বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
২২ কার্তিক ১৪৩২

সরিষাবাড়ীতে চানাচুর খেতে গিয়ে গলায় আটকে ১১ মাসের শিশুর মৃত্যু

মোস্তাক আহমেদ মনির, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত
মোস্তাক আহমেদ মনির, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৯:২৮

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চানাচুর গলায় আটকে সুয়াইফা নামে ১১ মাস বয়সী এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে সরিষাবাড়ী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের মাইজবাড়ী ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। সুয়াইফা কোনাবাড়ী গ্রামের সাইদুল রহমানের মেয়ে। এ ঘটনায় এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পরিবার সুত্রে জানা যায়, রাত ৮ টার দিকে বাড়ীতে সুয়াইফার ৫ বছর বয়সী খালাতো বোন বেড়াতে আসে। এসময় তার খালাতো বোনকে চানাচুর খেতে দেয় সুয়াইফার মা ছানুয়ারা। পরে সবার অগোচরে খালাতো বোন সুয়াইফার মুখে চানাচুর দেয়। এসময় সুয়াইফার গলায় আটকে গেলে সে চিৎকার করতে থাকে। তার চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা আসলে তার মুখে ও গলায় চানাচুর দেখতে পায়। কিছুক্ষন পর তার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে পড়লে তাকে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার সাইদুর রহমান শাওন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার সাইদুর রহমান শাওন বলেন, শিশুটিকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী তার গলায় চানাচুর আটকে শ্বাসরোধ হয়েই শিশুটির মৃত্যু হয়।


বাগেরহাটে সুপারির বাম্পার ফলনেও মন খারাপ চাষিদের 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে গাছে গাছে ঝুলছে পাকা সুপারি। এ বছর জেলায় সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই চাষিদের মুখে ফুটেছিল আশার হাসি। কিন্তু বাজারে গিয়ে সেই হাসি মিলিয়ে যাচ্ছে চিন্তায়। ফলন ভালো হলেও দাম কমে গেছে কুড়ি প্রতি ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। গত বছর যেখানে এক কুড়ি সুপারি বিক্রি হতো ৮০০ টাকায়, এবার সেখানে মিলছে ৫০০ টাকার কম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বড় মোকামে চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা পড়েছে। তবে চাষিদের অভিযোগ খরচ বাড়ছে, দাম কমছে, ফলে লাভের বদলে এখন শঙ্কায় কাটছে সুপারি মৌসুম।

জেলার অন্যতম বড় সুপারির হাট কচুয়া উপজেলার বাধাল বাজার। সপ্তাহে দুইদিন রোববার ও বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফুটতেই ক্রেতা বিক্রেতাদের হাক-ডাকে মুখর হয়ে ওঠে হাটটি। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ঝুড়ি, ব্যাগ ও বস্তায় নিয়ে আসা সুপারি দর-কষাকষির মাধ্যমে কেনা বেচা চলে দুপুর পর্যন্ত। বাজারের দিনে এক থেকে দেড় কোটি টাকার সুপারি বিক্রি হয়। পাইকারদের হাত ঘুরে এই সুপারি চলে যায় চট্টগ্রাম, রংপুর, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে।

বাধাল বাজারের এই সুপারির ব্যবসা কেন্দ্র করে প্রায় ৫ শতাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। যারা সুপারি বাছাই, গোনা, বস্তা ভরা ও ট্রাকে ওঠানোর কাজ করে দিনে এক হাজার থেকে ২ হাজার টাকা আয় করেন।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর বাগেরহাটে ১০ হাজার একর জমিতে সুপারির আবাদ হয়েছে। যাতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার মেট্রিক টন সুপারি।

জেলা জুড়ে সুপারির ফলন বেশি হলেও দাম কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়ছেন চাষিরা। প্রতি কুড়ি (২১০টি সুপারিকে এক কুড়ি বলা হয়) সুপারি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। গেল মৌসুম এবং চলতি মৌসুমের প্রথম দিকের তুলনায় এই দাম ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা কম।

