সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫
৩ ভাদ্র ১৪৩২

লন্ডনে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি নারীদের আয়ের পথে কঠিন বাধা

দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:১৪

লন্ডনে বসবাসরত বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি নারীরা এখনো উচ্চশিক্ষিত হয়েও ভালো বেতনের চাকরি পেতে মারাত্মক বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। অন্য জাতিগোষ্ঠীর তুলনায় বৈষম্য, কাঠামোগত অসাম্য এবং কর্মক্ষেত্রে অনমনীয়তার কারণে তারা অর্থবহ কর্মসংস্থান থেকে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন। সম্প্রতি গ্রেটার লন্ডন অথরিটি (জিএলএ) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশি অ্যান্ড পাকিস্তানি উইমেন ইন গুড ওয়ার্ক’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

অনলাইন ডন জানিয়েছে, প্রতিবেদনে হতাশাজনক পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। ২০২২ সালে লন্ডনে প্রায় অর্ধেক পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি নারী (৪৮.১ শতাংশ) ছিলেন অর্থনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয়। একই সময়ে একই পটভূমির পুরুষদের মধ্যে এ হার ছিল মাত্র ১৫.৩ শতাংশ। নারীদের বেকারত্বের হার দাঁড়ায় ১৬.৯ শতাংশ, যা পুরুষদের তুলনায় তিন গুণ বেশি (৫.৫ শতাংশ)। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবচেয়ে উদ্বেগজনক চিত্র হলো লিঙ্গভিত্তিক মজুরি বৈষম্য। লন্ডনে পাকিস্তানি নারীরা গড়ে পুরুষদের চেয়ে প্রায় ৬০ শতাংশ কম আয় করেন, যা যেকোনো জাতিগত গোষ্ঠীর মধ্যে সর্বাধিক পার্থক্য।

এই তথ্যকে ‘চমকপ্রদ’ আখ্যা দিয়ে লন্ডনের ডেপুটি মেয়র ফর কমিউনিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল জাস্টিস ড. ডেবি উইকস-বার্নার্ড বলেন, অভিজ্ঞ পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি নারীরা এখনো পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, এমনকি সাক্ষাৎকারের সুযোগ পেতে অনেকে নিজেদের নাম পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন। তার ভাষায়, ‘এটি গ্রহণযোগ্য নয়। এসব অভিজ্ঞতা যেমন তাদের দৃঢ়তার প্রতিফলন ঘটায়, তেমনি আমাদের দেখায় যে এসব বাধা দ্রুত ভাঙা জরুরি।’

প্রতিবেদনটিতে ৩২ জন নারীর অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে। তাদের মধ্যে হতাশার সুর স্পষ্ট হলেও, অনেকেই দৃঢ় সংকল্পের কথাও বলেছেন। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সলিসিটর খাদিজা (বয়স ৩০ থেকে ৩৫) বলেন, ‘লিগ্যাল প্র্যাকটিস কোর্স (এলপিসি) করতে এখন ১৪ হাজার পাউন্ড লাগে। আমি দীর্ঘদিন ধরে সঞ্চয় করছিলাম। কিন্তু যখন জানালাম আমার বাবা ট্যাক্সি ড্রাইভার, তারা আমাকে অবজ্ঞার চোখে দেখল। অথচ অন্যদের জন্য বিষয়টি সহজ ছিল—তাদের বাবা-মা টাকা দিয়ে দিয়েছেন।’

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ফারজানা জানান, তার এক সহকর্মীকে পদোন্নতি না দিয়ে তা এক শ্বেতাঙ্গ নারীকে দেয়া হয়, যিনি দলের কাজ সামলাতেই পারছিলেন না। অথচ তার সহকর্মীর অভিজ্ঞতা ছিল ১০ বছরের বেশি। পাকিস্তানি শিক্ষিকা আমেনা জানান, সাক্ষাৎকারে তাকে বলা হয় তার উচ্চারণে শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হবে এবং ‘আমাদের অ্যাকসেন্টের সঙ্গে তা মেলে না।’

অন্যদিকে, মুসলিম পরিচয়ের কারণে বৈষম্যের শিকার হওয়ার কথাও উঠে আসে প্রতিবেদনে। বাংলাদেশি স্বেচ্ছাসেবী মাহমুদা বলেন, ‘আমরা যখন হিজাব পরি, তখন অনেকেই সন্দেহ করে—এ কি কাজ করতে পারবে? ঠিকমতো কথা বলতেও পারবে তো?’ এছাড়া পারিবারিক দায়িত্ব এবং কর্মজীবনের ভারসাম্য রক্ষা করাও বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে সাশ্রয়ী চাইল্ডকেয়ারের অভাব তীব্র সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ কর্মী জায়না বলেন, ‘আমি যদি সন্তানদের ডে কেয়ারে রাখি এবং দীর্ঘ সময় কাজ করি, তবে আমার অধিকাংশ বেতনই সেখানে চলে যাবে। এটি বাস্তবসম্মত নয়।’

