মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
৪ ভাদ্র ১৪৩২

মেহেরপুরের কাজিপুর সিমান্ত দিয়ে ৩৯ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠালো বিএসএফ

সোহেল রানা বাবু, গাংনী প্রতিনিধি
প্রকাশিত
সোহেল রানা বাবু, গাংনী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৪৪

মেহেরপুর সিমান্ত দিয়ে নারী শিশু ও পুরুষ সহ ৩৯ জনকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে গাংনী উপজেলার কাজিপুর সিমান্তের ১৪৭ নং মেইন পিলারের কাছ দিয়ে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

হস্তান্তরকৃতরা সকলেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। বিভিন্ন সময়ে তারা অবৈধভাবে ভারতে পাড়ি দিয়েছিল। সেখানে থাকা অবস্থায় ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে জেলহাজাতে প্রেরন করে।

কারাভোগ শেষে তাদেরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বাংলাদেশ বিজিবির কাছে।

বিজিবি কাজিপুর ক্যাম্প জানিয়েছে ভারত থেকে আসা সকলেই বিজিবি হেফাজতে রয়েছে, তাদের তথ্য যাচাই বাছাই শেষে গাংনী থানায় সোর্পদ করা হবে।

মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ভূমি কমিশনার সাদ্দাম হোসেন ও গাংনী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ বনী ইসরাইল এর উপস্থিতিতে তাদের বিএসএফ সদস্যদের কাছ থেকে এই ৩৯ জনকে বুঝে নেয়া হয়।

ভারত থেকে আসা ব্যাক্তিরা হলো, অঞ্জনা রানী ঘোষ (৪২), বিমল অধিকারী (৮৭), মালতি অধিকারী (৭৫), বর্ণা অধিকারী (৩৭), রিয়া অধিকারী (০৪), এসডি বেলায়েত হোসেন (৩৫) হামিাদ বেগম (২৯) ইব্রাহীম হোসেন, (০৪) তরুন সেনা (৩৮) প্রভাতী সেনা (৩০) রুমা আক্তার (২০) সাবিনা শেখ (৩২) শেফালী (৪৩) লিটন মিয়া (৩৫) দুলালী খাতুন (৪৫) সৈয়দ আলী (৩১) রমজান আলী (২৮) আরজু আহম্মেদ (৫০) জয়নাল হক (২৬) গোলাম মোস্তফা (২৮) রুবেল (৩৩) মেজবাবুল (২৬) পারভেজ (৩৭) ইমরান (২৪) আশাদুল (২৩) এশাদুল (৫০) মহন আলী (৩৬) প্রকাশ পাল (৩৫) রব্বানী (৩৯)


নওগাঁর পত্নীতলায় মানুষ ও যানবাহনের দুঃসহ যাতায়াত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. সবুজ হোসেন, নওগাঁ প্রতিনিধি

রাস্তার মাঝখানে কাঁদার ভিতরে একটি মালভর্তি ট্রাকের চাকা। ড্রাইভার চেষ্টা করছিল ভালোভাবে উঠানোর। ব্যর্থ হয়ে নেমে গেল। অনেক চেষ্টার পর ট্রাকটি নিয়ে যেতে পারলেন ড্রাইভার।

এদিকে বাসের ড্রাইভার সতর্ক তার বাসটি ভালোভাবে নিয়ে যাওয়ার জন্য। অপরদিকে ব্যাটারীচালিত অটোকে যেতে হচ্ছে কারো সহযোগিতা নিয়ে।

এভাবেই প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত যানবাহন। যার দুর্ভোগ পোহাচ্ছ স্থানীয় ও পথচারীরা। তবুও নজর নেই সংশ্লিষ্টদের।

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার মধুইল থেকে আগ্রাদ্বিগুন যাবার এলজিইডির প্রধান সড়ক এটি। অভিযোগ দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগেও হয়নি রাস্তাটির সংস্কার।

স্থানীয়রা বলছেন, ২০০৮ সালে রাস্তাটির সর্বশেষ সংস্কার হয়েছিল। যদিও সংস্কারটি ছিলো নামমাত্র লোক দেখানো। সংস্কারের কিছুদিন পর থেকেই রাস্তাটির পিচ উঠতে শুরু করে। এরপর স্থানীয় ব্যবসায়ী, যানবাহনের চালক, পথচারী, রাজনৈতিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এই রাস্তাটির সংস্কারের দাবি জানালেও সেই দাবি দেড় যুগেও পৌঁছাইনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কান পর্যন্ত। ফলে চরম জন দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে এলাকার মধুইল হতে আগ্রাদ্বিগুন এই রাস্তাটি। যার ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে একের পর এক দূর্ঘটনা। রাস্তাটি যেন মরণ ফাঁদ হিসাবে পরিচিত লাভ করেছে। এলাকাবাসীর দাবি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কারের।

সমাজসেবক মুক্তার হোসেনসহ অনেকেই ক্ষোভ নিয়ে জানালেন, এই রাস্তাটি নাম মাত্র সংস্কার করা হয়েছিল ২০০৮ সালে। এরপর আর সংস্কার হয়নি। রাস্তাটি সংস্কারের পর থেকেই পিচ উঠতে শুরু করে। আমরা রাস্তার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করলেও তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এখন রাস্তার বেহাল দশা। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। এতে যানবাহন উল্টে গিয়ে কারো হাত, কারো পা ভেঙে যাওয়ার মতোও ঘটনা ঘটেছে।

