শনিবার, ৯ আগস্ট ২০২৫
২৫ শ্রাবণ ১৪৩২

কমিশনের উপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ : প্রধান নির্বাচন কমিশনার

মীর আনোয়ার আলী, রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত
মীর আনোয়ার আলী, রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৯:০৩

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, দেশে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন পরিচালনাকারী পুলিশ, প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। তারা দেখেছে এসব প্রতিষ্ঠান ঠিকমত কাজ করে না। তাই তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গতকাল (৯ আগস্ট) সকালে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিগত নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, শিক্ষকদের নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবছি। আমরা চেষ্টা করছি যথাসাধ্য তাদের ব্যবহার না করা। কিন্তু আমরা তো নতুন করে কাউকে নিয়োগ দিতে পারবো না, বিদেশ থেকে মানুষকে আমদানী করতে পারবো না। দেশের মানুষকে দিয়েই নির্বাচন করতে হবে। ওদের মধ্যে থেকে এদিক-ওদিক করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা যতক্ষন পর্যন্ত হুশ রয়েছে, ততক্ষন পর্যন্ত আমি কারো পক্ষে থাকবো না। নির্বাচনের আইন-কানুন মেনে প্রফেশনালী ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করতে আমরা ওয়াদাবদ্ধ। আমি অফিসারদের এটি নিয়ে মোটিভেট করছি। আমার মনে হয় তারাও কারো পক্ষের হয়ে কাজ করবে না। তারা দেশের ১৮ কোটি জনগণের পক্ষে কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচন নিয়ে সচেতনতা কার্যক্রম চালাবো। আমাদের সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে আশ্বস্ত করবো একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের। সকল দলের জন্য নির্বাচনের মাঠ সমতল থাকবে। তারা নির্বাচনের সমতল মাঠ দেখে বিবেচনা করবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি। আর যাদের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ নেই কোন প্রমাণ ছাড়া তাদের দেশদ্রোহী বলা যাবে না।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইদানিং অনেকে মোবাইল নিয়ে কোন প্রশিক্ষণ ছাড়াই ফেসবুক সাংবাদিক হচ্ছে। এআই ব্যবহার করে প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ছবি দিয়ে যা ইচ্ছা তাই লিখে ফেসবুকে ছেড়ে দিল। সেই পোস্ট মানুষ যাচাই-বাছাই না করে দ্রুত ছড়িয়ে দিচ্ছে। এটি হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পক্ষে তা রিকভার করা সম্ভব হয় না। তাই ফ্যাক্ট চেক করে মন্তব্য করতে হবে।

এরপর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনার রংপুর বিভাগের ৮ জেলার জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তার সাথে মতবিনিময় করেন।


গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ইসলামপুরে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজু আহমেদ ফুয়াদ, জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরের ইসলামপুরে গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তায় দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ এর প্রতিনিধি সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৯আগস্ট) সকালে ইসলামপুর প্রেসক্লাবের সামনে ইসলামপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে এই মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

ইসলামপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ লিটন এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইসলামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোরাদুজ্জামান, সাবেক সভাপতি ফিরোজ খান লোহানী, মোহনা টিভি প্রতিনিধি ওসমান হারুনী, দৈনিক জবাবদিহি প্রতিনিধি আলমাস হোসেন আওয়াল, প্রতিদিনের সংবাদ প্রতিনিধি এসএম হোসেন রানা, দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি রহিমা সুলতানা মুকুল, দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ ইসলামপুর প্রতিনিধি নূরনবীসহ আরো অনেকে।

বক্তারা অতি বিলম্বে নৃশংসভাবে হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিচারের দাবির পাশাপাশি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রঞ্জু, হোসেন শাহ ফকির, সৈয়দ এনামুর রকিব, এমদাদুল হক, সুমন খন্দকার, ফারুক আল আজাদ বকুল, আরেফিন সুমন, মফিজুল সরদারসহ অনেকেই।


জিয়াউর রহমান’র দয়ায় শেখ হাসিনা দেশে এসে রাজনীতি করতে পেরেছিলেন: সালাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আমিনুল ইসলাম বনি, রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে রাজশাহী মহানগর বিএনপি। শনিবার বেলা ১২টায় মালোপাড়া মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও বিএনপি রাজশাহী বিভাগের সমন্বয়কারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুস সালাম বলেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজশাহী মহানগর বিএনপিকে তৃণমূল পর্যায় থেকে সু-সংগঠিত ও শক্তিশালী করার জন্য সকল মহল্লা, ওয়ার্ড এবং থানা এর সম্মেলন সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে (ভার্চুয়ালি) উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেন, বিগত পতিত সরকারের আমলে অফিস ছিলোনা। একত্রিতভাবে কোন সভা সমাবেশ করতে পারা যায়নি। পুলিশ আটক করে নিয়ে যেত। সভা-সামবেশের অনুমতি দিতোনা। এজন্য সে সময়ে বিএনপি একত্রিতভাবে তেমন সভা সামবেশ করতে পারেনি। শেখ হাসিনা বিএনপিকে একটি হটকারী দল হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বিএনপি কখনো হটকারী পথে যায়নি। বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও ঘোষনা ছিলো গণতন্ত্র।