তবে সব প্রতিকূলতার মধ্যেও অনেক নারী দৃঢ়তা দেখিয়েছেন। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত নীতি-নির্ধারক আনিসা বলেন, ‘আমি শুধুমাত্র একটি বৈচিত্র্য ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে কাজের সুযোগ পেয়েছি। না হলে আজ আমি এখানে থাকতাম না।’

প্রতিবেদনটিতে সংস্কারের আহ্বান জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্লাইন্ড রিক্রুটমেন্ট, বিদেশি যোগ্যতার স্বীকৃতি, সাশ্রয়ী চাইল্ডকেয়ার এবং বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি নারীদের জন্য বিশেষ পদোন্নতি কর্মসূচি। ড. উইকস-বার্নার্ড বলেন, ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বৈষম্য কমানো একসঙ্গে হতে হবে। যেন কোনো সম্প্রদায় পিছিয়ে না থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ী নেতা, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং সিটি হলকে অবশ্যই অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মক্ষেত্র তৈরির প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে, যা লন্ডনের বহুমাত্রিক বৈচিত্র্যকে প্রতিফলিত করবে।


জনবান্ধব সেবায় বদলে গেছে মাধবপুর উপজেলা ভূমি অফিস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সানাউল হক চৌধুরী, মাধবপুর প্রতিনিধি

হবিগঞ্জে মাধবপুর উপজেলা ভূমি অফিস এখন নতুন রূপে বদলে গেছে। নেই এখন দালালদের তেমন উৎপাত। জমির নামজারি, মিচ মামলা, তদন্ত, দাগ নম্বর সংশোধনসহ জমি সংক্রান্ত ভিবিন্ন কাজে মাসের পর মাস ঘুরতে হয় না। নেই তেমন কোন হয়রানি। নেই দালালের দৌরাত্ম।

উৎকোচ না দিলে ফাইল নড়ে না এমন চিত্র অনেকটা এই ভূমি অফিসে নিয়ন্তনে এসেছে এমন মন্তব্য সেবা প্রার্থীদের । এক সময় ভূমি অফিসের নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে সাধারণ মানুষ ভূমি অফিসে আসতে ভয় পেত। আর দালালদের উৎপাত ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু এখন দালালদের উৎপাত তেমন একটা চোখে পরেনি। সাধারণ মানুষ যে কোনো অভিযোগ দিতে সরাসরি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মুজিবুল ইসলামের কাছে আসেন এবং নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা নিজেরাই কর্মকর্তার কাছে জানিয়ে প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহন করছেন। এতে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ভূমি অফিসে খোলা হয়েছে সেবা সহায়তা কেন্দ্র, সুবিন্যস্ত রেকর্ড রুম, তথ্য বাতায়ন, সিটিজোন চার্টার, ওয়েটিং রুম, ডিজিটাল সাইনবোর্ড, শুনানির মাধ্যমে জবাবদিহিতাসহ তৃণমূলে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ভূমি সেবা। রেকর্ড রুম সুন্দর ভাবে বছর ওয়ারী সাজানো হয়েছে। আগে অতীতের কোন তথ্য উপাত্ত বা মামলার নথিপত্র দেখতে অনেক সময় লেগে যেত। নথি পেতে টাকা লাগতো। এখন আবেদন করলেই ফ্রিতে সমস্ত নথিপত্রের কাগজ পেয়ে যাচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা।

সহকারী কমিশনার (ভূমি)মুজিবুর ইসলাম গত ১২/০১/২০২৫ইং তারিখে যোগদান করেন। মাধবপুরে। যোগ দানকালে পেন্ডিং নামজারি ছিল৷ ১হাজার৪শত ৪০টি কিন্তুু গত অর্থবছরে মোট নিষ্পত্তি করেছেন ১হাজার ৩শ ৬৫ টি। বর্তমানে পেন্ডিং ৬শ ৯০টি নামজারি নিষ্পত্তির স্বাভাবিক সময় ২৮ দিন, মাধবপুর উপজেলায় ভূমি অফিসে বর্তমানে গড় নিষ্পত্তি ২০ দিন। গড়ে প্রায় প্রতি কর্ম দিবসে ৮০ থেকে১০০টি নামজারি নিষ্পত্তি করেন।

