মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫
২১ শ্রাবণ ১৪৩২

পরমাণু বিজ্ঞানী শমশের আলীর মৃত্যুতে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার শোকপ্রকাশ

সচিবালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত
সচিবালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:১৫

পরমাণু বিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ড. এম শমশের আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম।

এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহ আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে পরমাণু বিজ্ঞানী শমশের আলীর অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তাঁর মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

উল্লেখ্য, পরমাণু বিজ্ঞানী শমশের আলী শনিবার (২রা আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।


বরিশালে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে শহিদ পরিবার ও যোদ্ধাদের সংবর্ধনা, গ্রাফিতি উদ্বোধন ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তারিকুল ইসলাম তুহিন, বরিশাল প্রতিনিধি

বরিশালে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা ২০২৫-এর অংশ হিসেবে পুষ্পস্তবক অর্পণ, গ্রাফিতি উদ্বোধন, শহিদ পরিবার ও যোদ্ধাদের সংবর্ধনা এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে কর্মসূচির সূচনা হয় বাকেরগঞ্জ উপজেলার চড়াদী ইউনিয়নে। ৭টায় শহিদ মোঃ শাওন শিকদারের কবরে বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্যান্য সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধিরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে সকল জুলাই শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।

এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় সিএনবি রোড সংলগ্ন আমতলা মোড়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে আঁকা একটি বিশেষ গ্রাফিতি উদ্বোধন করেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ রায়হান কাওছার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিরাও উপস্থিত ছিলেন। সকাল ১০টায় বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় জুলাই শহিদ পরিবার ও যোদ্ধাদের সংবর্ধনা এবং আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোঃ রায়হান কাওছার এবং সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ শরফুদ্দিন, বরিশালের পুলিশ সুপার মোঃ শরিফ উদ্দীনসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ। অনুষ্ঠানে শুরুতে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর জুলাই যোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি, তাৎপর্য এবং ইতিহাস নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন অতিথিরা। পরে বরিশাল জেলার ৩০ জন শহিদ পরিবারের সদস্য এবং ৩৮৯ জন জুলাই যোদ্ধাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধনার পরপরই জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নির্মিত একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটে। এই আয়োজন বরিশালবাসীর মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা ছড়িয়ে দেয় এবং মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী প্রজন্মকে ইতিহাসচেতনায় উজ্জীবিত করে।


'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫' উপলক্ষে সেতু বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ৫ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:২১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫' উদযাপন উপলক্ষে সেতু বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আয়োজনে সেতু ভবন মসজিদে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসে বে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, সচিব, সেতু বিভাগ ও নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
আলোচনা সভায় সেতু সচিব সকল প্রকার বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং জুলাই যোদ্ধাদের পাশে থাকার জন্য সবাইকে আহবান জানান। এছাড়াও সচিব সেতু বিভাগ তাঁর বক্তব্যে সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
২০২৪ সালের আজকের এইদিনে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয় এবং ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে সরকার প্রধান দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়।

আজ বাদ যোহর সেতু ভবন মসজিদে ও কর্তৃপক্ষের আওতাধীন সকল স্থাপনার মসজিদে সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত সুশ্রুষা কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিলে সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং আওতাধীন প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ আলোচনা সভা এবং বিশেষ দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।


পাকুন্দিয়ায় আনন্দ মিছিলে গিয়ে বিএনপি নেতার মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদ্‌যাপনের আনন্দ মিছিলে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা সদরের পাটমহল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মৃত আল আমিন (৪৫) উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের কন্দরপদী গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে। তিনি পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য।

পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ সকালে পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ও পলায়ন দিবস পালন উপলক্ষে আনন্দ মিছিলের আয়োজন করা হয়।

বেলা সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়ন থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে পাটমহলে উপজেলা বিএনপির অফিসের সামনে আসেন। এ সময় বিএনপি নেতা আল আমিন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নূর-এ-আলম খান জানান, আল আমিন নামে একজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে আসার আগেই তিনি মারা গেছেন। অতিরিক্ত গরমের কারণে তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে ধারণা এই চিকিৎসকের।


