ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার দ্বিতীয়তলার নারী ব্যারাকে কর্মরত এক নারী পুলিশ সদস্যকে দীর্ঘ ছয় মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই থানার পুলিশ সদস্য সাফিউর রহমানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, ভুক্তভোগী নারী ও অভিযুক্ত সাফিউরের স্ত্রী একই ব্যারাকে থাকলেও বিষয়টি আগে জানতেন না।
ভুক্তভোগী নারী জানিয়েছেন, সাফিউর রহমান তাকে বিয়ে করলে সব অভিযোগ তুলে নেবেন তিনি। বর্তমানে ওই নারী পুলিশ, অভিযুক্ত সাফিউর ও তার স্ত্রী—তিনজনকেই পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করে তদন্ত করছে পুলিশের একটি বিশেষ দল।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, গত ফেব্রুয়ারিতে আশুলিয়া থানা থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় যোগ দেওয়ার পর সাফিউর প্রথমে পরিচিত হতে আসেন। এরপর গত রমজানে ঈদের পর রাতে ব্যারাকে একা থাকার সুযোগে তিনি রুমে ঢুকে ধর্ষণ করেন এবং ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। পরে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণ করতে থাকেন।
এ ঘটনায় থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. ইবনে ফরহাদ ও ওসি তদন্ত আল-আমিন হোসেন বিষয়টি জানার পরও সাফিউরকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারী। এছাড়া ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন মামলা নিতে অস্বীকার করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্ত সাফিউর রহমান সাংবাদিক পরিচয় শুনে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, তার কাছে ওই নারী পুলিশ সদস্য কোনো অভিযোগ করেননি এবং বিষয়টি এসপি স্যার দেখছেন।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান জানান, পুরো বিষয়টি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে এবং দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুক্তভোগী নারী পুলিশ সদস্যের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে নানা মন্তব্য প্রকাশিত হচ্ছে, তবে অনেকেই বলছেন যেনে শুনে ধর্ষকের স্ত্রীর সাথে একই ব্যারাকে থেকে ওই নারী প্রতারণা করার উদ্দেশ্যেই এটি করেছে।
জয়পুরহাটে এক নারী ‘পরিবার কল্যাণ সহকারীকে’ যৌন নিপীড়নের দায়ে ইউনিয়ন পরিষদের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে করা মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত আবু মুসা (৩৭) জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তিনি জয়পুরহাট পৌরসভার গাড়িয়াকান্তা এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে বলে জানা গেছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, পরিচয়ের সুবাদে ওই নারীকে প্রায়ই মোবাইল ফোনে বিরক্ত করতেন আবু মুসা। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মেসেঞ্জারে আপত্তিকর বার্তাও পাঠাতেন। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে ওই নারী অসুস্থ ফুফুকে দেখতে জয়পুরহাট শহরে গেলে আবু মুসা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চা খাওয়ার প্রলোভনে কৌশলে শহরের মাস্টারপাড়ার একটি বাসায় নিয়ে যান। সেখানে একটি ঘরে বসে তিনি ওই নারীকে কু-প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি না হলে জোরপূর্বক ধস্তাধস্তি শুরু করেন এবং যৌন কামনা চরিতার্থের উদ্দেশ্যে ওই নারীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন।
এসময় ওই নারী চিৎকার করে তাকে ধাক্কা দিয়ে বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করলে আবু মুসা তার হাত চেপে ধরেন। পরে আবারও চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আবু মুসাকে আটক রাখেন। এরপর ভুক্তভোগী নারী জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আবু মুসাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তামবিরুল ইসলাম বলেন, ওই নারী বাদী হয়ে আবু মুসার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক (যুগ্মসচিব) আফরোজা আক্তার চৌধুরী জানান, এ বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থার গ্রহণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
অটোরিকশা বা ইজিবাইকের নগরী এখন কুমিল্লা। প্রয়োজনের অতিরিক্ত অটোরিকশার কারনে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নগরীজুড়ে যানজট লেগেই থাকে। এতে নষ্ট হচ্ছে কর্মঘন্টা, ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বেপোরোয়া গতির কারনে নিত্যদিন ঘটছে দূর্ঘটনা। বাড়ছে পঙ্গুত্ব।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মতে, নগরীর প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে চলাচলের উপযুক্ত ৫ হাজার ইজিবাইক। সেখানে এখন প্রায় ৪৫ হাজার অটোরিকশা সড়ক দাপিয়ে বেড়ায়। শুধু তাই নয়, বেপোরোয়া অটোরিকশা চালকদের কারনে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে।
