রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫
৪ শ্রাবণ ১৪৩২

নরসিংদীতে দেশ টেলিভিশনের সাংবাদিকের উপর হামলার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

সালমা সুলতানা, নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশিত
সালমা সুলতানা, নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১৯ জুলাই, ২০২৫ ২০:৫০

নরসিংদীতে দেশ টেলিভিশনের সাংবাদিক আকরাম হোসেন ও তার পরিবারের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে জেলার সর্বস্তরের সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা হলো সমাজের দর্পণ। তারা লেখনির মাধ্যমে সমাজের দুর্নীতি ও অনিয়ম তোলে ধরেন। যার কারণে সাংবাদিকদের ক্ষমতাবানদের চক্ষু স্থূলে পরিণত হতে হয়। আকরাম হোসেন একজন সাহসি সাংবাদিক। তিনি দেশ টিভির মাধ্যমে নরসিংদীর রাঘব বোয়ালদের অনিয়ম ও দুর্নীতি তোলে ধরেছেন। যার কারণে অনেকে তার উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে প্রাণনাশের উদ্দেশ্য আকরাম ও তার পরিবারের উপর হামলা চালানো হয়। এতে অল্পের জন্য সে রক্ষা পায়। এঘটনায় সিসি টিভি ফুটেজের মাধ্যমে দুইজনকে গ্রেপ্তার করলেও তারা জামিন নিয়ে বের হয়ে এসেছে। পুলিশ এখনও ঘটনার মূল হোতাকে চিহ্নিত করতে পারছেন না। যার কারণে আকরাম এখনও হুমকির মুখে রয়েছে। আমরা অবিলম্বে মূলহোতাকে আইনের আওতায় ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।
এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক মো: খায়রুল ইসলাম, শাহাদাৎ হোসেন রাজু, তৌকির আহমেদ, ফাহিমা খানম, আশিকুর রহমান, মোস্তাক আহমেদ, শরিফ ইকবাল রাসেল, শামীম মিয়া, তৌহিদুর রহমান মিঠু, হৃদয় খান, এনামুল হক রানা, সুজন বর্মণ, আমিনুর রহমান সাদি প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৯ মে শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে শহরের বাসাইল এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশের হাসান সিএনজি ফিলিং স্টেশনে দেশ টেলিভিশনের সাংবাদিক আকরাম হোসেন ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় অল্পের জন্য সপরিবারে প্রাণে রক্ষা পান তিনি। এ সময় হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকিও দেয়।


জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে সারা দেশে ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচির আওতায় চিরসবুজ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) এ কর্মসূচি পালিত হয়।

দৈনিক বাংলা ব্যুরো, জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদে বিস্তারিত

আবু তাহের ভূঁইয়া, ফেনী

‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষে ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচির আওতায় ফেনী জেলার শাহাদাতবরণকারী জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে শহিদের নিজ নিজ উপজেলার উপজেলা পরিষদে এলাকায় চিরসবুজ বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে। বৃক্ষের মধ্যে রয়েছে বকুল, জারুল, সোনালু, চম্পা, জলপাই, কৃষ্ণচূড়া ইত্যাদি। শনিবার (১৯ জুলাই) উক্ত কর্মসূচির আওতায় ফেনী সদর উপজেলায় চম্পা ও বকুল, সোনাগাজী উপজেলায় বকুল, সোনালু, জারুল, দাগনভূঞা উপজেলায় কৃষ্ণচূড়া, জারুল, সোনালু, ফুলগাজী উপজেলায় বকুল ও পরশুরাম উপজেলায় জলপাই গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।

জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি’: ফেনী

ফেনী সদর উপজেলায়, ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এতে শহিদ ছাইদুল ইসলাম শাহীর পিতা মো. রফিকুল ইসলাম, শহিদ ওয়াকিল আহম্মদ শিহাবের মাতা মাফুজা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইসমাইল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা নাসরীন কান্তা, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি ও সুধীরা উপস্থিত ছিলেন।

একইভাবে পরশুরাম, ফুলগাজী, সোনাগাজী, দাগনভূঞা, ছাগলনাইয়া উপজেলায়ও বৃক্ষ রোপণ করা হয়। এ সময় উপজেলাসমূহের উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শহিদের পিতা/ মাতা ও পরিবারের সদস্যরা, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ ও ছাত্র প্রতিনিধিগণ উপস্থিতি ছিলেন।

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

জুলাই শহীদদের স্মরণে সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জে ‘এক শহীদ, এক বৃক্ষরোপণ’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি’: সুনামগঞ্জ

জুলাই শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণে শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ১১ টায় জেলা কালেক্টর ভবন প্রাঙ্গনে শহীদ পরিবার ও আহতদের সঙ্গে নিয়ে এই বৃক্ষরোপণ করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়া মিয়া।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত সোহাগ, আয়াতুল্লাহ ও হৃদয়ের নামে জারুল, পলাশ ও কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপণ করা হয়। এছাড়াও জেলার অন্যান্য আহতদের শ্রদ্ধায় প্রাঙ্গণ এলাকায় বিভিন্ন ফুল ও কাটের চারা রোপণ করা হয়।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আয়াতুল্লাহর বাবা সিরাজুল ইসলাম, শহীদ সোহাগের ভাই বিল্লাল মিয়া, জুলাই যোদ্ধা ফয়সল আহমদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সমর কুমার পাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা জেরিন, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন, গণপূর্ত অধিদপ্তর এর নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান হিরা, বন বিভাগের কর্মকর্তা সাদ উদ্দিন আহমেদ সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

নাসির উদ্দিন শাহ মিলন, নীলফামারী

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর শহীদদের স্মরণে নীলফামারীতে ‘এক শহীদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৪টি গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে শহীদ রুবেলের স্মরণে বকুল গাছ, শহীদ নাঈমের স্মরণে আমলকি গাছ, শহীদ সাজ্জাদের স্মরণে আগর গাছ এবং শহীদ কালামের স্মরণে লটকন গাছের চারা রোপণ করা হয়।

জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি’: নীলফামারী

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোহসিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মীর সেলিম ফারুক ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা হক প্রধান বাচ্চু, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, জেলা জামায়াতের পলিটিক্যাল সেক্রেটারি মনিরুজ্জামান মন্টু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক সৈয়দ মেহেদী হাসান আশিক, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জেলা কমিটির সদস্য আখতারুজ্জামান খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নীলফামারী জেলা সভাপতি মাওলানা ইয়াসিন আলী, জেলা বন কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম, শহীদ রুবেলের পিতা রফিকুল ইসলাম ও শহীদ নাঈমের পিতা আজিজুল ইসলামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট স্মরণে নীলফামারীতে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে নীলফামারীর ৪শহীদের স্মরণে ৪টি বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। এই বৃক্ষগুলো আগামী প্রজন্মকে স্মরণ করিয়ে দেবে সেই সাহসী ইতিহাসের কথা।’