১৫ আগস্টের পরে দেশ যখন অচল পরেছিলো, তখন কোন রাজনীতি ছিলোনা, মৌলিক অধিকার ছিলোনা। সে সময়ে জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসনো হয়। সে সময়ে তিনি মনে করেছিলেন রাজনীতি ও গণতন্ত্রের কোন বিকল্প নাই। সেজন্য তিনি রাজনীতির মাঠ উন্মুক্ত করেছিলেন। সেইসাথে বাকশাল থেকে আওয়ামী লীগ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এর ফলশ্রুতিতে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্রই একমাত্র উন্নয়নের পথ। বিগত দিনে একটি জাতীয় সরকার গঠন করে বিএনপিকে আসার কথা বললেও বিএনপি সে সময়ে রাজী হয়নি। কারণ বিএনপি গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে। জনগণকে বিশ্বাস করে। জনগণই ভোট দিয়ে বিএনপিকে আবারও ক্ষমতায় বসাবে। তিনি বলেন, অনেক দল আছে তারা গণতন্ত্রের কথা বলেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাদের মধ্যে গণতন্ত্র নেই। কয়টি দল কাউন্সিলের মাধ্যেমে নেতা নির্বাচন করেছে। কিন্তু বিএনপি প্রতিটি থানা, জেলা উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলর করে নেতা নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার মহানগরীর নেতা নির্বাচনের জন্য সম্মেলন করা হচ্ছে। এই সস্মেলন দীর্ঘদিন হয়নি। এর অনেক কারন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আব্দুস সালাম আরো বলেন, এই কাউন্সিল সফল করতে সাবেক-বতর্মান সবাই উপস্থিত থাকবেন এবং অংশগ্রহন করবেন। শনিবারের (৯আগস্ট) মধ্যেই যারা প্রার্থী হতে চান তারা নাম প্রকাশ করবেন। সবাইকে নিয়ে বসে যদি সমঝোতার মাধ্যমে একটি কমিটি দাঁড় করানো যায় তাহলে ভাল। না হলে বিকল্প পদ্ধতি কাউন্সিলারদের ভোটের মাধ্যমে নেতানির্বাচনের মাধ্যে দিয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠণ করা হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন বেলা ২.৩০টায় সম্মেলন শুরু হবে। সেখানে তারেক রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।

তিনি আরো বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্রই কোন কাজে আসেনি। বিএনপি শান্তিতে দল পরিচালনা করতে চান। তিনি বলেন, যে দলে ফল থাকবে সে গাছে ঢিল ছুঁড়বে। ষড়যন্ত্রকারীরা চায়না একটি গণতান্তিক রাষ্ট্র এবং সংসদ গঠিত হোক। ৫আগস্টের পরে বিএনপিকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু কোন কাজে আসেনি। যারা গণতন্ত্রকে ভয় পায় এবং স্বাধীন দেশকে অস্বীকার করে, ঐ সকল ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচন চায়না। তারা বার বার চাপ দিচ্ছে নির্বাচন পেছনোর জন্য। কিন্তু অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, ডক্টর ইউনুস আগামী রমজানের আগেই অর্থাৎ ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যেই নির্বাচন করার ঘোষান দিয়েছে। এ ঘোষানর মধ্যে দিয়ে তারেক রহমানের মতামতকে প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি। এজন্য দলের পক্ষ থেকে তাঁকে ধন্যবাদ জানান তিনি। সেইসাথে সম্মেলন সফল করতে উপস্থিত সকল পর্যায়ের সাংবাদিকদের সহযোগিতা ও সম্মেলনে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন।

রাজশাহী মহানগর বিএনপি’ন আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেঠ সৈয়দ শাহীন শওকত, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগর বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, সদস্য সচিব মামুন-অর-রশিদ মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম সরকার, ওয়ালিউল হক রানা, শফিকুল ইসলাম শাফিক, সজয়নুল আবেদিন শিবলী, বজলুল হক মন্টু, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ সুইট, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জনি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি। এছাড়াও মহানগরীর সকল থানার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক,সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিকবৃন্দ।


রূপগঞ্জের বহু অপকর্মের হোতা, মাদক ব্যবসায়ী আ'লীগ নেতা মোতালিব গ্রেফতার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক থেকে কোটিপতি হয়ে ওঠা এবং মাদকসহ একাধিক গুরুতর অভিযোগে এক আ'লীগ নেতা মোতালিবকে আটক করেছে র্যাব ১।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে দাউদপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির দায়িত্বে থাকা মোতালিব রাজনৈতিক আশ্রয়ে মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, নারী কেলেঙ্কারি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে রয়েছে।

মোতালিব ও তার সহযোগী নেওয়াজের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা জোরপূর্বক প্রায় ২০ বিঘা কৃষিজমিতে বালু ভরাট করে শতাধিক ভুয়া দলিল তৈরি করেছেন। প্রতিবাদ করলেই হামলা-মামলা, অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শন ও কিশোর গ্যাং ব্যবহার করে তৎপরতার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

