বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
২২ কার্তিক ১৪৩২

এক রাতের অভিযানে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর ফিরল সাদাপাথরে

ইউএনবি
প্রকাশিত
ইউএনবি
প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:৩২

সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে গতকাল বুধবার রাতভর অভিযান পরিচালনা করেছে যৌথবাহিনী। অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে লুট হওয়া ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করে ফের সাদাপাথর এলাকাসহ ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লুট হওয়া পাথর পরিবহনকারী বেশ কয়েকটি ট্রাক জব্দ করেছে প্রশাসন।

বুধবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে সিলেট নগরী ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ এলাকায় জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার বলেন, বুধবার রাতে ৬ সদস্যের একটি দল যৌথবাহিনীর সহায়তায় বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করে ফের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথরসহ ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আজ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ফের অভিযান পরিচালনা করা হবে। লুট হওয়া পাথর উদ্ধার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।

এর আগে বুধবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে এক জরুরি সমন্বয় সভায় লুট করা পাথর উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে সাদাপাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।

প্রশাসনের জরুরি বৈঠক শেষে রাত ১২টার পর অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন ও যৌথবাহিনী। সিলেট নগরী ও সাদাপাথর এলাকায় রাতভর অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে সাদাপাথরের লুট করা স্তুপকৃত পাথর জব্দ করা হয়। পরে সেগুলো সাদাপাথর এলাকায় নিয়ে ফের প্রতিস্থাপন করা হয়।

এছাড়া সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের ওসমানী বিমানবন্দর এলাকায় সিলেট ক্লাবের সামনে যৌথবাহিনী চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বেশ কয়েকটি ট্রাক আটকেও পাথর জব্দ করা হয়।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, সাদাপাথর থেকে চুরি হওয়া পাথর উদ্ধারে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছি। লুট করা পাথর উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।

এর আগে, নজিরবিহীন লুটপাটের পর পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর রক্ষায় নড়ে বসে প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সার্কিট হাউসে জরুরি সমন্বয় সভার আহ্বান করা হয়। সভায় লুট হওয়া পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। বুধবার রাতে সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সভায় সাদাপাথর রক্ষায় ৫টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেগুলো হলো:

১. জাফলং ইসিএ এলাকা ও সাদাপাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।

২. গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের চেকপোস্টে যৌথবাহিনীর সার্বক্ষণিক উপস্থিতি থাকবে।

৩. অবৈধ পাথর ভাঙা (ক্রাশিং) মেশিন বন্ধ ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

৪. পাথর চুরির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

৫. চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থানে ফেরানো হবে।

সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে সিলেট জেলা প্রশাসন। কমিটিকে আগামী রোববারের (১৭ আগস্ট) মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে। এরপর লুটপাটের ঘটনা অনুসন্ধানে গতকাল সাদাপাথর এলাকা পরিদর্শন করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল।

দুদক জানিয়েছে, পাথর লুটপাটে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, উচ্চপদস্থ ব্যক্তি ও কিছু স্থানীয় বাসিন্দার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের দায় সবচেয়ে বেশি এবং পর্যটন খাতের ক্ষতির সঙ্গে প্রশাসনের যোগসাজশ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্প্রতি প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও প্রভাবশালীদের লাগামহীন লুটপাটে অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান সাদাপাথরসহ সিলেটের একাধিক পাথর কোয়ারি প্রায় ধ্বংসের মুখে পড়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে বিভিন্ন আন্দোলন চালায়, যার মধ্যে ছিল মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, ধর্মঘট ইত্যাদি। এই দাবির আড়ালে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ‘পাথরখেকো চক্র’ প্রকাশ্যে ও গোপনে সাদাপাথরের পাথর লুট করে নিয়ে যায়।

এর মধ্যে সাদাপাথর থেকে পাথর লুটপাটে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের সব দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে।