আসাদুজ্জামান ও আশিক মিয়া দুই সেবা গ্রহন কারী জানান মো: মুজিবুল ইসলাম

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে অফিসের সব কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এতে করে উপজেলা ভূমি অফিসে বৃদ্ধি পেয়েছে সেবার মান। সেবা পেয়ে ভূক্তভোগী জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, বিভিন্ন সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সরকারি খাস জমি ও নদীর জমি উদ্ধার, নদী থেকে ড্রেজার বসিয়ে বালি উত্তোলন বন্ধ, অপরিছন্ন হোটেল এবং সরকারি খাল দখলসহ নানা বিষয়ে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের দণ্ড ও সেবামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুজিবুল ইসলাম বলেন, দৈনিক বাংলা কে জানান হবিগন্জ জেলা প্রশাসক স্যারের দিক নির্দেশনায় আমাদের অফিসে আসা সকলের জন্য জনবান্ধব জনসেবা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। একজন মানুষও যাতে ভোগান্তির স্বীকার না হয় সেজন্য আমরা সর্বদা তৎপর রয়েছি। তিনি আরও বলেন, ‘আইনগত কারণে বিভিন্ন সময় সকল মানুষকে সকল সেবা প্রদান করা সম্ভব হয় না। তারপরও আমরা সব সময় চেষ্টা করি সর্বোচ্চ সেবা দিতে। কর্ণফুলী উপজেলায় ভূমি নিয়ে ভূক্তভোগী মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছি। যাতে মাননীয় ভূমিমন্ত্রীর নেওয়া সকল পদক্ষেপের সুফল জনগণ ঘরে বসেই পায়।’


ভৈরবে ইতালি প্রবাসী নারীর জমি দখল ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজীবুল হাসান, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ইতালি প্রবাসী নারী মোমেনা আক্তার নীলি'র ক্রয়কৃত ভূমিতে আদালতের অনুমতি নিয়ে নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে একটি প্রভাবশালী ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট ৫০লাখ টাকা চাঁদা দাবিসহ জমি দখল ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় আজ ১৮ আগস্ট, সোমবার দুপুরে কমলপুর বাল্লাবিল এলাকায় ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী প্রবাসী নারী।

ভুক্তভোগী প্রবাসী নারী মোমেনা আক্তার নীলি অভিযোগ বলেন, ৪০ বছর ধরে ভোগ দখলীয় নিজের জায়গায় আদালতের বৈধ অনুমতি নিয়ে জায়গার নির্মাণ কাজ করতে গেলে একটি প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্র প্রথমে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় স্থাপনা ভাংচুর করেন এবং জমি দেখল ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় চাঁদাবাজ ও জবরদখলকারী ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের সদস্য রফিক, কাউসার, মোজাম্মেল, জাকির, সবুজ সরকার, কবির মিয়া ওরফে পান কবির, ফারুক ও দালাল সুমন রেফারি গংরা। গত ২২জুলাই রফিকগং ও অজ্ঞাতনামা দাঙ্গাবাজরা রামদা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নির্মানাধীন দেয়াল ভাংচুর করেন। এঘটনায় ভৈরব থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে।

২০০৮ সালে মোমেনা আক্তার নীলি তার বাবার কাছ থেকে এই সম্পত্তি ক্রয় করেন এবং সেখানে মার্কেট ও দোকান নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু তিনি পরিবারসহ ইতালিতে বসবাস করার সুযোগে একটি ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট তার নিজের নামে দলিলকৃত সাড়ে ৪২ শতাংশ জায়গা জোরপূর্বক দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, তার স্বামী হাজী মো: জসিম উদ্দিন একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তিনি প্রবাসে নিজের কর্মের পাশাপাশি ইতালির রোম শহরে স্কুল ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করছেন। তাছাড়া তিনি একটি অনলাইন পত্রিকার চেয়ারম্যান ও মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য হয়ে সামাজিক কর্মকাণ্ড নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। অথচ আমাদের নামেই মিথ্যা কুৎসা রটাচ্ছে ভূমিদস্যুরা।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের সাথে একটি প্রভাবশালী মহল পিছন থেকে কলকাটি নাড়ছে এবং সামাজিক দরবারের অজুহাতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এঘটায় থেকে পরিত্রাণ পেতে ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান এবং তার জায়গাটি জবরদখলকারীদের হাত রক্ষাসহ প্রবাসী পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেন।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় বাসিন্দা মো: শাহাদাৎ হোসেন, মো: চুন্নু মিয়া, সাবেক ইউপি মেম্বার তৌহিদুর রহমান ও মোহাম্মদ আলী প্রমুখ। এসময় শতাধিক স্থানীয় এলাকাবাসী নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।


নরসিংদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এম. এ আউয়াল, নরসিংদী প্রতিনিধি

“অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে ১৮ আগস্ট সোমবার থেকে ২৪ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত ৭ দিনব্যাপী জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ উদ্বোধন করা হয়। সকাল ১০টায় নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী জেলা জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মৎস্য সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন করেন। পরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। নরসিংদী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: ফয়সাল আযম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদী সিভিল সার্জন ডা: সৈয়দ আমিরুল হক শামীম, নরসিংদী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু তাহের মো: সামসুজ্জামান ও নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা জাহান সরকার। সকাল ১১টায় নরসিংদী শহরের থানা ঘাটসহ মেঘনা নদীতে মাছের পোনা অবমুক্তকরন করা হয়। ইতিপূর্বে এ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়।


মাগুরায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উদযাপন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা প্রতিনিধি

“অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশী মাছে দেশ ভরি”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় মাগুরাতেও পালিত হয়েছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ । এ উপলক্ষে সোমবার মাগুরা জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য অফিসের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মাগুরার জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ মিরাজুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শামীম কবির, উপ-পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মো: তাজুল ইসলাম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মিহির কান্তি বিশ্বাস এবং মোঃ হাসিবুল হাসান উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মাগুরা সদর।

অনুষ্ঠানে মৎস্য খাতের উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনজনকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। তারা হলেন—অশোক কুমার বিশ্বাস (সামাজিক বাওর মৎস্য ব্যবসায়ী), আমজাদ হোসেন (পোনা মাছ উৎপাদনকারী) এবং নাজমুল হাসান (বড় মাছ উৎপাদনকারী)।

এসময় অতিথিরা মৎস্য সম্পদ রক্ষায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে বলেন, রাব্বি—“কারেন্ট জালের ব্যবহার প্রতিরোধে নিয়মিত টহল জোরদার করতে হবে। মাছের অভয়াশ্রম রক্ষায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। একইসাথে ছোট মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে মাছের প্রজনন নিশ্চিত করতে হবে।”

আলোচনা সভায় আরও বেশ কয়েকজন মৎস্য ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা তাদের অভিজ্ঞতা ও মতামত ব্যক্ত করেন।


লালমনিরহাটে ফুটবলার মুনকি আক্তারকে সংবর্ধনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. রিয়াজুল, লালমনিরহাট প্রতিনিধি

অনুর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের মূলপর্বে কোয়ালিফাই করায় গর্বিত ফুটবলার মোছা: মুনকি আক্তারকে সংবর্ধনা দিয়েছে লালমনিরহাট জেলা ক্রীড়া সংস্থা।

১৮ ই আগস্ট ২০২৫ সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সংবর্ধনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি এইচ এম রকিব হায়দার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রাজিব আহসান,জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপসহকারী পরিচালক আবদুস সালাম শিকদার,জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা আকরাম হোসেন,কোচ শরিফুল ইসলাম ও আইয়ুব আলী সহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্যগন।

এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাসেল আহমেদ।

এ সময় জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে মুনকি আক্তারকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি সোনালী অতীত ক্লাবের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় তাকে।

এ সময় মুনকি আক্তার তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “লালমনিরহাট একটি অবহেলিত জেলা। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই, আমাদের খেলাধুলার জন্য পাটগ্রামে একটি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হোক।”

জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার জানান, মুনকি আক্তারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। সেই সাথে আরো যারা নারী খেলোয়াড় রয়েছেন তাদেরকেও সহায়তা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই মেয়েরা খেলাধুলায় এগিয়ে আসুক। যেহেতু মুনকির পরিবার আর্থিকভাবে অসচ্ছল। তাই তাদের বসবাসের জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।”


নড়াইলে সাপের কামড়ে ইজিবাইক চালকের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইলে সাপের কামড়ে টিপু মুন্সি (৫০) নামে এক ইজিবাইকচালকের মৃত্যু হয়েছে । রোববার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে । টিপু মুন্সি নড়াইল সদর উপজেলা চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের গোয়ালবাথান গ্রামের মুন্সি হাবিবুর রহমান ওরফে শ্যাম মুন্সির ছেলে ।