এক পথচারী জানালেন, এই রাস্তা বর্তমানে ড্রেনে পরিণত হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে গিয়ে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।

এক অটোচালক জানালেন, দুই তিন জায়গায় এমন গর্ত একজন মানুষের সমান। চলাচলে খুব সমস্যা।

ট্রাক ও বাস ড্রাইভার বলছেন, রাস্তার এমন বেহাল দশা যা দেখে মনে হয়না এমন রাস্তা আর কোথাও আছে। প্রতিদিন এই রাস্তায় দু-তিনটা গাড়ি যাত্রী ও মালামালসহ উল্টে যাচ্ছে। প্রতিনিয়তই ছোট বড় দূর্ঘটনা লেগেই আছে। এখন তো বর্ষার সময়। যখনই বৃষ্টি হয় তখনই রাস্তার দুই তিন হাত করে গর্তগুলো ডুবে যায়। দেখা যায়না যে কোথায় গর্ত আছে। যার ফলে রাস্তায় আমাদের গাড়ি আটকে উল্টে যায়।

জানতে চাইলে পত্নীতলা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী ইমতিয়াজ জাহিরুল হক বলেন, এই মূহুর্তে আমি ও ইউএনও স্যার রাস্তার ওই জায়গাতে দাঁড়িয়ে আছি। খুব দ্রুতই রাস্তাটির কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।

রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে জানান স্থানীয়রা।


কুমিল্লায় জংলি বেগুনে টমেটোর জোড়া, বাম্পার ফলনে কোটিপতি কৃষক!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা প্রতিনিধি

শরতের নীল আকাশ। উপরে সাদা মেঘের দলা উড়ে যায়। কাঠফাঠা রোদের মাঝে ফুরফুরে বাতাস বইছে। মাঠ থেকে আসছে কাঁদা মাটির সোধা ঘ্রাণ। ধানী জমির মাঝে বিস্তৃত এলাকা পলিথিনের শেড। ভেতরে আইল করে লাগানো টমাটো গাছ। গাছের ডগায় থরে বিথরে ঝুলে আছে লাল সবুজ টমাটো।পাখি পোকামাকড় থেকে পাকা টমাটো রক্ষায় জাল দিয়ে বেড়া দেয়া হয়েছে। এমন দৃশ্য দেখা যায় কুমিল্লা বুড়িচং উপঝেরার কোরপাই গ্রামে। এই গ্রামের কৃষক মোঃ মোবারক হোসেন জংলি বেগুনের সাথে গ্রাফটিং করে টমাটো চাষে কোটিপতি হয়েছেন।

কুমিল্লা কৃষি অফিসসূত্রে জানা যায়, পথের পাশে কিংবা ঝোপের মধ্যে জন্ম হয় জংলী বেগুনের। সেই ফেলনা বেগুনের চারার সাথে টমেটোর চারার জোড়া (গ্রাফটিং) লাগিয়ে জন্ম নেয়া চারা রোপণ করেন মোবারক হোসেন। বছর চারেক আগে তার এই কাজ দেখে অনেকেই পাগল বলে আখ্যায়িত করেছিলো। এখন সমালোচকরাই টমেটোর চারা তৈরি ও চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সাড়ে ৩ একর জমিতে গ্রাফটিং করা টমেটার চাষ করা হয়েছে। ওপরে পলিথিনের শেড দেয়া। পলিথিনের ওপর সূর্যের আলো পড়ে চকচক করছে। জনা দশেক পুরুষ ও নারী টমাটোর জমি পরিচর্যা করছেন। জমিতে লাগানো হয়েছে জৈব বালাইনাশক হলুদ ট্র্যাপ। গ্রীষ্মকালীন টমেটো পরিপক্ক হওয়ার পর বিক্রি শুরু হয়েছে। পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি ধরে।

মোবারক হোসেন জানান, বছর চারেক আগে পথের পাশে জন্মানো জংলী বেগুনোর সাথে টমাটোর গ্রাফটিং করে শুরু করি। তখন আমার কাজ দেখে অনেকে পাগল বলে সম্বোধন করেছিলো। তবে আমি লেগেছিলাম বলে এখন সবাই আমার সফলতা দেখছে। আমার বাড়িতে এখন চারা তৈরি শেডে গ্রাফটিং করা হয়। শুধু তাই নয়, মোবারক হোসেন বলেন, এক দশক ধরে তিনি ফসল উৎপাদন,মাছ চাষ ও গরু পালন করছেন। গত চার বছর ধরে তিনি জংলি বেগুনের সাথ টমোটোর জোড়া লাগিয়ে চারা তৈরি করছেন। এই কাজ শুরুর পর অনেকে হাসাহাসি করেছেন। এখন সফলতা দেখে অন্যরাও আগ্রহী হয়েছেন। প্রতিটি চারা পাইকারি ১৫টাকা করে বিক্রি করছেন। তিনি ৬লাখ চারা বিক্রি করেছেন। মাঠে সাড়ে ৩একর জমিতে সাহু ও কানসাল জাতের টমেটা লাগিয়েছেন। তিনি বিষমুক্ত উপায়ে চাষ করেছন। তার চারা,মাচা.মালচিং, সার ও শ্রমিক মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৪০ লাখ টাকার মতো। তিনি আশা করছেন বিক্রি অর্ধ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়া তিনি শীতকালীন আগাম টমেটো চাষের জন্য মঙ্গল রাজা নামের টমেটোর চারার গ্রাফটিং করছেন। সেগুলো আরো সাড়ে তিন একর জমিতে চাষ করবেন।

