শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
২৩ কার্তিক ১৪৩২

জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি’

দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৯ জুলাই, ২০২৫ ২৩:০৭

জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে সারা দেশে ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচির আওতায় চিরসবুজ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) এ কর্মসূচি পালিত হয়।

দৈনিক বাংলা ব্যুরো, জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদে বিস্তারিত

আবু তাহের ভূঁইয়া, ফেনী

‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষে ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচির আওতায় ফেনী জেলার শাহাদাতবরণকারী জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে শহিদের নিজ নিজ উপজেলার উপজেলা পরিষদে এলাকায় চিরসবুজ বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে। বৃক্ষের মধ্যে রয়েছে বকুল, জারুল, সোনালু, চম্পা, জলপাই, কৃষ্ণচূড়া ইত্যাদি। শনিবার (১৯ জুলাই) উক্ত কর্মসূচির আওতায় ফেনী সদর উপজেলায় চম্পা ও বকুল, সোনাগাজী উপজেলায় বকুল, সোনালু, জারুল, দাগনভূঞা উপজেলায় কৃষ্ণচূড়া, জারুল, সোনালু, ফুলগাজী উপজেলায় বকুল ও পরশুরাম উপজেলায় জলপাই গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।

জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি’: ফেনী

ফেনী সদর উপজেলায়, ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এতে শহিদ ছাইদুল ইসলাম শাহীর পিতা মো. রফিকুল ইসলাম, শহিদ ওয়াকিল আহম্মদ শিহাবের মাতা মাফুজা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইসমাইল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা নাসরীন কান্তা, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি ও সুধীরা উপস্থিত ছিলেন।

একইভাবে পরশুরাম, ফুলগাজী, সোনাগাজী, দাগনভূঞা, ছাগলনাইয়া উপজেলায়ও বৃক্ষ রোপণ করা হয়। এ সময় উপজেলাসমূহের উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শহিদের পিতা/ মাতা ও পরিবারের সদস্যরা, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ ও ছাত্র প্রতিনিধিগণ উপস্থিতি ছিলেন।

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

জুলাই শহীদদের স্মরণে সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জে ‘এক শহীদ, এক বৃক্ষরোপণ’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি’: সুনামগঞ্জ

জুলাই শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণে শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ১১ টায় জেলা কালেক্টর ভবন প্রাঙ্গনে শহীদ পরিবার ও আহতদের সঙ্গে নিয়ে এই বৃক্ষরোপণ করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়া মিয়া।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত সোহাগ, আয়াতুল্লাহ ও হৃদয়ের নামে জারুল, পলাশ ও কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপণ করা হয়। এছাড়াও জেলার অন্যান্য আহতদের শ্রদ্ধায় প্রাঙ্গণ এলাকায় বিভিন্ন ফুল ও কাটের চারা রোপণ করা হয়।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আয়াতুল্লাহর বাবা সিরাজুল ইসলাম, শহীদ সোহাগের ভাই বিল্লাল মিয়া, জুলাই যোদ্ধা ফয়সল আহমদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সমর কুমার পাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা জেরিন, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন, গণপূর্ত অধিদপ্তর এর নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান হিরা, বন বিভাগের কর্মকর্তা সাদ উদ্দিন আহমেদ সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

নাসির উদ্দিন শাহ মিলন, নীলফামারী

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর শহীদদের স্মরণে নীলফামারীতে ‘এক শহীদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৪টি গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে শহীদ রুবেলের স্মরণে বকুল গাছ, শহীদ নাঈমের স্মরণে আমলকি গাছ, শহীদ সাজ্জাদের স্মরণে আগর গাছ এবং শহীদ কালামের স্মরণে লটকন গাছের চারা রোপণ করা হয়।

জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি’: নীলফামারী

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোহসিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মীর সেলিম ফারুক ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা হক প্রধান বাচ্চু, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, জেলা জামায়াতের পলিটিক্যাল সেক্রেটারি মনিরুজ্জামান মন্টু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক সৈয়দ মেহেদী হাসান আশিক, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জেলা কমিটির সদস্য আখতারুজ্জামান খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নীলফামারী জেলা সভাপতি মাওলানা ইয়াসিন আলী, জেলা বন কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম, শহীদ রুবেলের পিতা রফিকুল ইসলাম ও শহীদ নাঈমের পিতা আজিজুল ইসলামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট স্মরণে নীলফামারীতে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে নীলফামারীর ৪শহীদের স্মরণে ৪টি বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। এই বৃক্ষগুলো আগামী প্রজন্মকে স্মরণ করিয়ে দেবে সেই সাহসী ইতিহাসের কথা।’

‘এক শহীদ এক বৃক্ষ’ কর্মসূচীর আওতায় কেশবপুরে অর্জুন গাছের চারা রোপণ করলেন ইউএনও

হারুনার রশীদ বুলবুল, কেশবপুর (যশোর)

‘এক শহীদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচীর আওতায় কেশবপুরের ভালুকঘর আজিজিয়া মাদরাসা মাঠে শহীদ তৌহিদুর রহমানের পিতাকে সঙ্গে নিয়ে বৃক্ষ রোপণ করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. রেকসোনা খাতুন। শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে কেশবপুরের শহিদ তৌহিদুর রহমানের স্মৃতি রক্ষায় তার পিতা আব্দুর জব্বার বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে ভালুকঘর আজিজিয়া মাদরাসা মাঠে একটি অর্জুন গাছের চারা রোপণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মশিয়ার রহমান, শিক্ষক মাওলানা আব্দুল করিম ও আইসিটি শিক্ষক নুরুল আমিন প্রমুখ।

জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি’: কেশবপুর (যশোর)

