রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫
২৬ শ্রাবণ ১৪৩২

দুর্ধর্ষ ধাক্কামারা চক্রের দুই নারী সদস্য গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১০ আগস্ট, ২০২৫ ১৯:৪৭

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা দুর্ধর্ষ ধাক্কামারা চক্রের সক্রিয় দুই নারী সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথি আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।

শুক্রবার (৮ আগস্ট ২০২৫) বিকাল আনুমানিক ৫.০০ ঘটিকায় তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তেজগাঁও থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের ৭ম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে।

এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর তিনি ও তার স্বামী ডাক চিৎকার করলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। নিরাপত্তা প্রহরীদের সহায়তায় দুই নারী আসামিকে আটক করা হয়, তবে তাদের সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতনামা আরও দুজন কৌশলে পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুজন নারী ভুক্তভোগী জানান যে, তাদের কাছ থেকেও যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং দশ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।

তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথি আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি যাওয়া নগদ এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ধৃত যুথি আক্তার একটি আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার নেতৃত্বে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে একটি সংঘবদ্ধ চক্র বিভিন্ন শপিং মল, রাস্তা ও গণপরিবহনে চুরির ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রুজু আছে মর্মে জানা যায়।

এ ঘটনায় ডিএমপির তেজগাঁও থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।


সামনে অনেক কাজ, অনেক চ্যালেঞ্জ: তারেক রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আমিনুল ইসলাম বনি, রাজশাহী ব্যুরো

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান বলেছেন, 'সামনে অনেক কাজ, অনেক চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। দেশের মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। তারা বিএনপিকে আস্থায় রাখতে চায়। আমাদের নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। না হলে আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারবো না। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ জনগণের আস্থা অর্জন করার পাশাপাশি রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা।

রবিবার রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আধা ঘন্টার বক্তব্যে তিনি নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং রাষ্ট্র পুনর্গঠনে আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপর জোর দেন।

তারেক রহমান বলেন গত আড়াই বছর আগে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দিয়েছিলাম। বর্তমানে রাষ্ট্র সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে যা বিএনপি আগেই বলেছিল। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ জনগণের আস্থা অর্জন করার পাশাপাশি ৩১ দফার বাস্তবায়ন। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে না পারলে দেশ পিছিয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন স্বৈরাচার বিতাড়িত হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে মূল আন্দোলন ছিল রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধিকার বাস্তবায়নের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেই অধিকার বাস্তবায়ন হবে। শুধু ভোট হলেই হবে না সরকার গঠন করলেই হবে না। দেশের অধিকাংশ জনগণ বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে চায় আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ জনগণের সমর্থন পাবে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে পার্শ্ববর্তী দেশে চিকিৎসার জন্য মানুষকে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নির্বাচন ব্যবস্থা, আইন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা সহ অর্থনীতি ধ্বংস করে ফেলা হয়। আমাদেরকে সেখান থেকে দেশকে উত্তোরণ ঘটাতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে কলকারখানা নির্মাণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, প্রায় দেড়যুগ পর অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সম্মেলন।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এর আগে সকাল থেকে সম্মেলনে যোগ দিতে দুরদুরান্ত থেকে নেতাকর্মীরা নগরীতে প্রবেশ করেন। দুপুর গড়ানোর সাথে সাথে সম্মেলন স্থল কানায় কানায় পুর্ণ হয়ে যায়। সম্মেলনস্থলে জায়গা না পেয়ে বিএনপির নেতাকর্মী সমর্থকরা পদ্মা নদীর ধারসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সকল নেতাকর্মী সহ সাধারণ জনগণ।

২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. এরশাদ আলী ঈশাকে আহ্বায়ক ও মামুনুর রশিদ মামুনকে সদস্য সচিব করে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর প্রায় সাড়ে তিন মাস পর আহ্বায়ক কমিটির পরিধি বাড়িয়ে ৬১ সদস্যের করা হয়। তারপর থেকে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে আহ্বায়ক কমিটিতেই চলছে রাজশাহী মহানগর বিএনপি।


