নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের সকলেই মাইক্রোবাসের যাত্রী ছিলেন।
বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সিরামপুর আইড়মারী ব্রিজ এলাকায় বনপাড়া- হাটিকুমরুল মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে ৫ জন নারী এবং একজন পুরুষ। তবে এখন পর্যন্ত তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে বরাইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, নাটোর থেকে ঢাকাগামী মাইক্রোবাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন নিহত হন।
এ ছাড়া চালকসহ আহত ২ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়। আহত চালকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ওসি গোলাম সারোয়ার।
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির পথসভাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জের সদর উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, জেলা কারাগারসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ও নাগরিক নিরাপত্তা ব্যাহত হওয়ার বিষয় এবং অন্যান্য ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করবে এই কমিটি।
তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি ও মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবু তারিককে। এছাড়া কমিটির সদস্য রয়েছেন- স্বরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান, আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, যশোরের ২১ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহীদুর রহমান ওসমানী, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক ও পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক সরদার নূরুল আমিন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী।
কমিটিকে রাজনৈতিক সভায় আক্রমণ ও বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও সংগঠনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ করবে কমিটি। আর কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
তদন্ত কমিটি আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুস্পষ্ট মতামত ও সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
আগামী নির্বাচনের আগে কিছু মৌলিক সংস্কার ও অপরাধীদের বিচার দৃশ্যমান জামায়াতে ইসলামী আশা করে বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী আশা করে আগামী বছরের প্রথমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর আগে কিছু মৌলিক সংস্কার ও অপরাধীদের বিচার দৃশ্যমান হতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকালে সিলেট নগরীর বালুচরে শিল্পকলা একাডেমিতে মহানগর জামায়াতের আয়োজনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচনে মানুষ তার পছন্দের দল বা ব্যক্তিকে ভোট দিতে পারেননি। সেরকম নির্বাচন হলে তা জাতির জন্য দুঃখের ও বেদনার কারণ হবে। নির্বাচনের আগে অন্তত দুই-চারজন শীর্ষ অপরাধীদের শাস্তি দেখতে চাই।’
তিনি বলেন, আগামীতে যেই সরকারে আসুক তাকে অপরাধীদের শাস্তি বা বিচারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। তা না হলে যুবকরা আবার রাস্তায় নেমে আসবে। তারা এখন পথ চিনে ফেলেছে।
জামায়াতের আমির বলেন, একটা যুদ্ধ হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে, দেশবাসীকে নিয়ে আরেকটা যুদ্ধ হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং এই যুদ্ধেও বাংলাদেশের মানুষের জয় হবে।
তিনি বলেন, আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছি আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী। আহতদের পাশেও থাকার চেষ্টা করেছি সাধ্যমতো। ইনশাল্লাহ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব আমরা পেলে অবশ্য শহীদ পরিবার এবং আহতদের যথাযত সম্মান দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ইতিহাস যাতে বিকৃত না হয় সেজন্য আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের তথ্য লিপিবদ্ধ করা শুরু করেছি।
