মাগুরায় জুলাই পূনর্জাগরণে সবুজ উৎসবে বৃক্ষরোপন পদক-২০২৫ প্রদান করা হয়েছে। বুধবার মাগুরা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মাগুরা ও ‘পরিবর্তনে আমরাই’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সার্বিক মোঃ হুসাইন শওকত প্রধান অতিথি হিসেবে সবুজ উৎসব-২০২৫ এর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম । এ সময় আরও ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক )আব্দুল কাদের, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মাহবুবুল হক,জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার শামীম কবির, মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার হাসিবুল হাসান, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন, মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক ও 'পরিবর্তনে আমরাই ' সংগঠনের পরিচসলক নাহিদুর রহমান দুর্জয় প্রমুখ ।
অনুষ্ঠানে সাতটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। সেরা প্রতিষ্ঠান সরকারি সিভিল সার্জন অফিস, সেরা প্রতিষ্ঠান বেসরকারি মাগুরা প্রেস ক্লাব, সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (প্রাথমিক) কুমার কোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান( মাধ্যমিক) আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়,সেরা সংগঠন প্রতিশ্রুতি উন্নয়ন সংস্থা,ব্যক্তি পর্যায়ে সেরা বৃক্ষপ্রেমী আশীষ কুমার দে মন্ডল ও সেরা কন্টেন্ট ক্রিয়েটার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন কে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এ অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সবাইকে বেশি বেশি গাছ লাগানোর প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।
সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে গতকাল বুধবার রাতভর অভিযান পরিচালনা করেছে যৌথবাহিনী। অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে লুট হওয়া ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করে ফের সাদাপাথর এলাকাসহ ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লুট হওয়া পাথর পরিবহনকারী বেশ কয়েকটি ট্রাক জব্দ করেছে প্রশাসন।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে সিলেট নগরী ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ এলাকায় জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার বলেন, বুধবার রাতে ৬ সদস্যের একটি দল যৌথবাহিনীর সহায়তায় বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করে ফের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথরসহ ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আজ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ফের অভিযান পরিচালনা করা হবে। লুট হওয়া পাথর উদ্ধার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।
এর আগে বুধবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে এক জরুরি সমন্বয় সভায় লুট করা পাথর উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে সাদাপাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
প্রশাসনের জরুরি বৈঠক শেষে রাত ১২টার পর অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন ও যৌথবাহিনী। সিলেট নগরী ও সাদাপাথর এলাকায় রাতভর অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে সাদাপাথরের লুট করা স্তুপকৃত পাথর জব্দ করা হয়। পরে সেগুলো সাদাপাথর এলাকায় নিয়ে ফের প্রতিস্থাপন করা হয়।
এছাড়া সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের ওসমানী বিমানবন্দর এলাকায় সিলেট ক্লাবের সামনে যৌথবাহিনী চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বেশ কয়েকটি ট্রাক আটকেও পাথর জব্দ করা হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, সাদাপাথর থেকে চুরি হওয়া পাথর উদ্ধারে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছি। লুট করা পাথর উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।