স্থানীয়রা আরও জানান, মোতালিব প্রায় এক দশক আগে এক প্রভাবশালী পরিবারের গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্ত্রী অভিযোগ করেছেন, মোতালিবের নারী কেলেঙ্কারি ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি প্রায় দুই বছর ধরে আলাদা থাকছেন। সম্প্রতি যমুনা ব্যাংকের এক নারী কর্মচারীর সঙ্গে তার কক্সবাজার ভ্রমণের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

ছাত্র আন্দোলন দমনে কাঞ্চন সেতুর কাছে লাঠিচার্জ ও গুলি চালানোর অভিযোগও মোতালিবের বিরুদ্ধে রয়েছে।

রূপগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, ২০২১ সালের ২ অক্টোবর মোতালিব ও তার অনুসারীরা অস্ত্র ও ককটেল নিয়ে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে এবং মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করেছে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও ফাঁকা গুলি চালিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম বলেন, মোতালিবকে র‌্যাব-১ গ্রেপ্তার করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

থানা পুলিশ জানায়, রিমান্ডে নিয়ে মোতালিবের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, বিস্ফোরকের উৎস অনুসন্ধান, পলাতক আসামিদের অবস্থান শনাক্ত ও ঘটনার গোপন রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।


ভাঙা সড়ক-যানজটে অতিষ্ট কুমিল্লা নগরীর বাসিন্দারা

আপডেটেড ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৯:৫৭
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা প্রতিনিধি

ভাঙা সড়ক আর তীব্র যানজটে অতিষ্ট কুমিল্লা নগরীর বাসিন্দারা। এছাড়াও জেলা শহরে প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ শাসনগাছা-আলেখারচর সড়কটি ভেঙে বাড়তি ভোগান্তি যোগ করেছে। এ নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই।

সরেজমিনে, কুমিল্লা নগরীতে প্রবেশের পশ্চিমের শাসনগাছা আলেখারচর সড়কটির প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে দেখে বোঝার উপয় নেই, এটি একটি সড়ক। সড়কটি ভেঙে বড় বড় গর্ত হয়ে আছে। কাদাপানি মাড়িয়ে যানবাহনগুলো নগরীতে প্রবেশ করছে। সড়কের দুপাশে ফুটপাতের একই অবস্থা। হাঁটাচলা করতে পারেনা পথচারীরা। এছাড়াও নোয়াপাড়া পাসপোর্ট অফিসের সামনে এবং শাসনগাছা ফ্লাইওভার পর্যন্ত বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।

দিঘীরপাড়ের বাসিন্দা ষাটোর্ধ নোয়াব আলি বলেন, এখানে থাকি বহু বছর। মেঘের সিজন আইলে আর চলন যায় না। নোয়াব আলী যোগ করেন গেলো এক বছর ধরে এমন অবস্থায় আছে সড়কটি।

এই সড়কের পাশের একটি গ্যারেজ মালিক আবুল হোসেন। তিনি বলেন, জেলা শহরে প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির এমন বেহাল অবস্থা হবে কেন। এই সড়কটির কারণে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে অনেক ক্ষতি হচ্ছে।

নোয়াপাড়ার স্থানীয় যুবক সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা হয়। কিছুদিন আগে অটোরিকশা উল্টে দুইজন আহত হয়েছে। খুবই ভয়াবহ অবস্থা।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, সড়কগুলো খুব দ্রুতই সংস্কার করা হবে। এই সড়ক দিয়ে অনেক ভারী যানবাহন চলাচল করে। এবার ক্রংকিটের ডালাই করা হবে।

শাসনগাছা হয়ে কুমিল্লা নগরীতে প্রবেশ করলেই রানীর বাজার নজরুল অ্যাভিনিউ, ইপিজেড সড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়কের অবস্থাও ভয়াবহ। সড়কগুলো ভেঙে চলাচল অনুপোযোগী হয়ে আছে। এই ভাঙাচোরা সড়কের সাথে যোগ হয়েছে তীব্র যানজট।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে মোট ১১০ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে, ৫ কিলোমিটারের মত কাঁচা সড়ক রয়েছে। নানান অনিয়মের কারণে এসব সড়কের অর্ধেকেরও বেশি এলাকায় যানজট নিত্য দিনের ভোগান্তি। ছুটির দিনেও যানজটের কবলে পরতে হয় সাধারণ মানুষকে। অবৈধ পার্কিং, অবৈধ দোকানপাট ও হকার, মাত্রারিক্ত ইজিবাইক ও অটোরিকশার বিশৃঙ্খলা, সড়ক নির্মান ও মেরামত, অপর্যাপ্ত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও পুলিশের জনবলের অভাব এবং সচেষ্টার অভাবে এই যানজটের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাচ্ছে না সাধারণ নাগরিকরা। প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে চেয়ে মানুষ এখন অধৈর্য্য হয়ে উঠছে।