মোবারকের নির্দেশে চারা গাছের কাজ করেন জাহিদ হোসেন। জাহিদ জানান, তিনি উদ্যোক্তা মোবারক হোসেনের নির্দেশায় এখানে কাজ করেন। রাতে সাধারণত জংলি বেগুনের সাথে টমেটোর চারা জোড়া লাগানোর কাজটি করেন। মিনিটে তিন থেকে চারটি চারা জোড়া দেন। এক রাতে ১৮শ’-২হাজার চারা তৈরি করেন।

আবুল হোসেন বলেন, গ্রাফিটিংয়ের চারার আয়ু অন্য চারার থেকে বেশী। পোকা মাকড়ের আক্রমন থেকে রক্ষায় প্রাকৃতিক পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। তাই মোবারক হোসেনের টমাটো শরীরের জন্য উপকারী।

মোবারক হোসেনসহ ওই এলাকার কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে সব রকমের পরামর্শ ও সার্বক্ষনিক উপস্থিত থেকে কৃষকদেরকে উৎসাহিত করেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ফারুক আহাম্মদ ভুইয়া। তিনি বলেন, কৃষক মোবারক বেশ উদ্যমী। তাই তার জমিতে এখন ফসল হাসছে।

বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিসার আফরিণা আক্তার বলেন, আমরা উদ্বুদ্ধের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরির চেষ্টা করছি। তাদের একজন মোবারক হোসেন। তিনি টমেটার গ্রাফটিং করে সাড়া ফেলেছেন। তার চারা বিভিন্ন উপজেলায় যাচ্ছে। তার থেকে কৃষি বিভাগও ৭০ হাজার টাকার চারা কিনেছে। এছাড়া তার টমেটোর মাঠে আমরা বিষমুক্ত উপায়ে চাষের জন্য জৈব বালাইনাশক সরবরাহ করেছি।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, টমাটো একটি শীতকালীন সবজি। এই সবজিটি ছেলেবুড়ো সবার কাছে প্রিয়। আমরা চেষ্টা করছি টমাটো যেন গ্রীষ্মকালে চাষ করা যায়। সে চেষ্টায় আমরা সফল। তবে এ যাত্রায় আমরা এখন গ্রীষ্মকালীন টমাটো অধিক চাষে মনোযোগী হচ্ছি। যাতে করে মোবারকের মত অন্যারাও এগিয়ে আসে। তাতে সাশ্রয়ীমূল্য সারা বছর ধরে টমাটোর স্বাদ নিতে পারবে এ জনপদের মানুষজন। সে লক্ষ্য আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষনের বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করছি। এছাড়াও কৃষকরা টমাটো চাষে এগিয়ে এলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তাদেরকে সব রকমের সহযোগীতা করবে।


পটুয়াখালীতে বর্নাঢ্য আয়োজনে সেচ্ছাসেবকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু, পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালীতে বর্নাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে জাতীয়তাবাদী চ্ছাসেবকদলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টায় সার্কিট হাউজ পুকুরের পাশে বৃক্ষরোপণ ও শহীদ হৃদয় তরুয়া চত্ত্বরে বেলুন উড়িয়ে শুভ সুচনা করেন জেলা বিএনপির সভাপতি স্নেহাংশু সরকার কুট্টি, বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান টোটন, সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মশিউর রহমান মিলন ও সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন মোহন। এরপর শান্তির পায়রা উড়িয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় জেলা বিএনপি ও সেচ্ছাসেবকদলের নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন। এসময় বক্তারা দলটির গৌরব, ঐতিহ্য ও সংগ্রামের পটভূমি তুলে ধরেন।

পরে সেখান থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে লঞ্চঘাট চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়। আনন্দ শোভাযাত্রায় ঘোড়াসহ ঢাকঢোল পিটিয়ে নেচেগেয়ে উল্লাস প্রকাশ করা হয়।


সিংড়ায় হাঁসের খামারে হামলা ও লুট, ৮শত হাঁস নিয়ে গেল একদল দুর্বৃত্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

নাটোরের সিংড়া উপজেলার ইটালি ইউনিয়নের তুলাপাড়া বাঁশবাড়িয়া গ্রামে আজমল হকের হাঁসের খামারে পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে খোলাবাড়িয়া গ্রামের শায়বারের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত ৮০০ শত হাঁস লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ঘটনার সময় খামারের মালিক আজমল হক'সহ গ্রামবাসী স্থানীয় এলাহী বক্সের জানাজায় অংশগ্রহণে ব্যস্ত ছিলেন। এই সুযোগে শায়বারের নেতৃত্বে ৭-৮ জন ব্যক্তি খামারে প্রবেশ করে দুজন কৃষানকে মারধর করে আটকে রাখে এবং খামার থেকে প্রায় ৮০০ শত হাঁস নিয়ে যায়।