দেশের প্রথম ছাদবাগান সহায়তা কেন্দ্র ডিএনসিসির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে এবং গ্রিন সেভার্স ও ডেল্টা ডট লিমিটেডের সহযোগিতায় রাজধানীতে গড়ে উঠছে দেশের প্রথম ‘আরবান ট্রি মিউজিয়াম’ ও ‘বৃক্ষ সেবা ও ছাদবাগান সহায়তা কেন্দ্র’।
গতকাল বুধবার গুলশান নগর ভবনে ডিএনসিসি, গ্রিন সেভার্স ও ডেল্টা ডট লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, আরবান ট্রি মিউজিয়াম এবং বৃক্ষ সেবা ও ছাদবাগান সহায়তা কেন্দ্র একসঙ্গে নগরের মানুষকে প্রকৃতির সঙ্গে যুক্ত করবে। এটি হবে শেখা, অংশগ্রহণ ও প্রকৃতিকে ভালোবাসার একটি কেন্দ্র। গাছের যত্ন মানেই নিজের জীবনের যত্ন।
রাজউক উত্তরা বর্ধিত প্রকল্প (ফেজ-৩) এলাকায় প্রতিষ্ঠিত এই অনন্য মিউজিয়াম নগর সবুজায়ন, বৃক্ষ সংরক্ষণ ও নাগরিক সচেতনতার নতুন অধ্যায় সূচনা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।
আয়োজকদের মতে, ‘আরবান ট্রি মিউজিয়াম’-এ ঢাকার বিলুপ্তপ্রায় ও দেশীয় বৃক্ষ প্রজাতির একটি সমৃদ্ধ সংগ্রহশালা তৈরি করা হবে। এটি শুধু প্রদর্শনীর স্থান নয়- এখানে গবেষণা, শিক্ষা ও বিনোদনের সুযোগও থাকবে, যাতে নগরবাসী প্রকৃতির সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হতে পারেন। মিউজিয়ামটি নগর বনায়ন ও পরিবেশ পুনরুদ্ধারের প্রতীক হিসেবে কাজ করবে, যা নাগরিকদের সবুজের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলবে।
এছাড়া গুলশানের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ স্মৃতি পার্কে ডিএনসিসি ও গ্রিন সেভার্স যৌথভাবে গড়ে তুলছে ‘বৃক্ষ সেবা ও ছাদবাগান সহায়তা কেন্দ্র’।
এই কেন্দ্রটিতে নাগরিকরা তাদের অসুস্থ বা আক্রান্ত গাছের পাতা, ফল কিংবা মাটির নমুনা এনে বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা পরামর্শ নিতে পারবেন। থাকবে ‘ট্রি হসপিটাল’, প্ল্যান্ট ফার্মেসি ও ল্যাবরেটরি, যেখানে জৈব বিশ্লেষণ, মাটির উপযোগিতা পরীক্ষা, কীটপতঙ্গ শনাক্তকরণ এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ ও উদ্ভিদের অণুখাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে।


লিবিয়ায় মাফিয়া চক্রের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশিদের অপহরণ করতেন রিফাত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

লিবিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশি যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে মানবপাচারকারী চক্রের খন্দকার রিফাত হোসেন (২৬) নামের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। লিবিয়ায় মাফিয়া চক্রের সঙ্গে মিলে ইতালি যেতে চাওয়া বাংলাদেশিদের অপহরণ করত রিফাত।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) আর এম ফয়জুর রহমান। এর আগে গত সোমবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকা থেকে রিফাতকে গ্রেপ্তার করে নোয়াখালী পিবিআই। তারপর বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। শেষে বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।

কারাগারে প্রেরণকৃত খন্দকার রিফাত হোসেন টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল থানার কামুটিয়া গ্রামের খন্দকার রমজানের ছেলে।

পিবিআই সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের মার্চ মাসে অবৈধ পথে লিবিয়া যান রিফাত হোসেন। সেখানে একটি কফিশপে চাকরি করার সময় স্থানীয় মাফিয়া সদস্য আবদুল্লাহ (লিবিয়ান), মোহাম্মদ (লিবিয়ান) ও তানভীরের (পাকিস্তানি) সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অন্যদিকে ভুক্তভোগী মো. লিটন হোসেন ওরফে সুজন (২৫) লিবিয়ার একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন।

লিবিয়া থেকে ইতালিতে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল লিটনের। সেই উদ্দেশ্যে টাকা জমাচ্ছিল সে, তখন বিষয়টি জানতে পারে রিফাত। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ২৭ জানুয়ারি, লিটনকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে একটি সুপার মার্কেটের সামনে থেকে অপহরণ করে রিফাত ও তার সহযোগীরা।