‘এক শহীদ এক বৃক্ষ’ কর্মসূচীর আওতায় কেশবপুরে অর্জুন গাছের চারা রোপণ করলেন ইউএনও

হারুনার রশীদ বুলবুল, কেশবপুর (যশোর)

‘এক শহীদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচীর আওতায় কেশবপুরের ভালুকঘর আজিজিয়া মাদরাসা মাঠে শহীদ তৌহিদুর রহমানের পিতাকে সঙ্গে নিয়ে বৃক্ষ রোপণ করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. রেকসোনা খাতুন। শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে কেশবপুরের শহিদ তৌহিদুর রহমানের স্মৃতি রক্ষায় তার পিতা আব্দুর জব্বার বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে ভালুকঘর আজিজিয়া মাদরাসা মাঠে একটি অর্জুন গাছের চারা রোপণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মশিয়ার রহমান, শিক্ষক মাওলানা আব্দুল করিম ও আইসিটি শিক্ষক নুরুল আমিন প্রমুখ।

জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি’: কেশবপুর (যশোর)

‎জামাল হোসেন পান্না, ‎নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ‘এক শহীদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচির আওতায় বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) নবীনগর সরকারি কলেজ মাঠে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরী। তিনি কলেজ ক্যাম্পাসে ৫ শহীদের নামে পাঁচটি গাছ রোপণ করেন।

জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি’: নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

‎এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ বিন মনসুর, নবীনগর পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী এম এম মকবুল হোসেন, নবীনগর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. সৈয়দ হোসেন, প্রভাষক আল ইফতে ইয়াসিন, মো. জহিরুল ইসলাম ও মো. মোশারফ হোসেন।‎

‎এছাড়াও কর্মসূচিতে অংশ নেন উপজেলা বিএনপি নেতা মাসুদুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নবীনগর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর হোসেন, ছাত্র সংসদের ইয়াছিন মাহমুদ, মাসুদুর রহমান প্রমুখ।

‎উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে নবীনগর উপজেলার মোট ৬জন শহীদ হন। এর মধ্যে ৫জন শহীদের নাম সরকারি গ্যাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শহীদরা হলেন- শহীদ রফিকুল ইসলাম, শহীদ কামরুল মিয়া, শহীদ তানজিল মাহমুদ সুজয়, শহীদ জাহিদুজ্জামান তানভীন ও শহীদ মো. জাহিদ হোসেন। ‎তাদের স্মৃতি অম্লান রাখতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদদের নামে ৫টি বৃক্ষ রোপণ করা হয়।

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে পঞ্চগড়ের যারা জীবন দিয়েছেন দেশের গণতন্ত্র ও ন্যায়ের জন্য, তাদের স্মরণে আয়োজন করা হলো একটি ব্যতিক্রমধর্মী পরিবেশবান্ধব কর্মসূচি, ‘এক শহীদ, এক বৃক্ষ’।

জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি’: পঞ্চগড়

শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন ইকো পার্ক চত্বরে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুমন চন্দ্র দাশ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আ্যাডভোকেট আদম সুফি, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান, সহকারী কমিশনার আমিনুল হক তারেক, জেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হরিপদ দেবনাথ এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা ও সেবামূলক সংস্থার প্রতিনিধিরা। গণঅভ্যুত্থানে শহীদ সাজু ইসলামের নামে নিম গাছ, শহীদ আবু সাঈদের নামে কাজুবাদাম গাছ, শহীদ সাগর রহমানের লটকন গাছ, শহীদ সাজু ইসলামের নামে জারুল গাছ ও শহীদ শাহাবুল ইসলাম শাওনের নামে হরীতকী গাছ রোপণ করা হয়। ওই বৃক্ষরোপণ শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং একটি চিরন্তন বার্তা বহন করছে। যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি। আয়োজকরা বলেন, এই কর্মসূচি কেবল পরিবেশ রক্ষার প্রয়াস নয়, বরং শহীদদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ। শহীদরা আমাদের কাছে কেবল ইতিহাসের চরিত্র নন, তারা আদর্শের বাতিঘর। তারা আরও বলেন, বৃক্ষ যেমন সময়ের সঙ্গে বড় হয়ে ছায়া দেয়, ফল দেয়, তেমনি শহীদদের ত্যাগও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দিকনির্দেশনা দেয়। এই গাছগুলো শহীদদের জীবনের মতোই সমাজে অবদান রাখবে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাদের স্মরণ করবে।

কার্ত্তিক দাস, নড়াইল

গাছের দিকে তাকালে দেখা যাবে ডাব কিংবা নারিকেল শূন্য গাছ। অনেক গাছের পাতা শুকিয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। এ দৃশ্য শুধু শহরেই নয়। গ্রামাঞ্চলেও এর প্রভাব পড়েছে। কৃষকসহ সাধারণ মানুষের বদ্ধমূল ধারণা মুঠোফোনের টাওয়ারের কারণে নারিকেলের ফলন কমে গেছে। বৈজ্ঞানিকভাবে এর কোনা সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও মানুষ থেমে থাকেনি নারিকেলের চারা রোপণ করতে। নারিকেলের নানা গুণাগুণের কারণে তা অব্যাহত রেখে চলেছে। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে নড়াইল জেলায় মোট ১৩ হাজার নারিকেল গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। নড়াইলের জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান নড়াইল মৎস্য খামারে গাছের চারা রোপণ করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় নারিকেল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই চারা লাগানো হচ্ছে।

জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি’: নড়াইল

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট ১৩ হাজার নারিকেল চারা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১০ হাজার চারা কৃষকদের মধ্যে, বাকি ৩ হাজার চারা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়।

জানতে চাইলে বিসিএস কৃষি ক্যাডার মো.আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মুঠোফোনের টাওয়ারের কারণে নারিকেলের ফলন কমে গেছে এমন ধারণা সঠিক নয়। তিনি বলেন, নারিকেলেরে ভালো ফলন পেতে হলে বছরে ৩বার গাছের গোড়ায় সার দিতে হয়। প্রথমবার বৈশাখ মাসের (মে মাসে) প্রথম সপ্তাহে, দ্বিতীয় বার সেপ্টেম্বর এবং তৃতীয়বার জানুয়ারি মাসের দিকে।

