থরে থরে সাজানো পেঁয়াজ, সরবরাহে কমতি নেই। তবুও অদৃশ্য কারণে বাড়ছে দাম। তবে কি মজুদ সিন্ডিকেট? নাকি অসাধু উপায়ে দাম বাড়ানোর কৌশল? এমনই-সব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রেতাদের মাঝে।
খুলনায় দিন যত যাচ্ছে, পেঁয়াজের দামও বাড়ছে। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে খুলনায় কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে অন্তত ২৫ টাকা। হাত ঘুরলেই যেন বেড়ে যায় দাম।
পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টিতে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। আর খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বাড়তি দামেই বিক্রি করছেন তারা। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, মজুদ সিন্ডিকেট আর ঠুনকো অজুহাতে দাম বাড়ানো হয়েছে।
নগরীর খালিশপুর, দৌলতপুর, নিউ মার্কেট, ময়লাপোতা, জোড়াকল বাজার, নতুন বাজার, বয়রা বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরায় বাজারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগেও এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে। আর সোনাডাঙ্গা পাইকারি বাজারের আড়তে তা বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৮ টাকা দরে। অর্থাৎ, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দামের ব্যবধান ১২-১৩ টাকা।
পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।
কেডিএ নিউ মার্কেট কাঁচাবাজারে আসা হারুন অর রশীদ নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘৫০-৬০ টাকার পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমরা তো কোনো কারণই খুঁজে পাচ্ছি না। এটা মজুদের কারণে, নাকি বন্যার কারণে বাড়ানো হয়েছে?’
ওই বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা শুকুর আলী বলেন, ‘আমি সামান্য বেতনে কাজ করি। সীমিত টাকায় পেঁয়াজ কিনব, মাছ কিনব, নাকি তরকারি ও চাল কিনব? বাজারের এমন অবস্থায় গরীব মানুষের খুবই কষ্ট।’
খালিশপুরের খুচরা বিক্রেতা সোহাগ বলেন, ‘সীমিত লাভ রেখেই পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারি বাজারে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, তাই আমাদেরও বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। বর্তমানে পেঁয়াজ মানভেদে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা দুই সপ্তাহ আগেও ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি করেছি।’
কেডিএ নিউ মার্কেট কাঁচাবাজারের বিক্রেতা মহাদেব সাহা বলেন, ‘এখন পেঁয়াজের মৌসুম শেষের দিকে। এই সময়ে দাম কিছুটা বাড়ে। তার ওপর ঘন বর্ষা। দীর্ঘদিন মাল ওঠে না, আমদানিও কম। এই কারণে দাম একটু বেশি।’
তবে দাম অতিরিক্ত বাড়বে না। ৮০ টাকা হলেও এখনও তা স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন এই বিক্রেতা।
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় ৮০ টাকা কেজি পেঁয়াজ বেশি না। আগে ৫০ থেকে ৬০ টাকা ছিল, এখন ৮০ টাকা হয়েছে। অস্বাভাবিক নয়। এক মণ কাঁচা পেঁয়াজ কিনলে ৮-১০ কেজি শুকিয়ে যায়। কিছু দাগি-পচা বের হয়। এ জন্য এই সময়ে দাম একটু বেড়ে থাকে।’
বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই উল্লেখ করে এই বিক্রেতা বলেন, ‘দাম কিছুটা বেড়েছে। এলসি করে আনা হলে দামে কিছুটা প্রভাব পড়বে। এখনও এলসি করে না আনা উচিত। পেঁয়াজের দাম এখনও স্বাভাবিক আছে।’
সোনাডাঙ্গা কাঁচা বাজারের আল্লাহর দান-১ আড়তের পাইকারি বিক্রেতা ইয়াদ আলী বলেন, ‘দেশে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ রয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ কম আসছে। এ ছাড়া এলসি দেওয়া হয়নি এখনো, আগামী ১৫ তারিখে এলসি দেবে। তখন আবার পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা কমে যাবে। বর্তমানে আমরা ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করছি।’
তিনি বলেন, ‘১৫ তারিখে এলসির অনুমোদন দিলেও পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, বরং তখন দাম ৫০ টাকা কেজিতে নেমে আসবে।’