তাকে রিফাতের বাসায় আটকে রেখে হাত-পা বেঁধে মারধর করা হয় এবং ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ সময় লিটনের কাছ থেকে প্রায় ৭২ হাজার দিনার (বাংলাদেশি ১৫ লাখ টাকা) হাতিয়ে নেয় রিফাত। এছাড়া অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি’র নারিন্দা শাখার মাধ্যমে আনু আক্তারের নামে আরও ৫ লাখ টাকা আদায় করা হয়।

মোট ২ মাস ২০ দিন লিবিয়াতেই লিটনকে আটকে রেখে আরও টাকা দাবি করতে থাকে অপহরণকারীরা। পরে লিটনের মামা বাংলাদেশে এসে রিফাতের শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে চাপের মুখে ২০২৪ সালের ১৬ এপ্রিল ভুক্তভোগীকে মুক্তি দেওয়া হয়।

নোয়াখালী পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) আর এম ফয়জুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলাটির তদন্তে আমরা দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছি। অবশেষে মানবপাচার চক্রের অন্যতম সক্রিয় সদস্য রিফাতকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, রিফাত লিবিয়ায় বিভিন্ন দেশের মাফিয়া চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইতালি গমনেচ্ছুক বাংলাদেশিদের অপহরণ করে তাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করত। এ চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


ময়মনসিংহে পৃথক হত‍্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি  

ময়মনসিংহে পৃথক ২টি হত‍্যা মামলায় ৩ আসামির বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজের পৃথক দুটি আদালত। একই সঙ্গে এক আসামির বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় পৃথক আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এসব রায় ঘোষণা করা হয়।

ফাঁসির আসামিরা হলেন- ঝালকাঠি জেলার নলসিটি ভাবানীপুর এলাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিন ও তার স্ত্রী নাসরিন নেলী এবং ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার রুবেল মিয়া।

এছাড়া ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ একই মামলার আসামি দীন ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি নরসিংদী জেলার রায়পুর থানার আদিয়াবাদ দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

এর মধ‍্যে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্য আলাউদ্দিন ও তার স্ত্রী নাসরিন নেলী ময়মনসিংহ নগরীর কাচিঝুলি এলাকায় পরকীয়ার জের ধরে পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম হত‍্যা মামলার আসামি। এ ঘটনায় ২০১৪ সালে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত‍্যা মামলা দায়ের হয়।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ নম্বর আদালতের বিচারক মো. হারুন অর রশিদ এই রায় ঘোষণা করেন।

অপরদিকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রুবেল মিয়া এবং একই মামলার আসামি যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দীন ইসলাম ২০২২ সালে তারাকান্দা থানায় দায়ের হওয়া একটি হত‍্যা মামলার আসামি।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪ নম্বর আদালতের বিচারক জয়নাব বেগম এই রায় ঘোষণা করেন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আজিজ টুটুল খবরের সত‍্যতা নিশ্চিত করেছেন।


বাগেরহাটে সুপারির বাম্পার ফলনেও মন খারাপ চাষিদের 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে গাছে গাছে ঝুলছে পাকা সুপারি। এ বছর জেলায় সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই চাষিদের মুখে ফুটেছিল আশার হাসি। কিন্তু বাজারে গিয়ে সেই হাসি মিলিয়ে যাচ্ছে চিন্তায়। ফলন ভালো হলেও দাম কমে গেছে কুড়ি প্রতি ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। গত বছর যেখানে এক কুড়ি সুপারি বিক্রি হতো ৮০০ টাকায়, এবার সেখানে মিলছে ৫০০ টাকার কম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বড় মোকামে চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা পড়েছে। তবে চাষিদের অভিযোগ খরচ বাড়ছে, দাম কমছে, ফলে লাভের বদলে এখন শঙ্কায় কাটছে সুপারি মৌসুম।

জেলার অন্যতম বড় সুপারির হাট কচুয়া উপজেলার বাধাল বাজার। সপ্তাহে দুইদিন রোববার ও বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফুটতেই ক্রেতা বিক্রেতাদের হাক-ডাকে মুখর হয়ে ওঠে হাটটি। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ঝুড়ি, ব্যাগ ও বস্তায় নিয়ে আসা সুপারি দর-কষাকষির মাধ্যমে কেনা বেচা চলে দুপুর পর্যন্ত। বাজারের দিনে এক থেকে দেড় কোটি টাকার সুপারি বিক্রি হয়। পাইকারদের হাত ঘুরে এই সুপারি চলে যায় চট্টগ্রাম, রংপুর, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে।