টিপু মুন্সির স্ত্রী রোজিনা বেগম বলেন,প্রতিদিনের মত সকালে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ী থেকেবেরিয়ে পড়েন । রাত ৮টার দিকে বাড়ী ফেরেন । রাতের খাবার খেয়ে তিনি ঘুমাতে যায় । রাত ২টার দিকে তিনি বাহ্যিক কাজ সারতে ঘরের বাইরে যান । ঘরে প্রবেশ করার সময় তাকে সাপে কাটে । স্থানীয় ওঝার কাছে নিয়ে গেলে ঝাড়ফুকে কিছু না হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । হাসপাতালে নেবার পথে তিনি মারা যান ।

হাসপাতালের চিকিৎসক আসিফ আকবর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান ।

চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য মোস্তফা কামাল জানান,টিপু মুন্সি দীর্ঘদিন ধরে নড়াইলের নাকসি-চালিতাতলা সড়কে ইজিবাই চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন । তার স্ত্রী একছেলে এক মেয়ে রেখে গেছেন।


মেঘালয়ে গণপিটুনিতে নিহত বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিল বিএসএফ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. মেরাজ উদ্দিন, শেরপুর প্রতিনিধি

ভারতের মেঘালয়ের খাসি হিলসে গণপিটুনিতে নিহত শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার যুবক আকরাম হোসেনের (৩০) এর মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।

নিহত আকরাম শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাঁকাকুড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিন পাগলার ছেলে।

রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নিহত আকরামের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় ভারতীয় স্থানীয় পুলিশ, নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানা পুলিশ এবং নিহত আকরামের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নিহতের বড় ভাই শেখ ফরিদ লাশ গ্রহণের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা লাশ নিয়ে নেত্রকোনা জেলা হাসপাতালে এসেছি। এখানে ময়নাতদন্ত হবে। তারপর মরদেহ নিয়ে নেত্রকোনা থানায় যেতে হবে। সেখান থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার পর বাড়ির পথে রওনা হবো।” তিনি আরও জানান, আকরামের লাশ আমাদের ঝিনাইগাতীর বাঁকাকুড়া গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মেঘালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলস জেলার কৈথাকোণা গ্রামে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে স্থানীয়রা আকরামকে আটক করে এবং নির্মমভাবে মারধর করলে তার মৃত্যু ঘটে।

তার মৃত্যুর পর থেকেই পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আকরামের হত্যার বিচার ও লাশের জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলো।


বেধড়ক পেটানো ধামাচাপা দিতে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাব্বিউল হাসান রমি, জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ছড়ালেখা খারাপ হওয়ায় তাসীন তালহা (৮) নামের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে উপজেলার অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

অভিযোগের দায় এড়াতে মারধরের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই শিশু শিক্ষার্থীকে উল্টো ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা দিয়ে অভিভাবককে গালাগাল করেছেন প্রধান শিক্ষক। এতে স্থানীয় বাসিন্দা ও এলাকাবাসী এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ।

এ ঘটনায় গতকাল রোববার দুপুরে ওই শিক্ষার্থীর মা এবং ওই বিদ্যালয়ের ২৫ জন অভিভাবক স্বাক্ষর করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা যায়, রোববার বিকেলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকতা এবং সহকারী শিক্ষা কর্মকতারা শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা এবং অভিভাবকরা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে অন্যত্র বদলির দাবি জানান। পরে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন কর্মকর্তারা।

অভিভাবক, শিক্ষক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) উপজেলার অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র তাছিন তালহা প্রতিদিনের মতো স্কুলে যায়। ওই দিন প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ক্লাসে গিয়ে ক্লাস টেস্ট অনুশীলনের অংশ হিসাবে সবাইকে ‘আমাদের ছোট নদী’ ছড়া লিখতে দেন। ছড়া লেখায় ছাত্র তালহা বেশ কয়েকটি বর্ণ ছোট বড় করে লিখে শিক্ষককে জমা দেন।

কিছু লেখা ছোট বড় এবং ক্লাসে বিশৃঙ্খলা করায় তাকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় ছাত্রটির পিঠ এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম হয়। পরে সমাবেশ চলাকালীন লাইন বাঁকা হওয়াই আবারও তালহাসহ আরও বেশ কিছু শিক্ষার্থীর হাতে কঞ্চি দিয়ে মারেন ওই প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি সে বাড়িতে এসে মাকে জানালে তার মা মারধরের কারণ জানতে স্কুলের ওই শিক্ষকের কাছে যান। এ সময় গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে তাকে ও তার ছেলেকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা দিয়ে গালাগাল করেন ওই শিক্ষক।