বিক্রেতা মনিরুল বলেন, এবার ফলন এতো ভালো যে গাছ ভরে গেছে সুপারিতে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, দাম আগের মতো নেই। গত বছর প্রতি কুড়ি ৮০০ টাকায় বিক্রি করেছিলাম, এখন ৫০০ টাকাও ঠিকমতো পাই না। সার, শ্রমিক আর পরিবহন খরচ বাড়ছে সব মিলিয়ে লাভের বদলে এখন চিন্তাই বাড়ছে। বাজারে যদি একটু দাম বাড়ত, তাহলে আমাদের কষ্ট সার্থক হতো।

বিক্রেতা রহিমা বেগম বলেন, আমার স্বামী-ছেলে সবাই মিলে সুপারি চাষ করি। এ বছর ফসল বেশ ভালো হয়েছে, কিন্তু দামের অভাবে মনটা ভরে না। সকাল সকাল বাজারে আসছি। কিন্তু পাইকাররা আগের মতো দর দেয় না। আমরা গরিব মানুষ, এই টাকাতেই সংসার চলে। সরকার যদি আমাদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে দিত, তাহলে চাষিরা আরও উৎসাহ পেত।

চট্টগ্রাম থেকে আসা ক্রেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিবছর এই সময় বাগেরহাটের সুপারি কিনতে আসি। এবার ফলন সত্যিই অনেক বেশি, বাজারেও সরবরাহ প্রচুর। তবে দেশের বড় মোকামগুলোতে চাহিদা কিছুটা কমে গেছে। সেই কারণে দামও একটু নিচে। আমরা ক্রেতারা কিছুটা সুবিধা পেলেও বুঝি, এতে চাষিদের লাভ কমে যাচ্ছে। বাজার যদি স্থিতিশীল থাকত, তাহলে সবাই উপকৃত হতো।

স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ী ক্রেতা রুবেল মোল্লা বলেন, আমি বাধাল বাজার থেকেই সুপারি কিনে খুচরা বিক্রি করি। গত বছর যে দামে কুড়ি কিনতাম, এবার সেই দামে দুই কুড়ি পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রি ঠিকই হচ্ছে, কিন্তু ক্রেতারা দাম কমে যাওয়ায় এখন অনেক বেছে নিচ্ছে। বাজারে জায়গা সংকট, ভিড়ও প্রচুর তাই ঠিকমতো ক্রয়-বিক্রয় করতেও ঝামেলা হচ্ছে।

বাধাল বাজারের ইজারাদার খান শহিদুজ্জামান মিল্টন বলেন, চাষিদের নিরাপত্তা, ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে বাজারে স্বাধীনভাবে ক্রয়–বিক্রয় করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শতবর্ষী এই বাজারে ক্রয়-বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য সুপারি চাষিদের কাছ থেকে খাজনা নেওয়া হয় না। তবে বাজারে জায়গার সংকট হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের চলাচলে কিছুটা অসুবিধা হয়। পাশে জমি অধিগ্রহণ করে বাজারটি বড় করলে ক্রেতা-বিক্রেতা বাড়ত বলে জানালেন ইজারাদার।

এ বিষয়ে বাগেরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোতাহার হোসেন বলেন, বাগেরহাটের মাটি ও আবহাওয়া সুপারি চাষের জন্য খুব উপযোগী হলেও কৃষকরা সঠিকভাবে গাছের পরিচর্যা করেন না। নিয়মিত গাছের পরিচর্যা করলে ফলন আরও বৃদ্ধি পাবে। সেজন্য কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।


তাহিরপুরে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় রবি মৌসুমী সরিষা গম চেনাবাদাম সূর্যমুখী উন্নত জাতের বীজ বিতরণ বিভিন্ন জাতের সার চাষের লক্ষ্যে উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের মধ্যে বিনামুল্যে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ৬ ই নভেম্বর দুপুরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলা কৃষি অফিসে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি শাহরুখ হাসান শান্তনু।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম ,উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, তাহিরপুর প্রেসক্লাব দপ্তর সম্পাদক রোকন উদ্দিন প্রমুখ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, অর্থ বছরের রবি/২০২৫-২০২৬মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় চাষের সরিষা গম ভুট্টা সূর্যমুখী অনন্য ভূমিকা আছে বিভিন্ন প্রকার উন্নত বীজ ৩ শত১ কেজি করে জন কৃষকদের মাঝে বিতরন ও ৩ শত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার দেয়া হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে জনপ্রতি এমওপি ১০ কেজি ও ডিএপি ১০কেজি করে সার বিতরন করা হয়েছে।


