ময়মনসিংহের ভালুকায় বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও দেশীয় অস্ত্রসহ তোফাজ্জল হত্যা মামলার আসামী এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাহাদুর (২৮)কে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। গ্রেপ্তারকৃত বাহাদুর উপজেলার জামিরদিয়া ডুবালিয়া পাড়ার গ্রামের উজ্জ্বল মিয়ার ছেলে।
যৌথবাহিনী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ১১৩ বোতল বিদেশি মদ, ৪টি দেশীয় অস্ত্র এবং মাদক বিক্রির নগদ ৬০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। অভিযানের পর বাহাদুরকে ভালুকা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির জানান, গ্রেফতারকৃত বাহাদুরের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া তার নামে পূর্বে তোফাজ্জল হত্যা মামলা রয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
নেত্রকোনায় সুস্বাস্থ্যের জন্য ফলিত পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, বারটান আঞ্চলিক কার্যালয় নেত্রকোনার সম্মেলন কক্ষ সমূহে ১২-১৪ আগস্ট পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার সকালে তিনদিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়। এ প্রশিক্ষণে দুই ব্যাচে মোট ৬০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন । উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক- শিক্ষিকা, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক,ইমাম, এনজি কর্মী এবং কৃষক কৃষাণীসহ মোট ৬০ জন প্রশিক্ষণার্থীর অংশগ্রহণে তিনদিন ব্যাপী এ
বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) আঞ্চলিক কার্যালয় নেত্রকোনার উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অঞ্চল প্রধান ড. মোসা: আলতাফ উন- নাহারের তত্ত্বাবধানে এ প্রশিক্ষণ বাস্তবায়িত হয়েছে॥ এ ছাড়াও প্রশিক্ষণ প্রদান করেন করেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা, পোল্ট্রি ডেভেলপমেন্ট অফিসার, উপজেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার, মেডিকেল অফিসার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বারটান সহ জেলা পর্যায়ের অন্যান্য কর্মকর্তাগন। প্রশিক্ষণে দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস, সুষম খাবার, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রস্তুত করন , শর্করা জাতীয় খাদ্য, আমিষ, ভিটামিন, আঁশ জাতীয় খাদ্য, রোগ প্রতিরোধকারী খাদ্য সহ সুস্বাস্থ্যের জন্য ফলিত পুষ্টি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বরগুনার আমতলীতে ৫৫ হাজার টাকার মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় অভিমানে দশম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির মোল্লা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। চিকিৎসকদের দ্রুত সেবায় প্রাণে বেঁচে যায় সে। এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে আমতলী উপজেলার দক্ষিণ ঘটখালী গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ ঘটখালী গ্রামের অটোরিকশাচালক ওমর ফারুক মোল্লার একমাত্র ছেলে সাব্বির মোল্লা আমতলী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণিতে পড়ে। কয়েকদিন ধরে সে বাবার কাছে ৫৫ হাজার টাকা দামের মোবাইল কিনে দেওয়ার জন্য বায়না করছিল। কিন্তু অটোরিকশা চালক বাবার পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব হয়নি তাই ফোন ও কেনা হয়নি ।
বৃহস্পতিবার সকালে বাবার প্রতি অভিমানে সাব্বির ১০টি ঘুমের ওষুধ ও কিছু কীটনাশক পান করে। পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. লুনা বিনতে হকের চিকিৎসায় সে সুস্থ হয় ।
সাব্বির মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, “বাবা মোবাইল কিনে না দেওয়ায় রাগ করে ভুল করেছি। এখন বুঝতে পারছি বাবার পক্ষে এত দামি মোবাইল কেনা সম্ভব ছিল না।”
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. লুনা বিনতে হক বলেন, “কীটনাশক পান করা এক শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, বর্তমানে সে শঙ্কামুক্ত।”
