বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
১ শ্রাবণ ১৪৩২

ফেনীতে পুলিশ পিটিয়ে হাতকড়াসহ পালাল আসামি

পালিয়ে যাওয়া কবির আহম্মদ চৌধুরী প্রকাশ। ছবি: সংগৃহীত
ইউএনবি
প্রকাশিত
ইউএনবি
প্রকাশিত : ১৬ জুলাই, ২০২৫ ১১:৪৫

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ এক আসামি পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পলাতক আসামি কবির আহম্মদ চৌধুরী প্রকাশ একটি নারী নির্যাতন মামলার আসামি। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফুলগাজীর আমজাদহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত পুলিশ সদস্যরা ছাগলনাইয়া থানায় কর্মরত। এ ঘটনায় হামলাকারী ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন— ফুলগাজী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাফিদ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দিদার ও কনস্টেবল সুমন।

পুলিশ জানায়, পলাতক আসামি কবির আমজাদহাট ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ছাগলনাইয়া থানায় করা একটি নারী নির্যাতন মামলার আসামি।

মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশের একটি দল। এ সময় তারা কবিরকে গ্রেপ্তার করলেও তিনি পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে তার সহযোগী ও স্বজনদের হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।

ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আসামির স্বজনদের হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে, ফুলগাজী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফখরুল আলম জানান, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে গত বছরের ৬ অক্টোবর কবিরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছিল। তার জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তখন তার সাংগঠনিক পদ স্থগিত করা হয়।


বিএমইউ’তে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ফটো এক্সিবিশন ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে বিএমইউ’র শহীদ ডা. মিলন হলের সম্মুখ করিডোরে ফটো এক্সিবিশন উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম।

এ এক্সিবিশনে ১৬ই জুলাই শহীদ আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড ও ৫ আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার বিজয়সহ জুলাই বিপ্লবের নানা ঐতিহাসিক ঘটনাসমূহ স্থিরচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।

একই সাথে শহীদ ডা. মিলন হলে ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ও ফ্রি স্ক্রিনিং এবং রক্তদাতা নিবন্ধীকরণ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এছাড়া এদিন জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালনের অংশ হিসেবে সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ করা হয় এবং বাদ যোহর জুলাই শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিএমইউ’র কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এ সকল কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীবৃন্দ অংশ নেন।

গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ স্মরণে ফটো এক্সিবিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, জুলাই বিপ্লব বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক একটি অধিকারপূর্ণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় চিরকাল অনুপ্রেরণা যোগাবে। জুলাই বিপ্লবের প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিসহ সব দিক দিয়ে দেশকে সামনে দিকে এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে।

বিএমইউ’র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আগে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন দেশে পরাধীন ছিল। ক্ষমতার জন্য নিজ দেশের নিজ সন্তানকে হত্যা করা যায়, এটা ভাবা যায় না। ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’- এ কথা স্মরণে রেখে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে। তা না হলে ফ্যাসিবাদরা পুনরায় সুযোগ নিবে।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে আয়োজিত এই প্রদর্শনীকে মনের চোখ দিয়ে দেখতে হবে। চিন্তা-চেতনায় জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করতে হবে। প্রাত্যহিক কর্মে এর প্রতিফলন থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে দেশ ও জাতি পুনর্গঠনে কাজ করতে হবে।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার বলেন, আবু সাঈদ, ওয়াসিম ও মুগ্ধসহ আমরা যেন জুলাই শহীদের ভুলে না যাই। তাদের স্মৃতিকে সংরক্ষণ করতে হবে। জুলাই চেতনাকে অন্তরে ধারণ করতে হবে এবং জুলাই বিপ্লবের চেতনা ও আদর্শে বাংলাদেশকে গঠন করতে হবে।

বিএমইউ’র রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন, ডেন্টাল অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্ত ও ডা. এমদাদুল হক ইকবাল। এ সময় বিএমইউ’র সম্মানিত পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার শফিকুল হাসান রতন, সহকারী প্রক্টর ডা. রিফাত রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) নাছির উদ্দিন ভূঞাঁ, অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মোহাম্মদ বদরুল হুদা, মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের একান্ত সচিব ডা. মো. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. লুৎফর রহমান, উপ-রেজিস্ট্রার সাবিনা ইয়াসমিন, উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, উপ-রেজিস্ট্রার ইয়াহিয়া ও সেকশন অফিসার (জনসংযোগ, অতিরিক্ত দায়িত্ব) শামীম আহম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