কুমিল্লা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শোয়েব সোহেল জানান, সম্প্রতি তিনি মোটরবাইকে করে কান্দিরপাড় হয়ে পদুয়ার বাজার যাচ্ছিলেন। পথে নগরীর শাকতলা এলাকায় একটি অটোরিকশা তাকে বহনকারী মোটরবাইকটিকে ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে পরে গুরুতর আহত হন। আহমেদ শোয়েব সোহেল বলেন, এই নগরীতে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত অটোরিকশা চলে। চালকরা জানেন না নিয়ম নীতি। এখন যদি এই অটোরিকশাগুলোকে শৃংখলায় না আনা যায়, তাহলে সামনের দিনগুলো আরো ভয়ংকর হয়ে উঠবে।
গণমাধ্যমকর্মী আনোয়ার হোসেন বলেন, জরুরী কাজে তিনি কুমিল্লা নগরীর সার্কিট হাউজ দিয়ে যাওয়ার সময় অটোরিকশার সংঘর্ষে তার পা ভেঙে যায়। ছয়মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি কিছুটা সুস্থ হন। তবে এখনো তার পা ব্যাথা করে।
বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কানাই দত্ত জানান, অটোরিকশার ধাক্কায় তার পায়ের আঙুল কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। নগরীর ফৌজদারী এলাকায় দুই অটোরিকশার সংঘর্ষে পা ভাঙলো গৃহবধু রোকসানা আক্তার। স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তিনমাসের জন্য হাটাচলা বন্ধ করে চিকিৎসা নিতে বলেছেন। নিত্যদিন দুর্ঘটনার কারনে অটোরিকশা এখন নগরবাসীর কাছে রীতিমতো আতংকের হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কুমিল্লা নগরীর প্রধান সড়কের মধ্যে শাসনগাছা, কান্দিরপাড়, রাজগঞ্জ, চকবাজারে সড়কের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অটোরিকশা স্ট্যান্ড। এতে করে প্রতিনিয়ত যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে। অটোরিকশা বন্ধে আমদানি নিষিদ্ধ হলেও টমসমব্রীজ থেকে জাঙ্গালিয়া পর্যন্ত বেশকিছু দোকানে তৈরী করা অটোরিকশা পাওয়া যাচ্ছে।
নগরীর ব্যস্ততম সড়কে অটোরিকশা কেন এত বেপোরোয়া এই বিষয়ে এক অনুসন্ধানে দেখা যায়, অটোরিকশা চালকদের মধ্যে নেশা করার প্রবনতা আছে। নাম পরিচয় গোপন রেখে বেশ কয়েকজন অটোরিকশা চালক জানান, নেশার ঘোরের মধ্যে থাকার কারনে গতি তাদের কাছে ভালো লাগে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে নগরীর একশজন অটো রিকশা চালকের মধ্যে অন্তত ৩০ জন চালক নেশা করে অটোরিকশা চালায়। যার কারনে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন গঠিত ২০১২ সালে। এক যুগের বেশী সময়ে অন্তত ৩ জন মেয়র সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে তাদের মধ্যে কেউ নগরীর সড়কের শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে পারেন নি।
নগরীর সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন জানান, ছয় হাজার অটোরিকশাকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। গ্রাম থেকে আসা অটোরিকশাগুলোকে শহরে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এছাড়াও কিউআর কোড বসানো হবে। নিবন্ধনের বাইরে কোন অটোরিকশা নগরীতে চলতে পারবে না। সে জন্য অভিযান পরিচালনাও করা হবে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার জানান, নগরীর সড়কগুলোতে শৃংখলা ফিরিয়ে আনাসহ অবৈধ অটোরিকশা চলাচল বন্ধে জেলা প্রশাসন আগেও সিটি কর্পোরেশনকে সব ধরনের প্রশাসনিক সহযোগীতা করেছে, এখনো করবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ঘটনায় দায়ের করা মামলার মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৬টি মামলার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে হত্যা মামলা ৮টি এবং অন্যান্য ধারায় মামলা ১৮টি।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা, চার্জশিটকৃত ৮টি হত্যা মামলা হলো- শেরপুর, ফেনী, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও কুড়িগ্রাম জেলার ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের। অন্যান্য ধারার ১৮টি মামলা হলো- বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও জামালপুর জেলার এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের।
হত্যা মামলায় মোট আসামি ১ হাজার ১৫৩ জন এবং অন্যান্য ধারার মামলায় মোট আসামি রয়েছে ৬৮২ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালে দায়েরকৃত মামলার যথাযথ তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ মামলাসমূহ তদারক করছেন।
অন্যান্য মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশ পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ-২০২৫ এর বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
বুধবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত জাহানের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
গেজেট অনুযায়ী, স্বীকৃত শহীদ পরিবারের সদস্যরা এককালীন ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন।