নারকেল গাছের ফলন বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত যত্ন ও সঠিক পদ্ধতিতে সার প্রয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ। মোবাইল টাওয়ারের কারণে নারকেল বা ডাবের ফলন কমে যাচ্ছে- এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবে, সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে সার প্রয়োগ করলে গাছ সুস্থ থাকে এবং ফলন বাড়ে।

তিনি বলেন, বছরে ৩ বার সার দেওয়া ভালো। প্রথমবার মধ্য বৈশাখে (মে মাসে), দ্বিতীয়বার মধ্য ভাদ্র মাসে (সেপ্টেম্বর মাস), তৃতীয়বার মধ্য মাঘ (জানুয়ারি মাস)। প্রতি গাছের জন্য সারের মাত্র (৩ ভাগে প্রয়োগ করা যাবে)। ইউরিয়া সার ৫০০ গ্রাম, টিএসপি ফসফেট ৩০০ গ্রাম, এমওপি পটাশ ৭৫০ গ্রাম,ডলোমাইট চুন ১ কেজি (বছরে ১বার) গোবর বা কম্পোজ সার ১০-১৫ কেজি। তিনি আরো বলেন, সার প্রয়োগের পদ্ধতি হচ্ছেঃ- গাছের চারপাশে ১ দশমিক ৫-২ ফুট দূরত্বে বৃত্তাকারে ৬-৮ ইঞ্চি গভীর গর্ত করুণ। সার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। প্রয়োগের পর পর্যাপ্ত পানি দিতে হবে। গাছের গোড়ায় আগাছা থাকলে পরিষ্কার করতে হবে। খরা মৌসুমে পর্যাপ্ত পানি দিতে হবে। রোগবালাই হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, সঠিক পদ্ধতিতে পরিচর্যা করলে বছরে ৭০- থেকে ১০০টির বেশি নারকেল পাওয়া যাবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নড়াইলের উপপরিচালক মো.জসিম উদ্দীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লিংকণ বিশ্বাস, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এইচ এম বদরুজ্জামান, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.রোকনুজ্জামানসহ অন্যান্য উপস্থিত ছিলেন।

শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা

‘মরুরে চাহিনা- চাহি বৃক্ষরে, নেব কিশলয়ে ঠাঁই, কচি সবুজের উৎসব আজি মোহনীয় মাগুরায়’ এ স্লোগান কে সামনে রেখে মাগুরা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ২০২৫ উপলক্ষে সাংবাদিকদের এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।

জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি’: মাগুরা

মাগুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিকের সহযোগিতায় এ কর্মসূচির আওতায় মাগুরা কালেক্টর স্কুল, পারলা গোরস্থান মাদ্রাসা, নিশ্চিন্তপুর গোরস্থান মাদ্রাসা এবং বালিয়াডাঙ্গা মাদ্রাসায় এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়াও বাসা বাড়ির আঙিনায় এবং ছাদে গাছ লাগানোর জন্য মাগুরা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের মাঝে হাড়িভাঙ্গা ও বারী-৪ জাতের একশত আমের গাছ বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) মাগুরা প্রেসক্লাব চত্বরে গাছের চারা বিতরণ করেন ক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক সাইদুর রহমান, সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম শফিক, দপ্তর সম্পাদক শেখ ইলিয়াস মিথুন, সিনিয়র সাংবাদিক খান শরাফত হোসেন, এড. আরজু সিদ্দিকী, ওয়ালিউর রহমান, তারিকুল আনোয়ার তরুণ, এমএ হাকিম, লিটন ঘোষ, অলোক বোস, ইমরান প্রমুখ। জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে এ আয়োজন করা হয়।


গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন অব্যাহত, নিহত আরও ৫১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে নতুন করে আরও কমপক্ষে ৫১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জন ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিল। এদিকে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি ভয়াবহ খাদ্য সংকটে দিন কাটাচ্ছে। সেখানে প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন দিনের পর দিন না খেয়ে থাকছে। খবর আল জাজিরার।

হামাস জানিয়েছে, গাজায় আটক থাকা বাকি সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে যদি কোনো চুক্তি না হয় তবে তারা দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।

এদিকে হিজবুল্লাহ নেতা নাইম কাসেম যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বজায় রাখতে তাদের অস্ত্র ছাড়া সম্ভব নয় এবং লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন ঠেকাতে হিজবুল্লাহর অস্ত্র অপরিহার্য। এক ভিডিও বার্তায় কাসেম বলেন, আমরা আত্মসমর্পণ করব না এবং ইসরায়েল আমাদের অস্ত্র কেড়ে নিতে পারবে না। অস্ত্র ছাড়া প্রতিরোধ সম্ভব নয়।

এই মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক উদ্যোগে একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মার্কিন বিশেষ দূত থমাস ব্যারাক (যিনি বর্তমানে তুরস্কে রাষ্ট্রদূত ও সিরিয়া বিষয়ক দূত হিসেবে কাজ করছেন) গত মাসে লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব দেন। যার মধ্যে হিজবুল্লাহর নিরস্ত্রীকরণ অন্যতম।

লেবাননের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম এক সাক্ষাৎকারে বলেন, হিজবুল্লাহর অস্ত্র ২০০০ সালে দক্ষিণ লেবাননকে ইসরায়েলি দখল থেকে মুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু এখন সেই অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৫৮ হাজার ৬৬৭ জন নিহত এবং আরও ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৪ জন আহত হয়েছে।

গাজায় প্রাণহানি ছাড়াল ৫৮ হাজার

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বেসামরিকদের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৮ হাজার ৬৬৭ জনে। এদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৪ জন ফিলিস্তিনি। গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তাদের অভিযানে নিহত হয় ১ হাজার ২০০ জন।পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা। প্রতিক্রিয়া বহু বছর ধরে চলা গাজা অভিযান জোরাল করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আইডিএফ।

দুই দফা যুদ্ধবিরতি হলেও হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনও জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।

