রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
৮ ভাদ্র ১৪৩২

আইনজীবীদের অনিহায় ৬ বছর ধরে অব্যবহৃত চিফ জুডিশিয়াল ভবন

এম এস ডালিম, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত
এম এস ডালিম, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট, ২০২৫ ২০:৪৪

নারায়ণগঞ্জে ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আটতলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবনের কাজ ৬ বছর আগে সম্পন্ন হয়েছে। তবে নবনির্মিত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আইনজীবীরা পৃথক দুই স্থানে দুই কোর্টের অবস্থান মেনে না নেওয়ায় নতুন ভবনে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত স্থানান্তর করা যায়নি। ফলে নতুন ভবনের আসবাবপত্র সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র অযত্ন ও অবহেলায় নষ্ট হওয়ার পথে।

ভবনের নিরাপত্তারক্ষী শফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি সাত বছর যাবৎ এখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। তবে ভবনটি কোন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে না।

আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোডের পাশে চাঁদমারী এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট অবস্থিত। দুই কোর্ট একত্রে থাকায় তা আইনজীবী এবং বিচার প্রার্থীদের জন্য সুবিধাজনক। কিন্তু পৃথক স্থানে কোর্ট দুইটির অবস্থান হলে তা কোনো ভাবেই আইনজীবীদের জন্য সুবিধাজনক হবে না। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, প্রায় একই সময় জজ কোর্ট ও ম্যাজিস্ট্রেটকোর্টের কার্যক্রম চলছে। দুই কোর্ট একত্রিত থাকায় একজন আইনজীবী একই সঙ্গে জজ কোর্ট এবং ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে গিয়ে তার মক্কেলের জন্য আইনি সেবা দিতে পারছেন। এদিকে নতুন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ভবন এই এলাকা থেকে দুই কিলোমিটার দূরে কালীরবাজার এলাকায় অবস্থিত। সেখানে যদি কোর্ট স্থানাস্তর করা হয়, তাহলে আইনজীবীরা কোনভাবেই এতো দূরে গিয়ে কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারবেন না। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ শহর যানজট প্রবণ এলাকা। এতে বিচার প্রার্থীরাও বিপাকে পড়বেন।

আইনজীবীরা বলছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা পৃথক স্থানে দুইটি কোর্টের অবস্থান এর বিরোধিতা করেছেন। বর্তমানে যারা আইনজীবী সমিতির নেতৃত্বে রয়েছেন, তারাও দুই কোর্ট একত্রে রাখার পক্ষেই মতামত ব্যক্ত করেছেন।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধান বলেন,‘ দুইটি পৃথক স্থানে দুইটি কোর্টের অবস্থান কোনো ভাবেই আইন পেশায় জড়িত জেলার ১ হাজার ২০০ আইনজীবীর কাজকে সহজ করবেনা। বরং এতে করে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী উভয়ই বিপাকে পড়বেন। কারণ এটি বাস্তবায়িত হলে এক কোর্ট থেকে অন্য কোর্টের দূরত্ব হবে দুই কিলোমিটার। এ ব্যাপারে জেলা জজ, জেলা প্রশাসক,অন্তবর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে চিঠি দিয়ে দুই কোর্ট একত্র রাখতে আমাদের প্রস্তাবনা দিয়েছি।'

নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত কার্যালয়ের নির্বাহীপ্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, ' আট তলাভবনটি ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালে এর নির্মাণ কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়। এরপর আমরাভবনটিকে বুঝে নিতে নারায়ণগঞ্জের জজশিপ কে চিঠি দিয়েছি। জজশিপ থেকে কয়েক বার উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তারা আর ভবনটি বুঝে নেয়নি। আইনজীবীদের অনাগ্রহের কারণে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন এখানে স্থানান্তর হচ্ছে না। ফলে ভবনটি ছয় বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।'

নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, 'আইনজীবীদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছেন। সেগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'


শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধকে বাপের সম্পত্তি বানিয়ে পঁচিয়ে দিয়েছে: টুকু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজু আহমেদ ফুয়াদ, জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারা এখন মুক্তিযুদ্ধকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস পাচ্ছে। শেখ হাসিনার জন্যই এটা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ না হলে, জিয়াউর রহমান যুদ্ধের ঘোষণা না করলে এই ভূখন্ড হতো না। কিন্তু বাপের সম্পত্তি বানিয়ে হাসিনা এটাকে পঁচিয়ে দিয়েছে। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে একটা শ্রেণী বলার চেষ্টা করে এটা দ্বিতীয় স্বাধীনতা। সন্তান একবারই জন্মগ্রহণ করে। যে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের মানচিত্র দিয়েছে সেটাই স্বাধীনতা, দ্বিতীয় স্বাধীনতা হতে পারে না। জামালপুর জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, একটা নতুন আবিষ্কার হয়েছে পিআর পদ্ধতি। আমাদের বাংলাদেশের মানুষ যারা ভোট দেয় তারা তাদের প্রার্থীকে দেখতে চায়। যার ভোট সে দিবে, একজনকে ভোট দিবে, যাকে ভোট দিবে তাকে চিনতে হবে। পিআর মানুষ খায়ও না পড়েও না বিশ্বাসও করে না।

