বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫
৫ ভাদ্র ১৪৩২

আটোয়ারীতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের মোবাইল কোর্টে ৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

আটোয়ারী (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
প্রকাশিত
আটোয়ারী (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২০ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:৩৬

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার প্রাণকেন্দ্র ফকিরগঞ্জ বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৪ ব্যবসায়ীর নিকট হতে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, পঞ্চগড় জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (অ.দা.) এ.এস.এম মাসুদ উদ দৌলা’র নেতৃত্বে এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী ফকিরগঞ্জ বাজারের ‘ফেন্সি ফার্মেসী’র (ভেটেরিনারি ঔষধ ও খাদ্যের দোকান) স্বত্বাধিকারী মোঃ ফজলুল হককে ১০,০০০/- টাকা, ‘ভাই ভাই স্টোর’ (মসলার দোকান) এর স্বত্বাধিকারী মোঃ তৌহিদুল ইসলামকে ৩,০০০/- টাকা, ‘ইব্রাহিম স্টোর’ (মসলার দোকান) এর স্বত্বাধিকারীকে ৩,০০০/- টাকা এবং ‘সোহেল স্টোর’ (মসলার দোকান) এর স্বত্বাধিকারী মোঃ সোহেল রানাকে ৪,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়।

এসময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহযোগিতা করেন, উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন মোঃ আব্দুল্লাহ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিটারি পরিদর্শক(ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আব্দুল গনি, উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের অন্যান্য কর্মচারী ও আটোয়ারী থানার অফিসার সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স।


ফরিদপুরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর সদর উপজেলার চর মাধবধদিয়া ইউনিয়নের খলিল মণ্ডল হাট ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে মেধাবী কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসএসসি পরীক্ষায়- এ প্লাস প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র -ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দলের আহবায়ক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ।

ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ্যডভোকেট মো. হাসান মেহেদী তিতুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক এ বি সিদ্দিকী মিতুল, চর মাধবদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি মির্জা সাইফুল ইসলাম আজম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শেখ রফিক । এসময় ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজওয়ান বিশ্বাস তরুণ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা মো. জাহাঙ্গির, মো. এনামুল করিম, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি অনিক হাসান সহ বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


নওগাঁয় ১০ মাসেও রহস্যহীন শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর হত্যা, দিশেহারা পরিবার, ক্ষোভে স্থানীয়রা

আপডেটেড ২০ আগস্ট, ২০২৫ ২২:২০
মো.সবুজ হোসেন, নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার মসরইল গ্রামের এক মেধাবী শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান হত্যার ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো উদঘাটন হয়নি হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য। তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় হতাশ ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে নিহতের পরিবার। বিচারের আশায় দিন গুনছে তারা। স্থানীয়দের মধ্যেও বিরাজ করছে ক্ষোভ ও হতাশা। তারা দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় মধইল বিএল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় গণিত বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। তার ঘরে এখন ঝুলছে আইডি কার্ড, ফাঁকা পড়ে আছে শোবার ঘর। বিলাপ করছেন পরিবারের সদস্যরা। মাঝে মাঝেই মোস্তাফিজুর রহমান এর ঘরে গিয়ে ছবি আঁকড়ে ধরে কাঁন্না করেন তার মা। এক অজানা কারনে ঝড়ে গেল তাজা প্রাণ।

যেভাবে পাওয়া যায় মোস্তাফিজুরের লাশ:

গত বছরের ৬নভেম্বর সন্ধ্যার সময় মোস্তাফিজুর রহমান মাগরিবের নামাজ পড়তে গ্রামের একটি মসজিদে যায়। নামাজ পড়ে সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। দীর্ঘ সময় পরেও বাড়িতে না আসায় তার পরিবারের লোকজন মসজিদে খোঁজ নেন। সেখানে গিয়ে তাকে না পেয়ে সকল আত্মীয়স্বজনের বাড়িতেও খোঁজ খবর নেওয়া হয়। তারপরও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের আটদিন পর ১৩নভেম্বর দুপুরে স্থানীয়রা মাঠের মধ্যে কয়েকটি হাড় ও নাড়িভুঁড়ি ছড়িয়ে থাকতে দেখে। এরপর তারা সেখানে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ধানক্ষেতের ভেতরে একটি গর্ত দেখতে পায়। সেখানের মাটি সরিয়ে দেখে একটি অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার শার্ট ও লুঙ্গি দেখে মোস্তাফিজুরের লাশ শনাক্ত করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে তাকে। ঘটনার পর মামলা হলেও এখনও পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়।

