শনিবার, ৯ আগস্ট ২০২৫
২৫ শ্রাবণ ১৪৩২

কারাগার থেকে পালাতে দেয়াল খুঁড়ছিলেন ফাঁসির ৩ আসামি

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১১:১৭

গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করছিলেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি। এ জন্য তারা বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করে দেয়াল খুঁড়ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে বন্দিদের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে উপকরণগুলো জব্দ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে কারাগারের জেলার আসাদুর রহমান বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেছেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএিমপি) কোনাবাড়ী থানার ওসি সালাহউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিরা হলেন- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের শাহাদাত হোসেন, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের শ্রী রনি মোহন্ত ও কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলাম মজনু ওরফে মঞ্জু।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট রাত সোয়া ৮টার দিকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব পালন করছিলেন সহকারী প্রধান রক্ষী মোখলেছুর রহমান। এ সময় তিনি তমাল ভবনের নিচ তলায় ১২নং কক্ষ থেকে দেওয়ালে আঘাতের শব্দ শুনতে পান। পরদিন ৬ আগস্ট সকালে ওই কক্ষে তল্লাশি করে একটি লোহার পাত, দুই চুকরা রড, কম্বল কেটে বানানো ২৮ ফুট লম্বা একটি রশি, কম্বল দিয়ে তৈরি ২৫ ফুট লম্বা একটি বেল্ট, লোহার তৈরি দুটি আংটা, ১০ ফুট লম্বা একটি খুঁটিসহ বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বন্দিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা কারা কর্তৃপক্ষকে জানান, জেল থেকে পলানোর জন্য প্রস্তুতির সহায়ক উপকরণ হিসেবে উদ্ধার করা মালামাল তারা সংগ্রহে রেখেছিলেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তারা জেল থেকে পালাতে অথবা সে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সারা দেশের কারাগারগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

কোনাবাড়ী থানার ওসি সালাহউদ্দিন বলেন, হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেলার ওই ঘটনায় মামলা করেছেন।


কমিশনের উপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ : প্রধান নির্বাচন কমিশনার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মীর আনোয়ার আলী, রংপুর প্রতিনিধি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, দেশে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন পরিচালনাকারী পুলিশ, প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। তারা দেখেছে এসব প্রতিষ্ঠান ঠিকমত কাজ করে না। তাই তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গতকাল (৯ আগস্ট) সকালে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিগত নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, শিক্ষকদের নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবছি। আমরা চেষ্টা করছি যথাসাধ্য তাদের ব্যবহার না করা। কিন্তু আমরা তো নতুন করে কাউকে নিয়োগ দিতে পারবো না, বিদেশ থেকে মানুষকে আমদানী করতে পারবো না। দেশের মানুষকে দিয়েই নির্বাচন করতে হবে। ওদের মধ্যে থেকে এদিক-ওদিক করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা যতক্ষন পর্যন্ত হুশ রয়েছে, ততক্ষন পর্যন্ত আমি কারো পক্ষে থাকবো না। নির্বাচনের আইন-কানুন মেনে প্রফেশনালী ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করতে আমরা ওয়াদাবদ্ধ। আমি অফিসারদের এটি নিয়ে মোটিভেট করছি। আমার মনে হয় তারাও কারো পক্ষের হয়ে কাজ করবে না। তারা দেশের ১৮ কোটি জনগণের পক্ষে কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচন নিয়ে সচেতনতা কার্যক্রম চালাবো। আমাদের সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে আশ্বস্ত করবো একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের। সকল দলের জন্য নির্বাচনের মাঠ সমতল থাকবে। তারা নির্বাচনের সমতল মাঠ দেখে বিবেচনা করবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি। আর যাদের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ নেই কোন প্রমাণ ছাড়া তাদের দেশদ্রোহী বলা যাবে না।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইদানিং অনেকে মোবাইল নিয়ে কোন প্রশিক্ষণ ছাড়াই ফেসবুক সাংবাদিক হচ্ছে। এআই ব্যবহার করে প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ছবি দিয়ে যা ইচ্ছা তাই লিখে ফেসবুকে ছেড়ে দিল। সেই পোস্ট মানুষ যাচাই-বাছাই না করে দ্রুত ছড়িয়ে দিচ্ছে। এটি হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পক্ষে তা রিকভার করা সম্ভব হয় না। তাই ফ্যাক্ট চেক করে মন্তব্য করতে হবে।

