টানা বৃষ্টির কারণে রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে পানির উচ্চতা বাড়ছে ক্রমাগত। রবিবার (৩ আগস্ট) সকাল ১০টা পর্যন্ত কাপ্তাই লেকে পানির উচ্চতা পৌঁছেছে ১০৬.৮৪ ফুট মীন সি লেভেল পর্যন্ত, যা ১০৭ ফুটের কাছাকাছি।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র (কপাবিকে)-এর ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, যদি পানির উচ্চতা ১০৮ ফুট ছাড়িয়ে যায়, তবে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া হবে এবং লেকের অতিরিক্ত পানি কর্ণফুলি নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে বিষয়টি নিয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সাধারণ জনগণকে জানানো হবে বলে জানান তিনি।
প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান আরও জানান, শনিবার (২ আগস্ট) রাত ৮টা পর্যন্ত পানির উচ্চতা ছিল ১০৬.৪২ ফুট। সে তুলনায় মাত্র ১৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ০.৪২ ফুট পানি বেড়েছে, যা প্রমাণ করে বৃষ্টির কারণে পানি দ্রুত বাড়ছে।
চালু আছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট পানির চাপ বাড়লেও বর্তমানে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট সচল রয়েছে। রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এই ইউনিটগুলো থেকে মোট ২১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে।
উৎপাদন বিবরণী অনুযায়ী:-
১ ও ২ নম্বর ইউনিট থেকে প্রতিটিতে ৪৬ মেগাওয়াট করে মোট ৯২ মেগাওয়াট।
৩ নম্বর ইউনিট থেকে ৪৭ মেগাওয়াট।
৪ ও ৫ নম্বর ইউনিট থেকে প্রতিটিতে ৪০ মেগাওয়াট করে মোট ৮০ মেগাওয়াট উৎপাদিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের একমাত্র পানি নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র কাপ্তাই হাইড্রো-পাওয়ার প্লান্টের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৩০ মেগাওয়াট। এখানকার উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা।
ভোলার বোরহানউদ্দিনে ৫ই আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বিজয় মিছিল করেছে বোরহানউদ্দিন উপজেলা ও পৌর বিএনপি।
বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা জনসমুদ্রে পরিনত হয় ।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে ভোলা ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিমের নির্দেশে'বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মাফরুজা সুলতানার নেতৃত্বে বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে বিজয় মিছিল বের হয়ে পৌর বাজার,বোরহানউদ্দিন থানার মোড়,বোরহানউদ্দিন উপজেলা,উত্তর বাস স্ট্যান্ড সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলো প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
বিজয় মিছিল শেষে বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির আয়োজনে শহীদদের স্মৃতির স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মাফরুজা সুলতানা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গত বছরের আজকের এই দিনে আওয়ামী লীগের সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী ও ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে বাংলাদেশের জনগণকে মুক্ত করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি একটি নতুন স্বাধীনতা এদেশের মানুষকে উপহার দিয়েছে। বিএনপি'র অবদান মানুষ মনে রাখবে।
এ সময় তিনি পাঁচ ই আগস্ট স্মরণ করে বলেন,জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আমাদের শিক্ষার্থীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে,শিক্ষার্থীদের অবদান এ জাতী মনে রাখবে,তিনি বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দিনমজুর,শ্রমিক,কৃষক,রিক্সা চালক সকল পেশার মানুষ অংশ নিয়েছিলেন জুলাই আগস্ট-গণঅভ্যুত্থানে,যারা স্বৈরাচার সরকারের নির্দেশে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তিনি বলেন,সেই শহীদদের স্মৃতি আমাদের ভোলার নয়,আমরা তাদের স্মরণ করব আজীবন।