জয়পুরহাটের কালাইয়ে স্ত্রীর বটির কোপে আহত ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাব্বিউল হাসান রমি, জয়পুরহাট প্রতিনিধি

পারিবারিক কলহের জেরে জয়পুরহাটের কালাইয়ে বটির কোপে ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামীকে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষিকা স্ত্রীর বিরুদ্ধে। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের টাকাহুত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যাংক কর্মকর্তা মতিয়র রহমান (৩৫) ওই গ্রামের আব্দুল মতিন সরকারের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকে জুনিয়র অফিসার পদে কর্মরত। অভিযুক্ত স্ত্রী জেলার বিনইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা বলে জানাগেছে।

স্থানীয় ও পরিবারের সুত্র জানা যায়, বিয়ের পর থেকে ওই সহকারী শিক্ষিকাকে নিয়ে বগুড়া শহরের একটি বাসা ভাড়া থাকতেন ব্যাংক কর্মকর্তা মতিয়র রহমান। তবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলতে থাকে। সম্প্রতি শহরে একটি বাসা ও সন্তানের নামে ১০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা রাখার দাবি করেন ওই সহকারী শিক্ষিকা। এ নিয়ে রোববার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে শিক্ষিকা ঘর থেকে বটি এনে স্বামীর মাথা, হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপ দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

অভিযুক্ত শিক্ষিকা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কর্মস্থলে এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে তার স্বামীর অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এসব বলায় স্বামী নিজেই এমন ঘটনা ঘটিয়ে তার ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।

এ বিষয়ে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


"হিট প্রকল্পে" ভয়াবহ অনিয়ম ও পক্ষপাতের অভিযোগ ইবি শিক্ষকদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. সাকিব আসলাম, ইবি কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকবৃন্দের পক্ষ থেকে দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও বিশ্ব ব্যাংক সহায়িত ৪০০০ কোটি টাকার হায়ার এডুকেশন অ্যাকসেলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্পে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ অভিযোগ করেন, হিট প্রকল্পে ভালো এবং স্বীকৃত গবেষকদের বাদ দিয়ে লো প্রোফাইল ও কম সাইটেশনধারী শিক্ষকদের প্রজেক্ট নির্বাচিত করা হয়েছে। এক ফিল্ডের শিক্ষক দিয়ে অন্য ফিল্ডের প্রজেক্ট মূল্যায়ন করা হয়েছে। এমনকি প্রজেক্ট নির্বাচনে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের সমর্থক শিক্ষকরা বিকল্প পদ্ধতিতে প্রজেক্ট মূল্যায়নের রিভিউয়ার হওয়া এবং প্রজেক্ট পাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।

রোববার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মোহা. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মাওলা, অধ্যাপক ড. গাজী মো. আরিফুজ্জামান খান, অধ্যাপক ড. এ.টি.এম. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক ড. মো. জাহিদুল ইসলাম ও ড. মুহা. শরিফুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকবৃন্দ তিনটি দাবি উত্থাপন করেন, অনিয়মের অভিযোগে বিদ্যমান সব প্রজেক্ট বাতিল করতে হবে। ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক আসাদুজ্জামান এবং পরামর্শক অধ্যাপক মোজাহার আলীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে নতুন করে রিভিউ করে প্রকল্প নির্বাচন করতে হবে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. মিজানুর রহমান বলেন, প্রায় ৪০ শতাংশ লো প্রোফাইলধারী (টোটাল সাইটেশন ১০০ এর কম) গবেষকদের প্রজেক্ট নির্বাচন করা হয়েছে। এছাড়া ৫০০ সাইটেশনের কম আছে এমন ৪০ শতাংশ গবেষকদের প্রজেক্ট নির্বাচন করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত গবেষকদেরকে বাদ দিয়ে তুলনামূলক কম গবেষণা ও সাইটেশন রয়েছে এমন গবেষক নির্বাচন করা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