এরপর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনার রংপুর বিভাগের ৮ জেলার জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তার সাথে মতবিনিময় করেন।


স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে বরিশালে মহাসড়ক অবরোধ, বরিশাল - ঢাকা সড়ক বন্ধ 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তারিকুল ইসলাম তুহিন, বরিশাল প্রতিনিধি

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) চিকিৎসাসেবা আধুনিকায়ন ও স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে আবারও সড়ক অবরোধে নেমেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

শনিবার (৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় শুরু হওয়া এ কর্মসূচির কারণে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে রাজধানী ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলার যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

ছাত্র জনতা ব্যানারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গত ১৪ দিন ধরে ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে আসছে। আজ ছিল মহাসড়ক অবরোধের ব্লকেট তৃতীয় দিন। এর আগে শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেছিলেন তারা। আন্দোলনকারীরা জানান, সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা, রোগী হয়রানি ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের কারণে সাধারণ মানুষ ন্যূনতম চিকিৎসা পাচ্ছে না।

আন্দোলনকারীদের মূল তিন দাবি হলো,

স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া,শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা আধুনিকায়ন

জনগণের জন্য কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা,

আন্দোলনকারী ছাত্র সাব্বির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সরকারি হাসপাতালে রোগীরা সঠিক সেবা পান না, বরং বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হন। ডাক্তাররা রোগীদের নিজেদের ক্লিনিকে পাঠানোর জন্য প্রেসক্রিপশনে স্লিপ ধরিয়ে দেন। হাসপাতালের অনেক সরঞ্জাম অকেজো করে রাখা হয়, অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাওয়া যায় না। অথচ পুরো হাসপাতাল চলে জনগণের টাকায়।

সংগঠক মহিউদ্দিন রণি বলেন,শুধু আশ্বাসে হবে না, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নিজে এসে সমস্যার সমাধান করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।

অবরোধের কারণে মহাসড়কের দু’পাশে শত শত বাস ও পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়ে। বিপাকে পড়েন হাজারো যাত্রী, যাদের মধ্যে অনেকে গন্তব্যে পৌঁছাতে বিকল্প পথে যেতে বাধ্য হন। পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী এবং কুয়াকাটার সঙ্গে বরিশালের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে। এদিকে এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির হোসেন সিকদার বলেন, নথুল্লাবাদ এলাকায় যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়, সেজন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং আন্দোলনকারীদের জনদুর্ভোগ বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ব্রজমোহন কলেজ, হাতেম আলী কলেজ, বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ও কনটেন্ট ক্রিয়েটররা এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।


ফেনীর বেকেরবাজার-জর্বাপুকুর সড়কের গতিপথ পরিবর্তন ও মেরামতে বিএনপির ১৫ দিনের আল্টিমেটাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মোহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া, ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার কাটাখালী নদীতে বেকেরবাজার-জর্বাপুকুর রাস্তা বিলীন হওয়ায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও যথাযথ মেরামতের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের মোমারিজপুর গ্রামের কাজী বাড়ী ও আকবর ফকির বাড়ির মাঝামাঝি কাটাখালী নদী সংলগ্ন ভাঙ্গন স্থানের পাশেই এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক শামছুল হক নকুর সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নাসির উদ্দিন এর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুল উদ্দিন, ইউনিয়ন বিএনপি'র যুগ্ম আহবায়ক কবির আহম্মদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক হারিছ আহাম্মদ পেয়ার প্রমুখ।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোতাহের হোসেন বাবুল, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম, উপজেলা যুবদলের সদস্য আলাউদ্দিন আলো, যুবদল নেতা নুরুল আবছার, সাহাব উদ্দিন, আশ্রাফ হোসেন রাহাত, মুজাহিদুল ইসলাম, শাহ আলম, সুমন, মিন্টু,জাফর, আবদুল্লাহ আল নোমান আদর, মাইনুল হোসেন, জাহিদ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের গণস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক জিয়া উদ্দিন জাবেদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নুর মোহাম্মদ পলাশ, উপজেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াছিন স্বপন, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির আহমেদ প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন,ওই স্থানটিতে ১৫ দিনের মধ্যে নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও যথাযথ মেরামত না করলে ফেনী-নোয়াখালী সড়ক অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এসময় তারা অতীতে মেরামত সঠিকভাবে হয়নি বলে অভিযোগ করেন।