তিনি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, যে দল তার কর্মীদের চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করতে পারে না, তাদের কাছে দেশ নিরাপদ নয়। তিনি বলেন, সরকারি অব্যবস্থাপনা ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে চা শিল্প রুগ্ণ শিল্পে পরিণত হয়েছে। দেশের সব জায়গায় সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজি চলছে।
শফিকুর রহমান বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। আমরা ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক তরুণ তরুণীকে দেশ গড়ার কাজে গড়ে তুলব।
কোনো দেশ আমাদের প্রভু নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবেশীদের অধিকার
সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
সভায় আরও বক্তব্য দেন, জামায়াতের সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, হবিগঞ্জ জেলা আমির মখলিছুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী, মাওলানা লুৎফর রহমান হুমায়দী, জামিল আহমদ রাজু, শামীম আহমদ, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি শাহজাহান আলী ও নায়েবে আমির নুরুল ইসলাম বাবুল।
সভায় শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত যোদ্ধারা বক্তব্য রেখেছেন।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত অজ্ঞাত পাঁচ শিশুর পরিচয় ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে শনাক্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি জানায়, গত ২২ জুলাই ঢাকা সিএমএইচে রক্ষিত অজ্ঞাত মৃতদেহ ও দেহাংশ থেকে তাদের ডিএনএ ল্যাবের সদস্যরা ১১টি নমুনা সংগ্রহ করেন। এসব নমুনা বিশ্লেষণ করে পাঁচজন নারীর ডিএনএ প্রোফাইল শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে, এসব প্রোফাইল ৫টি ভিন্ন পরিবারের ১১ জন সদস্যের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মেলানো হয়। এতে পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
শনাক্ত হওয়া পাঁচ নারী হলেন— মো. ফারুক হোসেন ও সালমা আক্তার দম্পতির মেয়ে কিয়া ফেরদৌস নিধি (পিএম নম্বর: ৬২৫)।
মো. বাবুল ও মাজেদা দম্পতির মেয়ে লামিয়া আক্তার সোনিয়া (পিএম নম্বর: ৬২৬, ৬৩১, ৬৩২, ৬৩৩–এম৯, এম১০, এম১১)।
মো. আব্বাস উদ্দিন ও মোসা. মিনু আক্তার দম্পতির মেয়ে আফসানা আক্তার প্রিয়া (পিএম নম্বর: ৬২৭, ৬২৮)।
মো. শাহাবুল শেখ ও মিসেস মিম দম্পতির কন্যাসন্তান রাইসা মনি (পিএম নম্বর: ৬২৯)।
মো. আব্দুল কাদির ও উম্মে তামিমা আক্তার দম্পতির মেয়ে মারিয়াম উম্মে আফিয়া (পিএম নম্বর: ৬৩০)।
সিআইডি সূত্রে আরও জানা যায়, বিমান দুর্ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত ডিএনএ প্রযুক্তির মাধ্যমে অজ্ঞাত পরিচয় মৃতদের শনাক্তে কাজ করে যাচ্ছে সংস্থাটি। নিহতদের লাশ পুড়ে যাওয়ায় চেহারা দেখে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ফলে আত্মীয়দের দেওয়া ডিএনএ নমুনার ভিত্তিতে এই প্রোফাইলিং করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আরও কয়েকজনের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ বিশ্লেষণের কাজ চলছে। শনাক্তদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও শুরু হবে দ্রুত।
তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২৩ জুলাই (বুধবার) ২০২৫ তারিখে জনাব সিমন সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ -এনায়েতনগর-কাশীপুর এর আওতাধীন কামরাঙ্গীরচর এলাকার ১টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে মেসার্স ক্রোনি এপারেলস লি:, হাটখোলা, কাশীপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। ইতঃপূর্বে বিচ্ছিন্নকৃত গ্রাহক মেসার্স ক্রোনি এপারেলস লি: কর্তৃক অবৈধভাবে ০২ ইঞ্চি ব্যাসের সার্ভিস লাইন স্থাপন করে বাইপাসের মাধ্যমে অবৈধপন্থায় গ্যাস ব্যবহার করায় গ্রাহকের অবৈধ বাইপাস লাইন উচ্ছেদপূর্বক উৎস পয়েন্ট হতে কিলিং করা হয়। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে অবৈধ সার্ভিস লাইন স্থাপন করে গ্যাস ব্যবহার করায় গত ০৯/০২/২০২৪ ইং এবং ১২/০৩/২০২৫ ইং তারিখে গ্রাহকের অবৈধ সার্ভিস লাইন বিচ্ছিন্নপূর্বক কিলিং করা হয়েছে। গ্রাহক অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করায় ইতোপূর্বে গ্রাহকের বিপরীতে বিল জরিমানা ধার্যকরনসহ মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা চলমান রয়েছে।