ইসলামী বায়োটেকনলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, অনেক লো-প্রোফাইল আবেদনকারী, যাদের পিএইচডি নেই বা আন্তর্জাতিক মানের প্রকাশনা নেই, তারাই বরং অনুদান পেয়েছেন। অথচ যারা বাদ পড়েছেন, তাদের প্রোফাইল ছিল অনেক সমৃদ্ধ।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা আরও বলেন, রিভিউ কমিটিতে যে বিষয়ে যারা এক্সপার্ট তাদেরকে রাখা হয়নি। এমনকি পিএইচডি করেননি এমন ব্যক্তিকেও রিভিউ কমিটিতে রাখা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় গবেষণার জন্য অর্থায়নে বিচারহীনতা, স্বচ্ছতার অভাব এবং রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। ফলে প্রকৃত গবেষকরা বঞ্চিত হয়েছেন, যা গবেষণা ক্ষেত্রে এক ভয়াবহ সংকট বলেও অভিযোগ করেন তারা।

এই হিট প্রকল্পে শিক্ষকদের আনিত অভিযোগসমূহ হলো- প্রধান অভিযোগসমূহ

রিভিউ প্রক্রিয়ার গুণগত মান ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব, "ব্লাইন্ড পিয়ার রিভিউ"-এর দাবি মিথ্যা, প্রেজেন্টেশন মূল্যায়ন প্রসঙ্গে, অঘোষিত বিভাগভিত্তিক বৈষম্য, অঘোষিত বিভাগভিত্তিক বৈষম্য, রিসার্চ কোয়ালিটির নামে বিভ্রান্তি এবং অবহেলা, শিল্প সহযোগী (পার্টনারিং agreement) ছাড়াই ইন্ডাস্ট্রি প্রজেক্ট অনুমোদন, বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক বা বিভাগ ভিত্তিক প্রকল্প সংখ্যা ও অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য, নৈতিক ও আদর্শগত সংকট, অপ্রকল্প জমাদানের সময় বর্ধিত করে অনৈতিক সুযোগ প্রদান, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও তার প্রভাব, চূড়ান্ত বাছাই বোর্ডে তাচ্ছিল্যমূলক ব্যবহার, হিট রিভিউ পদ্ধতির মাধ্যমে এবং ব্যবস্থাপনার নামে অর্থের অপচয়ের গুরুতর অভিযোগ করেন

জানা যায়, হিট প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) নিয়োগ পরীক্ষায় ৩২ প্রার্থীর মধ্যে প্রথম হয়েছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোলায়মান। গত বছরের ১৪ মার্চ ইউজিসি তাকে নিয়োগ দেয়। কিন্তু ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের মৌখিক নির্দেশে মাত্র এক দিনের মাথায় তার নিয়োগ বাতিল করে মন্ত্রণালয়।


সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচারের দাবীতে জামালপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজু আহমেদ ফুয়াদ, জামালপুর প্রতিনিধি 

গাজীপুরে প্রতিদিনের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে এবং দেশব্যাপী সাংবাদিক খুন, হামলা, নির্যাতন ও হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে জামালপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১০ আগষ্ট) দুপুরে জামালপুর জেলা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএটিভির সাংবাদিক ফজলে এলাহী মাকামের সভাপতিত্বে প্রবীণ সাংবাদিক উৎপল কান্তি ধর, আজকের জামালপুরের সম্পাদক এম এ জলিল, সচেতন নাগরিক কমিটির সাবেক সভাপতি অজয় কুমার পাল, ভাষা ও স্বাধীনতাসংগ্রামী মতি মিয়া ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক একেএম আশরাফুজ্জামান স্বাধীন, আমার দেশের সাংবাদিক ইউসুফ আলী, দিনকালের মুকুল রানা, নিউ নেশনের শাহ জামাল, ইত্তেফাকের শাহীন আল আমীন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও ডিবিসি নিউজের শুভ্র মেহেদী, সমকালের সোলায়মান হোসেন হরেক, যায়যায়দিনের লিয়াকত হোসাইন লায়ন, মাইটিভির শামীম আলম, এশিয়ান টিভির মোস্তাক আহমেদ মনির, এখন টিভির জুয়ের রানা, এনটিভি ও খবরের কাগজের আসমাউল আসিফ, বাংলা টিভির ফজলুল করিম কাওছার, একুশে টিভির খন্দকার রাজু আহমেদ, সাপ্তাহিক মুক্তকালের সম্পাদক মোহাম্মদ আলীসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তারা বলেন, সরকার কোন সাংবাদিক হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার না করায় সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কিছু আসামীকে গ্রেফতার করা হলেও পরে তারা বিভিন্ন আইনি ফাকফোকর দিয়ে জামিন পেয়ে যাচ্ছে। এতে করে সন্ত্রাসীরা আরো বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠছে, একের পর এক সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে ও সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান বক্তারা।