“সংবিধানে আদিবাসী স্বীকৃতি ও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে”

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি প্রতিনিধি

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোকে আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান ও পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ও রাঙামাটির সাবেক সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার। তিনি বলেন, “পার্বত্যবাসীকে বাদ রেখে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকারকে উদার মানসিকতার পরিচয় দিয়ে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।”

শনিবার (৯ আগস্ট) রাঙামাটি পৌরসভা চত্বরে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

উষাতন তালুকদার বলেন, “বাংলাদেশে যত সরকারই এসেছে, কোনো সরকারই আদিবাসীদের অধিকার স্বীকৃতি দেয়নি। অথচ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আদিবাসীদের কথা উল্লেখ করেছেন। এ কারণে অনেকেই অযথা সমালোচনা করছেন, এমনকি ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলছেন। না হলে পদত্যাগ করতে হবে। কি মানসিকতা কি মনুষত্ববোধ কি মানুষ আমরা। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আদিবাসী বলাতে অপরাধ করে ফেলেছেন। তাই আদিবাসী হয়ে আমরা অপরাধ করেছি। তিনি বলেন, আপনি বাঙালী আপনি পরিচয় দেন তাতে তো আমাদের কোন আপত্তি নাই। তিনি বলেন, আমাদের দেশে আদিবাসী শব্দ নিয়ে খুবই বিতর্কিত ,ভুল বুঝাবুঝি হয়। জাতিসংঘ, কারা আদিবাসী হবে সেটা বোঝার জন্য একটা সংজ্ঞাও নির্ধারন করেছেন।

তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, আগামী সংবিধানে আমাদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। থাইল্যান্ড সম্প্রতি আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়েছে, বাংলাদেশও পিছিয়ে থাকবে না। নতুন বাংলাদেশ গঠনের যে প্রত্যাশা ছিল, তার বাস্তব ফল আমরা দেখতে চাই।”

এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, সংস্কার কমিশনে নিরুপা দেওয়ান ও ইলোরা দেওয়ানকে নারী কমিশনে রাখা হলেও আদিবাসীদের থেকে অন্য সংস্কার কমিশনগুলোতে কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি, যা হতাশাজনক। পাশাপাশি তিনি সতর্ক করে দেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামকে শত্রুভাবাপন্ন আচরণ করলে এর পরিণতি সুখকর হবে না।”

আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে উষাতন তালুকদার বলেন, “আমাদের ভাগ্য নিয়ে এখন বিশ্বপরাশক্তিরা খেলা করছে—আমেরিকা, চীন, রাশিয়া, ভারতসহ প্রতিবেশী মিয়ানমারেরও নজর এই অঞ্চলে। ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচন হবে বলে প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দিলেও তা কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা অনেকাংশে আন্তর্জাতিক প্রভাবের ওপর নির্ভর করছে।”নির্বাচন কমিশনে সিইসিকে চিঠি লিখেছেন নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য । কিন্তু চিঠি লিখলেও এখনো মানুষের মনে প্রশ্ন রয়ে গেছে আদৌ ফেব্রুয়ারীতে নির্বাচন হবে কিনা । কেননা এটা আমেরিকা কি চায় তার উপর নির্ভর করছে। আপনারা হয়তো খেয়াল করেছেন ভিতরে ভিতরে ভারতও কিন্তু পরাশক্তির পথে। তিনি বলেন, সব মিলিয়ে তাদের উপর আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করছে। আরাকানদের কি হবে? রোহিঙ্গাদের কি হবে মায়ানমারের কি হবে? বাংলাদেশের মানুষের কি অবস্থা দাঁড়াবে।