‎জামাল হোসেন পান্না, ‎নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ‘এক শহীদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচির আওতায় বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) নবীনগর সরকারি কলেজ মাঠে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরী। তিনি কলেজ ক্যাম্পাসে ৫ শহীদের নামে পাঁচটি গাছ রোপণ করেন।

জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি’: নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

‎এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ বিন মনসুর, নবীনগর পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী এম এম মকবুল হোসেন, নবীনগর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. সৈয়দ হোসেন, প্রভাষক আল ইফতে ইয়াসিন, মো. জহিরুল ইসলাম ও মো. মোশারফ হোসেন।‎

‎এছাড়াও কর্মসূচিতে অংশ নেন উপজেলা বিএনপি নেতা মাসুদুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নবীনগর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর হোসেন, ছাত্র সংসদের ইয়াছিন মাহমুদ, মাসুদুর রহমান প্রমুখ।

‎উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে নবীনগর উপজেলার মোট ৬জন শহীদ হন। এর মধ্যে ৫জন শহীদের নাম সরকারি গ্যাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শহীদরা হলেন- শহীদ রফিকুল ইসলাম, শহীদ কামরুল মিয়া, শহীদ তানজিল মাহমুদ সুজয়, শহীদ জাহিদুজ্জামান তানভীন ও শহীদ মো. জাহিদ হোসেন। ‎তাদের স্মৃতি অম্লান রাখতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদদের নামে ৫টি বৃক্ষ রোপণ করা হয়।

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে পঞ্চগড়ের যারা জীবন দিয়েছেন দেশের গণতন্ত্র ও ন্যায়ের জন্য, তাদের স্মরণে আয়োজন করা হলো একটি ব্যতিক্রমধর্মী পরিবেশবান্ধব কর্মসূচি, ‘এক শহীদ, এক বৃক্ষ’।

জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি’: পঞ্চগড়

শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন ইকো পার্ক চত্বরে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুমন চন্দ্র দাশ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আ্যাডভোকেট আদম সুফি, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান, সহকারী কমিশনার আমিনুল হক তারেক, জেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হরিপদ দেবনাথ এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা ও সেবামূলক সংস্থার প্রতিনিধিরা। গণঅভ্যুত্থানে শহীদ সাজু ইসলামের নামে নিম গাছ, শহীদ আবু সাঈদের নামে কাজুবাদাম গাছ, শহীদ সাগর রহমানের লটকন গাছ, শহীদ সাজু ইসলামের নামে জারুল গাছ ও শহীদ শাহাবুল ইসলাম শাওনের নামে হরীতকী গাছ রোপণ করা হয়। ওই বৃক্ষরোপণ শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং একটি চিরন্তন বার্তা বহন করছে। যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি। আয়োজকরা বলেন, এই কর্মসূচি কেবল পরিবেশ রক্ষার প্রয়াস নয়, বরং শহীদদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ। শহীদরা আমাদের কাছে কেবল ইতিহাসের চরিত্র নন, তারা আদর্শের বাতিঘর। তারা আরও বলেন, বৃক্ষ যেমন সময়ের সঙ্গে বড় হয়ে ছায়া দেয়, ফল দেয়, তেমনি শহীদদের ত্যাগও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দিকনির্দেশনা দেয়। এই গাছগুলো শহীদদের জীবনের মতোই সমাজে অবদান রাখবে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাদের স্মরণ করবে।

কার্ত্তিক দাস, নড়াইল

গাছের দিকে তাকালে দেখা যাবে ডাব কিংবা নারিকেল শূন্য গাছ। অনেক গাছের পাতা শুকিয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। এ দৃশ্য শুধু শহরেই নয়। গ্রামাঞ্চলেও এর প্রভাব পড়েছে। কৃষকসহ সাধারণ মানুষের বদ্ধমূল ধারণা মুঠোফোনের টাওয়ারের কারণে নারিকেলের ফলন কমে গেছে। বৈজ্ঞানিকভাবে এর কোনা সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও মানুষ থেমে থাকেনি নারিকেলের চারা রোপণ করতে। নারিকেলের নানা গুণাগুণের কারণে তা অব্যাহত রেখে চলেছে। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে নড়াইল জেলায় মোট ১৩ হাজার নারিকেল গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। নড়াইলের জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান নড়াইল মৎস্য খামারে গাছের চারা রোপণ করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় নারিকেল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই চারা লাগানো হচ্ছে।

জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি’: নড়াইল

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট ১৩ হাজার নারিকেল চারা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১০ হাজার চারা কৃষকদের মধ্যে, বাকি ৩ হাজার চারা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়।

জানতে চাইলে বিসিএস কৃষি ক্যাডার মো.আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মুঠোফোনের টাওয়ারের কারণে নারিকেলের ফলন কমে গেছে এমন ধারণা সঠিক নয়। তিনি বলেন, নারিকেলেরে ভালো ফলন পেতে হলে বছরে ৩বার গাছের গোড়ায় সার দিতে হয়। প্রথমবার বৈশাখ মাসের (মে মাসে) প্রথম সপ্তাহে, দ্বিতীয় বার সেপ্টেম্বর এবং তৃতীয়বার জানুয়ারি মাসের দিকে।

নারকেল গাছের ফলন বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত যত্ন ও সঠিক পদ্ধতিতে সার প্রয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ। মোবাইল টাওয়ারের কারণে নারকেল বা ডাবের ফলন কমে যাচ্ছে- এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবে, সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে সার প্রয়োগ করলে গাছ সুস্থ থাকে এবং ফলন বাড়ে।

