মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
৪ ভাদ্র ১৪৩২

কুষ্টিয়া সীমান্তে বিজিবি’র পৃথক অভিযানে ৩০ লক্ষ টাকার মাদক উদ্ধার

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:১৪

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে পৃথক অভিযানে ৩০ লক্ষ টাকার মাদক উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় ১৫০ গ্রাম হেরোইন, ৩ কেজি ৮ গ্রাম গাঁজা, ৩৫ পিস ইয়াবা, ১৯২ পিস সিলডিনাফিল ট্যাবলেট, ৮৯২ পিস সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ৫৯০ কেজি অবৈধ কারেন্ট জাল আটক করা হয়। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজিবি সূত্র জানান, মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) মধ্য রাতে সীমান্তের ধর্মদাহ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার ডিজিটি মাঠে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ৫০ গ্রাম হেরোইন এবং ৩৫২ পিস সেনেগ্রা ট্যাবলেট আটক করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২,০৫,৬০০ টাকা।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট সন্ধা ৬টার দিকে উপজেলার উদয়নগর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার পদ্মা নদীর মধ্যবর্তী স্থান থেকে ভারতীয় ৫৯০ কেজি কারেন্ট জাল আটক করেন (৪৭ বিজিবি)। যার মূল্য ২৩,৬০,০০০ টাকা। পরে একই দিন রাত ১১টার দিকে রামকৃষ্ণপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ পুরাতন ঠোটারপাড়া এলাকায় ভারতীয় ১০০ গ্রাম হেরোইন, ৩ কেজি ৮ গ্রাম গাঁজা, ৩৫ পিস ইয়াবা এবং ১৯২ পিস সিলডিনাফিল ট্যাবলেট আটক করেন তারা। যার মূল্য ২,৮১,৪০০ টাকা। ওই দিন একই সময় সীমান্তের জয়পুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ ময়ারামপুর মাঠে অভিযানে ভারতীয় ৩০০ পিস সেনেগ্রা ট্যাবলেট আটক করতে সক্ষম হয় (বিজিবি)। যার মূল্য ৯০,০০০ টাকা।
এছাড়াও পার্শ্ববার্তী মেহেরপুর জেলার ধলা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ ধলা মাঠের মধ্যে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে ভারতীয় ২৪০ পিস সেনেগ্রা ট্যাবলেট আটক করেন তারা। যার মূল্য ৭২,০০০ টাকা।
৪৭ ব্যাটালিয়ন এর পৃথক অভিযানে আটককৃত মাদকদ্রব্যের সর্বমোট মূল্য ৩০,০৯,০০০ টাকা। আটককৃত মাদকদ্রব্য এবং কারেন্ট জাল ধ্বংসের জন্য ব্যাটালিয়ন স্টোরে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মাহবুব মুর্শেদ রহমান, পিএসসি জানান, সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং মাদক পাচারসহ সব ধরনের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। ভবিষ্যতেও চোরাকারবারীসহ মাদক আটকে বিজিবি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে।


বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করেছে কোস্ট গার্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার কেরানীগঞ্জে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করেছে কোস্ট গার্ড।

মঙ্গলবার ১৯ আগস্ট ২০২৫ তারিখ বিকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনে এগিয়ে এসেছে। দুস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষদের বিভিন্ন সময় মেডিকেল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে কোস্ট গার্ড।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১৯ আগস্ট ২০২৫ মঙ্গলবার সকাল ৯ টা হতে দুপুর ২ টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড স্টেশন পাগলার ব্যবস্থাপনায় ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানাধীন কাওতাইল সংলগ্ন বিসিজি স্টেশন পাগলার সিসিএমসিতে মেডিকেল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়। উক্ত মেডিকেল ক্যাম্পেইন এ ৩৫৫ জন অসহায়, গরীব, দুঃস্থ ও শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের জনসেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।


কুমিল্লায় সড়কের মাঝে নেই সেতু, দুর্ভোগে ৫০ হাজার মানুষ

আপডেটেড ১৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:২১
তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা দক্ষিণ

মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল- গাজীরহাট সড়কের সাহেদাগোপ এলাকার সেতু না থাকায় নৌকায় পারাপার হয় ৩ ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। সেতুর অভাবে অ্যাম্বুলেন্স যেতে পারে না ওই সব এলাকায়। ফলে মুমূর্ষু রোগী ও গর্ভবতী নারীরা পড়ছেন চরম বিপদে। চার দশকের বেশি সময় ধরে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে সেতু নির্মাণ না হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, জেএসপি -৩ প্রজেক্ট থেকে ২০২০ সালে সড়কের ২ কিলোমিটার কাজ পায় ঠিকাদার কামাল উদ্দিন চেয়ারম্যান। ওই কাজের সাথেই একটি বক্সকালভার্টের প্যাকেজ ছিলো।মেকাডামের কাজ শেষ হওয়ার পর ঠিকাদারের মৃত্যুতে সড়কের বাকি কাজ আটকে যায়। একপর্যায়ে জেএসপি-৩ প্রজেক্টটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেতুর কাজটি আর করা হয়নি।

স্হানীয়া জানায়, শ্রীকাইল থেকে গাজীরহাট প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কের সবচেয়ে বড় দূর্ভোগ সাহেদাগোপের ভাঙা। এদিক দিয়ে বিলের পানি নেমে প্রায় ৪০ ফুট রাস্তা ভেঙে গেছে। দীর্ঘ চার দশক পেরিয়ে গেলেও ভাঙা স্হানে কোনো সেতু করা হয়নি।

সড়ক ভাঙার কারণে বর্ষাকালে নৌকাই যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। শুষ্কু মৌসুমে থাকে হাঁটু পানি। তখন পুরুষরা লুঙ্গি উঁচিয়ে ভাঙা পার হলেও নারীরা পড়েন বেকায়দায়। সড়কের ভাঙা অংশে সেতু নির্মাণ হলে দূর হবে ওই এলাকার ৫০ হাজার মানুষের দূর্ভোগ।

পাল্টে যাবে ব্যবসা- বানিজ্য, কৃষি, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবার সামগ্রিক অবস্হা।

শাহেদাগোপ গ্রামের ইসলাম মেম্বার বলেন, এই পথ দিয়ে বাঞ্ছারামপুর হয়ে শতো শতো মানুষ ঢাকায় আসা যাওয়া করেন। শুধু সেতুর অভাবে পরিবহন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে হলে ঘুরে যেতে হয় প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার সড়ক পথ। একটি সেতু হলে সড়কের দুঃখ কষ্ট থাকবে না।

ভূতাইল গ্রামের সমাজ সেবক সুজন মুন্সি বলেন, এই পথ দিয়ে শ্রীকাইল সরকারি কলেজ, সোনাকান্দা দারুল হুদা বহুমুখী কামিল মাদ্রাসা, বলিঘর হুজুরী শাহ উচ্চ বিদ্যালয় ও জাঙ্গাল উচ্চ বিদ্যালয়সহ অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা আসা -যাওয়া করেন। একটি সেতুর অভাবে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।

ভাঙা স্হানে সেতু নির্মিত হলে শুধু মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল, আকপুর, আন্দিকুট ইউনিয়নই নয় বরং পাশের উপজেলা নবীনগর, বাঞ্ছারামপুর ও হোমনার অন্তত ৬০ হাজার মানুষ সরাসরি উপকৃত হবেন।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল করিম, মতিন ও সুজন মিয়া বলেন, আমরা প্রচুর ফসল উৎপাদন করি। কিন্তু খেয়াঘাট দিয়ে মালামাল পারাপার করতে গিয়ে সময়, শ্রম ও অর্থ সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেতুটি হলে আমাদের জীবন অনেক সহজ হতো।