এরপর থেকে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা। ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে তিনি শিশু ছাত্রকে ‘চাঁদাবাজ’ বানানোর চেষ্টা করছেন বলে স্থানীয়রা জানান।

শিশুটির মা তাসলিমা আক্তার বলেন, আমার ছেলে ওই দিন দুপুরে বাড়িতে এসে কান্না করতে করতে আমাকে মারধরের বিষয়টি জানায়। পরে আমি ওই শিক্ষকের কাছে মারধরের কারণ জানতে গেলে তিনি আমাকে বলেন, আপনার ছেলে আমার কাছে এক মাস আগে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। তার ওপর লেখা খারাপ করেছে বলে, আমাকে ও আমার ছেলেকে চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে গালাগাল করেছে। দ্বিতীয় শ্রেণির একজন ছাত্র কীভাবে চাঁদা চাইতে পারে? ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে আমার ছেলের বিরুদ্ধে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ওই শিক্ষক। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম সবসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। সামান্য ভুলেও বাচ্চাদের পেটান, সমাবেশে লাইন বাঁকা হলেও ছাড় দেন না। এমনকি প্রশংসাপত্র দিতে নিয়মবহির্ভূতভাবে টাকা নেন। তার এই আচরণে স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। দ্বিতীয় শ্রেণির শিশু চাঁদা চাইবে এটা অবিশ্বাস্য।

আমিনা খাতুন নামের এক অভিভাবক বলেন, ওই প্রধান শিক্ষক কোমলমতি শিশুদের সাথে প্রায় সময় খারাপ আচরণ করেন। সে ছোট খাটো ব্যাপারে শিশু শিক্ষার্থীদের গাল মন্দ করে করে মারধর করেন। তাকে আমরা এই স্কুলে দেখতে চাইনা।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, মাস খানেক আগে ওই ছাত্র আমার কাছে এসে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দাবি করেছিল। সেদিন ক্লাসে হট্টোগোল করায় ক্লাস নিয়ন্ত্রণ করতে মেরেছি। এটা আমার ঠিক হয়নি। প্রশংসাপত্র কম্পিউটার থেকে তৈরি করতে খরচ হয়। তাই অল্প পরিমাণে আদায় করি। কিন্তু এর কোন রশিদ দেওয়া হয় না। তবে সবার কাছে নেই না।

দ্বিতীয় শ্রেণির শিশু চাঁদা চেয়েছে বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ। সে ৫০ হাজার টাকা চেয়েছে।

এ বিষয়ে আক্কেলপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আমরা অবগত হয়েছি। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট শিক্ষার্থীর অভিভাবক একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।

আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম বলেন, দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রটির মা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় আজ সোমবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সমুদ্রে ভাসতে থাকা আট জেলেকে উদ্ধার করেছে কোষ্টগার্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
‎বাচ্চু মল্লিক, ‎বাগেরহাট প্রতিনিধি

‎শ্যাফট বিকল হয়ে ৩ দিন ধরে সমুদ্রে ভাসতে থাকা ফিশিং বোট এর ৮ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড।

‎সোমবার ১৮ আগষ্ট সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

‎গত ১৪ আগস্ট মাছ ধরার উদ্যেশ্যে ৮ জেলে সহ "এফবি মায়ের দোয়া" নামের একটি ফিশিং বোটটি সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শ্যাফট বিকল হয়ে বোটটি সমুদ্রে ভাসতে থাকে।

‎পরবর্তীতে ৩ দিন পর মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসলে, গত ১৭ আগস্ট রবিবার সকাল ১০ টায় বোটে থাকা জেলেরা কোস্ট গার্ড জরুরি সেবা নম্বর ১৬১১১ এ ফোন করে বিষয়টি জানালে তাৎক্ষনিকভাবে সমুদ্রে টহলরত কোস্ট গার্ড জাহাজ স্বাধীন বাংলা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে স্বল্প সময়ের মধ্যে মোংলা ফেয়ারওয়ে সংলগ্ন ৫ নম্বর বয়ার সমুদ্র এলাকা হতে ৮ জেলেসহ ফিশিং বোটটিকে উদ্ধার করে।

‎পরবর্তীতে কোষ্টগার্ড উদ্ধারকৃত জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা এবং প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহ করে বোটটিকে নিরাপদে হারবারিয়া সংলগ্ন নদীর তীরে পৌঁছে দেয়।