বাধাল বাজারের এই সুপারির ব্যবসা কেন্দ্র করে প্রায় ৫ শতাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। যারা সুপারি বাছাই, গোনা, বস্তা ভরা ও ট্রাকে ওঠানোর কাজ করে দিনে এক হাজার থেকে ২ হাজার টাকা আয় করেন।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর বাগেরহাটে ১০ হাজার একর জমিতে সুপারির আবাদ হয়েছে। যাতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার মেট্রিক টন সুপারি।

জেলা জুড়ে সুপারির ফলন বেশি হলেও দাম কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়ছেন চাষিরা। প্রতি কুড়ি (২১০টি সুপারিকে এক কুড়ি বলা হয়) সুপারি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। গেল মৌসুম এবং চলতি মৌসুমের প্রথম দিকের তুলনায় এই দাম ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা কম।

বিক্রেতা মনিরুল বলেন, এবার ফলন এতো ভালো যে গাছ ভরে গেছে সুপারিতে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, দাম আগের মতো নেই। গত বছর প্রতি কুড়ি ৮০০ টাকায় বিক্রি করেছিলাম, এখন ৫০০ টাকাও ঠিকমতো পাই না। সার, শ্রমিক আর পরিবহন খরচ বাড়ছে সব মিলিয়ে লাভের বদলে এখন চিন্তাই বাড়ছে। বাজারে যদি একটু দাম বাড়ত, তাহলে আমাদের কষ্ট সার্থক হতো।

বিক্রেতা রহিমা বেগম বলেন, আমার স্বামী-ছেলে সবাই মিলে সুপারি চাষ করি। এ বছর ফসল বেশ ভালো হয়েছে, কিন্তু দামের অভাবে মনটা ভরে না। সকাল সকাল বাজারে আসছি। কিন্তু পাইকাররা আগের মতো দর দেয় না। আমরা গরিব মানুষ, এই টাকাতেই সংসার চলে। সরকার যদি আমাদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে দিত, তাহলে চাষিরা আরও উৎসাহ পেত।

চট্টগ্রাম থেকে আসা ক্রেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিবছর এই সময় বাগেরহাটের সুপারি কিনতে আসি। এবার ফলন সত্যিই অনেক বেশি, বাজারেও সরবরাহ প্রচুর। তবে দেশের বড় মোকামগুলোতে চাহিদা কিছুটা কমে গেছে। সেই কারণে দামও একটু নিচে। আমরা ক্রেতারা কিছুটা সুবিধা পেলেও বুঝি, এতে চাষিদের লাভ কমে যাচ্ছে। বাজার যদি স্থিতিশীল থাকত, তাহলে সবাই উপকৃত হতো।

স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ী ক্রেতা রুবেল মোল্লা বলেন, আমি বাধাল বাজার থেকেই সুপারি কিনে খুচরা বিক্রি করি। গত বছর যে দামে কুড়ি কিনতাম, এবার সেই দামে দুই কুড়ি পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রি ঠিকই হচ্ছে, কিন্তু ক্রেতারা দাম কমে যাওয়ায় এখন অনেক বেছে নিচ্ছে। বাজারে জায়গা সংকট, ভিড়ও প্রচুর তাই ঠিকমতো ক্রয়-বিক্রয় করতেও ঝামেলা হচ্ছে।

বাধাল বাজারের ইজারাদার খান শহিদুজ্জামান মিল্টন বলেন, চাষিদের নিরাপত্তা, ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে বাজারে স্বাধীনভাবে ক্রয়–বিক্রয় করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শতবর্ষী এই বাজারে ক্রয়-বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য সুপারি চাষিদের কাছ থেকে খাজনা নেওয়া হয় না। তবে বাজারে জায়গার সংকট হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের চলাচলে কিছুটা অসুবিধা হয়। পাশে জমি অধিগ্রহণ করে বাজারটি বড় করলে ক্রেতা-বিক্রেতা বাড়ত বলে জানালেন ইজারাদার।

এ বিষয়ে বাগেরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোতাহার হোসেন বলেন, বাগেরহাটের মাটি ও আবহাওয়া সুপারি চাষের জন্য খুব উপযোগী হলেও কৃষকরা সঠিকভাবে গাছের পরিচর্যা করেন না। নিয়মিত গাছের পরিচর্যা করলে ফলন আরও বৃদ্ধি পাবে। সেজন্য কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।