খেয়া ঘাটের মাঝি মনির হোসেন বলেন, এলাকাবাসীর প্রয়োজনে আমাকে দিন-রাত খেয়া চালাতে হয়। যাত্রীরা খেয়া পারাপারে খুশি হয়ে যা দেন তাই নেই। এখানে একটা সেতু খুব প্রয়োজন। দূর থেকে হঠাৎ কেউ গাড়ি কিংবা বাইক নিয়ে আসলে বিপদে পড়েন। গন্তব্যে পৌঁছাতে তাঁদের অনেক রাস্তা ঘুরতে হয়।

বলীঘর গ্রামের সাবেক মেম্বার রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় ৪০ বছর যাবত এই জায়গাটা দিয়ে দুই ইউনিয়নের চকের পানি নামে। এই পথ দিয়ে যানবাহন চলাচলে মানুষের চরম দুর্ভোগ। এখানে সারাবছরই পানি লেগে থাকে। জনস্বার্থে সেতুটি খুবই জরুরি।

মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ বলেন, " আমি আসার পর খোঁজ নিয়ে জেনেছি ঠিকাদারের মৃত্যু ও পরবর্তীতে (জেএসপি- ৩)প্রজেক্ট বন্ধ হওয়ায় সেতুটি করা হয়নি। সিআইডিপি প্রকল্পে এই সড়ক ও সেতুর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করি শীঘ্রই কাজটির অনুমোদন হয়ে আসবে।


মেহেরপুরের কাজিপুর সিমান্ত দিয়ে ৩৯ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠালো বিএসএফ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সোহেল রানা বাবু, গাংনী প্রতিনিধি

মেহেরপুর সিমান্ত দিয়ে নারী শিশু ও পুরুষ সহ ৩৯ জনকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে গাংনী উপজেলার কাজিপুর সিমান্তের ১৪৭ নং মেইন পিলারের কাছ দিয়ে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

হস্তান্তরকৃতরা সকলেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। বিভিন্ন সময়ে তারা অবৈধভাবে ভারতে পাড়ি দিয়েছিল। সেখানে থাকা অবস্থায় ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে জেলহাজাতে প্রেরন করে।

কারাভোগ শেষে তাদেরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বাংলাদেশ বিজিবির কাছে।

বিজিবি কাজিপুর ক্যাম্প জানিয়েছে ভারত থেকে আসা সকলেই বিজিবি হেফাজতে রয়েছে, তাদের তথ্য যাচাই বাছাই শেষে গাংনী থানায় সোর্পদ করা হবে।

মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ভূমি কমিশনার সাদ্দাম হোসেন ও গাংনী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ বনী ইসরাইল এর উপস্থিতিতে তাদের বিএসএফ সদস্যদের কাছ থেকে এই ৩৯ জনকে বুঝে নেয়া হয়।

ভারত থেকে আসা ব্যাক্তিরা হলো, অঞ্জনা রানী ঘোষ (৪২), বিমল অধিকারী (৮৭), মালতি অধিকারী (৭৫), বর্ণা অধিকারী (৩৭), রিয়া অধিকারী (০৪), এসডি বেলায়েত হোসেন (৩৫) হামিাদ বেগম (২৯) ইব্রাহীম হোসেন, (০৪) তরুন সেনা (৩৮) প্রভাতী সেনা (৩০) রুমা আক্তার (২০) সাবিনা শেখ (৩২) শেফালী (৪৩) লিটন মিয়া (৩৫) দুলালী খাতুন (৪৫) সৈয়দ আলী (৩১) রমজান আলী (২৮) আরজু আহম্মেদ (৫০) জয়নাল হক (২৬) গোলাম মোস্তফা (২৮) রুবেল (৩৩) মেজবাবুল (২৬) পারভেজ (৩৭) ইমরান (২৪) আশাদুল (২৩) এশাদুল (৫০) মহন আলী (৩৬) প্রকাশ পাল (৩৫) রব্বানী (৩৯)