এ সময় তিনি আরো বলেন,বোরহান উদ্দিন ও দৌলতখানে যারা শহীদ হয়েছে আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি,যারা আহত হয়েছে তাদেরও সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছি,আমরা তাদেরকে সকল প্রকার সহযোগিতা করব।
তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি গণমানুষের দল,বিএনপি জনগণের কথা বলে,আমরা সব সময় জনগণের পাশে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন,উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক সরোয়ার আলম খান,উপজেলা বিএনপি'র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কাজী মোহাম্মদ আজম,যুগ্ন আহবায়ক শহিদুল আলম নাসিম কাজী,মনজুরুল আলম ফিরোজ কাজী,পৌর বিএনপি সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান কবির,উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শিহাব উদ্দিন হাওলাদার,সদস্য সচিব মোঃ জসিম উদ্দিন খান,পৌর বিএনপি'র সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান লিটন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল,ছাত্রদল,শ্রমিক দল,তাঁতিদল,মৎস্যজীবী দল সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রতি মাসে প্রায় ১০ কোটি টাকার গ্যাস চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে অবৈধভাবে গড়ে তুলা ২৩টি চুনা ও ঢালাই কারখানা থেকে। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে তুলছে অবৈধ চুনা ও ঢালাই কারখানা। তিতাস গ্যাসের অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে এসব করাখানা গড়ে তুলেছে। ফলে সরকারের রাজস্ব চুরির পাশাপাশি পরিবেশের মারাক্তকভাবে ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন যেন দেখেও না দেখার ভান করে আছেন। স্থানীয়রা দাবি করে জানান পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে এসব চুনা ও ঢালাই কারখানা বন্ধের জন্য। তবে এসব অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের ক্ষেত্রতে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ অভিযান চালানোর ঘোষনা দিলেও তা বাস্তবায়নে ঘড়িমসি করছেন।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ শিমরাইল এলাকায় গ্যাসের মাধ্যমে পাথর গলিয়ে চুনা তৈরি করা হতো। স্থানীয় প্রশাসন পরিবেশ বিপর্যয়ের কারনের সেখানকার চুনা কারখানা গুলো উচ্ছেদ করে। উচ্ছেদের পর সোনারগাঁয়ে এসে তারা চারটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করে চুনা কার্যখানা গড়ে তোলে। উপজেলার পিরোজপুর, মোগরাপাড়া, কাঁচপুর, সাদিপুর ইউনিয়ন ও সোনারগাঁ পৌরসভায় এসব অবৈধ কারখানা ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব কারখানায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি বিগত ১৭ বছর শেখ হাসিনার শাসন আমলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করে এসব কারখানা গড়ে তুলেছেন। তারা পালিয়ে যাওয়ার পর বর্তমানে তারা তিতাস কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে এসব কারখানা গড়ে তুলছেন।
সূত্র জানায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের আষাঢ়িয়ারচর এলাকায় সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রউফ ও তার ভাই পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিল অবৈধ গ্যাসে চুনা কারখানা গড়ে তুলেছেন। সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ প্রধানের নেতৃত্বে গঙ্গানগর এলাকায় তার ভাগিনা মো. মামুন মিয়া এম এম গার্মেন্টের পরিত্যক্ত ফ্যাক্টুরিতে সিন্ডিকেট চুনা কারখানা গড়েছেন, পিয়ার নগর গ্রামে দুটি ঢালাই কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। ইসলামপুর এলাকায় আরো একটি কারখানা গড়ে তোলার সময় স্থানীয়রা হামলা করে চুনের ভাট্টি ভেঙ্গে দেয়। এছাড়াও প্রতাপেরচর আরো একটি চুনা কারখানা রয়েছে। একই ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামে মোজাফফর আলী ফাউন্ডেশনের পাশে ডালিম ও ইউনিয়ন পরিষদের বিপরিত দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের এক বিএনপি নেতা মুনসুর হোসেনের দুটি কারখানা গড়ে