তাহিরপুরে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় রবি মৌসুমী সরিষা গম চেনাবাদাম সূর্যমুখী উন্নত জাতের বীজ বিতরণ বিভিন্ন জাতের সার চাষের লক্ষ্যে উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের মধ্যে বিনামুল্যে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ৬ ই নভেম্বর দুপুরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলা কৃষি অফিসে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি শাহরুখ হাসান শান্তনু।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম ,উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, তাহিরপুর প্রেসক্লাব দপ্তর সম্পাদক রোকন উদ্দিন প্রমুখ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, অর্থ বছরের রবি/২০২৫-২০২৬মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় চাষের সরিষা গম ভুট্টা সূর্যমুখী অনন্য ভূমিকা আছে বিভিন্ন প্রকার উন্নত বীজ ৩ শত১ কেজি করে জন কৃষকদের মাঝে বিতরন ও ৩ শত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার দেয়া হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে জনপ্রতি এমওপি ১০ কেজি ও ডিএপি ১০কেজি করে সার বিতরন করা হয়েছে।


নওগাঁয় সালিশ বৈঠকে উপস্থিত থাকার জেরে ছুরিকাঘাতে নিহত ১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি  

নওগাঁয় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে সালিশ বৈঠকে উপস্থিত থাকার জেরে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে গোলাম হোসেন (৫২) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের সুনলিয়া মালঞ্চি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত গোলাম হোসেন মালঞ্চি গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।

নিহতের চাচাতো ভাই নয়ন ইসলাম জানান, মালঞ্চি গ্রামের বাসিন্দা হারুনুর রশিদ ও আজাদ নামে দুই ভাইয়ের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এবিষয়ে কিছুদিন আগে দুই পক্ষ একজন অ্যাডভোকেটের কাছে সালিশ বৈঠকে বসেন। সেখানে নিহত গোলাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন এবং আজাদের পক্ষে কথা বলেন। এই জেরে বুধবার রাতে গোলাম হোসেনের সাথে কথা-কাটাকাটি হয় হারুনুর রশিদের। একপর্যায়ে হারুনের ছেলে অন্তর এসে গোলাম হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নওগাঁর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এবিষয়ে নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ওসি আরও বলেন, এবিষয়ে একটি মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়ের হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের নিহত ৫

দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাস, বাসেরও সামনের দিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কথা ছিল পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে সমুদ্র দেখতে যাবেন। তাই তো মনের আনন্দে সকলে রওয়ানাও দিয়েছিল। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা সবাইকে সমুদ্রে না নিয়ে পরপারে নিয়ে গেলেন। এমনই এক হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা ঘটলো কক্সবাজারের চকোরিয়ায়।

সেখানে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের পাঁচজন আরোহী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য বলে পুলিশ নিশ্চিত করে।

বুধবার সকাল নয়টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ফাঁসিয়াখালীর ঢালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

পুলিশ জানায়, নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য এবং তারা সবাই মিলে কক্সবাজার ঘুরতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই থেমে গেল সেই যাত্রা চিরতরে।

নিহতরা হলেন, কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের বাতিসা এলাকার ব্যবসায়ী এনামুল হকের স্ত্রী রুমানা আকতার (৬০), তার মেয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ শিক্ষার্থী সাদিয়া হক (২৪), আমিনুল হকের স্ত্রী লিজা মজুমদার (২৫), তার মা রাশেদা শিল্পী (৫০), বোন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রী ফারজানা মজুমদার (২৪)। আহত ব্যক্তিরা হলেন এনামুল হক, তার ছেলে মাইক্রোবাসের চালক আমিনুল হক ও তার শিশুসন্তান সাদমান (৬)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কুমিল্লা থেকে কক্সবাজারগামী মাইক্রোবাসটি হাঁসের দিঘী ঢালায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির মারসা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে–মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান একই পরিবারের পাঁচজন।