কুমিল্লার মুরাদনগরে ঘরে ঘরে জ্বরের প্রকোপ, আক্রান্তে শিশু ও বয়স্করা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তরিকুল ইসলাম তরুন: কুমিল্লা দক্ষিণ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাস জ্বর। প্রায় প্রতিটি পরিবারেই কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছে এই জ্বরে। পাশাপাশি বেড়েছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদেরকে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এসব রোগে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন জরুরি ও বহির্বিভাগে ৬৫০-৭০০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। শয্যা সংকটে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন অসংখ্য রোগী। কেউ কেউ আবার ভিড় এড়াতে বেসরকারি ক্লিনিকে যাচ্ছেন। মুরাদনগর সরকারি হসপিটালের আরএমও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রতিদিন প্রায় ১৭০-১৮০ জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। শিশুদের মধ্যে অধিকাংশই জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। ১৮ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে ২৫ জন রোগী। একই চিত্র দেখা গেছে মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডেও। মহিলা ওয়ার্ডে ১৭ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছে ৩৮ জন এবং পুরুষ ওয়ার্ডে ১৫ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছে ৩১ জন।

১৯ অগাস্ট মঙ্গলবার, সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগের সামনে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন অসংখ্য রোগী ও তাদের স্বজনরা। শিশু রোগীর সংখ্যা ছিল বেশি। ভুবনঘর গ্রামের শারমিন আক্তার এক বছরের সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তিনি বলেন, “ছয় দিন ধরে জ্বর-ঠান্ডায় ভুগছে বাচ্চা। ফার্মেসির ওষুধে কোনো কাজ হয়নি, তাই ডাক্তার দেখাতে এসেছি। নিমাই কান্দি গ্রামের সাথী আক্তার বলেন, “তিন দিন ধরে বাচ্চার জ্বর-কাশি চলছে। ডাক্তার দেখানোর জন্য ভোর থেকে অপেক্ষা করছি।”

অন্যদিকে শুশুন্ডা গ্রামের সোহেল মিয়া বলেন, “তিন দিন ধরে ছেলের জ্বর। রাতে জ্বর বেড়ে যায়, তাই হাসপাতালে নিয়ে আসলাম।

পুড়াকান্দি গ্রামের নুরজাহান বেগম তিন বছরের ছেলে জুনায়েদকে নিয়ে দুই দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি জানান, ছেলে জ্বর, বমি ও ডায়রিয়ায় ভুগছিল। এদিকে মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি নাসিমা আক্তার (৩০) জানান, প্রথমে জ্বর হয়েছিল, পরে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। আরএমও আরো জানান নবজাতকরা সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে। নবজাতক আক্রান্ত হলে দ্রুত অবস্থা গুরুতর হয়ে যায়। তাই মায়েদের সতর্ক থাকতে হবে, ঘন ঘন বুকের দুধ খাওয়াতে হবে এবং অসুস্থ হলে দ্রুত হাসপাতালে আনতে হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল ইসলাম মানিক বলেন, “বর্ষা মৌসুমে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ বেশি দেখা দিচ্ছে। রোগীদের বেশিরভাগই ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সেবা দেওয়ার।” তিনি পরামর্শ দেন, “ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ভিটামিন-সি যুক্ত মৌসুমি ফল যেমন, আনারস, পেয়ারা, লেবু, মালটা, আমড়া এবং ফলের জুস খেতে হবে। একই সঙ্গে বিশুদ্ধ পানি পান ও হালকা-তরল খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।


‘‘অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাস কর্তৃক সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা আদায়’’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১৮ আগস্ট (সোমবার) ২০২৫ তারিখে জনাব সিমন সরকার, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -চন্দ্রা, জোবিঅ-চন্দ্রা আওতাধীন সফিপুর, পশ্চিমপারা, কালিয়াকৈর, গাজীপুর এলাকার ০৩ টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, আনুমানিক ২০টি বহুতল ভবন এবং ৫ টি টিন সেড বাড়ির মোট ২৬০টি ডাবল চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ অনুমোদন অতিরিক্ত চুলায় গ্যাস ব্যবহারের কারনে ৬ জন গ্রাহকের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের ২৫০ ফুট লাইন পাইপ, ৩/৪ ইঞ্চি ব্যাসের ৪০ ফুট থ্রেড প্লাস্টিক পাইপ ও ৫ টি সম্পুর্ন অবৈধ রেগুলেটর অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের দায়ে ১জন ব্যবহারকারীর নিকট হতে ৳ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