তিনি বলেন, বছরে ৩ বার সার দেওয়া ভালো। প্রথমবার মধ্য বৈশাখে (মে মাসে), দ্বিতীয়বার মধ্য ভাদ্র মাসে (সেপ্টেম্বর মাস), তৃতীয়বার মধ্য মাঘ (জানুয়ারি মাস)। প্রতি গাছের জন্য সারের মাত্র (৩ ভাগে প্রয়োগ করা যাবে)। ইউরিয়া সার ৫০০ গ্রাম, টিএসপি ফসফেট ৩০০ গ্রাম, এমওপি পটাশ ৭৫০ গ্রাম,ডলোমাইট চুন ১ কেজি (বছরে ১বার) গোবর বা কম্পোজ সার ১০-১৫ কেজি। তিনি আরো বলেন, সার প্রয়োগের পদ্ধতি হচ্ছেঃ- গাছের চারপাশে ১ দশমিক ৫-২ ফুট দূরত্বে বৃত্তাকারে ৬-৮ ইঞ্চি গভীর গর্ত করুণ। সার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। প্রয়োগের পর পর্যাপ্ত পানি দিতে হবে। গাছের গোড়ায় আগাছা থাকলে পরিষ্কার করতে হবে। খরা মৌসুমে পর্যাপ্ত পানি দিতে হবে। রোগবালাই হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, সঠিক পদ্ধতিতে পরিচর্যা করলে বছরে ৭০- থেকে ১০০টির বেশি নারকেল পাওয়া যাবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নড়াইলের উপপরিচালক মো.জসিম উদ্দীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লিংকণ বিশ্বাস, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এইচ এম বদরুজ্জামান, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.রোকনুজ্জামানসহ অন্যান্য উপস্থিত ছিলেন।

শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা

‘মরুরে চাহিনা- চাহি বৃক্ষরে, নেব কিশলয়ে ঠাঁই, কচি সবুজের উৎসব আজি মোহনীয় মাগুরায়’ এ স্লোগান কে সামনে রেখে মাগুরা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ২০২৫ উপলক্ষে সাংবাদিকদের এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।

জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে ‘এক শহিদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি’: মাগুরা

মাগুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিকের সহযোগিতায় এ কর্মসূচির আওতায় মাগুরা কালেক্টর স্কুল, পারলা গোরস্থান মাদ্রাসা, নিশ্চিন্তপুর গোরস্থান মাদ্রাসা এবং বালিয়াডাঙ্গা মাদ্রাসায় এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়াও বাসা বাড়ির আঙিনায় এবং ছাদে গাছ লাগানোর জন্য মাগুরা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের মাঝে হাড়িভাঙ্গা ও বারী-৪ জাতের একশত আমের গাছ বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) মাগুরা প্রেসক্লাব চত্বরে গাছের চারা বিতরণ করেন ক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক সাইদুর রহমান, সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম শফিক, দপ্তর সম্পাদক শেখ ইলিয়াস মিথুন, সিনিয়র সাংবাদিক খান শরাফত হোসেন, এড. আরজু সিদ্দিকী, ওয়ালিউর রহমান, তারিকুল আনোয়ার তরুণ, এমএ হাকিম, লিটন ঘোষ, অলোক বোস, ইমরান প্রমুখ। জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে এ আয়োজন করা হয়।


ঝিনাইদহে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে নতুন সম্ভাবনা

*প্রতিটি তরমুজের ওজন ৩ থেকে ৫ কেজি হতে পারে *বিক্রি ১ লাখ ২৫ হাজার, গড়ে লাভ আড়াই মাসে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ জেলায় মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পরীক্ষামূলক তরমুজের আবাদ করে সাফল্য পেয়েছেন কৃষক আব্দুর রহিম বাদশা। রসে টইটম্বুর তরমুজ দেখতে খেতে ভিড় করছেন অনেকেই। ফলের ফলন ও স্বাদে খুশি কৃষকসহ কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জেলার সদর উপজেলার হলিধানী ব্লকে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের পাশের মাঠে তরমুজ চাষ করেন কৃষক আব্দুর রহিম বাদশা। নিজ উদ্যোগে বীজ সংগ্রহ করে ৫২ শতাংশ জমিতে রোপণ করেন গ্রীষ্মকালীন তরমুজ। গত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এ ফলের বীজ রোপণ করা হয়। তরমুজ গাছের গোড়ার আর্দ্রতা বজায় রাখতে ব্যবহার করা হয় মালচিং পদ্ধতি। পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে তৈরি করা হয়েছে মাচা। তাতেই ঝুলছে তরতাজা তরমুজ।

কৃষক আব্দুর রহিম বাদশা বলেন, ৫২ শতাংশ জমিতে ১১টি মাচা বা শেডে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। আধুনিক মালচিং পদ্ধতিতে এ আবাদ করেছি। খেতে সব মিলিয়ে দুই হাজারের বেশি ফল ধরেছে। ফলের আকার, রং, স্বাদ ও মান অত্যন্ত ভালো।

রহিম বাদশা আরও বলেন, একেকটি তরমুজের ওজন ৩ থেকে ৫ কেজি হতে পারে। পরিপক্ব হলে এই তরমুজ অনেক সুস্বাদু হবে। দুই মাসের পরিচর্যায় ফল ধরেছে। আর এক সপ্তাহ পরে ফল সংগ্রহ করা যাবে। ৫২ শতাংশ জমিতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এরই মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় বাগানের সব ফল বিক্রি করে দিয়েছি। গড়ে আড়াই মাসে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভ করা যায়।

এদিকে ব্যতিক্রমী তরমুজ খেত পরিদর্শন করেছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ টিম। গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় পরিদর্শন টিম তরমুজ খেতে আসেন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ’ এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তর (ডিএএম) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন’ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর জোরদারকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প ডিপিপির সংস্থান অনুযায়ী চলমান কার্যক্রম পরিদর্শনের (মধ্যবর্তী মূল্যায়ন) লক্ষ্যে এ পরিদর্শন টিম তরমুজ খেত পরিদর্শন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের ফসল উইং, কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম প্রধান ফেরদৌসী আখতার। আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের ফসল অনুবিভাগ, কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপপ্রধান রত্না শারমীন ঝরা, সিনিয়র সহকারী প্রধান প্রিয়াংকা দেবী পাল।