চোরাইকৃত অটোরিকশাসহ চোর চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে মিরপুর থানা পুলিশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অটোরিকশা চুরির ঘটনায় জড়িত চোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। জহিরুল (২২) ২। আলমগীর (৩২) ৩। মেহেদী (২১) ও ৪। ইয়ামিন (১৯)। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে চুরি যাওয়া ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (১০ আগস্ট ২০২৫) আদাবর ও মোহাম্মদপুর এলাকার বিভিন্ন অটোরিকশা গ্যারেজে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে মিরপুর মডেল থানার একটি টিম।

মিরপুর মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মোঃ সজিবুল ইসলাম রাসেল (২২) একজন অটোরিকশা চালক। গত ৩ আগস্ট ২০২৫ দুপুর ৩:০০ ঘটিকার দিকে মিরপুর-১০ গোল চত্বরের ফায়ার সার্ভিসের সামনে থেকে দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি তার অটোরিকশা ভাড়া নেন। অটোরিকশা নিয়ে তারা প্রথমে শের-ই-বাংলা নগরের জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে যায়, পরে মোহাম্মদপুরের শ্যামলীতে ১০ নং কমার্শিয়াল প্লট, ২ নং খিলজি রোডে পৌঁছায়। সেখানে আরও দুইজন তাদের সাথে গাড়িতে উঠে। এক সময় চালককে কৌশলে একটি বেকারি থেকে রসমালাই খাওয়ায়, যাতে চেতনানাশক ওষুধ মেশানো ছিল। ভিকটিম রাসেল বিকেল আনুমানিক ৩:৩০ ঘটিকার দিকে অচেতন হয়ে পড়েন। চোরেরা তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। গাড়িটির মূল্য প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। ভিকটিম রাসেলের জ্ঞান ফিরে আসে ৬ আগস্ট ২০২৫ রাত ৮.০০ টার দিকে, তখন সে জানতে পারে একজন অজ্ঞাত রিকশা চালক তাকে মিরপুর-১০ এ তার বাসায় পৌঁছে দিয়েছে। ভিকটিম রাসেলের অভিযোগের ভিত্তিতে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা রুজু হয়।

থানা সূত্র আরও জানায়, মামলাটি রুজুর পর তাৎক্ষণিক পুলিশের একটি দল মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকার বিভিন্ন অটোরিকশা গ্যারেজে আদাবর থানার সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে জহিরুল, আলমগীর, মেহেদী ও ইয়ামিনকে গ্রেফতার করে। তাদের হেফাজত হতে চুরি যাওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।


৪৪০০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ৪৪০০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ডিবি-গুলশান বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। নাজমুল হাসান রবিন (৩৫) ও ২। মোঃ তারিফুল ইসলাম রোমান (২০)।

রবিবার (১০ আগস্ট ২০২৫) রাত ১২:০৫ ঘটিকার সময় যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম।