একই দিনে, জনাব মনিজা খাতুন, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর মেট্রো ঢাকা বিপণন বিভাগ-৪ (গুলশান কার্যালয়) এর আওতাধীন বাউনিয়া, তুরাগ সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, M/ S Tex World Food Dyeing ও এস এম ওয়াশিং প্ল্যান্ট নামক বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অবৈধভবে বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে গ্যাস ব্যবহার করায় সংযোগটি ও আনুমানিক ৫৪টি ডাবল চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের ২০০ ফুট লাইন পাইপ ও ৬ টি সম্পুর্ন অবৈধ রেগুলেটর অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের দায়ে ২জন বানিজ্যিক ও ২জন আবাসিক ব্যবহারকারীর নিকট হতে সর্বমোট ৩,২০,০০০/- (তিন লক্ষ বিশ হাজার) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

এছাড়া, জনাব হাসিবুর রহমান, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -রুপগঞ্জ, জোবিঅ -রুপগঞ্জ আওতাধীন মুড়াপাড়া, রূপগঞ্জ , মাসুমাবাদ রূপগঞ্জ এবং হাটাবো রুপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ এলাকার ০৫ টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, আল মদিনা হোটেল এন্ড সুইটস, সোনার বাংলা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট ও নামবিহীন বিরিয়ানির দোকান এবং প্রায় ২.০ কি.মি. এলাকার আনুমানিক ১৯০ বাড়িতে ২১০ টি ডাবল চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের ৬২ ফুট লাইন পাইপ, হোস পাইপ ৫০ ফুট ও ১ টি সম্পুর্ন অবৈধ রেগুলেটর অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের দায়ে ২জন বানিজ্যিক ব্যবহারকারীর নিকট হতে ৳ ২,২০,০০০/- (দুই লক্ষ বিশ হাজার) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

এছাড়াও, আঞ্চলিক ভিজিল্যান্স বিভাগ- নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক মুক্তারপুর, মুন্সিগঞ্জ ও ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ এলাকার ০৮ টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, মদিনা ডাইং এন্ড প্রিন্টিং (৩৭০০০০২৩), পরিদর্শন কালে মিটারে গ্যাস ফ্লো মেজারমেন্ট না পাওয়ায় মিটারটি খুলে চেক করত: বুঝা যায় মিটারটি বিকল এবং হাউস লাইনে অতিরিক্ত পয়েন্ট পরিলক্ষিত হওয়ায় তা অপসারণের জন্য গ্রাহককে পরামর্শ প্রদান করে হয়েছে। এস.বি নিট কম্পোজিট (৩০৬০০০৬১২/ ৮০৬০০০৬১২) -এর ক্যাপটিভ ও জেনারেটর হাউস লাইনে কিছু অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত পয়েন্ট পাওয়া যায়, যা অপসারণের জন্য গ্রাহককে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হতে গত ১৮ আগস্ট, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ২৯৬টি শিল্প, ৩৫৯টি বাণিজ্যিক ও ৬৫,২৯৬টি আবাসিকসহ মোট ৬৫,৯৫১টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ১,২৫,১৩৮টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ২৫০.৫ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।


পাবনার প্রত্যন্ত চতরা বিলাঞ্চলে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান, দুই জন আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাবনা প্রতিনিধি

জেলার আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চতরা বিলাঞ্চল চরমপন্থি ময়েজ বাহিনীর আস্তানায় অস্ত্র তৈরি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার ভোরে আতাইকুলা থানা পুলিশ ওই আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র তৈরির কাজে নিযুক্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, আতাইকুলা থানার অন্তর্গত আটঘরিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত চতরা বিলাঞ্চলে সন্ত্রাসী ময়েজ বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি ও আতাইকুলা থানা পুলিশ মঙ্গলবার ভোরে ওই বিলে ময়েজ বাহিনীর আস্তানায় বিশেষ অভিযান চালায়। এ সময় বিলের মধ্যে লুকানো ঘাঁটি থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, অস্ত্র তৈরির ছাঁচ, কাটিং মেশিন, ড্রিল মেশিন, লোহার পাত, গানপাউডারের মতো উপকরণসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা করা হয়।