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিশোরগঞ্জের ইটনায় মিনি স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনের সামনে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের ভিতরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার রাতেই ইটনা থানায় এক আনসার সদস্য বাদী হয়ে ৪২ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত তিনশো জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর ইকবাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পরেই আব্দুন নূর নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তিনি আরও জানান, কিছুদিন আগে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই সদর ইউনিয়নের কয়েকজন যুবক মিলে একটি অস্থায়ী শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করে ইটনা মিনি স্টেডিয়ামে ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু করে। স্থানীয়ভাবে অভিযোগ আসে যে সেখানে খেলার পাশাপাশি জুয়া চলছে। বিষয়টি তদন্তের স্বার্থে ইউএনও টুর্নামেন্ট বন্ধের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, বুধবার বিকেলে তারা স্টেডিয়ামে খেলা শুরু করে। খেলা চলাকালে তিনি সেখানে গিয়ে ইউএনও’র নির্দেশের বিষয়টি জানান এবং খেলা বন্ধ করতে বলেন। এক পর্যায়ে মাঠ থেকে খেলায় অংশগ্রহণকারী এবং দুই থেকে তিন শতাধিক জনতা মিছিল নিয়ে ইউএনও অফিসে যায়। ইউএনও সাহেবকে না পেয়ে তারা বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে হামলা করে। এ সময় বাসভবনে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা বাধা তাদের উপরও হামলা করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে চাইলে তাদের উপরও হামলা করা হয় বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের অনুরোধ ছিল মাঠে যেন জুয়া বা বড় টুর্নামেন্ট না হয়, কারণ বড় টুর্নামেন্ট হলে এলাকার ছেলেরা খেলার সুযোগ পায় না এবং মাঠও নষ্ট হয়। আমি বলেছিলাম বড় খেলার আগে আমাকে জানাতে। কিন্তু তারা আমার নির্দেশ অমান্য করে খেলা চালিয়ে যায়। পরে পুলিশ বাধা দিলে তারা আমার বাসভবনের সামনে এসে হট্টগোল ও হামলা চালায়, এমনকি দায়িত্বরতদের গায়ে হাত তোলে। তখন আমি বাসায় ছিলাম না, এই ঘটনায় পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
ভালাগঞ্জের সাদা পাথর লুটেরাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ এবং টাংঙ্গুয়ার হাওরকেন্দ্রীক অপরিকল্পিত পর্যটন ব্যবস্থার প্রতিবাদে গণ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হাওর ও নদী রক্ষা আন্দোলন এর আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় শহরের আলফাত স্কয়ারে এই গণ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে হাওর ও নদী রক্ষা আন্দোলন এর যুগ্ম আহবায়ক ওবায়দুল হক মিলন'র সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহবায়ক রাজু আহমেদ'র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জনউদ্যোগের আহ্বায়ক রামেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, সিপিবির সাবেক সভাপতি চিত্ত রঞ্জন তালুকদার, পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন সভাপতি একেএম আবু নাছার, প্রেসক্লাব সভাপতি পংকজ কান্তি দে, জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক এড. খলিল রহমান, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, বিশিষ্ট সমাজ সেবক নুরুল হক, সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম মজনু, এড দীপঙ্কর বনিক, জামালগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব তোফায়েল আহমেদ, শান্তিগঞ্জ উপজেলার আহমদ উসমান, ছাতক উপজেলার উজ্জীবক সুজন তালুকদার, রকিব রুবাইয়্যাত, বাংলাদেশ শ্রমীক কল্যাণ ফেডারেশন শফিউল আলম প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাদা পাথর হচ্ছে একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান। সারা দেশে এবং বিদেশে এর পরিচিতি রয়েছে। সাদা পাথর যে লুটপাট হয়েছে, এটি নতুন কিছু নয়, আমরা বলবো সারা দেশেই এই লুট চলছে। সাদা পাথরের লুটপাট হচ্ছে এর একটি উদাহরণ। আমাদেরকে বিস্মিত করেছে। ২০২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের পর আমাদের যে আকাঙ্খা ছিল, সেই আকাঙ্খাক্ষার দায়ে আমরা হতাশ হয়েছি। কেন, আমরা হতাশ হলাম, এই লুটের সঙ্গে রাজনৈতিক যে ঐক্য সেটার জন্য আমরা বিস্মিত হয়েছি। আমরা লক্ষ্য করছি, প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতারা এই লুটের একটি ঐক্য গড়ে তুলেছেন। তাদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে লুট হয়েছে আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ। আমরা লক্ষ্য করছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন এবং পুলিশ বাহিনী এই লুটের একটি অংশ। বিভাগীয় কমিশনার এই লুটপাট নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, যা গণমাধ্যমে আমরা দেখেছি। এই বক্তব্যে আমরা হতাশ হয়েছি। আমরা মনে করি, যারা এই লুটের মদদদাতা, যারা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের লোকজন যারা যুক্ত রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে রাস্ট্র মামলা দায়ের করুক। তাহলেই বলব যে আপনারা সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