এ সময় পরিদর্শন টিমের সদস্যরা গ্রীষ্মকালীন তরমুজের বাম্পার ফলন দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

পরিদর্শন টিমে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ মো. সেলিম রেজা, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নূর এ নবী, সদর উপজেলার হলিধানী ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নূর এ নবী বলেন, ব্যতিক্রমী গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে জেলায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আমরা নিয়মিত কৃষকের নানা ধরনের লাভজনক চাষে উদ্বুদ্ধ করছি।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের ফসল উইং, কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম প্রধান ফেরদৌসী আখতার বলেন, স্বল্পমেয়াদি ফসল হওয়ায় কৃষক গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে আরও বেশি আগ্রহী হবে বলে আমরা মনে করি। এ ধরনের চাষে কৃষককে সার্বিক সহযোগিতা দিতে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য।


চায়ের কচি সবুজ পাতায় হাসছে চাষি, খুশি দামেও

*চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৯৪০ হেক্টর জমিতে চায়ের চাষ হয়েছে *১ কোটি ৫২ লাখ কেজি চা উৎপাদনের আশা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. মিজানুর, পঞ্চগড়

চায়ের কচি সবুজ পাতায় ছেয়ে গেছে পঞ্চগড়ের দিগন্তজোড়া চা বাগানগুলো। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাগানগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ কাঁচা চা পাতা পাচ্ছেন স্থানীয় চা চাষিরা। এতে সবুজ হাসির ঝিলিক পড়ছে চাষিদের চোখে-মুখে,তারা খুশি ন্যায্য দামেও।

স্থানীয় চাষিরা বলছেন, মৌসুমের শুরু থেকেই চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা কর্তৃপক্ষ চাষিদের কাছ থেকে প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতা ২৯ থেকে ৩৪ টাকা কেজি দরে কিনছে। অথচ গত ম‍ৌসুমে এই চিত্র ছিল একেবারেই ভিন্ন।

অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা মালিকদের অনৈতিক সিন্ডিকেটের কারণে প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতা ৭ টাকা থেকে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে বাধ‍্য হয়েছিল। শুধু তাই নয়, প্রতি একশ কেজি কাঁচা চা পাতার বিপরীতে চা চাষিদের ৭০ কেজি পাতার দাম পরিশোধ করেছিল কারখানাগুলো। এ নিয়ে মিছিল- মিটিং, সভা- সমাবেশ করেও কাঁচা চা পাতার ন‍্যায‍্য দাম পেতে ব‍্যর্থ হওয়ায় হতাশ চা চাষিরা তাদের চায়ের বাগান তুলে ফেলে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার চাষিরা পাচ্ছেন কাঙ্ক্ষিত দাম।

স্থানীয় চা চাষি আমিনার রহমান ও মোতাহার হোসেন জানিয়েছেন. আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে তাদের বাগানে কাঁচা চা পাতার উৎপাদন ও মান দুটোই ভালো হয়েছে। একই কারণে চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানাগুলো প্রতিযোগিতামূলকভাবে কাঁচা চা পাতা কিনছে। তাছাড়া এবার সিন্ডিকেট না থাকায় গত মৌসুমের তুলনায় এবার কাঁচা পাতার দাম প্রায় চারগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

চা চাষি মতিয়ার রহমান জানান, গত মৌসুমে প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতা ৭ টাকা থেকে ১০ টাকা কেজি দরে চা পাতা বিক্রি হলেও অতিরিক্ত ২০ থেকে ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত পাতা নিত। যেটার দাম পরিশোধ করত না কারখানা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এবার সেই অনৈতিক নিয়ম না থাকায় ও দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। একই কারণে অসংখ্য বেকার শ্রমজীবী মানুষ খুঁজে পেয়ে কাজের ঠিকানা।

তবে অনৈতিক সিন্ডিকেটের অভিযোগ অস্বীকার করে নর্থ বেঙ্গল চা কারখানার ম‍্যানেজার সোহাগ জানান, গত মৌসুমে উৎপাদিত কাঁচা চা পাতার মান ভালো না থাকায় চায়ের মান খারাপ ছিল। একই কারণে অকশন মার্কেটে দর পতন ঘটে। যেকারণে কাঁচা চা পাতার দরও কম ছিল। এবার চা পাতার মান ভালো হয়েছে। চায়ের মান ভালো হচ্ছে। অকশন মার্কেটে প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি হওয়ায় কাঁচা চা পাতার দামও বেড়েছে।

পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ডের উন্নয়ন কর্মকর্তা আরিফ খান জানান, গত মৌসুমে জেলায় চায়ের উৎপাদন লক্ষ‍্যমাত্রা অর্জিত না হলেও চলতি মৌসুমে চা বাগানগুলোতে কাঁচা চা পাতার উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় লক্ষ‍্যমাত্রা পেরিয়ে যাবে।

চলতি মৌসুমে জেলায় ৩ হাজার ৯শ ৪০ হেক্টর সমতল জমিতে চায়ের চাষ হয়েছে। এ থেকে ১ কোটি ৫২ লাখ কেজি উন্নতমানের চা উৎপাদনের আশা করছেন চাষিরা।