দিশেহারা মোস্তাফিজুরের পরিবার:

বিলাপ করে মোস্তাফিজুর রহমানের মা মোসলেমা আক্তার বলেন, ঘটনার দিন মাগরিবের নামাজ শেষ করে বাড়িতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু আমার কলিজার টকরো সন্তানটি আর ফিরেনি। তারপর রাত গড়িয়ে যায় তবুও খোঁজ পাইনা। গ্রামের অনেকের বাড়ি ও পরিচতজনদের সাথে যোগাযোগ করে কোন সন্ধান পাইনি। তার ৮দিন পর ধানক্ষেতে টুকরো-টুকরো হাড়সহ অর্ধগলিত দেহ পাওয়া যায়। গায়ের কাপড় ও দেহেরে কিছু অংশ দেখে শনাক্ত করি যে ওটা আমার মোস্তাফিজুর। পুলিশ ডিএনএ টেস্ট করেও নিশ্চিত হয় যে ওটা আমার সন্তান। প্রায় ১০মাস হয়ে যাচ্ছে তবুও আমার সন্তানের হত্যার বিচার পাইনি। কারা মারলো, কি কারনে মারলো এসবের উত্তর আজও অজানা। আর কিছু বলতে পারছিনা বাবা এই বলেই অঝোরে কাঁদতে শুরু করেন।

মোস্তাফিজুরের বাবা আনোয়ার হোসেন ও বোন জিন্নাতুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে মোস্তাফিজুরকে। ১০ মাস কেটে গেলেও আমরা এখনো জানতে পারিনি কে বা কারা এই জঘন্য কাজ করেছে। বিচার তো দূরের কথা, তদন্তেই কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছিনা। একজনকে আটক করা হয়েছিল, সে বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছে। কারন সুনিনির্দিষ্ট প্রমাণ নাকি পাওয়া যায়নি তার বিরুদ্ধে। তাই আরও তদন্ত চলছে। সন্দেহভাজন হিসেবে আমরা মামলায় এজাহারে কিছু নাম যুক্ত করতে চেয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ তা গ্রহণ করেননি। তারা মাঝে মাঝে আসে আবার চলে যায়। কি তদন্ত হচ্ছে সঠিক না কি সেটা আমরা বুঝতে পারছিনা। এতদিন হয়ে গেল আসামীদের আটক করা হয়নি। এভাবে আর আমরা কত ধৈর্য্য ধরে থাকবো। যার আপনজন হারায় সেই বুঝে কতটা ব্যাথা আর যন্ত্রনা হয়। দ্রুত সঠিক বিচার চাই আমরা। এভাবে যেন আর কোন সন্তানকে খুন হতে না হয়।

স্থানীয়রা যা বলছেন:

স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আবুল হোসেন, মসজিদের মোয়াজ্জিন আবুল কালাম আজাদ ও ইউপি সদস্য মনছুর আলীসহ বেশ কয়েকজন বলেন, নিহত মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন শান্ত-শিষ্ট ও ভালো ছেলে। তিনি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন এবং সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতেন। মোস্তাফিজুর কারও সঙ্গে কোনোদিন খারাপ ব্যবহার করেননি। এত নির্মমভাবে হত্যা করার বিষয়টি কেউ মেনে নিতে পারছিনা আমরা। “এভাবে একজন শিক্ষার্থী হত্যার শিকার হবে আর তার বিচার হবে না এটা তারা মেনে নিতে পারছেননা। প্রশাসনের কাছে দাবি দ্রুত তদন্ত শেষ করে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক। সেই সাথে এমন শাস্তি দেয়া হোক যাতে এমন নেক্কারজনক কাজ যেন কেউ করতে সাহস না পায়।

প্রশাসন যা বলছেন:

নওগাঁর পুলিশ সুপার মাহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বিপিএম জানান, ১৩নভেম্বর স্থানীয়রা মাঠের মধ্যে একটি মৃত দেহ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে আমরা নিশ্চিত না হওয়ার কারনে ডিএনএ পরিক্ষার মাধ্যমে জানতে পারি মৃতদেহটি মোস্তাফিজুর রহমানের। তদন্ত কার্যক্রম আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তদন্তে প্রমান পাওয়া যায়নি তার বিরুদ্ধে। তবে বাদী পক্ষের একটি অভিযোগ আছে যে, তারা আরও কয়েকজনের নাম তারা বলতে চাচ্ছেন। আমাদের তদন্ত কার্যক্রমে অন্যকারো সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাচ্ছিনা। যখনই সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাবো তখনই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেলার এই পুলিশ প্রধান আরও বলেন, আমরা চাইনা কোন নিরপরাধ কেউ সাঁজাপ্রাপ্ত হোক। আমরা যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে দোষীদের আইন এর আওতায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। পুলিশ স্লো কাজ করছেনা। আমরা ফরেনসিক রিপোর্ট এর জন্য অপেক্ষা করছি। তদন্তে আমরা মোটামুটি একটা পর্যায়ে চলে এসেছি। ফরেনসিক রিপোর্টটি হাতে পেলে আমরা চুড়ান্ত চার্জসিটের দিকে চলে যাবো।

তবে পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয়রা মনে করছেন, তদন্তে উদাসীনতার কারণে বিচার প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। প্রশাসন ও সরকারের প্রতি তাদের জোর দাবি, দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।


সাতক্ষীরায় উন্নয়ন তহবিলের আওতায় দরিদ্র নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আবু সাঈদ, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের আয়োজনে রাজস্ব উদ্বৃত্ত তহবিলের আওতায় অসহায় ও দরিদ্র মহিলাদের মাঝে ২৬ টি সেলাই মেশিন ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মাঝে ২০ টি হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদের ডিজিটাল কর্নারে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ এর সভাপতিত্বে এর সভাপতিত্বে অসহায় ও দরিদ্র মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন তুলেদেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।

তিনি বলেন, নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে তাদের জীবনে স্বনির্ভরতা নিশ্চিত ও পরিবারের আর্থিক সহযোগিতা করে সুন্দর একটি সমাজ গঠন করতে হবে।

এ সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতিস সরকার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ শাহিনুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী ইয়াকুব আলী, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শরিফুল ইসলাম, প্রতিবন্ধী সাহায্য ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের কনসাল্টেন্ট ডা. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

সেলাই মেশিন পেয়ে সুবিধাভোগী নারীরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তা দিয়ে স্বনির্ভর হওয়ার ও পরিবারের আর্থিক সহযোগিতা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।


মাগুরায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৬২ কেজি পলিথিন জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরা জেলার সদর উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে দুটি দোকান থেকে ৬২ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে। এসময় পলিথিন মজুত ও বিক্রির দায়ে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে । সদর উপজেলার আলকদিয়া বাজারে এ অভিযান চালানো হয়।

মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাফাত আল মেহেদী ও মো. সাঈদুন নবী জোহার নেতৃত্বে মাগুরা জেলার সদর উপজেলার আলোকদিয়া বাজারে পলিথিনের বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসময় বাজারে সুমন স্টোর থেকে ২২ কেজি ও আল আমিন স্টোর থেকে ৪০ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। দুটি দোকান থেকে পলিথিন মজুত ও বিক্রির দায়ে মোট ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ।

এ অভিযান টি পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শোয়াইব মোহাম্মদ শোয়েব এবং সহায়তা করেছেন পুলিশের একটি টিম ।

এ সময় জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শোয়াইব মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।


পার্বত্য চট্টগ্রামে বাজারফান্ড ভুক্ত জমির বন্ধকি ও রেজিস্ট্রি কার্যক্রম চালুর দাবিতে রাঙামাটিতে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি প্রতিনিধি

পার্বত্য চট্টগ্রামে বাজারফান্ড ভুক্ত জমির বন্ধকি ও রেজিস্ট্রি কার্যক্রম পূর্বের ন্যায় চালু করার দাবিতে রাঙামাটিতে মানববন্ধন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। বুধবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় শহরের বনরূপা বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের রাঙামাটি জেলা সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজি মুজিবর রহমান। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি জলা সিনিয়র সহ সভাপতি আবু বকর, সহ সভাপতি কাজি মোঃ জালোয়া, সাধারণ সম্পাদক ডা. মুহাম্মাদ ইব্রাহিম, সহ সাধারণ সম্পাদক সেলিম উদ্দিন, ছাত্র নেতা আলমগীর সহ অন্যান্যরা।