বক্তারা আরও বলেন, আমাদের শ্রমিকদের নৌকা ভেঙে নাটক মঞ্চস্থ বন্ধ করতে হবে। আমাদের সুনামগঞ্জের পাথর-বালু লুট হয়েছে। এখানেও একটা রাজনৈতিক ঐক্য রয়েছে। মাঝপথে গণপিটুনিতে গালি দেয়, কিন্তু তারা চুরি যখন করে, এই রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে যে ঐক্য রয়েছে, সেটা প্রকাশ হয়। তাদের নেতৃত্বে আমাদের যাদু কাটা নদী লুট হয়েছে, ধোপাজান নদী, টাংঙ্গুয়ার হাওর লুট হয়েছে। এর সাথে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পুলিশ, প্রশাসনের লোকজন যুক্ত, এটা প্রমাণিত হয়েছে। বক্তারা বলেন, নানাভাবে গণমাধ্যম কর্মীরা, হামলা-মামলা, নির্যাতন এবং হত্যার শিকার হচ্ছে। আমরা গণমাধ্যম কর্মীরা মাথা উঁচু করে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। সাদা পাথর লুটপাটের ঘটনা গণমাধ্যম কর্মীরা তুলে ধরেছেন।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে হিন্দু থেকে মুসলিম হওয়া এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ত্রিশাল থানা ও এলাকাবাসি সূত্রে জানাযায়,আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার কাঁঠাল ইউনিয়নের কালীর বাজারের কাছে ধলাইমান গ্রামের মরহুম মুক্তিযোদ্ধা চানতারার বাড়ির পাশে রেললাইন সংলগ্ন সদ্য লাগানো ধানখেতে একটি অজ্ঞাত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে ত্রিশাল থানা পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসি। পরে ত্রিশাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উপুড় হওয়া মরদেহটি উল্টালে এলাকাবাসি মরদেহটি শনাক্ত করে। তার নাম রতন চন্দ্র সাহা। তবে এলাকাসি জানায়, বেশ কিছু দিন আগে জামালপুর জেলায় এক মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করে মুসলমান হয় রতন। তার বাড়ি অন্যত্র হলেও সে ছোট থেকে তার মামার বাড়ি ত্রিশাল উপজেলার কাঁঠাল ইউনিয়নের নলছিড়া গ্রামে বড় হয়ে উঠে।
ত্রিশাল থানার ওসি মনসুর আহাম্মদ সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং গোপন অঙ্গে সুন্নতে খাৎনা করানো আছে। ধারণা করে হচ্ছে সে হিন্দু থেকে মুসলিম হয়েছে। তিনি আরো জানান, তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানানো হবে।
বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) চিকিৎসা নিতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির সিকদার। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শেবাচিমের মেডিসিন বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ তাকে ২ ঘন্টা পর উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করে। বর্তমানে সাব্বির ও তার মা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শেবাচিম হাসপাতালের ঘটনার প্রত্যক্ষ ভুক্তভোগী সাব্বির শিকদার জানান, তার বড় বোন শেবাচিমে সিজারের পর ইনফেকশনে আক্রান্ত হলে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করাতে আসেন। একইসঙ্গে জ্বরে আক্রান্ত মাকেও হাসপাতালে নিয়ে আসেন তিনি।সকাল ৮টার দিকে তিনি মেডিসিন বিভাগের ১১০ নম্বর রুমে যান এবং প্রায় ১১২ জনের পিছনে দাঁড়ান। সকাল ১১টার দিকে সিরিয়ালে মাত্র ৫ জন বাকি থাকতে স্টাফরা জানান, মানববন্ধনের কারণে রোগী দেখা হবে না।