বোরহানউদ্দিনে গণঅভ্যুত্থান দিবসে বিএনপির বিজয় মিছিল

আপডেটেড ৫ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:৩৫

ভোলার বোরহানউদ্দিনে ৫ই আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বিজয় মিছিল করেছে বোরহানউদ্দিন উপজেলা ও পৌর বিএনপি।

বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা জনসমুদ্রে পরিনত হয় ।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে ভোলা ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিমের নির্দেশে'বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মাফরুজা সুলতানার নেতৃত্বে বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে বিজয় মিছিল বের হয়ে পৌর বাজার,বোরহানউদ্দিন থানার মোড়,বোরহানউদ্দিন উপজেলা,উত্তর বাস স্ট্যান্ড সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলো প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

বিজয় মিছিল শেষে বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির আয়োজনে শহীদদের স্মৃতির স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মাফরুজা সুলতানা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গত বছরের আজকের এই দিনে আওয়ামী লীগের সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী ও ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে বাংলাদেশের জনগণকে মুক্ত করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি একটি নতুন স্বাধীনতা এদেশের মানুষকে উপহার দিয়েছে। বিএনপি'র অবদান মানুষ মনে রাখবে।

এ সময় তিনি পাঁচ ই আগস্ট স্মরণ করে বলেন,জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আমাদের শিক্ষার্থীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে,শিক্ষার্থীদের অবদান এ জাতী মনে রাখবে,তিনি বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দিনমজুর,শ্রমিক,কৃষক,রিক্সা চালক সকল পেশার মানুষ অংশ নিয়েছিলেন জুলাই আগস্ট-গণঅভ্যুত্থানে,যারা স্বৈরাচার সরকারের নির্দেশে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তিনি বলেন,সেই শহীদদের স্মৃতি আমাদের ভোলার নয়,আমরা তাদের স্মরণ করব আজীবন।

এ সময় তিনি আরো বলেন,বোরহান উদ্দিন ও দৌলতখানে যারা শহীদ হয়েছে আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি,যারা আহত হয়েছে তাদেরও সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছি,আমরা তাদেরকে সকল প্রকার সহযোগিতা করব।

তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি গণমানুষের দল,বিএনপি জনগণের কথা বলে,আমরা সব সময় জনগণের পাশে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবো বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন,উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক সরোয়ার আলম খান,উপজেলা বিএনপি'র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কাজী মোহাম্মদ আজম,যুগ্ন আহবায়ক শহিদুল আলম নাসিম কাজী,মনজুরুল আলম ফিরোজ কাজী,পৌর বিএনপি সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান কবির,উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শিহাব উদ্দিন হাওলাদার,সদস্য সচিব মোঃ জসিম উদ্দিন খান,পৌর বিএনপি'র সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান লিটন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল,ছাত্রদল,শ্রমিক দল,তাঁতিদল,মৎস্যজীবী দল সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।


