সন্ধ্যা হলেই বালু নদের তীরে, নীলা মার্কেঠে জলে ওঠে লাল নীল বাতি। মাটির চুলায় লাকড়ি দিয়ে রান্না শুরু হয় হাঁসের মাংস আর বিভিন্ন ধরনের পিঠা। আর এগুলো তৈরি করেন নারীরা এবং পরিবেশনও করেন নারীরা। স্থানীয়রা বলেন, শুধু শীতেই এখানে কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। মাংস দিয়ে পিঠা বিক্রি করে এখানে শতাধিক নারী স্বাবলম্বী।
শীত, গ্রীস্ম, শরৎ আর হেমন্ত সব মৌসুম বাঙালি জাতির বিলাসী আহার-বিহারের মৌসুমও। বছরজুড়ে হাজারো ধরনের পিঠাপুলি তৈরির ধুম পড়ে যায়। অঞ্চলভেদে ঘরে ঘরে তৈরি করা হয় কত রংবেরঙের পিঠাপুলি। তবে সময় এবং মানুষের রুচির মধ্যে অনেক পার্থক্য এসেছে। এক সময় বাহিরের খাবাওে অরুচি থাকলেও এখন ঘরে তৈরি খাবার খেয়ে আভ্যন্ত বাঙালি ক্রমেই ঘরের বাইরে তৈরি খাবার খেতেও অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। বাঙালির এই খাদ্য রুচি পরিবর্তনের কথা ভেবে অঞ্চলভেদে গড়ে উঠেছে বিশেষ খাবারের বিশেষ রেস্টুরেন্ট। তেমনি কয়েক বছর ধরে শীত মৌসুমে শীতের খাবারের মেন্যুর শীর্ষ পর্যায়ে স্থান পেতে শুরু করেছে হাঁসের মাংস। এসব হাঁসের মাংস রান্নার ধরন ও স্বাদও আলাদা।
তেমনি রান্না করা হাঁসের মাংসের জন্য বিশেষ দ্রষ্টব্য স্থান হয়ে উঠেছে ৩০০ ফিট ঘিরে পূর্বাচলে বালু নদের পাশের ময়েজ উদ্দিন চতুর ও নীলা মার্কেট। ঢাকা-রূপগঞ্জ সড়কের ৩০০ ফিট এলাকায় স্টেডিয়ামের পাশে বালু নদের তীর ঘেঁষে গ্রামীণ এ বাজারের অবস্থান। প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলে তরুণ-তরুণীরা, বন্ধু-বান্ধব কিংবা অনেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সেখানে হাজির হন রান্না করা হাঁসের মাংস দিয়ে চাপটি খেতে।
রাজধানী বাড্ডা থেকে এসেছেন শামিম-মুন্নি দম্পতি। তাঁরা বলেন, হাঁস তো বাসায় বসেই খাওয়া যায়। কিন্তু পূর্বাচলে খাওয়ার মজাই আলাদা। গ্রামীণ পরিবেশে খাওয়া ও ঘোরাঘুরি দুটোই হয়। ডেমড়ার মীরপাড়া থেকে এসেছেন আবিদ হাসান ও তাঁর বন্ধুরা। আবিদ বলেন, 'আমরা সব বন্ধু মোটরবাইকে করে পূর্বাচলে এসেছি হাঁসের মাংস খেতে। শুনেছি এখানকার হাঁসের মাংস খুবই স্বাদ।
গ্রামীণ আবহে সেখানকার দোকানগুলোয় হাঁসের মাংস রান্না করা হয় মাটির চুলায়। রান্নায় ব্যবহার করা হয় স্থানীয় উপকরণ। অনেক ভোজনরসিক মাটির চুলায় এই হাঁস রান্নার ঘ্রাণে বিমোহিত হন। দল বেঁধে হাঁসের মাংস দিয়ে চাপটি, রুটিসহ বিভিন্ন পিঠা খেতে পূর্বাচলে ৩০০ ফিটের ময়েজ উদ্দিন চত্বর ও নীলা মার্কেট ভোজনরসিকদের কাছে বিশেষ স্থান হয়ে উঠেছে।
সপ্তাহের ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার ছাড়াও যেকোনো বন্ধের দিন যেখানে ভোজনরসিকদের ভিড় লেগে যায়। বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ভোজনরসিকদের এই ভিড় অব্যাহত থাকে। গ্রামীণ পরিবেশে দেশি হাঁসের মাংসের সঙ্গে আতপ চালের চাপটি কিংবা চিতই পিঠা ভোজনরসিকদের কাছে বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শীত আসলেই শীতের খাবারের নতুন এই ট্রেন্ড হাঁসের মাংস খেতে দলে দলে ভোজনরসিকরা ছুটে যান নীলা মার্কেট এলাকায়।
৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়ের পাশে পূর্বাচল সেক্টর-১-এ বিশাল এলাকাজুড়ে মার্কেকটির অবস্থান। ৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়ে এমনিতেই রাজধানীবাসীর কাছে দর্শনীয় স্থান। তার পাশে নীলা মার্কেটের মজাদার হাঁসের মাংস মানুষের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে তুলেছে। এর সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ায় রাজধানীর আশপাশের এলাকাগুলো থেকেও আনকে দল বেঁধে সেখানে হাঁসের মাংসের স্বাদ নিতে চলে আসেন। সেখানকার অসংখ্য দোকানের যেকোনো একটায় ইচ্ছামতো বসে উপভোগ করা যায় দেশি হাঁসের বিচিত্র স্বাদ। সঙ্গে রয়েছে বাহারি পিঠাও।