একই দিনে, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -সাভার -এর বিশেষ অভিযানে মেসার্স বিসমিল্লাহ্ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, কাজী মার্কেট, কাশিমপুর, গাজীপুর -এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সর্বমোট মাসিক লোড ১,৭৩৩ ঘনমিটার। সংযোগ বিচ্ছিন্নের ফলে মাসিক ৫২,৮৫৭ টাকার গ্যাস চুরি রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
এছাড়া, জনাব মোঃ মুশফিক-উল-আলম, সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, গাজীপুর -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -জয়দেবপুর, জোবিঅ -জয়দেবপুর এর আওতাধীন মির্জাপুর রোড, বাংলাবাজার এবং বাঘের বাজার, গাজীপুর সদর, গাজীপুর এলাকার ২টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে আনুমানিক ৫০ দ্বিমুখী ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময়, বিভিন্ন ব্যাসের ৩০০ফুট লাইন পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। ১ জন গ্রাহককে ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ) টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও, জনাব মনিজা খাতুন, সিনিয়র সহকারী সচিব ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ - সোনারগাঁও, জোবিঅ -সোনারগাঁও এর আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার কাঠালিয়াপাড়া এবং নয়াপুর এলাকার এলাকার ৪টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে আনুমানিক ৩.৫ কি.মি. এলাকার প্রায় ৮৩০ টি আবাসিক বার্নারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের ১৮০ফুট এমএস পাইপ ও ৩৫০ফুট প্লাস্টিক পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে।
রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের রংপুর চাকঘর থেকে তারাগঞ্জের চিকলী বাজার পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে বড় ধরনের অনিয়ম ধরা পড়েছে। ওই সড়কে প্রতি স্কয়ার মিটারে ৫ কেজি করে পাথর কম দেওয়া হয়েছে বলে সত্যতা পেয়েছে সেনাবাহিনীর একটি নিয়মিত টহল দল।
বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় রংপুর সেনানিবাসের ৬৬ ডিভিশনের ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের আওতাধীন ৩৪ বেঙ্গল রেজিমেন্ট পরিচালিত একটি নিয়মিত টহল দল লেফটেন্যান্ট নাজমুলের নেতৃত্বে সিটি মোড় এলাকায় কাজ পরিদর্শনে যায়। সেখানে সড়কের গঠন ও ব্যবহৃত উপকরণ পরিমাপে অনিয়মের প্রমাণ পায় সেনাবাহিনী।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান। রাস্তাটিতে প্রতি স্কয়ার মিটারে ২৩ কেজি পাথর দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে ১৮ কেজি। তবে রাস্তা নির্মাণে কেন এরকম অনিয়ম হচ্ছে, সেনাবাহিনীকে তার কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি প্রকৌশলী।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রংপুর মেডিকেল মোড় থেকে পাগলাপীর বাজার, শলেয়াশাহ বাজার থেকে বরাতি সেতু, তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তারাগঞ্জ সেতু এবং তকনাগঞ্জ বাজার থেকে চিকলী বাজার পর্যন্ত মহাসড়কের ১৭ কিলোমিটার অংশে ডিবিএসটিসহ সংস্কারকাজে বরাদ্দ হয় ২৬ কোটি ৮৯ লাখ ৫৯ হাজার ৯৪৬ টাকা।
৪ ফেব্রুয়ারি এই সড়কের সংস্কারকাজ পায় ডন এন্টারপ্রাইজ। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ১০ কিলোমিটার সড়কে ডিবিএসটি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছে সড়ক বিভাগ। অক্টোবরের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সেনা কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রকল্প অনুযায়ী প্রতি স্কয়ার মিটারে ২৩ কেজি পাথর ব্যবহারের শর্ত থাকলেও সেখানে দেওয়া হয়েছে ১৮ কেজি করে। তার মানে প্রতি স্কয়ার মিটারে ৫ কেজি পাথর কম ব্যবহার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডন এন্টারপ্রাইজের প্রকল্প ব্যবস্থাপক শাহিনুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রজেক্ট অনুযায়ী প্রতি স্কয়ারে ২৩ কেজি পাথর দেওয়ার কথা ছিল। সেনাবাহিনীর টেস্ট করার পর আমরা ১৮ কেজি পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তো সড়ক ও জনপথের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কাজ করছি। বেশি জায়গা না, মাত্র ৮০০ মিটারে ৫ কেজি করে পাথর কম হয়েছে। আমরা এটা আবার রিপেয়ার (সংস্কার) করে দেব।’
তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি মেরামতের শুরু থেকেই অনিয়ম করে আসছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারা প্রতিবাদ করলেও কেউ কর্ণপাত করেনি। সেনাবাহিনী যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা ভালো কাজ করেছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। তাদের মতে, রাস্তাটি ভালোভাবে মেরামত হলে সবারই উপকার হবে।
লেফটেন্যান্ট নাজমুল জানান, রাস্তা মেরামতে অনিয়ম হচ্ছে—এমন খবর পেয়েই তারা অভিযান চালান। এটি তাদের নিয়মিত অভিযানের মধ্যেই পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ডিজাইনে ছিল ২৩ কেজি, সেখানে ১৮ কেজি পেয়েছে। আমাদের দেখভাল করার লোকজন রয়েছে। যেহেতু দীর্ঘ একটা এলাকা, কমবেশি হতে পারে। সেটা অবশ্যই আমরা ঠিক করে দেব।’
"আমি শিশু, আমার কেন বৈষম্য?", "পরীক্ষা আমার ন্যায্য অধিকার!"—এমন নানা দাবিতে প্রখর রোদে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে ছিলো কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষা সংগঠকরা।
পঞ্চগড়ে সরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে পঞ্চগড় শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে পঞ্চগড় জেলা কিন্ডারগার্টেন সোসাইটি ও শিক্ষক কল্যাণ সংস্থা। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক ও অভিভাবকরাও অংশ নেন।
প্ল্যাকার্ডে ছিল: “জুলাই বিপ্লবের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই!” “প্রাথমিক বৃত্তিতে বৈষম্য কেন?” “আমার বন্ধুর সাথে আমার কোনো বৈষম্য নাই” “শিশুর অধিকার নিয়ে খেলবেন না” “পরীক্ষা আমার ন্যায্য অধিকার”
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে জারি করা পরিপত্রে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হলেও কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাইরে রাখা হয়েছে, যা স্পষ্ট বৈষম্য।
বক্তব্যে তারা উল্লেখ করেন, “২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় এবং সর্বশেষ ২০২২ সালের বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণ করে দুর্দান্ত ফলাফল অর্জন করেছিল। অথচ এবার সেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সুযোগই দেওয়া হচ্ছে না—এটা শুধু বৈষম্য নয়, বরং শিশুদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার নামান্তর।”
তারা আরও বলেন, “বৃত্তি মানে শুধু টাকা নয়—এটা আত্মবিশ্বাস, সামাজিক স্বীকৃতি, একধরনের অনুপ্রেরণা। যখন একজন শিশু দেখবে তার বন্ধু বৃত্তি পাচ্ছে অথচ সে পাচ্ছে না, শুধুমাত্র তার প্রতিষ্ঠানের ধরন ভিন্ন হওয়ার কারণে—তখন সেই শিশু মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
পঞ্চগড় জেলা কিন্ডারগার্টেন সোসাইটির সভাপতি মো. সোয়েব আলী সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক মো. তোজাম্মেল হক বলেন, “জুলাই বিপ্লবের শহীদরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশে কিন্ডারগার্টেনের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যেন আবারো বৈষম্যের শিকার না হয়। আমরা চাই সরকার এই বৈষম্যমূলক পরিপত্রটি বাতিল করে সকল শিক্ষার্থীকে সমান সুযোগ নিশ্চিত করুক।”
তারা আরও বলেন, ১৭ জুলাইয়ের পরিপত্র বাতিল করতে হবে, ২০২৫ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে এবং জাতীয় শিক্ষানীতির ‘সমতার নীতি’ বাস্তবায়নে সবধরনের প্রাথমিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সমঅধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
মানববন্ধন শেষে একটি স্মারকলিপিও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন সংগঠনটি।
অসুস্থ বাচ্চাকে দেখতে গিয়ে পথিমধ্যে নাটোরে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নারীসহ ৮ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়ীয়া গ্রামের নব্বই বছর বয়সি মহাম্মদ মােল্লার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা খাতুন (৭৫) ছোট মেয়ে সিমা খাতুন (৪০) বড় মেয়ে শেলি বেগম (৫৬)ও জামাতা জাহিদুল ইসলাম (৬০) এবং অন্যরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের আন্না খাতুন (৬০), মাইক্রোচালক শাহাবুদ্দীন (৩৮), আঞ্জোয়ারা খাতুন (৫০) ও প্রাগপুর গ্রামের ইতিয়ারা খাতুন (৪১)।
মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটে গতকাল বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে, বড়াইগ্রাম উপজেলার তরমুজ পাম্প এলাকায়, বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে। পরবর্তীতে নিহতদের মরদেহ নিজ গ্রামে এসে পৌছালে কান্নায় ভেঙে পড়ে স্বজনেরা। গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। নিহতদের মধ্যে আন্জুয়ারা,সিমা খাতুন,ইতি আরা ও মাইক্রোচালক সাহাবুদ্দিনের সকালের দিকে দাফন সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকি ৪ জনের দাফনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে।
বয়স্ক বৃদ্ধ মহাম্মদ আলী বলেন, পাঁচ বছর পূর্বে আমার স্ট্রোকজনিত কারনে এক পাশ পড়ে যায়। সেই থেকে আমাকে সেবা যত্ন করে আমাকে বাচিয়ে রেখেছিল। আমার স্ত্রী আন্জুয়ারা। আর প্রতি সপ্তাহে আমাকে এসে দেখে যেতো আমার দুই মেয়ে ও জামাই। আমাকে বিছানা থেকে নেমে হুইল চেয়ারে বসতে হলে তার সাহায্য লাগতো। এখন আমার কি হবে?আমাকে কে দেখবে? আমি কিভাবে বেচে থাকবো। আল্লাহ্ আমার এই দৃশ্য দেখার আগে আমার মৃত্যু হলো না কেনো। গতকাল বুধবার সকালে আমার দুনিয়ায় সব কিছুই ছিলো। আর আজ আমি সবকিছুই হারিয়ে ফেললাম। আমি এই অসুস্থ শরীর নিয়ে কবর গুলোকেও দেখতে যেতে পারবো না।
মহাম্মদ আলীর ভাইয়ের ছেলে মন্জু বলেন, আমার আংকেল স্ট্রোকজনিত কারনে দির্ঘদিন অসুস্থ হয়ে বিছানা গত ছিলেন। সেই অসুস্থর পরে থেকে আন্টি সেবা যত্ন দিয়ে সুস্থ করে তুলছেন। তিনি এখন হুইল চেয়ারে করে চলাফেরা করে। গতকাল সড়ক দুর্ঘটনায় এই পরিবারের চারজন নয়। আমার চাচা সব হারিয়ে বতর্মানে জীবিত থেকেও মৃত হয়ে গেছে। তাকে দেখার মত আর কেও নেই।
পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া জাতীয় মহাসড়কের ডাহুক ব্রীজের কাছে পঞ্চগড় গামী একটি পাথর বোঝাই ট্রাকের সাথে অটোরিকশার সংঘর্ষে অটোর আরোহী নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে অটো চাকল কাহার আলী। আহত কাহার আলীর বাড়ি তেঁতুলিয়া উপজেলার হারাদিঘী এলাকার চরকডাঙ্গী গ্রামে। তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টার সময় এই দূর্টনাটি ঘটে। বতর্মানে মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে বিক্ষুব্ধ জনগন। হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। তেঁতুলিয়া ফায়ার সার্ভিস নিহত অটো আরহীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। তার পরিচয় জানা যায়নি।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ডাহুক সেতু এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় হাফিজুর ইসলাম (২৫) নামে এক ইজিবাইক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ইজিবাইক চালকসহ আরও দুইজন আহত হয়েছেন। আহত ইজিবাইক চালকের অবস্থা গুরুতর। স্থানীয়রা দ্রুত আহতদের পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের প্রেরন করে।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার সময় তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান রোডের মাঝিপাড়া সংলগ্ন ডাহুক সেতুর উত্তর অংশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হাফিজুর ইসলাম তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের নাওয়াগছ বালাবাড়ি এলাকার আসব আলীর পুত্র।
তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ রায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাফিজুর তেঁতুলিয়া থেকে ইজিবাইকে করে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। ডাহুক সেতু এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী পাথর বোঝাই একটি ট্রাক ইজিবাইকটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। ধাক্কায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইজিবাইকটি সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অপর একটি ট্রাকের পেছনে গিয়ে সজোরে আঘাত করে এবং দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই হাফিজুর মারা যান। এ সময় আহত হন ইজিবাইক চালকসহ আরও দুইজন।