খামারের কৃষাণ বাবু বলেন, আমি খামারেই ছিলাম হঠাৎ কয়েকজন লোক গেট দিয়ে হাঁস বের করছে আমি বাঁধা দেওয়া পানির ভেতরে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ডুবিয়ে রাখে।

আরেক কৃষাণ শফি বলেন, খামারের ভিতরে গিয়ে দেখি মারধরের চিহ্ন স্পষ্ট। আমি নিজের চোখে শায়বারকে হাঁস তাড়াতে দেখেছি। পুলিশ এলে সেও স্বীকার করে হাঁস নিয়েছে, কিন্তু ফেরত দিতে অস্বীকার করে।

ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত শায়বার পুলিশের সামনেই হাঁস নেওয়ার কথা স্বীকার করে। তবে সে জানায়, হাঁস ফেরত দেবে না। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ এবং ভুক্তভোগী স্থান ত্যাগ করে। পরে খামারের মালিক আজমল হক আইনের আশ্রয় নেন। তবে অভিযুক্তদের প্রকাশ্য স্বীকারোক্তি সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত লুট হওয়া হাঁসগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

আজমল হক জানান, প্রতিদিন এই ৮০০ শত হাঁস প্রায় ৫০০ শত ডিম দেয়। হাঁসগুলো উদ্ধার না হওয়ায় তিনি চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, ঘটনার পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, বরং তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ এবং উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযুক্ত শায়বার অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, আমি কারো হাঁস নিযে আসিনি ওই ফার্মে আমার ছেলেরা গিয়েছিল শুধু।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান বলেন, এঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ওই খামারি এরপরে সাধারণত মামলা নেওয়া হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করে এবং যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, পরবর্তীতে মামলা রুজু করা হয়।


বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে নতুন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা, নক্সা ও গবেষণা) এর যোগদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকৌশলী মোঃ রাফিউস সাজ্জাদ ১৮ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিঃ তারিখে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা, নক্সা ও গবেষণা) পদে যোগদান করেন। উক্ত পদে যোগদানের পূর্বে তিনি প্রধান প্রকৌশলী (পুর), কেন্দ্রীয় অঞ্চল, বাপাউবো, ঢাকায় কর্মরত ছিলেন।

তিনি ১৯৯১ সালে Khulna University of Engineering & Technology থেকে বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করেন এবং পানি সম্পদ উন্নয়নে ইতালি থেকে Post Graduate Diploma (PGD) ডিগ্রী অর্জন করেন । তিনি ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে সহকারী প্রকৌশলী (পুর) পদে যোগদান করেন।

পরবর্তীতে তিনি উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রধান প্রকৌশলী পদে বোর্ডের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। বিশেষ করে তিনি বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ সহায়তাপুষ্ট WAMIP প্রকল্পে দায়িত্ব পালনসহ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণ সহায়তাপুষ্ট IMIP প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডে দীর্ঘ ৩২ বছরের অধিক চাকরিকালীন তিনি জাপান, চায়না, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডে বিভিন্ন সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে অর্জিত জ্ঞান বোর্ডের কর্মকাণ্ডে অত্যন্ত সাফল্যের সাথে প্রয়োগ করছেন। প্রকৌশলী মোঃ রাফিউস সাজ্জাদ ১৯৬৮ সালে কুমিল্লা জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (IEB) এর আজীবন সদস্য এবং একজন প্রফেশনাল ইঞ্জিনিয়ার (PEng.)।


ফেনীতে আবাদ হচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় সুস্বাদু সবজি ঠোঁয়াস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া, ফেনী প্রতিনিধি

ঠোঁয়াস অপ্রচলিত জলজ সবজি। এটি বাংলাদেশের একটি বিলুপ্তপ্রায় সবজি। সবজি হিসেবে মাছের সাথে কিংবা ভেজে, কখনো কখনো ভর্তা হিসেবে খাওয়া যায়। স্বাদ কিছুটা শাপলার কাণ্ডের মত। শাপলার মতই কুটে বেছে নিতে হয়। ডাটা শাকের মত বললেও চলে। তারপর ধুয়ে মাছ বা ডাল দিয়ে রান্না অথবা শাপলার মত ভাজি করে খেতে অনেক স্বাদ। সবক্ষেত্রে এটি অতুলনীয় । এটি আঁশ সমৃদ্ধ হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী বলে জানিয়েছেন অভিজ্ঞ লোকজন।

ঠোঁয়াস সম্পর্কে বর্তমানে অনেকে জানেন না। এ সবজি সচরাচর বর্ষাকালে পাওয়া যায়। যে সময় মাঠে তেমন সবজি থাকে না, সে সময় সবজির যোগান দিয়ে থাকে ঠোঁয়াস।