উষাতন তালুকদার অভিযোগ করে বলেন, আমাদের এখানে তথাকথিত বিপ্লবী পার্টি আছে তারা আদিবাসী স্বীকার করে না তারা বলে জাতিসত্বা। তারা বলছে, জনসংহতি সমিতি জাতের মাথা খাচ্ছে। এম এন লারমা আড়াই বছর জঙ্গলে কাটিয়েছেন। জীবন বাজি রেখে আমরা লড়াই করেছি। আমার ভাইয়েরা আমার সামনে মারা গেছে। অমিও মারা যেতে পারতাম । তাই অস্বীকার করার কোন জো নাই। এম এন লারমা ,সন্তু লারমা কি করেছে যারা বলছে, জাতের মাথা খাচ্ছে যারা বলছে তাদেরকে বলছি , জনগণকে বিভ্রান্ত করে আমাদের আন্দেলনেকে নসাৎ করে দেয়া হচ্ছে। “পাহাড়ি ছাত্র পরিষদকে বিভক্ত করা, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে গাফিলতি এবং আন্দোলনকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। জনগণ ন্যায়-অন্যায় চেনা পর্যন্ত ভোগান্তি পোহাতে হবে।”

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য অঞ্চল সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন খীসা। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষাবিদ শিশির কান্তি চাকমা, মানবাধিকার নেত্রী নিরূপা দেওয়ানসহ স্থানীয় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠান শেষে রঙিন পোশাকে সজ্জিত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র‌্যালি পৌরসভা প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিমনেসিয়াম মাঠে গিয়ে শেষ হয়।


নাটোরে ক্রীড়া উপদেষ্টার অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধাদের হট্টগোল, বর্জন বিএনপির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাজমুল হাসান- নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় বসার জায়গা না পেয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার উপস্থিতিতেই হট্টগোলে জড়িয়েছেন জুলাই যোদ্ধারা। এছাড়া পুলিশের অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনে ক্রীড়া উপদেষ্টার অনুষ্ঠান বর্জন করেছে জেলা বিএনপির নেতারা। শনিবার (৯ আগস্ট) নাটোরের কানাইখালিতে সদর উপজেলা মিনি স্টেডিয়াম উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আগে ও পরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এদিন দুপুর ১২টার দিকে স্টেডিয়াম উদ্বোধন শেষে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় যোগ দেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এসময় জুলাই যোদ্ধারাও আলোচনা সভায় অংশ নেয়। সেখানে তাদের জন্য নির্ধারিত আসন না থাকায় দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। একপর্যায়ে তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে হট্টগোলে জড়িয়ে যায়। পরে প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের বসার জায়গার ব্যবস্থা করলে শান্ত হয় পরিস্থিতি। অন্যদিকে, শহরের বড় হরিশপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আমন্ত্রিত হয়ে সদর উপজেলা মিনি স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যায় বিএনপির নেতৃবৃন্দ। স্টেডিয়ামের ভেতরে প্রবেশের সময় তাদের বাধা দেয় ডিবি পুলিশ। এসময় বিএনপি নেতারা অনুষ্ঠান বর্জন করে চলে আসেন।
এ বিষয়ে ডিবি পুলিশের ওসি হাসিবুল্লাহ হাসিব জানান, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতাদের প্রবেশে বাধা দেয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে একসাথে সকল নেতাকর্মীদের ভেতরে প্রবেশ না করার অনুরোধ করা হয়েছিল।


খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানালেন তারেক রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

গত আট বছর ধরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা সব চিকিৎসকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেছেন, ‘অধ্যাপক ডা. এ. টি. এম. ফরিদ উদ্দিনসহ একটি চিকিৎসক দল বিগত আট বছর ধরে আমার মায়ের অর্থাৎ সারা দেশের মানুষ যাকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হিসেবে চেনে সেই মানুষটিকে চিকিৎসা দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার সন্তান হিসেবে এবং পরিবারের সদস্য হয়েও আমরা যারা এই সময়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার পাশে থাকতে পারিনি, আমরা আমাদের অন্তরের অন্তরস্থল থেকে এই চিকিৎসকদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন। আজ রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ এবং পরিচালনা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান।