গোপালগঞ্জের সহিংসতা ‘অমার্জনীয়’, দায়ীদের বিচারে আনা হবে: অন্তর্বর্তী সরকার

আপডেটেড ১৬ জুলাই, ২০২৫ ২১:০৮
ইউএনবি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার ঘটনাকে ‘সম্পূর্ণরূপে অমার্জনীয়’ উল্লেখ করে ওই হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বুধবার (১৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানায়।

বিবৃতিতে সরকার বলেছে, ‘এটা সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট করে বলা দরকার যে, আমাদের দেশে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত করা হবে।’

সরকার বলেছে, তরুণ নাগরিকরা তাদের বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উদযাপনের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চেয়েছিল। এই সমাবেশে বাধা দেওয়া তাদের মৌলিক অধিকারের ‘লজ্জাজনক লঙ্ঘন’।

প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), পুলিশ এবং গণমাধ্যমের সদস্যদের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং ব্যক্তিদের ওপর সহিংস আক্রমণ করা হয়েছে।

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের কর্মীদের—যারা এই জঘন্য হামলা চালিয়েছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানানো হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, ‘অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করে সম্পূর্ণ বিচারের আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’

সরকার সেনাবাহিনী ও পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের প্রশংসা করেছে। একইসঙ্গে, এই আক্রমণের মুখেও যারা সাহসিকতার সঙ্গে সমাবেশ চালিয়ে গেছেন—সেই ছাত্র ও জনগণের দৃঢ়তা ও সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।


এনসিপির সমাবেশে হামলা: ব্লকেডের বদলে রাস্তায় নামতে আহ্বান বৈষম্যবিরোধীদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের হামলার প্রতিবাদে সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ব্লকেড কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বরং সবাইকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

এ সময়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে সংগঠনটি এমন তথ্য জানিয়েছে।

এতে তারা বলেছে, ‘আপনারা ব্লকেড উইথড্র করে নিন। রাস্তার পাশে অবস্থান কর্মসূচি জারি রাখুন। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত প্রস্তুত থাকুন, সংঘবদ্ধ থাকুন। বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক আসছে।’

এরআগে গোপালগঞ্জে জুলাইয়ের নেতাদেরকে হামলার প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ব্লকেড কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এনসিপির এই পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে মঙ্গলবার থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ নিয়ে সামাজিকমাধ্যমেও ব্যাপক প্রচার চালানো হয়েছে। বুধবার সকালে এনসিপি নেতারা গাড়িবহর নিয়ে শহরে ঢোকার আগেই পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে ইউএনওর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।

এসবের মধ্যে বেলা দেড়টার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করে এসে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে নেতারা পুলিশি নিরাপত্তায় টেকেহাট হয়ে মাদারীপুর যাওয়ার পথে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে শহরের লঞ্চ ঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে ফের হামলা হয়।

এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষে গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ পরিস্থিতিতে জেলা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।


সেনাবাহিনীর সহায়তায় গোপালগঞ্জ ছাড়লেন নাহিদ-সারজিসরা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সেনাবাহিনীর সহায়তায় গোপলগঞ্জ ছেড়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা। আজ বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৫টা পর তারা গোপালগঞ্জ ছেড়ে বের হয়ে যান।

এ তথ্য নিশ্চিত করে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহিন জানিয়েছেন, কড়া পাহারায় তাদের নিয়ে ১৫ থেকে ১৬টি গাড়ির বহর গোপালগঞ্জ ছাড়ে।

এই বহরে এনসিপি নেতাদের মধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ শীর্ষ নেতারা রয়েছেন।

বুধবার দুপুর ১টা ৩৫ মনিটের দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এনসিপির সমাবেশের মঞ্চে হামলা চালায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ। সমাবেশের মঞ্চে থাকা সাউন্ডবক্স, মাইক, চেয়ার ভাঙচুরসহ উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। হামলা-ভাঙচুরের মধ্যেই সমাবেশমঞ্চে উপস্থিত হন এনিসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

দুপুর ২টার আগেই দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে ওঠেন। ২টা থেকে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। সেখানে প্রথমে মাইক হাতে কথা বলেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এরপর মাইক হাতে নিয়ে টানা স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থল মুখর করে রাখেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তার স্লোগানে সভামঞ্চসহ পুরো সমাবেশস্থল যেন নতুন করে প্রাণ পায়। এসময় সভামঞ্চে উপস্থিত থাকা এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, সারোয়ার তুষারসহ সবাই হাসনাতের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

এর কিছুক্ষণ পর নাহিদ ইসলাম বক্তব্য দিয়ে সভা শেষ করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে সমাবেশস্থল ত্যাগের ঘোষণা দেন সারজিস আলম।