এর আগে, নজিরবিহীন লুটপাটের পর পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর রক্ষায় নড়ে বসে প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সার্কিট হাউসে জরুরি সমন্বয় সভার আহ্বান করা হয়। সভায় লুট হওয়া পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। বুধবার রাতে সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সভায় সাদাপাথর রক্ষায় ৫টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেগুলো হলো:
১. জাফলং ইসিএ এলাকা ও সাদাপাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
২. গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের চেকপোস্টে যৌথবাহিনীর সার্বক্ষণিক উপস্থিতি থাকবে।
৩. অবৈধ পাথর ভাঙা (ক্রাশিং) মেশিন বন্ধ ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
৪. পাথর চুরির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
৫. চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থানে ফেরানো হবে।
সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে সিলেট জেলা প্রশাসন। কমিটিকে আগামী রোববারের (১৭ আগস্ট) মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে। এরপর লুটপাটের ঘটনা অনুসন্ধানে গতকাল সাদাপাথর এলাকা পরিদর্শন করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল।
দুদক জানিয়েছে, পাথর লুটপাটে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, উচ্চপদস্থ ব্যক্তি ও কিছু স্থানীয় বাসিন্দার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের দায় সবচেয়ে বেশি এবং পর্যটন খাতের ক্ষতির সঙ্গে প্রশাসনের যোগসাজশ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সম্প্রতি প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও প্রভাবশালীদের লাগামহীন লুটপাটে অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান সাদাপাথরসহ সিলেটের একাধিক পাথর কোয়ারি প্রায় ধ্বংসের মুখে পড়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে বিভিন্ন আন্দোলন চালায়, যার মধ্যে ছিল মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, ধর্মঘট ইত্যাদি। এই দাবির আড়ালে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ‘পাথরখেকো চক্র’ প্রকাশ্যে ও গোপনে সাদাপাথরের পাথর লুট করে নিয়ে যায়।
এর মধ্যে সাদাপাথর থেকে পাথর লুটপাটে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের সব দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে।
মেহেরপুরের মুজিবনগরের স্বাধীনতা সড়ক দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে আসা ৯ বাংলাদেশি নাগরিককে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং ভারতের ১৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মধ্যে মেইন পিলার ১০৫-এর নিকটে শূন্য লাইনে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি জানায়, পতাকা বৈঠকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের মুজিবনগর কোম্পানি কমান্ডার এবং ১৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের হৃদয়পুর কোম্পানি কমান্ডার উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার এক পর্যায়ে পূর্বে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করা ৯ বাংলাদেশিকে বিএসএফ বিজিবির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে। ফেরত আসা ব্যক্তিদের মধ্যে ২ জন পুরুষ, ২ জন নারী এবং ৫ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, সীমান্তের বিভিন্ন পথ দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে উড়িষ্যা রাজ্যে বসবাস করছিলেন। পরে বিএসএফ তাদের স্বাধীনতা সড়ক দিয়ে এনে বিজিবির হাতে তুলে দেয়।
বিজিবির সহকারি পরিচালক হায়দার আলী জানা, , বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যের অংশ হিসেবে এ ধরনের পতাকা বৈঠক দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও জোরদার করছে।
বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের খেজুর সফলভাবে উৎপাদন করে দেশজুড়ে আলোচনায় এসেছেন ভালুকা উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামের আবদুল মোতালেব। এলাকায় তিনি এখন ‘খেজুর মোতালেব’ নামেই পরিচিত। সৌদি খেজুরের বাগান থেকে তিনি বছরে প্রায় ৫০ লাখ টাকা আয় করছেন, যা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে দেশের নানা প্রান্তের চাষিদের।
মোতালেব জানান, ১৯৯৮ সালে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় সৌদি আরব পাড়ি জমান তিনি। সেখানেই খেজুর বাগানে কাজ করার সুযোগ পান। তিন বছর কাজ করার পর বুঝতে পারেন—অন্যের বাগানে মজুরের কাজ করে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। ২০০১ সালের শেষ দিকে দেশে ফেরেন ৩৫ কেজি খেজুরের বীজ নিয়ে। নিজ বাড়ির উঠানে শুরু হয় তার খেজুর চাষের স্বপ্নযাত্রা।
শুরুর সময় ছিল দুঃখ-কষ্টে ভরা। বিদেশ থেকে টাকা বা স্বর্ণ না আনতে পারায় অভিমানে স্ত্রী চলে যান বাপের বাড়ি। তবুও হাল ছাড়েননি তিনি। তার আনা বীজ থেকে জন্ম নেয় ২৭৫টি গাছ, যার মধ্যে মাত্র সাতটি ছিল মাতৃগাছ। দীর্ঘ ১৮ বছরের গবেষণায় সেই মাতৃগাছগুলো থেকেই কাটিং করে চারা উৎপাদন শুরু করেন।
বর্তমানে তার সাত বিঘা বাগানে রয়েছে ৩ হাজারের বেশি সৌদি জাতের খেজুরগাছ। যার মধ্যে আজোয়া, শুক্কারি, আম্বার, লিপজেল ও মরিয়ম জাতের খেজুর অন্যতম। খেজুরের দাম জাতভেদে কেজি প্রতি ৬০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। শুধু খেজুর নয়, বিক্রি হয় চারা—কাটিং করা চারা ১৫ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা, আর বীজ থেকে উৎপাদিত চারা ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকা।
মোতালেবের ছেলে মিজানুর রহমান অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ২০২৩ সাল থেকে বাবার সাথে যুক্ত হয়ে খেজুর চাষে নতুন উদ্ভাবন করেছেন। দেশি ও সৌদি জাতের গাছ ক্রস করে এমন একটি জাত তৈরি করেছেন, যেটি থেকে প্রচুর রস পাওয়া সম্ভব। বাবা-ছেলে মিলে আট বিঘা জমিতে রস ও গুড় উৎপাদনের জন্য নতুন বাগান করেছেন।
মোতালেবের সাফল্যের খবরে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসছেন তার বাগান দেখতে ও চারা কিনতে। অনেকেই তার অনুপ্রেরণায় শুরু করেছেন সৌদি খেজুর চাষ।
ভালুকা উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শ দিচ্ছি। তবে সরকারিভাবে খেজুর প্রকল্প চালু হলে এ ধরনের উদ্যোক্তারা আরও বেশি উপকৃত হবেন।
আবদুল মোতালেবের স্বপ্ন, একদিন তার খেজুর শুধু বাংলাদেশে নয়, বিদেশেও রপ্তানি হবে। তবে এজন্য প্রয়োজন আধুনিক প্রক্রিয়াজাতকরণ মেশিন, যাতে সৌদি আরবের মতো প্যাকেটজাত করে খেজুর বাজারজাত করা যায়।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পর্যটন স্পট থেকে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে করা রিটের শুনানি হবে আগামী রোববার।
এ সংক্রান্ত রিটটি শুনানির জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) উপস্থাপন করা হলে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ শুনানির দিন ধার্য করে আদেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর একেএম নূরুন নবী বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেন।
রিটে ভোলাগঞ্জ থেকে সাদা পাথর লুটের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও প্রভাবশালীদের লাগামহীন লুটপাটে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান সাদা পাথরসহ সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো।
যশোরের কেশবপুর পৌরসভার প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ প্রতি বছর ছয় মাস পানি বন্দি থাকে। পৌর বাসির দীর্ঘদিনের সমস্যা জলবদ্ধতা। এই স্থায়ী জলবদ্ধতার নিরসনে পৌর বাড়ি মালিক সমিতির পক্ষ থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