তারেক রহমান বলেন, ‘আমি সন্তান হিসেবে, পরিবারের সদস্য হিসেবে যা করতে পারিনি ওই কয়েজন চিকিৎসক তা করেছেন। আমার কাছে মনে হয়েছে একজন সন্তানের চেয়ে তারা কোন অংশে কম নয়। ক্ষেত্রবিশেষে সন্তানের চেয়েও বেশি দায়িত্ব পালন করেছেন। এ জন্য সামগ্রিকভাবে পুরো চিকিৎসক সমাজের কাছে আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।’

এসময় তিনি রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়ায় ড্যাবের সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বিগত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে বহু সাধারণ মানুষ যারা কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না, কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন এবং প্রতিবাদ করতে গিয়ে এই মানুষগুলো বিভিন্নভাবে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন, আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। ড্যাবের সদস্যরা এই নির্যাতিত মানুষের চিকিৎসা করেছেন, সেবা দিয়েছেন। তাই চিকিৎসা প্রাপ্ত সকল মানুষের পক্ষ থেকেও আপনাদেরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী যত চিকিৎসক আছেন সবার কাছে আমার একটি চাওয়া সেটি হচ্ছে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে যে দাবিটি আছে তা বাস্তবায়ন করতে হলে আপনাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ কেবল আমাদের দলের সংসদ সদস্য বা নেতাদের দিয়ে এগুলো সব বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।’

নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশাকে বাস্তবায়নের জন্য সবার কন্ট্রিবিউট করা দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ গত ১৫ বছরে যারা জীবন দিয়েছে, বিভিন্নভাবে আহত হয়েছে তাদের প্রত্যাশা আমরা সকলে মিলে যদি পূরণ করতে পারি তবেই আমরা আমাদের প্রত্যাশার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব। এজন্য আমাদের প্রত্যেককে একটু করে হলেও কন্ট্রিবিউট করতে হবে।’


নানান কারণে পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কুমিল্লার কৃষকরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তরিকুল ইসলাম তরুন- কুমিল্লা দক্ষিণ

বাংলাদেশের একসময় পাট শিল্প ছিল অর্থনৈতিক চাবিকাঠি, সারা বাংলাদেশের ন্যায় কুমিল্লার অঞ্চলের অধিকাংশ উপজেলার কৃষকরা পাট চাষ করত। বর্তমান সময়ে নানান কারণে অধিকাংশ এলাকায় পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে চাষীরা। কারণ হিসেবে অনেকে বলছেন, অতীতের ন্যায় বর্ষা মৌসুমে পানি না থাকা এবং পাটজাত পণ্যের চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় চাষিরা আগ্রহ হারাচ্ছে। কুমিল্লার সর্ববৃহৎ পাটের বাজার ছিল গৌরীপুর, রামচন্দপুর, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ, চান্দলা, সিদলাই, দুলালপুরসহ বিভিন্ন হাট। এগুলোতে পাটের আড়তদার ছিল, ময়াল থেকে বড় বড় গহনা, কবুত কুসা, সরাঙ্গ নৌকা নিয়ে গ্রামের কৃষক দের কাছ থেকে পাট কিনে পাট ব্যাবসায়ীরা গুদাম ঘরে রেখে নারায়ণগঞ্জ শীতালক্ষার নদীর তীরে নিতাইগঞ্জ পাট বাজারে। বড় বড় আড়তদাররা বিদেশে রপ্তানি করত। আবার কখনো দেশের চাহিদা মেটাত, তখন বিখ্যাত জুট মেইল ছিল নারায়ণগঞ্জের আদমজী, চট্টগ্রামের আমিন জুট মেইল। এই বৃহৎ মেইলগুলোতে পাট শিল্প হারিয়ে যাওয়ার ফেলায় বাংলাদেশের কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। সরেজমিনে দৈনিক বাংলার প্রতিবেদকের চোখ পড়ে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার কৃষকদের নানা সমস্যার চিত্র।

এদিকে, পাট শিল্প ও পাট উৎপাদন নিয়ে কৃষকদের রয়েছে বিস্তর অভিযোগ, তারা বলছেন, বিভিন্ন সময়ে পাটের দরপতন, কৃষি উপকরণের মূল্য ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, পাট পঁচানোর পানির অভাব ও শ্রমিক সংকটের কারণেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।