গোপালগঞ্জ সভা শেষে ফেরার পথেও এনসিপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা এ হামলা চালায়। এতে গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গুলি চালায়। এসময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।


গোপালগঞ্জে এনসিপির গাড়িবহরে হামলা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় সড়ক অবরোধ করে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

আজ বুধবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে জেলা শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ বাধা দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলমান রয়েছে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়তে দেখা গেছে। এ সময় নেতাকর্মীদের গাড়িবহর লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে এনসিপি নেতাদের নিয়ে পিছু হটতে দেখা গেছে।

১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পদযাত্রা করছে দলটি। গতকাল মঙ্গলবার দলের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এই কর্মসূচিকে ‘১৬ জুলাই : মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ নাম দেওয়া হয়।

এই কর্মসূচি ঘিরে গোপালগঞ্জ সদরে আজ সকালে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। হামলা করা হয়েছে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িতেও।

সকালে সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির মো. সাজেদুর রহমান।

তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে পদযাত্রা ও পথসভার কথা ছিল। সেখানে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা আসবেন বলে জানা গেছে। তাদের এ পদযাত্রা বানচালের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালের সমর্থকেরা সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে জানা যায়। তারা পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে।


কুষ্টিয়া সীমান্তে পৃথক অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও শর্টগানসহ আটক ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত এলাকায় পৃথক দুটি অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ দুইজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি শর্টগান, একটি ম্যাগাজিন এবং তিন রাউন্ড গুলি।

বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজিবি জানায়, মঙ্গলবার দিবাগতরাত আনুমানিক ২টা ৫০ মিনিটে দৌলতপুর উপজেলার ঠোটারপাড়া বিওপির আওতাধীন পাকুড়িয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে প্রথম অভিযান চালানো হয়। এসময় মৃত রহমত সর্দারের ছেলে মঞ্জিল সর্দার (৪৩) কে আটক করা হয়। তার বাড়ির উঠানে গোয়ালঘরে তল্লাশি চালিয়ে একটি শর্টগান ও একটি গুলি উদ্ধার করা হয়।

পরে মঞ্জিল সর্দারের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দ্বিতীয় দফা অভিযান চালানো হয় জয়পুর বিওপির আওতাধীন এলাকায়। অভিযানে মঞ্জিলের ভাতিজা শফিকুল সর্দারের ছেলে টুটুল সর্দার (২৫)-এর বাড়ি তল্লাশি করে একটি চালের ড্রামের ভেতর থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে মঞ্জিল সর্দার স্বীকার করেন, দুই দিন আগে তারা ভারতীয় সীমান্ত এলাকার এক ব্যক্তির কাছ থেকে এসব অস্ত্র সংগ্রহ করেছেন। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলির আনুমানিক বাজারমূল্য এক লাখ ১৬ হাজার ৬০০ টাকা।

এ বিষয়ে ৪৭ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং তাদের দৌলতপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া সীমান্তে অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান রোধে গোয়েন্দা নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।


কক্সবাজারে সাগরে গোসলে নেমে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

আপডেটেড ১৬ জুলাই, ২০২৫ ১৪:৪৬
প্রতিনিধি, কক্সবাজার

কক্সবাজারে সাগরে গোসলে নেমে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার সকাল ১১ টার দিকে সৈকতের কবিতা চত্ত্বর পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটেছে।

মৃত্যু হওয়া রাইয়ান নূর আবু সামি (১৪) কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইসমাইলের ছেলে। সে কক্সবাজার বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।

মৃতের বাবা মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, সকালে বাসায় কাউকে না জানিয়ে প্রতিবেশী বন্ধুদের সাথে সমুদ্র সৈকতে ফুটবল খেলতে যায়। খেলার এক পর্যায়ে তারা সৈকতে কবিতা চত্ত্বর পয়েন্ট সাগরে গোসলে নামে। এতে স্রোতের টানে ৩ জন ভেসে যেতে থাকে। এসময় সেখানে থাকা অন্য বন্ধুরা এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, “ পরে তাদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন। “

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক ( এডিআইজি ) আপেল মাহমুদ জানান, খবরটি তিনি শুনেছেন। কক্সবাজার সৈকতে ফুটবল খেলা নিষেধ থাকলে অনেকে তা অমান্য করে খেলাধুলা করছেন। এতে সৈকতের নজরদারি কম থাকা পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটেছে।

স্কুলছাত্রের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।


যশোরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু ২২ জুলাই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
যশোর প্রতিনিধি

জেলা প্রশাসন ও যশোর মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে আগামী ২২ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন হতে যাচ্ছে।