শনিবার (২৩ আগষ্ট) শহরের বেলটিয়া এলাকায় স্থানীয় একটি মাঠে জামালপুর জেলা বিএনপি এই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শরিফুল আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, অ্যাডভোকেট শাহ মো: ওয়ারেছ আলী মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এবারের সম্মেলনে ৭টি উপজেলা ও ৮টি পৌর শাখা বিএনপির ১ হাজার ৫১৫ জন কাউন্সিলরসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। ৯ বছর পর আয়োজিত জেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।


সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার কারণে শিক্ষক হাওরে থাকতে চান না: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

আপডেটেড ২৩ আগস্ট, ২০২৫ ২২:৪০
রাকিবুল হাসান রোকেল, স্টাফ রিপোর্টার-কিশোরগঞ্জ

সামজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার কারণে হাওর এবং চরাঞ্চলের দুর্গম এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা থাকতে চান না এবং তারা শহরে চলে আসতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের সাথে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, আমার বাড়ি হাওরে আমি সবই জানি। বিষয়গুলো নিয়ে আমি পরিষ্কার। এটা শুধু হাওরের সমস্যা না। সব জায়গাতেই চরাঞ্চলে শিক্ষকেরা থাকতে চায় না এবং তারা শহরে আসতে চায়। এই বিষয়টি সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা শুধুমাত্র যদি আমাদের সমস্যা হতো তাহলে সমাধান করা যেতো। আমাদের নিয়ম কি? আমাদের নিয়ম হচ্ছে শিক্ষকেরা উপজেলাতে নিয়োজিত হবেন, যেখানে চাকরি পাবেন সেখানে থাকবেন। কিন্তু বদলির বিষয়গুলো কোথা থেকে আসে? উপর থেকে আসে। তদবিরগুলো কোথা থেকে আসে? উপর থেকে আসে। উপর থেকে আসে সমস্যাগুলো। এগুলো কিসের সমস্যা? এগুলো আমাদের সামাজিক সমস্যা, আমাদের রাজনৈতিক সমস্যা। বিষয়টি জটিল উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এগুলোকে যতটুকু সম্ভব কাটিয়ে উঠার জন্য চেষ্টা করছি। আমরা বরাবরই চাই হাওরে শিক্ষকেরা থাকুক। কিন্তু বিভিন্নভাবে বিষয়গুলো হয় না।

সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, তাদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণও একই গ্রেডে আছে, এক্ষেত্রে প্রশাসনিক চেইন অব কমান্ড বজায় রাখার জন্য এটিইওদের গ্রেড উন্নয়নে সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের অনেক ক্ষেত্রেই একই গ্রেডের কর্মকর্তারা রয়েছেন। যারা নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা। কলেজগুলোতে যান যেখানে প্রিন্সিপাল এবং প্রফেসররা একই। মেডিকেল কলেজে যান সেখানেও একই। এমন অনেক জায়গাতেই রয়ে গেছে। ফলে এইটা হলেই যে করা যায় না এটা ঠিক না। এটা হচ্ছে আমার অবস্থান। দুই নাম্বার অবস্থান তাদের গ্রেডের উন্নতি প্রয়োজন কিনা? অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ তারা দশম গ্রেডে ঢুকছেন তাদের তো পদোন্নতি প্রয়োজন। সুতরাং তাদের গ্রেড উন্নতি করা প্রয়োজন। আমি মনে করি এটা প্রয়োজন। আমরা সেজন্য কতৃপক্ষের কাছে লিখছি যে তাদের গ্রেডের উন্নতি করা হউক। উন্নতি না হলেই চেইন অফ কমাণ্ড ভেঙে যাবে এটি আমরা ঠিক মনে করি না।

মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অভিভাবকদের আর্কষণ করার জন্য। এটা তাদের ব্যবসা। আর অভিভাবকরা মনে করে সরকারি বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করলে প্রেস্টিজ চলে যাবে। অনেক কিছু চলে যেটা সংবিধান বা আইন মেনে চলে না। কিন্তু আমাদের অবস্থান কি সেটা জানা আমাদের কর্তব্য। আমাদের সংবিধান বলে শিক্ষা আমাদের মৌলিক অধিকার। আমরা একটা আইন করেছি বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা। অর্থাৎ দেশের প্রত্যেকটা শিশু অবৈতনিক শিক্ষা পাবে। এজন্য অভিভাবকরা প্রত্যেকটা শিশুকে এটা গ্রহণ করাতে বাধ্য। আমাদের শিশুদের ছোট বেলা থেকেই বিভিন্নভাবে ভাগ করে ফেলছে। আমাদের যাদের অর্থের অভাব নেই তারা দামি দামি স্কুল খুললাম। আমাদের যারা নীতিনির্ধারক তাদের সন্তানেরা পড়ছে দামি স্কুলে। সাধারণ মানুষের সন্তানেরা পড়ছে সরকারি স্কুলে। ফলে সরকারি স্কুল, অবৈতনিক স্কুল যে মনোযোগ পাওয়ার কথা তা পায় না। সেজন্য আমাদের শিক্ষাখাতে বরাদ্দের প্রয়োজন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মোঃ মাসুদ রানা বলেন, জেলায় ৮০৫ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিহীন রয়েছে। অহেতুক কারন দেখিয়ে যেন কেউ প্রশিক্ষণ থে‌কে‌ বিরত না থা‌কেন। নির্বাচন ব্যতীত অন্যান্য দায়িত্ব যেনো পালন করতে না হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি। প্রধান শিক্ষকরা ১০ম গ্রেড পে‌য়ে‌ছেন। এতে আপনা‌দের প্রতিও রা‌ষ্ট্রের চা‌হিদা বে‌ড়ে‌ছে, সে‌দিক‌টি খোয়াল রাখ‌তে হ‌বে। সহকা‌রি শিক্ষক‌দেরও মূল‌্যায়ন করা প্রয়োজন। স্কুল ফি‌ডিং কার্যক্রম চালু হ‌বে ১৮০‌টি স্কু‌লে। খা‌দ্যের মান নি‌য়ে প্রশ্ন উঠ‌লে নমুনা সংগ্রহ ক‌রতে হবে। খাদ্যের নমুনাতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ কর‌তে হ‌বে। ইউপিইটি‌সি ইন্সট্রাক্টররা ম‌ডেল স্কু‌লে স‌ঠিকভাবে ম‌নিট‌রিং ক‌রে না। পি‌টিআই'র ইন্সট্রাক্টরদেরও এ কা‌জে লাগা‌তে হ‌বে। প্রাথ‌মি‌কের সকল শূন‌্যপ‌দ পূর‌নের বিষ‌য়ে দ্রুত ব‌্যবস্থা নেয়া হ‌বে। বিদ্যালয়ের জ‌মি সংক্রান্ত মামলা জট কমানোর জন‌্য জেলা প্রশাসক ব‌্যবস্থা নি‌বেন ব‌লে তিনি আশা ক‌রেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামান মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমাদের এই মূহুর্তে কিন্তু শিক্ষকদের শূন্য পদের সংখ্যা বেশি নয়। সাড়ে ১৩ হাজার পদ শূন্য। আমরা আশা করতেছি এই মাসের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি দিব এবং ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করব। জেলায় ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলাতেই মিড ডে মিল চালু আছে।

এ সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এনডিসি (পলিসি এন্ড অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুকিত সরকার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মজিব আলম। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত উপস্থিত ছিলেন।


বরগুনা জেলার তিন আসন ফেরত পাওয়ার দাবিতে আমতলীতে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাসরিন সিপু, বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনা জেলার তিনটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে আমতলীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ সড়কে সহস্রাধিক মানুষ এতে অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে তিনটি সংসদীয় আসন ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানান।

জানা গেছে, ছয়টি উপজেলা নিয়ে গঠিত উপকূলীয় বরগুনা জেলার আয়তন ১,৮৩১.৩১ বর্গ কিলোমিটার, জনসংখ্যা প্রায় ১২ লাখ ৫০ হাজার। স্বাধীনতার পর থেকে এ জেলায় বরগুনা-১, বরগুনা-২ এবং বরগুনা-৩ নামে তিনটি আসন ছিল। পায়রা ও বিশখালী নদীর ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনায় বিভক্ত এ আসনগুলো ২০০৮ সালের ১০ জুলাই তৎকালীন ১/১১ সরকার সমর্থিত নির্বাচন কমিশন দুইটি আসনে সংকুচিত করে। বর্তমানে বরগুনা সদর, আমতলী ও তালতলী উপজেলা মিলে বরগুনা-১ আসন এবং পাথরঘাটা, বেতাগী ও বামনা উপজেলা নিয়ে বরগুনা-২ আসন গঠন করা হয়। এতে জেলার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়ে আসছে বলে অভিযোগ ওঠে।

গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন খসড়া গেজেট প্রকাশ করলেও বরগুনায় তিনটি আসন পুনর্বহালের উদ্যোগ নেয়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে ১০ আগস্ট ১৩০ জন ব্যক্তি লিখিত আপিল করেন। আগামী ২৫ আগস্ট এ সংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক অ্যাডভোকেট মজিদ মল্লিক, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম মামুন (ভিপি) , সদস্য সচিব তুহিন মৃধা, এনএসএস নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট শাহাবুদ্দিন পান্না, প্রেসক্লাব সভাপতি রেজাউল করিম বাদল, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কবির ফকির, বিআরডিবির চেয়ারম্যান মাইনুদ্দিন মামুন, সৈয়দ আসাদুজ্জামান কাওসারসহ স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ।

বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্য ও বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব অ্যাডভোকেট খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের সাবেক এপিএস ওমর আব্দুল্লাহ শাহীন বলেন, “সুষম উন্নয়ন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর সংসদে পৌঁছানো এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও নদী ভাঙন প্রতিরোধে বরগুনায় তিনটি আসন পুনর্বহাল জরুরি।”

সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মজিদ মল্লিক বলেন, “ভৌগলিক অবস্থান ও প্রশাসনিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন বরগুনার তিনটি সংসদীয় আসন পুনর্বহাল করবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।”


বদলগাছীতে রাত পোহালেই নতুন চুরির খবর, আতঙ্কে উপজেলাবাসী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. সবুজ হোসেন, নওগাঁ প্রতিনিধি

বর্তমানে চুরি আতঙ্কে রয়েছে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলাবাসী। এই উপজেলায় হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে চুরির ঘটনা। চোরেরা সুযোগ বুঝে এক রাতেই ৩-৪ টি জায়গায় চুরি করছে অনায়াসে।

সর্বশেষ শুক্রবার ২২আগষ্ট উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় সিদ্দিকের ফিডের দোকানে চুরি করতে এসে এক চোর আটক হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে রাতে আরো তিন জন চোরকে আটক করে পুলিশ।

এর আগে গত বুধবার একই রাতে তিনটি দোকান ও একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। আর এভাবেই গত ২৮-০৭-২৫ থেকে এখন পর্যন্ত এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩৫টি চুরির ঘটনা ঘটেছে।

এসব চুরি আবার বেশি হচ্ছে খোদ উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বাজার, দোকানপাট থেকে। এছাড়া বাদ যাচ্ছে না গ্রামীণ বাড়িঘর। এ অবস্থায় নিরাপত্তায়হীনতায় আর হতাশায় দিন কাটছে উপজেলার মানুষের। দেখা দিয়েছে চুরি আতঙ্ক।

স্থানীয়রা বলছেন চুরির মালামাল উদ্ধার ও চোরদের আটক না করায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে তারা। আবার হঠাৎ করে চুরি বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে অনেকে বলছেন নেশার টাকা জোগাড় ও পুলিশের কঠোর পদক্ষেপের অভাব।

আর থানা পুলিশ বলছে চুরির রহস্য উৎঘাটনসহ চোরকে ধরার চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিনিয়ত কারো না কারো মূল্যবান জিনিস চুরি করছে চোরেরা। কখনও কারো বাড়ির গরু-ছাগল চুরি হচ্ছে, কখনও গভীর নলকূপের ট্র্র্র্র্র্র্যান্সফরমার চুরি, কখনও পাওয়া যাচ্ছে দোকান চুরির খবর। আবার কখনও বাড়ির গেট থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা। যেন চোরদের চুরির নিরাপদ উপজেলায় পরিণত হয়েছে।

এখন চায়ের দোকান মূখর হয় চুরির খবরে। পুলিশ যেন নির্বেকার, কোন ভাবেই চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। করতে পারছে না রহস্য উৎঘাটন। তাই পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ভূক্তভোগীরা।

জানা যায়, গত ২০ আগষ্ট একই রাতে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শরিফুলের মুদি দোকান, উপজেলার মোড়ে সোহাগের চায়ের দোকান, বাজার এলাকায় মাসুদের মুদি দোকান এবং হটাৎপাড়া এলাকার মজিদুলের বাড়ির ওয়াটার পাম্প চুরি হয়।

এর আগে গত ১০ আগষ্ট রাতে বাজার এলাকার সবচেয়ে বড় মুদি দোকান লিটন ভ্যারাইটি ষ্টোরের ইটের ১০ ইঞ্চি দেয়াল ভেঙে দোকানে চুরি। এর দুই দিন পর বাজারের আরেক বড় মুদি দোকান ফারুক ষ্টোরের উপরের টিন খুলে মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা।

এছাড়া গত ৭ আগষ্ট সবজি দোকানদার সুমন হোসেন তার পালসার মোটরসাইকেলটি দুপুরে বাড়ির দরজার সামনে রেখে ভাত খাচ্ছিলো। পরে এসে দেখে মোটরসাইকেল নেই, চুরি হয়ে গেছে।

গত ২৮জুলাই উপজেলার খাদ্যগুদামের সামনে সার্থক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সাংবাদিক সানজাদ রয়েল সাগরের সিনজেনটা দোকানের ইটের দেয়াল ভেঙে মালামাল চুরি হয়।