ডিবি-গুলশান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে তাদের কাছে তথ্য ছিল যে, কতিপয় মাদক কারবারি ইয়াবাসহ যাত্রাবাড়ী থানাধীন ঢাকা চট্রগাম মহাসড়কের ঢাকাগামী রাস্তার মাতুয়াইলে একটি চায়ের দোকানের সামনে অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১২:০৫ ঘটিকায় ডিবি গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবাসহ নাজমুল হাসান রবিন ও তারিফুল ইসলাম রোমানকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের সীমান্ত এলাকা হতে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের নিকট বিক্রি করত।

গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।


আদিবাসী স্বীকৃতির দাবির আড়ালে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে পিসিসিপির মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি প্রতিনিধি

আদিবাসী স্বীকৃতির দাবির অন্তরালে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি পৌর শাখা।

রবিবার (১০ আগস্ট) সকাল ১০টায় শহরের বনরুপা সিএনজি স্টেশন চত্বরে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের পৌর সভাপতি পারভেজ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হাবিব আল মাহমুদ।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়াজুল হাসান। বিশেষ বক্তা ছিলেন পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন, জেলা সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা উপজাতিরা আদিবাসী নয়; তারা ইতিহাসে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার, ভারত, চীনসহ বিভিন্ন স্থান থেকে অভিবাসী হয়ে এখানে বসতি স্থাপন করেছে। সংবিধানের ২৩(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশে কোনো আদিবাসী নেই, বরং তারা ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃত।

নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতির নামে একটি গোষ্ঠী ‘জুম্মলেন্ড’ নামে পৃথক রাষ্ট্র গঠনের ষড়যন্ত্র করছে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।


মাধবপুরে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক -১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সানাউল হক চৌধুরী, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় ভারতীয় মালামালসহ এক ব্যাক্তিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। রবিবার (১০ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ৮ টায়

সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর ধর্মঘর বিওপি'র একটি টহল দল উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দেবনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রবাল বনিক(৪৪) নামে এক ব্যাক্তিকে আটক করেন। সে হবিগঞ্জ পৌরসভার বগলাবাজার এলাকার মৃত হরিদাস বনিক এর পুত্র। এসময় তার নিকট থেকে ভারতীয় ২৪০০ রুপি, ১ টি কষ্টিপাথর,বিভিন্ন কালার আংটির পাথর-১৪৫ পিস এবং ওয়েট মেশিন ছোট-০১ টি জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য সিজার মূল্য--৫,৬৬,০৬০/- টাকা। এসময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে দালাল হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের দেবনগর গ্রামের ইদু মিয়ার পুত্র মো: মোক্তার মিয়া (৩৫) পালিয়ে যায়। সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহমেদ সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধৃত আসামিকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফরে গুরুত্ব পাবে অভিবাসন ও বিনিয়োগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালয়েশিয়া সফরে অভিবাসন ও বিনিয়োগ অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেছেন, ‘আগামীকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা সফর। এই সফরে অনেকগুলো সমঝোতা স্বাক্ষর হবে। এই সফরের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর থেকে গভীরতর হবে। সফরের মূল ফোকাস অভিবাসন নিয়ে আলাপ, দ্বিতীয় ফোকাস হচ্ছে বিনিয়োগ’।

রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফর নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রেস সচবি বলেন, মালয়েশিয়া আমাদের জনশক্তি খাতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। আমরা আমাদের অভিবাসন এমন জায়গায় নিয়ে যেতে পারি-যাতে মালয়েশিয়া আমাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক জনশক্তি নেয়। এগুলো নিয়ে কিছু আলাপ হবে এবং এটার আলোকে কিছু চুক্তি স্বাক্ষর হবে। তিনি বলেন,মালয়েশিয়ার বড় বড় যেসব কোম্পানি আছে—তাদের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে কথা হবে।