‎বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।


‘‘অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাস কর্তৃক সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা আদায় ও অর্থদণ্ড আরোপ’’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১৭ আগস্ট (রবিবার) ২০২৫ তারিখে জনাব সিমন সরকার, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ-সাভার, জোবিঅ-সাভার আওতাধীন কলমা, গৌরীপুর, গরুরহাট, আশুলিয়া কলেজ রোড, বড় আশুলিয়া সাভার, ঢাকা এলাকার ০৫ টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, আনুমানিক ০.১ কি:মি: বিতরণ লাইনের রুট নেক্স ওয়াশিং ও মা থ্রেড এন্ড এক্সেসরিজ নামক ২টি শিল্প ও ৩টি মিটারবিহীন আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ ১০০ মিটার লাইন পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এতে মাসিক ৮,২৮,৫৮৫/- টাকার গ্যাস চুরি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া, একটি শিল্প গ্রাহককে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা অর্থদন্ড আরোপ করা হয়েছে।

একই দিনে, জনাব হাসিবুর রহমান, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ-এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -সোনারগাঁও, জোবিঅ -সোনারগাঁও আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুরের সোনারগাঁও ইকোনোমিক জোন সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ৩টি অবৈধ চুনা কারখানা ও ২টি হোটেল/রেস্টুরেন্টের সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ ১.৫” ডায়া বিশিষ্ট ২০ ফুট এমএস লাইন পাইপ, বিভিন্ন ক্যাপাসিটির স্টার বার্নার ১৫ টি অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় পানি স্প্রে করে চুনা ভাট্টির মালামাল নষ্ট করা হয়েছে এবং এক্সকেভেটরের মাধ্যমে মালামাল গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১.৫" পিভিসি পাইপ উৎসস্থলে বিনষ্ট করা হয়েছে। ২টি রেস্টুরেন্টের মালিকের কাছ থেকে মোট ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

এছাড়া, অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রাহক আবু তাহের (গ্রা.সং-১০২ -০১৭০৭), ঠিকানা-ডি এম সি ৮৬, পশ্চিম নাখাল পাড়া, ঢাকা এর আঙিনা ভিজিল্যান্স বিভাগ কর্তৃক সরজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিদর্শনে ০৭ তলা বিশিষ্ট ভবনে ১১(এগারো) ডাবল চুলায় গ্যাস ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। গ্রাহক প্রদর্শিত বিল বই অনুযায়ী অনুমোদিত চুলার সংখ্যা ০৪(চার) ডাবল। অনুমোদন অতিরিক্ত ০৭ (সাত) ডাবল চুলায় গ্যাস ব্যবহার জনিত কারনে সংযোগটি তাৎক্ষণিক ভাবে বিচ্ছিন্ন করে TGTDCL-1388137 নম্বরের প্ল্যাস্টিক সীল স্থাপন করা হয়েছে। বিচ্ছিন্নকৃত ০১(এক) টি রেগুলেটর সংশ্লিষ্ট জোনে (মেঢাবিবি-৪) জমা প্রদান করা হয়েছে।


পাতাল মেট্রোরেলের খরচ বেড়ে ৫৯ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকায়। শুরুতে ধরা হয়েছিল ৪৯ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে।

গতকাল রোববার ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঁঞার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ার এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মূল ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) পিএ খাতের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। তবে হালনাগাদ হিসাবে তা বেড়ে আনুমানিক ৭৫ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকায় পৌঁছাতে পারে। তবে সব প্যাকেজের দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় এখনই ডিপিপি সংশোধনের প্রস্তাব পাঠানো হয়নি।

আরও বলা হয়, ২০১৯-২৪ সালের মধ্যে ডলারের বিনিময় হার ৪২ শতাংশ বেড়েছে।

পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি, নির্মাণসামগ্রীর দাম ও শ্রমিকের মজুরি বাড়ার কারণে ব্যয় বেড়েছে। এছাড়া অংশীজনদের অনুরোধে পাতাল স্টেশনের নকশা একাধিকবার সংশোধন করতে হয়েছে। এ জন্য ব্যয় বেড়েছে।

প্রকল্পের দরপত্র প্রস্তাবের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের ১২টি প্যাকেজের মধ্যে এখন পর্যন্ত আটটির দরপত্র জমা পড়েছে।

এর মধ্যে একটির কাজ প্রায় শেষ। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে চারটি জাপানি, দুটি চীনা ও দুটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান। এছাড়া তিনটি প্যাকেজে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশি কন্ট্রাক্টর সহযোগী হিসেবে যুক্ত রয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে কন্ট্রাক্টরদের প্রস্তাবিত দর ডিপিপিতে ধরা অনুমানের তুলনায় অনেক বেশি।