এর ৩-৪ দিন পর মথুরাপুর ইউপির সদস্য পরিমল চন্দ্রের বাড়ির লোহার গ্রিল কেটে মোটরসাইকেল ও গরু চুরির ঘটনা ঘটে।

এভাবেই গত এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ৩৫ টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশী চুরি হয়েছে উপজেলার মোড় ও বাজার এলাকায়।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সানজাদ রয়েল সাগর ক্ষোভের সঙ্গে বলেন,“দোকান ভেঙে নগদ টাকা আর মালামাল নিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত পুলিশ আমার চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি। পুলিশ তো গভীর ঘুমে বিভোর। দেখি কবে পুলিশের ঘুম ভাঙে।”

আরেক ভূক্তভোগী সবজি ব্যবসায়ী সুমন হোসেন বলেন,“আমার মোটরসাইকেল চুরি হওয়ার পর থানায় গিয়েছি জিডি করার জন্য। পুলিশ জিডি না নিয়ে অভিযোগ দিতে বলে। সেই মোতাবেক অভিযোগ লিখে আমি ওসির কাছে জমা দিতে গেলে ওসি আমাকে বলেন“ আপনার কাছে যদি এক লাখ টাকা থাকে বাহিরে রাখবেন, টাকা আর গাড়ী একই জিনিস। গাড়ী বাড়ির বাহিরে রাখলেন কেন? এখন চুরি হয়েছে সব দোষ পুলিশের হবে।”

মুদি ব্যবসায়ী শরিফুল হোসেন বলেন,“ যেভাবে দিনের পর দিন চুরি হচ্ছে, এভাবে চলতে থাকলে আমরা কিভাবে ব্যবসা করবো।”বারবার চুরির ঘটনায় জনমনে ক্ষোভ জমছে। মানুষ প্রশ্ন তুলছে চোরদের লাগাম টানবে কে? এভাবে চলতে থাকলে বদলগাছীর শান্ত পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে। কোন কোন গ্রামে চুরির ভয়ে মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছে না। কেউ ঘুমাচ্ছে ঘরের উঠানে,আবার কেউ টর্চ লাইট হাতে পাহারা দেন। চোরের ভয়ে অস্থির জনজীবন।

এ বিষয়ে বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, চুরির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে, আমরা চোরকে ধরতে কাজ করছি। এখন পর্যন্ত কোন চুরির ঘটনার রহস্য উৎঘাটন বা চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার হয়েছে কি/না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মালামাল উদ্ধার হয়নি,তবে আমরা আশাবাদী চোর সহ চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার হবে খুব নিকটে। চার জন চোর আটক আছে। আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।


জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে: জি কে গউছ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রায়হান আহমেদ, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার তিন বারের সাবেক মেয়র জি কে গউছ বলেছেন, আমার পূর্বে হবিগঞ্জ পৌরসভায় বিএনপির কোনো মেয়র নির্বাচিত হননি। আমি ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে তিন বার হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। ভোট চুরি না হলে আমি সদরের এমপি ছিলাম। দল যখন যেভাবে চেয়েছে আমি সেইভাবেই দায়িত্ব পালন করেছি। দলের নেতাকর্মীদের আগ্রহে এবং অনুরোধে আমি হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির কাউন্সিলে সভাপতি পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

শুক্রবার রাতে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচী সফল করতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গউছ বলেন, জেলা বিএনপির সম্মেলন ৬ সেপ্টেম্বর। বিএনপি যারা করেন, যারা রাজপথে রক্ত দিয়েছেন, শরীরের ঘাম ঝড়িয়েছেন, আন্দোলন করেছেন, তারাই সিদ্ধান্ত নিবেন কারা প্রার্থী হবেন, আর কাদেরকে তারা ভোট দিবেন। কিন্তু মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি হলে বুঝতে হবে সামথিং ইজ রং। দুষ্ট লোকের দুষ্টামি কখনো বন্ধ হয় না। দুষ্ট লোকেরা ঘিয়ের মধ্যেও কাটা বাছতে শুরু করে। তাদের কাজই হচ্ছে ভালো কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলা, তারা বিএনপির কউন্সিলকে নিয়ে গুজব রটাচ্ছে, মিথ্যাচার করছে, তাদের বিষয়ে সকলকে সর্তক থাকতে হবে। তারা মূলত আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।

তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের এমপিরা পালিয়েছে, সাথে শত শত কোটি টাকা নিয়ে গেছে। এসব টাকা বিএনপির সামনের সারির নেতাদের চরিত্রে কালিমা লেপন করতে খরচ করা হচ্ছে। এটা বিএনপি নেতাকর্মীদের মাথায় থাকতে হবে।

জি কে গউছ বলেন, জোর জবরদস্তি করে মানুষের মন জয় করা যায় না। জোর করে মানুষের দোয়া, ভালোবাসা পাওয়া যায় না। তাই জনগণ বিরক্ত হয় এমন কাজ যেন আমরা কেউ না করি। কারণ জনগণের ভোটের মাধ্যমেই আমাদেরকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে হবে।

পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আউয়ালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মুহাইমিন চৌধুরী ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মর্তুজা আহমেদ রিপন প্রমুখ।


কনে দেখতে গিয়ে নৌকা ডুবে দুজন নিখোঁজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জাহাঙ্গীর আলম, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় ইঞ্জিনচালিত নৌকা ডুবে শামসুদ্দিন ও নুসরাত নামে দুজন নিখোঁজ হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ধারাম হাওরে এ ঘটনা ঘটে। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তাদের খোঁজ মিলেনি।

ওইদিন সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া থেকে জয়শ্রী ইউনিয়নের মহেশপুরে বিয়ের জন্য কনে দেখতে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে ৭ জন রওনা দেন। নৌকাটি ধারাম হাওরে গেলে ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এ সময় চালকসহ ৫ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করলেও ষাট বছর বয়সী শামসুদ্দিন ও সাত বছর বয়সী নুসরাত নিখোঁজ হয়। শামসুদ্দিন সদর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে ও নুসরাত কান্দাপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার মেয়ে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে দুজনকে মূমুর্ষূ অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ধর্মপাশা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, নিখোঁজ দুজনকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। ময়মনসিংহ থেকে ডুবুরি দল এসে পৌঁছেছে। তারাও উদ্ধার কাজে অংশ নিবে।


অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য- উপাচার্য

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা আজ ২৩ আগস্ট ২০২৫ শনিবার ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

এসময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে স্মৃতিচারণ করেন কলা অনুষদের সাবেক ডিন ও কারা নির্যাতিত তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরী কর্মচারী সমিতি এবং ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহ্যগতভাবেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ যখন উচ্চারিত হয়, তখন তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি মানুষের গভীর বিশ্বাসেরই প্রতিফলন।

২০০৭ সালের ২৩ আগস্ট স্মরণ করে উপাচার্য সেই সময় আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আমরা সবসময় দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধ থেকেছি। এ ঐতিহ্যের দায় আমাদের সবার। ভবিষ্যতেও যদি একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়, ডাক পড়লে আমরা আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবিলা করব।

সেনাবাহিনী ও পুলিশকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে উপাচার্য আরও বলেন, তারা আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। আমরা পরাস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে যার যার জায়গা থেকে দেশের জন্য কাজ করব।

সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা ও মর্যাদা রক্ষায় যাঁরা আন্দোলন করেছেন তাঁদের আমরা স্মরণ করছি। শিক্ষকরা আন্দোলনে সবসময় শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাল হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন।

তিনি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময়ই সকল অংশীজনের পরামর্শে এগিয়ে গেছে এবং এই চর্চা অব্যাহত থাকবে।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, ২০০৭ সালের আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদার ওপর আঘাত এসেছিল। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি দেশের মানুষের ছিল প্রবল আকাঙ্ক্ষা ।

তিনি বলেন, তখন দেশের মানুষ সবচেয়ে বড় সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দিকে তাকিয়ে ছিল। আমরা আন্দোলন করেছি এবং দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলাম।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আজকের আয়োজন হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা প্রতিষ্ঠায় যারা আন্দোলন করেছেন তাদের স্মরণ করার অনুষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের স্বকীয়তা না থাকলে শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন সম্ভব নয়। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা গ্রেফতারকৃত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলাম।


নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে দুই দিনের মুমূর্ষু নবজাতককে রক্ষা করলো কোস্ট গার্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শুক্রবার ২২ আগস্ট ২০২৫ তারিখ দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ২১ আগস্ট ২০২৫ তারিখ বৃহস্পতিবার রাতে জনৈক এক মা তার মুমূর্ষু দুইদিনের নবজাতককে কৃত্রিম অক্সিজেন সহকারে উন্নত চিকিৎসার জন্য 'এম ভি মিতালী-০৭' লঞ্চ যোগে ভোলার ইলিশা হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি আজ শুক্রবার ভোর ৪ টায় ফতুল্লা লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে অক্সিজেন সিলিন্ডার খালি হয়ে যায়। এতে উক্ত নবজাতকের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে এবং জীবনের ঝুঁকি দেখা দেয়। তৎক্ষণাৎ একজন নিকট আত্মীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করে সহায়তা চাইলে, কোস্ট গার্ড অবগত হয়।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড স্টেশন পাগলা হতে একটি মেডিক্যাল টিম তৎক্ষণাৎ একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ হাই স্পিড বোট যোগে উক্ত লঞ্চে গমন করে। অতঃপর মেডিকেল টিম নবজাতককে দ্রুত অক্সিজেন প্রদান করে এবং উক্ত লঞ্চ যোগে সদরঘাটে নিয়ে আসে।

পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য নবজাতককে অ্যাম্বুলেন্স যোগে ধানমন্ডি মা ও শিশু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

তিনি আরও বলেন, জনসেবায় কোস্ট গার্ডের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।


নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে আনসার বাহিনীকে গড়ে তোলা হচ্ছে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণে- মহাপরিচালক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর আনসার, এপিসি ও পিসি সদস্যদের সতেজকরণ প্রশিক্ষণ (৫ম ধাপ), ২০২৫ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত দক্ষতা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিরাপত্তায় নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে উল্লেখ করেছেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। শনিবার (২৩ আগস্ট) গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যে বলেন—

“আনসার বাহিনীর সদস্যদের শুধু সংখ্যাগত উপস্থিতি নয়, বরং নিরাপত্তা সেবার গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যেই এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। গ্রামীণ জনপদ থেকে শুরু করে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যন্ত নিরাপত্তা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের অঙ্গীকার নিয়ে এই বাহিনী কাজ করছে। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বাহিনী ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছে।”

তিনি আরো বলেন— “আনসার বাহিনী চারটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। ভিডিপি/টিডিপি, উপজেলা/থানা আনসার, অঙ্গীভূত আনসার ও ব্যাটালিয়ন আনসারের দায়িত্ব ভিন্ন হলেও দেশের সার্বিক নিরাপত্তায় প্রতিটি সাংগঠনিক কাঠামোই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটালিয়ন আনসার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর সাথে দায়িত্ব পালন করছে, আর অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা পয়েন্ট সিকিউরিটিতে কেপিআই ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে। তারা সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে, যা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অপরিহার্য। উপজেলা আনসার সদস্যদের মিশন ও দায়িত্ব পরিধি অনুযায়ী প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা ও প্রান্তিক আয়োজনে জোরালো ভূমিকা রাখছে। ভিডিপি/টিডিপি সদস্যরা সামাজিক আন্দোলন ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা হুমকির উৎস মুলে প্রত্যক্ষ ভুমিকা রাখতে বদ্ধপরিকর।”

তিনি সতেজকরণ প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন— “রাষ্ট্রের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ বাহিনী গড়ে তুলতে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। সমাজ ও মানুষের প্রয়োজনের সাথে এই বাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত। তাই কোনো অদক্ষ সদস্য এ বাহিনীতে স্থান পাবে না। নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আনসার বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা হবে। বিশেষ করে কেপিআই নিরাপত্তায় এ প্রশিক্ষণ নতুন মাত্রা যোগ করবে।” এবারের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ১০ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমি, সফিপুর, গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ১,১৬০ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে ১,১৩৬ জন সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেন। প্রশিক্ষণকালীন সময়ে মৌলিক শরীরচর্চা, অস্ত্র ও সাধারণ ড্রিল, শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, দায়িত্ব ও শৃঙ্খলা, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, সংগঠন ও বিধি-বিধান, সামাজিক সচেতনতা, মাদকবিরোধী কার্যক্রম, নারী ও শিশুর সুরক্ষা, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক শিক্ষা প্রদান করা হয়।

মহাপরিচালক অতীতের অবদান স্মরণ করে বলেন— “০৫ আগস্ট যখন সারা দেশ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলো এবং অনেক থানাই অরক্ষিত হয়ে পড়েছিলো, তখন আনসার বাহিনীর সদস্যরা সশস্ত্র বাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমাজ ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলো। জনগনের আকাঙ্খা পুরনে আগামীতে আনসার ভিডিপি সদস্যরা আস্হার স্বাক্ষর রাখতে সুপ্রশিক্ষিত ও সক্ষমতা অর্জন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ” অনুষ্ঠানের শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। এছাড়া প্রশিক্ষণে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়— তরিকুল ইসলাম, মো: বারিক এবং মাইনুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ, উপমহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো: রফিকুল ইসলাম, একাডেমি কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ নুরুল আবছারসহ বাহিনীর বিভিন্ন পদবীর কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।


হবিগঞ্জে ফের ধসে পড়ল মডেল মসজিদের ছাদ

নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রায়হান আহমেদ, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে নির্মাণের আগে ফের ধসে পড়লো মডেল মসজিদের ছাদ। এ নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই এমনটা হচ্ছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এর আগে ৬ আগস্ট ওই মসজিদের ছাদ ধসে পড়েছিল।

জানা গেছে, সারা বাংলাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের অসংখ্য জেলা ও উপজেলায় মসজিদের কাজ সম্পন্ন করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

কিন্তু জেলার বানিয়াচং উপজেলার সামনে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদটি নির্মাণে কালক্ষেপণ করছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএসএল এন্ড আলী (জেভি)। নির্মাণ সংস্থা হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ এবং বাস্তবায়ন সংস্থা ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদটি নির্মাণ হতে চলেছে।