দুর্ঘটনার পর ঘাতক ট্রাক দুটি ও ইজিবাইকটি জব্দ করেছে পুলিশ। এঘটনায় দুই ঘন্টা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করলে যান চলাচল শুরু হয়।
এ ঘটনায় সড়ক দুর্ঘটনা আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান হাইওয়ে পুলিশের ওসি।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে চাঁদার দাবিতে অস্ত্রের মুখে বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে হংকং প্রবাসী মো. শরিফুল ইসলামের (৪২) বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কসবা গ্রামের আতিয়ার রহমান বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রবাসী শরিফুল ওই এলাকার মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কুমারখালী থানা পুলিশ।
শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি প্রায় ১১ বছর হংকংয়ে ছিলেন। বছরখানেক হলো দেশে ফিরেছেন। বিদ্যালয়ের সামনের নিজস্ব তিনতলা ভবনে তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।
তার দাবি, দেশে ফেরার পর থেকে এলাকার কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী তার কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। তা না দেওয়ায় গতকাল (বুধবার) রাত ৯টার দিকে ১৫ থেকে ২০ জন দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ তার পাকা বাড়ির তিনতলায় ঢুকে পড়েন। বাড়িতে ঢুকেই তারা প্রথমে শরিফুলকে মারধর করেন। এরপর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে নগদ প্রায় ১৫ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।
শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদার টাকা না পেয়ে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটেই ভাঙচুর করে সবকিছু নিয়ে চলে যায় চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীরা। অনেকেরই মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা থাকলেও কয়েকজনকে আমি চিনতে পেরেছি। তবে এখনই নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে চাই না। মামলার পরে সবাই জানতে পারবেন।’
খবর পেয়ে বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক বিল্লাল হোসেন খান। তিনি বলেন, ‘ঘরের ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুরের আলামত রয়েছে। শরিফুল ইসলাম ভাঙচুর ও নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার লুটপাটের অভিযোগ মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।’
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদা না পেয়ে এক প্রবাসীর বাড়িতে রাতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গায় রাজকীয় দ্বিতল খাট বানিয়ে মানুষের কৌতূহল সৃষ্টি করেছেন হারুন অর-রশিদ নামে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ী। তার এই খাটটি এক নজর দেখতে প্রতিদিনই আশপাশসহ দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসছেন। খাটটি ৫ লাখ টাকা দাম চাইলেও ইতোমধ্যে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাম উঠেছে। তবে, সাড়ে ৪ লাখ টাকায় মানুষের নজর কেড়ে নেওয়া এই খাটি বিক্রি করার ইচ্ছে পোষণ করেছেন ওই ফার্নিচার ব্যবসায়ী।
জানা যায়, এলেঙ্গা পৌর শহরের মেসার্স হারুন ‘স’ মিল অ্যান্ড ফার্নিচার হাউজের স্বত্বাধিকারী হারুন অর-রশিদ দীর্ঘ ৬ মাসের পরিশ্রমে সুদক্ষ কারিগর দিয়ে এই দ্বিতল খাটটি তৈরি করেছেন। এতে ব্যবহার করা হয়েছে সেগুন ও আকাশমনি কাঠ। চার ধরনের নকশায় নান্দনিক রুপে দেওয়া হয়েছে এটিতে। এছাড়াও খাটটির সিঁড়ির ডিজাইন করা হয়েছে বক্স আকারে। প্রয়োজনীয় কাপড়চোপড়ও রাখা যাবে এই সিঁড়ির বক্সে।
রাজকীয় খাট তৈরির কারিগররা বলেন, তারা দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে খাটটি নিপুণভাবে তৈরি করেছেন তারা। আকর্ষনীয় ডিজাইন, নকশা ও বার্নিশে নান্দনিকতা ফুটিয়ে তুলেছেন তারা। এর আগে কখনও এত বড় খাটের কাজ তারা করেনি। এবারই প্রথম দ্বিতল বিশিষ্ট খাট তৈরি করতে পেরে খুশি তারা।