তুলেছেন। পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি শফিউল আলম বাচ্চু ও তার ভাই নেয়ামতউল্লাহ নেমা তাদের বাড়ির পাশে দুটি ঢালাই কারখানা গড়ে তুলেছেন। রতনপুর এলাকায় নুরে আলমের দুটি ঢালাই কারখানা, সোনারগাঁ পৌরসভার পৌর ভবনাথপুর গ্রামে রফিকুল ইসলামের পরিত্যাক্ত বাড়িতে অবৈধ গ্যাসে ঢালাই কারখানা, দুলালপুর এলাকায় সুরুজ মেম্বারের বাড়ির পাশে গড়ে উঠেছে চুনা কারখানা, কাঁচপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাইন এলাকায় ৭টি ঢালাই কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। সাদিপুর ইউনিয়নের দুটি কারখানায় গড়ে উঠেছে। জামপুর ইউনিয়নের মিরেরটেক বাজার এলাকায় ঢালাই কারখানা গড়ে তোলা হয়। মোগরাপাড়া ইউনিয়নে দুটি কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিটি কারখানায় অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে প্রতি মাসে এসব কারখানায় প্রায় ১০কোটি টাকার গ্যাস ব্যবহারে সরকারী রাজস্ব চুরি করছেন।
স্থানীয়দের দাবি, চুনা ও ঢালাই কারখানা গুলোতে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারনে বৈধ আবাসিক গ্রাহকরা পর্যাপ্ত গ্যাস পায় না। ফলে রান্নাবান্নায় সমস্যার সৃষ্টি হয়। চুনা কারখানায় পাথর গলানোর কারনে পরিবেশ দুষণ হচ্ছে। ফলে আশপাশের ফসল ও ফল উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। পরিবেশের মারাক্তক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চুনা কারখানার মালিক জানিয়েছেন, তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে তারা এসব কারখানা গড়ে তোলেন। প্রতি মাসে তাদের মাসোহারা দিয়ে থাকেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার আগে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়। অভিযানের আগে গুরুত্বপূর্ন সরঞ্জাম তারা সরিয়ে নেন। ভেঙ্গে দেওয়ার দু’ তিনদিন পর পুনরায় ভাট্টি গড়ে তোলা হয়।
রতনপুর এলাকার মো. আলাউদ্দিন জানান, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় জনস্বাস্থ্যর ক্ষতিকর চুনাভাট্টির মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করার পরও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।
পিরোজপুর এলাকার আক্কেল আলী জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে এসকল চুনা কারখানা অবৈধভাবে পরিচালনা করে। বর্তমান সরকার এসকল অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন না করায় আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি।
সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রউফ অবৈধ চুনা কারখানা গড়ে তোলেননি বলে দাবি করেন।
সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ প্রধান বলেন, চুনা কারখানার গড়ে সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেন। এলাকার কিছু কর্মী অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করে চুনা কারখানা গড়েছেন ।
অভিযুক্ত মো. মামুন মিয়ার দাবি, বিগত ১৭ বছর শেখ হাসিনার শাসন আমলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করে এসব কারখানা গড়ে তুলেছেন। তারা পালিয়ে যাওয়ার পর বর্তমানে তারা এসব কারখানা গড়ে তুলছেন।
তিতাস গ্যাস ট্্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিউিশন কোম্পানির উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রাজীব কুমার সাহা বলেন, চুনা ও ঢালাই কারখানায় অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের বিষয়টি মন্ত্রনালয়ের বিভিন্ন সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। সেগুলো ভেঙে দেওয়ার পরও গড়ে তোলা হচ্ছে। তিতাসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
আজ ৫আগষ্ট গণঅভ্যুত্থান দিবসটি শেরপুরে নানা আয়োজনে ও যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে।
