রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
৯ ভাদ্র ১৪৩২

হিল্লা বিয়ে না করার জেরে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' দম্পতি

রাব্বিউল হাসান, জয়পুরহাট 
প্রকাশিত
রাব্বিউল হাসান, জয়পুরহাট 
প্রকাশিত : ২৪ আগস্ট, ২০২৫ ১২:২৫

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের বালুকাপাড়া গ্রামে রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পুনরায় তাকে বিয়ে করায় এক দম্পতিকে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' করে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে নালিশ দেওয়ার জের ধরে পেটানো হয় দিনমজুর আব্দুল জলিল প্রামানিককে। প্রতিপক্ষের লোকজনের মারধরে এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে গেছে।

এঘটনায় তিনি একটি থানায় অভিযোগ করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে সেটি মামলাটি হিসেবে রের্কড করা হয়। তবে মামলার এজাহারে সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।

সরেজমিনে বালুকাপাড়া গ্রামে গিয়ে আব্দুল জলিলকে ১৮ মাস ধরে সমাজচ্যুত করে রাখার তথ্য জানা গেছে। আব্দুল জলিলের সমাজচ্যুত করার ঘটনাটি স্থানীয় রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশীদ মন্ডলও অবগত আছেন। তিনি দুই পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকেও সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি সমাধান করতে পারেনি।

গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক কলহের কারণে আব্দুল জলিল প্রামানিক রাগের মাথায় তার স্ত্রীকে তালাক দেন। এঘটনার ২৯ দিন পর তিনি আবারও স্ত্রীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় গ্রাম্য মাতব্বরেরা ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল জলিল প্রামানিকের পরিবারকে সমাজচ্যুত করে রাখেন। সেই সময় জলিল প্রামানিক বিষয়টি আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে জানান। ইউএনও রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মণ্ডলকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেন। ইউপি চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। তবে কার্যত কোন কোনো সমাধান করতে পারেননি। এতে গ্রাম্য মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলের ওপর আরও ক্ষুব্ধ হন। সমাজচ্যুত করে রাখা আব্দুল জলিল গত ১৫ আগস্ট রাত আটটার দিকে গ্রামের মসজিদের দিকে রওনা হন। এসময় মাতব্বরেরা তাকে দুই দফায় প্রচন্ড মারধর করেন। এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে যায়। তিনি চিকিৎসা নিয়ে থানায় আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

বালুকাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেড় বছর আগে আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। কয়েক দিন পর আবার সংসার শুরু করেন। এনিয়ে গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিল প্রামানিককে সমাজচ্যুত করেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় বৃদ্ধা লুৎফন নেছা বলেন, আমি কাজ করতে পারিনি। আব্দুল জলিলের বউ আমার বাড়িতে এসে জবাই করা মুরগির তরকারি রান্না করে দিয়েছিল। আমি জলিলের বাড়িতে গিয়ে এক বাটি মুরগির মাংসের তরকারি দিয়ে এসেছি। এতে আমাকেও সমাজচ্যুত করার হুমকি দিয়েছিল।

বালুকাপাড়া গ্রামের মোড়ের দোকানি হাফিজার রহমান বলেন, বউকে তালাক দেওয়ার ঘটনায় আব্দুল জলিল প্রামানিককে গ্রামের মাতব্বরেরা সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল গ্রামের সামাজিক কোন কর্মকান্ডে অংশ নিতে দেয় না।