এ সময় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন বাজারফান্ড ভুক্ত জমি জেলা প্রশাসক কার্যালয় কতৃক বন্দকি বন্ধ রেখে জমির মালিকদের অধিকার হরণ করছে। এসব জমি বাজারফান্ড থেকে সরকারী নিয়মমেনে খাজনা সালামী দিয়ে রেজিষ্ট্রি নেয়া হলেও জেলা প্রশাসক দীর্ঘ চার বছর যাবত জমি বন্দকি বন্ধ রেখেছে। ফলে বাজারফান্ড ভুক্ত জমির মালিকরা ব্যাংক লোন সুবিধা বঞ্চিত হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

এ ছাড়া রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার সম্প্রতি জমি রেজিষ্ট্রেশনে জটিলতা তৈরি করেছেন তার নিন্দা জানান বক্তারা।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙালী উচ্ছেদের সুদূর প্রসারী উদ্দেশ্যে একটি মহল বার বার জমির অধিকার হরণ করার অপচেষ্টা করছে। পার্বত্য বাঙালীরা ভুমি সহ নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত উল্লেখ করে এসব বৈষম্য নিরসনে সরকারকে উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান বক্তারা।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বাজারফান্ড ভুক্ত জমির বন্ধকি ও রেজিস্ট্রি কার্যক্রম পূর্বের ন্যায় চালু করার দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন বক্তারা।


সাতক্ষীরায় আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে সাইকেল বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আবু সাঈধ, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের ভাতাভোগী সদস্যদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার সকালে জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী জেলা কমান্ড্যান্ট এর কার্যালয়ে বাইসাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা কমান্ড্যান্ট আশরাফুজ্জামান'র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভাতা ভোগী সদস্যদের মাঝে বাইসাইকেল তুলে দেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক মো: এফতেখারুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সার্কেল অ্যাডজুটান্ট মোঃ মিয়ারাজ আলী, সদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান, সদর উপজেলা প্রশিক্ষক এইচ এম ইশার আলী প্রমুখ।

বাইসাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে ৭টি উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের ভাতাভোগী ২৮ জন সদস্যদের মাঝে বাই সাইকেল বিতরণ করা হয়।


নোয়াখালীতে জামায়াতের ৭ নেতাকর্মি হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহবুবুর রহমান, নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মি হত্যা মামলায় বসুরহাট পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মানিককে (৫৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে তাকে নোয়াখালী মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে, মঙ্গলবার রাতে বসুরহাট পৌরসভা ৬নম্বর ওয়ার্ডের খাল বেপারী বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মানিক একই বাড়ির আবুল কালামের ছেলে এবং বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত ছিল।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, আওয়ামী লীগ নেতা মানিক কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মি হত্যা মামলার আসামি। গত ৫ আগস্টের আওয়ামী সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের উপজেলা গেইটে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতাকর্মি গুলিতে মারা যান। এই হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াত কর্মি সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মো. আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়।

পরবর্তীতে গত ২৬ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াতের নেতাকর্মি হত্যার ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুরুজ্জামানসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রুজু করা হয়। এমামলায় কোম্পানীগঞ্জ থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক উপপরিদর্শক সুধীর রঞ্জন বড়ুয়া, আবুল কালাম আজাদ, শিশির কুমার বিশ্বাস ও উক্যসিং মারমাকে মামলায় আসামি করা হয়।


গৃহকর্মীদের অধিকার সুরক্ষায় জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্সফাম ইন বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশন (ক্যাম্পে)-এর যৌথ উদ্যোগে ‘গৃহকর্মীদের অধিকার, স্বীকৃতি ও সুরক্ষা’ শীর্ষক এক জাতীয় পরামর্শ সভায় বাংলাদেশের প্রায় ৪০ লাখ গৃহকর্মীর সামাজিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার ও শোভন কর্মপরিবেশ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সমন্বিত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

আজ বুধবার ঢাকার এক হোটেলে আয়োজিত সভায় সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে গৃহকর্মীদের স্বীকৃতি ও সুরক্ষা জোরদারের আহ্বান জানানো হয়।