গেলো কয়েকদিনে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ভয়াবহ যানজটের চিত্র। বিশেষ নগরের কান্দিরপাড় থেকে পুলিশ লাইন্স সড়ক, টমছমব্রিজ সড়ক ও রাণীর বাজার সড়কে দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে। এছাড়াও নগরীর রাজগঞ্জ, চকবাজার, মোগলটুলি, ফৌজদারী মোড়, পুলিশ লাইন্স, বাদুরতলা, সালাউদ্দিন মোড়, টমছমব্রিজ, শাসনগাছা, বাদশা মিয়ার বাজার, রেইসকোর্স, রানীর বাজার বেশ কয়েকটি স্থানে যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। এসব এলাকায় সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা/১০টা পর্যন্ত তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে থেমে থেমে।

কুমিল্লা জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সারোয়ার মোঃ পারভেজ বলেন, লোকবলের প্রচণ্ড সংকট। এ জেলায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে ৭৯ জন। যেখানে অন্তত ২শ জন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য প্রয়োজন। অপর্যাপ্ত ট্রাফিক সদস্য দিয়েই যানজট নিরসন করার চেষ্টা আমরা করি।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন জানান, যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসনের একটি কমিটি আছে। তারা কাজ করছেন। আমরা শুধু সাধারণ মানুষ হাঁটার জন্য ফুটপাত দখল মুক্ত করে দিতে অভিযান পরিচালনা করতে পারি এবং সেটি পরিচালনা করছি। তবে এসব অভিযানও কোন ফল দিচ্ছে না এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমরা উচ্ছেদের কাজ করছি। আমাদের অন্যান্য কাজও রয়েছে।


মুক্তিযুদ্ধের পর এদেশে সব চাইতে বড় ঘটনা হলো জুলাই অভ্যুত্থান: মনির হায়দার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জুলফিকার আলী কানন, মেহেরপুর প্রতিনিধি

প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচীব (ঐকমত্য) সাংবাদিক মনির হায়দার বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পর এদেশে সব চাইতে বড় ঘটনা হলো জুলাই অভ্যুত্থান। মুক্তিযুদ্ধের পর গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশে এত বড় ঘটনা আর ঘটেনি। শুধু বাংলাদেশে নয় পৃথিবীর কোনো জায়গায় এতবড় ঘটনা ঘটেনি। যে ঘটনার মধ্যে দিয়ে সরকার, মন্ত্রী এমপি এমনকি মসজিদের ইমাম পর্যন্ত পালিয়ে গেছে।

আজ শনিবার বিকালে গাংনী মিনি স্টেডিয়ামে জুলাই অভ্যুত্থান ফুটবল টূর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলার উদ্বোধনপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মনির হায়দার আর বলেন, জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে বিএনপি জামায়াতে ইসলামী এনসিপিসহ অন্যান্য দল থাকবে। শুধু ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ থাকবেনা। এদেশ ফ্যাসিবাদ আর কখনো ফিরে আসতে পারবেনা উল্লেখ করে মনির হায়দার বলেন, বিএনপি জামায়াত এনসিপি রাজনৈতিক কারণে তর্ক বিতর্ক বা ঝগড়া করবে কিন্তু ফ্যাসিবাদের ব্যাপারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা কেউ কারোর শত্রু না, আমাদের একমাত্র শত্রু ফ্যাসিবাদ।

মনির হায়দার বলেন, ফুটবল টূর্ণামেন্ট শুধু একটি খেলা নয়, খেলা আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার শিক্ষা দেই। জুলাই ২৪ আমাদের শিখিয়েছে ২০২৪ এর আগে এবং পরের বাংলাদেশে রাত আর দিনের সমান তফাৎ।

তিনি জুলাই প্রসঙ্গে আরও বলেন জুলাইয়ের ঘটনা আমাদের আফন করতে হবে। জুলাই আন্দোলনকে আমাদের চলাই বলাই রাতে দিনে সব সময় স্বরণ করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্ণী জেনারেল অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ,।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, জেলা মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডার সামসুল আলম সোনা,ফুটবল টুর্ণামেন্টের আয়োজক গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু প্রমুখ।

পরে প্রধান অতিথি মনির হায়দার দু দলের ফুটবলাদের সাথে কিশল বিনিময় করেন। এছাড়া ফুটবলে কিক দিয়ে খেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

হাজার হাজার নারী পুরুষ ফাইনাল খেলাটি উপভোগ করেন।


'আগামীতে যারাই ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারি আচরন করবে তাদের পরিনতিও শেখ হাসিনার মতই হবে'

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এম আর মিজান, দিনাজপুর প্রতিনিধি

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজে'র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন বলেছেন, আগামীতে ক্ষমতায় যেয়ে যারাই ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারি আচরন করবে তাদের পরিনতিও শেখ হাসিনার মতই হবে।

শনিবার (৯ আগস্ট ২০২৫) প্রেসক্লাব মিলনায়তনে

ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসানে 'জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের ভূমিকা' শীর্ষক আলোচনা সভা ও দিনাজপুরের শহীদ পরিবারের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছর ধরে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ফাঁসির কাষ্টে ঝুলেছে। সাড়ে ১৫ বছর সাংবাদিকরা আন্দোলনের বাইরে থাকতে পারেনি। ১৫ বছর বিএনপি সমর্থক কোন পত্রিকা কোন ক্রোড়পত্র পায়নি। কিন্তু এবারে সব পত্রিকা ক্রোড়পত্র পেয়েছে।