সোনালী বাণিজ্য ভান্ডারের বিক্রেতা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই সময় পেঁয়াজের বাজার একটু চড়া হয়। বৃষ্টির সিজনে মালের সংকট হয়, কারণ পেঁয়াজ পচনশীল। বৃষ্টি হলে পেঁয়াজ সরবরাহ কমে যায়, তাই বাজারে দাম বেড়ে যায়। এখন সরবরাহ বাড়লে বাজার আবার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’
ভুষন হাওলাদার। তিনি একজন গ্রাম পুলিশ। চাকুরী করেন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদে।
ঠাট্টা করে তাকে অনেকে ভুষন চেয়ারম্যান বলেও ডাকেন। কারন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স দেয়া, নাগরিক সনদ দেয়া এবং গুরুত্বপুর্ন কাজ তিনি করিয়ে দেন। বিনিময়ে হাতিয়ে নেয় অর্থ।
সম্প্রতী "সরকারী গভীর নলকুপ" পাইয়ে দেয়ার জন্য ১২ জনের কাছ থেকে ১ হাজার ৭৫০ টাকা করে মোট ২১ হাজার টাকা নিয়েছেন গ্রাম পুলিশ ভৃষন হাওলাদার। ভুক্তভুগিরা জানিয়েছেন, 'জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ থেকে ১২ টি গভীর নলকুপ বরাদ্ধ দেয়া ভৈরবপাশা ইউনিয়েনে। এরজন্য প্রতিটি নলকুপের জন্য অফিস খরচ বাবদ ১৭৫০ টাকা করে দিতে হবে। একথা বলে ভুষন হাওলাদার ১২ জনের কাছ থেকে ২১ হাজার টাকা বিকাশ একাউন্টে নেয়।'
একপর্যায়ে ভুক্তভুগিরা জানতে পারে নলকুপ বরাদ্ধের বিষয়টি ভুয়া। এরপর তারা টিউবওয়েল দেয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ প্রসংগে গত ১১ আগষ্ট ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
টাকা ফেরত চেয়ে অভিযোগ পত্রে তারা লিখেছেন, "আমরা নিম্ন ঈশ্বরকাঠী গ্রামের বাসিন্দা। আমাদের কাছ থেকে টিউবওয়েল দেয়ার কথা বলে ১২জনের কাছ থেকে ১৭৫০ টাকা করে নগদ অর্থ নিয়েছে গ্রাম পুলিশ ভুষন হাওলাদার।
ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক নলছিটি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. অহিদুল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে বলেন, 'ঘটনাটি আমি অবগত হয়েছি। ভুষন টাকাটা নিজে গ্রহন করেছে নাকি ভুষন অন্যের প্রতারনার স্বিকার হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর ঐ টাকাগুলো সবাই একটা বিকাশ নাম্বারে দিয়েছে। সেই নাম্বারটি সন্ধানের জন্য থানায় সাধারন ডায়েরী করা হবে।
নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনো হয়নি, হলে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে পিয়ার পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচন চাই ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন। পিয়ার পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সকল দলের প্রতিনিধি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে। সন্ত্রাস এবং কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ হবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাগুরা শহরের ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমাবেশ বক্তব্যকালে সংগঠনের নায়েবে আমি মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম এসব কথা বলেন।
তিনি শেখ হাসিনা সরকারের দুর্নীতি লুটপাট এবং হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার এবং বিএনপি'র সমালোচনা করে পিয়ার পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি করেন।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মাগুরা ১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা নাজিরুল ইসলাম এবং মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামাল।
সমাবেশে প্রায় পাঁচ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নিখোঁজের ১২দিন পর ধানক্ষেত থেকে এক বাক প্রতিবন্ধীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে তার স্বজনরা।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল পৌনে নয়টার দিকে ভবেরচর ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের পশ্চিম চকের হান্দার বাড়ি এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত বাক প্রতিবন্ধীর নাম রবিউল আউয়াল (৫৪)। সে গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের সোনা মিয়া সওদাগরের ছেলে বলে জানা গেছে।