নওগাঁয় সালিশ বৈঠকে উপস্থিত থাকার জেরে ছুরিকাঘাতে নিহত ১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি  

নওগাঁয় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে সালিশ বৈঠকে উপস্থিত থাকার জেরে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে গোলাম হোসেন (৫২) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের সুনলিয়া মালঞ্চি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত গোলাম হোসেন মালঞ্চি গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।

নিহতের চাচাতো ভাই নয়ন ইসলাম জানান, মালঞ্চি গ্রামের বাসিন্দা হারুনুর রশিদ ও আজাদ নামে দুই ভাইয়ের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এবিষয়ে কিছুদিন আগে দুই পক্ষ একজন অ্যাডভোকেটের কাছে সালিশ বৈঠকে বসেন। সেখানে নিহত গোলাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন এবং আজাদের পক্ষে কথা বলেন। এই জেরে বুধবার রাতে গোলাম হোসেনের সাথে কথা-কাটাকাটি হয় হারুনুর রশিদের। একপর্যায়ে হারুনের ছেলে অন্তর এসে গোলাম হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নওগাঁর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এবিষয়ে নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ওসি আরও বলেন, এবিষয়ে একটি মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়ের হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের নিহত ৫

দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাস, বাসেরও সামনের দিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কথা ছিল পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে সমুদ্র দেখতে যাবেন। তাই তো মনের আনন্দে সকলে রওয়ানাও দিয়েছিল। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা সবাইকে সমুদ্রে না নিয়ে পরপারে নিয়ে গেলেন। এমনই এক হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা ঘটলো কক্সবাজারের চকোরিয়ায়।

সেখানে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের পাঁচজন আরোহী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য বলে পুলিশ নিশ্চিত করে।

বুধবার সকাল নয়টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ফাঁসিয়াখালীর ঢালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

পুলিশ জানায়, নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য এবং তারা সবাই মিলে কক্সবাজার ঘুরতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই থেমে গেল সেই যাত্রা চিরতরে।

নিহতরা হলেন, কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের বাতিসা এলাকার ব্যবসায়ী এনামুল হকের স্ত্রী রুমানা আকতার (৬০), তার মেয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ শিক্ষার্থী সাদিয়া হক (২৪), আমিনুল হকের স্ত্রী লিজা মজুমদার (২৫), তার মা রাশেদা শিল্পী (৫০), বোন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রী ফারজানা মজুমদার (২৪)। আহত ব্যক্তিরা হলেন এনামুল হক, তার ছেলে মাইক্রোবাসের চালক আমিনুল হক ও তার শিশুসন্তান সাদমান (৬)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কুমিল্লা থেকে কক্সবাজারগামী মাইক্রোবাসটি হাঁসের দিঘী ঢালায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির মারসা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে–মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান একই পরিবারের পাঁচজন।

নিহতদের স্বজন জান্নাতুল ফেরদৌস (৩৮) বলেন, বুধবার ভোরে আমিনুল হক তার স্ত্রী-সন্তান, মা-বাবা–বোন, শাশুড়ি ও শ্যালিকাকে নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। আমিনুল হক নিজেই ব্যক্তিগত মাইক্রোবাসটি চালাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালীর ঢালা এলাকায় পৌঁছালে চট্টগ্রামমুখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আমিনুল হকের মা, বোন, স্ত্রী, শাশুড়ি ও শ্যালিকা মারা যান। আমিনুল, তার বাবা ও তার শিশু সন্তান গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘তাদের কক্সবাজার থেকে কুমিল্লা ফেরার পথে চকরিয়ার ডুলাহাজারা এলাকায় আমাদের বাড়িতে আসার কথা ছিল। কিন্তু পথে সব শেষ হয়ে গেছে। দেখা হলো না সমুদ্র, আসা হলো না আমাদের বাড়িতে।’

মালুমঘাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, নিহত পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন নিহত রুমানা আকতারের ছেলে মুনীরুল হক। নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়। দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’


নেত্রকোনায় নৃগোষ্ঠীর প্রত্যাশা বিষয়ক মতবিনিময় সভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এ বি চৌধুরী নাদিম, নেত্রকোনা