সোনারগাঁয়ে মাসে ১০ কোটি টাকার গ্যাস চুরি করে অবৈধ চুনা ও ঢালাই কারখানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হাসান মাহমুদ রিপন, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রতি মাসে প্রায় ১০ কোটি টাকার গ্যাস চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে অবৈধভাবে গড়ে তুলা ২৩টি চুনা ও ঢালাই কারখানা থেকে। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে তুলছে অবৈধ চুনা ও ঢালাই কারখানা। তিতাস গ্যাসের অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে এসব করাখানা গড়ে তুলেছে। ফলে সরকারের রাজস্ব চুরির পাশাপাশি পরিবেশের মারাক্তকভাবে ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন যেন দেখেও না দেখার ভান করে আছেন। স্থানীয়রা দাবি করে জানান পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে এসব চুনা ও ঢালাই কারখানা বন্ধের জন্য। তবে এসব অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের ক্ষেত্রতে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ অভিযান চালানোর ঘোষনা দিলেও তা বাস্তবায়নে ঘড়িমসি করছেন।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ শিমরাইল এলাকায় গ্যাসের মাধ্যমে পাথর গলিয়ে চুনা তৈরি করা হতো। স্থানীয় প্রশাসন পরিবেশ বিপর্যয়ের কারনের সেখানকার চুনা কারখানা গুলো উচ্ছেদ করে। উচ্ছেদের পর সোনারগাঁয়ে এসে তারা চারটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করে চুনা কার‌্যখানা গড়ে তোলে। উপজেলার পিরোজপুর, মোগরাপাড়া, কাঁচপুর, সাদিপুর ইউনিয়ন ও সোনারগাঁ পৌরসভায় এসব অবৈধ কারখানা ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব কারখানায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি বিগত ১৭ বছর শেখ হাসিনার শাসন আমলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করে এসব কারখানা গড়ে তুলেছেন। তারা পালিয়ে যাওয়ার পর বর্তমানে তারা তিতাস কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে এসব কারখানা গড়ে তুলছেন।
সূত্র জানায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের আষাঢ়িয়ারচর এলাকায় সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রউফ ও তার ভাই পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিল অবৈধ গ্যাসে চুনা কারখানা গড়ে তুলেছেন। সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ প্রধানের নেতৃত্বে গঙ্গানগর এলাকায় তার ভাগিনা মো. মামুন মিয়া এম এম গার্মেন্টের পরিত্যক্ত ফ্যাক্টুরিতে সিন্ডিকেট চুনা কারখানা গড়েছেন, পিয়ার নগর গ্রামে দুটি ঢালাই কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। ইসলামপুর এলাকায় আরো একটি কারখানা গড়ে তোলার সময় স্থানীয়রা হামলা করে চুনের ভাট্টি ভেঙ্গে দেয়। এছাড়াও প্রতাপেরচর আরো একটি চুনা কারখানা রয়েছে। একই ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামে মোজাফফর আলী ফাউন্ডেশনের পাশে ডালিম ও ইউনিয়ন পরিষদের বিপরিত দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের এক বিএনপি নেতা মুনসুর হোসেনের দুটি কারখানা গড়ে তুলেছেন। পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি শফিউল আলম বাচ্চু ও তার ভাই নেয়ামতউল্লাহ নেমা তাদের বাড়ির পাশে দুটি ঢালাই কারখানা গড়ে তুলেছেন। রতনপুর এলাকায় নুরে আলমের দুটি ঢালাই কারখানা, সোনারগাঁ পৌরসভার পৌর ভবনাথপুর গ্রামে রফিকুল ইসলামের পরিত্যাক্ত বাড়িতে অবৈধ গ্যাসে ঢালাই কারখানা, দুলালপুর এলাকায় সুরুজ মেম্বারের বাড়ির পাশে গড়ে উঠেছে চুনা কারখানা, কাঁচপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাইন এলাকায় ৭টি ঢালাই কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। সাদিপুর ইউনিয়নের দুটি কারখানায় গড়ে উঠেছে। জামপুর ইউনিয়নের মিরেরটেক বাজার এলাকায় ঢালাই কারখানা গড়ে তোলা হয়। মোগরাপাড়া ইউনিয়নে দুটি কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিটি কারখানায় অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে প্রতি মাসে এসব কারখানায় প্রায় ১০কোটি টাকার গ্যাস ব্যবহারে সরকারী রাজস্ব চুরি করছেন।
স্থানীয়দের দাবি, চুনা ও ঢালাই কারখানা গুলোতে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারনে বৈধ আবাসিক গ্রাহকরা পর্যাপ্ত গ্যাস পায় না। ফলে রান্নাবান্নায় সমস্যার সৃষ্টি হয়। চুনা কারখানায় পাথর গলানোর কারনে পরিবেশ দুষণ হচ্ছে। ফলে আশপাশের ফসল ও ফল উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। পরিবেশের মারাক্তক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চুনা কারখানার মালিক জানিয়েছেন, তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে তারা এসব কারখানা গড়ে তোলেন। প্রতি মাসে তাদের মাসোহারা দিয়ে থাকেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার আগে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়। অভিযানের আগে গুরুত্বপূর্ন সরঞ্জাম তারা সরিয়ে নেন। ভেঙ্গে দেওয়ার দু’ তিনদিন পর পুনরায় ভাট্টি গড়ে তোলা হয়।
রতনপুর এলাকার মো. আলাউদ্দিন জানান, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় জনস্বাস্থ্যর ক্ষতিকর চুনাভাট্টির মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করার পরও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।
পিরোজপুর এলাকার আক্কেল আলী জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে এসকল চুনা কারখানা অবৈধভাবে পরিচালনা করে। বর্তমান সরকার এসকল অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন না করায় আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি।
সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রউফ অবৈধ চুনা কারখানা গড়ে তোলেননি বলে দাবি করেন।
সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ প্রধান বলেন, চুনা কারখানার গড়ে সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেন। এলাকার কিছু কর্মী অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করে চুনা কারখানা গড়েছেন ।
অভিযুক্ত মো. মামুন মিয়ার দাবি, বিগত ১৭ বছর শেখ হাসিনার শাসন আমলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করে এসব কারখানা গড়ে তুলেছেন। তারা পালিয়ে যাওয়ার পর বর্তমানে তারা এসব কারখানা গড়ে তুলছেন।
তিতাস গ্যাস ট্্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিউিশন কোম্পানির উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রাজীব কুমার সাহা বলেন, চুনা ও ঢালাই কারখানায় অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের বিষয়টি মন্ত্রনালয়ের বিভিন্ন সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। সেগুলো ভেঙে দেওয়ার পরও গড়ে তোলা হচ্ছে। তিতাসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।


শেরপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় গণঅভ্যুথ্যান দিবস উদযাপন 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর জেলা প্রতিনিধি

আজ ৫আগষ্ট গণঅভ্যুত্থান দিবসটি শেরপুরে নানা আয়োজনে ও যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে।

২০২৪সালের আগষ্টে শেরপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে যোগ দিয়ে জেলা শহরের তিনআনি বাজার কলেজ মোড়ে ঘাতকের গুলি ও জেলা প্রশাসনের ম্যাজিষ্ট্রেটের গাড়ি চাপায় শহীদ হন শারদুল আশীষ সৌরভ, মাহবুব আলম ও সবুজ। মূহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। এ স্থানটিকে শহীদ মাহবুব চত্বর হিসেবে উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান। এসময় পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম, সিভিল সার্জন, শেরপুর জনাব ডাঃ মুহাম্মদ শাহীনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শহীদদের স্মরণ করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয় আরো নানা কর্মসূচি।

সকালে শেরপুর সদর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়নের তারাগর নামাপাড়ার শহীদ মাহবুব আলমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম।

শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।

এছাড়াও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শিশু কিশোরদের অংশ গ্রহণে স্কেটিং র‍্যালি, বৃক্ষ রোপন, জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জুলাইযুদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

শেরপুরের প্রত্যেকটি মসজিদে যোহরের নামাজ শেষে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।


হৃদয়কে ফিরে পেতে বছরজুড়ে মায়ের অপেক্ষা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

মায়ের চোখ আজও পথ চেয়ে থাকে! হয়তো ফিরবে হৃদয়, হয়তো আবার একবার “মা” বলে ডাকবে।

গত বছরের ৫ই আগস্ট। দেশে গণঅভ্যুত্থান, সরকারের পতন, রাজপথে বিজয়ের উল্লাস। হৃদয়ের পরিবারের দাবি, সেইদিন বিকেলে গোপালপুর উপজেলার আলমনগরের কলেজছাত্র হৃদয়কে; গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে শরিফ মেডিক্যাল হাসপাতালের সামনে বিজয় মিছিল থেকে ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য তাকে ঘিরে ধরে, বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি চালায়। মাটিতে শুয়ে পড়া রক্তমাখা নিথর দেহ চ্যাংদোলা করে টেনে নিয়ে যায় পুলিশ। সেদিনের সেই নির্মম ঘটনার ভিডিও মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে নাড়িয়ে দেয় হাজারো মানুষের হৃদয়।