তিনি সাংবাদিক সংগঠনের পাশাপাশি রাজনৈতি দলগুলোকে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহকারি মহাসচিব ড. সাদেকুল ইসলাম স্বপন, দপ্তর সম্পাদক আবু বকর, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম।

এ সময় খুরশিদ আলম বলেন, গত ১৬ বছরে ৬৬ জন সাংবাদিক জীবন দিয়েছে। সর্বশেষ গাজীপুরে আসাদুজ্জামান শাহিন জীবন দিয়েছে। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা যতক্ষন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের পক্ষে থাকেন ততক্ষন ভাল। কিন্তু যখন তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করেন তখন শত্রু হয়ে যান। সাংবাদিকরা কারো বন্ধু না।

জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. মোফাজ্জল হোসেন দুলাল বলেন, জুলাই বিপ্লব চূড়ান্ত বিপ্লব নয়। আরো বিপ্লব হবে। সাংবাদিদের ইসপাত দৃঢ় ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে ভারতী আধিপত্যবাদি শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। আমরা যদি দিনাজপুরে দৃশ্যমান উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারি তাহলে দিনাজপুর অনেক দুর এগিয়ে যাবে। আমরা একটা স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, গত ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দুর্নীতির কথা আমরা ভুলে গেছি। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে সাধারণ মানুষের সাথে মিশতে হবে। আপনারা বিভাজন সৃস্টিকারিদের কোন অবস্থায় আশ্রয় দিবেন না।

বক্তারা আরো বলেন, জুলাই বিপ্লবের মুল চেতনা ধরে রাখতে হবে। সাংবাদিকসহ সকলের মধ্যে বিভাজন মিটিয়ে ফেলতে হবে।

পৃথিবীতে যে পেশাজীবীদের অবদান অনস্বীকার্য সে পেশাটি হচ্ছে সাংবাদিক। নিরস্ত্র মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশী জীবন দিয়েছে সাংবাদিকরা। ঘাতকদের বিচার না হওয়ায় সাংবাদিকরা জীবন দিয়ে যাচ্ছে।

যতদিন স্বৈরাচার থাকবে ততদিন সাংবাদিকদের তৎপরতা থাকবে।

সাহর-রুনির মামলা সারা পৃথিবীতে রেকর্ড হয়েছে কতবার পিছিয়েছে।

তারা আরো বলেন, অন্যায়ভাবে বেগম জিয়াকে জেলে রেখে মানসিক নির্যাতন করেছে। এ ভাবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার সরকার তাদের পতনের প্রেক্ষাপট তৈরী করেছিল। সাংবাদিকদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহবান জানান।

যে সন্তানরা যে ছাত্ররা মোবাইলে আসক্তন ছিল সেই সন্তানরাই সেই ছাত্রসমাজই আমাদের মুক্ত করেছে। আজকে আমাদের স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে। সকল শ্রেনি পেশার মানুষ অংশগ্রহন করে জুলাই বিপ্লবকে সফল করেছে।

তারেক রহমান বলেছেছেন, সংসার চলার মত সম্মানি সাংবাদিকদের দিতে হবে।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ মোকাররম হোসেন, সহ-সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম, দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি'র সহ-সভাপতি শামিম কবির, শহর জামায়াতের আমির সিরাজুস সালেহীন, ইসলামী ছাত্রশিবির দিনাজপুর শহর শাখার সভাপতি মোশফিকুর রহমান, এনসিপি শ্রমিক উইং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রেজাউল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক একরামুল হক আবির ও শহীদ রবিউল ইসলাম রাহুলের পিতা মুসলেম উদ্দিন।

আলোচনা শেষে দিনাজপুরে শহীদ রবিউল ইসলাম রাহুলের পিতা মুসলেম উদ্দিননের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।


সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খোরশেদ আলম, নোয়াখালী উত্তর

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার প্রতিবাদে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার বেলা ১১ টায় সোনাইমুড়ী বাইপাস চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

সোনাইমুড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আল মাহমুদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনের বক্তব্য রাখেন সোনাইমুড়ী সভাপতি বেলাল হোছাইন ভূঁইয়া, সাবেক সভাপতি সামছুল আরেফিন জাফর, নাজমুল হক নাজিম, খোরশেদ আলম, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন সুমন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম মিয়া, সাবেক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মানিক, সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ শহিদুল ইসলাম রায়হান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সবুজ, সাংবাদিক আবদুল মতিন, জসিম উদ্দীন রাজ।

বক্তব্যে বক্তারা গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যা ও সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন সৌরভের উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানায়। পাশাপাশি অতিসত্বর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি তুলেন।

বক্তারা আরো বলেন, যদি আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না হয়, তাহলে আরো কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।


কালের পরিবর্তন ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে লাঙল-জোয়ালের ঐতিহ্য

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এম. রমজান আলী, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