নিহতদের স্বজন জান্নাতুল ফেরদৌস (৩৮) বলেন, বুধবার ভোরে আমিনুল হক তার স্ত্রী-সন্তান, মা-বাবা–বোন, শাশুড়ি ও শ্যালিকাকে নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। আমিনুল হক নিজেই ব্যক্তিগত মাইক্রোবাসটি চালাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালীর ঢালা এলাকায় পৌঁছালে চট্টগ্রামমুখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আমিনুল হকের মা, বোন, স্ত্রী, শাশুড়ি ও শ্যালিকা মারা যান। আমিনুল, তার বাবা ও তার শিশু সন্তান গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘তাদের কক্সবাজার থেকে কুমিল্লা ফেরার পথে চকরিয়ার ডুলাহাজারা এলাকায় আমাদের বাড়িতে আসার কথা ছিল। কিন্তু পথে সব শেষ হয়ে গেছে। দেখা হলো না সমুদ্র, আসা হলো না আমাদের বাড়িতে।’

মালুমঘাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, নিহত পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন নিহত রুমানা আকতারের ছেলে মুনীরুল হক। নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়। দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’


নেত্রকোনায় নৃগোষ্ঠীর প্রত্যাশা বিষয়ক মতবিনিময় সভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এ বি চৌধুরী নাদিম, নেত্রকোনা

নেত্রকোণায় সেরা এবং গণসাক্ষরতা অভিযানের আয়োজনে নেত্রকোনার পাবলিক হলে ‘নৃগোষ্ঠীর শিশুদের শিক্ষা: অংশীজনের প্রত্যাশা’ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন নেত্রকোণার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল আজম। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে অবস্থিত স্কুলগুলোতে বিশেষ পদক্ষেপ হিসেবে ঐ জনগোষ্ঠী থেকে একজন করে আলাদা শিক্ষক নিয়োগ দেয়া গেলে তাঁদের ভাষা যেমন সংরক্ষণ হবে তেমনি মাতৃভাষায় তাঁদের প্রাথমিক শিক্ষাও নিশ্চিত হবে। এছাড়াও দেশের যেসব এলাকায় কালচারাল একাডেমি হয়েছে, সেগুলো শুধু কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণে কাজ করতে পারে, গবেষণার মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে পরিকল্পনা গ্রহণে এবং নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হবে। সভায় ‘নৃগোষ্ঠীর শিশুদের শিক্ষা: অংশীজনের প্রত্যাশা’ বিষয়ক মুল আলোচনা পত্র উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক একেএম মাজহারুল ইসলাম। নির্ধারিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন এশিয়া সাউথ প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েশন ফর বেসিক এন্ড অ্যাডাল্ট এডুকেশন এর ক্যাপাসিটি সাপোর্ট অ্যাডভাইজার কেএম এনামুল হক।সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা বিনতে রফিক, নেত্রকোণা রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা, লেখক ও গবেষক আলী আহমেদ খান আইয়ুব, সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার পাল, গণসাক্ষরতা অভিযান ঢাকার প্রোগ্রাম অফিসার সিজুল ইসলাম, নেত্রকোণা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সরোজ মোস্তফা, জাগরণ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কেএমএ জ্যামী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেরা’র নির্বাহী পরিচালক এসএম মজিবুর রহমান। সেরা’র পরিচালক (প্রোগ্রাম) আলী উসমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলম তালুকদার। সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা নৃগোষ্ঠীর শিশুদের শিক্ষা অর্জনে চ্যালেঞ্জ, সীমাবদ্ধতা এবং করণীয় নিয়ে তাদের মতামত এবং সুপারিশ তুলে ধরেন।


সারিয়াকান্দির প্রধান সড়ক মেরামতের প্রস্তাব বাতিলে এলাকাবাসী হতাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়া সারিয়াকান্দির অন্যতম প্রধান সড়ক বগুড়া-কড়িতলা সড়কের বেহাল দশা। সড়কটিতে হাজারো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দুই উপজেলার লাখো মানুষের ভোগান্তি। কর্তৃপক্ষ বলছে সড়কটি মেরামতের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল কিন্তু পাশ হওয়ায় এলাকাবাসী হতাশ। এদিকে আবারো নতুন করে মেরামতের প্রস্তাব পাঠানোর কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বগুড়া-কড়িতলা সড়কের জোরগাছা সেতুর পশ্চিম থেকে কড়িতলা বাজার পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা একেবারেই বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কটিতে বিশালাকার হাজারো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও সড়কটির কিনারা ভেঙে বেশ বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা, বাস, ট্রাকসহ সকল ধরনের ভারি যানবাহন চলাচল করে। এছাড়া সড়কটি দিয়ে গাবতলি এবং সারিয়াকান্দি উপজেলার প্রায় লাখো মানুষ বগুড়া জেলা সদরে যাতায়াত করেন। সড়কটির হাজারো গর্ত ডিঙিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতে এলাকাবাসীর ভোগান্তির কোনও শেষ নেই। বৃষ্টি হলে এসব গর্তগুলোতে পানি দিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ফলে যাত্রীরা অনেক সময় কাঁদামাখা হয়ে চলাচল করেন। বিশেষ করে জোড়গাছা, সোনাপুর, গুলারতাইড়, কাশাহার উল্লেখযোগ্য।