হৃদয় ছিল হেমনগর ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। পরিবারের একমাত্র সন্তান। লেখাপড়ার খরচ চালাতে গাজীপুরে অটোরিকশা চালাত সে। গতবছর ৫আগষ্ট বিকাল থেকে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি তার । তার মা, রেহেনা বেগম, আজও প্রতীক্ষায় হয়তো ফিরে আসবে বলে। অন্তত হাড়গোড়ে খোঁজ মিললেও বাড়ির উঠোনে সমাধিস্থ করতে চান দিনমজুর বাবা লালমিয়া।বৃদ্ধ বাবা ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করলেও শোকে আর ঠিকমতো কাজ করতে পারেন না। এনজিওর ঋণ পরিশোধ না করতে পেরে আরও সংকটে পড়েছে পরিবারটি।

এই ঘটনায় হৃদয়ের ভগ্নিপতি মো. ইব্রাহীম বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী মো. ইব্রাহিম বলেন, গতবছর ৫ আগষ্ট সকাল থেকেই হৃদয় ও তিনি আন্দোলনে অংশ নেয়। শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর তারা সকলের সাথে আনন্দ মিছিলে অংশ নেয়। মিছিলটি কোনাবাড়ী থানার কাছাকাছি পৌছালে থানার ভিতর থেকে পুলিশ গুলি ছুড়তে থাকে। এক

পর্যায়ে পুলিশের ১০-১২ জনের টিম শরিফ মেডিক্যালের সামনে হৃদয়কে ঘেরাও করে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে। পুলিশ লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে টেনে নিয়ে যায় এবং কোনাবাড়ি থানার সামনে বেঞ্চের আড়ালে লুকিয়ে রাখে। এ সংক্রান্ত একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরো বলেন, এক বছর পর সরকার নিহতের লাশ উদ্ধারের জন্য তুরাগ নদীতে কাজ করেছে। যদি আমার ভাইয়ের একটি একটি হাড়ও যদি পাই তাহলে সেটি নিয়ে পরিবারের সবাইকে সান্ত্বনা দিয়ে বুঝ দিতে পারবো। বাড়ির পাশে একটি কবর দিতে পারবো।

নিহত হৃদয়ের বড় বোন জেসমিন আক্তার বলেন, অভাবের সংসারে হৃদয় কষ্ট করে লেখাপড়া করতো। হৃদয়ের লাশ পাওয়া যায়নি বলে আমার ভাই শহিদের মর্যাদা পায়নি। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি।

হৃদয়ের মা-বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমরা শুধু আমাদের ছেলের হাড়গোড় ফেরত চাই। আর যারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে, তাদের ফাঁসি চাই।


দূর্ঘটনা প্রতিরোধে সর্বসাধারণকে সহযোগিতার আহ্বান রেল কর্তৃপক্ষের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রেলপথে দূর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে এবং সর্বসাধারণকে সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছে রেল কতৃপক্ষ।

সম্প্রতি বিভিন্ন রুটে কয়েকটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এসব দূর্ঘটনায় প্রাথমিক সতর্কতা ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। প্রত্যেকটি দূর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য পৃথক পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে এসব দূর্ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্প্রতি কিছু ঘটনায় প্রতীয়মান হয় যে, রেলপথে দূর্ঘটনার জন্য রেল সংশ্লিষ্টদের বাইরে কতিপয় ব্যক্তি/গোষ্ঠীর তৎপরতা রয়েছে যা নাশকতার

উল্লেখ্য যে, গত ৩ আগস্ট দিবাগত রাতে নাটোরের কাছে মাধনগরে রেল ট্র্যাকে শিকল পেচিয়ে তালা দিয়ে রাখা ছিলো যেনো চলমান ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে দূর্ঘটনায় পতিত হয়। রেলওয়ের লোকাল কি-ম্যান এটা দেখে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামিয়ে দেন। পরে উক্ত শিকল অপসারণ করে ট্রেন চালনা করা হয়। বিষয়টি বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটানোর উদ্দেশ্যে সুচিন্তিতভাবে করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সকলের ধারণা। এ ব্যাপারে গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, এ ধরণের উদ্দেশ্য প্রণোদিত কার্যকলাপ বাংলাদেশ রেলওয়ে কিংবা সরকারের একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত দূরুহ কাজ। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত জনসম্পৃক্ততা ও সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

