মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
৪ ভাদ্র ১৪৩২

‘‘অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাস কর্তৃক সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা আদায়’’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৩২

তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১৮ আগস্ট (সোমবার) ২০২৫ তারিখে জনাব সিমন সরকার, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -চন্দ্রা, জোবিঅ-চন্দ্রা আওতাধীন সফিপুর, পশ্চিমপারা, কালিয়াকৈর, গাজীপুর এলাকার ০৩ টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, আনুমানিক ২০টি বহুতল ভবন এবং ৫ টি টিন সেড বাড়ির মোট ২৬০টি ডাবল চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ অনুমোদন অতিরিক্ত চুলায় গ্যাস ব্যবহারের কারনে ৬ জন গ্রাহকের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের ২৫০ ফুট লাইন পাইপ, ৩/৪ ইঞ্চি ব্যাসের ৪০ ফুট থ্রেড প্লাস্টিক পাইপ ও ৫ টি সম্পুর্ন অবৈধ রেগুলেটর অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের দায়ে ১জন ব্যবহারকারীর নিকট হতে ৳ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

একই দিনে, জনাব মনিজা খাতুন, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর মেট্রো ঢাকা বিপণন বিভাগ-৪ (গুলশান কার্যালয়) এর আওতাধীন বাউনিয়া, তুরাগ সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, M/ S Tex World Food Dyeing ও এস এম ওয়াশিং প্ল্যান্ট নামক বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অবৈধভবে বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে গ্যাস ব্যবহার করায় সংযোগটি ও আনুমানিক ৫৪টি ডাবল চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের ২০০ ফুট লাইন পাইপ ও ৬ টি সম্পুর্ন অবৈধ রেগুলেটর অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের দায়ে ২জন বানিজ্যিক ও ২জন আবাসিক ব্যবহারকারীর নিকট হতে সর্বমোট ৩,২০,০০০/- (তিন লক্ষ বিশ হাজার) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

এছাড়া, জনাব হাসিবুর রহমান, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -রুপগঞ্জ, জোবিঅ -রুপগঞ্জ আওতাধীন মুড়াপাড়া, রূপগঞ্জ , মাসুমাবাদ রূপগঞ্জ এবং হাটাবো রুপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ এলাকার ০৫ টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, আল মদিনা হোটেল এন্ড সুইটস, সোনার বাংলা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট ও নামবিহীন বিরিয়ানির দোকান এবং প্রায় ২.০ কি.মি. এলাকার আনুমানিক ১৯০ বাড়িতে ২১০ টি ডাবল চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের ৬২ ফুট লাইন পাইপ, হোস পাইপ ৫০ ফুট ও ১ টি সম্পুর্ন অবৈধ রেগুলেটর অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের দায়ে ২জন বানিজ্যিক ব্যবহারকারীর নিকট হতে ৳ ২,২০,০০০/- (দুই লক্ষ বিশ হাজার) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

এছাড়াও, আঞ্চলিক ভিজিল্যান্স বিভাগ- নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক মুক্তারপুর, মুন্সিগঞ্জ ও ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ এলাকার ০৮ টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, মদিনা ডাইং এন্ড প্রিন্টিং (৩৭০০০০২৩), পরিদর্শন কালে মিটারে গ্যাস ফ্লো মেজারমেন্ট না পাওয়ায় মিটারটি খুলে চেক করত: বুঝা যায় মিটারটি বিকল এবং হাউস লাইনে অতিরিক্ত পয়েন্ট পরিলক্ষিত হওয়ায় তা অপসারণের জন্য গ্রাহককে পরামর্শ প্রদান করে হয়েছে। এস.বি নিট কম্পোজিট (৩০৬০০০৬১২/ ৮০৬০০০৬১২) -এর ক্যাপটিভ ও জেনারেটর হাউস লাইনে কিছু অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত পয়েন্ট পাওয়া যায়, যা অপসারণের জন্য গ্রাহককে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হতে গত ১৮ আগস্ট, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ২৯৬টি শিল্প, ৩৫৯টি বাণিজ্যিক ও ৬৫,২৯৬টি আবাসিকসহ মোট ৬৫,৯৫১টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ১,২৫,১৩৮টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ২৫০.৫ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।


বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে নতুন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা, নক্সা ও গবেষণা) এর যোগদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকৌশলী মোঃ রাফিউস সাজ্জাদ ১৮ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিঃ তারিখে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা, নক্সা ও গবেষণা) পদে যোগদান করেন। উক্ত পদে যোগদানের পূর্বে তিনি প্রধান প্রকৌশলী (পুর), কেন্দ্রীয় অঞ্চল, বাপাউবো, ঢাকায় কর্মরত ছিলেন।

তিনি ১৯৯১ সালে Khulna University of Engineering & Technology থেকে বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করেন এবং পানি সম্পদ উন্নয়নে ইতালি থেকে Post Graduate Diploma (PGD) ডিগ্রী অর্জন করেন । তিনি ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে সহকারী প্রকৌশলী (পুর) পদে যোগদান করেন।