খবর নিয়ে জানা যায়, ' রবিউল আউয়াল বাক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে বিয়ে-শাদী করেনি। বড় ভাই জিলানীর বাসায় থাকতো। কৃষিকাজ, দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করতো সে। অন্যান্য দিনের মতো গত ১আগস্ট সকালে বাড়ি থেকে বের হয় রবিউল আউয়াল। সন্ধ্যায় সে বাসায় না ফিরলে আশেপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করে স্বজনরা। দীর্ঘ সময় পরও তার সন্ধান না পাওয়ায় স্থানীয় কবিরাজ ও তান্ত্রিকের দারস্ত হয় তারা। এদিকে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল পৌনে নয়টার দিকে স্থানীয় এক জেলে দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে ধান ক্ষেতে একটি লাশ দেখতে পান। লাশটির অবস্থা দেখে ধারণা করা হচ্ছে ১০/১২দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে নিখোঁজ রবিউল আউয়ালের স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে জামাকাপড় থেকে লাশটি তার বলে নিশ্চিত করে।
নিহত রবিউল আউয়ালের বড়ভাই জিলানি বলেন, ' লাশটি যেখানে পাওয়া গেছে সেখানে হাটু পরিমাণ পানি এখানে ডুবে কারো মৃত্যু হওয়ার কথা নয়। আমার ভাই বাক প্রতিবন্ধী ছিল তার অন্য কোন সমস্যা ছিল না। তার সাথে সবসময় ২০/৩০ হাজার টাকা টাকা থাকতো। তাকে
কেউ হত্যা করেছে বলে ধারণা করছি আমরা'।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ' খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে'।
শেরপুর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন স্থগিত করেছেন শেরপুরের সিনিয়র সহকারী জজ তাহমিনা আফরোজ তানি।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে আদালত এ আদেশ দেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২২ আগস্ট শেরপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিলো।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১০ আগস্ট শেরপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্য ও জেলা বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম স্বপন ও জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসেম আহাম্মেদ ছিদ্দিকি বাবু আদালতে “অন্য প্রকার মামলা” নামে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার মূল আইনজীবী বিএনপি নেতা আখতারুজ্জামান আদালতে অভিযোগ করেন চেম্বারের অধিকাংশ ভোটার ভুয়া এবং একই নামে একাধিক ভোটারের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে আদালত ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
রায়ে চেম্বার সভাপতি আরিফ হোসেন, সচিব হারুণ অর রশিদ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম রকিব ও বাছাই কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এমকে মোরাদুজ্জামানকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
শেরপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিলসহ চুড়ান্ত প্রার্থীতা ঘোষণা করা হয়েছিলো। তিনটি কেটাগরির প্রার্থীররা প্রচারণা শুরু করেছিলো। এরইমধ্যে আদালত থেকে নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় হতাশ প্রার্থীরা।
অবশেষে পানি ছাড়ার দিন ৭ দিন পর বন্ধ করে দেওয়া হলো রাঙামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬ টি জলকপাট।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ৯ টায় কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা ১০৭. ৩৪ ফুট মীনস সি লেভেল এর নীচে নেমে আসায় অথাৎ বীপদ সীমার নীচে নেমে আসায় মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ৮ টায় পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব কটি জলকপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরোও জানান আজ মঙ্গলবার সকাল ৭ টায় কাপ্তাই লেকে পানির উচ্চতা ছিল ১০৭.০৬ ফুট মীনস সি লেভেল। অথাৎ বৃষ্টি না হওয়ায় ধীরে ধীরে লেকে পানির উচ্চতা কমে আসছে।