২০২৪সালের আগষ্টে শেরপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে যোগ দিয়ে জেলা শহরের তিনআনি বাজার কলেজ মোড়ে ঘাতকের গুলি ও জেলা প্রশাসনের ম্যাজিষ্ট্রেটের গাড়ি চাপায় শহীদ হন শারদুল আশীষ সৌরভ, মাহবুব আলম ও সবুজ। মূহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। এ স্থানটিকে শহীদ মাহবুব চত্বর হিসেবে উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান। এসময় পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম, সিভিল সার্জন, শেরপুর জনাব ডাঃ মুহাম্মদ শাহীনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শহীদদের স্মরণ করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয় আরো নানা কর্মসূচি।
সকালে শেরপুর সদর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়নের তারাগর নামাপাড়ার শহীদ মাহবুব আলমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম।
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।
এছাড়াও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শিশু কিশোরদের অংশ গ্রহণে স্কেটিং র্যালি, বৃক্ষ রোপন, জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জুলাইযুদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
শেরপুরের প্রত্যেকটি মসজিদে যোহরের নামাজ শেষে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
মায়ের চোখ আজও পথ চেয়ে থাকে! হয়তো ফিরবে হৃদয়, হয়তো আবার একবার “মা” বলে ডাকবে।
গত বছরের ৫ই আগস্ট। দেশে গণঅভ্যুত্থান, সরকারের পতন, রাজপথে বিজয়ের উল্লাস। হৃদয়ের পরিবারের দাবি, সেইদিন বিকেলে গোপালপুর উপজেলার আলমনগরের কলেজছাত্র হৃদয়কে; গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে শরিফ মেডিক্যাল হাসপাতালের সামনে বিজয় মিছিল থেকে ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য তাকে ঘিরে ধরে, বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি চালায়। মাটিতে শুয়ে পড়া রক্তমাখা নিথর দেহ চ্যাংদোলা করে টেনে নিয়ে যায় পুলিশ। সেদিনের সেই নির্মম ঘটনার ভিডিও মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে নাড়িয়ে দেয় হাজারো মানুষের হৃদয়।
হৃদয় ছিল হেমনগর ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। পরিবারের একমাত্র সন্তান। লেখাপড়ার খরচ চালাতে গাজীপুরে অটোরিকশা চালাত সে। গতবছর ৫আগষ্ট বিকাল থেকে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি তার । তার মা, রেহেনা বেগম, আজও প্রতীক্ষায় হয়তো ফিরে আসবে বলে। অন্তত হাড়গোড়ে খোঁজ মিললেও বাড়ির উঠোনে সমাধিস্থ করতে চান দিনমজুর বাবা লালমিয়া।বৃদ্ধ বাবা ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করলেও শোকে আর ঠিকমতো কাজ করতে পারেন না। এনজিওর ঋণ পরিশোধ না করতে পেরে আরও সংকটে পড়েছে পরিবারটি।
এই ঘটনায় হৃদয়ের ভগ্নিপতি মো. ইব্রাহীম বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী মো. ইব্রাহিম বলেন, গতবছর ৫ আগষ্ট সকাল থেকেই হৃদয় ও তিনি আন্দোলনে অংশ নেয়। শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর তারা সকলের সাথে আনন্দ মিছিলে অংশ নেয়। মিছিলটি কোনাবাড়ী থানার কাছাকাছি পৌছালে থানার ভিতর থেকে পুলিশ গুলি ছুড়তে থাকে। এক
পর্যায়ে পুলিশের ১০-১২ জনের টিম শরিফ মেডিক্যালের সামনে হৃদয়কে ঘেরাও করে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে। পুলিশ লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে টেনে নিয়ে যায় এবং কোনাবাড়ি থানার সামনে বেঞ্চের আড়ালে লুকিয়ে রাখে। এ সংক্রান্ত একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরো বলেন, এক বছর পর সরকার নিহতের লাশ উদ্ধারের জন্য তুরাগ নদীতে কাজ করেছে। যদি আমার ভাইয়ের একটি একটি হাড়ও যদি পাই তাহলে সেটি নিয়ে পরিবারের সবাইকে সান্ত্বনা দিয়ে বুঝ দিতে পারবো। বাড়ির পাশে একটি কবর দিতে পারবো।
নিহত হৃদয়ের বড় বোন জেসমিন আক্তার বলেন, অভাবের সংসারে হৃদয় কষ্ট করে লেখাপড়া করতো। হৃদয়ের লাশ পাওয়া যায়নি বলে আমার ভাই শহিদের মর্যাদা পায়নি। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি।
হৃদয়ের মা-বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমরা শুধু আমাদের ছেলের হাড়গোড় ফেরত চাই। আর যারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে, তাদের ফাঁসি চাই।