দেশের যে কো্নো স্থানে রেল লাইন ও এর আশপাশে সন্দেহজনক কিছু দেখা গেলে বা রেল লাইনে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে বা কোনো প্রকার দূর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন কিছু লক্ষ্য করলে তাৎক্ষণিকভাবে তা রেল কর্তৃপক্ষ অথবা স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের হটলাইন ১৩১ নম্বরে অথবা ৯৯৯ (টোল ফ্রি) নম্বরে ফোন করা যাবে। সকল ক্ষেত্রে তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে।


ব্রুনাইয়ে নিহত জামালের মরদেহ এসেছে ভোলায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউসুফ হোসেন অনিক, ভোলা প্রতিনিধি

ব্রুনাইতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়া ভোলার ছেলে জামাল হোসেনের (৩৫) মরদেহ মৃত্যুর ১৩ দিন পর কফিন বন্ধী হয়ে নিজ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছেছে।

সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে ভোলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের জাহাঙ্গালিয়া গ্রামে কফিনে জামালের মরদেহ আসলে স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এরপর জানাজা নামাজ শেষে নিজ পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

এরআগে, গেল ২২ জুলাই দুপুরে ব্রুনাইয়ের চীনারুপাই শহরের একটি নির্মান প্রকল্পে কাজ করা অবস্থায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা যান জামাল। পরে, সেখানে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে একটি হিমাগারে রাখা হয় মরদেহ। এরপর যাবতীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে গতকাল একটি বেসরকারি ফ্লাইটে রাত ১টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার লাশ এসে পৌঁছায়। পরে স্বজনরা তার কফিন বন্ধী লাশ নিয়ে ভোলার উদ্দেশ্য রওয়ানা দিয়ে আজ দুপুরে গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছান।

নিহত জামাল ওই গ্রামের হাদিস মিয়ার ছেলে। তিন ভাই আর দুই বোনের মধ্যে জামাল ছিলেন সবার ছোট। আদরের সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা বাবা মা ভাই বোন।

স্বজনরা জানান, 'কথা ছিলো ৩ আগস্ট ছুটিতে প্রবাস থেকে বাংলাদেশে ফিরে ৪ আগস্ট নিজ বাড়ি ভোলাতে আসবেন জামাল। এবার বাড়ি এসে বিয়ে করবেন বলেও জানিয়েছিলেন স্বজনদের।

কিন্তু, দেশে ফেরার দিনে জামাল ঠিকই আসলো। তবে, জীবিত নয় কফিন বন্ধী লাশ হয়ে।'

এদিকে, জামালের মরদেহ গ্রামের বাড়ি ভোলায় পৌঁছানোর পর তাকে একনজর দেখতে ভীর জমিয়েছেন তার স্বজনসহ এলাকাবাসী। ছেলের কফিন ঘিরে বাবা, মা, ভাই, বোনদের আহাজারি যেনো থামছেই না। তার অকাল মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না স্বজনসহ এলাকাবাসী।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অভাবের সংসারের দুঃখ গোছাতে এক যুগ আগে পাড়ি জমিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া মহাদেশের ব্রুনাই দেশে। কাজ নিয়েছিলেন একটি নির্মান প্রকল্পের ইলেক্ট্রিশিয়ান হিসেবে। ঘটনার দিন জামাল ও তার এক সহযোগী মিলে কাজ করছিলেন। পরে জামালের মৃত্যু হলে তার সহকর্মী অপর এক বাঙালি বিকেলে ফোন করে জামালের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পরিবারকে জানায়।