পরবর্তীতে তিনি উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রধান প্রকৌশলী পদে বোর্ডের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। বিশেষ করে তিনি বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ সহায়তাপুষ্ট WAMIP প্রকল্পে দায়িত্ব পালনসহ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণ সহায়তাপুষ্ট IMIP প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডে দীর্ঘ ৩২ বছরের অধিক চাকরিকালীন তিনি জাপান, চায়না, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডে বিভিন্ন সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে অর্জিত জ্ঞান বোর্ডের কর্মকাণ্ডে অত্যন্ত সাফল্যের সাথে প্রয়োগ করছেন। প্রকৌশলী মোঃ রাফিউস সাজ্জাদ ১৯৬৮ সালে কুমিল্লা জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (IEB) এর আজীবন সদস্য এবং একজন প্রফেশনাল ইঞ্জিনিয়ার (PEng.)।


ফেনীতে আবাদ হচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় সুস্বাদু সবজি ঠোঁয়াস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া, ফেনী প্রতিনিধি

ঠোঁয়াস অপ্রচলিত জলজ সবজি। এটি বাংলাদেশের একটি বিলুপ্তপ্রায় সবজি। সবজি হিসেবে মাছের সাথে কিংবা ভেজে, কখনো কখনো ভর্তা হিসেবে খাওয়া যায়। স্বাদ কিছুটা শাপলার কাণ্ডের মত। শাপলার মতই কুটে বেছে নিতে হয়। ডাটা শাকের মত বললেও চলে। তারপর ধুয়ে মাছ বা ডাল দিয়ে রান্না অথবা শাপলার মত ভাজি করে খেতে অনেক স্বাদ। সবক্ষেত্রে এটি অতুলনীয় । এটি আঁশ সমৃদ্ধ হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী বলে জানিয়েছেন অভিজ্ঞ লোকজন।

ঠোঁয়াস সম্পর্কে বর্তমানে অনেকে জানেন না। এ সবজি সচরাচর বর্ষাকালে পাওয়া যায়। যে সময় মাঠে তেমন সবজি থাকে না, সে সময় সবজির যোগান দিয়ে থাকে ঠোঁয়াস।

ফেনী অঞ্চলে ঠোঁয়াস সবজি বয়োবৃদ্ধ সবার কাছে পরিচিত। ষাট ও সত্তুরের দশকে এই অঞ্চলের কম বেশি সকল মজা পুকুরে ঠোঁয়াস চাষ হতো। বর্ষা মৌসুমের আগেই এই সবজি লাগানোর আদর্শ সময়। ডোবা, জলাশয়, পুকুরের পাড় সংলগ্ন কিনারায়, পরিত্যক্ত নিচু জমিতে লাগানো যায়। ফেনীর সোনাগাজী, দাগনভূঞা, সদরের কিছু অংশ ও ফুলগাজীতে জমি, পুকুর, খাল-বিলের পানিতে এর বাণিজ্যিক চাষ হয়।

বহুপূর্বে কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চট্রগ্রামের কিছু কিছু এলাকায় বর্ষাকালে ঠোঁয়াস পাওয়া যেত। এখন ওসব এলাকায় ঠোঁয়াস উৎপাদন কমেছে।

ফেনীর প্রায় এলাকায় অগভীর জলাশয় বা মজে যাওয়া পুকুরে ঠোঁয়াস চাষ করা হয়। এটি পানির ওপর ভাসে। ২-৩ মাসে ফসল ঘরে তোলা হয়। লাভ অধিক । কোন প্রকার সার, কিটনাশক ছাড়াই চাষ করা যায় ও পরিচর্যার মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানো যায়। ঠোঁয়াস গাছ এর গীটসহ কান্ড বা সাকার একবার কাদামাটিতে লাগিয়ে দিলেই হয়। এটি পানি শুকিয়ে গেলেও মাসের পর মাস মাটিতে বাঁচে। পর্যাপ্ত পরিমান পানি পেলে এই সবজি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এ সবজি চাষের জন্য বিশেষ কোন পরিশ্রম নেই।

ঠোঁয়াস ফেনীর গ্রামীণ হাটবাজারে বেশি পাওয়া যায়। এছাড়া কিছু কিছু এলাকায় শহরের বাজারেও ঠোঁয়াস পাওয়া যায়। ফেনী শহরের বড়বাজারে (কাঁচা বাজার) কয়েকটি দোকানে ঠোয়াস পাওয়া যায়। ১২-১৪ ইঞ্চি লম্বা ২০-২২টি ডাটা নিয়েই একটি আটি। আটি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে বাজারে বিক্রি হয়। দামে কম ও সুস্বাদু হওয়ায় মানুষ এই সবজিতে অতি আগ্রহী।

ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত মৌলভী আমির হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ হানিফ। একসময় নোয়াখালীতে ব্রিক ফিল্ডে চাকরি করতেন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর ওপেন হার্ট সার্জারি হয় । তিনি সুস্থ হয়ে ২০০০ সাল থেকেই বাড়ির সামনে ১৬ শতাংশের মজা পুকুরে ঠোঁয়াস চাষ শুরু করেন। তিনি বলেন, সামান্য ঘাস, আগাছা পরিষ্কার করা হলেই ঠোঁয়াস মোটা এবং তাজা হয়। তিনি প্রতিদিনই ঠোঁয়াস তুলে পরিষ্কার করে বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন। এতে তার লাভও ভালো হয়। এর আয় থেকে চলছে তার পরিবার। সন্তানদের পড়ালেখাসহ সবকিছু। তিনি আরো বলেন, যারা বেকার রয়েছেন, তারা তাদের বাড়ির সম্মুখে বা পার্শ্ববর্তী মজা পুকুরে বা জলাশয় ঠোঁয়াস চাষ করলে পরিবারের সবজির চাহিদা পূরণ হবে, লাভও হবে।