রেলপথে দূর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে এবং সর্বসাধারণকে সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছে রেল কতৃপক্ষ।
সম্প্রতি বিভিন্ন রুটে কয়েকটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এসব দূর্ঘটনায় প্রাথমিক সতর্কতা ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। প্রত্যেকটি দূর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য পৃথক পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে এসব দূর্ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্প্রতি কিছু ঘটনায় প্রতীয়মান হয় যে, রেলপথে দূর্ঘটনার জন্য রেল সংশ্লিষ্টদের বাইরে কতিপয় ব্যক্তি/গোষ্ঠীর তৎপরতা রয়েছে যা নাশকতার
উল্লেখ্য যে, গত ৩ আগস্ট দিবাগত রাতে নাটোরের কাছে মাধনগরে রেল ট্র্যাকে শিকল পেচিয়ে তালা দিয়ে রাখা ছিলো যেনো চলমান ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে দূর্ঘটনায় পতিত হয়। রেলওয়ের লোকাল কি-ম্যান এটা দেখে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামিয়ে দেন। পরে উক্ত শিকল অপসারণ করে ট্রেন চালনা করা হয়। বিষয়টি বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটানোর উদ্দেশ্যে সুচিন্তিতভাবে করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সকলের ধারণা। এ ব্যাপারে গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এ ধরণের উদ্দেশ্য প্রণোদিত কার্যকলাপ বাংলাদেশ রেলওয়ে কিংবা সরকারের একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত দূরুহ কাজ। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত জনসম্পৃক্ততা ও সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
দেশের যে কো্নো স্থানে রেল লাইন ও এর আশপাশে সন্দেহজনক কিছু দেখা গেলে বা রেল লাইনে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে বা কোনো প্রকার দূর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন কিছু লক্ষ্য করলে তাৎক্ষণিকভাবে তা রেল কর্তৃপক্ষ অথবা স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের হটলাইন ১৩১ নম্বরে অথবা ৯৯৯ (টোল ফ্রি) নম্বরে ফোন করা যাবে। সকল ক্ষেত্রে তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে।
ব্রুনাইতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়া ভোলার ছেলে জামাল হোসেনের (৩৫) মরদেহ মৃত্যুর ১৩ দিন পর কফিন বন্ধী হয়ে নিজ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছেছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে ভোলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের জাহাঙ্গালিয়া গ্রামে কফিনে জামালের মরদেহ আসলে স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এরপর জানাজা নামাজ শেষে নিজ পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
এরআগে, গেল ২২ জুলাই দুপুরে ব্রুনাইয়ের চীনারুপাই শহরের একটি নির্মান প্রকল্পে কাজ করা অবস্থায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা যান জামাল। পরে, সেখানে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে একটি হিমাগারে রাখা হয় মরদেহ। এরপর যাবতীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে গতকাল একটি বেসরকারি ফ্লাইটে রাত ১টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার লাশ এসে পৌঁছায়। পরে স্বজনরা তার কফিন বন্ধী লাশ নিয়ে ভোলার উদ্দেশ্য রওয়ানা দিয়ে আজ দুপুরে গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছান।
নিহত জামাল ওই গ্রামের হাদিস মিয়ার ছেলে। তিন ভাই আর দুই বোনের মধ্যে জামাল ছিলেন সবার ছোট। আদরের সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা বাবা মা ভাই বোন।
স্বজনরা জানান, 'কথা ছিলো ৩ আগস্ট ছুটিতে প্রবাস থেকে বাংলাদেশে ফিরে ৪ আগস্ট নিজ বাড়ি ভোলাতে আসবেন জামাল। এবার বাড়ি এসে বিয়ে করবেন বলেও জানিয়েছিলেন স্বজনদের।
কিন্তু, দেশে ফেরার দিনে জামাল ঠিকই আসলো। তবে, জীবিত নয় কফিন বন্ধী লাশ হয়ে।'