গাজায় দুর্ভিক্ষে শুরু হচ্ছে মৃত্যুর ঢেউ

গাজা উপত্যকার চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গত শুক্রবার জানিয়েছেন, উপত্যকাজুড়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের লক্ষণ মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ছে। শত শত মানুষ চরম অপুষ্টি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, স্মৃতিভ্রংশ এবং চরম ক্লান্তিতে ভুগছে- যা দীর্ঘস্থায়ী অনাহারের সরাসরি লক্ষণ।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রচণ্ড তাপদাহ এই সংকটকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। এ খবর দিয়েছে ইসরাইলের প্রভাবশালী পত্রিকা অনলাইন হারেৎজ। গাজার আল-শিফা হাসপাতালে গত শুক্রবার কর্মকর্তারা জানান, শত শত রোগী মারাত্মক অনাহারের উপসর্গ নিয়ে আসছেন। তার মধ্যে বহু শিশু ও নবজাতকের অবস্থা সংকটাপন্ন। মুয়াসি মানবিক অঞ্চলের ফিল্ড হাসপাতালের পরিচালক ডা. সুহাইব আল-হামস সতর্ক করে বলেন, পুষ্টির অভাবে অঙ্গ বিকল হয়ে শিগগিরই মৃত্যুর ঢেউ শুরু হতে পারে। রাস্তায় পড়ে থাকা বহু মানুষকে আমরা এখানে আনছি, যাদের ওষুধের আগেই খাবারের প্রয়োজন।

হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, উপত্যকায় প্রায় ১৭০০০ শিশু ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছে। দুর্ভিক্ষে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২০ জনে। এর মধ্যে কমপক্ষে ৬৯টি শিশু। গত শুক্রবার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ১৮ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে সরাসরি পুষ্টি ঘাটতির কারণে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও গাজায় কার্যরত আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে যে হাসপাতালগুলোতে আর কোনো খালি বেড, পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম বা ওষুধ নেই- ক্রমবর্ধমান রোগীর স্রোত সামাল দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে। মানবিক সংস্থার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, চলমান অবরোধ ও পর্যাপ্ত সাহায্যের অভাবই এই ক্ষুধা সংকটকে ভয়াবহ রূপ দিয়েছে। অনেকেই গাজার পরিস্থিতিকে দারফুর ও সোমালিয়ার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সঙ্গে তুলনা করেছেন।ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট কিনুন

হামাস শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজায় এই দুর্ভিক্ষ ও অবরোধ হলো মানবতার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপরাধ। তারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে যে, সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে খাদ্য ও পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সামরিক ব্যর্থতার পর এখন একমাত্র সমাধান হলো একটি চুক্তি। হামাসের গণমাধ্যম শাখা ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, তারা গণহত্যার নৈতিক ও রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়- ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং আন্তর্জাতিক বিচারের আওতায় আনার জন্য।


স্যাকমো শফিকের 'ভুল চিকিৎসায়' পঙ্গু হয়ে গেল শিশু তানভীর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. ইউসুফ হোসেন অনিক, ভোলা প্রতিনিধি

ভোলার বোরহানউদ্দিনে চিকিৎসক পরিচয়দানকারী স্যাকমো শফিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত চেম্বারে ভুল চিকিৎসায় পঙ্গু হয়ে গেছেন তানভীর নামে আট বছর বয়সী এক শিশু এমন অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার।

এ ঘটনায় বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী শিশুর মা ওই স্যাকমোর বিরুদ্ধে ভোলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। ঘটনার সত্যতা পেয়ে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ মামলা রুজু করে। আজ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোরহানউদ্দিন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান।

জানাযায়, গত তিন মাস আগে স্যাকমো শফিকুলের ভুল চিকিৎসার কারনে গত (১৫জুলাই) অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তানভীরের দুটি হাঁতের কবজি ও একটি পাঁ কেটে ফেলা হয়েছে। শিশুটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অভিযুক্ত চিকিৎসক নামধারী শফিকুলের বিরুদ্ধে এর আগেও নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। শফিকুল ইসলাম বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যাকমো হিসেবে কর্মরত আছেন। এছাড়া হাসপাতাল সড়কে আকিব মেডিকেল হল ও দেউলা মেডিকেল হল নামে দুটি ঔষধ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ব্যক্তিগত চেম্বার করেন।

তানভীর (৮) উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ফুলকাচিয়া গ্রামের কৃষক মোসলেমের পুত্র।

তানভীরের বাবা মোসলেম জানান, তানভীর চরমোনাই মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে পড়াশুনা করে। চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল সে ছুটিতে বাড়ি আসে। ২২ এপ্রিল গায়ে জ্বর আসে,পরের দিন তাকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে নিয়ে আসলে হাসপাতাল গেইটের সামনে আকিব মেডিকেলের মালিকের সাথে দেখা হয়, ছেলের অসুস্থতার কথা জানিয়ে তার পরামর্শ চাই। সবকথা শোনার পর আকিব আমাকে তার দোকানের চেম্বারে ছেলেকে নিয়ে যেতে বলে। একজন ভালো ডাক্তার দেখিয়ে দিবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করে, আমি সরল বিশ্বাসে তার দোকানের চেম্বারে ছেলেকে নিয়ে যাই। আকিব শফিকুল ইসলামকে ডেকে এনে আমার ছেলেকে দেখতে বলে। 'চিকিৎসক শফিকুল ছেলেকে দেখে কিছু টেষ্ট করাতে বলেন। আহছানিয়া মেডিকেল সার্ভিসেস নামে একটি ডায়গনষ্টিকে টেস্ট করানো হয়। টেস্ট শেষে রিপোর্ট দেখে শফিকুল ইসলাম জানায় আমার ছেলের ডেঙ্গু হয়েছে। তিনি এন্টিবায়টিক ইনজেকশন প্রদানের কথা বলেন এরপর একই সাথে চারটি ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। ইনজেকশন প্রয়োগের কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পরে আমার ছেলের গায়ে ছোট ছোট কালো বিচির মত উঠতে থাকে। আমি তাৎক্ষণিক বিষয়টি শফিকুল ইসলাম কে জানালে তিনি আমাকে বলেন এলার্জির জন্য এমনটা হচ্ছে ঠিক হয়ে যাবে'। তিনি ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরে অবস্থার আরো অবনতি হলে তানভীরকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর তারা বরিশালে নিয়ে যেতে বলেন। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে নেয়ার পর সেখানকার ডাক্তাররা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অক্সিজেনের সাহায্যে তানভীরকে জরুরি ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। ঢাকায় নিয়ে প্রথমে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে গিয়ে ডাক্তার দেখাই। তানভীরের শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়ে পড়ায় কিওর স্পেশিয়ালাইজড হাসপাতালের আইসিউতে (ICU) আট দিন ভর্তি রাখি। আইসিইউ থেকে বেড় করে শিশু হাসপাতালে নিয়ে আরো ৯দিন ভর্তি রাখি। শিশু হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার করলে বার্ন ইউনিটে আরো এক মাস দশ দিন চিকিৎসা শেষে ১৮ জুন ছাড়পত্র প্রদান করে। ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তার আমাকে বলেন অস্ত্রোপচার এর মাধ্যমে তানভীরের দুটি হাঁত ও দুটি পাঁ কেটে ফেলতে হবে। পনেরো দিন পরে এসে আবার যেনো ভর্তি করাই।