ফেনী জেলা শহরের বড়বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সাবধান মিয়া, বয়স সত্তর ছুই ছুই। বাড়ি সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের চর মধুয়াই। বাড়ির সামনে ২৫ ডিসিমেল এর একটি জলাশয়ে ঠোঁয়াস চাষ করেন । নিজে পানি থেকে তুলে পরিস্কার করে বাজারে এনে নিজ দোকানে অন্যান্য সবজির সাথে বিক্রি করেন। এতে পুঁজি ছাড়া তাঁর ভালো লাভ হয়।

ফেনীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমি প্রায়শ: বাজারে এই অপ্রচলিত সবজিটা খুঁজি ।কখনো পাই, কখনো পাইনা। যখনই পাই, যত দামি হোক আমি এটা কিনে বাসায় নিয়ে যাই এবং পরিবারসহ সবজি হিসেবে ভাতের সাথে খেয়ে থাকি।

গোবিন্দপুর এলাকার গৃহিণী লায়লা আক্তার রেখা ও নাসিমা আক্তার দু'জনেই ঠোঁয়াস এর নিয়মিত ক্রেতা। তাদের সাথে কথা হয় ঠোঁয়াস চাষকারী মোহাম্মদ হানিফ এর বাড়িতে। তারা বলেন, ঘরে রান্নার কোন সবজি না থাকলে আমরা প্রতিনিয়তই এখান থেকে ঠোঁয়াস পরিবারের জন্য নিয়ে রান্না করে থাকি। এটি দামেও কম পাশাপাশি রন্ধন-প্রণালীও সহজ এবং খেতেও সুস্বাদু।

স্থানীয় গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী বিবি মরিয়ম বলেন, আমি ঠোঁয়াস খুব পছন্দ করি ।আমরা পরিবারের সবাই মিলে এই সবজি খেয়ে থাকি। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে ঠোঁয়াস খাওয়া উচিত। কারণ, আমাদের শিক্ষকগণ বলেছিলেন, ঠোঁয়াস স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং এই সবজি খেলে রোগ কম হয়।

বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব দীন মোহাম্মদ বলেন, আমাদের শৈশব এবং কৈশোর জুড়ে আমরা এই সবজিটি আমাদের বাড়ির আশপাশে সর্বত্রই পুকুরে দেখেছি। এটি আমার মা এবং দাদীরা আমাদেরকে সুস্বাদুভাবে রান্না করে খাওয়াতেন। এখন আর এটি তেমন একটা দেখা যায় না। আমাদের উচিত ঐতিহ্যবাহী এই সবজিটিকে টিকিয়ে রাখা।

ফেনী সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, ঠোঁয়াস একটি অপ্রচলিত বিলুপ্তপ্রায় সবজি। এটি চাষে তেমন পরিশ্রম হয় না ।বিশেষ করে বর্ষাকালে এটি উৎপাদন হয়। যখন মাঠে অন্যান্য সবজি থাকে না, তখন এই সবজিটি সাপোর্ট দিয়ে থাকে। এটি রন্ধন প্রণালীও সহজ । আশ সমৃদ্ধ হওয়ায় ঠোঁয়াস ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটা যদি সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া যায় তাহলে মানুষের বেশ উপকার হবে।


তিন যুগেও হয়নি সংস্কার, ঝুঁকিপূর্ন বেইলি ব্রিজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

দ্বিতীয় শেণ্রীর শিক্ষার্থী নাফিসা ইসলাম মাইশা। বেইলি ব্রিজের কাছেই তার বাড়ি। তিনি বলেন, “এ ব্রিজের নাট বল্টু কবেই খুলে গেছে। গাড়ী এর উপর দিয়ে গেলেই বিকট শব্দ হয়। বিশেষ করে রাতে প্রচন্ড আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে যায়। অনেক সময় ভয়ও লাগে।” মাইশার মতো আশেপাশের আরও অনেকে এমন অভিযোগ করে বলেন, এ অভিশপ্ত ব্রিজ মেরামত করুন না হয় এটা এখান থেকে সড়ান। ছোট ছেলে মেয়েরা রাতে ঘুম থেকে আঁৎকে উঠে।

নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন নগরপাড়া-মাঝিনা সড়কের ছনেরটেক-নগরপাড়া বেইলি ব্রীজে প্রতিনিয়ত ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে ব্রীজটি দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে। যে কোন সময় এটি ভেঙে পড়তে পারে। ছনেরটেক-নগরপাড়া খালের উপরে ১৯৯১ সালে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের এক বছর পরই এর নাট বল্টু এমনিতেই খুলে খুলে পড়ে যেতে থাকে। ৩৪ বছর হয়ে গেছে। প্রায়ই তিন যুগ পার হতে চলছে। এখন ভয়ঙ্কর অবস্থা। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা।