জোড়গাছা গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক এম. তাজুল ইসলাম বলেন, সড়কটি দিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় যাতায়াত করার কোনও জোঁ নাই। দীর্ঘদিন ধরেই সড়কের বেহাল দশা হলেও সড়কটির মেরামতের কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না। সড়কটির বেহাল দশার কারণে এলাকাবাসীর ভোগান্তির কোনও শেষ নেই। দ্রুত রাস্তাটির সংস্কার প্রয়োজন।

উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম সিপন বলেন, সড়কটির সংস্কারের জন্য সরকারের এমন কোনও দপ্তর নেই, যেখানে তিনি যাননি। তারপরও সড়কটির সংস্কার কেন হচ্ছে না। সড়কটির সংস্কার এলাকাবাসীর প্রধান দাবি। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা হোক।

সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী তুহিন সরকার বলেন, সড়কটি সংস্কার করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু প্রস্তাবনাটি পাশ হয়নি। সারিয়াকান্দি থেকে ৯টি সড়ক সংস্কারের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে ৪ টি রাস্তা সংস্কারের জন্য অনুমোদন পাওয়া গেছে। তার মধ্যে এ সড়কটি নেই। সড়কটির সংস্কারের জন্য পুনরায় প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।


কমলগঞ্জে রাখাল নৃত্যের মধ্য দিয়ে শুরু মহারাসলীলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

রাখাল নৃত্যের মধ্য দিয়ে গত বুধবার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মণিপুরী সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী উৎসব মহারাসলীলা শুরু হয়েছে। দুপুরে তুমুল আনন্দ-উৎসাহে ঢাক-ঢোল, খোল-করতাল আর শঙ্খ ধ্বনির মধ্য দিয়ে শ্রীকৃষ্ণ ও তার সখী রাধার লীলাকে ঘিরে এ উৎসব শুরু হয়। শিশুদের রাখাল নৃত্য পরিবেশ করতে দেখা যায়। ভক্তরা নৃত্যরত শিল্পীদের বাতাসা ও টাকা উপহার দেন। উৎসব উপলক্ষে নানা ঐতিহ্যবাহী সাজে মেতেছে মণিপুরীপাড়া। মূল রাসলীলা রাত ১১টা থেকে শুরু হয়ে পরের দিন ভোর পর্যন্ত চলবে।

বাঁশ ও কাগজ কেটে বিশেষ কারুকাজে রাসের মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। মণ্ডপের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে বসেন রাসধারী বা রাসের গুরু, সূত্রধারী ও বাদকরা। পাশাপাশি তিনটি মণ্ডপে তরুণীরা রাসলীলায় অংশ নিয়ে থাকেন।

রাসের সাধারণ ক্রম হচ্ছে সূত্রধারী কর্তৃক রাগালাপ ও বন্দনা, বৃন্দার কৃষ্ণ আবাহন, কৃষ্ণ অভিসার, রাধা ও সখীদের অভিসার, রাধা ও কৃষ্ণের সাক্ষাৎ ও মান-অভিমান, ভঙ্গীপারেং, রাধার কৃষ্ণ-সমর্পণ, যুগলরূপ প্রার্থনা, আরতির মতো বিষয়গুলো।

কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুরের শিববাজার উন্মুক্ত মঞ্চ প্রাঙ্গণে বেলা ১২টা থেকে শুরু হয় গোষ্ঠলীলা বা রাখাল নৃত্য। রাত ১১টায় জোড়া মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে রাসের মূল প্রাণ মহারাসলীলা।

এবার মাধবপুর জোড়া মণ্ডপে ১৮৩তম রাস উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অন্যদিকে কমলগঞ্জের আদমপুরে মণিপুরী মৈতেই সম্প্রদায়ের আয়োজনে ৪০তম রাসোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