কেশবপুর পৌর বাড়ি মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আশরাফুজ্জামানের নেতৃত্বে, বুধবার(১৩ আগস্ট) বিকাল পাঁচ টায় ত্রিমোহিনমোড়ে পানি সরাও, মানুষ বাঁচাও, এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে কেশবপুর পৌর বাড়ি মালিক সমিতির পক্ষ থেকে উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত সকলের একটাই স্লোগান, কেশবপুর পৌরসভার সকল ঘের বন্ধ করো, স্থায়ী পানির সমস্যার সমাধান করো। পৌর সভা এলাকায় অপরিকল্পিত ভাবে মাছের ঘের করার কারণে প্রতি বছর এই জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। একটু বৃষ্টি হলেই পৌর শহরের অধিকাংশ আবাসিক এলাকা, শহরের মাছ বাজার, তরকারি বাজার, ধানের বাজার, চাউল পট্টি, সহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ, মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার মাঠে দুই / তিন ফুট পানি উঠে যায়। যার ফলে শহরের পাইকারী কাঁচা বাজার মেইন রোড উপর বসে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা ঘুকতে পারে না। বিষয় টি উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বার বার বলা শর্তেও গুরুত্ব দেন না। তাই মানববন্ধনে বক্তারা স্পষ্ট ভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং প্রশাসন কে জানিয়ে দেন অপরিকল্পিত ঘের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন ও স্থায়ী জলবদ্ধতা নিরসনে যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে কেশবপুর পৌর বাসিকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে মাঠে নামবে পৌর বাড়ি মালিক সমিতি। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কেশবপুর পৌর বাড়ি মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ,
সহ-সভাপতি কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ওয়াজেদ খান ডবলু, পৌর বাড়ি মালিক সমিতির সহ-সভাপতি কেশবপুর নিউজ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনার রশীদ বুলবুল, ঔষধ ব্যবসায়ী আলহাজ্ব ডাঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রভাষক মোঃ শাহাজাহান কবীর, সোহেল হাসান আইদ,আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ কামরুল ইসলাম, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক, এ্যাডঃ রাসেল, আরও উপস্থিত ছিলেন প্রদীপ কুমার মোদক, শাহাজাহান কবীর, আব্দুল জলিল, আবু সালেহ মাসউদ হাসান, মোঃ আব্দুল মোমিন, আব্দুল হালিম মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু প্রমুখ ।
দেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ তামাকজনিত রোগে মারা যায় এবং ৪ লাখের বেশি মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে। প্রতিদিন গড়ে মারা যাচ্ছে ৪৪২ জন মানুষ।
গতকাল বুধবার পল্টনের একটি হোটেলে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
‘জনস্বার্থ বনাম তামাক কোম্পানির প্রভাব: তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন তরান্বিতকরণে সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক এ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী।
মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, তামাক হৃদরোগ, ক্যান্সার ও শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগের অন্যতম প্রধান কারণ। বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ তামাকজনিত রোগে মারা যায় এবং ৪ লক্ষাধিক মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে। পাশাপাশি বিভিন্ন জনসমাগমস্থল ও গণপরিবহনে প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে এখনই প্রয়োজন বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত সংশোধন।
বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি বলেন, তামাকজাত পণ্যের ব্যবহারজনিত কারণে প্রতিদিন গড়ে ৪৪২ জন মানুষ অকালে মারা যাচ্ছে। এই প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু কমাতে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত সংশোধন করা অত্যন্ত জরুরি।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের উপদেষ্টা নাইমুল আজম খান, সমন্বয়ক ডা. অরুনা সরকার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল প্রমুখ।
রূপগঞ্জে ছাগল পালনে স্বাবলম্বী হয়েছেন মোহসিন মিয়া। কিনেছেন মালবাহী ২ টি পিকআপ, একটি সিএনজি ও নিজেদের থাকার বাড়ি। নিজে গড়ে তুলেছেন বিশাল একটি দেশি জাতের ছাগলের খামার। তিনি উপজেলার উত্তরপাড়ার কানাবাড়ি গ্রামের বাছে মিয়ার ছেলে।