এছাড়া, আহতদের তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে অতি গুরুতর আহতরা এককালীন ৫ লাখ টাকা ও মাসিক ২০ হাজার টাকা। গুরুতর আহতরা এককালীন ৩ লাখ টাকা ও মাসিক ১৫ হাজার টাকা এবং আহতরা এককালীন ১ লাখ টাকা ও মাসিক ১০ হাজার টাকা পাবেন।
এতে আরও বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম তদারকির জন্য কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হবে। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বা উপদেষ্টা। জেলা কমিটির সভাপতি হবেন জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা কমিটির সভাপতি হবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
উল্লেখ্য, সরকার গত ১৭ জুন ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে। এতে গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে “জুলাই ২০২৪: বিপ্লব ও ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান” শীর্ষক এক সেমিনার আজ ২১ আগস্ট ২০২৫ বৃহস্পতিবার বিভাগীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহার সভাপতিত্বে সেমিনারে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, জুলাই শুধু একটি গণ-অভ্যুত্থান নয়, বরং এটি বৃহৎ পরিবর্তনের একটি সম্ভাবনার প্রতীক। এর মাধ্যমে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, একারণে কাজে-কর্মে, চলনে-বলনে সর্বত্র তাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
উত্তর জনপদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ‘মওলানা ভাসানী’ সেতুর স্বপ্নযাত্রা অবশেষে শুরু হলো। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা সেতুটি বুধবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুরে উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
এরপর হরিপুর অংশের প্রবেশমুখে ফিতা কেটে সেতুর দ্বার খুলে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে হাজারও মানুষ দলে দলে সেতুতে ওঠে পড়েন। তারা সেতুর ওপর দলবেঁধে ছবি ওঠাতে থাকেন এবং আনন্দ-উচ্ছ্বাস করতে থাকেন। এ সময় উৎসুক জনতার ভিড় সামাল দিতে বেগ পেতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
পরে গাড়িতে ওঠে গাইবান্ধাবাসীর সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল মুখে করমর্দন করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এ সময় গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এলজিইডি কর্মকর্তা, সেতু নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং উপদেষ্টার সফর সঙ্গীরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের আগে থেকেই সেতু এলাকায় তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। ভোর থেকে তিস্তার পাড়ে ভিড় জমাতে থাকেন দুই জেলার হাজারও মানুষ। কেউ পরিবারের সঙ্গে, কেউবা দলবেঁধে আসেন ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে। দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে- এই আনন্দে তাদের চোখে-মুখে ফুটে ওঠে উচ্ছ্বাস।
২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। নানা জটিলতা ও একাধিকবার তারিখ পরিবর্তনের পর অবশেষে ১১ বছর পর চালু হলো এই সেতু।
এলজিইডি সূত্র জানায়, সৌদি সরকারের অর্থায়নে ও চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে সেতুটি নির্মিত হয়েছে। প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৮৮৫ কোটি টাকা।
১ হাজার ৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯.৬ মিটার প্রস্থের পিসি গার্ডার সেতুটি দেশের ইতিহাসে এলজিইডির সবচেয়ে বড় প্রকল্প। সেতুকে ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রায় ৮০ কিলোমিটার এক্সেস সড়ক। নির্মিত হয়েছে ৫৮টি বক্স কালভার্ট ও ৯টি আরসিসি সেতু। ফলে বেলকা বাজার, পাঁচপীর, ধর্মপুর, হাট লক্ষ্মীপুর, সাদুল্যাপুর ও ধাপেরহাটসহ দুই জেলার অন্তত ১০টি বাজার সরাসরি সংযুক্ত হবে।
সেতুটি চালু হওয়ায় গাইবান্ধা-কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি ও জীবনযাত্রায় বড় পরিবর্তন আসবে। স্বল্পখরচে কৃষি ও শিল্পপণ্যের পরিবহন সম্ভব হবে। গড়ে ওঠবে ছোট ও মাঝারি শিল্প কারখানা। ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হওয়ার পাশাপাশি ভুরুঙ্গামারী স্থলবন্দরের দূরত্ব কমবে ৪০-১০০ কিলোমিটার। পর্যটনেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে।
তবে সেতুর নামকরণ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে কিছুটা ক্ষোভ রয়েছে। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও সেতুর স্বপ্নদ্রষ্টা শরিতুল্যাহ মাস্টারের নামে নামকরণের দাবি জানিয়ে স্থানীয়রা একাধিকবার মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাদের দাবি, ১৯৯৫ সাল থেকে শরিতুল্যাহ মাস্টার আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন সেতুর জন্য। তিনি ‘তিস্তা সেতু বাস্তবায়ন কমিটি’ গঠন করেছিলেন। তার নিরলস প্রচেষ্টাতেই সেতুটি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। তাই তার স্মৃতি অম্লান রাখতে ‘শরিতুল্যাহ মাস্টার তিস্তা সেতু’ করার দাবি তুলেছিলেন এলাকাবাসী। তবে সরকার গত ১০ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারি করে সেতুর নামকরণ করেছে ‘মওলানা ভাসানী সেতু, গাইবান্ধা’।