শফিকুল আলম জানান, আগামী ১২ আগস্ট একটি বিজনেস কনফারেন্স আছে। এরপর ১৩ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টাকে মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি কেবাংসান (ইউকেএম) সম্মানসূচক ডিগ্রি দেবে। এই অনুষ্ঠানে আমরা আশা করছি, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীম উপস্থিত থাকবেন । মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১২ আগস্ট একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আছে। সেটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আমরা আশা করছি, মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমাদের যে সুসম্পর্ক আছে, সেটা একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক শাহ আসিফ রহমান বলেন, আগামী ১১ থেকে ১৩ আগস্ট মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীমের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়া যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তার সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল যাচ্ছেন। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন-পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফওজুল কবির খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক বিন হারুন।

তিনি জানান, সফরের প্রথম দিন প্রধান উপদেষ্টাকে গার্ড অব অনারের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হবে, সেখানে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন ইসমাইল প্রধান উপদেষ্টাকে গ্রহণ করবেন। ১২ আগস্ট পুত্রজায়ায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। বৈঠকের পর দুদেশের প্রতিনিধি পর্যায়ে বৈঠক ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।

দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য যে সমঝোতা স্মারকগুলো সই হবে তা হলো প্রতিরক্ষা বিষয়ক সহযোগিতা; এলএনজি ও পেট্রোলিয়াম সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণসহ জ্বালানি সহযোগিতা; বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) ও ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ মালয়েশিয়া (আইএসআইএস); বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) ও চিপ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান মিমোস (এমআইএমওএস) এর সহযোগিতা এবং বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক চেম্বার এফবিসিসিআইর সঙ্গে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়িক চেম্বারের মধ্যে সমঝোতা।

সম্ভাব্য এক্সচেঞ্জ নোটগুলো হলো হালাল ইকোসিস্টেম, দুই দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমি এবং উচ্চ শিক্ষা খাতে সহযোগিতা বিষয়ক নথি সই।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর কোনো দেশের সরকার প্রধান হিসেবে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ সফর করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। গত অক্টোবরে প্রায় এক দশক পর মালয়েশিয়ার সরকার প্রধান বাংলাদেশ সফর করেন।

শাহ আসিফ রহমান জানান, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর একটি সংবাদ সম্মেলন এবং প্রধান উপদেষ্টার সম্মানে একটি রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছে। একই দিন বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা একটি ব্যবসায়িক ফোরামে অংশ নেবেন এবং এর পরপরই মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন খাতে নতুন কর্মী নিয়োগ, অধিক সংখ্যক পেশাদার নিয়োগ, শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধার বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

শ্রমবাজারের পাশাপাশি গভীর সমুদ্রের সঠিক ব্যবহার,কৃষিসহ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়গুলোও আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।


পরিবারসহ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু আগামীকাল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

দুর্নীতির অভিযোগে পৃথক তিন মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হতে যাচ্ছে আগামীকাল সোমবার।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা সরকারি জমি বরাদ্দ নেওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই মামলাগুলো দায়ের করে। এসব মামলায় শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৪৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে এসব মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য পৃথক তিন মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ও এস এম রাশেদুল হাসানকে আদালত হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম আজ বাসস’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দুর্নীতির পৃথক তিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১১ আগস্ট দিন ধার্য রয়েছে। সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য পৃথক তিন মামলার বাদীকে আদালত হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে। এদিন তারা আদালতে হাজির হবেন বলে আশা করছি।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ১৪ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ তদন্তে প্রাপ্ত আরো চারজনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।

শেখ হাসিনা ছাড়াও এ মামলায় অপর ১১ আসামি হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য শফি উল হক,খুরশীদ আলম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), উপ- পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব শহিদ উল্লাহ খন্দকার ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ১৪ জানুয়ারি সজিব ওয়াজেদ জয় ও তার মা শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ তদন্তে প্রাপ্ত আরো দুইজনসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান।

শেখ হাসিনা ও জয় ছাড়াও এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত অপর ১৫ আসামি হলেন-জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন,সচিব শহিদ উল্লাহ খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, পরিচালক কামরুল ইসলাম, উপ- পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সদস্য মো. নুরুল ইসলাম, তদন্ত প্রাপ্তে আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