নীলা মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের দুই পাশে সারি সারি দোকান, যার প্রায় প্রতিটি দোকানেই পাওয়া যায় গরু, মুরগীসহ হাঁসের মাংস। রান্নার জন্য প্রতিদিন দুপুরের মধ্যেই শেষ করা হয় হাঁস কেটে মাংস ধোয়ার কাজ। সন্ধ্যা নামতেই শুরু হয় মাটির চুলায় রান্না। তখন সেখানকার চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে হাঁস রান্নার ঘ্রাণ। দেখা গেছে ছুটির দিনে সেখানে আলেয়ার পিঠাঘরে রান্না হচ্ছে ২৫টি হাঁস। আরো ১০টি মজুদ করা আছে। শিউলি আক্তার তাঁর পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় প্রায় আড়াই বছর ধরে সেখানে ব্যবসা করছেন। খাবার মজাদার হওয়ায় শুরু থেকেই তিনি ভোজনরসিকদের কাছে জনপ্রিয়। কথায় কথায় জানালেন, ছুটির দিনগুলোতে বিকেল থেকে রাত ১টা পর্যন্ত তাঁর দোকানে বেচাবিক্রি চলে। ২৫০ টাকার এক প্লে¬ট মাংসে থাকে একটি লেগ পিসসহ মোট পাঁচ পিস মাংস, সাথে ঝোল। নীলা মার্কেটের বিশেষত্ব হলো সেখানকার মাংস রান্না হয় মাটির চুলায়। আর জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় শুকনা কাঠ। এ কারণে খাবারের স্বাদ ভিন্ন হয় বলে জানালেন সেখানকার দোকানিরা।
ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে অনেকে দোকানের সাইন বোর্ডে লিখে রেখেছেন 'লাকড়ি দিয়ে মাটির চুলায় রান্না হয়।' 'নিমন্ত্রণ পিঠা ঘরে' রান্না করছিলেন খালেদা আক্তার। মাটির চুলার বিশেষত্ব সম্পর্কে তিনি বললেন, 'মাটির চুলায় কাঠ দিয়া রান্নাডা হইতে টাইম লাগে। আস্তে আস্তে রান্না হয়। এ জন্য খাবারডা মজা হয়। আর হাঁসের মাংস তো অনেক সময় নিয়া রান্না করা লাগে। মাংস শক্ত থাকলে খাইয়া মজা নাই।
'বউ-শাশুড়ি পিঠা ঘর'-এর মালিক বন্যা আক্তার বলেন, 'আমাদের লোক আছে। ওরা ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা থেকে হাঁস দিয়ে যায়। একদম দেশি হাঁস। হাওরে যেগুলো পালা হয়। আমাদের দোকানে প্রতিদিন রান্না করা ৫০ থেকে ৬০টি হাঁসের মাংস বিক্রি হয়।'
শীতে একটু বেশি জমে ব্যবসা। 'অনন্যা খাবারঘর'-এর মালিক জাকির মিয়া বললেন, 'নীলা মার্কেটে দেড় শ থেকে দুই শ দোকান রয়েছে। যারা হাঁসের মাংস। বিক্রি করে। শীতে সবচেয়ে বেশি জমজমাট হয় এই বাবসা। শীতে হাঁস ভুনা দিয়ে পিঠা খেতে অনেকে পছন্দ করে। এই মৌসুমে এক মাসে আমার প্রায় দুই শ থেকে আড়াই শ হাঁস লাগে'।
জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আগামী ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।
তথ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়।
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির অনিয়ম দূর্নীতির প্রতিবাদে উক্ত সমিতির যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডঃ আলহাজ্ব নুরুল আমিন এর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত।
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র লংঘন করে একতরফা সিদ্ধান্তে কাজ করার প্রতিবাদে ৩ আগষ্ট রবিবার বেলা ২ টায় সাতক্ষীরা পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসে সংবাদ সম্মেলন এর আয়োজন করেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ্ব এ্যাডঃ মোঃ নুরুল আমিন । এসময় সংবাদ সম্মেলনে
উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পি,পি, এ্যাডঃ শেখ আব্দুস সাত্তার , সাতক্ষীরা জজ কোর্টের জি,পি, এ্যাডঃ অসীম কুমার মন্ডল , সাতক্ষীরা নারী শিশু কোর্টের বিশেষ পি,পি, এ্যাডঃ শেখ আলমগীর আশরাফ , সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ এ্যাডঃ শেখ সিরাজুল ইসলাম (৫) , নির্বাচিত সদস্য এ্যাডঃ আসাদুর রহমান বাবু , নির্বাচিত সদস্য এ্যাডঃ সুনিল কুমার ঘোষ ।
আরো উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডঃ মোঃ আকবর আলী, এ্যাডঃ এ বি এম সেলিম, এ্যাডঃ গোবিন্দ চন্দ্র বল্লভ, এ্যাডঃ আলতাফ হোসেন, এ্যাডঃ মিজানুর রহমান বাপ্পী, এ্যাডঃ শাহরিয়ার হাসিব , এ্যাডঃ এস,এম,সোহরাব হোসেন বাবলু, এ্যাডঃ তোহা কামাল উদ্দিন হীরা, এ্যাডঃ সরদার সাইফ , এ্যাডঃ আবু সাইদ রাজা, এ্যাডঃ জি,এম,ফিরোজ আহমেদ, এ্যাডঃ জাহাঙ্গীর আলম , এ্যাডঃ ইমরান শাওন, এ্যাডঃ তারিফ ইকবাল অপু, এ্যাডঃ রেজাউল ইসলাম, এ্যাডঃ রফিকুল ইসলাম খোকন, এ্যাডঃ সাইফুল ইসলাম সোহেল , এ্যাডঃ ওয়ালীউল্যাহ, এ্যাডঃ আইয়ুব আলী।
যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডঃ মোঃ নুরুল আমিন লিখিত বক্তব্যে বলেন সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতি গঠনতন্ত্র মোতাবেক চলছে না । তিনি আরো বলেন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ক্রয় কমিটির দায়িত্ব / আহবায়ক যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডঃ নুরুল আমিন কিন্তু কয়েক লক্ষ টাকার জিনিষ ক্রয় করা হয়েছে যুগ্ম সম্পাদক কিছু জানে না । তিনি আরো বলেন আইনজীবী সমিতির আয় হচ্ছে কিন্তু আইনজীবীদের সঞ্চয় তহবিলে টাকা নেওয়া হচ্ছে না, লভ্যাংশ দেওয়া হচ্ছে না এবং নতুন আইনজীবী দের সঞ্চয় তহবিল দিতে হবে। সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিত যার যে দায়িত্ব তাকে সেই দায়িত্ব বুঝায়ে দিতে হবে এবং নির্বাচিত প্রত্যেক কে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। নতুবা ভবিষ্যতে বৃহৎ আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পুলিশের অভিযানে ২৩ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা শহরে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত ছিলো । আজ রোববার বিকাল সাড়ে ৪ টায় তাদেরকে কিশোরগঞ্জ আদালতে চালান দেয়া হয়।
গতকাল শনিবার রাত ১০ টা থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত শহর এলাকায় এই অভিযান চলে। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সবুজ (২৩) হেলাল (২৫), নাঈম (২৩), রায়হান (২০), আরাফাত (৩৩), ওসমান (১৮), সোহেল মিয়া (২৮), মো. ফুল মিয়া (৩৬), হৃদয় (২৫), রনি মিয়া (৩২), বিল্লাল মিয়া (২০), সানি (৩৩), বিজয় (২৮), সুমন (২০), মাহিন (২১), নামিন (২০), মনির হোসেন (২৮), ফরহাদ (২৫), আকাশ (৩২), গোলাম মোস্তফা (৪২), জনি (২৬), দুলাল (৪৫)।
এবিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফূয়াদ রুহানী জানান, শহরে চুরি, ছিনতাই, মাদক বৃদ্ধি পাওয়ায় শনিবার রাতভর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৬ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্য কারো কারো নামে থানায় ছিনতাই মামলা আছে, একজন ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। কয়েকজনের নামে নতুন মামলাও হয়েছে। ভৈরব শহরের আইন শৃংখলা ঠিক রাখতেই অভিযান চালানো হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নদী আক্তার নীলা(২৫) নামে এক গৃহবধূ কে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছে ভাসুর রবিউল হাসান আবির (৩৫)।