ফেনী অঞ্চলে ঠোঁয়াস সবজি বয়োবৃদ্ধ সবার কাছে পরিচিত। ষাট ও সত্তুরের দশকে এই অঞ্চলের কম বেশি সকল মজা পুকুরে ঠোঁয়াস চাষ হতো। বর্ষা মৌসুমের আগেই এই সবজি লাগানোর আদর্শ সময়। ডোবা, জলাশয়, পুকুরের পাড় সংলগ্ন কিনারায়, পরিত্যক্ত নিচু জমিতে লাগানো যায়। ফেনীর সোনাগাজী, দাগনভূঞা, সদরের কিছু অংশ ও ফুলগাজীতে জমি, পুকুর, খাল-বিলের পানিতে এর বাণিজ্যিক চাষ হয়।

বহুপূর্বে কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চট্রগ্রামের কিছু কিছু এলাকায় বর্ষাকালে ঠোঁয়াস পাওয়া যেত। এখন ওসব এলাকায় ঠোঁয়াস উৎপাদন কমেছে।

ফেনীর প্রায় এলাকায় অগভীর জলাশয় বা মজে যাওয়া পুকুরে ঠোঁয়াস চাষ করা হয়। এটি পানির ওপর ভাসে। ২-৩ মাসে ফসল ঘরে তোলা হয়। লাভ অধিক । কোন প্রকার সার, কিটনাশক ছাড়াই চাষ করা যায় ও পরিচর্যার মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানো যায়। ঠোঁয়াস গাছ এর গীটসহ কান্ড বা সাকার একবার কাদামাটিতে লাগিয়ে দিলেই হয়। এটি পানি শুকিয়ে গেলেও মাসের পর মাস মাটিতে বাঁচে। পর্যাপ্ত পরিমান পানি পেলে এই সবজি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এ সবজি চাষের জন্য বিশেষ কোন পরিশ্রম নেই।

ঠোঁয়াস ফেনীর গ্রামীণ হাটবাজারে বেশি পাওয়া যায়। এছাড়া কিছু কিছু এলাকায় শহরের বাজারেও ঠোঁয়াস পাওয়া যায়। ফেনী শহরের বড়বাজারে (কাঁচা বাজার) কয়েকটি দোকানে ঠোয়াস পাওয়া যায়। ১২-১৪ ইঞ্চি লম্বা ২০-২২টি ডাটা নিয়েই একটি আটি। আটি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে বাজারে বিক্রি হয়। দামে কম ও সুস্বাদু হওয়ায় মানুষ এই সবজিতে অতি আগ্রহী।

ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত মৌলভী আমির হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ হানিফ। একসময় নোয়াখালীতে ব্রিক ফিল্ডে চাকরি করতেন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর ওপেন হার্ট সার্জারি হয় । তিনি সুস্থ হয়ে ২০০০ সাল থেকেই বাড়ির সামনে ১৬ শতাংশের মজা পুকুরে ঠোঁয়াস চাষ শুরু করেন। তিনি বলেন, সামান্য ঘাস, আগাছা পরিষ্কার করা হলেই ঠোঁয়াস মোটা এবং তাজা হয়। তিনি প্রতিদিনই ঠোঁয়াস তুলে পরিষ্কার করে বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন। এতে তার লাভও ভালো হয়। এর আয় থেকে চলছে তার পরিবার। সন্তানদের পড়ালেখাসহ সবকিছু। তিনি আরো বলেন, যারা বেকার রয়েছেন, তারা তাদের বাড়ির সম্মুখে বা পার্শ্ববর্তী মজা পুকুরে বা জলাশয় ঠোঁয়াস চাষ করলে পরিবারের সবজির চাহিদা পূরণ হবে, লাভও হবে।

ফেনী জেলা শহরের বড়বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সাবধান মিয়া, বয়স সত্তর ছুই ছুই। বাড়ি সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের চর মধুয়াই। বাড়ির সামনে ২৫ ডিসিমেল এর একটি জলাশয়ে ঠোঁয়াস চাষ করেন । নিজে পানি থেকে তুলে পরিস্কার করে বাজারে এনে নিজ দোকানে অন্যান্য সবজির সাথে বিক্রি করেন। এতে পুঁজি ছাড়া তাঁর ভালো লাভ হয়।

ফেনীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমি প্রায়শ: বাজারে এই অপ্রচলিত সবজিটা খুঁজি ।কখনো পাই, কখনো পাইনা। যখনই পাই, যত দামি হোক আমি এটা কিনে বাসায় নিয়ে যাই এবং পরিবারসহ সবজি হিসেবে ভাতের সাথে খেয়ে থাকি।

গোবিন্দপুর এলাকার গৃহিণী লায়লা আক্তার রেখা ও নাসিমা আক্তার দু'জনেই ঠোঁয়াস এর নিয়মিত ক্রেতা। তাদের সাথে কথা হয় ঠোঁয়াস চাষকারী মোহাম্মদ হানিফ এর বাড়িতে। তারা বলেন, ঘরে রান্নার কোন সবজি না থাকলে আমরা প্রতিনিয়তই এখান থেকে ঠোঁয়াস পরিবারের জন্য নিয়ে রান্না করে থাকি। এটি দামেও কম পাশাপাশি রন্ধন-প্রণালীও সহজ এবং খেতেও সুস্বাদু।

স্থানীয় গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী বিবি মরিয়ম বলেন, আমি ঠোঁয়াস খুব পছন্দ করি ।আমরা পরিবারের সবাই মিলে এই সবজি খেয়ে থাকি। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে ঠোঁয়াস খাওয়া উচিত। কারণ, আমাদের শিক্ষকগণ বলেছিলেন, ঠোঁয়াস স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং এই সবজি খেলে রোগ কম হয়।

বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব দীন মোহাম্মদ বলেন, আমাদের শৈশব এবং কৈশোর জুড়ে আমরা এই সবজিটি আমাদের বাড়ির আশপাশে সর্বত্রই পুকুরে দেখেছি। এটি আমার মা এবং দাদীরা আমাদেরকে সুস্বাদুভাবে রান্না করে খাওয়াতেন। এখন আর এটি তেমন একটা দেখা যায় না। আমাদের উচিত ঐতিহ্যবাহী এই সবজিটিকে টিকিয়ে রাখা।

ফেনী সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, ঠোঁয়াস একটি অপ্রচলিত বিলুপ্তপ্রায় সবজি। এটি চাষে তেমন পরিশ্রম হয় না ।বিশেষ করে বর্ষাকালে এটি উৎপাদন হয়। যখন মাঠে অন্যান্য সবজি থাকে না, তখন এই সবজিটি সাপোর্ট দিয়ে থাকে। এটি রন্ধন প্রণালীও সহজ । আশ সমৃদ্ধ হওয়ায় ঠোঁয়াস ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটা যদি সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া যায় তাহলে মানুষের বেশ উপকার হবে।


তিন যুগেও হয়নি সংস্কার, ঝুঁকিপূর্ন বেইলি ব্রিজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

দ্বিতীয় শেণ্রীর শিক্ষার্থী নাফিসা ইসলাম মাইশা। বেইলি ব্রিজের কাছেই তার বাড়ি। তিনি বলেন, “এ ব্রিজের নাট বল্টু কবেই খুলে গেছে। গাড়ী এর উপর দিয়ে গেলেই বিকট শব্দ হয়। বিশেষ করে রাতে প্রচন্ড আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে যায়। অনেক সময় ভয়ও লাগে।” মাইশার মতো আশেপাশের আরও অনেকে এমন অভিযোগ করে বলেন, এ অভিশপ্ত ব্রিজ মেরামত করুন না হয় এটা এখান থেকে সড়ান। ছোট ছেলে মেয়েরা রাতে ঘুম থেকে আঁৎকে উঠে।

নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন নগরপাড়া-মাঝিনা সড়কের ছনেরটেক-নগরপাড়া বেইলি ব্রীজে প্রতিনিয়ত ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে ব্রীজটি দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে। যে কোন সময় এটি ভেঙে পড়তে পারে। ছনেরটেক-নগরপাড়া খালের উপরে ১৯৯১ সালে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের এক বছর পরই এর নাট বল্টু এমনিতেই খুলে খুলে পড়ে যেতে থাকে। ৩৪ বছর হয়ে গেছে। প্রায়ই তিন যুগ পার হতে চলছে। এখন ভয়ঙ্কর অবস্থা। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা।

ডেমড়া-কালিগঞ্জ সড়কটি দীর্ঘ দিন ব্যবহারের অনুপযোগী ও চনপাড়া-নগরপাড়া গাজী বাইপাস (নতুন) সড়ক হওয়ার পর এ সড়কে গাড়ী চলাচল বেড়ে যায়। ফলে ব্রিজটির গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে। স্টিলের তৈরি ব্রিজটি স্থাপনের পর বহু বছর চলে গেছে। ধীরে ধীরে এর প্লেটগুলো ক্ষয়ে যাচ্ছে। স্টিলের তৈরি রেলিংগুলোও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । যানবাহন উঠলে নড়বড় করতে থাকে, কাঁপতে থাকে পুরো ব্রিজটি। যাত্রীরা তখন ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে থাকে।

মুসা মিয়া নামে একজন অটোচালক বলেন, প্লেটের ফাঁকায় গাড়ীর চাকা আটকে এ পর্যন্ত ২০ জন আহত হয়েছে। প্রায়ই আমাদের গাড়ী পড়ে যাচ্ছে। এটা ঠিক না করলে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ ব্রিজটি দিয়ে রূপগঞ্জ উপজেলার খামারপাড়া, নগরপাড়া, কামশাইর, বালুরপাড়, ঈদেরকান্দি, দাসেরকান্দি, নয়ামাটিসহ শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরের অনেক গাড়ি এবং শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিমাঞ্চলের লোকজন যাতায়াত করে থাকেন। তাই গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজটি অতিসত্বর মেরামত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এলাকাবাসী। ব্রিজটি নিয়মিত যানজট থাকায় পথচারী বিশেষ করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে দারুণ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। মাঝিনা মৌঝার ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার সভাপতি মামুন মিয়া জানান, এই ব্রিজে যানজটের কারণে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ায় চরম বিঘœ ঘটছে। রূপগঞ্জ থানা, স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও রেজিস্ট্রি অফিসে এ রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয়।

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, এটা সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন। এ ব্রিজের ব্যাপারে আমার কিছু করার নেই।নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রহিম জানান, আমার জানা মতে নারায়ণগঞ্জে কোন বেইলী ব্রিজ নেই। কয়েকটা ছবি পাঠিয়ে দিয়েন, দেখি কোন ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টা আমার জানা ছিল না, আমাদের পক্ষে সম্ভব হলে, আমি আমাদের ইঞ্জিনিয়রকে নিয়ে পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে সমস্যা সমাধানের চেষ্ঠা করব।