মসজিদটির কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরে সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে দুই দুইবার ছাদ ধ্বসে পড়েছে।

বড় বাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, দেশের অন্যান্য এলাকায় মসজিদের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। অথচ বানিয়াচংয়ে নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে কচ্ছপ গতিতে চলছে কাজ। ইতিমধ্যে দুইবার ছাদ ধ্বসে পড়েছে। দেখার যেন কেউই নেই।

বাবুর বাজারের আলী জানান, ছাদ ধ্বসের ঘটনাটি তদন্ত হওয়া উচিত। যদি নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে মসজিদটি নির্মিত হয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে প্রাণঘাতি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

তদন্তের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে মডেল মসজিদ সরেজমিন পরিদর্শনকালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোন শ্রমিক বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ছাদ ধ্বসে পড়ার পর শ্রমিকরা পালিয়ে গেছেন বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম সাথী জানান, দুই দুইবার ছাদ ধ্বসে পড়ার ঘটনাটি তিনি জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন। এবং পরবর্তী নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তিনি।


পটুয়াখালীতে নিখোঁজের ৩ দিন পর কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু, পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর বাউফলে নিখোঁজের ৩ দিন পর উর্মী আক্তার(১৫) নামের এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৩ আগস্ট) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের নারায়নপাশা খালের স্লুইজগেট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

উর্মী কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভখালী গ্রামের অটোরিকশা চালক নজরুল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর অর্থ অভাবে লেখাপড়া করতে পারেনি।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার( ২১ আগস্ট) রাতে উর্মী নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে শুক্রবার পরিবার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। পরবর্তীতে স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে শনিবার সকালে খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পান এলাকাবাসী এবং পুলিশকে জানায়।

বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে তদন্ত চলছে।


ভূমি সেবায় ‘সময় ক্ষেপন ও বিড়ম্বনার’ শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. ফায়েজুল কবীর, মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুর সদর উপজেলা ভূমি অফিসের এসিল্যান্ড ফাতেমাতুজ্জোহরা গত ৩০/৪/'২৫ তারিখে বদলী হয়ে অন্যত্র চলে গেলে তদস্থলে অদ্যাবধি কোনো এসিল্যান্ড (সহকারী কমিশনার ভূমি) পোষ্টিং না পাওয়ায় ভূমি সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা অনেকাংশেই সময় ক্ষেপন ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াদিয়া শাবাব তার নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে বর্তমানে সেখানে এসিল্যান্ডের দায়িত্বও পালন করছেন। কবে নাগাদ এসিল্যান্ড যোগদান করবেন- এ ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান- সেটা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিষয়, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের লিখিত আদেশেই আমি আমার নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে এসি ল্যান্ডের দায়িত্বও পালন করছি।

তিনি বলেন, একজন ইউএনও এর নিজেরই অনেক কাজের পরিধি রয়েছে, ডিসি অফিসের বিভিন্ন মাসিক-সাপ্তাহিক মিটিং, সভা-সেমিনার এর পাশাপাশি মাঠ পর্যায়েও অনেক কাজ করতে হয়। সেটা করার পাশাপাশি একটু কষ্ট হলেও ভূমি অফিসের দৈনন্দিন কাজগুলোও স্বাভাবিকভাবে করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে জটিল কাজের মধ্যে রয়েছে ভূমি মিউটেশন সেবা, ধীরগতিতে হলেও সেটাও আমরা করে যাচ্ছি। তিনি আরো জানান এসিল্যান্ড পোষ্টিং এর ব্যাপারে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে আলোচনা হয়েছে, তিনি জানিয়েছেন শীঘ্রই একজন এসিল্যান্ড সেখানে পদায়িত হবেন।

এদিকে ভূমি সেবা নিতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন গ্রাহকের সাথে সরেজমিনে কথা বললে তারা জানান, আমরা অনেক সময় এসিল্যান্ড অফিসে ঘন্টার পরে ঘন্টা বসে থাকি ইউএনও এর অপেক্ষায়। তারা আরো বলেন, আমরা যখন ভূমি সংক্রান্ত কাজে আসি তখন দেখা যায় ইউএনও মহোদয় তার নিজ দায়িত্বের ফিল্ডের কোনো কাজে গেছেন, অথবা ডিসি অফিসের মিটিং বা অন্য কোনো সরকারী প্রোগ্রামে অন্যত্র রয়েছেন- তখন আমরা যারা দূর-দূরান্ত থেকে আসি তখন আমাদের তার জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকতে হয়- যা নির্দিষ্ট কোনো এসিল্যান্ড থাকলে আমাদের সে বিড়ম্বনার শিকার হতে হতো না। এ ব্যাপারে তারা অতি দ্রুত একজন এসিল্যান্ড পোষ্টিং দেয়ার জন্য মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।


banner close