রাজধানীতে ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ পাতাল ও উড়াল রুট মিলিয়ে গড়া হচ্ছে এমআরটি লাইন-১।

১২টি প্যাকেজের মাধ্যমে নির্মাণ হবে পাতাল মেট্রো। এরই মধ্যে ডিপো এলাকার উন্নয়নকাজ শেষ হলেও অন্য ১১টি প্যাকেজের ক্রয়প্রক্রিয়া এখনো চলমান।

২০২৬ সালের ডিসেম্বরে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।


সাগর তীরে ৬০ বছর ধরে গরু চরানো কাজ করছে কালা মিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কালা মিয়ার বয়স এখন প্রায় ৭২। পুরো ৬০ বছর ধরে তিনি একটি মাত্র কাজ করে আসছেন। সাগর তীরের তৃণভূমিতে গরু চরানো। মজুরির বিনিময়ে গৃহস্থদের গরু চরানোই তার জীবনের প্রধান পেশা। এ দীর্ঘ সময়ে তিনি এক ডজনেরও বেশি গৃহস্থের গরু চরিয়েছেন। তার বাড়ি কক্সবাজার টেকনাফ সাবরাং কচুবনিয়া গ্রামে।

এখনো প্রতিদিন ভোরে কাঁধে গামছা, হাতে বাঁশের লাঠি আর একটি পলিথিন নিয়ে গরুর পাল নিয়ে মাঠে ছুটে যান তিনি। জ্বর থাকলেও কিংবা শরীর খারাপ হলেও কাজ ফেলে ঘরে বসে থাকেন না।

কালা মিয়া বলেন, ‘গরুর চোখের দিকে তাকালেই মনে হয়, ওরা আমার সঙ্গে কথা বলছে। আমি প্রতিটি গরুর নাম রেখেছি- কেউ ‘ধইল্ল্যা’, কেউ ‘কালু’, কেউ বা ‘সোনামণি’। নাম ধরে ডাকলেই তারা আমার দিকে ছুটে আসে। কোনো গরু অসুস্থ হলে আমি রাত জেগে থাকি। একবার এক গরু পায়ে আঘাত পায়, তখন নিজের ওষুধই তাকে খাইয়ে দেই। ভুল হলেও গরুটি সুস্থ হয়ে গিয়েছিল।’

মাত্র ১২ বছর বয়সে মাত্র ২০ টাকায় রাখালের কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। এখন মাসিক মজুরি পান ৫-৬ হাজার টাকা। পাশাপাশি প্রতি বছর দুটি ছোট গরু কিনে লালন করেন, বড় হলে বিক্রি করে কিছু লাভ পান। কিন্তু আর্থিক লাভই তার মূল টান নয়- গরুর গায়ে হাত বোলানো আর মাঠে তাদের সঙ্গে সময় কাটাতেই তার শান্তি।

টেকনাফের সাগর তীরে গরু চরানো একসময় জনপ্রিয় পেশা ছিল। বছরের ৭-৮ মাস বালুচরে অসংখ্য গরুর পাল ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম আর কষ্টকর পরিবেশের কারণে অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দেন। কিন্তু কালামিয়ার জীবন কেটেছে সাগর তীরেই, গরুর সঙ্গেই।

তিনি বলেন, ‘আত্মীয়রা আমাকে দোকান করতে বলেছে, কিন্তু আমি পারিনি। দোকানে আরাম আছে, কিন্তু শান্তি নেই। শান্তি আমি পাই মাঠে, গরুর পাশে।’

গ্রামবাসীর চোখে কালামিয়া কেবল একজন রাখাল নন, তিনি একজন প্রেরণাদায়ী মানুষ। স্থানীয় তরুণরা মাঝে মধ্যে তার সঙ্গে মাঠে যায়, শিখে নেয় গরু পালনের কৌশল। স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহিম বলেন, ‘কালা চাচা শুধু রাখাল নন, তিনি একজন ভালোবাসার মানুষ। গরুর প্রতি তার মায়া, দায়িত্ববোধ ও নিষ্ঠা আমাদের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’

যে সমাজে মানুষ প্রায়ই পেশা বদল করে, সেখানে কালামিয়ার ৬০ বছর একই কাজে থাকা সত্যিই বিস্ময়কর। তার জন্য গরু চরানো শুধু পেশা নয়, মায়ার বাঁধন। এমন মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সবার দায়িত্ব।


banner close