিয়ে ঘিরে টয়লেটের কাজ সারতাম। এ ছাড়া কিছু করার ছিল না। এই বন্যা আমাদের সবকিছু শেষ করে দিয়েছে।’

ভয়াবহ বন্যায় ফেনীর পরশুরামের আবদুল আলি (৫২) ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন বর্ষা এলেই ভয় লাগে, সামান্য বৃষ্টিতেই বাঁধ ভেঙে পানি এলাকায় চলে আসে। ভেবেছিলাম, গত বছরের থেকে কিছুটা উন্নতি হবে, কিন্তু তা হয়নি। এমন ভয়াবহ বন্যার পানি আগে দেখিনি।

গত ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই বন্যায় ফেনীর ৪টি উপজেলার বিশাল অংশ পানির নিচে তলিয়ে যায়। এই বন্যায় প্রায় লাখো মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অবকাঠামো, বাড়িঘর, কৃষি ও মৎস্য খাত। এসব ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে দুর্গত জনগোষ্ঠীর জরুরি ও ধারাবাহিক মানবিক সহায়তা প্রয়োাজন।

বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য জরুরিভাবে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি, নগদ অর্থসহায়তা, খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী প্রয়োজন। মধ্য মেয়াদে ঘরবাড়ি মেরামত, পানি ও পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার এবং খাদ্য উৎপাদনে কৃষি উপকরণ সরবরাহ এবং দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করা ও আয়মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা জরুরি।

বন্যার শুরু থেকেই অবশ্য বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি, শুকনো খাবার, ওরস্যালাইন ও পানি দেওয়া হয়েছে। তবে এখন তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ভেঙে পড়া ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ, নিরাপদ পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী প্রদান ও খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। তাছাড়া বন্যার ক্ষয়ক্ষতির অবস্থার তুলনায় তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি প্রয়োজন মেটাতে আরও বেশি সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে।

প্রতিবারই বন্যা আসে, ত্রাণ যায়, মানুষ কিছুদিনের জন্য টিকে থাকে। কিন্তু অনেকেই স্বপ্ন আর স্থায়ী জীবিকা হারায় চিরতরে।


banner close