এ বিষয়ে আগেই জানানো হয়নি বলে আপত্তি তুললে এক পর্যায়ে তার সঙ্গে স্টাফদের তর্ক হয়। পরে তিনি ফেসবুকে লাইভে গেলে তার ফোন ছিনিয়ে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। মা ছাড়াতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে মা-ছেলে মিলে এক ডাক্তারের রুমে আশ্রয় নিলেও সেখানেও মারধর করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক ডা. তানজিম বলেন, আমাদের এখানে এখন শিক্ষার্থী ভর্তি রয়েছে তাকে চিকিৎস্যা দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীর শরীরের বিভিন্ন অংশ ঘাড়ে, মাথায় ও মুখে মারধরের চিহ্ন রয়েছে। মাথার একটা সিটি স্ক্যান ও নাকের এক্স-রে করতে দেয়া হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ডাক্তাররা কেউ তাদের রক্ষা করেননি। বরং হাসপাতাল প্রশাসন এসে উল্টো তাকে ডাক্তারকে মারধরের অভিযোগে শাসানো হয়। পরে পুলিশ এসে মা-ছেলেকে উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা আমেনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, “ওরা সবাই মিলে আমার ছেলেকে মারছিল। আমি বলছিলাম, আমার ছেলেকে মেরো না - এমনকি তাদের পা জড়িয়ে ধরেছি। তারপরও ওরা আমার ছেলেকে এমনভাবে মেরেছে যে রক্ত বের হয়ে যায়। আমি পা জড়িয়ে না ধরলে হয়তো আমার ছেলেকে মেরে ফেলতো।”
প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে শেবাচিম হাসপাতালের এক সেবাগ্রহীতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, "আমি দোতলায় ভর্তি আছি। একজন ডাক্তার সব রোগীকে বের করে দিয়ে প্রতিটি রুমে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। বলছেন, কোনো রোগী দেখা হবে না । আমরা সাড়ে তিন হাজার স্টাফ, আজকে ওদের সঙ্গে বুঝে নেব। একজন মহিলা ডাক্তার এসব বলেছেন। স্টাফরা ডাক্তারদের নির্দেশ অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসেন ফয়সাল বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই আমরা প্রক্টরিয়াল টিম পাঠাই। আমাদের শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি আমাদের শিক্ষার্থীদেরও ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করছি।”
এবিষয়ে জানতে চাইলে শেরে বাংলা মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর বলেন, আমি শুনেছি আমাদের মেডিসিন ওয়ার্ডে মেডিকেলের স্টাফ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ও কিছু রোগীর মধ্য একটা বিশৃঙ্খলা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা নিজেরা একটা তদন্ত কমিটি গঠন করে দিচ্ছি তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। তদন্তের পরে দোষিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর এবিষয়ে পুলিশি তদন্তও চলবে। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই হাসপাতালের সেবাটা যেন সুন্দরভাবে চালু থাকে এজন্য সকলকে শান্ত থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য জানানা।
মৌলভীবাজার মাতারকাপন এলাকায় অবস্থিত বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে ব্যাহত হচ্ছে সেবার মান। অনুসন্ধানে জানা যায়,প্রতিষ্ঠানঠি ১৯৮৬ সালে বিদেশী দাতা সংস্থা ও আজীবন সদস্যদের অনুদানে গড়ে ওঠে। ফলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনার দায়িত্ব পান আজীবন সদস্যরাই।
প্রতি তিন বছর পর পরিচালনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এখানে রয়েছে এক শুভংকরের ফাঁকি। আজীবন সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে থেকে আবার অনেকেই এখানে চাকুরীতে নিয়োজিত রয়েছেন। এভাবে চাকুরীতে থাকা দক্ষ ও অদক্ষ অনেকেরই রয়েছেন পরিচালনা কমিটিতে বাবা,চাচা,ভাই,খালা ও খালু।
এতে কর্মরতদের পেশাদারী কাজে কোন অনিয়ম হলে পরিচালনা কমিটির স্বজনপ্রীতির দুর্নীতির কারণে নেয়া যায় না সঠিক সিদ্ধান্ত।
ভুক্তভোগী অনেকেই বলেছেন,পরিচালনা কমিটির স্বজনপ্রীতির কারণে হাসপাতালে কর্তব্যরত অনেকেরই জবাবদিহিতা নেই। অনেকে স্বেচ্ছাচারি মনোভাব নিয়ে চলেন,রোগীদের সাথে করেন খারাপ আচরণ,সঠিক সময়ে অনেকেই অফিসে আসেন না এমন অভিযোগ রয়েছে। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা সঠিকমানের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। গত এক দশক থেকে এই হাসপাতালে আজীবন সদস্য পদের জন্য জেলার অনেকেই আবেদন করেছেন। কিন্ত বর্তমান পরিচালনা কমিটির সদস্যরা নিজেদের স্বার্থ ও নেতৃত্ব হারানোর ভয়ে বিষয়টি ঝুঁলিয়ে রেখেছেন। পরিচালনা কমিটির এমন স্বেচ্ছাচারি সিদ্বান্তের কারণে অনেকের মনে রয়েছে চরম ক্ষোভ। অনেক আজীবন সদস্য মৃত্যবরণ করেছেন কিন্তু তাদের ছেলে,মেয়ে ও নাতিরা সংযুক্ত রয়েছেন হাসপাতালের সাথে। যেন এটি একটি পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আগামী ১৬ আগষ্ট মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে নতুন পরিচালনা কমিটি গঠন উপলক্ষে ইতিমধ্যে অনেকেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, হাসপাতালের সেবার মান উন্নতি করতে,কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পরিচালনা কমিটিতে যাদের রাখা হবে তারা তাদের কোন সন্তান ও আত্মীয় স্বজন যেন এই হাসপাতালে চাকুরির সুযোগ না পান।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো.ইসরায়েল হোসেন বলেন,বিষয়টির ব্যাপারে আমি এখন গভীরভাবে অবগত হয়েছি। আগামী মিটিং-এ এসব বিষয়ে সবার সাথে কথা বলে ও আরও খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