গ্রামের মেঠোপথ ধরে চলতে চলতে চোখে পড়ে মাঠের পর মাঠ, যেখানে এখন আধুনিক যন্ত্রের ছোঁয়ায় চলছে চাষাবাদ। কিন্তু কোথাও যেন হারিয়ে গেছে সেই পরিচিত দৃশ্য-লাঙল টেনে নিয়ে গরুর জোয়ালে বাঁধা কৃষকের ঘামে ভেজা মাঠ। একসময় যা ছিল বাংলার গ্রামীণ জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেই লাঙল-জোয়ালের ব্যবহার আজ শুধু স্মৃতির পাতায়। একসময় বাংলার কৃষিকাজ বলতে বোঝানো হতো লাঙল-জোয়ালের যুগল প্রয়োগ। কৃষকের শক্ত হাতে লাঙলের হাতল ধরা, গরুর ঘাড়ে জোয়াল রাখা, আর সেই সঙ্গে জমির কোণে কোণে কাঁদামাটির গন্ধ-এটাই ছিল বাংলার গ্রামীণ অর্থনীতির হৃদস্পন্দন। কৃষকদের বিশ্বাস ছিল লাঙল দিয়ে জমি চাষ করলে তা উর্বর হয়, আর প্রকৃতির সঙ্গে গভীর যোগাযোগ তৈরি হয়। বর্তমান সময়ে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার ও অন্যান্য আধুনিক যন্ত্র এসে জায়গা করে নিয়েছে। এগুলোর ব্যবহার সহজ, কম সময়সাপেক্ষ এবং কম শ্রমনির্ভর। ফলে কৃষকরা ধীরে ধীরে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি থেকে সরে গিয়ে যান্ত্রিকতার দিকে ঝুঁকেছেন। কিন্তু এই যান্ত্রিক চাষাবাদের কারণে শুধু লাঙল-জোয়ালই নয়, হারিয়ে যাচ্ছে মাটির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক। আজও কিছু প্রবীণ মানুষ লাঙল- জোয়ালের দিনগুলো স্মরণ করে। তাদের কণ্ঠে শোনা যায়, "গরুর জোয়ালের আওয়াজে যেন মাঠে প্রাণ জেগে উঠত। লাঙলের ফলা মাটি কাটত আর মনে হতো জমির সঙ্গে আমাদের আত্মীয়তা গড়ে উঠছে।" এই স্মৃতিগুলো শুধু এক প্রজন্মের নয়, বরং আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা গল্প। যান্ত্রিক পদ্ধতির চাষাবাদ যেমন সহজ হয়েছে, তেমনই এর পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মাটির প্রাকৃতিক উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে এবং গরুর সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় গোবর সার তৈরির ঐতিহ্যও বিলীন হতে চলেছে। লাঙল- জোয়ালের ব্যবহার কেবল একটি প্রযুক্তি নয়, এটি ছিল প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সমন্বয়ের নিদর্শন। লাঙল- জোয়ালের হারিয়ে যাওয়া কেবল কৃষি প্রক্রিয়ার পরিবর্তন নয়; এটি একটি সংস্কৃতির হারিয়ে যাওয়া। এই ঐতিহ্যের পুনরুজ্জীবন হয়তো কঠিন, কিন্তু আমাদের উচিত স্মৃতিতে এই ইতিহাস ধরে রাখা। হয়তো একদিন কেউ আবার প্রথাগত পদ্ধতির দিকে ফিরে তাকাবে এবং সেই পুরোনো দিনের গন্ধে ভরে উঠবে বাংলার মাটি। লাঙল-জোয়াল হারিয়ে গেলেও স্মৃতির কোণে তার ঠাঁই চিরস্থায়ী। এই ঐতিহ্যের গল্পগুলো যেন কখনোই হারিয়ে না যায়।


শেরপুরে প্রাইভেট কারসহ ১১ বস্তা ভারতীয় মদ উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. মেরাজ উদ্দিন, শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে চোরাই পথে আনা ১১ বস্তায় ২৯৭ বোতল ভারতীয় মদসহ একটি প্রিমো প্রাইভেটকার জব্দ করেছে পুলিশ।

গেল রাতে পাচারকালে শহরের ঢাকা বাস স্টেশন এলাকা থেকে এসব ভারতীয় মদ জব্দ করা হয়। তবে, টহলরত পুলিশের গাড়ি দেখে আগেই প্রাইভেটকারটি রেখে পালিয়ে যায় কারবারিরা। পুলিশ জানিয়েছে, জব্দকৃত আলামত বাজার মূল্য প্রায় ৩৫ লাখ টাকা।