আলোচনায় গৃহকর্মীদের অধিকার সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আইনি ও নীতি সংস্কার, সামাজিক সুরক্ষা এবং নির্যাতন ও শোষণ রোধে জোরালো তদারকি ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, “গৃহকর্মের মূল্য ও শ্রম আর অদৃশ্য বা অবহেলিত থাকতে দেওয়া যাবে না। এই খাতকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান, যথাযথ তদারকি এবং নির্যাতন ও শোষণ রোধে কার্যকর ও শক্তিশালী ব্যবস্থা গ্রহণ করা সময়ের অত্যাবশ্যক দাবি। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সকল অংশীদারদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে গৃহকর্মীদেরকে দেশের বিদ্যমান শ্রম আইন ২০০৬ ও সামাজিক সুরক্ষা কাঠামোর আওতায় আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

সভায় বক্তারা দেশের গৃহকর্মীদের একটি বড় অংশই নারী ও কিশোরী হওয়ায় তাদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের দক্ষতা উন্নয়ন, আইনি সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ন্যায্য মজুরি প্রদানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

এসময় গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫ যুগপযোগীকরণ এবং বিদ্যমান শ্রম আইনে তাদের স্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়।

সভায় বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, সুশীল সমাজ, ট্রেড ইউনিয়ন, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা অংশগ্রহণ করেন।


মোংলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে প্রায় ২ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা মূল্যের ইয়াবা ও গাঁজাসহ কুখ্যাত ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মঙ্গলবার ১৯ আগস্ট ২০২৫ তারিখ রাতে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ১৯ আগস্ট ২০২৫ তারিখ দুপুর ২ টায় কোস্ট গার্ড বেইস মোংলার নেতৃত্বে নৌবাহিনী এবং পুলিশের সমন্বয়ে বাগেরহাট জেলার মোংলা থানাধীন মোংলা বন্দর বহুমুখী মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকায় একটি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ২ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা মূল্যের ১ কেজি গাঁজা ও ৪৩৭ পিস ইয়াবাসহ দুই জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।

আটককৃত মোঃ বেল্লাল হোসেন (৪০) এবং মোঃ সগির হোসেন (৫২) বাগেরহাট জেলার মোংলা সদরের বাসিন্দা।

জব্দকৃত মাদকদ্রব্য ও আটককৃত আসামীর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মাদক পাচার রোধে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।


‘‘অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাস কর্তৃক সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা আদায়’’

আপডেটেড ২০ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক

তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) ২০২৫ তারিখে জনাব মিল্টন রায়, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ - নারায়ণগঞ্জ, জোবিঅ-এনায়েতনগর -কাশিপুর আওতাধীন বাড়ৈভোগ, ফতুল্লা এবং শাসনগাও, চাঁদনী হাউজিং, নারায়ণগঞ্জ এলাকার দুইটি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, বাড়ৈভোগ, ফতুল্লা এলাকায় অভিযানকালে পূর্বে বিচ্ছিন্নকৃত প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিসমিল্লাহ হোটেল এ আবাসিক লাইন হতে অবৈধভাবে ঘণ্টাপ্রতি ৯২ ঘনফুট হিসেবে ৬৫০.২৪ ঘনমিটার/মাস হারে গ্যাস ব্যবহার করায় গ্যাস লাইনটি পুনরায় বিচ্ছিন্নপূর্বক কিলিং করা হয়। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করায় ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় কর্তৃক জরিমানাকৃত ৫০,০০০/- টাকা নগদ আদায় করা হয়েছে এবং একই এলাকায় অন্য একটি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মায়ের দোয়া হোটেল এ ইতিপূর্বে বিচ্ছিন্নকৃত আবাসিক গ্যাস লাইন হতে ঘণ্টাপ্রতি ২৪৭ ঘনফুট হিসেবে ১৭৪৫.৭৭ ঘনমিটার/মাস হারে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে গ্যাস লাইনটি পুনরায় বিচ্ছিন্নপূর্বক কিলিং করা হয়েছে। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করায় ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় কর্তৃক জরিমানাকৃত ৫০,০০০/- টাকা নগদ আদায় করা হয়েছে। এছাড়া, শাসনগাও, চাঁদনী হাউজিং এলাকায় অভিযানকালে মেসার্স এম আর ইয়ার্ণ ডাইং এ ১ টন ক্ষমতাসম্পন্ন (ঘণ্টাপ্রতি ৩০০০ ঘনফুট হিসেবে মাসিক ২১,২০৩.৬৪ ঘনমিটার) একটি বয়লারে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে তাৎক্ষনিকভাবে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে কিল করা হয়। এতে করে তিনটি প্রতিষ্ঠানে মাসে প্রায় ৭.১০ লক্ষ টাকার গ্যাস সাশ্রয় হয়েছে।