এদিন সকাল ১১ টায় র‌্যালি ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর স্থানীয় পর্যায়ে সফল মৎস্য চাষি/ উদ্যোক্তাদের পদক প্রদান ও পৌর পার্কের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে। সপ্তাহব্যাপী নানা আয়োজনে মধ্য দিয়ে আগামী ২৮ জুলাই এই মৎস্য সপ্তাহ শেষ হবে।
মঙ্গলবার যশোর কালেক্টরেট সভা কক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপত্বি করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক ও পৌর প্রশাসক রফিকুল আলম, সভাটি পরিচালনা করেন জেলা মৎস্য অফিসার সরকার মো:রফিকুল আলম। সভায় উপস্থিত ছিলেন সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কুমার ঘোষ। এ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, জেলা সমবায় কর্মকর্তা, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার প্রতিনিধি, জেলা সির্ভিল সার্জনের প্রতিনিধি, জেলা আনসার ভিডিভির প্রতিনিধি, আরআরএফ এনজিও প্রতিনিধি, জাগরনি চক্র প্রতিনিধি, হেচারী মালিক সমিতির সভাপতি প্রমুখ। এসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।


গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে হামলা

আপডেটেড ১৬ জুলাই, ২০২৫ ১৩:০৪
ইউএনবি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার উলপুর-দুর্গাপুর সড়কের খাটিয়াগড় চরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘এনসিপির মাসজুড়ে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ (বুধবার) গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে পদযাত্রায় কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনের কথা রয়েছে। তাদের পদযাত্রা বানচাল করতে সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, সদর উপজেলার গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (আইসি) আহমেদ বিশ্বাস, কনস্টেবল কাওছার ও মিনহাজ। তাদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, আমরা এখন পর্যন্ত জানি না। এতে পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়েছেন এবং একটি গাড়ি পুড়ে গেছে। আহত তিন পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে এনসিপি। এর মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পদযাত্রা করবে দলটি।

মিজানুর রহমান জানান, আজ গোপালগঞ্জ শহরে এনসিপির পথসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। উলপুর-দুর্গাপুর সড়ক দিয়ে তাদের গাড়িবহর যাওয়ার কথা ছিল। এ জন্য ওই এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছিল। সেখানে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।


ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রান গেলো গ্লাস ব‍্যাবসায়ীর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরপুর প্রতিনিধি  

মেহেরপুর হোটেল বাজারে ট্রাকের ধাক্কায় সরফরাজ খান সোনা(৫৫) নামের ১ মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছে।

আজ বুধবার ১৬ জুলাই সকাল ৮ টায় মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার রনি রেস্তোরার সামনে এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সরফরাজ খান সোনা মেহেরপুর শহরের পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়ার মৃত শামসুল আলম খান মোংলার ছেলে। সোনা মেহেরপুরে কাচ (গ্লাস)ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে সোহাগ সোহেল নামের একটি ট্রাক বেপরোয়া গতিতে মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজারের দিকে আসছিল কলেজ মোড়ের দিক থেকে, এ সময় সরফরাজ খান সোনা শহরের হোটেল বাজার থেকে কলেজ মোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন। রনি রেস্তোরার সামনে পৌঁছালে ট্রাকটি মোটরসাইকেল চালককে ধাক্কা মারে।

এতে মোটরসাইকেল চালক সরফরাজ খান সোনার ট্রাকের চাকার নিচে ছিটকে পড়ে।

এদিকে দুর্ঘটনার পর পরই সোহাগ -সোহেল নামের ট্রাকটি পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।


পাবনায় ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাবনা জেলা প্রতিনিধি

পাবনার বেড়ায় ট্রাকের ধাক্কায় মোঃ মোজাম্মেল (৫৫) নামে অটোভ্যান চালক নিহত হয়েছেন। তিনি স্থানীয় একটি মসজিদের মোয়াজ্জিন ও আমিনপুর সিন্দুরী গ্রামের মৃত আমজাদ শেখের ছেলে।

বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল সাতটার দিকে উপজেলার আমিনপুর থানার অন্তর্গত কাজিরহাট সড়কে পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, কাশিনাথপুর বাজার থেকে কাজিরহাট সড়কে মোজাম্মেল তার নিজের অটোভ্যান নিয়ে নিজ গ্রাম সিন্দুরী এলাকায় যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে পেছন থেকে কাজিরহাটগামী একটি ট্রাক ধাক্কা দিয়ে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার দেহ ছিন্নবিছিন্ন হয় এবং দেহ থেকে মাথা আলাদা হয়ে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যু মোজাম্মেল সিন্দুরী গ্রামের মাজার মসজিদের মোয়াজ্জেম ছিলেন। সকালে তিনি যাত্রী নিয়ে কাশিনাথপুর আসেন। বাড়ি ফেরার পথে এ দূর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কাশিনাথপুর ফায়ার সার্ভিস একটি দল এসে রাস্তায় পড়ে থাকা মৃত্যু দেহ উদ্ধার ও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।