রবিবার সকালে উপজেলার কুশিয়ারা এলাকার একটি নির্জন বিলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ নদী আক্তার নীলা ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার কানুরামপুর এলাকার শাহজাহান দেওয়ানের মেয়ে ও কুশিয়ারা এলাকার প্রবাসী রাসেল মিয়ার স্ত্রী।
আত্মসমর্পণকারি রবিউল হাসান আবির উপজেলার কুশিয়ারা এলাকার মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত গৃহবধূ নদী আক্তার নীলা পূর্বে ৩টি বিয়ে হয়ে ছিল। কুশিয়ারা এলাকার প্রবাসী রাসেল ছিল তার ৪ নাম্বার স্বামী। এদিকে ঘাতক রবিউল হাসান ওরফে আবিরের মা বেশ কিছু দিন পূর্বে ব্যবসার জন্য ব্রাক ব্যাংক থেকে ৪ লাখ টাকা উত্তেলন করে তার ছোট ছেলে রাসেল ও তার স্ত্রী নীলার হাতে তুলে দেন। রাসেল ঋণ পরিশোধ না করে প্রবাসে পাড়ি জমায়। এ ঘটনায় ব্রাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জিম্মাদার ভাসুর রবিউল হাসান আবিরকে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এ নিয়ে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নীলার সাথে ভাসুর রবিউল হাসান আবির সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জের ধরে রোববার সকালে ভাসুর রবিউল হাসান আবির তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নদী আক্তার নীলাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে কুশিয়ারা এলাকার একটি নির্জন বিলে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। হত্যকান্ডের ২ ঘন্টা পর সকাল ৯টায় ভাসুর রবিউল হত্যাকান্ডের ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র নিয়ে বন্দর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হত্যার পর নিহতের ভাসুর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
শহিদ সবুজের স্ত্রী বলেছেন, আমরা শহিদ পরিবার ও আহত পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ থাকবে আপনারা আমাদেরকে সুনজরে দেখবেন। আমার স্বামীর হত্যায় মামলা করেছি এবং ১৩ জন আসামী গ্রেফতার হয়েছে কিন্তু তাদের এখনো বিচার করা হয়নি। আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাই, স্বৈরাচারের বিচার চাই। আ.লীগ ফ্যাসিস্টদের বিচার চাই। তাদের ফাঁসি ঝুলাতে চাই।
রবিবার (৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ছাত্র-শিক্ষক সংহতি দিবস উপলক্ষে শহিদ পরিবারের সাথে মতবিনিময় ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে শহিদ সবুজের স্ত্রী এসব কথা বলেন।
শহিদ সবুজের স্ত্রী বলেন, আমার পরিবারের উপার্জন কর্তা একজনই ছিল তিনি আমার স্বামী। তিনি যখন আন্দোলনে গিয়েছিলেন তখন আমার ১ মাসের বাচ্চা ছিল। তিনি আমাদের পরিবারে ও বাচ্চার কথা চিন্তা না করে আন্দোলনে যোগদান করেছিল। আমার স্বামী দেশের জন্য লড়েছেন, জাতির জন্য লড়েছেন। ৫ আগস্টে বিজয় মিছিলের পর বাসায় অনেকে ফিরেছিল তখন আমার স্বামী ফিরে নাই। তিনি শহিদ হয়েছিলেন কিন্তু আমি দেখতে পারিনি। এই না দেখার বেদনা আমি বলে বুঝাতে পারবো না।
শহিদ রাকিবের পিতা বলেন, আমি অনুরোধ করছি শহিদদের স্মরণের জন্য এমন ব্যবস্থা যদি রাখা হয় তাহলে আমাদের সন্তানদের স্মরণ করতে পারবো সন্তুষ্ট হবো এবং কৃতজ্ঞ থাকবো আপনাদের কাছে।
শহিদ ইউসুফের মা বলেন, আমার বাবা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। আমি হাসপাতালে ছুটে যাই। তিনটা লাশ ছিল। আমার বাবার পা দেখে সনাক্ত করি। কিন্তু ওই যন্ত্রনা সহ্য করতে পারি নাই। এরপরও ছাত্র ভাইদের ডাকে সাড়া দিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করি আন্দোলনে।