ডেমড়া-কালিগঞ্জ সড়কটি দীর্ঘ দিন ব্যবহারের অনুপযোগী ও চনপাড়া-নগরপাড়া গাজী বাইপাস (নতুন) সড়ক হওয়ার পর এ সড়কে গাড়ী চলাচল বেড়ে যায়। ফলে ব্রিজটির গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে। স্টিলের তৈরি ব্রিজটি স্থাপনের পর বহু বছর চলে গেছে। ধীরে ধীরে এর প্লেটগুলো ক্ষয়ে যাচ্ছে। স্টিলের তৈরি রেলিংগুলোও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । যানবাহন উঠলে নড়বড় করতে থাকে, কাঁপতে থাকে পুরো ব্রিজটি। যাত্রীরা তখন ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে থাকে।

মুসা মিয়া নামে একজন অটোচালক বলেন, প্লেটের ফাঁকায় গাড়ীর চাকা আটকে এ পর্যন্ত ২০ জন আহত হয়েছে। প্রায়ই আমাদের গাড়ী পড়ে যাচ্ছে। এটা ঠিক না করলে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ ব্রিজটি দিয়ে রূপগঞ্জ উপজেলার খামারপাড়া, নগরপাড়া, কামশাইর, বালুরপাড়, ঈদেরকান্দি, দাসেরকান্দি, নয়ামাটিসহ শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরের অনেক গাড়ি এবং শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিমাঞ্চলের লোকজন যাতায়াত করে থাকেন। তাই গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজটি অতিসত্বর মেরামত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এলাকাবাসী। ব্রিজটি নিয়মিত যানজট থাকায় পথচারী বিশেষ করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে দারুণ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। মাঝিনা মৌঝার ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার সভাপতি মামুন মিয়া জানান, এই ব্রিজে যানজটের কারণে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ায় চরম বিঘœ ঘটছে। রূপগঞ্জ থানা, স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও রেজিস্ট্রি অফিসে এ রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয়।

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, এটা সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন। এ ব্রিজের ব্যাপারে আমার কিছু করার নেই।নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রহিম জানান, আমার জানা মতে নারায়ণগঞ্জে কোন বেইলী ব্রিজ নেই। কয়েকটা ছবি পাঠিয়ে দিয়েন, দেখি কোন ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টা আমার জানা ছিল না, আমাদের পক্ষে সম্ভব হলে, আমি আমাদের ইঞ্জিনিয়রকে নিয়ে পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে সমস্যা সমাধানের চেষ্ঠা করব।


রামগতিতে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন, তালা মেরে ৭ দিন ক্লাস বর্জন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এমরান হোসেন, কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার ইউনিয়নের চরআব্দুল্লাহ আল মাদ্রাসাতুল জামিয়াতুল ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ ন ম আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে মাদরাসায় তালা দিয়ে গত সাতদিন ধরে ক্লাস ও অফিস বর্জন কর্মসূচী পালন করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় গত সোমবার (১১ আগস্ট) থেকে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) মাদরাসায় কোন ক্লাস হয়নি।

এদিকে গত সোমবার ১৮ আগস্ট রামগতির ইউএনও’র কার্যালয় থেকে অধ্যক্ষের ৭০ লাখ টাকা দুর্নীতির তদন্তে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়।

শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন অধ্যক্ষ হিসেবে থাকার কারণে আব্দুল হাকিম একের পর এক মনগড়া সিদ্ধান্তে নানা অনিয়ম ও ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে মাদরাসার প্রায় ৭০ লাখ টাকা আত্মসাত করেন। ওই টাকার হিসাব চাওয়ায় তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামেন। তালা মেরে ৭ দিন ধরে ক্লাস বর্জন-মানববন্ধনসহ নানান কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা।

আবু বকর, গালাম কিবরিয়া ও যুবায়ের হোসেন নামের তিনজন মাদরাসার শিক্ষক জানান, অধ্যক্ষ আ.ন.ম. আব্দুল হাকিমের অসদাচরণ, শিক্ষক মিটিংগুলাতে কোন শিক্ষক তার মতের বিপরীতে মতামত দিলে মিটিং শেষে নিজের অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে ধমক দেওয়া, শিক্ষকদের বেতন স্কেল পরিবর্তন ও বিভিন্ন সরকারি সুবিধা দিতে বিধি লংঘন করা এবং এসব কাজের জন্য শিক্ষকদের নিকট থেকে জোরপূর্বক অর্থ আদায় করা, মাদ্রাসায় দাখিল ও আলিম পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলে শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও মাদ্রাসার ফান্ড থেকে অধ্যক্ষ হাকিম কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলে জানান তারা।

তারা আরো জানান, শিক্ষক-কর্মচারীদের নিকট থেকে তাদর নাম, পদবি, ব্যাংক একাউন্ট সংশোধনের কথা বলে দুইবার প্রায় দুই লাখ টাকা নিয়েও কোন কাজ করেননি তিনি। মন্ত্রণালয়ের অডিটের কথা বলে শিক্ষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের থেকে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। মাদ্রাসার টাকায় কেনা বিভিন্ন আসবাবপত্র নিজের বাসায় নিয়ে যান এ অধ্যক্ষ।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ বেশিরভাগ সময়ে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকেন। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেজিষ্ট্রিশন বাবদ ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেওয়া সহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন।