এ বিষয়ে আমিনপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ গোলাম মোস্তফা জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা হয়, তবে চালক পালিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের জন্য মরা দেহটিকে থানায় রাখা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান।


রাঙামাটিতে ফের ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ম্যালেরিয়া

জেলায় আক্রান্ত ৬৭৬, মৃত্যু ১ 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি

পাহাড়ি জেলা রাঙামাটিতে ফের ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব। সীমান্তবর্তী দুর্গম উপজেলা জুরাছড়ি, বরকল, বাঘাইছড়ি ও বিলাইছড়িতে দিন দিন বেড়েই চলেছে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। শুধু চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত এই চার উপজেলায় ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪৭ জন। অন্যদিকে পুরো জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৬৭৬ জন ছাড়িয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জুন মাসের আংশিক প্রতিবেদনে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে ৯৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে বাঘাইছড়িতে ১৬৪ জন, জুরাছড়িতে ২৪৭ জন, বিলাইছড়িতে ১৮৫ জন ও বরকল উপজেলায় ১৮০ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। বাকি ছয় উপজেলায় জুন মাস পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৮ জন।
চলতি বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই বাড়তে থাকে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বছরই এ রোগের সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে।

জুরাছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অনন্যা চাকমা জানান, আগে বর্ষাকালেই ম্যালেরিয়া বেশি হতো। এখন বছরের অন্য সময়েও বৃষ্টির কারণে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় মশার বিস্তার হচ্ছে। ফলে সারা বছরই রোগী পাওয়া যাচ্ছে।এখন সেটি হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যও।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২৩ সালে জেলার মোট ৪ হাজার ৭১৪ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০২৪ সালে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ হাজার ৭৬৮ জন। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭৬ জন।

এদিকে সীমান্তবর্তী দুর্গম উপজেলাগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় অনেকেই সময়মতো চিকিৎসা নিতে পারছেন না। এই অবহেলা প্রাণঘাতী পরিণতি ডেকে আনছে।

রাঙামাটি সদরের বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের নোয়াদম গ্রামের স্কুলছাত্রী সুদীপ্তা চাকমা (১০) ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শনিবার (১২ জুলাই) রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে মারা যায়। হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানান, স্কুল ছাত্রীটি এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে ভুগছিল। শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে তার জ্বর বেশি ওঠে। শনিবার (১২ জুলাই) সকালে হাসপাতালে আনার পর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শওকত আকবর খান জানান, হাসপাতালে বতমানে ২ জন ম্যালরিয়া রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ম্যালেরিয়ার জীবাণু শরীরে প্রবেশের পর জ্বর, মাথাব্যথা, কাঁপুনি, শারীরিক দুর্বলতা, রক্তাল্পতা, জন্ডিস, খিচুনি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে কিডনি বিকল, কোমা এমনকি মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে।

এদিকে, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক যৌথভাবে গ্রাম পর্যায়ে সচেতনতা কার্যক্রম চালাচ্ছে। পাশাপাশি ম্যালেরিয়া নির্ণয় ও বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।

রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা বলেন, ‘প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ম্যালেরিয়া বাড়ে। এবছর আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেশি। তবে সরকার ম্যালেরিয়া নির্মূলে বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। প্রত্যন্ত এলাকায় টিম পাঠানো হচ্ছে। পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা।’ শনিবার (১২ জুলাই) সকালে সুদীপ্তা চাকমা নামে এক স্কুল ছাত্রী ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, রোগীটি এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিল। শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে জ্বর বেশি আসার পর শনিবার (১২ জুলাই) সকালে যখন তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায় তখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তখন তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়ার মতো অবস্থায় ছিল না।
ডা. নূয়েন খীসা আরো বলেন, ‘ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দুর্গম ও অসচেতনতার কারণে সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে মেয়েটি মারা গেছে। আমরা চিকিৎসা করার সুযোগ পাইনি। ‘জ্বর হলে কেউ অবহেলা করবেন না। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, মশারি ব্যবহার করা এবং ম্যালেরিয়ার উপসর্গ দেখলেই পরীক্ষা করানোই এর প্রতিরোধের উপায়।’ ২০১৬ সাল থেকে রাঙামাটিতে ম্যালেরিয়া শূন্য কোটায় নিয়ে আসা হয়েছে। দীর্ঘ ৯ বছর পর নতুন করে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।’


banner close