নওগাঁ শহরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ছোট যমুনা নদীর পানি হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে শহরের লিটন ব্রিজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নওগাঁ শাখা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানিপ্রবাহে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে আগামী ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পানি বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পাউবো নওগাঁর উপসহকারী প্রকৌশলী বিপুল চন্দ্র শিকদার বলেন, ‘দিনাজপুর ও বালুঘাটে বৃষ্টি বেশি হলে দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে। তবে আজ বৃষ্টি না হওয়ায় পানির প্রবাহ এখনো নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে। আমরা সতর্ক দৃষ্টিতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’
এদিকে, হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেকে এরই মধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং জরুরি সহায়তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।’
তিনি আরোও বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং নদীর পাশ ঘেঁষে চলাচল না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থেকে কুষ্টিয়াগামী মহাসড়ক দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের দাবিতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) কুষ্টিয়া শহরে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।
জানা যায়, কুষ্টিয়া শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত মহাসড়ক শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে এবং বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। ২০ কর্মদিবসের মধ্যে টেন্ডার সম্পন্ন করে সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা; ব্যতয় ঘটলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
এই স্মারকলিপিতে বলা হয়, কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন যাবৎ কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মহাসড়কের ভয়াবহ দুরবস্থার শিকার হচ্ছেন। উক্ত মহাসড়কটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান যাতায়াত পথ হওয়ায় এর উপর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম, পরীক্ষা এবং প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড নির্ভরশীল। বর্তমানে এই সড়কটির অবস্থা এতটাই করুণ যে তা দিয়ে যানবাহন চলাচল একপ্রকার অনিরাপদ এবং অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা, যা শিক্ষার্থীদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। এটি শুধু শারীরিক ঝুঁকি নয়, মানসিক ও একাডেমিক দিক থেকেও আমাদের ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
জরুরি সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান বলেন, 'আমরা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে বলেছি তাদের সাধ্যের মধ্যে দ্রুত যেন সংস্কার করে। এটা নিয়ে একটি প্রকল্প হবে, প্রকল্পের কাজ যেন দ্রুত শুরু করার জন্য বলেছি।'
টেন্ডারের বিষয়ে তিনি জানান, ‘টেন্ডার দিয়ে কাজ করতে গেলে সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। পত্রিকায় দেয়া এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে পাশ হওয়া ও বিভিন্ন প্রসেসিং রয়েছে। তবে দ্রুত কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
মাগুরা সদরের পারনান্দুয়ালী বেপারী পাড়ার গৃহবধূ লিজা এখন পরিচিতি লাভ করেছেন একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে। পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর অর্থায়নে এবং অলটারনেটিভ ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এডিআই)-এর বাস্তবায়ন মাগুরায় প্রথমবারের মতো তিনি চালু করেছেন ‘রেডি টু কুক ফিশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক মাছ প্রক্রিয়াজাত ও বিক্রয় কার্যক্রম।