শহিদ পরিবারের আরেক সদস্য বলেন, আছরের নামাজের পর হঠাৎ শুনতে পাই আমার ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হয়েছেন। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমার মা অস্বাভাবিক ভাবে কাঁদতে থাকেন। এই বেদনা নিয়ে বলতে চাই, ফ্যাস্টিটের অত্যাচার দেখে যাচ্ছি, থামছে না। এগুলো প্রথমত থামাতে হবে। থামানোর জন্য পদ্ধতি বের করতে হবে। কেউ অন্যায় করলে সেটা বিচার পাই না। ফেজবুকে ছেড়ে দেই, বিচার চাই, ফাসি চাই স্লোগানে সীমাবদ্ধ থাকি। আমরা এগুলো চাই না। আমরা কঠোর বিচার চাই, বিচার বিভাগীয় সংস্কার চাই।
উল্লেখ্য, জুলাই বিপ্লব প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
নেত্রকোনায় ৩ আগষ্ট ২০২৫ তারিখ রবিবার সকালে জেলা সদর উপজেলার হলরুমে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা ও জেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে পারফরমেন্স বেইজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারী ইন্সটিটিউশনস স্কিল -এসইডিপি'র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে । সারা দেশে শিক্ষার মান উন্নয়নে ও শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ রূপে গড়ার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । নেত্রকোনা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আসমা বিনতে রফিক এর সভাপতিত্বে ও একাডেমিক সুপারভাইজার মো: আব্দুল আউয়ালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস ,বিশেষ অতিথির মধ্যে ছিলেন, নেত্রকোনার অতিথির জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) শামীমা ইয়াসমিন , নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার স্বপ্না রাণী সরকার । শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থী , অভিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তিন ক্যাটাগরিতে ৩০ জন পুরস্কার প্রদান করা হয় । এসইডিপি'র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন , জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) শামীমা ইয়াসমিন , সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা বিনতে রফিক,নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার স্বপ্না রানী সরকার , রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক, লোক গবেষক গোলাম মোস্তফা , আবু আব্বাস কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ, মৌজে বালী দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এমদাদুল হক ,আব্বাসিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি লতিফ হায়দার টিটু আব্বাস , অভিভাবক শিক্ষক হারুন অর রশিদ, দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী অর্পিতা হক ঐশী , এন আকন্দ আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষার্থী আশরাফুজ্জামান প্রমূখ । প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন , শুধু সার্টিফিকেট অর্জন করলেই হবে না, আমাদের কে মানুষের মত মানুষ হতে হবে । একজন ভালো মানুষ হয়ে পরিবার ,সমাজ , রাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য কাজ করতে হবে। প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে । তিনি সকল কে সকল প্রকার মাদকাসক্ত থেকে বেরিয়ে এসে দেশের উন্নয়ন ও মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকার আহ্বান জানান । বিশেষ অতিথির মধ্যে ছিলেন, নেত্রকোনার অতিথির জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) শামীমা ইয়াসমিন , নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার স্বপ্না রাণী সরকার।