এ সময় আস্তানা থেকে অধিকাংশ সন্ত্রাসী পালিয়ে গেলেও দুজন আটক হয়। এরা হলো সদর উপজেলার মনির হোসেন (৪০) ও রেজাউল ইসলাম (৪২)।

আটক ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, স্থানীয়ভাবে সংগঠিত ডাকাতি ও চাঁদাবাজির জন্য এসব অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছিল।

স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, চতরা বিলের দুর্গম চরাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই ময়েজ বাহিনীর তৎপরতা চলছিল। দিনের বেলায় তেমন দেখা না গেলেও রাতে তারা অস্ত্রসহ মহড়া দিত। এতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছিল। বিলে বিপুল সংখ্যক আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

আতাইকুলা থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম জানান, আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চতরা বিলকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল ময়েজ বাহিনী। বেশ কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ করার পর আজ ভোরে ওই বিলের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ৮ চেম্বার বিশিষ্টি একটি রিভলবার, একটি ওয়ার শুটারগান এবং অস্ত্র তেরির সরঞ্জাম উদ্ধারসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং অন্যদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।


গারো পাহাড় সীমান্তে ৪০ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর জেলা প্রতিনিধি

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড়ের কর্ণজোড়া ও পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় বিভিন্ন চোরাই পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ভোরে কর্ণজোড়া বিজবি ক্যাম্পের সদস্যরা এসব চোরাই পণ্য জব্দ করে।

বিজিবির পক্ষ থেকে ১৯ আগষ্ট দুপুরে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড়ের কর্ণজোড়া সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালায় কর্ণঝোরা ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা। এসময় বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা চোরাই পথে আনা মালামাল ফেলে পালিয়ে যায়। একইসময় বিজিবির অপর একটি দল পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালায়। দুই স্থান থেকে ৫৫৮টি মোবাইল ডিসপ্লে, ২৪০ কেজি জিরা, ২ হাজার পিস ভারতীয় জেলিট গার্ড, ১০ হাজার ৮ পিস জিলেট গার্ড কার্টিজ, ১২শ পিস স্ক্রীণ শাইন ক্রিম ও একটি ডিসকভার মোটরসাইকেল, ২৮০ বক্স পন্ডস ফেসওয়াশ জব্দ করে। এসবের বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা বলে জানা গেছে।


কোম্পানীগঞ্জে আরও ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিলেট প্রতিনিধি

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আরও ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত উপজেলার পাড়ুয়া-ভাংতি এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদাপাথরে লুটের ঘটনায় প্রশাসনের নজরদারি জোরদার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিদিন চলছে উদ্ধার অভিযান। গতকাল (সোমবার) থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ ঘনফুট সাদা পাথর উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) সন্ধা থেকে রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জে পাড়ুয়া-ভাংতি এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০ হাজার ঘনফুট সাদা পাথর উদ্ধার করা হয়। এ সময় কাউকে আটক করা যায়নি। এখন পর্যন্ত খনিজ সম্পদ ব্যুরোর মামলায় ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া সাদাপাথরে লুটপাটে জড়িতদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশি অভিযান চলছে।’

এর আগে, সোমবার বিকেলে সিলেট সদর উপজেলার টিলাপাড়া, রঙ্গিটিলা, কান্দিপাড়া ও সালিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ধানখেত এবং কারো কারো বাড়ির উঠান, পথের ধারে ঘাস লতাপাতায় লুকানো অবস্থায় রাখা প্রায় ৫ হাজার ১০০ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে প্রশাসন।