পুলিশ জানায়, চোরাচালান রোধে রাত্রীকালীন নিয়মিত টহলের সময় ঢাকা-নালিতাবাড়ী মহাসড়ক পথে পুলিশের একটি পিকআপ নালিতাবাড়ী শহরের দিকে যাচ্ছি। এসময় ঢাকা বাস স্টেশনের দক্ষিণ পাশে আসা মাত্রই ঢাকাগামী একটি প্রাইভেটকার পুলিশের পিকআপ দেখে রাস্তার পাশে থাকা বাড়ির সামনে কারটি রেখে দ্রুত পেছন দিয়ে পালিযে যায় কারবারিরা। পরে পুলিশের সন্দেহ হলে প্রাইভেটকারে তল্লাসী চালায়। এসময় কারের পেছনের ছিট ও বেক ডালায় রাখা মোট ১১ বস্তা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ভারতীয় মদ জব্দ করা হয়। পরে ওইসব বস্তা খোলে ২৯৭ বোতল ম্যাজিক মোমেন্ট, ইম্পেরেয়িাল ব্লু, ম্যাগডুয়েলস ও রয়েল স্ট্যাগ মদ পাওয়া যায়। এরপর পুলিশ প্রাইভেটকারসহ ওইসব মদ জব্দ করে থানা হেফাজতে নেয়।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, জড়িতদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে কাজ চলছে।


স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে বরিশালে মহাসড়ক অবরোধ, বরিশাল - ঢাকা সড়ক বন্ধ 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তারিকুল ইসলাম তুহিন, বরিশাল প্রতিনিধি

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) চিকিৎসাসেবা আধুনিকায়ন ও স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে আবারও সড়ক অবরোধে নেমেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

শনিবার (৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় শুরু হওয়া এ কর্মসূচির কারণে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে রাজধানী ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলার যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

ছাত্র জনতা ব্যানারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গত ১৪ দিন ধরে ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে আসছে। আজ ছিল মহাসড়ক অবরোধের ব্লকেট তৃতীয় দিন। এর আগে শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেছিলেন তারা। আন্দোলনকারীরা জানান, সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা, রোগী হয়রানি ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের কারণে সাধারণ মানুষ ন্যূনতম চিকিৎসা পাচ্ছে না।

আন্দোলনকারীদের মূল তিন দাবি হলো,

স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া,শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা আধুনিকায়ন

জনগণের জন্য কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা,

আন্দোলনকারী ছাত্র সাব্বির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সরকারি হাসপাতালে রোগীরা সঠিক সেবা পান না, বরং বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হন। ডাক্তাররা রোগীদের নিজেদের ক্লিনিকে পাঠানোর জন্য প্রেসক্রিপশনে স্লিপ ধরিয়ে দেন। হাসপাতালের অনেক সরঞ্জাম অকেজো করে রাখা হয়, অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাওয়া যায় না। অথচ পুরো হাসপাতাল চলে জনগণের টাকায়।

সংগঠক মহিউদ্দিন রণি বলেন,শুধু আশ্বাসে হবে না, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নিজে এসে সমস্যার সমাধান করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।

অবরোধের কারণে মহাসড়কের দু’পাশে শত শত বাস ও পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়ে। বিপাকে পড়েন হাজারো যাত্রী, যাদের মধ্যে অনেকে গন্তব্যে পৌঁছাতে বিকল্প পথে যেতে বাধ্য হন। পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী এবং কুয়াকাটার সঙ্গে বরিশালের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে। এদিকে এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির হোসেন সিকদার বলেন, নথুল্লাবাদ এলাকায় যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়, সেজন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং আন্দোলনকারীদের জনদুর্ভোগ বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ব্রজমোহন কলেজ, হাতেম আলী কলেজ, বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ও কনটেন্ট ক্রিয়েটররা এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।


ফেনীর বেকেরবাজার-জর্বাপুকুর সড়কের গতিপথ পরিবর্তন ও মেরামতে বিএনপির ১৫ দিনের আল্টিমেটাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মোহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া, ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার কাটাখালী নদীতে বেকেরবাজার-জর্বাপুকুর রাস্তা বিলীন হওয়ায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও যথাযথ মেরামতের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের মোমারিজপুর গ্রামের কাজী বাড়ী ও আকবর ফকির বাড়ির মাঝামাঝি কাটাখালী নদী সংলগ্ন ভাঙ্গন স্থানের পাশেই এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক শামছুল হক নকুর সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নাসির উদ্দিন এর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুল উদ্দিন, ইউনিয়ন বিএনপি'র যুগ্ম আহবায়ক কবির আহম্মদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক হারিছ আহাম্মদ পেয়ার প্রমুখ।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোতাহের হোসেন বাবুল, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম, উপজেলা যুবদলের সদস্য আলাউদ্দিন আলো, যুবদল নেতা নুরুল আবছার, সাহাব উদ্দিন, আশ্রাফ হোসেন রাহাত, মুজাহিদুল ইসলাম, শাহ আলম, সুমন, মিন্টু,জাফর, আবদুল্লাহ আল নোমান আদর, মাইনুল হোসেন, জাহিদ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের গণস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক জিয়া উদ্দিন জাবেদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নুর মোহাম্মদ পলাশ, উপজেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াছিন স্বপন, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির আহমেদ প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন,ওই স্থানটিতে ১৫ দিনের মধ্যে নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও যথাযথ মেরামত না করলে ফেনী-নোয়াখালী সড়ক অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এসময় তারা অতীতে মেরামত সঠিকভাবে হয়নি বলে অভিযোগ করেন।


“সংবিধানে আদিবাসী স্বীকৃতি ও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে”