তিনি আরো জানান, আমি ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে ডাক্তার শফিকুল ইসলাম ও আকিবের সাথে দেখা করে বিষয়টি তাদেরকে অবগত করি। তারা আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাসানোর ভয় দেখায়। আমি দরিদ্র মানুষ আমার ছেলের চিকিৎসা করাতে এই পর্যন্ত প্রায় ৯ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গেছে এবং চিকিৎসার জন্য আনুমানিক আরো ৫ লক্ষ টাকার প্রয়োজন কিভাবে টাকা জোগার করবো তা আমি জানিনা।

অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যাকমো শফিকুল ইসলাম জানান, গত তিন মাস আগে তানভীর নামে রোগিকে নিয়ে তার স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা করতেছিলো কেউ তাকে চিকিৎসা দেয়নি। পরে তাকে আমি দেখেছি তার সারা গায়ে এলার্জি,ক্রাশ,ফোরার মতো এবং প্রচন্ড জ্বর ও খিচুনি ছিলো। আমি তাকে জ্বরের সিরাপ, জ্বরের সাপোজিটরি ও খিচুনি কমার জন্য সেডিল ইঞ্জেকশন হাপ এম্পুল দিয়েছি যাতে তার খিচুনি না হয়। আমি তাকে শুধু জ্বরের ট্রিটমেন্ট দিয়েছি। তিনি দাবী করেন, তার এমন অবস্থা ছিলো যে তাকে কেউ চিকিৎসা দিতে রাজি হয়নি, তাই তার ভালোর জন্য আমি তাকে চিকিৎসা দিয়েছিলাম। তিনি দাবী করেন তার বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে তিনি কোনো ভুল চিকিৎসা দেয়নি।

বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা.কে.এম.রিজওয়ানুল ইসলাম জানান, আমাদের এখানে কর্মরত স্যাকমো শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে তানভীরের বাবা একটি অভিযোগ করেছেন। শফিকুল ইসলাম গত ২-৩ মাস আগে হাসপাতালের বাহিরে একটি প্রাইভেট চেম্বারে তানভীর নামে আট বছর বয়সী একটি রোগী দেখেছিলেন, বাচ্চাটা সম্ভবত জ্বর সাথে একটু ফোরার সমস্যা নিয়ে গিয়েছিলো তার কাছে। প্রাথমিকভাবে তারা বাচ্চাটির রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গু সন্দেহ করে। তারা বাচ্চাটিকে একটি সেফট্রিয়াক্সোন এন্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করে। আমরা জানি ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ এতে সেফট্রিয়াক্সোন ইঞ্জেকশনের কোনো প্রয়োজন নেই। যতটুকু কাগজপত্র দেখেছি তাতে সন্দেহ করা যায় হয়তোবা সেফট্রিয়াক্সোন দেয়ার ফলে একটা রেয়ার রিএ্যাকশন হয়েছে বাচ্চাটার। ঢাকা মেডিকেল থেকে যে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে সেখানেও তারা সন্দেহ করেছেন, তবে নিশ্চিত করাটা কঠিন। আমি যতটুকু জানি বাচ্চাটা মুমূর্ষ অবস্থায় আছে আমি তার সুস্থতা কামনা করি।


গনঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পটুয়াখালীতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু, পটুয়াখালী প্রতিনিধি

জুলাই গনঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পটুয়াখালীতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

৩৬ জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার অংশহিসেবে শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে এক শহীদ এক বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন। এসময় পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার জাহিদ, সিভিল সার্জন মোঃ খালেদুর রহমান মিয়া, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম সহ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, জুলাই যোদ্ধাবৃন্দ এবং গন্যমান্য ব্যাক্তবর্গ উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসন ও উপকুলীয় বন বিভাগ পটুয়াখালীর আয়োজনে এ কর্মসূচীতে জেলার গেজেটভুক্ত ২৪ জন শহীদের স্মৃতি সংরক্ষনে ২৪ টি বৃক্ষ রোপন এবং প্রতিটি বৃক্ষের পাশে শহীদের নামসহ তার অবদানের তথ্য সম্বিলিত ফলক স্থাপন করা হয়। এর আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে ২৪ এর গনঅভ্যুত্থ্যানে শহীদগন তাদের জীবন আত্মহুতি দিয়েছেন। তাদের এ অবদান ভোলার নয়। যারা জীবন দিয়েচেন তাদের আর ফিরে পাওয়া যাবেনা তবে এই বৃক্ষ দীর্ঘ বছর তাদের স্মৃতি বহন করবে।


মাগুরায়  জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননার বিরুদ্ধে  প্রতিবাদ  জাসাসের মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা প্রতিনিধি

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটুক্তির প্রতিবাদে মাগুরায় জাসাসের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার ঘন্টা ব্যাপী মাগুরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) । মাগুরা জেলা শাখার শতাধিক নেতাকর্মী এই মানববন্ধনে অংশ নেয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মাগুরা জেলা শাখার আহবায়ক এডভোকেট কাজী মিহির, সদস্য সচিব ফেরদৌস রেজা, পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মাসুদ হাসান খান কিজিল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আশরাফুজ্জামান শামীম, হাসানুর রহমান হাসু, জেলা ছাত্রদল নেতা শফিকুল ইসলাম, জেলা কৃষক দলের সভাপতি আব্দুর রশিদ, জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক স্মৃতি খাতুন প্রমূখ।

বক্তারা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন শহীদ জিয়া ও তার পুত্র বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাদের নামে কোন ধরনের অবমাননা বরদাস্ত করা হবে না প্রয়োজনে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।


‘দেশ সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য নির্বাচিত সরকার দরকার’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাজমুল হাসান, নাটোর প্রতিনিধি

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যখন প্রধান উপদেষ্টার সাথে লন্ডনে বৈঠক করেছেন, তখনই একটি রাজনৈতিক দল মনে হলো ভেঙ্গে পড়েছেন। তারেক রহমানের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক সেই রাজনৈতিক দল মেনে নিতে পারছেনা। সেই রাজনৈতিক দলের অতিত ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক আছে।