২০২৪ সালের ২৮ জুন শুরু হওয়া এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগের আওতায় লিজা পেয়েছেন ডীপ ফ্রিজ, দোকান উন্নয়ন খাতে নগদ সহায়তা, মাছ সংগ্রহে অর্থ সহায়তা, প্রচারের জন্য লিফলেট ও সাইনবোর্ড। স্বামী জাকির হোসেনের সহায়তায় নিজ বাড়িতেই এ কার্যক্রম চালাচ্ছেন তিনি।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাটকা মাছ সংগ্রহ করে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ধুয়ে, কেটে, বেছে প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে ভোক্তারা অফলাইনে দোকান থেকে এবং অনলাইনে ঘরে বসেই পাচ্ছেন ঝামেলাহীন, পরিচ্ছন্ন ও রান্নার জন্য প্রস্তুত মাছ।
‘রেডি টু কুক ফিশ’ সেবাটি শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তারা অল্প দামে অল্প পরিমাণে মাছ কিনে ঘরে বসে রান্না করতে পারছেন, যা সময় ও পরিশ্রমদুটোই বাঁচাচ্ছে।
মাগুরা ওয়ার্ল্ড নার্সিং কলেজে শিক্ষার্থী সুফিয়া খাতুন জানান,আমি একজন শিক্ষার্থী। আমি হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করি। বেশিরভাগ সময় আমাকে কলেজ ও পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। এই কারণে বাজারে যাওয়া এবং বাজার থেকে মাছ কিনে এনে কুটে রান্না করা খুবই কষ্টসাধ্য। হঠাৎ সন্ধান পেলাম রেডি টু কুক ফিশ অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। এরপর থেকে আমি প্রয়োজন অনুযায়ী অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা মাছ কিনে রান্না করে খেতে পারছি ।এতে আমার আমিষের চাহিদা পূর্ণ হচ্ছে।
স্কুল শিক্ষিকা মারুফা সুওলতানা জানান, আমি একজন কর্মজীবী নারী। দিনের বেশিরভাগ সময় আমাকে অফিসে থাকতে হয়। কোটাকুটির ঝামেলায় মাছ খাওয়া প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছিল আমাদের পরিবারে । কিন্তু বর্তমানে রেডি টু কুক ফিশ পেয়ে আমরা উপকৃত হয়েছি।
লিজার ব্যবসার মাধ্যমে ইতোমধ্যে দুজন নারীর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন তারা মাছ পরিষ্কার, কাটা এবং প্যাকেটজাত করার কাজে যুক্ত। এভাবে একজন নারী নিজে স্বাবলম্বী হয়ে অন্য নারীদের জন্যও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছেন।
মাছ প্রক্রিয়াজাত কাজে যুক্ত থাকা সকিনা খাতুন জানান, আগে বেকার ছিলাম কিন্তু বর্তমানে লিজা আপুর প্রতিষ্ঠানে মাছ কাটা, ধোয়া এবং প্যাকেট জাতের কাজ করি। এতে করে আমার মাসে আয় হচ্ছে প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। এই টাকায় আমার সন্তানদের পড়াশোনার খরচ চালাতে সুবিধা হচ্ছে।
লিজা অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও তার পণ্য বিক্রি করছেন। ধীরে ধীরে তৈরি করেছেন একটি নিজস্ব গ্রাহকভিত্তি। তিনি বলেন, “ছোটবেলা থেকেই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ছিল। সংসারের চাপে সেটা সম্ভব হয়নি। অনেক চিন্তা করে মাথায় এলো, মাছ ধোয়া, কাটা, বাছাইয়ের ঝামেলা থেকে মানুষকে মুক্তি দিলে ভালো সাড়া পাওয়া যাবে। আমি সেটাই করলাম, আর মানুষ সেটা গ্রহণ করেছে।
এডিআই-এর মৎস্য কর্মকর্তা সামিউর রহমান জানান, “লিজার মতো উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে আমরা চাই নারীরা প্রযুক্তি নির্ভর উদ্যোগে এগিয়ে আসুক। এ উদ্যোগটি মডেল হিসেবে কাজ করবে।”
সম্প্রতি মাগুরা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম শাহজাহান সিরাজ সরেজমিনে লিজার দোকান পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, “এডিআই-এর এই উদ্যোগ শুধু একজন নারীকে নয়, পুরো সমাজকে উপকারে আনবে। আমরা এ ধরনের কাজের পাশে আছি।”
নারী উদ্যোক্তা লিজার এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, সঠিক পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও সহায়তা পেলে নারীরা শুধু নিজেদের নয়, পুরো সমাজের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে পারে। তার ‘রেডি টু কুক ফিশ’ এখন শুধু একটি ব্যবসা নয়, এটি একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, মুসলিম বিশ্বে হযরত ওমরের পর যদি কোন রাষ্ট্রনায়ক এসে থাকে, সৎ, যোগ্য ও দেশ প্রেমিক উনি হচ্ছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