রাসোৎসবকে ঘিরে মাধবপুর ও আদমপুরের মণ্ডপগুলো সাজানো হয়েছে সাদা কাগজের নকশার নিপুণ কারুকাজে। করা হয়েছে আলোকসজ্জাও। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

রাসোৎসবকে কেন্দ্র করে কমলগঞ্জ মণিপুরী সংস্কৃতির এক বিশাল মিলনমেলায় পরিণত হয়।

মহারাসলীলা সেবা সংঘের সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সিংহ বলেন, ‘এবার মাধবপুর জোড়া মণ্ডপে ১৮৩তম মহারাসলীলা উপলক্ষে বিকাল সাড়ে তিনটায় শুভেচ্ছা বিনিময় ও প্রদীপ প্রজ্বালনে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন।’


নান্দাইলে প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভা পুরস্কার বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা পরিষদ হলরুমে বুধবার উপজেলা শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভা ও উপজেলা পর্যায়ে পঠন দক্ষতা যাচাই প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ওবায়দুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবু ইউসুফ খান এবং সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল্লাহ আল বাকী। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রেবেকা সুলতানা ডলি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সহকারী শিক্ষা অফিসাররা, ইউআরসি ইনস্ট্রাক্টর, উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরা। সভায় প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের পাঠাভ্যাস গড়ে তোলা এবং পঠন দক্ষতা বৃদ্ধির নানা দিক নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। বক্তারা বলেন, শিশুদের পড়াশোনায় আগ্রহ সৃষ্টির জন্য শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা পর্যায়ে আয়োজিত পঠন দক্ষতা যাচাই প্রতিযোগিতা বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান ও বিশেষ অতিথিরা। অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে পরিচালনা করেন নান্দাইল উপজেলা শিক্ষা অফিস।


“দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগ প্রসারের গুরুত্ব, সম্ভাবনা ও কৌশল” সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ৫ নভেম্বর, ২০২৫ ২০:৫৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তিকমিশনের প্রধান কার্যালয়ে “দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগ প্রসারের গুরুত্ব, সম্ভাবনা ও কৌশল” সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানীগণ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগের সম্ভাবনা ও কৌশল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন এবং দেশের ভবিষ্যৎ পরমাণু কৌশল ও নীতি নির্ধারণে দিক নির্দেশনামূলক আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান ড. মোঃ মজিবুর রহমান এবং বর্তমান সদস্য (ভৌত বিজ্ঞান) ড. দেবাশীষ পাল উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন মতবিনিময় সভায় দেশে জনকল্যাণে পরমাণু প্রযুক্তির প্রসার এবং একটি টেকসই পরমাণু কৌশল ও নীতি নির্ধারণে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোঃ মজিবুর রহমান মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব এবং কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দকে প্রাণবন্ত আলোচনায় অংগ্রহণ ও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহারের কৌশল নির্ধারণে দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।


টাঙ্গাইলে রং মিশিয়ে মুগ ডাল বিক্রি ২ ব্যবসায়ীর ১ লাখ জরিমানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের ছয়আনী বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ভেজাল ও প্রতারণার অভিযোগে দুইটি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেল এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে দেখা যায়, বাজারের কিছু ব্যবসায়ী মুগ ডালের নামে মথ ডাল বিক্রি করছে, পাশাপাশি ওই ডালে রং মিশিয়ে বাজারজাত করার প্রমাণ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় ছয়আনী বাজারের ‘মা লক্ষী এন্টারপ্রাইজ’ ও ‘অনিক এন্টারপ্রাইজ’ নামের দুই দোকানকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান রোমেল বলেন, ‘মুগ ডাল বলে মথ ডাল বিক্রি করা এবং তাতে রং মেশানো স্পষ্ট প্রতারণা। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিন মিয়া।

ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, তারা পাইকারি বাজার থেকে যেভাবে ডাল সংগ্রহ করেন, সেভাবেই বিক্রি করেন। বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।

সাধারণ ক্রেতারা বলেন, বাজারে আসল ও নকল পণ্যের পার্থক্য করা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের নিয়মিত তদারকি থাকলে এমন প্রতারণা অনেকটাই বন্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।

অভিযান শেষে ভোক্তা অধিদপ্তর জনস্বার্থে ভেজালবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করার আশ্বাস দিয়েছেন।


banner close