দুলু আরও বলেন, একটা দেশ সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য নির্বাচিত সরকার দরকার। দেশের জনগণ ভোট দিয়ে যাদের ক্ষমতায় বসাবে। সেই দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী হবে। এ দেশের জনগণ তিনশ’ আসনের মধ্যে বিএনপিকে যদি ২৫০ আসনে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে। তারপরেও তারেক রহমান সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে দেশ পরিচালনা করবেন।

শনিবার দুপুরে নাটোরের আলাইপুরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) এর জেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। কর্মী সম্মেলন জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় জাসাসের আহবায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খান বলেন, তারেক রহমান বলেছেন একটা অদৃশ্য শক্তি আমাদের পেছন থেকে ছুঁড়ি মারবে। বিগত কয়েতদিনের হত্যাকান্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। যাতে দেশে নির্বাচন বিলম্বিত হয়। কারণ ষড়যন্ত্রকারীরা জানে নির্বাচন হলে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।

সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহবায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম আহবায়ক জিল্লুর রহমান বাবুল চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, সাইফুল ইসলাম আফতাব, যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, জেলা জাসাসের প্রস্তাবিত সভাপতি মেহেদি হাসান, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক বাউল আব্দুল খালেক সরদারসহ দলের নেতাকর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।


যথাযোগ্য মর্যাদায় বুয়েটে অনুষ্ঠিত হলো জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়,বুয়েট-এ যথাযোগ্য মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হয়েছে জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫। উক্ত অনুষ্ঠানমালা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করার জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ‘‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫ আয়োজক কমিটি” শীর্ষক একটি কমিটি গঠন করা হয়।আয়োজক কমিটির উদ্যোগে ২দিন ব্যাপী (১৫-১৬জুলাই,২০২৫)সমন্বিত জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষ্যে বুধবার (১৬ জুলাই-২০২৫) বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন বুয়েটের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড.আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান ও আন্দোলনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.আব্দুল হাসিব চৌধুরী। অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে বুয়েটের ঘটনাবলীর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

উপাচার্য বলেন,‘‘জুলাই আন্দোলনের স্মৃতি শুধু স্মৃতি হিসেবেই থাকবে না আজ এখান থেকে সেই প্রতিজ্ঞা আমাদের করতে হবে। আমরা দেখেছি বর্বরতা;আমরা দেখেছি পিটিয়ে হত্যা করার মত ঘটনা।পুনর্জাগরণ এর জন্য যারা যুদ্ধ করেছে,নিহত হয়েছে,আহত হয়েছে তাদের উদ্দেশ্য সফল করার জন্য আমাদেরকে সকল প্রকার বর্বরতা এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে। আমরা চেয়েছিলাম নৈতিক সোসাইটি তৈরি করতে,সে পথেই আমাদের এগোতে হবে। তা নাহলে এই বলিদান,আত্নাহুতির কোন মূল্য থাকবে না। আমি শুধু মুখে মুখে বলবো আর সেটা কাজকর্মে প্রকাশিত হবে না,তাহলে কিন্তু কোন লাভ হবে না এবং উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে;আত্মাহুতি দেয়া বিফলে যাবে। আমরা দ্বিতীয় বার সুযোগ পেয়েছি,তৃতীয়বার আমাদের জন্য সে সুযোগ নাও আসতে পারে।”

বুয়েট শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,‘‘গত কয়েকদিন আগে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করার পরে প্রতিবাদ করার জন্য বুয়েট এবং ঢাবি থেকে একটা মিছিল এর আয়োজন করা হয়েছিলো,যা যথাযথভাবে প্রতিবাদ করারই কাজ কিন্তু প্রতিবাদে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার কোনোভাবেই কাম্য নয়।প্রতিবাদ এর বিষয়ে আমরা অবশ্যই প্রতিবাদ করবো,কিন্তু সেটা নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে নয়।আশা করি আমরা আবার সেই ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠবো এবং আমাদের যে দায়িত্ব আমরা সেটা নিজ নিজ জায়গা থেকে পালন করবো। দেশের উন্নয়নে আমরা সকলের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবো। বুয়েটে অনুষ্ঠিত জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা ২০২৫ সফল হোক এই কামনা করছি।”

উপ-উপাচার্য বলেন,‘‘বিগত ৭৫ বছরে ৫টা গণঅভ্যুত্থানের ঘটনা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশে ঘটে নাই। জনগণের জীবন যখন শুকনো পাতার মতো হয়ে যায়, অত্যাচার, নিপীড়ন,নির্যাতন শোষণ হয়,তখন তার ফলে একটি স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল তৈরি করে। সকল গণঅভ্যুত্থানে এটাই বারবার ঘটতে দেখা যায়। ১৪ জুলাই যখন কোটা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের রাজাকারের নাতি-পুতি বলা হচ্ছিল তখন বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েরা। তখন বুঝতে পেরেছিলাম এখানে স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি হচ্ছে,দাবানল সৃষ্টি হতে পারে। ১৫ জুলাই যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা করা হয় এবং ১৬ জুলাই আবু সাঈদকে অদম্য সাহসিকাতার সাথে দুই হাত সম্প্রসারিত করে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিয়ে মৃত্যুবরণ করতে দেখি তখনই বুঝতে পেরেছিলাম বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। এই বাঁধ ভাঙার ঘটনা আমরা ১৯৭১ সালেও দেখেছি। ইতিহাস বলে কোন দেশের সরকার যখন সমগ্র জনগণকে শত্রু বিবেচনা করে তখন সেই সরকার আর টিকে থাকতে পারে না।

এই আন্দোলনের সময় বুয়েটের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে শিক্ষক,কর্মকর্তা,কর্মচারী,ছাত্র-ছাত্রী সকলের অংশগ্রহণে ৩০ জুলাই,২০২৪ তারিখে বুয়েটে সবচেয়ে বড় মিছিলের আয়োজন করা হয়।বুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন,সত্য ভাষণে যে শক্তি আছে,অশ্লীলতায় সেই শক্তি নেই। শক্তিহীন মানুষ তার অশ্লীল বাক্য দিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করতে চায়,বুয়েট শিক্ষার্থীরা এই কাজ করতে পারে না,পূনর্জাগরণে বুয়েট এই দেশকে অতীতেও পথ দেখিয়েছে ভবিষ্যতেও দেখাবে। তিনি বুয়েট শিক্ষার্থীদের সেভাবেই তৈরি হওয়ার পরামর্শ দেন।”

অনুষ্ঠানে বুয়েটের অনুষদের ডিন,শিক্ষক,শিক্ষার্থী,কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ আন্দোলনে তাদের স্মৃতিচারণ ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