প্রসঙ্গত: রাঙামাটির কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা বীপদ সীমার উপর অতিক্রম করায় অথাৎ ১০৯ ফুটের প্রায় কাছাকাছি চলে আসায় গত ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২ টা ৫ মিনিটে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের( কপাবিকে) ১৬ টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ড ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই লেক হতে কর্ণফুলি নদীতে নিষ্কাশন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লেকের পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এরপর কেন্দ্রের জলকপাট দেড় ফুট, পরবর্তীতে আড়াই ফুট এবং সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ ফুট পর্যন্ত করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কাপ্তাই লেকের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট মীনস সি লেভেল।
নীলফামারী পৌরসভার চার বিভাগের দশজন কর্মীকে একটি করে বাই-সাইকেল প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২আগস্ট) দুপুরে পৌরসভা প্রাঙ্গণে কর্মীদের হাতে বাই-সাইকেল তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।
এসময় নীলফামারী পৌরসভার প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাইদুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী ফিরোজ কবির, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী তারিক রেজা, নির্বাহী কর্মকর্তা মশিউর রহমান, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।
পৌর প্রশাসক সাইদুল ইসলাম জানান, কর্মীদের যাতায়াতের সুবিধা এবং পৌরসভার কাজে গতি বাড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কর, পানি সরবরাহ, প্রকৌশল ও স্বাস্থ্য শাখার দশজনের মাঝে একটি করে বাই-সাইকেল প্রদান করা হয়।
আসন্ন প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন রাজশাহী মহানগর শাখা। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে রাজশাহী সিটি প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রিপন। তিনি বলেন, সারাদেশে প্রায় ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৭০ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এর মধ্যে প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১৭ জুলাই ২০২৫ তারিখের পরিপত্র অনুযায়ী এ বছরের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না।
আব্দুর রাজ্জাক রিপন বলেন, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা ও ২০২২ সালের বৃত্তি পরীক্ষায় এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে সাফল্য অর্জন করেছে। অথচ এবার তাদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক। বৃত্তি শুধু আর্থিক সহায়তা নয়, এটি একটি শিক্ষার্থীর আত্মমর্যাদা ও অনুপ্রেরণার প্রতীক।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, কোনো শিশু শুধুমাত্র বিদ্যালয়ের ধরণ ভিন্ন হওয়ার কারণে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারলে তা মানসিক আঘাত ও হতাশার সৃষ্টি করবে। এটি জাতীয় শিক্ষানীতির সাম্যের নীতির পরিপন্থী। তাঁরা অবিলম্বে পরিপত্রটি বাতিল করে প্রাথমিক শিক্ষায় সমঅধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
বক্তারা আরও জানান, আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও এবং “মার্চ ফর ঢাকা”সহ কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, “আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীরাই মূলত বেসরকারি প্রাথমিক প্রতিষ্ঠানে পড়ে। তাদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হোক, বৈষম্য থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আছেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান আলী, রাজশাহী মহানগর সভাপতি রফিকুল আলম, সহ-সভাপতি ড. ইব্রাহিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ, সাংগাঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, অর্থ সম্পাদক এম এম রহমান, শিক্ষা সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