নেত্রকোনা সদর উপজেলার বাংলা ইউনিয়নের সহিলপুর থেকে নয়াপাড়া বাংলা এলাকায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বৈদ্যুতিক লাইনের বেহাল দশা জনমনে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসী দ্রুত এই ঝুঁকিপূর্ণ লাইন সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।নয়াপাড়া বাংলা এলাকার এই বিদ্যুৎ লাইনে কোনো বৈদ্যুতিক খুঁটি নেই, বরং নিম্নমানের বাঁশের খুঁটি ব্যবহার করা হয়েছে। এই লাইনটি বাঁশঝাড় ও লোকজনের চলাচলের রাস্তার পাশ দিয়ে গেছে। বিশেষ করে, বীণাপাণি বিদ্যাপীঠ স্কুলের ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এই ঝুঁকিপূর্ণ লাইনের পাশ দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। বীণাপাণি বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ অজিত কুমার সিংহ বলেন, "এই নিম্নমানের বৈদ্যুতিক খুঁটি দ্রুত সংস্কার করে নতুন বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি। এটি এলাকাবাসীকে চরম বিপদের হাত থেকে রক্ষা করবে।"
এলাকাবাসীর আশঙ্কা, যেকোনো সময় একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, বিশেষ করে ঝড়-তুফানের এই মৌসুমে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। বাংলা নয়াপাড়া এলাকায় অবস্থিত রায়বাড়ী ও ঐতিহ্যবাহী বীণাপাণি বিদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠাতা জনাব অসীম কুমার রায়ও এই সমস্যার দ্রুত সমাধানে গুরুত্বারোপ করেছেন। জানমালের নিরাপত্তার কথা ভেবে এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে জরাজীর্ণ ও চিকন বাঁশের খুঁটি দিয়ে নির্মিত এই লাইনের বেহাল দশা থেকে উত্তরণের মাধ্যমে সকল দুর্ঘটনা থেকে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়েছেন। নেত্রকোনা পিডিবি কর্তৃপক্ষ যাতে দ্রুত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে বৈদ্যুতিক লাইন সংস্কার করে নতুন খুঁটির ব্যবস্থা নেয়, সে বিষয়ে এলাকাবাসী সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
নড়াইল সদর উপজেলার চরশালিখা গ্রামে ৮৫ বছরের বৃদ্ধা ছিয়ারন নেসার জমি লিখে নিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রামবাসীর আয়োজনে শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে চরশালিখা গ্রামীণ রাস্তার তিনমাথায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন-বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাখা কাজী, ভুক্তভোগী ছিয়ারন নেসা ও তার ছেলে বাবু মোল্যা, মশিয়ার রহমান, নবীর হোসেন, লিটন শেখ, আব্দুর রহমান, মুরাদ হোসেনসহ অনেকে।
বক্তারা জানান, নাতনি কমলা বেগম চরশালিখা গ্রামে প্রায় ৪২ শতক বসতভিটার জমি লিখে নিয়ে নানী ছিয়ারন নেসাকে বাড়ি থেকে প্রায় এক সপ্তাহ আগে তাড়িয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়েছেন ছিয়ারন নেসার একমাত্র ছেলে বাবু মোল্যাসহ গ্রামবাসী।
প্রতিবেশিরা জানান, আড়াই মাসের সন্তান কমলাকে রেখে তার মা আনজিরা বেগম মারা যান। এরপর নানী ছিয়ারন নাতনি কমলাকে নিজের বুকের দুধ খাইয়ে বড় করেন। আদরের নাতনি কমলাকে নিজ গ্রাম চরশালিখায় বিয়ে দেন। এরপর নাতজামাইকে প্রায় সাত শতক জমি বিক্রি করে আট বছর আগে বিদেশ পাঠান। নাতনি কমলা বেগমের আবদারে বসতভিটার পাঁচ শতক জমি লিখে দিতে রাজি হন নানী ছিয়ারন। কিন্তু কমলা বেগম অপকৌশলে নানীর কাছ থেকে ৪২ শতক জমি লিখে নেন। প্রায় এক সপ্তাহ আগে বৃদ্ধা ছিয়ারন বেগমকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে উল্টো নানিসহ প্রতিবেশিদের নামে সংবাদ সম্মেলন করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন কমলা বেগম। কমলা দাবি করে জানান, তিনি নানীর কাছ থেকে ফাঁকি দিয়ে জমি লিখে নেননি।