নেত্রকোণায় সেরা এবং গণসাক্ষরতা অভিযানের আয়োজনে নেত্রকোনার পাবলিক হলে ‘নৃগোষ্ঠীর শিশুদের শিক্ষা: অংশীজনের প্রত্যাশা’ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন নেত্রকোণার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল আজম। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে অবস্থিত স্কুলগুলোতে বিশেষ পদক্ষেপ হিসেবে ঐ জনগোষ্ঠী থেকে একজন করে আলাদা শিক্ষক নিয়োগ দেয়া গেলে তাঁদের ভাষা যেমন সংরক্ষণ হবে তেমনি মাতৃভাষায় তাঁদের প্রাথমিক শিক্ষাও নিশ্চিত হবে। এছাড়াও দেশের যেসব এলাকায় কালচারাল একাডেমি হয়েছে, সেগুলো শুধু কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণে কাজ করতে পারে, গবেষণার মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে পরিকল্পনা গ্রহণে এবং নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হবে। সভায় ‘নৃগোষ্ঠীর শিশুদের শিক্ষা: অংশীজনের প্রত্যাশা’ বিষয়ক মুল আলোচনা পত্র উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক একেএম মাজহারুল ইসলাম। নির্ধারিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন এশিয়া সাউথ প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েশন ফর বেসিক এন্ড অ্যাডাল্ট এডুকেশন এর ক্যাপাসিটি সাপোর্ট অ্যাডভাইজার কেএম এনামুল হক।সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা বিনতে রফিক, নেত্রকোণা রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা, লেখক ও গবেষক আলী আহমেদ খান আইয়ুব, সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার পাল, গণসাক্ষরতা অভিযান ঢাকার প্রোগ্রাম অফিসার সিজুল ইসলাম, নেত্রকোণা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সরোজ মোস্তফা, জাগরণ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কেএমএ জ্যামী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেরা’র নির্বাহী পরিচালক এসএম মজিবুর রহমান। সেরা’র পরিচালক (প্রোগ্রাম) আলী উসমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলম তালুকদার। সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা নৃগোষ্ঠীর শিশুদের শিক্ষা অর্জনে চ্যালেঞ্জ, সীমাবদ্ধতা এবং করণীয় নিয়ে তাদের মতামত এবং সুপারিশ তুলে ধরেন।


সারিয়াকান্দির প্রধান সড়ক মেরামতের প্রস্তাব বাতিলে এলাকাবাসী হতাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়া সারিয়াকান্দির অন্যতম প্রধান সড়ক বগুড়া-কড়িতলা সড়কের বেহাল দশা। সড়কটিতে হাজারো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দুই উপজেলার লাখো মানুষের ভোগান্তি। কর্তৃপক্ষ বলছে সড়কটি মেরামতের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল কিন্তু পাশ হওয়ায় এলাকাবাসী হতাশ। এদিকে আবারো নতুন করে মেরামতের প্রস্তাব পাঠানোর কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বগুড়া-কড়িতলা সড়কের জোরগাছা সেতুর পশ্চিম থেকে কড়িতলা বাজার পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা একেবারেই বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কটিতে বিশালাকার হাজারো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও সড়কটির কিনারা ভেঙে বেশ বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা, বাস, ট্রাকসহ সকল ধরনের ভারি যানবাহন চলাচল করে। এছাড়া সড়কটি দিয়ে গাবতলি এবং সারিয়াকান্দি উপজেলার প্রায় লাখো মানুষ বগুড়া জেলা সদরে যাতায়াত করেন। সড়কটির হাজারো গর্ত ডিঙিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতে এলাকাবাসীর ভোগান্তির কোনও শেষ নেই। বৃষ্টি হলে এসব গর্তগুলোতে পানি দিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ফলে যাত্রীরা অনেক সময় কাঁদামাখা হয়ে চলাচল করেন। বিশেষ করে জোড়গাছা, সোনাপুর, গুলারতাইড়, কাশাহার উল্লেখযোগ্য।

জোড়গাছা গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক এম. তাজুল ইসলাম বলেন, সড়কটি দিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় যাতায়াত করার কোনও জোঁ নাই। দীর্ঘদিন ধরেই সড়কের বেহাল দশা হলেও সড়কটির মেরামতের কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না। সড়কটির বেহাল দশার কারণে এলাকাবাসীর ভোগান্তির কোনও শেষ নেই। দ্রুত রাস্তাটির সংস্কার প্রয়োজন।

উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম সিপন বলেন, সড়কটির সংস্কারের জন্য সরকারের এমন কোনও দপ্তর নেই, যেখানে তিনি যাননি। তারপরও সড়কটির সংস্কার কেন হচ্ছে না। সড়কটির সংস্কার এলাকাবাসীর প্রধান দাবি। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা হোক।

সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী তুহিন সরকার বলেন, সড়কটি সংস্কার করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু প্রস্তাবনাটি পাশ হয়নি। সারিয়াকান্দি থেকে ৯টি সড়ক সংস্কারের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে ৪ টি রাস্তা সংস্কারের জন্য অনুমোদন পাওয়া গেছে। তার মধ্যে এ সড়কটি নেই। সড়কটির সংস্কারের জন্য পুনরায় প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।


কমলগঞ্জে রাখাল নৃত্যের মধ্য দিয়ে শুরু মহারাসলীলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

রাখাল নৃত্যের মধ্য দিয়ে গত বুধবার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মণিপুরী সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী উৎসব মহারাসলীলা শুরু হয়েছে। দুপুরে তুমুল আনন্দ-উৎসাহে ঢাক-ঢোল, খোল-করতাল আর শঙ্খ ধ্বনির মধ্য দিয়ে শ্রীকৃষ্ণ ও তার সখী রাধার লীলাকে ঘিরে এ উৎসব শুরু হয়। শিশুদের রাখাল নৃত্য পরিবেশ করতে দেখা যায়। ভক্তরা নৃত্যরত শিল্পীদের বাতাসা ও টাকা উপহার দেন। উৎসব উপলক্ষে নানা ঐতিহ্যবাহী সাজে মেতেছে মণিপুরীপাড়া। মূল রাসলীলা রাত ১১টা থেকে শুরু হয়ে পরের দিন ভোর পর্যন্ত চলবে।

বাঁশ ও কাগজ কেটে বিশেষ কারুকাজে রাসের মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। মণ্ডপের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে বসেন রাসধারী বা রাসের গুরু, সূত্রধারী ও বাদকরা। পাশাপাশি তিনটি মণ্ডপে তরুণীরা রাসলীলায় অংশ নিয়ে থাকেন।

রাসের সাধারণ ক্রম হচ্ছে সূত্রধারী কর্তৃক রাগালাপ ও বন্দনা, বৃন্দার কৃষ্ণ আবাহন, কৃষ্ণ অভিসার, রাধা ও সখীদের অভিসার, রাধা ও কৃষ্ণের সাক্ষাৎ ও মান-অভিমান, ভঙ্গীপারেং, রাধার কৃষ্ণ-সমর্পণ, যুগলরূপ প্রার্থনা, আরতির মতো বিষয়গুলো।

কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুরের শিববাজার উন্মুক্ত মঞ্চ প্রাঙ্গণে বেলা ১২টা থেকে শুরু হয় গোষ্ঠলীলা বা রাখাল নৃত্য। রাত ১১টায় জোড়া মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে রাসের মূল প্রাণ মহারাসলীলা।

এবার মাধবপুর জোড়া মণ্ডপে ১৮৩তম রাস উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অন্যদিকে কমলগঞ্জের আদমপুরে মণিপুরী মৈতেই সম্প্রদায়ের আয়োজনে ৪০তম রাসোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

রাসোৎসবকে ঘিরে মাধবপুর ও আদমপুরের মণ্ডপগুলো সাজানো হয়েছে সাদা কাগজের নকশার নিপুণ কারুকাজে। করা হয়েছে আলোকসজ্জাও। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

রাসোৎসবকে কেন্দ্র করে কমলগঞ্জ মণিপুরী সংস্কৃতির এক বিশাল মিলনমেলায় পরিণত হয়।

মহারাসলীলা সেবা সংঘের সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সিংহ বলেন, ‘এবার মাধবপুর জোড়া মণ্ডপে ১৮৩তম মহারাসলীলা উপলক্ষে বিকাল সাড়ে তিনটায় শুভেচ্ছা বিনিময় ও প্রদীপ প্রজ্বালনে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন।’