রাজধানীর পূর্বাচলে দশ কাঠার প্লট জালিয়াতির ঘটনায় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ তদন্ত প্রাপ্তে আরো দুই আসামিসহ শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।

শেখ হাসিনা ও পুতুল ছাড়াও মামলার অপর ১৬ আসামি হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান, তদন্ত প্রাপ্তে আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এই তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ১১ আগস্ট দিন ধার্য করেন।


রাজবাড়ীতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী ভারতে গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জহুরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র রিপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী জামাল পত্তনদার ওরফে কুদ্দুস রহিম শেখকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট থানার উত্তর দৌলতদিয়ার ফেলু মোল্যা পাড়ার বাসিন্দা হোসেন পত্তনদারের ছেলে।

রবিবার (১০ই আগস্ট) টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ব্রাঞ্চের ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (সিআইইউ) ৩৭ বছর বয়সী মোহাম্মদ জামাল হোসেন পত্তনদার ওরফে কুদ্দুস রহিম শেখকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ তাকে দক্ষিণ মুম্বাইয়ের কামাঠিপুরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি রাজবাড়ী আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিলেও তিনি সাজা এড়াতে পালিয়ে ভারতে চলে আসেন এবং তখন থেকেই পলাতক ছিলেন।

তদন্তে জানা গেছে, জামাল পত্তনদার ২০২৩ সাল থেকে ভারতে বসবাস করছিলেন এবং মিথ্যা ভারতীয় পরিচয় তৈরি করতে জাল কাগজপত্র ব্যবহার করছিলেন। তার কাছ থেকে একটি আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার একটি পাসবুক, আধার আপডেটের স্বীকৃতিপত্র এবং বাংলা ভাষায় লেখা আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার একটি ফটোকপি জব্দ করা হয়েছে। গুগল লেন্স ব্যবহার করে পরোয়ানাটির প্রাথমিক অনুবাদে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে এটি বাংলাদেশের একটি আদালত পত্তনদারের বিরুদ্ধেই জারি করেছিল।

জানাগেছে, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইফুল ইসলাম রিপন হত্যা মামলায় জামাল পত্তনদার নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে। তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার উত্তর দৌলতদিয়া ( ফেলু মোল্যার পাড়া) হোসেন পত্তনদারের ছেলে। এ মামলায় ১২ আসামীকে খালাস দিয়েছে আদালত। রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামাল পত্তনদার অনুউপস্থিত ছিলো। গত ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার সময় রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ মোছাঃ জাকিয়া পারভীন এ রায় প্রদান করেন।

মামলা সুত্রে জানাগেছে, দৌলতদিয়া বাজার ব্যবসায়ী পরিষদের সাবেক সভাপতি মোহন মণ্ডলের ছেলে ও ঢাকা সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র সাইফুল ইসলাম রিপন ২০১৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিকালে বাড়ীতে বেড়াতে আসে। রাতের খাবার শেষে সে তার বন্ধু ফরিদ শেখের সাথে রাত সোয়া ৮টার সময় বাসা থেকে বের হয়ে যায়। রাত পৌনে ৩টার দিকে সাইফুল ইসলাম রিপনকে প্রলোভন দিয়ে দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীতে নিয়ে কল্পনা বাড়ীওয়ালীর ২য় গেইটের সামনে গলির উপর আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বুকে, মাথায় ও থুতনিতে গুলি করে ঘটনাস্থলে হত্যা করে। তার বন্ধু ফরিদকে হত্যার উদ্দেশ্যে মুখের মধ্যে গুলি করলে তার ৭-৮টি দাঁত ও মাড়ি উড়ে যায় ও পায়ে গুলি করে। ফরিদকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলাম রিপনের মামা মোঃ খলিল বাদী হয়ে ৫জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৮-১০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ ১৩জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীর্ট দাখিল করেন।