তবে গ্রামবাসী বলেন, ছিয়ারন নেসার অনেক জমিজমা থাকতেও আদরের নাতিকে সব জমি লিখে দিয়ে আজ পথে পথে ঘুরছেন। বাড়িতে উঠতে পারছেন না। নিজের ঘরে মাথা গোঁজার ঠাঁই না পেয়ে গ্রামে এ-বাড়ি, ও-বাড়ি খেতে হচ্ছে ছিয়ারন নেসাকে। অনেক কষ্টে বিভিন্ন জায়গায় থাকতে হচ্ছে। ছিয়ারন নেসা ছেলে বাবুকেও মাথা গোঁজার মতো একটু জমি দিতে পারেননি। সব জমি তার নাতনি লিখে নিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে ছিয়ারন নেসার ছেলে বাবুর সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই। ঘটনাটি নড়াইল সদর থানা পুলিশ তদন্ত করছে। বৃদ্ধা ছিয়ারন নেসা যেন ন্যায়বিচার পান এই প্রত্যাশা করছেন গ্রামবাসী।
এদিকে সদর থানার এসআই সুকান্ত ও এএসআই জাবেদ বলেন, শুক্রবার বিকেলে আমরা সরেজমিন তদন্ত করেছি। ভুক্তভোগীসহ গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
আবহমান গ্রাম বাংলার মাটি ও মানুষের কবি পল্লীকবি জসীম উদদীন স্মরণে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে "শতবর্ষে কবর" গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফরিদপুরের সাবেক ডিসি ও ফরিদপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি জালাল আহমদ এর সভাপতিত্বে- ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলনের সঞ্চালনায় অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি. আর আবরার।
এসময় পল্লীকবি জসীম উদদীন এর কবর কবিতা ও তার সাহিত্যকর্ম নিয়ে অলোচনায় অংশ নেন কথা সাহিত্যিক ও গবেষক আন্দালিব রাশদী, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা পাখি বিশেষজ্ঞ, ইনাম আল হক, ভ্রমণ লেখক ও কথা সাহিত্যিক ফারুক মঈনুদ্দীন, নয়নজুলি প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী ড. মোহাম্মদ আলী খান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুস সামাদ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়, ডেইলী স্টারের সাহিত্য সম্পাদক ইমরান মাহফুজ, ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি প্রফেসর আলতাফ হোসেন, জুলাই যোদ্ধা ইমরান মাহফুজ সহ লেখক,সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিকগণ।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টাসহ অতিথিদেরকে ফুলেল শুভেচছা জানান ফরিদপুর মুসলিম মিশন প্রাক্তন ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন ও সদস্য মোঃ কামাল উদ্দিন মিয়াসহ অন্যান্যরা।
কুমিল্লার গোমতী নদীর দুই তীরে গড়ে ওঠা সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা ছয় (০৬) মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার (০৩ আগষ্ট) দুপুরে বিচারপতি মজিবুর রহমান ও বিচারপতি বশির উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ প্রদান করেন।
আদালত আদেশে বলেছেন, গোমতী নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষায় যেকোনো ধরনের দখলদারিত্ব কঠোরভাবে দমন করতে হবে। আদালত আরও বলেন, এই নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং জনস্বার্থের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে।
এই রিটের আবেদনকারী ছিলেন নদী রক্ষা ও পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া। রিটকারীর পক্ষে শুনানী করেন, সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোর্শেদ।
তিনি বলেন, "গোমতী নদী এখন দখলদারদের দখলে চলে গেছে। নদী চিহ্নিত করে সীমানা নির্ধারণ সত্ত্বেও সেখানে গড়ে ওঠেছে অবৈধ দোকানপাট, স্থাপনা ও বাড়িঘর।