পরিবারসহ র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হারুন-অর রশীদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জেমকন গ্রুপের পরিচালক আনিসেরও
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সাবেক মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মো. হারুন-অর রশীদ, তার স্ত্রী ফাতেহা পারভীন লুনা, মেয়ে ফাহমিদা ফারাহ ফাবিয়া ও নুসরাত যারীনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. সাব্বির ফয়েজ দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন।
তিনি আরও জানান, দুদকের পক্ষে আবেদনটি করেন সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক ইমরান আকন।
আবেদনে বলা হয়েছে, ব্যারিস্টার মো. হারুন-অর রশীদের বিরুদ্ধে এক হাজার কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে দুদকের
অনুসন্ধানকালে জানা গেছে যে হারুন এবং তার পরিবারের সদস্যরা দেশের ভেতর আত্মগোপনে রয়েছেন এবং যেকোন সময় দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন।
তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা একান্ত প্রয়োজন বলে আবেদনটি দাখিল করেছে দুদক।

জেমকন গ্রুপের পরিচালক আনিসেরও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
এদিকে দুর্নীতি মামলা চলমান থাকায় জেমকন গ্রুপের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। সেইসঙ্গে, তার ২০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ও বিভিন্ন স্থাবর সম্পত্তি জব্দের আদেশ ও স্থাবর সম্পত্তিগুলো পরিচালনার জন্য রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, জব্দ হওয়া সম্পত্তিগুলোর মধ্যে ঢাকা ও পঞ্চগড়ে অবস্থিত জমি ও ফ্ল্যাটবাবদ ৭ কোটি ২০ লাখ টাকার স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। আরও আছে বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা ৮৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. সাব্বির ফয়েজ দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন।


লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলমের হাইকোর্টে জামিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

জামিন চেয়ে এই দুজনের করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও ফজলুর রহমান এবং আইনজীবী এম আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া শুনানিতে ছিলেন।

মঞ্জুরুল আলমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন ও রমজান আলী শিকদার এবং আইনজীবী প্রিয়া আহসান চৌধুরী।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।

হাইকোর্ট মঞ্জুরুল আলমকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন জানিয়ে আইনজীবী রমজান আলী শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফলে তাঁর কারামুক্তিতে আপাতত বাধা নেই।’

লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবী এম আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্ট রুল দিয়ে তার মক্কেলকে (লতিফ সিদ্দিকী) অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ কোনো উদ্যোগ না নিলে তার কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই।

আটকের ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পর গত ২৮ আগস্ট রাত পৌনে একটার দিকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। রাজধানীর শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ আগস্ট সকালে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমানসহ অন্যরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিতে যান। ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজক ছিল ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নাম ছিল। তবে তিনি সেখানে ছিলেন না। সেদিন সকাল ১০টায় গোলটেবিল আলোচনা শুরুর কথা ছিল। তবে তা শুরু হয় বেলা ১১টায়।

আলোচনা সভায় প্রথমে বক্তব্য দেন শেখ হাফিজুর রহমান। শেখ হাফিজুর রহমানের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই মিছিল নিয়ে একদল ব্যক্তি ডিআরইউ মিলনায়তনে ঢোকেন। এ সময় তারা ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘জুলাইয়ের যোদ্ধারা, এক হও লড়াই করো’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

একপর্যায়ে তারা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে আলোচনায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের (ডিএমপি) একটি দল এলে তাঁরা পুলিশের কাছে লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ অন্তত ১৬ জনকে তুলে দেন।


জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জিজ্ঞাসাবাদের নামে মারধর-নির্যাতনসহ হত্যাচেষ্টার অভিযোগে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুজ্জামানের আদালতে নালিশি মামলার আবেদন করেন মো. জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে ‘জুলাই যোদ্ধা’ দাবি করেছেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে রাজধানীর শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলায় আসামি হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁরা হলেন- সাইদুর রহমান শাহিদ (জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন), সাগর (জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন), ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভেরিফিকেশন অফিসার ইফতেখার হোসেন, কর্মকর্তা আফজালু রহমান সায়েম, এক্সিকিউটিভ মেম্বার সাবরিনা আফরোজ শ্রাবন্তী, সোনিয়া আক্তার লুবনা (নারায়ণগঞ্জ), ফাতেমা আফরিন পায়েল (জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন), ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা আলিফ, মেহেদী হাসান প্রিন্স ও জাহিদ।

মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, তিনি একজন ‘জুলাই যোদ্ধা’। চলতি বছরের ২৭ মে অনুদান চেয়ে দালিলিক প্রমাণ দাখিলের জন্য তিনি ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে যান। ফাউন্ডেশনে কর্মরত সাইদুরসহ অন্য আসামিরা তাকে আলোবিহীন রুমে নিয়ে যান। তাঁর আহত হওয়ায় ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তিনি আওয়ামী লীগ ও পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা জানান। এ সময় তাকে মারধর করা হয়। আসামি সাইদুর পাইপ দিয়ে তাকে মারেন। একপর্যায়ে বাদী জ্ঞান হারান। পরবর্তী সময়ে জ্ঞান ফিরে এলে আসামিরা আবার তাকে মারধর শুরু করেন। বাদী ভুয়া জুলাই যোদ্ধা—এই কথা বলার জন্য চাপ দিতে থাকেন আসামিরা। আসামিরা জোর করে বাদীর হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেন। বিএনপি নেতার সঙ্গে ছবি দেখে তাকে আবার মারধর করতে থাকেন আসামিরা। এরপর জোর করে ডান হাতে একটি ইনজেকশন পুশ করে রাস্তায় অচেতন অবস্থা ফেলে দেন। পরবর্তী সময়ে মামলার বাদী অসুস্থ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এরপর আদালতে মামলা করলেন।


কেরানীগঞ্জে দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার, মোটরসাইকেল উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী রাজু হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভোর ৬ টার সময় নিজ বাড়ি হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ছিনতাইকৃত একটি মোটরসাইকেল, আইফোন, নগদ টাকা ও মালামাল উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, গত ৫ নভেম্বর ভোরে রাজু হাওলাদার তার সহযোগীদের নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কেরানীগঞ্জ চুনকুটিয়া এলাকায় এক পথচারীকে লক্ষ্য করে রামদা দিয়ে আঘাত করে মোটরসাইকেল, মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে আহত অবস্থায় ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তৎপরতা শুরু করে।