সব বিতর্ক ছাপিয়ে তিস্তার দুই পারের মানুষ এখন উচ্ছ্বসিত। দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণের পর এখন থেকে শুরু হলো তাদের নতুন যাত্রা।
অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় রূপগঞ্জে তিতাস গ্যাস রূপশী অফিসের পিএলসির উপ-সহকারী প্রকৌ. দ্বীন ইসলামের উপর অতর্কিত হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীরা গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন তিতাস কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২১-আগষ্ট) সকালে উপজেলার ভূলতা ইউনিয়নের সোনাব এলাকায় এ হামলা ও লুটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রকৌ. দ্বীন ইসলাম বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রকৌ. দ্বীন ইসলাম বলেন, আমাদের নিয়মিত অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান পরিচালনা করার সময় সোনাবো এলাকার জঙ্গু মিয়ার ছেলে হাবিবুল্লার অবৈধ গ্যাস সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করলে হাবিবুল্লাহ্ ও তার সহযোগী গোলাকান্দাইল নতুনবাজার এলাকার মৃত আব্দুল কাদির মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া সহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জন মিলে তাকে এলোপাতাড়ি হামলা করে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে বাচাতে বিচ্ছিন্ন টিমের অন্য সদস্যরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে হামলাকারীরা তিতাস গ্যাস কর্মকর্তা দ্বীন ইসলামের আইডিকার্ড, সংযোগ বিচ্ছিন্নের ওয়েল্ডিং মেশিন, ওয়েল্ডিং ক্যাবল, লোহার পাইপ, রাইজারের মালামাল লুট করে নিয়ে নেয়। পরে ৯৯৯ ফোন করলে ভুলতা পুলিশ ফাড়ীর সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, থানায় এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। একই সঙ্গে ওসমানীনগর ও বাহুবল ফায়ার সার্ভিসের আরও দুইটি ইউনিট এসে যোগ দেয়। টানা দেড় ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
জানা গেছে, মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের ভয়াবহতায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নয়টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, একটি যাত্রীবাহী বাস ও দুইটি মোটরসাইকেল সম্পূর্ণভাবে আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়। তবে সৌভাগ্যবশত স্টেশনের মূল গ্যাস মজুদ অক্ষত থাকায় আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় স্টেশনে কয়েকটি সিএনজি ও একটি যাত্রীবাহী বাস গ্যাস ভর্তি করছিল। হঠাৎ করেই বাসের গ্যাস সিলিন্ডারে বিকট শব্দ হয় এবং এ থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় সিএনজি স্টেশনের দুই কর্মচারী নাঈম ও রাসেল মিয়া সহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনার পর আশপাশের রিফুয়েলিং স্টেশনগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেশিরভাগ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নেই। দুর্ঘটনা ঘটলেও তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের মতো কোনো প্রস্তুতি থাকে না।
ফায়ার সার্ভিসের হবিগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগুন মূল গ্যাস মজুদের ট্যাংকে ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটতে পারত। এতে আশপাশের গ্রাম ও পুরো মহাসড়ক বড় বিপদের মুখে পড়তো।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ উপস্থিত সকলের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যে গতিতে এগোচ্ছে আরও গতি বাড়াতে সমন্বয় টিমের মাধ্যমে কাজ করতে চাই। আমি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় সেবা দরিদ্র, দুঃস্থ, অসহায়, অসচ্ছল মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে সকলের সহযোগিতা চাই। এজন্য আমরা সবাই একসাথে কাজ করবো।
তিনি আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
নতুন সচিব বলেন,
আমি এই মন্ত্রণালয়ের সুনাম কাজের মাধ্যমে, আইন কানুন মেনে মানুষের সেবা দ্রুত নিশ্চিত করতে আপনাদের সহযোগিতা চাই। তিনি বলেন, সচিবের রুম আপনাদের জন্য সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে এবং ফাইল দ্রুত নিষ্পত্তি করে কাজের যথার্থতা নিশ্চিত করবেন। আপনারা নির্ভয়ে কাজ করবেন, আমার সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আমিও আপনাদের থেকে শিখতে চাই এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ফেনীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ'র আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে পুনরায় ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে না। ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ কমবে, সংলাপের সংস্কৃতি গড়ে উঠবে ও প্রতিটি ভোটারের ভোট কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হবে। ফলে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠাও সম্ভব হবে।