এদিকে, সাদাপাথর লুটপাট নিয়ে দেশজুড়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই সোমবার ওএসএডি করা হয়েছে সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদকে। এ ছাড়া অন্য একটি আদেশে বদলি করা হয়েছে কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহারকেও।


পাবনায় শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের  দাবিতে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাবনা  প্রতিনিধি

পাবনায় মেরিনার্স ফুড এন্ড এগ্রো লিমিটেডের মালিক শ্রমিকদের কোন নোটিশ না দিয়ে মালিক এমডি শামীম কোম্পানির সকল মেশিন ও যাবতীয় মালামাল ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন না দিয়ে কোম্পানি বন্ধ করে দেয় এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে কর্মচারীবৃন্দ।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মেরিনার্স ফুড এন্ড এগ্রো লিমিটেডের সকল কর্মচারীবৃন্দ আয়োজনে এই ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্যদেন, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসির উদ্দিন, মিলন শেখ, হারুন খান, আম্বিয়া খাতুন, রাজিয়া খাতুন, রনি শেখ, মাসুদ রানা, ফজলুল হক।

বক্তারা বলেন, মেরিনার্স ফুড এন্ড এগ্রো লিমিটেডের মালিক শ্রমিকদের কোন নোটিশ না দিয়েই মালিক এমডি শামীম পুলিশের সহযোগিতায় কোম্পানির সকল মেশিন ও যন্ত্রপাতি মালামাল নিয়ে যায়। শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের সকল পাওনা ও বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে এবং মালিক পক্ষের করা শ্রমিকদের নামে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত হারুন এর নিঃস্বার্থ মুক্তির দাবিসহ সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন বক্তারা।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে আন্দোলনরত শ্রমিকরা।


মোহাম্মদপুরের ছিনতাই চক্রের প্রধান ভাগনে বিল্লাল গ্রেফতার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ছিনতাই চক্রের প্রধান বিল্লাল ওরফে অগ্নি বিল্লাল ওরফে ভাগনে বিল্লালকে (২৯) গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রো পলিটন পুলিশ (ডিএমপি)’র কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি )।

ডিএমপি’র মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

সিটিটিসি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকার ছিনতাইকারী বিল্লাল সাভারের শামলাপুর এলাকায় অবস্থান করছে।

আজ মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত বিল্লাল মোহাম্মদপুর ও আদাবরসহ বিভিন্ন এলাকায় চাপাতি ও বিভিন্ন ধারালো অস্ত্রের মুখে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ছিনতাই করত।

এতে আরও বলা হয়, বিল্লালের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানায় সাতটি গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ বিভিন্ন অপরাধের ছয়টি মামলা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানানো হয়।


কুমিল্লায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা প্রতিনিধি

জেলার মুরাদনগরে সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের উপর হামলা মামলার প্রধান আসামি শুক্কুর আলীকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

গতকাল সোমবার র‌্যাবের যৌথ অভিযানে চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্কুর আলী উপজেলার রহিমপুর গ্রামের মজিদ মিয়ার ছেলে।

গ্রেফতারের পর শুক্কর আলীকে সোমবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা নিয়ে আসে র‌্যাব।আজ মঙ্গলবার সকালে তাকে মুরাদনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান।

মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জুলাই মুরাদনগরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে ছাত্র জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

এ সময় মিছিলে অতর্কিত হামলা করে দুষ্কৃতকারীরা। হামলায় ৭ জন সাংবাদিক আহত হয়।

এ ঘটনায় দৈনিক খোলা কাগজের কুমিল্লা প্রতিনিধি শাহ ইমরান বাদি হয়ে ৪জনকে জ্ঞাত ও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত করে মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করে।

মুরাদনগর থানার ওসি আরো জানান, সাংবাদিকদের উপর হামলা মামলার আসামী শুক্কুরকে চট্টগ্রাম থেকে র‌্যাব গ্রেফতার করে। আজ সকালে মুরাদনগর থানায় হস্তান্তর করে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা শেষে রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।