এদিকে, জামালের মরদেহ গ্রামের বাড়ি ভোলায় পৌঁছানোর পর তাকে একনজর দেখতে ভীর জমিয়েছেন তার স্বজনসহ এলাকাবাসী। ছেলের কফিন ঘিরে বাবা, মা, ভাই, বোনদের আহাজারি যেনো থামছেই না। তার অকাল মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না স্বজনসহ এলাকাবাসী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অভাবের সংসারের দুঃখ গোছাতে এক যুগ আগে পাড়ি জমিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া মহাদেশের ব্রুনাই দেশে। কাজ নিয়েছিলেন একটি নির্মান প্রকল্পের ইলেক্ট্রিশিয়ান হিসেবে। ঘটনার দিন জামাল ও তার এক সহযোগী মিলে কাজ করছিলেন। পরে জামালের মৃত্যু হলে তার সহকর্মী অপর এক বাঙালি বিকেলে ফোন করে জামালের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পরিবারকে জানায়।
জামালের বাবা হাদিস মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, 'আমার ছেলে প্রতি মাসেই বাড়ি আসতে চাইতো। কিন্তু ছুটি পায়নি বলে দেশে আসতে পারে নায়। এখন তার চিরতরে ছুটি হয়ে গেছে। আমার ছেলে আমাকে রেখে এতো তারাতারি চলে যাবে এটা মানতে পারছি না।'
জামালের জন্য আহাজারি করে কাঁদছেন প্রতিবেশীরাও তারা বলছেন, জামাল একজন পরিশ্রমী ও সৎ মানুষ ছিলেন। ছুটিতে বাড়িতে আসলে সবার সঙ্গে বিনয়ী আচরণ করতেন। তার এমন মৃত্যুর খবর তারাও কিছুতে মেনে নিতে পারছেন না।
বরিশালের চরবাড়িয়া ইউনিয়নের লামচরী এলাকার রাজা বাজারে সরকারি খালের জায়গা দখল করে নির্মাণাধীন চারটি একতলা পাকা দোকানঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. শাহীন আলম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুহুল ও আমিন দুই ভাই তাদের পিতা হযরত আলী মৃধা। মামুন ও সোলায়মান তারাও দুই ভাই ,তাদের পিতা মাহাবুর মৃধা এই ৪ জন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি খালের জায়গায় অবৈধভাবে দোকান নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন।
শুরুতে তাদের নিষেধ করা হলেও তারা প্রশাসনের কোনো কথায় কর্ণপাত না করে দখল কার্যক্রম চালিয়ে যান। জমি দখলের বিষয়টি জানতে পেরে চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. শাহীন আলম একাধিকবার উপস্থিত হয়ে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন এবং সতর্ক করেন। পরে তিনি বরিশাল সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয়কে বিষয়টি অবহিত করেন।
তারই নির্দেশে দুপুরে অভিযান চালিয়ে চারটি পাকা দোকানঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় জনগণের সহায়তায় এ উচ্ছেদ অভিযান কার্যকরভাবে সম্পন্ন হয়।
চরবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শাহীন আলম বলেন,সরকারি সম্পত্তি দখলের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। বারবার নিষেধ করা হলেও তারা কথা শোনেননি। তাই আমরা বাধ্য হয়েই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছি। ভবিষ্যতে যারা সরকারি জমি দখল করবে, তাদের বিরুদ্ধেও একইভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন,এটি শুধু আইন প্রয়োগ নয়, জনগণের অধিকার ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার অংশ হিসেবেই আমাদের এ উদ্যোগ। সরকারি খাল দখল করে কেউই পার পাবে না।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিষ্পোরণের কবলে পড়ে লাকি সিং (২৪) নামে এক বাংলাদেশী তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে ৪২ ও ৪৩ নম্বর সীমান্ত পিলারের ওপারে বাঁশ কোড়ল কুড়াতে গিয়ে এ বিস্ফোরণের কবলে পড়েন তিনি।
আহত, লাকি সিং (২৪) নাইক্ষ্যংছড়ির সোনাইছড়ি ইউপির গাছবুনিয়া গ্রামের সুমন কারবারির মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, সকলে বাঁশ কোড়ল (বাঁশের মূলি) সংগ্রহ করতে গিয়ে এক পর্যায়ে ৪২-৪৩ নম্বর সীমান্ত পিলারের ওপারে চলে যান।সেখানে মিয়ানমারের আরাকান আর্মীর পক্ষ থেকে আগে থেকে পুঁতে রাখা স্থলমাইনের ওপর পা পড়লে বিষ্ফোরণের কবলে পড়েন তিনি।এতে তার বাঁম পায়ের গোড়ালি থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনাস্থল হতে তাকে উদ্ধার করে