“প্রযুক্তি নির্ভর যুবশক্তি বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বে অগ্রগতি”-এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শেরপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলাবার (১২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১০ টায় দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে শেরপুর জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর উদ্যোগে বর্ণাঢ্য যুব র্যালি কানাশাখোলা হতে বের হয়ে যুব ভবন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালি শেষে শেরপুরের যুবভবন হলরুমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, শপথ বাক্য পাঠ, যুব ঋণ ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর জেলার জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম এবং সিভিল সার্জন ডাঃ মুহাম্মদ শাহীন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শেরপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান চৌধুরী।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ যুব উদ্যোক্তাদের হাতে যুব ঋণের চেক এবং সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। এরপর সেখানে একটি স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি আয়োজিত হয়।
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে দোকানঘর জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত এই যুবলীগ নেতার নাম আরাধণ চন্দ্র বণিক। তিনি মধ্য অষ্টগ্রামের নিতাই চন্দ্র বণিকের ছেলে এবং উপজেলা যুবলীগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক বলে দাবি ভুক্তভোগীর।
ভুক্তভোগী আবু জালাল মো. জাবের উপজেলা সদরের পশ্চিম অষ্টগ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহারের ছেলে। অপর ভুক্তভোগী ওয়াজ উদ্দিন মধ্য অষ্টগ্রামের আব্দুল হেকিমের ছেলে।
ভুক্তভোগী আবু জালাল মো. জাবেরের অভিযোগ, তার বড়ভাই একেএম হারুনের কাছ থেকে ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর আরাধন চন্দ্র বণিক .৫০ শতক জায়গা কিনেন। কিন্তু দলীয় প্রভাবে তিনি আবু জালাল মো. জাবেরের জায়গা থেকে আনুমানিক .৩৪ শতক জায়গা অতিরিক্ত দখল করে নেন। এমনকি সে জায়গায় থাকা দোকানের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে আকৃতিও পরিবর্তন করেন আরাধন চন্দ্র বণিক।
অন্যদিকে মো. ওয়াজ উদ্দিনের অভিযোগ, যুবলীগ নেতা আরাধন চন্দ্র বণিক বিগত হাসিনা সরকারের আমলে অষ্টগ্রাম বড়বাজারে তার .৫৪ শতক জায়গায় করা দোকানঘর থেকে তাদের উচ্ছেদ করে দখল করেন। এখনো তার কাছ থেকে এই জায়গা ও দোকানঘর উদ্ধার করা যায়নি। গত বছরের ২০ আগস্ট অষ্টগ্রাম থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার আসামি যুবলীগ নেতা আরাধন চন্দ্র বণিক। বর্তমানে পলাতক আসামি হয়েও প্রশাসনসহ বিভিন্ন শক্তিকে ব্যবহার করে তিনি দোকানঘরের জবরদখল ধরে রেখেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আবু জালাল মো. জাবের ও মো. ওয়াজ উদ্দিন।
এ পরিস্থিতিতে দোকানঘর উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।
এ বিষয়ে আরাধণ চন্দ্র বণিক জানান, তিনি রাজনৈতিক কোন দলের পদ-পদবীতে নেই। ওয়াজ উদ্দিনসহ এই চক্রটির ভয়ে তিনি নিজেই এলাকা ছাড়া। তাদের সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে পাল্টা অভিযোগ করে তিনি বলেন, ওয়াজ উদ্দিনের বাবা আব্দুল হেকিমের কাছ থেকে ২৫ বছর আগে তার বাবা আধা শতাংশ কিনেছিলেন। কেনার পরে বাজারে দুইবার আগুন লেগেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরে দুইবার নতুন করে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বিগত ৭ বছর আগে তিনতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে দুই তলা সম্পন্ন করেছি। এরমধ্যে কেউ কোনদিন এমন দাবি বা অভিযোগ করেনি। কিন্তুু ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে এই চক্রটি বিভিন্নভাবে তাকে হয়রানি করছে এবং পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে। চাঁদা না পেয়ে দোকান ভাঙচুর এবং দখল করে তালা পর্যন্ত মেরেছে। এখন তারাই পাল্টা অভিযোগ করছে।
তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১১আগস্ট (সোমবার) ২০২৫ তারিখে জনাব মনিজা খাতুন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ-এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -সোনারগাঁও, জোবিঅ-সোনারগাঁও আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার মিরেরটেক, হাতুরাপাড়া এবং নয়াপুর এলাকার ০৪ টি স্পটে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, আনুমানিক ২.৫ কি.মি. এলাকার প্রায় ৯০০ টি অবৈধ আবাসিক বার্নার ও ০১ টি অবৈধ চুনা ভাট্টির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময়, ২" ডায়া বিশিষ্ট ১০০ ফিট, ১" ডায়া বিশিষ্ট ৪০ ফিট এমএস পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও প্লাস্টিক পাইপ উৎসস্থলে বিনষ্ট করা হয়েছে। প্রতিটি অবৈধ বিতরণ লাইন উৎস পয়েন্ট হতে কিলিং/ ক্যাপিং করা হয়েছে।
একই দিনে, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব ওমর ফারুক মুন্সিগঞ্জ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর জোবিঅ -মেঘনাঘাট আওতাধীন ভাটের চর (নতুন রাস্তা), বালুয়াকান্দি, গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ এলাকায় অবৈধ চুন কারখানা ও হোটেল রেস্টুরেন্ট এ অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ২টি চুন কারখানা (মোট ৮টি ভাট্টি বিশিষ্ট) ও ভাটের চর নতুন রাস্তায় অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করায় চা'য়ের দোকানের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং একটি রেস্টুরেন্ট এর মালিক না থাকায় রেস্টুরেন্ট সীল করা হয়েছে। এ সময়, এমএস পাইপ ২" ব্যাসের ২০ ফুট (আনুমানিক)। স্টার বার্ণার ৫ টি অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। ভাট্টির মালিক/জমির মালিকের বিরুদ্ধে এতদবিষয়ে গজারিয়া থানায় এফআইআর (FIR) দায়ের করা হবে। অবৈধ চুন কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এক্সক্যাভেটর মেশিনের মাধ্যমে স্থাপনা ভেঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স গজারিয়া এর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, উক্ত অভিযানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদের বিপরীতে ১৬,০০০ ঘনফুট/ঘন্টা গ্যাস সাশ্রয় হয়েছে এবং সাশ্রয়কৃত গ্যাসের আনুমানিক মূল্য ২,৬০,৯০০/- টাকা (দৈনিক ভিত্তিক)।
এছাড়া, জনাব জনাব মিল্টন রায়, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ-এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ -৪ আওতাধীন গুলশান ও বনানী বিক্রয় শাখা, কড়াইল বস্তি এলাকার ০৬ টি স্পটে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, আনুমানিক ১০৫০ টি অবৈধ আবাসিক ডাবল বার্নারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময়, প্রায় ৫৬০ ফুট পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক রাজস্ব শাখা - ভালুকা ও জোবিঅ- ভালুকা কর্তৃক বিশেষ অভিযানে বকেয়ার জন্য ০১টি আবাসিকের ০২ টি ডাবল চুলা ও অবৈধ/অনুমোদন অতিরিক্ত স্থাপনায় গ্যাস ব্যবহার করায় ০৪ টি আবাসিকের ৬টি ডাবল চুলাসহ মোট ৫টি আবাসিকের ৮টি ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময়, ৬৭৩২০.০০ টাকা তাৎক্ষণিক বকেয়া আদায় করা হয়েছে।
এছাড়াও, জনাব সিমন সরকার, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ-এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -চন্দ্রা, জোনাল বিক্রয় অফিস-চন্দ্রা আওতাধীন সুরাবাড়ি, কাশিমপুর এবং দেওয়ান মার্কেট, কাশিমপুর, গাজীপুর এলাকার ০৩ টি স্পটে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, আনুমানিক ১৬০ টি বাড়ির ৪২০ টি ডাবল চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময়, ৩/৪ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ ২১০ ফুট, ১ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ ২৫০ ফুট, প্লাষ্টিক ৩/৪ ইঞ্চি ব্যাসের থ্রেট পাইপ ১৫০ ফুট ও ১২ টি সম্পুর্ন অবৈধ রেগুলেটর অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হতে গত ১১ আগস্ট, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ২৯৬টি শিল্প, ৩২৫টি বাণিজ্যিক ও ৬৩,৯৬৫টি আবাসিকসহ মোট ৬৪,৫৮৬টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ১,২২,৯৯৩টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ২৪১.৫ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।