আজ থেকে বিশ বছর আগে ছাত্রজীবনে সখের বশেই দুটি ছাগল কিনে নিজ বাড়িতে পালন শুরু করেন মোহসিন। কয়েক মাস পর ৪ টি করে বাচ্চার জন্ম হয়। ছাগল পালনের এক বছরের মাথায় তিনি লাভ পেতে শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে ৫০টি ছাগল রয়েছে। যার বাজার মূল্যে ৫ লক্ষাধিক টাকা। ছাগল পালন করেই মোহসিন মাস্টার ডিগ্রি পাস করেন। চাকরির পেছনে না দৌড়িয়ে এখনও ছাগল পালনেই ব্যস্ত মোহসিন।
মোহসিন বলেন, প্রতিদিন ছাগলগুলোকে আমি সকাল বিকাল ঘাস খাওয়াই এবং দুপুরে ভুসি কিনে খাওয়াই। তাতে প্রতিদিন আমার ৫০০ টাকার ভুসি লাগে। দেশি জাতের এই ছাগলগুলো প্রতি বছর দুইবার বাচ্চা দেয়। একটি এক বছর বয়সের ছাগলের ওজন ১০০ কেজির মতো হয়ে থাকে। প্রতি মাসে ৫-১০টি ছাগল বিক্রি করি। আমার ফার্ম দেখাশুনা করার জন্য কোনো সহকারী রাখিনি। আমার পরিবারের সবাই দেখাশুনা করি। আমার এই খামার গড়ে তুলতে এখন পর্যন্ত কোথাও থেকে কোনো ঋণ নেইনি।
পাঁচ বছর আগের কথা মনে পড়লেও গা হিম হয়ে যায় গৃহবধু হালিমা খাতুনের। অভাব ছিলো তার নিত্য সঙ্গী। তিন ছেলে মেয়ের ভরণ পোষণ আর লেখা পড়ার খরচ বহন করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হতো তার। মানুষের কাছে হাত পেতে সংসার চালাতে হতো। এখন আর কারোর কাছে হাত পাততে হয় না তার। ছাগল পালনে বদলে গেছে তার জীবন চিত্র। তিনটি ছাগল দিয়ে তার ফার্মের যাত্রা শুরু হলেও এখন তার খোয়াড়ে আছে ৩৩টি বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল। শুধু হালিমা নয় তার মতো অনেক স্বামীপরিত্যাক্তা বিধবা ও শিক্ষিত যুবক ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছে। বিশেষ করে ব্লাক বেঙ্গল জাতের ছাগল পালন করছেন তারা।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের হিসেব মতে উপজেলায় ছোট বড় ৪৩২৮টি ছাগলের খামার আছে। খামার গুলিতে বেশ কয়েকটি জাতের ছাগল রয়েছে। তার মধ্যে ব্লাকে বেঙ্গল জাতের ছাগল বেশি। এছাড়াও রয়েছে বারবারি, ব্রম্মা ও রাম ছাগল।
উপজেলার নগর পাড়া গ্রামের ছালিমা বেগমের জীবনটা ছিল সংগ্রামের আর হতাশার গল্প। অষ্টম শ্রেণী পাশ করার পর দারিদ্র্যের কারণে থেমে যায় তার পড়াশোনা। স্বামী মোস্তফা মিয়ার দিনমজুরের আয়ে কোনোমতে চলত সংসার। জমিজমা না থাকায় চাষাবাদ করার সুযোগও ছিল না। এর মধ্যে স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়লে হালিমার জীবনে নেমে আসে আরেক দফা বিপর্যয়। পরিবার চালানোই যেখানে কঠিন, সেখানে নতুন কোনো উদ্যোগ নেয়া ছিল অকল্পনীয়।
তবে হাল ছাড়েননি ছালেমি। মানুষের কাছ থেকে ছাগল বর্গা নিয়ে লালন পালন শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ১৮টি ছাগল, ২০টি দেশি মুরগি, ১৫টি হাঁস। সবজি বাগানও গড়ে তুলেছেন। প্রতিমাসে হাঁস-মুরগি ও সবজি বিক্রি করে আয় করছেন ৭-৯ হাজার টাকা। ছাগলগুলোর বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। উৎপাদন ব্যয় বাদে লাভ হবে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা। এখন তার স্বামী মোস্তফা মিয়াও সুস্থ হয়ে খামারের কাজে হালিমাকে সহযোগিতা করছেন।
অক্তার, মাজহারুল, হাসিনা, মিনারাসহ খামারিরা জানান, ছাগলই একমাত্র প্রাণী যার বছরে দু’বার প্রজনন ক্ষমতা রয়েছে। প্রতিবার প্রজননে একাধিক বাচ্চা দেয়। রোগ-বালাইও কম হয়। ছাগলের সবচেয়ে বড় শত্রু ঠান্ডা। বছরে একবার পিপিআর, এফএমডি, গডপক্স ভ্যাকসিন দিলেই আর কোনও ওষুধ লাগে না। তবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিলে কোন সমস্যাই হয় না।
কায়েতপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন বলেন, মোহসিন শিক্ষিত বেকার যুবকদের মডেল। তাঁর পথ অনুসরণ করে অনেকেই ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। মোহসিন একজন আদর্শ খামারি। তিনি শুধু নিজেই নন, এলাকার অন্তত ১০টি পরিবারকে নিজের ছাগল বর্গা দিয়ে ছাগল পালনে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তাঁর দেখানো পথে এলাকার অনেকেই হাঁটছেন। তাঁর কর্মকা- অনুকরণীয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সজল কুমার দাস বলেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে খামারিদের সাধ্যমত সব সময় সহযোগিতা করা হচ্ছে।