প্রথমে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের লক্ষীদাড়ি সীমান্তের বিপরীতে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ( বিএসএফের) ছোড়া গুলিতে এক বাংলাদেশি এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। ওই যুবকের মাথা, চোখ, মুখ সহ কয়েকটি স্থানে ছররা গুলি লেগেছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসক। । সোমবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে লক্ষীদাড়ি সীমান্তের ১ নং বিজিবি পোষ্টের কাছে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ আলমগীর হোসেন(৩৫) বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে । আলমগীর হোসেন সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের লক্ষীদাঁড়ি গ্রামের শেখ সাঈদ হোসেনের ছেলে।
গুলিবিদ্ধ আলমগীর হোসেনের বোন ইছমত আরা জানান, বাড়ির পাশে কুমড়োর খালের পাশে বিজিবি’র ১নং পোস্টের পাশে শূন্যরেখা বরাবর সরকারি খাস জমিতে তার বড় ভাইয়ের একটি মাছের ঘের রয়েছে। সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টিতে ঘেরটি তলিয়ে যায়। সোমবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে তিনি ওই ঘের নেট দিয়ে ঘেরা ও মাছের খাবার দিতে যান ভাই । ওই সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঘোজাডাঙা বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা তাকে লক্ষ গুলি ছোঁড়ে। এতে তার মাথা, মুখ, চোখের ভুরুসহ বিভিন্ন স্থানে ছাররা গুলি লাগে।পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে ।
এদিকে সীমান্ত গ্রামবাসিদের মধ্যে জাকির হোসেন ও আব্দুল কাদের জানান, আলমগীর দীর্ঘদিন ঘরে ধুড় পাচার ও চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত। সীমান্তে সরকারি জায়গায় তার মাছের ঘের থাকলেও মূল পেশা চোরাচালান। সোমবার ভোরে ভারত থেকে চোরাচালানি পণ্য আনতে গেলে বিএসএফ তাকে গুলি করে। এ সময় তার অন্য দুই সহযোগী পালিয়ে যায়।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ এবিএম আক্তার মারুফ জানান, সোমবার সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে আলমগীরকে জরুরী বিভাগে আনা হয়। তার মুখ, মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে ছাররা গুলি লাগার চিহ্ন রয়েছে।
সাতক্ষীরার ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার জহির আহম্মেদ জানান, তিনি আলম নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মর্মে শুনেছেন। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নাক-কান কাটা গেছে। তারা এখন বিশ্বজুড়ে বিতর্কিত । স্বৈরাচার হিসেবেও খ্যাতি লাভ করেছে । বিগত ১৬ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে দেশের অর্থ-সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে । ওই দলকে ফ্যাসিষ্ট দল হিসেবে আর্ন্তজাতিক পুরস্কার দেওয়া উচিত ।
গতকাল সোমবার(৪ জুলাই)দুপুরে”আগষ্ট মার্চ ফর জাস্টিস”কর্মসূচি পালনে এক সমাবেশে নড়াইল জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরাম নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন । এর আগে কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয় । মিছিলটি জেলা আইনজীবি সমিতি ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয় ।
এখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন,সংগঠনের সভাপতি মো.আজিজুল ইসলাম । বক্তব্য দেন,আইনজীবি সমিতির সভাপতি সাংবাদিক মো.তারিকুজ্জামান লিটু,পিপি ও নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মো.আব্দুল হক,ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব মোর্শেদ জাপলসহ অন্যরা ।
বক্তারা আরো বলেন,ফ্যাসিস্ট সরকার শাসনামলে আদালতসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করেছে । ক্ষমতার জোড়ে দিনের ভোট রাতে বাক্সবন্দি করে এমপি বানিয়ে ক্ষমতায় বসেছে। অনেক নিরীহ মানুষসহ রাজনীতিবিদদের ফাসিতে ঝুলিয়েছে। বিনা কারণে বিএনপির লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে জেলে পাঠিয়েছে। তারা বলেন,প্রকৃতিরও বিচার আছে।
মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আলেম-ওলামার ভূমিকা” শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
শেরপুর জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এস এম মোহাই মোনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান।