ঢাকা জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান মমিনের নির্দেশনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সৈয়দ আক্তার হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করেন এসআই জাহাঙ্গীর আলম ও এএসআই একরামুল। অভিযানে সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার খেজুরবাগ এলাকায় অবস্থানরত রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার কাছ থেকে ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার রাজু হাওলাদার (২৬) মঠবাড়িয়া উপজেলার পিরোজপুর জেলার চর খেয়ারবাগ গ্রামের ফিরোজ হাওলাদারের ছেলে। বর্তমানে সে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের খেজুরবাগ এলাকায় বসবাস করছিল।

পুলিশ জানায়, রাজু একজন চিহ্নিত ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে পূর্বেও একাধিক মামলা রয়েছে। নতুন ঘটনায়ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ আক্তার হোসেন জানান, গ্রেপ্তার রাজু দীর্ঘদিন ধরে, চুনকুটিয়া, খেজুরবাগ, ঝিলমিল আবাসন প্রকল্প, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক ও এর আসপাশের এলাকায় ছিনতাই করে আসছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তার সহযোগীদেরও শনাক্তের চেষ্টা চলছে।


মধুপুরে বিনামূল্যে সেনাবাহিনীর চক্ষু চিকিৎসাসেবা ক্যাম্প

মধুপুরে সেনাবাহিনীর চক্ষু চিকিৎসাসেবা ক্যাম্পে সেবা নিচ্ছে রোগীরা।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে গরীব ও দুস্থদের বিনামূল্যে সেনাবাহিনীর চক্ষু চিকিৎসাসেবা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে এলাকার হত দরিদ্র্য দুস্থ নারী পুরুষ চক্ষু রোগীরা বিনামূল্যে তাদের চক্ষু চিকিৎসা পেয়েছে। বৃহস্পতিবার মধুপুর উপজেলার কাকরাইদ বিএডিসি কৃষি বীজ উৎপাদন খামারের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের উদ্যোগে স্থানীয় রোগীদের বিনামূল্যে এ দিনব্যাপী চক্ষু চিকিৎসাসেবা মেডিকেল ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের অধিনস্থ ৯৮ সংমিশ্রিত ব্রিগেডের তত্ত্ববাবধানে ৩৭ এডি রেজিমেন্ট এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় মধুপুর বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) এলাকায় চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে। এই মেডিকেল ক্যাম্পেইনে মোট দেড় শতাধিক গরীব ও দুস্থ জনসাধারণকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ প্রদান করে। পাশাপাশি বিভিন্ন রোগীকে তাদের প্রয়োজন মতো চশমাও প্রদান করা হয়।

সেবা গ্রহণ করতে আসা রোগী রওশন আরা বেগম (৫০) জানান, আমি এর আগে ময়মনসিংহে আমার একটি চোখ দেখিয়েছিলাম, আজ এখানে আর্মির ডাক্তার দেখালাম। আমার মনে হয় তাদের চেয়ে এখানকার চিকিৎসা ভাল লাগছে।

কাকরাইদ গ্রামের শান্তি বেগম (৫০) জানান, তিনি সকালে এসেছে চিকিৎসাসেবা নিতে। সে দূরে দেখে কিন্তু কাছে কম দেখে। চুলকায় চোখে পানি পড়ে এ জন্য তিনি এসেছে।

আলী আজগর ৪২ জানান, তার বাড়ি কাকরাইদ গ্রামে। চোখে কম দেখেন। চোখে পানি আসে। ডাক্তার দেখাতে পেরে সে খুব খুশি।

এ ধরনের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদানের মাধ্যমে ১৯ পদাতিক ডিভিশন এ অঞ্চলের গরিব ও দুস্থ জনসাধারণের পাশে দাঁড়ানোসহ জনগণের সার্বিক কল্যাণে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। এরূপ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অব্যাহত থাকবে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়।

দিনব্যাপী এ ক্যাম্পে মধুপুরের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক চোখের রোগী সেবা নেন।