সবশেষে ছোট পরিসরে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।


নীলফামারীতে রাতের আধারে দুই লক্ষাধিক টাকা মূল্যের চারটি গরু চুরি

আপডেটেড ১৯ জুলাই, ২০২৫ ১৯:১৬
নাসির উদ্দিন শাহ্ মিলন, নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে গোয়াল ঘরের দুয়ার ভেঙ্গে আনুমানিক ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের চারটি গরু চুরি করেছে চোরেরা। শনিবার (১৯ জুলাই) রাত দুইটার পর সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের আরাজি ইটাখোলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার মনাহার ইসলাম নামে এক ভ্যান চালকের গোয়ালঘর থেকে দুইটি ষাড়, একটি গাভীন দেশী জাতের গরু ও একটি অস্ট্রেলিয়ান জাতের গরু চুরি করে নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় গরুকে গোয়াল ঘরে রেখে তালাবদ্ধ করে রাখে পরিবারের সদস্যরা। শনিবার সকালে উঠে গোয়াল ঘর থেকে গরু বের করতে যায় মনাহারের মা জাহানারা বেগম। সেখানে গিয়ে দেখে গোয়াল ঘরের দুয়ার ভাঙ্গা। ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় একটি গরুও নেই। স্থানীয়রা ছুটে আশে পাশে অনেক খোজাখুজি করলেও গরুর আর সন্ধান পাওয়া যায় না।

ভুক্তভোগী মনাহার ইসলাম বলেন,‘রাত আনুমানিক আড়াইটা থেকে পাঁচটার মধ্যে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে ধারনা করছি। কারন আমরা রাত ১টা পর্যন্ত জেগেই ছিলাম। আমার চারটি গরুর বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ২লাখ ৩৫ টাকা। গরুগুলো ছিল আমার জীবনের সকল সঞ্চয়। গরুগুলো চুরি হওয়ায় আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার আর কোনো সঞ্চয় নেই। সব চোরে নিয়ে গেছে। থানায় অভিযোগ দিয়েছি, দেখি পুলিশ কি করে।’

জানতে চাইলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম.আর সাঈদ বলেন,‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।’


শহীদদের রক্তের বিনিময়ে মুক্ত হয়েছে দেশ: নওগাঁয় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. সবুজ হোসেন, নওগাঁ প্রতিনিধি

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি, কালেরকণ্ঠের সম্পাদক, কবি হাসান হাফিজ বলেছেন- ২৪ এর জুলাইয়ে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে একটা মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় না হলে আমরা সুন্দর বাংলাদেশ পেতাম না।

নওগাঁয় দুইদিন ব্যাপী শেষ হলো লেখক সম্মেলন ও কাহ্নপা সাহিত্য পদক পুরস্কার। দ্বিতীয় দিনে নওগাঁ সাহিত্য পরিষদ এর আয়োজনে লেখক সম্মেলন ও কাহ্নপা সাহিত্য পদক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সদর উপজেলা হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অরিন্দম মাহমুদ।

কবি হাসান হাফিজ বলেন- আদি বাংলা ভাষার নির্দেশন শুরু হয় কাহ্নপা দিয়ে। যা নওগাঁয় অবস্থিত। এজন্য ৬৪ জেলার মধ্যে শীর্ষ জেলা নওগাঁ। প্রসিন্ধ এ জেলায় আসতে পেতে আমার খুবই ভালো লাগছে। এমন একটি সাহিত্য নির্ভর আয়োজনে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আসলে সাহিত্য চর্চা ব্যক্তি ও সমাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে মানুষ জ্ঞান অর্জন করে, সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং সমাজের প্রতি আরও বেশি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। এছাড়াও, সাহিত্য চর্চা মানুষের ভাষার দক্ষতা, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং যোগাযোগ করার ক্ষমতা উন্নত করে। সাহিত্য চর্চা চালিয়ে যেতে হবে।

সীমান্তে হত্যা নিয়ে তিনি বলে- আমরা সীমান্তে কোন হত্যা চাইনা। নওগাঁ সীমান্তে হত্যার মত ঘটনা মাঝেই মাঝেই ঘটে। আমরা রক্তাক্ত চাই না। সেটা বন্ধ করতে হবে। সেজন্য উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে।

লেখক সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লেখকদের আগমনে মিলনমেলায় পরিণত হয়। লেখক সম্মেলনে দুইজন কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক মজিদ মাহমুদ এবং প্রথিতযশা নিভৃতচারী অনুবাদক, হরর গল্পকার, ঔপন্যাসিক ও কবি খসরু চৌধুরী কাহ্নপা সাহিত্য পদক পুরস্কার প্রদান করা হয়। যেখানে পদকের অর্থমূল্য, পদক, সম্মাননাপত্র ও উত্তরীয় প্রদান করা হবে।

এসময় কবি ও গল্পকার মাহফুজ ফারুক ও কবি রিমন মোরশেদ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- নওগাঁ জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল, পৌরসভা প্রশাসক টি.এম.এ মমিন, কবি আতাউল হক সিদ্দিকী, কবি ও প্রাবন্ধিক আমিনুল ইসলাম, সমাজসেবক ও বিএনপি নেতা মাসুদ হাসান তুহিন, কালের কণ্ঠের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন, কথা সাহিত্যিক রবিউল করিম, সাংবাদিক কায়েস উদ্দিন, সাংবাদিক ফরিদ উদ্দিন ও সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল নয়ন, সভাপতি অরিন্দম মাহমুদসহ অন্যরা।

আয়োজকরা জানান- নওগাঁর সহিত্য বিষয়ক সংগঠন নওগাঁ সাহিত্য পরিষদ এর উদ্যোগে চতুর্থবারের মত সাহিত্য সম্মেলন হয়। সারাদেশ হতে আগত শতাধিক কবি-সাহিত্যিকরা উপস্থিতি ছিলেন। চর্যাপদের অন্যতম কবি কাহ্নপা যিনি পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে বসে চর্যাপদ রচনা করেছেন তার নামে পদকটি প্রবর্তিত করা হয়েছে। এ পদকের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যের সুত্রপাত বরেন্দ্র অঞ্চল থেকে শুরু হয়েছে যা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা হবে। এছাড়া সুস্থ সমাজ বির্নিমানে নতুন প্রজন্ম শিল্প সাহিত্যের সাথে সম্পৃক্ত হবে এবং মানবিক হয়ে উঠবে। এতে করে সমাজ থেকে অপরাধ প্রবণতা দুর হবে।