এসব অভিযোগ এনে মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এডিসি জেনারেল বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তারা।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আ.ন.ম.আব্দুল হাকিম বলেন, মাদরাসার শিক্ষক আবু বকর, গালাম কিবরিয়া ও যুবায়ের হোসেনকে আয় ব্যায়ের হিসাবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা মাদরাসার ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা চাওয়ায় সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী দিয়ে মাদরাসায় তালা মেরে দেন এবং গত সাতদিন ধরে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষাভ মিছিল ও মানববন্ধন করাচ্ছেন তারা।

রামগতির ইউএনও সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এডিসি সম্রাট খীসার বলেন, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে ইউএনও রামগতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখবেন।


নওগাঁয় ভাতিজা'র লাঠির আঘাতে চাচা নিহত

আপডেটেড ১৯ আগস্ট, ২০২৫ ২১:২০
মো. সবুজ হোসেন, নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর আত্রাইয়ে লাঠির আঘাতে চাচা আজিজার রহমান (৬৮) নিহতের ঘটনায় দুই ভাতিজাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ১৯ আগষ্ট ভোর রাতে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার কালিগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। এদিন দুপুরের পর তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার তেজনন্দী ভাটো পাড়া গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের দুই ছেল বাবু ও আলিম। এবং নিহতের ভাতিজা।

এর আগে গত সোমবার ১৮ আগষ্ট সন্ধ্যায় বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে ভাতিজার লাঠির আঘাতে চাচা আজিজার রহমানের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও থানা যায়, জমি-জমা সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে এদিন সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় ভাতিজাদের সাথে বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে চাচা আজিজার রহমানের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ভাতিজাসহ কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ভাতিজার লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলেই চাচা আজিজার রহমান নিহত হন। পরে নিহতের ছেলে মুকুল হোসেন বাদী হয়ে আত্রাই থানায় ৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরপরই ভাতিজারা পালিয়ে যায়।

মামলার প্রেক্ষিতে আত্রাই থানা পুলিশের একটি দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নাটোর জেলার কালিগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে অভিযুক্ত দুই ভাতিজা বাবু ও আলিমকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মান্নান বলেন, আজিজার রহমান নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা মূল আসামি। এঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। বাবু ও আলিমকে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।


চাচার বিয়েতে এসে বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে জড়িয়ে ভাতিজার মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া, ফেনী প্রতিনিধি

বিয়ে বাড়িতে বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে জড়িয়ে সাজেদুল ইসলাম নামে তিন বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ফেনীর ফুলগাজীর আমজাদহাট ইউনিয়নের উত্তর ধর্মপুর গ্রামের মজুমদার বাড়িতে সোমবার (১৮ আগস্ট) রাতে এঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু সাজেদুল ওই ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের প্রবাসী নুরুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও স্হানীয়রা জানায়, গত সোমবার সকালে শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে একই ইউনিয়নের উত্তর ধর্মপুর গ্রামে তার চাচা ওমর ফারুকের বিয়ের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে এসেছিল। সন্ধ্যায় বিয়ে বাড়ির আনন্দে সবাই যেন মাতোয়ারা। কিন্তু এরই ফাঁকে শিশু সাজেদুল বাড়ির উঠোনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে জড়িয়ে গুরতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা শেষে শিশু সাজেদুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফুলগাজী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) যশমন্ত মজুমদার বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির স্বজনেরা হাসপাতাল থেকে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছেন।


কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ আগামী নির্বাচন বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করছে: দুলু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাজমুল হাসান, নাটোর প্রতিনিধি

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, বাংলাদের গণতন্ত্র আজ বিপন্ন ও ধ্বংশ হবার পথে। দেশের গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে গণতন্ত্রের পথেই ফিরে আসতে হবে। চারিদিকে যে অস্থিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন ধরনের দাবী তুলে আগামী নির্বাচন বাধাগ্রস্থ ও পন্ড করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

মঙ্গলবার সকালে নাটোরের কানাইখালীতে স্বেচ্ছসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি। এসময় রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু আরও বলেন, আগামী নির্বাচন যদি সময় মতো না হয়। যাদের রক্তের বিনিময়ে সেই ৫ আগষ্ট ফ্যাসিষ্টকে উৎখাত করে, দেশের যে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা আর ভোটের অধিকার ফিরে এসেছে। তা তা ভুলণ্ঠিত হতে সময় লাগবে না। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনমুখি হতে হবে। এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আজিজ, মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, সাইফুল ইসলাম আফতাব, দাউদার মাহমুদ, জেলা যুব দলের সভাপতি এ.হাই তালুকদার ডালিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সানোয়ার হোসেন তুষার, সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম জহির, যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।