নদীর অবৈধ দখল ও নাব্যতা সংকট নিরসনে নানা উদ্যোগ

কেশবপুরে পরিদর্শনে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন চেয়ারম্যান
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুরের আপারভদ্রা নদীর অবৈধ দখল-দূষণ ও নাব্যতা সংকটে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের নদী পরিদর্শন করেছেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মকসুমুল হাকিম চৌধুরী যশোর সফরে, কেশবপুরের বিভিন্ন পয়েন্টে নদীর দখল, দূষণ ও খনন কার্যক্রম পর্যালোচনা করবেন। আরও উপস্থিত ছিলেন কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ নেওয়াজ সহ অনেক কর্মকর্তারা। কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলায় অবস্থিত আপারভদ্রা, মুক্তেশ্বরীসহ অন্যান্য নদীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখল, বর্জ্য প্রবাহ ও নাব্যতা হ্রাসের কারণে পানি নিষ্কাশন ও সেচের সমস্যা ক্রমশ তীব্র হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ৫ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মকসুমুল হাকিম চৌধুরী জেলার বিভিন্ন পয়েন্ট সরেজমিন পরিদর্শনে আসছেন। কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে আপারভদ্রা নদীর অবৈধ দখল, দূষণ ও নাব্যতার বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করা হবে। একই সাথে হরিহর, হরিতেলিগাতি, টেকা ও শ্রী নদীসহ ৬টি নদীর মোট ৮১.৫ কিলোমিটার পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই খননকার্যের উদ্দেশ্য হলো ভবদহ অঞ্চলের দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতা ও নদীর নাব্যতা সংকট ঘুরিয়ে দাঁড়ানোর। মুক্তেশ্বরী নদীতে অনেক অংশ দখল হয়ে ধীরে ধীরে নাব্যতা হারাচ্ছে। এক সংবাদ অন্বেষণে দেখা গেছে এক অংশকে বিক্রির জন্য চিহ্নিত করেছে, নদীর মোহনাংশ ধীরে ধীরে মাটিতে পরিণত হচ্ছে। নদীর ভরাট, অবৈধ মাছচাষ, বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় জলপ্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। ভবদহ অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ৫ লাখেরও বেশি মানুষ জলাবদ্ধতায় ভুগছেন। ২৪ অক্টোবর কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলায় মোট ৬টি নদীর জন্য ১৪০ কোটি টাকার খনন কাজের উদ্ধোধন করা হয়। খননের পরিমাণ ৮১.৫ কিলোমিটার। সেনাবাহিনী- পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে এই কাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসন আশা করছে, এই কাজের মাধ্যমে ভবদহ এলাকার স্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকড় থেকে মুক্তি মিলবে। যশোর জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘খুবই দ্রুতগতিতে কাজ এগোয়নি গেল কয়েক বছর; এখন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা হবে।’
পরিবেশ-উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান মোবাইল ভার্চুয়াল মাধ্যমে বলেন, ‘নদীর নাব্যতা, দখল ও দূষণ একসাথে বিবেচনায় নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রয়োজন।’
নদী পুনরুদ্ধারে শুধু খনন যথেষ্ট নয় নিচের বিষয়গুলোর দিকে বিশেষ নজর প্রয়োজন: নদীর সীমানা পুনরায় নির্ধারণ ও আইনানুগভাবে চিহ্নিত করা। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও দখলকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া। নদীতে বর্জ্য প্রবাহ রোধ ও নিকাশীর সমন্বিত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। স্থানীয় জনজীবন ও কৃষিতে নদীর ভূমিকা পুনরুদ্ধার করা-যেমন সেচ, মৎস্য ও পরিবেশীয় ভারসাম্য। কমিশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে নিয়মিত সমন্বয় ও মনিটরিং সিস্টেম চালু রাখতে হবে।


তিতাস গ্যাস কর্তৃক জরুরী বিজ্ঞপ্তি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তিতাস গ্যাস -এর পাইপলাইনের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য আগামী ০৭/১১/২০২৫ তারিখ (শুক্রবার) সকাল ০৯ টা হতে ০৮/১১/২০২৫ তারিখ (শনিবার) সকাল ০৭ টা পর্যন্ত মোট ২২ (বাইশ) ঘণ্টা কড্ডা, কোনাবাড়ী, জরুন, সুরাবাড়ী, কাশিমপুর, মৌচাক, সফিপুর, চন্দ্রা, কালিয়াকৈর, শ্রীপুর, নবীনগর, সাভার ক্যান্টনমেন্ট, আশুলিয়া, জিরাবো ও তৎসংলগ্ন এলাকার সকল শ্রেণীর গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত ---- তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।


তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ কালীগঞ্জ আন্তঃওয়ার্ড ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি

‘এসো দেশ বদলাই, এসো পৃথিবী বদলাই’ এই অনুপ্রেরণামূলক স্লোগানকে সামনে রেখে তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হলো আন্তঃওয়ার্ড ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ. টি. এম কামরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই খেলাটি ছিল তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করার এক প্রাণবন্ত আয়োজন। ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হয় জাঙ্গালীয়া ইউনিয়ন ১/২ নং ওয়ার্ড বনাম ৬ নং ওয়ার্ড। উত্তেজনাপূর্ণ এই খেলায় ১/২ নং ওয়ার্ড দল ৬ নং ওয়ার্ডকে ১-০ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়নের গৌরব অর্জন করে। মাঠে ছিল দর্শকদের উচ্ছ্বাস আর তারুণ্যের প্রাণচাঞ্চল্য।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলার অভিভাবক, শিক্ষা ও ক্রীড়ানুরাগী, সর্বজনপ্রিয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ. টি. এম কামরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলার পি.আই.ও আবুল কালাম আজাদ।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের প্রশাসক আবুল হোসাইন আকাশ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জাঙ্গালীয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা, যাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

ফাইনাল ম্যাচ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা খেলোয়াড়দের মনোবল বাড়াতে মূল্যবান পরামর্শ ও উৎসাহ প্রদান করেন। বক্তারা বলেন, ‘খেলাধুলা তরুণদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ, আত্মবিশ্বাসী ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে।’

অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করতে জাঙ্গালীয়া গ্রামের যুব সমাজসহ সকল সহযোগীদের প্রতি জাঙ্গালীয়া ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো হয়।

তারুণ্যের উৎসব ২০২৫- খেলার মধ্য দিয়েই গড়ে উঠুক নতুন বাংলাদেশ, বদলে যাক পৃথিবী!