আপনারা দেখবেন তিনি যখন রাষ্ট্র পরিচালনা করতেন তখন ওনার গলায় একটি ছোট্ট কবজ ছিল। উনি রুপার চেইনে কবজটি ব্যবহার করেছিলেন। এটি কোন কবজ নয়। এটি একখণ্ড কোরআন। তিনি ৩০পারা কুরআন বুকে নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে কুমিল্লার লাকসাম পৌর অডিটোরিয়ামে আয়োজিত লাকসাম, মনোহরগঞ্জ উপজেলা ও লাকসাম পৌরসভা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
যারা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিশ্বাস করেন না, এদেশে তাদের ভোট চাওয়া এবং নির্বাচন করার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করে বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, নির্বাচিত সরকার ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব টিকে থাকবে না। আইনশৃঙ্খলাসহ নানা সংকট উত্তরণের একটিমাত্র রাস্তা হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচিত সরকার ছাড়া বাংলাদেশের কোন গতি নেই।
বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বরকত উল্লাহ বুলু আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকার ও অন্তর্ব্র্তীকালীন সরকার আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করলে দেশ সমৃদ্ধশালী হবে।
এ সময় বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন, কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ও লাকসাম উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবুল কালাম, কেন্দ্রীয় বিএনপি'র কুমিল্লা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গন অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক রাশেদ খান স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে গত এক বছরে কোন পরিবর্তন হয়নি উল্লেখ করে বলেছেন, যার নিজেরই স্বাস্থের ঠিক নাই এবং বাঙলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাকে বানানো হয়েছে ডাক্তার, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। যার যেখানে অভিজ্ঞতা, তাকে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে আমরা গত এক বছরে অনেক সংস্কার দেখতে পেতাম। ড. মুহাম্মদ ইউনুসের স্বজনপ্রীতির উদাহরণ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। আজকে শিক্ষাখাত ও চিকিৎসা খাতে সরকারের কি ভূমিকা? এই ফরিদপুর মেডিক্যালে আগেও যা ছিল, এখনো সেই অবস্থায় চলছে। কোন পরিবর্তন হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিক লিয়াকত হোসেন মিলনায়তনে জেলা গন অধিকার পরিষদ আয়োজিত মত বিনিময় সভায় কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক রাশেদ খান কথাগুলো বলেছেন।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে বিএনপি, জামায়াত, গন অধিকার পরিষদসহ সবাই মিলে এক সঙ্গে লড়াই করেছি। সেইদিন ফরিদপুরের মানুষ ঝাঁকে ঝাঁকে রাস্তায় নেমেছিল, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের গুন্ডাদের ঝাঁটা দিয়ে বিতাড়িত করেছিল। তার ফল হিসেবে আমরা পেয়েছি একটি গনঅভ্যুত্থান।
তিনি গত সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ফরিদপুরে উন্নয়ন হয়েছে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ক্যাডারদের। উন্নয়ন হয়েছে তাঁর বিয়াই সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের। সাধারণ মানুষের কোন উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন কি করেছিলেন তা ফরিদপুর-ভাঙ্গা ৩২ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা মহাসড়ক দেখলে বোঝা যায়।
রাশেদ খান অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে বলেন, গনঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের কাছে আমাদের অনেক আশা ছিল। উপদেষ্টারা তাদের সম্পদের হিসাব দিতে চেয়েছিল, সেটা জনসম্মুখে দেয় নাই। সরকারের এক বছরে দেশে কোন রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন হয় নাই, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব বন্ধ হয় নাই, দৃশ্যমান কোন সংস্কার হয় নাই।
তিনি আরো বলেন, পৌরসভা দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে ? থানায় দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে ? কোন সেক্টরেই ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ হয় নাই। তাহলে কি সংস্কার হলো, মুলা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সরকার অভ্যুত্থানে যারা সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে তাদেরকে মুলা ঝুলিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, এখন যারা বলতেছেন, গুরুত্বপূর্ন সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়; ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নয়। নির্বাচন না দিয়ে সরকার কি করবে? এই সরকারের কি ক্ষমতা ধরে রাখার সক্ষমতা আছে, ন্ইা। এই জন্যই আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন হবে।