একই দিনে, জনাব হাসিবুর রহমান, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ-মেঘনাঘাট আওতাধীন জামালদি, গজারিয়া,মুন্সিগঞ্জ এলাকার ০৫ টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ১ টি মার্বেল ফ্যাক্টরী, ৩ টি হোটেল ও রেস্টুরেন্ট, এবং ১ টি বেকারীর গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ৬০ ফুট লাইন পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের দায়ে সর্বমোট ১,১০,০০০ (এক লক্ষ দশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর ভিজিল্যান্স বিভাগ কর্তৃক উইন্টার ড্রেস লিমিটেড (গ্রা:সং-৮৩৮/৩৩৮-০০০৭৫০), ঠিকানা: কলমা,সাভার,ঢাকা এর আঙিনা সরজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিদর্শনকালে গ্রাহকের শিল্প রানের গ্যাস ব্যবহারে বিভিন্ন প্রকার অসংগতি পরিলক্ষিত হয় যা পরীক্ষণ সাপেক্ষে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জোন কে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়াও, ভিজিল্যান্স বিভাগ কর্তৃক ১২ গ্রিন স্কয়ার, গ্রীন রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা এর আঙ্গিনা সরজমিনে পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে বারো তলা বিশিষ্ট ভবনে দুইটি রাইজারের মাধ্যমে ০৩(তিন) ডাবল ও ০১(এক) সিঙ্গেল চুলায় অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার জনিত কারণে সংযোগটি তাৎক্ষণিকভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়। বিচ্ছিন্নকৃত দুইটি রাইজারের লক উইং কর্কে TGTDCL-1388136 ও TGTDCL-1388138 নম্বরের প্ল্যাস্টিক সীল স্থাপন করা হয়। বিচ্ছিন্নকৃত ০২(দুই) টি রেগুলেটর সংশ্লিষ্ট জোনে (মেঢাবিবি-৫) জমা প্রদান করা হয়েছে।

এছাড়াও, জনাব সৈকত রায়হান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ-এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -জয়দেবপুর, জোবিঅ-জয়দেবপুর আওতাধীন টেকনগপাড়া ও তেলিপাড়া, বাসন থানা, গাজীপুর এলাকার ০২ টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, আনুমানিক ৭০ টি ডাবল চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ৩০০ ফুট (পিভিসি) পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হতে গত ১৯ আগস্ট, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ২৯৭টি শিল্প, ৩৬৪টি বাণিজ্যিক ও ৬৫,৩২৯টি আবাসিকসহ মোট ৬৫,৯৯০টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ১,২৫,২২৬টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ২৫০.৫ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।


কেশবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যান শ্রমিকের মৃত্যু

আপডেটেড ২০ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:৩১
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুরে সড়ক দু'ঘটনায় লুৎফার রহমান (৬৫) নামে এক ভ্যান শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২০ আগষ্ট) বেলা আড়াই দিকে পৌরসভার মধ্যকুল গ্রামের লুৎফার রহমান ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে শহরের দিকে আসছিলেন। পথিমধ্যে কেশবপুর ফিলিং ষ্টেশনের সামনে পৌছাইলে বিপরীদিক থেকে আসা যশোর গামী একটি মালবাহী ট্রাক তাকে থাক্কা দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হলে তাকে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থার তার মৃত্যু হয়। থানা পুলিশ ট্রাকটি আটক করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়। হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, সড়ক দু'ঘটনায় আহত লুৎফার রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা গেছে।থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, কেশবপুরে সড়ক দু'ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। এব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেলে মামলা গ্রহন করা হবে।