ওষুধ সরবরাহ না থাকলে অনেক সময় শুরু প্রেসকিপশন দেয়া হয়। কোন সময় খামারে গিয়েও চিকিৎসা দেয়া হয়।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় শহরের যানজট নিরসনে সিএনজি অটোরিকশা নেতৃবৃন্দের সাথে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর ফারুক এবং ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হাসান আল মামুন, উপজেলা জামায়াতের আমির সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিম, কুলাউড়া প্রেসক্লাব সভাপতি এম শাকিল রশীদ চৌধুরী, ভূকশিমইল ইউপির চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির, সাংবাদিক এম মছব্বির আলী, ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আখই, সাংবাদিক ময়নুল হক পবন, নাজমুল বারী সোহেল, মাহফুজ শাকিল, মহিউদ্দিন রিপন, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের (২৩৫৯) সভাপতি সেলিম আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম রুহেলসহ বিভিন্ন লাইন কমিটির নেতৃবৃন্দ।
বৈঠকে ইউএনও মহিউদ্দিন জানান, শহরের অভ্যন্তরে কোনো স্থায়ী সিএনজি স্ট্যান্ড রাখা হবে না। তবে আপাতত উত্তরবাজার ও দক্ষিণবাজারের চলমান সাতটি অস্থায়ী স্ট্যান্ডে দুটি করে সিএনজি রাখার এবং বাকিগুলো নির্ধারিত স্ট্যান্ডে রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অটোরিকশা নেতৃবৃন্দ ২০ আগস্ট পর্যন্ত সময় নেন। এরপর থেকে কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মীর মুগ্ধ সরোবর ঘিরে পূবালী ব্যাংকের উদ্যােগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে পূবালী ব্যাংক পিএলসি কুষ্টিয়া শাখার উদ্যোগে এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় নারকেল, মৌচন্দ্রা, রঙ্গন, চেরি, পবনঝাউ, রাধাচূড়া, চন্দ্রপ্রভা ইত্যাদি গাছের মোট ১৫০টি চারা রোপন করা হয়।
অফিস সূত্র, ব্যাংকিং কার্যক্রমের-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সাদ্দাম হোসেন হলে টিভি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যাত্রী ছাউনি ও পানীয় সুব্যবস্থা করবে। একই সাথে আইটি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রস্তাবনা দিয়েছে বলে জানা যায়।
এসময় পূবালী ব্যাংক পিএলসি’র ফরিদপুর অঞ্চলপ্রধান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জহিরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া শাখার প্রধান মো. ইসমাইল হাওলাদার, বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাহেদ হাসান, ইবি উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) গোলাম মাহফুজ মঞ্জু, ব্যাংকের কুষ্টিয়া শাখার কর্মকর্তা নাজমুল হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় মাদরাসা পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও শিক্ষক মাওলানা জসিম উদ্দিন (৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ আগস্ট) অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, লম্পট ওই নারীলোভী শিক্ষক উপজেলার রঘুনাথপুর মধ্যেপাড়া এলাকায় রঘুনাথপুর জামিয়া খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসা নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। সেখানে মেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব বুজিয়ে অভিভাবকদের আকৃষ্ট করে তার প্রতিষ্ঠিত মাদরাসায় মেয়েকে ভর্তি নেন।
এমতাবস্থায় মাদরাসা আসা যাওয়ার পথে একা পেলেই ওই শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দেন মাওলানা জসিম উদ্দিন। পরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার প্রতিষ্ঠানে চাকুরি নেওয়া আরেক নারীর সহায়তায় ওই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময় মাদরাসার অফিস কক্ষে ডেকে এনে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন।
স্থানীয়রা জানান, জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠে, যা গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। তবে এবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন ও তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।
ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।