পাংশায় পুলিশের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ২ পুলিশ সদস্য আহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর পাংশায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্যসহ এক স্থানীয় ব্যক্তি আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার পাট্টা বিলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে আলম শেখ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন পুলিশ।

পুলিশ জানা যায়, পাংশা মডেল থানার এসআই (নি.) মো. নজরুল ইসলাম, এসআই (নি.) ওবায়দুর রহমান, এএসআই (নি.) পরিতোষ মজুমদার, কনস্টেবল হুমায়ুন কবির ও আতোয়ার রহমানসহ একটি দল চাঁদাবাজি ও হামলা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে যান।

এ সময় পাট্টা বিলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আসামি সবুজ (৩০), সজিব (২৫), সেন্টু (২৬)সহ আরও ১০–১২ জন পুলিশকে লক্ষ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি, ককটেল জাতীয় বিস্ফোরক ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে স্থানীয় আকুল (৫৫) নামের একজন সন্ত্রাসীদের ছোড়া ছররা গুলিতে আহত হন।

স্থানীয়রা পুলিশের সহায়তায় সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। হামলার সময় এসআই নজরুল ইসলাম ও কনস্টেবল আতোয়ার রহমান ইটের আঘাতে আহত হন। পরে এসআই নজরুল ইসলামকে আসামি আলম শেখ কিল-ঘুষি মেরে আহত করে। তবে পুলিশি চেষ্টায় আলম শেখকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়, বাকি আসামিরা পালিয়ে যায়।

ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।


রাণীনগরে রেলগেটের যানজট নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর রাণীনগরের গলার কাঁটা রেলগেটের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে আন্ডারপাস কিংবা ফ্লাইওভার নির্মাণের দাবিতে উপজেলার সর্বস্তরের আমজনতারা মানববন্ধন করেছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার রেলগেটে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রাণীনগর প্রেসক্লাবের সভপতি অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ, উপজেলা বিএনপির সম্পাদক মোসারব হোসেন, বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামী রাণীনগর শাখার আমীর ডা. আনজীর হোসেনসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ব্যক্তিরা। মানববন্ধনে উপজেলার সুধীজন, রাজনৈতিক ব্যক্তি, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষরা অংশগ্রহণ করে। এছাড়া সর্বস্তরের শ্রেণিপেশার কয়েক হাজার সাধারণ মানুসরাও অংশগ্রহণ করে।

এ সময় বক্তারা বলেন, রাণীনগর রেলগেট অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। রেললাইনের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়ক। যে সড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলার ভারী যানবাহন ঢাকাসহ অন্যান্য জেলার সঙ্গে চলাচল অব্যাহত রেখেছে। অপরদিকে নওগাঁ-রাণীনগর-আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ সড়কে যেতে হলেও এই রেলগেট পার হতে হয়। দুটি আঞ্চলিক সড়কের মিলনস্থল এই রেলগেট। ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গে চলাচলের জন্য দিন দিন ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও রেলগেটের কোনো উন্নয়ন হয়নি। যার কারণে প্রতিদিনই ট্রেন চলাচলের সময় রেলগেট পড়ার পর দুপাশে প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের শিকার হতে হচ্ছে এই অঞ্চলের হাজার হাজার পথচারীদের। বছরের পর বছর কোনো সংস্কার না করা এবং বিকল্প কোনো সড়কের সৃষ্টি না করার কারণে এই রেলগেট বর্তমানে অত্র অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। এই বিষয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা বহুবার লেখালেখি করেও আজ পর্যন্ত কোনো দপ্তরের সুদৃষ্টি পড়েনি।

এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার পথচারীদের প্রতিদিনই যানজট নামক মরণফাঁদে পড়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাই দ্রুত এই রেলগেট বিকল্প পথ হিসেবে আন্ডারপাস কিংবা ফ্লাইওভার নির্মাণ করার আশ্বাস না দিলে আগামীতে রেলপথ অবরোধ করাসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করতে উপজেলাবাসী বাধ্য হবেন বলে মানববন্ধনে হুশিয়ার প্রদান করেন বক্তারা।


চট্টগ্রামে সাড়ে ৬ কোটি টাকার আমদানি নিষিদ্ধ পপি বীজ জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

পাখির খাদ্যের আড়ালে পাকিস্তান থেকে আসলো ২ কনটেইনার আমদানি নিষিদ্ধ পপি বীজ। প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকার আমদানি নিষিদ্ধ পপি বীজ জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্স (এআইআর) শাখা চালানটি আটক করে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃক গণমাধম্যে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

কাস্টমস জানায়, গত ৯ অক্টোবর বার্ড ফুড হিসেবে দুই কনটেইনারে ৩২ হাজার ১০ কেজি পণ্যের একটি চালান চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। পরে সেটি খালাসের জন্য বেসরকারি অফডক ছাবের আহমেদ টিম্বার কোম্পানি লিমিটেডের ডিপোতে নেওয়া হয়। চালানটির আমদানিকারক চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার কোরবানিগঞ্জ এলাকার ‘মেসার্স আদিব ট্রেডিং’। চালানটি খালাসের জন্য খালাসের জন্য নগরীর হালিশহরের শান্তিরবাগ এলাকার এম এইচ ট্রেডিং কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লিমিটেড বার্ড ফুড ঘোষণা দিয়ে গত ১৪ অক্টোবর কাস্টমসের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। পরে চালানটির উৎস, রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকের ব্যবসার ধরণ পর্যালোচনা করে চালানটিতে মিথ্যা ঘোষণার পণ্য আছে সন্দেহে চালানটির খালাস স্থগিত করে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে লক করে দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা চালানটির খালাস স্থগিত করে পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেন। পরে ২২ অক্টোবর কনটেইনার দুটি খোলা হয়। উদ্ধার পণ্যের নমুনা তিনটি পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা পপি বীজ সম্পর্কে নিশ্চিত হন। এতে সাত টন পাখির খাবার ও ২৫ টন পপি বীজ পাওয়া যায়। বিষয়টি গোপন রাখতে পাকিস্তানে পণ্য বোঝাই করার সময় কনটেইনার দরজার মুখে পাখির খাদ্যের বস্তা রাখা হয়। ভেতরের দিকে রাখা হয় পপি বীজ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পণ্যচালানটির ঘোষিত মূল্য ছিল ৩০ লাখ ২ হাজার ৪৮২ টাকা। কিন্তু কায়িক পরীক্ষণে প্রাপ্ত পণ্যের বাজার মূল্য প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এসব পণ্য আমদানিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে কাস্টমসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।


banner close