রামগতিতে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন, তালা মেরে ৭ দিন ক্লাস বর্জন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এমরান হোসেন, কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার ইউনিয়নের চরআব্দুল্লাহ আল মাদ্রাসাতুল জামিয়াতুল ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ ন ম আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে মাদরাসায় তালা দিয়ে গত সাতদিন ধরে ক্লাস ও অফিস বর্জন কর্মসূচী পালন করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় গত সোমবার (১১ আগস্ট) থেকে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) মাদরাসায় কোন ক্লাস হয়নি।

এদিকে গত সোমবার ১৮ আগস্ট রামগতির ইউএনও’র কার্যালয় থেকে অধ্যক্ষের ৭০ লাখ টাকা দুর্নীতির তদন্তে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়।

শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন অধ্যক্ষ হিসেবে থাকার কারণে আব্দুল হাকিম একের পর এক মনগড়া সিদ্ধান্তে নানা অনিয়ম ও ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে মাদরাসার প্রায় ৭০ লাখ টাকা আত্মসাত করেন। ওই টাকার হিসাব চাওয়ায় তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামেন। তালা মেরে ৭ দিন ধরে ক্লাস বর্জন-মানববন্ধনসহ নানান কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা।

আবু বকর, গালাম কিবরিয়া ও যুবায়ের হোসেন নামের তিনজন মাদরাসার শিক্ষক জানান, অধ্যক্ষ আ.ন.ম. আব্দুল হাকিমের অসদাচরণ, শিক্ষক মিটিংগুলাতে কোন শিক্ষক তার মতের বিপরীতে মতামত দিলে মিটিং শেষে নিজের অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে ধমক দেওয়া, শিক্ষকদের বেতন স্কেল পরিবর্তন ও বিভিন্ন সরকারি সুবিধা দিতে বিধি লংঘন করা এবং এসব কাজের জন্য শিক্ষকদের নিকট থেকে জোরপূর্বক অর্থ আদায় করা, মাদ্রাসায় দাখিল ও আলিম পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলে শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও মাদ্রাসার ফান্ড থেকে অধ্যক্ষ হাকিম কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলে জানান তারা।

তারা আরো জানান, শিক্ষক-কর্মচারীদের নিকট থেকে তাদর নাম, পদবি, ব্যাংক একাউন্ট সংশোধনের কথা বলে দুইবার প্রায় দুই লাখ টাকা নিয়েও কোন কাজ করেননি তিনি। মন্ত্রণালয়ের অডিটের কথা বলে শিক্ষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের থেকে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। মাদ্রাসার টাকায় কেনা বিভিন্ন আসবাবপত্র নিজের বাসায় নিয়ে যান এ অধ্যক্ষ।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ বেশিরভাগ সময়ে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকেন। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেজিষ্ট্রিশন বাবদ ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেওয়া সহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন।

এসব অভিযোগ এনে মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এডিসি জেনারেল বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তারা।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আ.ন.ম.আব্দুল হাকিম বলেন, মাদরাসার শিক্ষক আবু বকর, গালাম কিবরিয়া ও যুবায়ের হোসেনকে আয় ব্যায়ের হিসাবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা মাদরাসার ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা চাওয়ায় সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী দিয়ে মাদরাসায় তালা মেরে দেন এবং গত সাতদিন ধরে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষাভ মিছিল ও মানববন্ধন করাচ্ছেন তারা।

রামগতির ইউএনও সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এডিসি সম্রাট খীসার বলেন, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে ইউএনও রামগতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখবেন।


নওগাঁয় ভাতিজা'র লাঠির আঘাতে চাচা নিহত

আপডেটেড ১৯ আগস্ট, ২০২৫ ২১:২০
মো. সবুজ হোসেন, নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর আত্রাইয়ে লাঠির আঘাতে চাচা আজিজার রহমান (৬৮) নিহতের ঘটনায় দুই ভাতিজাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ১৯ আগষ্ট ভোর রাতে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার কালিগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। এদিন দুপুরের পর তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার তেজনন্দী ভাটো পাড়া গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের দুই ছেল বাবু ও আলিম। এবং নিহতের ভাতিজা।

এর আগে গত সোমবার ১৮ আগষ্ট সন্ধ্যায় বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে ভাতিজার লাঠির আঘাতে চাচা আজিজার রহমানের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও থানা যায়, জমি-জমা সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে এদিন সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় ভাতিজাদের সাথে বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে চাচা আজিজার রহমানের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ভাতিজাসহ কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ভাতিজার লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলেই চাচা আজিজার রহমান নিহত হন। পরে নিহতের ছেলে মুকুল হোসেন বাদী হয়ে আত্রাই থানায় ৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরপরই ভাতিজারা পালিয়ে যায়।

মামলার প্রেক্ষিতে আত্রাই থানা পুলিশের একটি দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নাটোর জেলার কালিগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে অভিযুক্ত দুই ভাতিজা বাবু ও আলিমকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মান্নান বলেন, আজিজার রহমান নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা মূল আসামি। এঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। বাবু ও আলিমকে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।