রামগতির সাথে হাতিয়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির তীব্র স্রোতে জেলার রামগতি উপজেলার ‘তেগাছিয়া সেতুর’ একাংশ ধসে পড়েছে। এতে হাতিয়ার সঙ্গে রামগতির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে প্রায় এক মাস। সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ওই অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ। হুমকির মুখে তেগাছিয়া বাজারও। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ও ব্যবসা-বাণিজ্য।

জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, গত ২০ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় একমাস ধরে রামগতির সাথে হাতিয়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধ ও ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রামগতি-হাতিয়ার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সড়কটি। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ছোট-বড় কয়েকশ যানবাহন চলাচল করে। ২০১৮ সালের শুরুর দিকে রামগতি উপজেলার চরগাজীর তেগাছিয়া খালের ওপর নির্মিত পুরোনো ব্রিজটি ভেঙে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা খরচ করে ১০০ মিটার দীর্ঘ একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) লক্ষ্মীপুর সেতুটি নির্মাণ করে । পাশেই তেগাছিয়া বাজারে মৎস্য অধিদপ্তর প্রায় ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে আরেকটি আধুনিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র গড়ে তোলে। রামগতির মেঘনা নদী হতে আহরিত ইলিশ ও বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ ওই অবতরণ কেন্দ্রে বিক্রি করেন জেলেরা। এছাড়া আশপাশে ২০টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও ১০টি হাট-বাজার রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান ও হাট বাজারের মানুষ যাতায়াত করে এই সেতু দিয়ে। গত এক মাস ধরে সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে গেলেও কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্ষার শুরু থেকেই তেগাছিয়া খালে তীব্র স্রোত বয়ে চলে। টানা বৃষ্টি ও মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারের স্রোতে সেতুর উত্তর পাশের প্রায় ১০০ মিটার সংযোগ সড়ক ধসে যায়। এতে করে গত এক মাস ধরে রামগতির সাথে হাতিয়া ও ২০টি গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে সেতু এলাকা ও সংলগ্ন বাজার। এতে করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মানুষ। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ব্যাহত হচ্ছে।

মালামাল আনা-নেওয়া করতে না পারায় বন্ধ হওয়ার পথে বাজারের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। আশপাশের নারী-শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ এবং শিক্ষার্থীরা সেতুর সংযোগ সড়কে কাঠ দিয়ে কোনোরকম ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন। এতে করে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

তেগাছিয়া বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ার ও টানা বৃষ্টিতে এলাকাটি প্লাবিত হয়। জমে থাকা ওই পানি খাল দিয়ে নদীতে যেতে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়। এতে সেতুটির সংযোগ সড়কের একপাশ থেকে মাটি ধসে যায়। প্রতিদিনই সেতুর দুই পাশ ও বাজারের বেশিরভাগ দোকানপাট ভাঙনের শিকার হচ্ছে। সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কার করার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস দেয়া হয়নি বলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এলাকাবাসী জানায়, গত এক মাস ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও রোগীসহ সব ধরনের লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ধসে যাওয়া অংশটি দ্রুত মেরামত না করলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সেতুটি ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধ করা না হলে শত বছরের পুরোনো তেগাছিয়া বাজারটি বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কবে নাগাদ সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ বা বিকল্প পথের ব্যবস্থা হবে,তাও নিশ্চিত নয়। ফলে পড়ালেখা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা করে পড়ালেখা স্বাভাবিক করার দাবি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ উজ জামান খান বলেন, তেগাছিয়া খালটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের। কিন্তু সেতুটি স্থানীয় সরকার বিভাগের।

সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে গেছে। পাশাপাশি বাজারের কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের উদ্যোগ নেয়া হবে। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ইতিমধ্যে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

দ্রুত সময়ের মধ্যে ধসে যাওয়া সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ করা হবে।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, ভাঙন প্রতিরোধ ও ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই অঞ্চলে একটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র রয়েছে। হাতিয়া, বয়ারচরের সঙ্গে রামগতির যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ সড়ক। শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


banner close