চান্দলা, বলাকিয়া, সিদলাই, দুলালপুর, ছাতিয়ানি গ্রাম ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এবং বিভিন্ন সমস্যার কারণ তুলে ধরেন ওই এলাকার কৃষক আবদুল মতিন, হক ভূইয়া, ফারুক আহমেদ, আবদুল কাদেরসহ অনেকেই বলেন, পাটের বদলে রবি ফসল, বোরো ও আমনসহ অন্যান্য লাভজনক ফসলের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা।

ফলে দিন দিন ব্রাহ্মণপাড়াসহ কুমিল্লার নিচু অঞ্চলগুলোতে পাটের আবাদ কমে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মাসুদ রানা বলেন, ব্রাহ্মণপাড়ায় এ বছর ৫৩ হেক্টর লক্ষ্য মাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে পাট চাষের জন্যে, এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে মাত্র ৩০ হেক্টর। বিভিন্ন ইউনিয়নে গত বছর ভয়াবহ বন্যা হওয়ায় কৃষকেরা পাট চাষ সময় মতো জমি তৈরি করতে পারেনি। এবং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলো নিচু হওয়ার সময় মতো জমি চাষাবাদ ও তৈরি করতে অনেক কৃষকের বেগ পেতে হয়েছে।

তাই কৃষকেরা পাট চাষে কিছুটা আগ্রহ হারাচ্ছে। পাট চাষিরা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সিদলাই ইউনিয়ন এর কৃষক আবদুল হান্নান জানান, পাট চাষে খরচ বেশি এছাড়াও কয়েক বছর ধরে বন্যা না হওয়ায় আমরা পাট চাষ করতে সমস্যা হচ্ছে। পাট চাষে আমাদের খরচ পুষে না তাই আমরা পাট চাষের বদলে অন্যান্য ফসল করছি।

ব্রাহ্মণপাড়া সদর ইউনিয়নের আটকিল্লার পাড় গ্রামের কৃষক ইউনুস মিয়া বলেন, পাটের আবাদ করে বেশ কয়েকবার লাভের মুখ দেখতে পারিনি। গত বছর ৩০ শতাংশ জমিতে পাটের আবাদ করলেও, এবার সংসারের প্রয়োজনে জ্বালানি হিসেবে মাত্র ৭ শতাংশ জমিতে পাটের আবাদ করেছি।

দুলালপুর ইউনিয়নের বালিনা গ্রামের কৃষক তাহের মিয়া বলেন, ‘গত দুবছর পাটচাষ করে পানির অভাবে পাট পঁচাতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। এছাড়া পাটের আঁশ ছাড়াতে শ্রমিক পাওয়া যায় না।

তিনি আরো বলেন, চাষিদের নিকট থেকে পাট কিনে লাভের একটি বড় অংশ হাতিয়ে নিচ্ছেন মধ্যস্থতার ব্যাবসায়ীরা, কারণ অতীতে সরাসরি বাড়িতে পাট ব্যাবসায়ীদের নৌকা আসত, এখন পানি না থাকায় মধ্যেস্থতার কাছে বিক্রি করতে হয়। এ বিষয়ে সচেতন মহলের কয়েকজন বলেন, সোনালী আঁশ পাট এখন কৃষকের গলায় ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার অচিরেই উদ্যোগ না নিলে গ্রামবাংলা থেকে পাট চাষ হারিয়ে যাবে। সরকারের উচিত কৃষকদের ভর্তুকি দিয়ে পাট চাষিদের বাঁচিয়ে রেখে পাট শিল্পকে উন্নয়ন করে বিদেশে পূর্বের ন্যায় রপ্তানি করে কর্মসংস্থান বাড়ানো।


সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার

আপডেটেড ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৩৪
রাকিবুল হাসান রোকেল, স্টাফ রিপোর্টার- কিশোরগঞ্জ

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলায় অন্যতম আসামি শহীদুল ইসলামকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৪ সিপিবি-২ এর একটি দল। শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার সদরের পুরানবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার শহীদুল ইসলাম (৩০) ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার মৃত আবদুল করিমের ছেলে। র‍্যাব-১৪ সিপিবি-২ কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশরাফুল কবির এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সন্ধ্যা ৬ টার দিকে র‍্যাব ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।