নানা আয়োজনে গাজীপুরে হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

আপডেটেড ১৯ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৪২
মোঃ কামাল হোসেন বাবুল ,গাজীপুর প্রতিনিধি

নানা আয়োজনে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শনিবার গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী নুহাশ পল্লীতে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

হুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো ও মোনাজাত শেষে মেহের আফরোজ শাওন সাংবাদিকদের বলেন, সব লেখকদেরই স্বপ্ন থাকে বই থাকবে পেঙ্গুইন পাবলিকেশনে। হুমায়ূন আহমেদ জীবিত থাকার সময় ইচ্ছে ছিল তার বই পেঙ্গুইন প্রকাশণী থেকে প্রকাশিত হবে। আজ আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, পেঙ্গুইন পাবলিকেশনের সাথে আমাদের চুক্তি হয়েছে, খুব শিগগিরই পেঙ্গুইন পাবলিকেশন থেকে হুমায়ূন আহমেদের বই প্রকাশিত হতে দেখবো।

তিনি বলেন, হুমায়ূন আহমেদের প্রতিষ্ঠা করা নুহাশ পল্লীকে তিনি যে ভাবে রেখে গেছেন সেটা সে ভাবেই সংরক্ষণ করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব। নুহাশপল্লী স্যুটিং স্পট নয়, এটি গাছে ও ও পাখির অভায়রণ্য। গত ১৩ বছরে অন্তত ৫০টি বিরল প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে। এখনো কোথাও দূর্লভ গাছ পেলে তা নুহাশ পল্লীতে এসে লাগানো হয়।

শাওন আরো বলেন, হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি যাদুঘর তৈরির কথা বারবার বরা হয়। স্মৃতি যাদুঘর করতে যে পরিমাণ আর্থিক সক্ষমতা থাকা দরকার তা নুহাশ পল্লীর এখনো গড়ে উঠেনি। আর্থিক সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা চলছে। আমরা না পারলে হয়তো পরবর্তী প্রজন্ম সেটা করতে পারবে।

দুপুরে মিলাদ মাহফিল শেষে এতিম শিশু ও শিক্ষার্থীদের খাদ্য বিতরণ করা হয়। ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।

সকাল থেকে আশপাশের বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্ররা নুহাশ পল্লীতে এসে কোরআন তেলাওয়াত করেন। পরে তারা কবর জিয়ারত ও দোয়ায় অংশ নেন। কর্মসূচিতে অংশ নিতে শুক্রবার হুমায়ূন আহমেদের দুই সন্তান নিষাদ ও নিনিতসহ স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন নুহাশ পল্লীতে এসে অবস্থান নেন। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ছেলে নিষাদ, নিনিতসহ নুহাশ পল্লীর কর্মকর্তা কর্মচারি এবং হুমায়ূনভক্ত ও দর্শনার্থীরা হুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং কবরের পাশে ফাতেহা পাঠ ও দোয়ায় অংশ নেন।

এসময় অন্য প্রকাশের প্রধান নির্বাহী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, ধী প্রকাশণীর প্রধান নির্বাহী আব্দুল্লাহ নাছের, কাকলি প্রকাশনীর নাসির আহমেদ সেলিম, নুহাশপল্লীর তত্ত¡াবধায়ক সাইফুল ইসলাম বুলবুল উপস্থিত ছিলেন।

দুপুরে নুহাশ পল্লীতে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে এতিম শিশু ও শিক্ষার্থীদের খাদ্য বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।


কুলাউড়ায় মাছ শিকারের সময় ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সালাহ্উদ্দিন শুভ, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে মাছ শিকারের সময় চোরাকারবারি সন্দেহে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) মধ্য রাতে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক বিওপির হরিপুর এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে বিএসএফ।

আটককৃতরা হলেন, সোহাগ মিয়া (২৩), মাসুক আলী মন্টুরি (২০) ও সিপার আহমদ (২২। তারা সবাই উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।

আটককৃতদের পরিবার সুত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে সোহাগ, মাসুক ও সিপার মাছ শিকার করছিলো বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতর শরীফপুর ইউনিয়নের হরিপুর এলাকায় এসময় বিএসএফ এসে তাদেরকে চোরাকারবারি সন্দেহে আটক করে নিয়ে যায়।

বিএসএফের হাতে আটক মাসুক আলীর ভাই ময়নুল মিয়া বলেন, রাতে তারা বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে মাছ শিকার করার সময় ১৫-২০ জন বিএসএফ এসে তাদেরকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে ভারত থেকে আমার ভাই জানায় যে, তাদের সেখানের থানায় রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি বিজিবির শরিফপুর ক্যাম্পকে জানিয়েছি তারা বলেছেন, বিষয়টি দেখতেছেন।

এ বিষয়ে শরীফপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য হারুন মিয়া বলেন, আমি শুনেছি রাতে তারা মাছ শিকার করতে গিয়েছিলো। পরে তাদেরকে বিএসএফ এসে ধরে নিয়ে গেছে।

৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া বলেন, এই ধরণের ঘটনা শুনেছি তবে আজ সারাদিন ধরে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। পরিবারের কেউই আসেনি বা ভারতের বিএসএফও কোন কিছু জানায়নি।


নীলফামারীতে গণঅভ্যুত্থানে নিহত ছাত্র জনতার স্মরণে মৌন মিছিল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাসির উদ্দিন শাহ মিলন, নীলফামারী প্রতিনিধি

জুলাই আগস্ট এর গণঅভ্যুত্থানে নিহত ছাত্র জনতার স্মরণে নীলফামারীতে মৌন মিছিল ও দোয়া মাহফিল করেছে বিএনপি । শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে। এরপর দলীয় কার্যালয়ে ফিরে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এতে জেলা বিএনপির নবাগত আহ্বায়ক মীর সেলিম ফারুকের সভাপতিত্বে বক্তৃতা দেন যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা প্রধান হক বাচ্চু, সদস্য সচিব এ এইচ এম সাইফুল্লাহ রুবেল, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আখতারুজ্জামান জুয়েল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ দেওয়া ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ এ দেশের গণতন্ত্রের আন্দোলনে অনন্য দৃষ্টান্ত। শহীদদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান বক্তারা।

এসময় জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সেফাউল জাহাঙ্গীর শেপু, সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রেদওয়ানুল হক বাবু, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান খান রিনো, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মগনি মাসুদুল আলম দুলাল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোরশেদ আযম, সদস্য সচিব শিহাবুজ্জামান শিহাব চৌধুরী, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রাশেদ রেজাউদ্দৌলা রাশেদ, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি নুর আলম, জামিয়ার রহমান সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


banner close