সভায় উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন ইদ্রিসিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ও জেলা জামিয়াতুল মোদাররেছীনের সভাপতি মাওলানা মোঃ ফজলুর রহমানসহ বিভিন্ন মসজিদের খতিব ও আলেমগণ।
আলোচকবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে আলেম সমাজের নৈতিক নেতৃত্ব, সামাজিক দায়িত্ব এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি জুলাই গণআন্দোলনে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও আলেম-ওলামাদের সাহসী ভূমিকার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
আলোচনা সভা শেষে ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি পটুয়াখালী জেলার আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। এতে মো. শামসুদ্দোহা শাওন-কে আহ্বায়ক ও আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান রুমী-কে সদস্য সচিব করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়। রবিবার (৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ এ কমিটিন অনুমোদন করেন।
এ কমিটির অনান্য নেতৃবৃন্দ হলেন- সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাইদুর রহমান, জুলফিকার হাসান (আসিফ), মো. রেজাউল করিম, যুগ্ম আহবায়ক এমএ ওয়ারেজ, ডা. সাইফুল আরেফিন, মো. হাসিবুল হাসান (হাসিব), মো. জোবায়ের হোসেন (বিজয়), মো. মানিক খাঁন,
মো. সোহান মৃধা, সদস্য মো. আল-আমিন, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সাব্বির মাহমুদ, মিজান রহমান, মো. ইব্রাহিম, মো. আবু ইসহাক, মো. শাফায়েত ইসলাম (অলি), আজাদ তালুকদার (মিন্টু), মো. আরিফুজ্জামান (ডালিম), মাইনুর রহমান (প্রিন্স), মো. ইসতিয়াক আহমেদ (তামিম), মোহাম্মদ জাহিদুল, মো. মনির হোসেন, গোলাম সরোয়ার (অপু), মো. মেহেদী হাসান, মো. রাকিবুল ইসলাম শরীফ, মো. জাহিদুল ইসলাম, তুষার মিত্র (শুভ), মো. কাওসার ইসলাম, মো. লিমন, মো. ফাহাদ, মো. সাকিব, মনি, মো. বাদশা, শেখ জুয়েল, মো. নাজমুল, খাঁন হাসিবুল ইসলাম, মো. হাসান, মো. হাসান বসরী, মো. মাইনুল ইসলাম, মো. বাদশা সর্দার, মো. ইমাম হোসেন, মো. সালাম মাস্টার, মো. ফকু মিয়া, মো. মোখলেসুর রহমান, মো. আবুল কালাম, কামরুল, কালাম, শাকিল, শামিম, ডিউক, জহির।
নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ'র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকেও দলীয় নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বরগুনায় দূর্নীতি দমন কমিশন দুদক ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকালে বরগুনা আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় বরগুনার ৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহন করে।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য রেজাউল ইসলাম টিটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক আবদুস ছালাম,জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন নয়ন, বরগুনা জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক আবদুল ওহাব প্রমুখ।
"ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সততা ও নিষ্ঠা বোধ জাগ্রত করা না গেলে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়"
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি বরগুনা জেলা কতৃক আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বরগুনা জিলা স্কুল, বরগুনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, বরগুনা আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, বরগুনা কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বরগুনা ডিকেপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গৌড়িচন্না এন এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সেনাখালি গগন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চরকগাছিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, বরগুনা দারুল উমুল কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর অংশ গ্রহন করেন।