গঙ্গাচড়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বঞ্চিত প্রার্থীদের দাবি, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের যোগসাজশে রাজনৈতিক প্রভাব ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ডিলার নির্বাচন করা হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৩৩ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে চিত্র ভিন্ন। মোট ২০৩ জন আবেদনকারীর মধ্যে ২১ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। মাত্র চারটি কেন্দ্রে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন চারজন। বাকি আটটি কেন্দ্র শূন্য রাখা হয়েছে। এতে ৩৩টি কেন্দ্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হলেও ৮টি পদ শূন্য রয়ে গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, ১৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ফলাফল প্রকাশের কথা থাকলেও তার আগেই ফল ফাঁস হয়ে যায়। এতে নিয়োগ নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে বলে দাবি করেন বঞ্চিত আবেদনকারীরা। ১৮ আগস্ট দুপুরে চারটি কেন্দ্রে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হন, চৌধুরীহাট কেন্দ্র: মো. আমির আলী, ঠাকুদহ বাজার কেন্দ্র: শাহিন আলম,

নোহালী ইউনিয়নের বাগডোগরা কেন্দ্র: মশিউর রহমান (পিতা: সৈয়দ আলী), বড়াইবাড়ি হাট কেন্দ্র: সামসুল আরেফিন।

বঞ্চিত প্রার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, যে টাকা দিতে পেরেছে, তারাই নির্বাচিত হয়েছে। তারা দাবি করেন, নীতিমালা উপেক্ষা করে রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং আর্থিক লেনদেনের ভিত্তিতে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা না থাকলে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণ হতে পারে।

প্রার্থী মো. নূরুজ্জ্জামানসহ কয়েকজন আবেদনকারী লটারি অনুষ্ঠানের আগেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়,বিভাগীয় কমিশনার, বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রংপুর জেলা প্রশাসক এর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তারা দ্রুত তদন্ত করে দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা উম্মে কুলসুমা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি অফিসে পাওয়া যাননি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে প্রথমে ফোন কেটে দেন এবং পরবর্তীতে বন্ধ রাখেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, যদি অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখবে।


নীলফামারীতে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাসির উদ্দিন শাহ মিলন, নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার টুপামারি ইউনিয়নের ঢুলিয়াপাড়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম অনামিকা রায় (১৪)। তিনি স্থানীয় শ্রী অরবিন্দু চন্দ্র রায়ের কন্যা এবং শহিদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

টুপামারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মছিরত আলী শাহ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অনামিকা আত্মহত্যা করেছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো পরিষ্কার নয়।

নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম.আর সাঈদ বলেন, খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।


মুক্তিপনের টাকা না পেয়ে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে হত্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর বড় গোপালদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী তামিম তালুকদারের লাশ উদ্ধার হয়েছে। নিহত তামিম বড় গোপালদি গ্রামের সৌদি প্রবাসী শামিম তালুকদারের ছেলে।

অপহরণের পর মুক্তিপনের টাকা না পেয়ে হত্যার ঘটনায় ঘাতক তুহিন শেখ কে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার রাতে মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার বড়গাতি গ্রাম থেকে তুহিন শেখকে আটক করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে জেলার মধুখালী উপজেলার কোরকদী ইউনিয়নের বাঁশপুর গ্রামে জমির আইলে আবর্জনার নিচ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত তামিমের পরিবার জানায়, ১৫ আগস্ট বিকেলে তামিম ঘুরতে বের হয়। এরপর আর বাড়ি না ফেরায় সন্ধ্যায় পরিবারের পক্ষ থেকে খোঁজ শুরু হয়। ওই দিন রাতেই ফোন করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা দেওয়ার প্রস্তুতিও ছিল পরিবারের, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি শিশুটিকে।

মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান জানান, তুহিন প্রায় এক বছর যাবৎ গৃহপরিচারক হিসেবে তামিমদের বাড়িতে কাজ করত। এ সুযোগে পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলে শিশুটিকে অপহরন করে মুক্তিপন দাবি করে।

পরিবারের অভিযোগের পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ১৮ আগস্ট রাতে মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার বড়গাতি গ্রামের বাসিন্দা তুহিন শেখকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে অনুযায়ী শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় আরও একজনকে আটক করে পুলিশ।


বাগেরহাটে জমি ও মাছের ঘের দখল নিয়ে বিধবা নারীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