নান্দাইলে প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভা পুরস্কার বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা পরিষদ হলরুমে বুধবার উপজেলা শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভা ও উপজেলা পর্যায়ে পঠন দক্ষতা যাচাই প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ওবায়দুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবু ইউসুফ খান এবং সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল্লাহ আল বাকী। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রেবেকা সুলতানা ডলি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সহকারী শিক্ষা অফিসাররা, ইউআরসি ইনস্ট্রাক্টর, উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরা। সভায় প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের পাঠাভ্যাস গড়ে তোলা এবং পঠন দক্ষতা বৃদ্ধির নানা দিক নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। বক্তারা বলেন, শিশুদের পড়াশোনায় আগ্রহ সৃষ্টির জন্য শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা পর্যায়ে আয়োজিত পঠন দক্ষতা যাচাই প্রতিযোগিতা বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান ও বিশেষ অতিথিরা। অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে পরিচালনা করেন নান্দাইল উপজেলা শিক্ষা অফিস।


“দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগ প্রসারের গুরুত্ব, সম্ভাবনা ও কৌশল” সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ৫ নভেম্বর, ২০২৫ ২০:৫৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তিকমিশনের প্রধান কার্যালয়ে “দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগ প্রসারের গুরুত্ব, সম্ভাবনা ও কৌশল” সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানীগণ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগের সম্ভাবনা ও কৌশল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন এবং দেশের ভবিষ্যৎ পরমাণু কৌশল ও নীতি নির্ধারণে দিক নির্দেশনামূলক আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান ড. মোঃ মজিবুর রহমান এবং বর্তমান সদস্য (ভৌত বিজ্ঞান) ড. দেবাশীষ পাল উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন মতবিনিময় সভায় দেশে জনকল্যাণে পরমাণু প্রযুক্তির প্রসার এবং একটি টেকসই পরমাণু কৌশল ও নীতি নির্ধারণে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোঃ মজিবুর রহমান মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব এবং কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দকে প্রাণবন্ত আলোচনায় অংগ্রহণ ও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহারের কৌশল নির্ধারণে দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।


টাঙ্গাইলে রং মিশিয়ে মুগ ডাল বিক্রি ২ ব্যবসায়ীর ১ লাখ জরিমানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের ছয়আনী বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ভেজাল ও প্রতারণার অভিযোগে দুইটি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেল এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে দেখা যায়, বাজারের কিছু ব্যবসায়ী মুগ ডালের নামে মথ ডাল বিক্রি করছে, পাশাপাশি ওই ডালে রং মিশিয়ে বাজারজাত করার প্রমাণ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় ছয়আনী বাজারের ‘মা লক্ষী এন্টারপ্রাইজ’ ও ‘অনিক এন্টারপ্রাইজ’ নামের দুই দোকানকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান রোমেল বলেন, ‘মুগ ডাল বলে মথ ডাল বিক্রি করা এবং তাতে রং মেশানো স্পষ্ট প্রতারণা। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিন মিয়া।

ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, তারা পাইকারি বাজার থেকে যেভাবে ডাল সংগ্রহ করেন, সেভাবেই বিক্রি করেন। বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।

সাধারণ ক্রেতারা বলেন, বাজারে আসল ও নকল পণ্যের পার্থক্য করা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের নিয়মিত তদারকি থাকলে এমন প্রতারণা অনেকটাই বন্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।

অভিযান শেষে ভোক্তা অধিদপ্তর জনস্বার্থে ভেজালবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করার আশ্বাস দিয়েছেন।


ছাগলে কলমি শাক খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৪

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ সেকান্দার খালী গ্রামে প্রতিবেশীর ছাগলে কলমি শাক খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে মামুন মিয়া, তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস, বাবা হুমায়ুন কবির বয়াতি ও মা মোরশেদা বেগম রয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে মামুন মিয়ার একটি ছাগল প্রতিবেশী নসা পঞ্চায়েতের খেতে লাগানো কলমি শাক খেয়ে ফেলে। এ ঘটনায় মামুনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ও নসার স্ত্রী তাসমিমা বেগমের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা একে অপরকে লাথি মারেন। পরে তাসমিমা বেগম হুমকি দিয়ে চলে যান। বিকেল তিনটার দিকে মামুন মিয়া ও তার স্ত্রী দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় ২০ থেকে ২৫ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ঘরে হামলা চালায়। হামলাকারীরা জানালা ও দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে বেধড়ক মারধর, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।

জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ছাগল খেতে যাওয়া নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল। বিকেলে হঠাৎ ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী আমাদের ঘরে ঢুকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে। তার ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার আর নগদ টাকা নিয়ে যায়।

মামুন মিয়া অভিযোগ করেন, নসা পঞ্চায়েত ও জালাল আহমেদ মৃধার নেতৃত্বে আল-আমিনসহ ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা চালায়। বাবা-মা তাদের বাঁচাতে এলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করে।

আহত হুমায়ুন কবির বয়াতি বলেন, ছেলে-বউয়ের চিৎকার শুনে ছুটে যাই, তখন আমাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।

প্রতিবেশীরা জানান, হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত ছিল এবং তারা বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে।


শ্রীমঙ্গলে শিয়ালের কামড়ে ১২ জন আহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় একটি উন্মত্ত শিয়ালের আক্রমণে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আশিদ্রোন ইউনিয়নের শংকরসেনা, ফটকি, রামনগর এবং সিন্দুরখান ইউনিয়নের সাইটুলা গ্রামে ধারাবাহিকভাবে এই ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, অস্বাভাবিক আচরণকারী শিয়ালটি হঠাৎ করে পথচারী ও বাড়ির সামনে থাকা মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কামড়াতে শুরু করে। কেউ তাড়িয়ে দিতে গেলে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন, রাহিদ মিয়া (১০), আমেনা বেগম (৩০), নুরে আলম ফেরদাউস (১৩), মামুন মিয়া (২৫), রেহেনা আক্তার (২০), হোসাইন আহমদ (১৩), সুমন মিয়া (২৩), মো. আতিকুল (২১), নাঈম মিয়া (১৭), নাজমা বেগম (৪০), লুবনা বেগম (১৬) এবং রনি কুর্মী (২১)।

ভুক্তভোগীরা জানান, শিয়ালটি দ্রুত এসে পা, হাঁটু ও পায়ের পাতা লক্ষ্য করে কামড় দেয় এবং সরে যায়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সিনথিয়া তাসমিন দৈনিক বাংলাকে বলেন, আহত ১২ জনকেই হাসপাতালে আনা হয়েছে। সবাইকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে এবং তাদের অবস্থাও স্থিতিশীল।

স্থানীয়রা ধারণা করছেন, শিয়ালটি হয়তো জলাতঙ্কে আক্রান্ত ছিল। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং গ্রামবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শিয়ালটি শনাক্ত ও ধরা নিয়ে তৎপরতা চলছে।


টেকনাফে বিএনপির নেতার মরদেহ ব্রিজ থেকে উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফে মোহাম্মদ ইউনুস সিকদার (৪৮) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী সংলগ্ন সড়কের আনোয়ার প্রজেক্ট নামক স্থান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ইউনুস সিকদার সাবরাং ইউনিয়নের চান্দলী পাড়া এলাকার মো. কাশেমের ছেলে। তিনি সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য (মেম্বার) এবং উপজেলা আরাফাত রহমান খোকো ক্রীড়া সংসদের টেকনাফ উপজেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন।

জানা গেছে, সকালে পথচারীরা রঙ্গিখালী আনোয়ার প্রজেক্ট এলাকার পাশে এক ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। তার পরনে শুধু একটি ফুল প্যান্ট ছিল, তবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

নিহতের স্বজনরা জানান, ইউনুস সিকদার দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি আরাফাত রহমান খোকো ক্রীড়া সংসদের উপজেলা সভাপতি হিসেবে ক্রীড়াঙ্গনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছিলেন। তবে তিনি কীভাবে রঙ্গিখালী এলাকায় গিয়েছিলেন এবং মৃত্যুর কারণ কী- তা তারা জানাতে পারেননি। স্বজনরা দ্রুত ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) হিমেল রায় বলেন, ‘সকালে রঙ্গিখালী মৎস্য ঘেরের পাশে স্থানীয়রা এক ব্যক্তির মৃতদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।’

এদিকে, মোহাম্মদ ইউনুস সিকদারের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী। তিনি এক বিবৃতিতে দ্রুত হত্যার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান।


banner close