বুধবার (২০ আগষ্ট) বিকেলে ফেনী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফেনী জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা গাজী এনামুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ফেনীতে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল করিম আকরাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ইসলাম, কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি প্রকৌশলী আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আল মোবারক, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা একরামুল হক ভূঁইয়া, ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাইফ উদ্দিন শিপন, জেলা জামায়াতের আমির মুফতি আবদুল হান্নান ও জেলা হেফাজতের সেক্রেটারী মাওলানা ওমর ফারুক।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম আরও বলেন, বিগত ১৫ বছরের পতিত ফ্যাসিবাদের বিষাক্ত ছোঁয়া এখনও দেশকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে আক্রমণের সময় শিষ্টাচার মানা জরুরি, কারণ কোনো অবস্থাতেই ফ্যাসিবাদকে ফের সুযোগ দেওয়া যাবে না। প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্টের পর রাষ্ট্র কাঠামো ও আইনী সংস্কারের কিছুটা অগ্রগতি হলেও রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসেনি। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, এমনকি রাজনৈতিক পরিচয়ে ধর্ষণের মতো অপরাধও বেড়েছে। মিডফোর্ট হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জনতার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হলেও তা রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে আড়াল করা হয়েছে। এসব অপরাধের সাথে বিএনপির সম্পৃক্ততা ও তাদের দলীয়দের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত তা প্রমাণিত হয়েছে। তাই বিএনপিকে এর দায় নিতে হবে। বিএনপির ভেতরের অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।জুলাই বিপ্লব ছিল নতুন বাংলাদেশ আবিষ্কারের সূচনা। বিপ্লবীদের শ্লোগান ছিল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক বাক্সে ব্যালেটের মাধ্যমে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবো ইনশাআল্লাহ।
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের কাউটাইল এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীর দখল করে নির্মিত সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বাংলোবাড়ি উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ। বুধবার সকালে নদীর জায়গা দখলমুক্ত করতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান নদীর জমি দখল করে অবৈধভাবে বাংলোবাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল যা দীর্ঘদিন ধরে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছিল।
অভিযানে তিনটি ভবন টং ঘর এবং বিভিন্ন গাছপালা উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ, র্যাব-১০, ফায়ার সার্ভিস এবং আনসার সদস্যরা সহায়তা করে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্টও পরিচালিত হয়।
বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন নদী রক্ষায় নিয়মিত এ ধরনের উচ্ছেদ অভিযান চলবে। প্রভাবশালী বা পরিচিতি কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আলোচিত স্যুটার মান্নান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি জুয়েল প্রধানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেল পাঁচটায় যশোরের বেনাপোল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা যায়।
আটক জুয়েল প্রধান (৩৫) গজারিয়া উপজেলার ষোলআনী গ্রামের শহীদুল্লাহ প্রধানের ছেলে।
খবর নিয়ে জানা যায়, স্যুটার মান্নান হত্যাকাণ্ডের পরও জুয়েল এলাকায় অবস্থান করছিল। এলাকার অবস্থান করে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে এমন খবরের ভিত্তিতে ০৯ আগস্ট ভোর ছয়টার দিকে ইমামপুর ইউনিয়নের ষোলআনীতে জুয়েলের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় জুয়েলসহ কয়েকজন পালিয়ে গেলেও পাঁচ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি পিস্তলসহ শাহ আজিজুর রহমান পলাশ নামে জুয়েলের এক সহযোগী আটক হয়। এ ঘটনার পর থেকে জুয়েলকে গ্রপ্তারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো পুলিশ। সর্বশেষ বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেল পাঁচটায় যশোরের বেনাপোল থেকে তাকে আটক করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ' বিকাল পাঁচটার দিকে আমি খবরটি পাই। আটকের পর তাকে গজারিয়া থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে'।