"প্রযুক্তি নির্ভর যুবশক্তি' বহু পাক্ষিক অংশীদারিত্বে অগ্রগতি" এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মাগুরায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৫ পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালি শেষে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন এবং কবুতর উড়িয়ে দিবসটির সূচনা করা হয়। পরে যুব উন্নয়নের সম্মেলন কক্ষে শপথ পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আলোচনা সভা। সভা শেষে, যুব ঋণের চেক, প্রশিক্ষণের সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ ইলিয়াসুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল কাদের, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ শামীম কবির, মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির এমবি বাকের, মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক সাইদুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন মাগুরা জেলা সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, আজকের তারুণ্য মানেই আগামী দিনের ভরসা। তারা শুধু ভবিষ্যতের জন্য নয়, এখনই সমাজে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রযুক্তি, শিক্ষায় উদ্ভাবন, সামাজিক সচেতনতা কিংবা পরিবেশ রক্ষা—সব ক্ষেত্রেই তরুণদের অবদান এখন চোখে পড়ার মতো। তবে তাদের পথটা সব সময় মসৃণ নয়। অনেক তরুণ বেকার, কেউ পাচ্ছে না মানসম্মত শিক্ষা, আবার কেউ মানসিক চাপ বা সামাজিক বৈষম্যের মুখোমুখি। তবুও তারা থেমে নেই। নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে, পরিবার ও সমাজকে কিছু দিতে তারা প্রতিদিন সংগ্রাম করে যাচ্ছে।
এই তরুণদের সম্মান জানাতেই প্রতি বছর পালিত হয় আন্তর্জাতিক যুব দিবস।
এসময় বক্তারা আরো বলেন, তরুণদের কথা শোনার এবং তাদের পাশে থেকে সহায়তা করার সময় এখনি। যুব সমাজকে ক্ষমতায়ন করে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও টেকসই ভবিষ্যতের ভিত্তি গড়ে তুলতে পারি। তাদের চিন্তা, নেতৃত্ব ও কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।
জোয়ারের পানিতে তলিয়ে জলাবদ্ধতার সৃস্টি হয় ও ভাটায় জেগে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে মন অবস্থা আসছে
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ১০০ বছরের পুরানো পেড়লী বাজার । এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এই বাজারের ব্যবসায়ী,স্কুলের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগণ। সমস্যা সমাধানে নদীর তীরে বেড়িবাধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকার মানুষ ।
মঙ্গলবার (১২ আগষ্ট) সরেজমিন দেখা যায়,চিত্রা ও নবগঙ্গা নদীর সংযোগস্থল ত্রিমোহনী এলাকায় গড়ে উঠেছে পেড়লী বাজার । ১০০ বছরের পুরানো এ বাজারে শতাধিক ব্যবসায়ী ব্যবসা করছেন। সম্প্রতি নদীর পানি বেড়ে যা্ওয়ায় জোয়ারের সময় বাজার এলাকায় হাটুপানি জমে থাকে । ফলে ক্রেতারা প্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটা করতে বাজারে আসতে পারে না । এ পানি পাশের স্কুল ও খেলার মাঠেও প্রবেশ করছে ।
বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন,সারাদিন বাজার ও আশপাশের এলাকায় হাটুপানি থাকে। সন্ধ্যায় ভাটার সময় পানি নেমে যায়। কিন্তু তারপরও পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত পানি থাকে। এ পানি মাড়িয়ে সব সময় তাদের আসা-যা্ওয়া করতে হয়।
স্থানীয় প্রবীন সাংবাদিক গোলাম মোর্শেদ বলেন,এক সময় এই নদী দিয়ে বড় বড় ষ্টিমার,লঞ্চ,কার্গো চলাচল করত। ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী এই বাজার হয়ে বড়দিয়া নৌবন্দরে ব্যবসা করেছে। তখন নদী গভীর থাকায় বাজারে জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে পারেনি। এখন নদীর তলদেশ পলি জমে ভরাট হ্ওয়ার কারণে পানি বাজারে প্রবেশ করছে। তিনি বাজারের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে নদী তীরে রিংবাধ নির্মাণের দাবি করেন।