চাচার বিয়েতে এসে বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে জড়িয়ে ভাতিজার মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া, ফেনী প্রতিনিধি

বিয়ে বাড়িতে বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে জড়িয়ে সাজেদুল ইসলাম নামে তিন বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ফেনীর ফুলগাজীর আমজাদহাট ইউনিয়নের উত্তর ধর্মপুর গ্রামের মজুমদার বাড়িতে সোমবার (১৮ আগস্ট) রাতে এঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু সাজেদুল ওই ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের প্রবাসী নুরুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও স্হানীয়রা জানায়, গত সোমবার সকালে শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে একই ইউনিয়নের উত্তর ধর্মপুর গ্রামে তার চাচা ওমর ফারুকের বিয়ের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে এসেছিল। সন্ধ্যায় বিয়ে বাড়ির আনন্দে সবাই যেন মাতোয়ারা। কিন্তু এরই ফাঁকে শিশু সাজেদুল বাড়ির উঠোনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে জড়িয়ে গুরতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা শেষে শিশু সাজেদুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফুলগাজী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) যশমন্ত মজুমদার বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির স্বজনেরা হাসপাতাল থেকে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছেন।


কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ আগামী নির্বাচন বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করছে: দুলু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাজমুল হাসান, নাটোর প্রতিনিধি

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, বাংলাদের গণতন্ত্র আজ বিপন্ন ও ধ্বংশ হবার পথে। দেশের গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে গণতন্ত্রের পথেই ফিরে আসতে হবে। চারিদিকে যে অস্থিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন ধরনের দাবী তুলে আগামী নির্বাচন বাধাগ্রস্থ ও পন্ড করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

মঙ্গলবার সকালে নাটোরের কানাইখালীতে স্বেচ্ছসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি। এসময় রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু আরও বলেন, আগামী নির্বাচন যদি সময় মতো না হয়। যাদের রক্তের বিনিময়ে সেই ৫ আগষ্ট ফ্যাসিষ্টকে উৎখাত করে, দেশের যে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা আর ভোটের অধিকার ফিরে এসেছে। তা তা ভুলণ্ঠিত হতে সময় লাগবে না। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনমুখি হতে হবে। এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আজিজ, মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, সাইফুল ইসলাম আফতাব, দাউদার মাহমুদ, জেলা যুব দলের সভাপতি এ.হাই তালুকদার ডালিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সানোয়ার হোসেন তুষার, সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম জহির, যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।


গঙ্গাচড়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বঞ্চিত প্রার্থীদের দাবি, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের যোগসাজশে রাজনৈতিক প্রভাব ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ডিলার নির্বাচন করা হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৩৩ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে চিত্র ভিন্ন। মোট ২০৩ জন আবেদনকারীর মধ্যে ২১ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। মাত্র চারটি কেন্দ্রে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন চারজন। বাকি আটটি কেন্দ্র শূন্য রাখা হয়েছে। এতে ৩৩টি কেন্দ্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হলেও ৮টি পদ শূন্য রয়ে গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, ১৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ফলাফল প্রকাশের কথা থাকলেও তার আগেই ফল ফাঁস হয়ে যায়। এতে নিয়োগ নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে বলে দাবি করেন বঞ্চিত আবেদনকারীরা। ১৮ আগস্ট দুপুরে চারটি কেন্দ্রে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হন, চৌধুরীহাট কেন্দ্র: মো. আমির আলী, ঠাকুদহ বাজার কেন্দ্র: শাহিন আলম,

নোহালী ইউনিয়নের বাগডোগরা কেন্দ্র: মশিউর রহমান (পিতা: সৈয়দ আলী), বড়াইবাড়ি হাট কেন্দ্র: সামসুল আরেফিন।

বঞ্চিত প্রার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, যে টাকা দিতে পেরেছে, তারাই নির্বাচিত হয়েছে। তারা দাবি করেন, নীতিমালা উপেক্ষা করে রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং আর্থিক লেনদেনের ভিত্তিতে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা না থাকলে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণ হতে পারে।

প্রার্থী মো. নূরুজ্জ্জামানসহ কয়েকজন আবেদনকারী লটারি অনুষ্ঠানের আগেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়,বিভাগীয় কমিশনার, বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রংপুর জেলা প্রশাসক এর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তারা দ্রুত তদন্ত করে দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা উম্মে কুলসুমা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি অফিসে পাওয়া যাননি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে প্রথমে ফোন কেটে দেন এবং পরবর্তীতে বন্ধ রাখেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, যদি অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখবে।


নীলফামারীতে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাসির উদ্দিন শাহ মিলন, নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার টুপামারি ইউনিয়নের ঢুলিয়াপাড়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম অনামিকা রায় (১৪)। তিনি স্থানীয় শ্রী অরবিন্দু চন্দ্র রায়ের কন্যা এবং শহিদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

টুপামারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মছিরত আলী শাহ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অনামিকা আত্মহত্যা করেছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো পরিষ্কার নয়।

নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম.আর সাঈদ বলেন, খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।


banner close