আওয়ামীলীগ কুকর্মের জন্য আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ হয়েছে- ড. মইন খান

আপডেটেড ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:০৫
নজরুর ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে, ইতিহাস কখনো ক্ষমা করে না। আজ আওয়ামীলীগ তাদের কুকর্মের জন্য আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ হয়েছে। তবুও তাদের অনুশোচনা নেই। আওয়ামীলীগ আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখছে, তারা পরাশক্তিকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছে, কিন্তু তাদের আকাশ কুসুম স্বপ্ন কখনো বাস্ববায়ন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড.আব্দুল মইন খান।

শনিবার (৯ই আগস্ট) দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলা মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মতিন চৌধুরীর ১৩ম মৃত্য বার্ষিকি উপলক্ষ্যে এক স্বরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি মতিন চৌধুরীর স্বৃতিচারন করে বলেন, আধুনিক রূপগঞ্জ ও পুর্বাচল উপশহরের স্বপ্নদ্রষ্ট্রা ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মতিন চৌধুরী। রূপগঞ্জের মানুষ এই পুর্বাচল উপশহর গড়ার বিরোধিতা করেছিলেন, তারা বুজতেই পারেনি এই পুর্বাচল একদিন আধুনিক শহর হবে। আজ পুর্বাচলকে ঘিরেই আশপাশের এলাকায় কতশত উন্নয়নের মহাযঙ্গ চলছে। অথচ উপজেলার কোন স্থাপনায় মতিন চৌধুরীর নামফলক বা স্বৃতি চিহ্ন। এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জিম্মি করে অর্থ পাচার ও লুটপাট করেছে শেখ পরিবার, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। বিগত সময়ে তারা পরিবার তন্ত্র কায়েম করেছে। আর পরিবারতন্ত্রের মাধ্যমে দেশের মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি দল গঠন করে মানুষের

ড. মইন খান আরো বলেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না, বিএনপি সবসময় ধৈর্য্যের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। রাজনীতিতে সহনশীলতা ও ভাতৃত্বের বন্ধন সৃষ্টি করাই বিএনপির লক্ষ্য। আগামী নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করলে অতীতের মতো নীতির সাথে কখনও আপোষ করবে না। সকল প্রকার অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে এবং অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

স্বরণসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে ও না.গঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব এ্যাড আমিরুল ইসলাম ইমনের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন, জেলা যুদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, জেলা কৃষক দলের সভাপতি শাহিন মিয়া, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হামিদুল হক খান, তারাবো পৌর যুবদলের সদস্য সচিব কাজী আহাদ, জেলা ছাত্রদল নেতা আবু মোহাম্মদ মাসুম, সুলতান মাহমুদ, কাঞ্চন পৌর যুবদল নেতা সানাউল্লাহ মান্নান সানি, আওলাদ হোসেন গুপি, শিপলু জাহান শান্ত, জামান মিয়া, মোক্তার হোসেন, মোতাহার মিয়া প্রমুখ।


সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে হ্যানিট্র্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে

আপডেটেড ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:৫০
কামাল হোসেন বাবুল, গাজীপুর প্রতিনিধি

সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডের কিছু আগে পারুল আক্তার ছদ্মনাম গোলাপী নামে একজন নারী দিয়ে হ্যানিট্র্যাপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান ।

শনিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান।

পুলিশ কমিশনার ডক্টর নাজমুল করিম খান জানান, ওই দিন বাদশা নামে এক ব্যক্তি একটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ২৫ হাজার টাকা তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা গোলাপীকে দিয়ে হ্যানিট্র্যাপ করে।

ওই নারী বাদশাকে টাকা উঠানোর পর থেকে বিরক্ত করতে থাকে, এক পর্যায়ে বাদশা নারীকে কিল ঘুসি মারতে থাকেন।

এসময় গোলাপীর সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাদশাকে কোপ দেয়। বাদশা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ধাওয়া দেয় একদল সন্ত্রাসী। আর বাদশাকে কোপানো এবং ধাওয়া দেওয়ার ভিডিও ধারণ করছিলেন সাংবাদিক তুহিন।