আপডেটেড ১৯ আগস্ট, ২০২৫ ২১:৫৪
‎বাচ্চু মল্লিক, ‎বাগেরহাট প্রতিনিধি

‎বাগেরহাট সদরের বেমরতা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে জমি ও মাছের ঘের দখলকে কেন্দ্র করে মোমেনা বেগম (৬৫) নামের এক বিধবা নারীকে হত্যার উদ্দেশ্যে কাঁদা মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেন স্বজনেরা।
‎অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুলতানপুর এলাকার মৃত আতিয়ার রহমানের স্ত্রী মোমেনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে সুলতানপুরের পার্শ্ববর্তী গোটাপাড়া ইউনিয়নের নওয়াপাড়া মৌজার একটি জমিতে মাছ চাষ করে আসছিলেন। ওই ঘেরের মধ্যে থাকা ১ বিঘা জমির মালিক আহত মোমেনার ভাই নওয়াপাড়া এলাকার ইউনুচ শেখ ২০০৬ সালে বিদেশে যাওয়ার জন্য মোমেনা বেগমের স্বামী মৃত আতিয়ার রহমানকে দলিল করে দিবেন মর্মে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদেরকে জমির দখল বুঝিয়ে দেন। তবে দলিল না দেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে বিরোধ চলছিল। মোমেনা বেগম ও অভিযুক্ত আপন ভাই ইউনুচ শেখ এর সংগে।
‎গত ১৮ আগস্ট দুপুরে অভিযুক্ত ইউনুচ শেখ (৫০), আসাদ শেখ (৩৫), রব শেখ (৪০), আশ্বাব শেখ (৬৫) সহ বেশ কয়েকজন বহিরাগত লোক নিয়ে জোরপূর্বক মোমেনা বেগমের মাছের ঘেরে প্রবেশ করে। তারা জাল দিয়ে প্রায় ৫ লাখ টাকার বাগদা, গলদা, রুই, কাতলা প্রজাতির মাছ ধরে নিয়ে যায়।
‎সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাধা দিলে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে মোমেনা বেগমকে এলোপাতাড়ি মারধর করে হত্যার উদ্দেশ্যে কাদা মাটির ভেতরে পুঁতে রাখে। পরে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে।
‎প্রতিবেশী ইউনুস আলী খান বলেন,আমি বারবার মোমেনা বেগমকে বলেছি তোমার ভাই মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে যাক, তোমার কিছু করতে হবে না, তোমার ছেলেদের বলো। এই কথা বলে আমি ভাত খেতে চলে যাই। এরপর এসে দেখি, তাকে মারপিট করে কাদায় ফেলে রেখে গেছে।
‎আমার কথা হলো এই ঘের যদি তারও হয়, তাহলেও কি সে তার মায়ের পেটের বোনকে এভাবে মারতে পারে? যে জমি সে তার বোনের কাছে বিক্রি করে টাকা নিয়েছে, পরবর্তীতে এসে তো আর সেই জমিতে হাত দিতে পারে না।আমি চাই, অন্তত একটা বিচার হোক। আজকে তাকে আধমরা অবস্থায় ফেলে রেখে গেছে। যদি আজকে এখানে এসে খুঁজে পাওয়া না যেত তাহলে তো সে মারা যেত!
‎আসমা বেগম বলেন,আমরা সবাই জানি, এই জমি তার ভাই বিদেশে যাওয়ার সময় তার বোন কে ২০০৬ সালে দিয়ে গেছে। কিন্তু সেই জমি দখলের জন্য তার ভাই সকালবেলা ১৫ থেকে ২০ জন লোক নিয়ে ঘেরে জোর করে জাল ফেলে মাছ ধরতে নামে। খবর শুনে তার বোন মোমেনা সেখানে গিয়ে বাধা দেন। এসময় তারা মোমেনার সাথে অশ্রাব্য গালাগালি করতে থাকে।আমি তখন গিয়ে তার ছেলেদের বিষয়টি জানাই। এরপর আর আমি সেখানে থাকিনি। পরে এসে দেখি, অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। হঠাৎ শব্দ শুনে সবাই দৌড়ে গিয়ে দেখে, তিনি বিলের পাশে পড়ে আছেন।
‎মোমেনা বেগমের মেজ ছেলে সাইফুল ইসলাম বলেন,
‎“আমাদের ঘেরে এরা যখন মাছ ধরতে যায়, তখন মা আমাকে ফোন করে বলে— ‘তোর মামা অনেক লোকজন নিয়ে মাছ ধরতে যাচ্ছে, আমি যাচ্ছি, তুইও আয়।’ এটাই ছিল মায়ের শেষ কথা।
‎এরপর আমি দ্রুত পুলিশকে ফোন করি এবং মাঠে গিয়ে মাকে কল করি। একবার ফোন ধরলেও মা শুধু বলেন— ‘আমাকে দুইজন ধরে রেখেছে।’ এরপর আর কোনো সাড়া মেলেনি।
‎পরে সবাই মিলে খুঁজতে গিয়ে দেখি, মা ঘেরের মধ্যে অজ্ঞান অবস্থায় কাদায় পড়ে আছে। আমি তখন যদি না যেতাম, হয়তো আমার মাকে আর বাঁচাতে পারতাম না।আমি প্রশাসনের কাছে এই ইউনুচ শেখের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই ।
‎বৃদ্ধা মোমেনা বেগম আবেগভরে বলেন, ‎“আমার নিজের ভাই, যাকে আমি কোলে-পিঠে মানুষ করেছি, আজ সেই ভাই-ই আমার উপর হাত তুলেছে। ২০০৬ সালে সে নিজেই আমাকে এই জমি বিক্রি করে টাকা নিয়েছিল। এখন আবার সেই জমি দখল নিতে এসে আমাকে মারধর করেছে। এই কষ্ট আমি কোথায় রাখবো?
‎অন্য কেউ যদি আমাকে মারতো, হয়তো এতটা কষ্ট লাগতো না। কিন্তু আমার নিজের ভাই-ই যখন এমন করে, তখন সেটা সহ্য করা বড়ই কঠিন। আমার আর কোনো ভাই নেই। আমি এই জালিম ভাইয়ের বিচার চাই।
‎তিনি আরও বলেন আমি তিল তিল করে কষ্টের টাকা জমিয়ে ওর কাছ থেকে এই এক বিঘা জমি কিনেছি । আজ সে-ই আমাকে আমার নিজের জমি থেকে উচ্ছেদ করতে চাইছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
‎অভিযুক্ত ইউনুচ শেখ কে বার বার ফোনে কল দেওয়ার পর ও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
‎বাগেরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহমুদুল উল-হাসান বলেন, ঘটনাটির বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