গন অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছাত্র সমন্বয়কদের সমালোচনা করে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এরপরে সেই ছাত্র প্রতিনিধিরা চাঁদাবাজি ও ট্রেন্ডারবাজিসহ দুর্নীতিতে জড়িত হয়ে পড়লো। এর দায় কার? এর দায় উপদেষ্টা পরিষদের, এর দায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের। কারণ তিনি কখনোই বলেন নাই; তোমার দেশের গর্ব, তোমরা আমাদের গনঅভ্যুত্থান এনে দিয়েছো। তোমরা এখন ক্লাসে ফিরে যাও। তা না করে তিনি ছাত্রদের দল করার পরামর্শ দিয়ে মাথায় তুলেছেন।
তিনি বলেন, ডিসি-এসপি-রা সমন্বয়কদের নাম শুনলে, তাদেরকে (ছাত্রদের) আসেন আসেন ডেকে নিয়ে পাশের চেয়ারে বসিয়েছেন। পারলে সমন্বয়কদের খুুঁশি করতে নিজের চেয়ারটা ছেড়ে দিতে পারলে বাঁচে। এইভাবে অতি ভক্ত, তেলামি করে ছাত্রদের বিভ্রান্তিতে ফেলানো হয়েছে। আমি সকল ছাত্রদের কথা বলছি না, যারা করেছে, তাদের বলছি। আজকে ছাত্ররা ডিসি অফিস ও এসপি অফিসে গিয়ে তারা খবরদারি করছে। আমরা গনঅভ্যুত্থানের পর দেশে এইটা আশা করিনি। দেশে যা শুরু হয়েছে, এভাবে দেশ চলতে পারে না। তিনি সর্বশষে ১৪ দলের সহযোগী জাতীয় পার্টির জি.এম কাদের ও চুন্নুর গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
গন অধিকার পরিষদের ফরিদপুর জেলা সভাপতি মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন মোল্যার সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ফরিদপুর জেলা গনঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মোহাম্মাদ ফরহাদ মিয়া, বোয়ালমারী উপজেলা সভাপতি লাবলু শরীফ, ফরিদপুর সদর উপজেলা সভাপতি রাজু আহমেদ, ভাঙ্গা উপজেলার আহ্বায়ক আনিসুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি হৃদয় আহমেদ, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি জুয়েল ভান্ডারী ও সালথা উপজেলা সভাপতি ফারুক ফকির প্রমুখ। মত বিনিময় সভায় জেলার নেতৃবৃন্দ রাশেদ খানের মাধ্যমে ফরিদপুর নামেই বিভাগ ঘোষণা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
নীলফামারী জেলা পরিষদের উদ্যোগে ৫’শ ৭০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। এসব শিক্ষার্থীর মাঝে ৩৭লাখ বিতরণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে (১৪আগস্ট) নীলফামারী জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথি থেকে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম এনডিসি।
জেলা পরিষদের প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা(উপ-সচিব) দীপঙ্কর রায়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রেসক্লাবের সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) আতিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নুর আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ৭০জনের মাঝে শিক্ষাবৃত্তির চেক তুলে দেয়া হয়।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর রায় জানান, ৫৭০জনের মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭১জন, উচ্চ মাধ্যমিকের ৯১জন এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ৩০৮জন মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছেন।
জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে ১০হাজার এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের মেধাবী শিক্ষার্থীকে ৫হাজার করে বৃত্তি দেয়া হচ্ছে এককালীন। আজকে আমরা ৭০জনের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করা হলো।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে ৫জন জুলাই যোদ্ধাকে ৫০হাজার এবং একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে হেয়ারিং এইড কেনার জন্য ২০হাজার টাকার সহায়তা প্রদান করা হয় জেলা পরিষদের উদ্যোগে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, স্বপ্ন দেখতে হবে অনেক বড়। স্বপ্ন নিয়েই এগুতে হবে। তাহলেই গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, মোবাইল আসক্তি কমাতে হবে। মোবাইলের অপব্যবহার শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করছে।