জামালের বাবা হাদিস মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, 'আমার ছেলে প্রতি মাসেই বাড়ি আসতে চাইতো। কিন্তু ছুটি পায়নি বলে দেশে আসতে পারে নায়। এখন তার চিরতরে ছুটি হয়ে গেছে। আমার ছেলে আমাকে রেখে এতো তারাতারি চলে যাবে এটা মানতে পারছি না।'

জামালের জন্য আহাজারি করে কাঁদছেন প্রতিবেশীরাও তারা বলছেন, জামাল একজন পরিশ্রমী ও সৎ মানুষ ছিলেন। ছুটিতে বাড়িতে আসলে সবার সঙ্গে বিনয়ী আচরণ করতেন। তার এমন মৃত্যুর খবর তারাও কিছুতে মেনে নিতে পারছেন না।


চরবাড়িয়ায় সরকারি খালে দখল, একাধিক পাকা দোকান গুঁড়িয়ে দিলেন ভূমি কর্মকর্তারা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তারিকুল ইসলাম তুহিন, বরিশাল ব্যুরো

বরিশালের চরবাড়িয়া ইউনিয়নের লামচরী এলাকার রাজা বাজারে সরকারি খালের জায়গা দখল করে নির্মাণাধীন চারটি একতলা পাকা দোকানঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. শাহীন আলম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুহুল ও আমিন দুই ভাই তাদের পিতা হযরত আলী মৃধা। মামুন ও সোলায়মান তারাও দুই ভাই ,তাদের পিতা মাহাবুর মৃধা এই ৪ জন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি খালের জায়গায় অবৈধভাবে দোকান নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন।

শুরুতে তাদের নিষেধ করা হলেও তারা প্রশাসনের কোনো কথায় কর্ণপাত না করে দখল কার্যক্রম চালিয়ে যান। জমি দখলের বিষয়টি জানতে পেরে চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. শাহীন আলম একাধিকবার উপস্থিত হয়ে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন এবং সতর্ক করেন। পরে তিনি বরিশাল সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয়কে বিষয়টি অবহিত করেন।

তারই নির্দেশে দুপুরে অভিযান চালিয়ে চারটি পাকা দোকানঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় জনগণের সহায়তায় এ উচ্ছেদ অভিযান কার্যকরভাবে সম্পন্ন হয়।

চরবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শাহীন আলম বলেন,সরকারি সম্পত্তি দখলের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। বারবার নিষেধ করা হলেও তারা কথা শোনেননি। তাই আমরা বাধ্য হয়েই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছি। ভবিষ্যতে যারা সরকারি জমি দখল করবে, তাদের বিরুদ্ধেও একইভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন,এটি শুধু আইন প্রয়োগ নয়, জনগণের অধিকার ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার অংশ হিসেবেই আমাদের এ উদ্যোগ। সরকারি খাল দখল করে কেউই পার পাবে না।


বান্দরবান সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নয়ন চক্রবর্তী, বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিষ্পোরণের কবলে পড়ে লাকি সিং (২৪) নামে এক বাংলাদেশী তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে ৪২ ও ৪৩ নম্বর সীমান্ত পিলারের ওপারে বাঁশ কোড়ল কুড়াতে গিয়ে এ বিস্ফোরণের কবলে পড়েন তিনি।

আহত, লাকি সিং (২৪) নাইক্ষ্যংছড়ির সোনাইছড়ি ইউপির গাছবুনিয়া গ্রামের সুমন কারবারির মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, সকলে বাঁশ কোড়ল (বাঁশের মূলি) সংগ্রহ করতে গিয়ে এক পর্যায়ে ৪২-৪৩ নম্বর সীমান্ত পিলারের ওপারে চলে যান।সেখানে মিয়ানমারের আরাকান আর্মীর পক্ষ থেকে আগে থেকে পুঁতে রাখা স্থলমাইনের ওপর পা পড়লে বিষ্ফোরণের কবলে পড়েন তিনি।এতে তার বাঁম পায়ের গোড়ালি থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনাস্থল হতে তাকে উদ্ধার করে