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি প্রতিনিধি

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোকে আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান ও পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ও রাঙামাটির সাবেক সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার। তিনি বলেন, “পার্বত্যবাসীকে বাদ রেখে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকারকে উদার মানসিকতার পরিচয় দিয়ে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।”

শনিবার (৯ আগস্ট) রাঙামাটি পৌরসভা চত্বরে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

উষাতন তালুকদার বলেন, “বাংলাদেশে যত সরকারই এসেছে, কোনো সরকারই আদিবাসীদের অধিকার স্বীকৃতি দেয়নি। অথচ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আদিবাসীদের কথা উল্লেখ করেছেন। এ কারণে অনেকেই অযথা সমালোচনা করছেন, এমনকি ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলছেন। না হলে পদত্যাগ করতে হবে। কি মানসিকতা কি মনুষত্ববোধ কি মানুষ আমরা। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আদিবাসী বলাতে অপরাধ করে ফেলেছেন। তাই আদিবাসী হয়ে আমরা অপরাধ করেছি। তিনি বলেন, আপনি বাঙালী আপনি পরিচয় দেন তাতে তো আমাদের কোন আপত্তি নাই। তিনি বলেন, আমাদের দেশে আদিবাসী শব্দ নিয়ে খুবই বিতর্কিত ,ভুল বুঝাবুঝি হয়। জাতিসংঘ, কারা আদিবাসী হবে সেটা বোঝার জন্য একটা সংজ্ঞাও নির্ধারন করেছেন।

তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, আগামী সংবিধানে আমাদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। থাইল্যান্ড সম্প্রতি আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়েছে, বাংলাদেশও পিছিয়ে থাকবে না। নতুন বাংলাদেশ গঠনের যে প্রত্যাশা ছিল, তার বাস্তব ফল আমরা দেখতে চাই।”

এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, সংস্কার কমিশনে নিরুপা দেওয়ান ও ইলোরা দেওয়ানকে নারী কমিশনে রাখা হলেও আদিবাসীদের থেকে অন্য সংস্কার কমিশনগুলোতে কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি, যা হতাশাজনক। পাশাপাশি তিনি সতর্ক করে দেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামকে শত্রুভাবাপন্ন আচরণ করলে এর পরিণতি সুখকর হবে না।”

আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে উষাতন তালুকদার বলেন, “আমাদের ভাগ্য নিয়ে এখন বিশ্বপরাশক্তিরা খেলা করছে—আমেরিকা, চীন, রাশিয়া, ভারতসহ প্রতিবেশী মিয়ানমারেরও নজর এই অঞ্চলে। ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচন হবে বলে প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দিলেও তা কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা অনেকাংশে আন্তর্জাতিক প্রভাবের ওপর নির্ভর করছে।”নির্বাচন কমিশনে সিইসিকে চিঠি লিখেছেন নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য । কিন্তু চিঠি লিখলেও এখনো মানুষের মনে প্রশ্ন রয়ে গেছে আদৌ ফেব্রুয়ারীতে নির্বাচন হবে কিনা । কেননা এটা আমেরিকা কি চায় তার উপর নির্ভর করছে। আপনারা হয়তো খেয়াল করেছেন ভিতরে ভিতরে ভারতও কিন্তু পরাশক্তির পথে। তিনি বলেন, সব মিলিয়ে তাদের উপর আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করছে। আরাকানদের কি হবে? রোহিঙ্গাদের কি হবে মায়ানমারের কি হবে? বাংলাদেশের মানুষের কি অবস্থা দাঁড়াবে।

উষাতন তালুকদার অভিযোগ করে বলেন, আমাদের এখানে তথাকথিত বিপ্লবী পার্টি আছে তারা আদিবাসী স্বীকার করে না তারা বলে জাতিসত্বা। তারা বলছে, জনসংহতি সমিতি জাতের মাথা খাচ্ছে। এম এন লারমা আড়াই বছর জঙ্গলে কাটিয়েছেন। জীবন বাজি রেখে আমরা লড়াই করেছি। আমার ভাইয়েরা আমার সামনে মারা গেছে। অমিও মারা যেতে পারতাম । তাই অস্বীকার করার কোন জো নাই। এম এন লারমা ,সন্তু লারমা কি করেছে যারা বলছে, জাতের মাথা খাচ্ছে যারা বলছে তাদেরকে বলছি , জনগণকে বিভ্রান্ত করে আমাদের আন্দেলনেকে নসাৎ করে দেয়া হচ্ছে। “পাহাড়ি ছাত্র পরিষদকে বিভক্ত করা, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে গাফিলতি এবং আন্দোলনকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। জনগণ ন্যায়-অন্যায় চেনা পর্যন্ত ভোগান্তি পোহাতে হবে।”

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য অঞ্চল সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন খীসা। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষাবিদ শিশির কান্তি চাকমা, মানবাধিকার নেত্রী নিরূপা দেওয়ানসহ স্থানীয় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠান শেষে রঙিন পোশাকে সজ্জিত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র‌্যালি পৌরসভা প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিমনেসিয়াম মাঠে গিয়ে শেষ হয়।


banner close