এ মামলায় অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় গোয়ালন্দ উপজেলার উত্তর দৌলতদিয়া ( ফেলু মোল্যার পাড়া) হোসেন পত্তনদারের ছেলে জামাল পত্তনদারকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ মামলায় অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া (খানকাহ শরীফ মসজিদ পাড়া) মৃত ওসমান সরদারের ছেলে মোঃ তমশের সরদার, উত্তর দৌলতদিয়া (মসজিদ পাড়া) আবু দাউদ বোপারী ওরফে দাদনের ছেলে মোঃ আশরাফ হোসেন, শাহ ব্যাপারী পাড়া গ্রামের মৃত সিদ্দিক শেখের ছেলে মোঃ ইয়াছিন শেখ, উত্তর দৌলতদিয়া (শামসু মাষ্টার পাড়া) হালিমের ছেলে শহিদ শেখ ওরফে সোহেল, উম্বারকাজী পাড়া ( উত্তর দৌলতদিয়া ৬নং ওয়ার্ডের) আইজাল প্রামানিক ওরফে আবজাল প্রামানিক ওরফে আজিজুল প্রামানিকের ছেলে আমজাদ প্রামানিক, উত্তর দৌলতদিয়া ( হোসেন মন্ডল পাড়া) ইসলাম প্রামানিকের ছেলে সুজন ওরফে জীবন প্রামানিক, পূর্ব উজানচর (সাহের মন্ডল পাড়া) আদেল উদ্দিন ওরফে আদুর ছেলে মোঃ শমসের আলী শেখ, দৌলতদিয়া হোসেন মন্ডল পাড়ার মোহন মন্ডলের ছেলে ইউসুফ, কুষ্টিয়া জেলার খোকসা থানার গোপ গ্রামের মোঃ আব্দুস সাত্তারের ছেলে হারুন-অর রশিদ হারুন, শমসেরপুর গ্রামের রোকন উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে রাকিব উদ্দিন বিশ্বাস, পাবনা জেলার সাথিয়া থানার ছাতুক বরাট গ্রামের মৃত আজিজ প্রামানিকের ছেলে বর্তমানে দৌলতদিয়া পতিতালয়ের লাল মিয়া কমান্ডারের বাড়ীর রাজা প্রামানিক, ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন থানার চরশালীপুর গ্রামের আঃ খালেকের ছেলে আসাদকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন ।


২ ঘন্টা পড় ঢাকা উত্তরবঙ্গ মহাসড়ক ছেড়েছে শিক্ষার্থীরা, যানবাহন চলাচল শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গোলাম মোস্তফা রুবেল, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে সিরাজগঞ্জে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার সড়কের সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিলেন। প্রায় ২ ঘন্টা অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল।

রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে ঢাকা-পাবনা, ঢাকা-রাজশাহী ও ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া জিহাদ সড়ক ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা ২ ঘন্টা পরে সড়ক ছেড়ে দিয়েছি। অবরোধ চলাকালে উভয়মুখী যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় যাত্রী ও পরিবহন চালকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। পরে অবরোধ প্রত্যাহার করায় ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা জানান, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় ৯ বছর পরও ভাড়া করা ভবনে পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে ১২০০ শিক্ষার্থী, ৩৪ শিক্ষক, ৫৪ কর্মকর্তা ও ১০৭ কর্মচারী নিয়ে বাংলা, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, সঙ্গীত ও ব্যবস্থাপনা - এই পাঁচটি বিভাগে একাডেমিক কার্যক্রম চলছে। নিজস্ব জমিতে ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রকল্প প্রস্তাব পাঠালেও তা এখনও অনুমোদন পায়নি। ২০২৫ সালে ১০০ একর জমিতে ৫১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের নতুন প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যা একনেকের নীতিগত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, দ্রুত অনুমোদন ও কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে আমাদের আন্দোলন আরও কঠোর পযার্য়ে যাবেন। এই ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক ছেড়ে দেয়।


banner close