রূপগঞ্জে মেলার নামে চলছে অবৈধ জুয়া খেলা, মাদকের ব্যবসা রমরমা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার বালুর মাঠে আনন্দ মেলার আড়ালে চলছে রমরমা জুয়ার আসর ও মাদক ব্যবসা। এ শুরু হওয়া ‘আনন্দ মেলা’ স্থানীয়দের জন্য আনন্দ নয়, বরং উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে,১২ দিন যাবত মেলার আড়ালে সেখানে চলছে অবাধে মাদক সেবন ও জুয়ার আসর। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মেলায় দেখা যায় অসামাজিক কার্যকলাপ। স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তারাবো পৌরসভার তারাব বিশ্বরোড সংলগ্ন বালুর মাঠে অনুমোদনহীন ভাবে চলছে এই আনন্দমেলা। প্রায় শতাধিক দোকানপাট বসেছে মেলায়। মেলার দক্ষিণ কর্নারে চলছে রমরমা জুয়ার আসর, রাত ১০ টার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত চলে মাদক বিক্রি ও সেবন । ইয়াবা ফেন্সি গাজা সহ বিভিন্ন রকমের মাদক পাওয়া যাচ্ছে এই মেলাতে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান,২০২৪ সালের জুলাই আগস্ট আন্দোলনের পরে অনেকে নেতা বনে গেছেন,অনেকেই আবার দল পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে এসে বড় নেতা হয়ে গেছেন। তিন চার মাস পরে পরেই আয়োজন করা হয় এই মেলার, মূলত মেলার আড়ালে রয়েছে তাদের ভিন্ন ব্যবসা,মাদক এবং জুয়া তাদের মূল উদ্দেশ্য,মেলা হচ্ছে লোক দেখানো।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মেলার ভেতরে বিভিন্ন স্টলের আড়ালে ছোট ছোট অংশে জুয়ার বোর্ড বসানো হয়েছে। এতে অল্প বয়সী তরুণ থেকে শুরু করে বয়স্করাও অংশ নিচ্ছেন। অন্যদিকে, মেলার এক কোণে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মাদক। এতে উঠতি বয়সের যুবকদের একটি অংশ আসক্ত হয়ে পড়ছে। স্থানীয় কয়েকজন অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, তাদের সন্তানেরা প্রতিদিন মেলায় গিয়ে টাকা নষ্ট করছে এবং মাদকের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। তারাব পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সদস্য- জহিরুল ইসলাম, তারাব পৌর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব- নাবির প্রধান, পৌর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক- আশিক,পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ শরীফ, আল-ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারী- জুয়েল, যুবলীগ কর্মী বর্তমানে ছাত্রদল কর্মী তানভীর প্রধান, বিশ্বরোড বাগান বাড়ী এলাকার জাহাঙ্গীরসহ অনেকেই এই মেলার আয়োজক।

এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে এই অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করে মেলাটিকে সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনা হোক। অন্যথায়, এই মেলা স্থানীয় সমাজে বিশৃঙ্খলা এবং অপরাধের হার আরও বাড়িয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেনঃ আমরা খুব হতাশ। আমাদের চোখের সামনেই এই ধরনের অসামাজিক কাজ চলছে। মেলা তো আনন্দের জন্য হয়, কিন্তু এটা এখন মাদকের আখড়া আর জুয়ার আড্ডায় পরিণত হয়েছে। আমাদের ছেলে-পেলেরাও এর শিকার হচ্ছে। মেলা বন্ধ করার জন্য আমরা প্রশাসনকে বারবার জানিয়েছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। মনে হচ্ছে, প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এসব চলছে। এই মেলা আমাদের সমাজের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলছে। সন্ধ্যার পর থেকে এখানে যে নোংরামি শুরু হয়, তাতে সুস্থ মানুষ যেতে পারে না। জুয়া আর মাদকের কারণে অনেক পরিবারে অশান্তি শুরু হয়েছে। মানুষ সর্বস্বান্ত হচ্ছে। আগে এই ধরনের মেলায় মানুষজন তাদের পরিবার নিয়ে আসত, এখন ভয়ে কেউ আসে না। প্রশাসন যদি এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিক। মেলার নামে যে অবৈধ কাজ চলছে, তা বন্ধ করা হোক। শুধু মেলার অনুমতি দিলেই হবে না, এর ভেতরের কার্যকলাপও নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা দরকার। আমরা চাই আমাদের এলাকার যুবসমাজ এই সর্বনাশা পথ থেকে ফিরে আসুক। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে এখনই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)তরিকুল ইসলাম বলেন,তারাব পৌরসভার আনন্দ বিনোদন মেলার বিষয়ে বেশি আমার জানা ছিল না। আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম বিষয়টি অতি শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন,তারাব পৌরসভার আনন্দ বিনোদন মেলার তারা এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাননি। তবে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


banner close