স্থানীয় ফাজিল আহম্মেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনি মোহন রায় বলেন,জোয়ারের পানি বাজারে প্রবেশ করা শুরু করলে আগে স্কুল ছুটি দিয়ে দিতে হত। তবে স্কুলের ভেতর এবং নিচ তলার প্রতিটি কক্ষে পানি প্রবেশ করেছে। খেলার মাঠ তলিয়ে যা্ওয়ায় ছেলেরা খেলাধূলা করতে পারছে না।
কালিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াহিদুজ্জামান মিলু বলেন, পেড়লী বাজার ভাঙনের কবল থেকে রক্ষার জন্য ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্মন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাউবোর নড়াইল কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জল কুমার সেন বলেন,বাজার সংলগ্ন এলাকায় বাধ নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।অনুমতি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবসা নেওয়া হবে।
'প্রযুক্তি নির্ভর যুবশক্তি, বহুপাক্ষীক অংশীদারিত্বের অগ্রগতি'-কে প্রতিপাদ্য নিয়ে উদযাপিত হচ্ছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৫। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৫ উপলক্ষে সফল আত্মকর্মী ক্যাটাগরিতে ১২জন ও যুব সংগঠক ক্যাটাগরিতে ৪জন মোট ১৬ জনকে প্রদান করা হয় জাতীয় যুব পুরস্কার ২০২৫। আজ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সাম্য, নাগরিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধির নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে সবচেয়ে বড় অবদান রাখবে দেশের তরুণ প্রজন্ম। সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রযুক্তি হবে মূল চালিকা শক্তি। তিনি বলেন, প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সেমিকন্ডাকটর শিল্পের সম্ভাবনা যাচাই ও উন্নয়ন, ইন্টারনেট খরচ কমানো, আধুনিক আইসিটি অবকাঠামো নির্মাণ, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরি সহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তি খাতে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে সরকার। সম্প্রতি ই-স্পোর্টসকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং দেশের ই-স্পোর্টস খাতের বিকাশে প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো তৈরির কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৩ শতাংশই ৩৫ বছরের নিচে। এই তরুণ শক্তিই আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ ও শক্তি। সরকার এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে যুব উন্নয়নে প্রশিক্ষণ, ঋণ ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। অধিদপ্তর সৃষ্টির পর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ৬৪টি জেলা কার্যালয়, ৭০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ৫০১টি উপজেলায় মোট ৮৩টি ট্রেডে প্রায় ৭৪ লক্ষ যুবক-যুবতী প্রশিক্ষণ লাভ করেছে। বিভিন্ন ঋণ কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ১১ লক্ষ যুবক ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ পেয়েছে।
এছাড়া, যুব সমাজের স্বার্থে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপনের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত ইমপ্যাক্ট প্রকল্প, ভ্রাম্যমাণ আইসিটি প্রশিক্ষণ, ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রকল্প, যানবাহন চালনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ, ইত্যাদি। এছাড়াও, EARN (Economic Acceleration and Resilience for NEET - Non-education, Employment, or Training) প্রকল্পের আওতায় ৯ লক্ষ যুবক ও যুব নারীকে দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও অটোমেশন বিষয়ক দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রশিক্ষণভিত্তিক আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্প দ্রুত চালু হতে যাচ্ছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সচিব মো. মাহবুব-উল-আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ও রেলপথ মন্ত্রণালয়) শেখ মইনউদ্দিন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর মহাপরিচালক ডা. গাজী সাইফুজ্জামান।