স্বত্বাধিকারী হারুন অর-রশিদ বলেন, তিনি কয়েক বছর আগে এমন ডিজাইনে একটি সিঙ্গেল খাট তৈরি করেছিলেন। তখন বেশ ভালো দামেই বিক্রি করেন সেটি। সে থেকে তার মনে ইচ্ছে জাগে দ্বিতীয় তলা বিশিষ্ট একটি খাট তৈরি করার। সে থেকেই প্রায় ৬/৭ মাসে পাবনার এক কারিগর দিয়ে তিনি এই রাজকীয় খাটটি তৈরি করছেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি খাটটির দাম আড়াই লাখ টাকা করেছেন।
হারুন অর-রশিদ আরও বলেন, খাটটির দাম ৫ লাখ টাকা চাইলেও আলোচনা সাপেক্ষে কমানোর সুযোগ রয়েছে এবং যে ব্যক্তি তার খাটটি কিনে নেবেন তাকে আরও একটি ছোট উপহার দেওয়া হবে।
পঞ্চগড়ের অধিকাংশ পেট্রোল পাম্প গুলোতে ভেজাল এবং নিম্ন গ্রেডের জ্বালানী তেল বিক্রি হচ্ছে। পরিমাপে কারচুপির করে এসব নিম্ন গ্রেডের জালানী ব্যবহার করে নানা রকমের যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়েছে ভোক্তাদের যানবাহন। মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করা হলেও থামছে না এসব অনৈতিক কর্মকান্ড। জেলা শহর বাদেও উপজেলা গুলোতেও বিধি বহিভূত ভাবে বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়াই যত্রতত্র খোলা বাজারে এসব ভেজাল জ্বালানি বিক্রি হচ্ছে। জেলা শহরের করতোয়া, কাঞ্চনজঙ্ঘা এস বি মাহি,মৈত্রী পঞ্চগড় ফিলিং এসব পাম্পের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ ভোক্তাদের। নির্ধারিত দরে জ্বালানীর দাম গ্রহন করে বিক্রি করছে নিম্ন গ্রেডের জ্বালানি। যা ব্যবহার অনুপযোগী। বিকোট দূর্গন্ধযুক্ত এসব জ্বালানি ব্যবহার করা গাড়ি বাসায় রাখাও দুরহ হয়ে পড়েছে।
অভিযোগ উঠেছে আটোয়ারী এলাকায় প্রতিষ্ঠিত মাহি প্রেট্রোল পাম্প থেকে এসব ভেজাল জ্বালানী তেল সমগ্র উপজেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন দীর্ঘ এক যুগ থেকে এই পাম্প থেকে ভেজাল তেলের রমরমা ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রেট্রোল, ডিজেল থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। এই তেল ব্যবহার করে অনেকের যানবাহন অল্প সময়ে বিকল হয়ে গেছে। অনেকে বলছেন জ্বালানী তেল মাপেও কম দেয়া হয়। বিগত সরকারের ঠাকুরগাঁও ২ আসনের সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামের ছত্রছায়ায় এই পাম্পে অবৈধভাবে পরিচালিত হতো। ৫ আগষ্টের পরে এই পাম্পে ভেজাল তেলের অভিযোগে স্থানীয়রা তাদেরকে সংশোধন হওয়ার তাগাদা দেয়। গত জুন মাসে ভেজাল তেল বিক্রীর অভিযোগে ভোক্তা অধিকারও পাম্মটিকে জরিমানা করে। কিন্তু তারপরও ভেজাল জ্বালানী তেল বিক্রী বন্ধ হয়নি। পাম্পটির বিস্ফোরক ছার পত্রও নেই। নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছারপত্র। পাম্প কতৃপক্ষ বলছেন তারা পদ্মা ওয়েল কোম্পানীর পার্বতিপুর ডিপো থেকে স্যাম্পল সহ ভেজাল মুক্ত জ্বালানী তেল ক্রয় করেন। পরে তা আটোয়ারী এলাকার বিভিন্ন যানবাহন এবং খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রী করেন। শুক্রবারে তেল কেনার নিয়ম না থাকলেও গভীর রাতে পাম্পের রিজার্ভ ট্যাংকে তেল ভরানো হয়। সরেজমিনে দেখা যায় মাহি পাম্পে পদ্মা ওয়েলের কোন স্যাম্পল পাম্পে নেই। পাম্প স্থাপনের অধিকাংশ শর্ত পুরন না করেই পাম্পটি স্থাপন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পদ্মা ওয়েল কোম্পানীর এ অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিএমও আবু সাকিল জানান, পদ্মাওয়েলের কাছে জ্বালানী ক্রয় করার সময় কাঁচের বোতলে স্যাম্পল দেয়া হয় এবং তা পাম্পে রাখার নির্দেশনাও দেয়া হয়। যাতে কোন ভাবে পদ্মা ওয়েলের সুনাম নষ্ট না হয়। শুক্রবারে ডিপো থেকে কোন জ্বালানী তেল সরবরাহ করা হয়না। স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ি রফিকুল ইসলাম জানান, আর কোন পাম্প না থাকায় সব সময় এই পাম্প থেকে জ্বালানী তেল নিতে হয়। দীর্ঘদিন থেকে এই পাম্পে অবৈধভাবে ভেজাল জ্বালানী তেল বিক্রী হয়। গাড়ি খুব তাড়াতাড়ি বিকল হয়ে যায়। প্রেট্রোল, ডিজেল, অকটেন থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। এই পাম্পের ভেজাল তেলে বাজার সয়লাব হয়ে উঠেছে। তেল নিতে আসা মোটরসাইকেল চালক মির্জাপুর এলাকার আব্দুল জব্বার জানান, তেলে অত্যন্ত দুর্গন্ধ। প্রেট্রোলে তো প্রেট্রোলের গন্ধ থাকার কথা । এগুলে ভেজাল তেল। পুরাতন আটোয়ারী এলাকার গোপাল চন্দ্র সরকার একই অভিযোগ করেন।