তিনি আরও বলেন, "আদালতের এই রায় শুধু গোমতী নয়, দেশের সব নদী রক্ষায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা আশা করছি প্রশাসন এখন আর দখলদারদের সঙ্গে আপস না করে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করবে।"
আদালতের নির্দেশে, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, অন্যান্য সরকারি দপ্তরগুলোকে এই ছয় মাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, আমি এখনো নির্দেশনা হাতে পাইনি। তবে আমরা নিয়মিত ভাবে ই গোমতীর দুই পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চালিয়ে থাকি।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়সার বলেন, আমি রিটকারী আইনজীবীর সাথে কথা বলেছি এবং মহামান্য আদালতকে জানিয়েছি নদীর দুই তীরে সাড়ে পাঁচশোর বেশি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এগুলো উচ্ছেদের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ব্যয় বাজেট পাঠানো হয়েছে। আমরা অর্থ বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করব।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আমরা ইতিমধ্যে সদর উপজেলার গোমতী নদীর দুই তীরের বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি।
কুষ্টিয়ায় পৃথক অভিযানে ১৫ লক্ষ টাকার জাল ও মাদক উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। এসময় মালিকবিহীন অবস্থায় ভারতীয় ৩০০ কেজি অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল, ১০০ গ্রাম হেরোইন এবং ৩০০ পিস সিলডিনাফিল ট্যাবলেট আটক করা হয় । রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজিবি সূত্র জানান, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর উপজেলার কাতলামারী এলাকায় ভোর ৫টার দিকে ব্যাটালিয়ন সদরের বিশেষ টহল দল অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ৩০০ কেজি অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল উদ্ধার করে, যার আনুমানিক মূল্য ১২,০০,০০০ টাকা।
এর আগে গত ২ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার জামালপুর এলাকায় মাদক চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ভারতীয় ১০০ গ্রাম হেরোইন এবং ৩০০ পিস সিলডিনাফিল ট্যাবলেট আটক করেন বিজিবি। যার আনুমানিক মূল্য- ২,৯০,০০০ টাকা। আটককৃত মাদক ও জালের সর্বমোট মূল্য- ১৪,৯০,০০০ টাকা।
আটককৃত এসকল অবৈধ জাল এবং মাদকদ্রব্য ধ্বংসের জন্য ব্যাটালিয়ন মাদক স্টোরে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান বিজিবি সূত্র।
কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি’র) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মাহবুব মুর্শেদ রহমান পিএসসি বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং মাদক পাচারসহ সব ধরনের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে ৪৭ বিজিবি। ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
পরমাণু বিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ড. এম শমশের আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম।
এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহ আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে পরমাণু বিজ্ঞানী শমশের আলীর অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তাঁর মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
উল্লেখ্য, পরমাণু বিজ্ঞানী শমশের আলী শনিবার (২রা আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।