বাগেরহাটের ৪টি সংসদীয় আসন কেটে ‎৩টি আসন করার প্রতিবাদে অবরোধ, ‎ বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচী ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
‎বাচ্চু মল্লিক, বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাট জেলা থেকে সংসদীয় ৪ টি আসনকে কেটে ৩ টি আসন করার প্রতিবাদে জেলার সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি জেলায় অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী ঘোষনা করেছে। ঘোষিত কর্মসূচীর মধ্যে ২১ আগষ্ট খুলনা-মংলা ও মাওয়া-খুলনা মহাসড়কের কাটাখালী ও নওয়াপাড়ায় অবরোধ, ২৪ আগষ্ট খুলনা-মংলা, মাওয়া-খুলনা, খুলনা-বরিশাল মহাসড়কের কাটাখালী, নওয়াপাড়া, সাইনবোর্ড মোড়, ডিসি অফিস ও নির্বাচন অফিস অবরোধ করা হবে। একই দিন ঢাকা নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়। ২৫ আগষ্ট ঢাকা নির্বাচন কমিশন অফিসের সম্মুখে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী ঘোষনা করেছে।
‎বাগেরহাট প্রেসক্লাবে জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার এটিএম আকরাম হোসেন তালিম সংবাদ সম্মেলন করে এই কর্মসূচী ঘোষনা করেন। মঙ্গলবার (১৯ আগষ্ট) সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়। এ সময়ে সর্বদলীয় কমিটির সদস্য সচিব শেখ মুহাম্মদ ইউনুস, জেলা বিএনপির সমন্বয়ক এম এ সালাম, জেলা জামায়াতের আমির মাও. রেজাউল করিম, বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফ্ফর রহমান আলম, জামায়াতের নায়েবে আমির এ্যাড. আব্দুল ওয়াদুদ, বিএনপি নেতা ফকির তারিকুল ইসলাম, ওয়াজিয়ার রহমান, সাহেদ আলী রবি প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২৫ আগষ্ট নির্বাচন কমিশনের শুনানীতে যদি বাগেরহাটের ৪ আসন পূনঃবহাল করা না হলে বাগেরহাট অচল কর্মসূচী গ্রহন করার ঘোষনা দেওয়া হয়।


মিয়ানমারে নির্বাচনের আগে থাই সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের সবচেয়ে ব্যস্ত সীমান্ত বাণিজ্য দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার জান্তা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা আগামী ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে সশস্ত্র গ্রুপগুলোর অর্থায়নে সহায়ক কালোবাজার বন্ধ করার অঙ্গীকার করেছে।
ইয়াঙ্গুন থেকে এএফপি জানায়, ২০২১ সালে ক্ষমতা দখল করা সামরিক জান্তা মিয়ানমারের মিয়াওয়াডি সেতু নিয়ন্ত্রণ করছে। থাই শুল্ক বিভাগের তথ্যানুসারে এ সেতু দিয়ে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে প্রতি মাসে ১২০ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়।
এদিকে সীমান্ত থেকে বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুন পর্যন্ত মহাসড়কজুড়ে সেনারা বিভিন্ন গেরিলা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে, যারা লাভজনক টোল গেট থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
দেশটির বর্ডার গার্ড ফোর্সেসের মুখপাত্র নাইং মৌং জাও বলেছেন, সোমবার থেকে ‘বাণিজ্যিক যানবাহনের জন্য’ সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছে।
সামরিক জান্তা জানিয়েছে, তারা ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে অবৈধ বাণিজ্যকে কঠোরভাবে দমন করবে। এ নির্বাচন দেশটিতে সেনা শাসন পুনরায় প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা হিসেবে সমালোচিত হচ্ছে।
সীমান্তে অবস্থানরত থাই নিরাপত্তা সূত্র জানায়, জান্তা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর জন্য অস্বস্তিকর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, যাতে তাদের আয় বা সুবিধা বন্ধ করা যায়।
সামরিক জান্তা গত সোমবার সীমান্ত বন্ধ করার সময় জানায়, তারা ডিসেম্বরের শেষের দিকে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে, যা গৃহযুদ্ধের একটি সমাপ্তির পথ হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে।
জান্তা প্রধান মিন অং হ্লেইং গত সপ্তাহে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তারা সীমান্তে অবস্থান করা বিরোধী যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন।
নির্বাচনের আগে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচি এখনও কারাগারে বন্দী রয়েছেন, তার দল ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং অপসারিত আইন প্রণেতারা নির্বাচন বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন।
সামরিক জান্তা নির্বাচনে প্রতিবাদকারী বা সমালোচকদের জন্য নতুন কঠোর আইন প্রবর্তন করেছে, যার মাধ্যমে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।


banner close