পাম্পের ম্যানেজার আল আমিন জানান,একই মালিকানার আরেকটি পাম্প ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গি উপজেলায় রয়েছে। আলি ফিলিং স্টেশন নামের ওই পাম্প থেকে এই পাম্পে তেল পাঠানো হয়। দুুটি পাম্পের মালিকই আওয়ামীলীগ নেতা দবিরুল এমপির ছোট ভাই মোহম্মদ আলী। সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম ও তার ছেলে কারাগারে রয়েছে। ভাই মোহম্মদ আলীর নামেও একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি পলাতক রয়েছেন। মোহম্মদ আলীর মেয়ে রুনা আক্তার বর্তমানে পাম্প দুটি দেখা শোনা করছেন। তার স্বামী একজন পুলিশ কর্মকর্তা। রুনা আক্তার জানান, ৫ আগষ্টের পর আমার পাম্পগুলি ভাংচুর হয়েছে। তেল লুটপাট করা হয়েছে। স্থানীয় বিএনপি নেতা শাহাজাহান আলী আমার মামা। আমি মাসে একবার পাম্পে যাই। বালিয়াডাঙ্গিতে আমাদের আরেকটি পাম্প আছে। সেখানে সকল কাগজ পত্র আছে। ভেজাল তেল বিক্রী করা হয়না। যারা অভিযোগ করেছেন তারা মিথ্যা বলেছেন।
ভোক্তারা অভিযোগ করেছে, ভেজাল জ্বালানী তেলে সারা জেলা উপজেলা সয়লাব হয়ে উঠেছে। তারা ভেজাল বিরোধী অভিযানে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২২ জুলাই (মঙ্গলবার) ২০২৫ তারিখে মনিজা খাতুন, সিনিয়র সহকারী সচিব ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর ঢাকা বিক্রয় বিভাগ-৫ এর আওতাধীন কামরাঙ্গীরচর এলাকার ১টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে শাহ্জালাল মেটাল নামক ১টি খানাডুলি কারখানায় বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস ব্যবহারের জন্য গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ কিলিং করা হয়েছে। এ সময় ৩/৪’’ জি আই পাইপ ১০ ফুট, পিভিসি পাইপ ৩০ ফুট, বুস্টার ০১ টি, হুইজ পাইপ ১০ ফুট ও পাইপ বার্ণার ০২ টি অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। উক্ত কারখানা মালিককে ৫০,০০০/- টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
একই দিনে, জনাব হাসিবুর রহমান, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ -বন্দর এর আওতাধীন জাঙ্গাল, বারপাড়া, বন্দর, নারায়ণগঞ্জ এলাকার ১টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে আনুমানিক ৬ কিলোমিটার এলাকার আনুমানিক ১০০০ চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের লাইন পাইপ ২৩০ ফুট, রেগুলেটর ২৪ টি ও লকউইং কক ৬টি অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়া, জনাব মো: শহীদ উল্লাহ (সহকারী কমিশনার) জেলা প্রশাসন, গাজীপুর কর্তৃক নিয়োজিত বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -চন্দ্রা, জোবিঅ -চন্দ্রা এর আওতাধীন পূর্ব বারেন্ডা, কাশিমপুর, গাজীপুর এলাকার ২টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে আনুমানিক ৩২ টি বাড়ির ৩০০ ডাবল চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের ৪৫০ ফুট লাইন পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। সম্পুর্ন অবৈধ ৪টি বাড়ির মালিকের নিকট হতে মোট ২,৭৫,০০০/- জরিমানা তাৎক্ষনিক আদায় করা হয়েছে।
এছাড়াও, জনাব সিমন সরকার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়োজিত বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ-১
-এর আওতাধীন ঠুলঠুলিয়া, ডেমরা এলাকার ৩টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে শ্রাবণ ওয়াশিং, ব্রাদার্স ওয়াশিং, নিউ কালার ওয়াশিং ও নিউ জিন্স ওয়াশিং ( আবাসিক হতে বাণিজ্যিক ব্যবহার, গ্রাহক সংকেত : ১০১-১৬৮৬৯) নামক প্রতিষ্ঠানের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের ৫৯০ ফুট লাইন পাইপ, আবাসিক রেগুলেটর ১১টি, কম্প্রেসার ২ টি, আবাসিক চুলা ২ টি, পাইপ বার্নার ৪ টি, হোস পাইপ ১০০ ফুট ও ১" প্লাস্টিক পাইপ ৬০ফুট অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। নিউ কালার ওয়াশিং ও নিউ জিন্স ওয়াশিং নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক'কে যথাক্রমে ১ লক্ষ ও ৫০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ১,৫০.০০০/- অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া, সম্পূর্ণ অবৈধ ২০ টি আবাসিক সংযোগসমূহ বিচ্ছিন্নকরত: কিল করা হয়েছে এবং জনাব আজিজুল হক (১০১২৪৭১৪) -এর সংযোগটি বকেয়ার কারনে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।