ভিডিও ধারণের ঘটনা সন্ত্রাসীরা দেখা ফেলায় ধারণকৃত ভিডিও কেটে দেওয়ার জন্য সাংবাদিককে চাপ প্রয়োগ করে। তুহিন ভিডিও ডিলিট না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তুহিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তুহিন দৌড়ে একটি মুদি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখানে সন্ত্রাসীরা তুহিনকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।

এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ, একজনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব - ১। এ ঘটনায় পুলিশের কিছুটা হলেও ব্যর্থতা অবশ্যই আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ভিডিও ক্লিপ দেখে ৮ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশ কমিশনার বলেন, গ্রেফতার সবার বিরুদ্ধেই বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতার সন্ত্রাসী কেটু মিজানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গাজীপুর মহানগরীতে প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের পুলিশের সংখ্যা কম । তা দিয়ে এ বিশাল আয়তনের সিটি করপোরেশনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে হচ্ছে। তিনি পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান, উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাহিদ হোসেন ভূইয়া, মো. রবিউল হাসান, এস এম আশরাফুল আলম, এস এম শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।


তুহিন হত্যার বিচারের দাবিতে নবীনগর প্রেসক্লাবের মানববন্ধন

আপডেটেড ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:০০
নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

গাজীপুরের দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ টাফ রিপোর্টার নির্ভীক সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর প্রেসক্লাবের আয়োজনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুর ১টায় নবীনগর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাব সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব নবীনগর প্রতিনিধি মোহাম্মদ হোসেন শান্তি সভাপতিত্বে দৈনিক কালবেলা নবীনগর উপজেলা প্রতিনিধি করেন শাহনূর খান আলমগীরের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

এসময় বক্তব্য দেন সিনিয়র সহ সভাপতি তাজুল ইসলাম,সাবেক সভাপতি, দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি মাহাবুব আলম লিটন,প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক মানবজমিন প্রতিনিধি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল, সাবেক সভাপতিও দৈনিক আমার দেশ প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন মনির, ,সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কল্লোল,সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম সোরাফ, বাংলা টিভি প্রতিনিতি পিয়াল হাসান রিয়াজ,আনন্দ টিভি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধ আবু কাউছার, দৈনিক বাংলা প্রতিনিধি জামাল হোসেন পান্না, মানবকন্ঠ প্রতিনিধি মিঠু সূত্রধর পলাশ সাংবাদিক এম কে জসিম উদ্দিন,রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি শাহিন রেজা টিটু, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শরিফ,উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম ,,নিউ মডেল প্রেস ক্লাব সভাপতি খলিলুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির, কাউসার আলম, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং উপজেলা সকল ক্লাবের সদস্যবৃন্দ ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তুহিন ছিলেন একজন সৎ ও সত্যনিষ্ঠ সংবাদকর্মী, যিনি দীর্ঘদিন নানা চাপ ও হুমকি উপেক্ষা করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে গেছেন। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে, যা মুক্ত সাংবাদিকতার ওপর এক নির্মম আঘাত।

তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তুহিন হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হলে দেশব্যাপী সাংবাদিক সমাজ কঠোর আন্দোলনে নামবে। একইসঙ্গে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান বক্তারা।


ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

আপডেটেড ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা

কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র‍্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন

র‍্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।

মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।

এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।

পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।


রাজশাহীতে ১২টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজশাহী প্রতিনিধি

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাথে রাজশাহী বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে রাজশাহী সার্কিট হাউজে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন সংস্থা সমূহের বাস্তবায়িত ১২ টি প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন। এর আগে উপদেষ্টা একদিনের সরকারি সফরে রাজশাহী সার্কিট হাউজে উপস্থিত হলে তাকে গার্ড অফ অনার প্রদর্শন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ এনডিসি, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার,
পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, এসপি ফারজানা ইসলাম সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ। এর পর রাজশাহী থেকে তিনি নাটোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে তিনি স্বশরীরে নাটোর মিনি স্টেডিয়াম সহ ভার্চুয়ালি নাটোর এলজিইডির কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পসমূহের উদ্বোধন করবেন এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করবেন।


banner close