প্রথমে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।


সাতক্ষীরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক গুলিবিদ্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আবু সাঈদ, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের লক্ষীদাড়ি সীমান্তের বিপরীতে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ( বিএসএফের) ছোড়া গুলিতে এক বাংলাদেশি এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। ওই যুবকের মাথা, চোখ, মুখ সহ কয়েকটি স্থানে ছররা গুলি লেগেছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসক। । সোমবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে লক্ষীদাড়ি সীমান্তের ১ নং বিজিবি পোষ্টের কাছে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ আলমগীর হোসেন(৩৫) বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে । আলমগীর হোসেন সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের লক্ষীদাঁড়ি গ্রামের শেখ সাঈদ হোসেনের ছেলে।

গুলিবিদ্ধ আলমগীর হোসেনের বোন ইছমত আরা জানান, বাড়ির পাশে কুমড়োর খালের পাশে বিজিবি’র ১নং পোস্টের পাশে শূন্যরেখা বরাবর সরকারি খাস জমিতে তার বড় ভাইয়ের একটি মাছের ঘের রয়েছে। সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টিতে ঘেরটি তলিয়ে যায়। সোমবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে তিনি ওই ঘের নেট দিয়ে ঘেরা ও মাছের খাবার দিতে যান ভাই । ওই সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঘোজাডাঙা বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা তাকে লক্ষ গুলি ছোঁড়ে। এতে তার মাথা, মুখ, চোখের ভুরুসহ বিভিন্ন স্থানে ছাররা গুলি লাগে।পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে ।

এদিকে সীমান্ত গ্রামবাসিদের মধ্যে জাকির হোসেন ও আব্দুল কাদের জানান, আলমগীর দীর্ঘদিন ঘরে ধুড় পাচার ও চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত। সীমান্তে সরকারি জায়গায় তার মাছের ঘের থাকলেও মূল পেশা চোরাচালান। সোমবার ভোরে ভারত থেকে চোরাচালানি পণ্য আনতে গেলে বিএসএফ তাকে গুলি করে। এ সময় তার অন্য দুই সহযোগী পালিয়ে যায়।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ এবিএম আক্তার মারুফ জানান, সোমবার সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে আলমগীরকে জরুরী বিভাগে আনা হয়। তার মুখ, মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে ছাররা গুলি লাগার চিহ্ন রয়েছে।

সাতক্ষীরার ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার জহির আহম্মেদ জানান, তিনি আলম নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মর্মে শুনেছেন। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


নড়াইলে ’’আগষ্ট মার্চ ফর জাস্টিস” কর্মসূচি পালন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নড়াইল প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগের নাক-কান কাটা গেছে। তারা এখন বিশ্বজুড়ে বিতর্কিত । স্বৈরাচার হিসেবেও খ্যাতি লাভ করেছে । বিগত ১৬ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে দেশের অর্থ-সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে । ওই দলকে ফ্যাসিষ্ট দল হিসেবে আর্ন্তজাতিক পুরস্কার দেওয়া উচিত ।

গতকাল সোমবার(৪ জুলাই)দুপুরে”আগষ্ট মার্চ ফর জাস্টিস”কর্মসূচি পালনে এক সমাবেশে নড়াইল জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরাম নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন । এর আগে কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয় । মিছিলটি জেলা আইনজীবি সমিতি ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয় ।

এখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন,সংগঠনের সভাপতি মো.আজিজুল ইসলাম । বক্তব্য দেন,আইনজীবি সমিতির সভাপতি সাংবাদিক মো.তারিকুজ্জামান লিটু,পিপি ও নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মো.আব্দুল হক,ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব মোর্শেদ জাপলসহ অন্যরা ।

বক্তারা আরো বলেন,ফ্যাসিস্ট সরকার শাসনামলে আদালতসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করেছে । ক্ষমতার জোড়ে দিনের ভোট রাতে বাক্সবন্দি করে এমপি বানিয়ে ক্ষমতায় বসেছে। অনেক নিরীহ মানুষসহ রাজনীতিবিদদের ফাসিতে ঝুলিয়েছে। বিনা কারণে বিএনপির লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে জেলে পাঠিয়েছে। তারা বলেন,প্রকৃতিরও বিচার আছে।


banner close