আব্দুল জলিল প্রামানিক বলেন, আমি রাগের মাথায় স্ত্রী তালাক দিয়েছিলাম। ২৯ দিন পর আবার বিয়ে পড়ে নিয়েছি। একারণে গ্রামের মাতব্বর রকি খান, মিল্টন খাঁ, আবু সুফিয়ানসহ আরও ১০-১২ জন আমাকে সমাজচ্যুত করেছেন। রাগের মাথায় স্ত্রীক। তালাক দিলে পুনরায় বিয়ে করা যাবে ঢাকার একজন মুফতির মতামত নিয়ে আসার পরও তারা মানেনি। তারা বলছে হিল্লা বিয়ে ছাড়া আমার বিয়ে বৈধ হবে না। তারা আমাকে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে গ্রামের মসজিদে নামাজ আদায়ে করতে ও জানাজায় শরিক হতে বা দেননি। মিলাদ মাহফিল দাওয়াত দেওয়ার মাতব্বরদের চাপে পর ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি গ্রামের কারও জমিতে দিনমজুরি কাজও করতে পারব না বলে লোকজন জানিয়ে দেন। একারণে কেউ আমাকে কাজে নেয় না। সমাজচ্যুত করার জের ধরে মসজিদে যাওয়ার সময় মাতব্বরদের একাংশের লোকজন আমাকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছেন।

গ্রামের মাতব্বদের একজন মো. মিল্টন খাঁ। তিনি আব্দুল জলিলের দায়ের করা মামলার দুই নম্বর আসামি। তাকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কাজ করেছেন। একারণে গ্রামের লোকজন তাকে সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কি কাজ করেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আবার স্ত্রীকে নিয়েছেন। এটা সমাজ বিরোধী কাজ।

আক্কেলপুর রায়কালী ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মন্ডল বলেন, আব্দুল জলিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। এঘটনায় গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলকে সমাজচ্যুত করেন। আব্দুল জলিল ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। ইউএনও স্যার আমাকে ঘটনাটি সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। উভয়পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছি। আব্দুল জলিল যেন সামাজিকভাবে মিশতে পারে সেটি বলেছি। সমাজচ্যুতের ঘটনার জের ধরে আব্দুল জলিলকে মারধর করা হয়েছে। এতে তার বাম হাত ভেঙেছে বলে জেনেছি।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আব্দুল জলিল প্রামানিক থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সেটি মামলা হিসেবে রের্কড করা হয়েছে। আসামি আট জনের মধ্যে ইতিমধ্যে আদালত থেকে পাঁচজন আসামি জামিন নিয়েছেন, অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেই নিয়মিত বেতন তুলছেন সহকারী শিক্ষক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাব্বিউল হাসান, জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হাকিমপুর কৈজুরি বেগম নুরজাহান রিয়াজ (বিএনআর) উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি) গোলাম রসুল দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও ইএফটি’র মাধ্যমে নিয়মিত সরকারী প্রদত্ত বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন।

অথচ গোলাম রসুল একটি হত্যা মামলার আসামি থাকায় গত ৮ মাস ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন বলে জানা গেছে। বিনা ছুটিতে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় কর্তৃপক্ষ এই শিক্ষককে বার বার নোটিশ দিলেও কোন সাড়া মেলেনি তার। একারণে তার অনুপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষা বিষয়ে পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছে।

দ্রুত সময়ের মধ্যে সহকারী শিক্ষক গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে গোলাম রসুলের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রুবাইয়াত আফরিন বলে, কৃষি শিক্ষক ৮ মাস থেকে বিদ্যালয়ে আসে না। মাঝে মধ্যে প্রধান শিক্ষক ক্লাস নিলেও অনেক ক্লাশ হয় না। এ কারণে আমাদের কৃষি শিক্ষা বিষয়ে পড়াশুনার ক্ষতি হচ্ছে।

হাকিমপুর কৈজুরি বেগম নুরজাহান রিয়াজ (বিএনআর) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি) গোলাম রসুল দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার কারণে আমরা বিভিন্ন ভাবে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাইনি। সে কারণে বিধি মোতাবেক তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়। সেখানে জবাব না পাওয়াই আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে অবহিত করলে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটি তদন্ত পূর্বক তাহার বেতন ভাতা বন্ধের সুপারিশ করেন। পরবর্তীতে তদন্তের আলোকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করলে বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করে তিনিও তার বেতন বন্ধের সুপারিশ করেন। বর্তমানে ইএফটি'র মাধ্যমে তাকে প্রদত্ত বেতন ভাতা বন্ধের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন পাঠানো হয়েছে।


বুড়িগঙ্গায় একদিনে মিললো ৪ লাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

বুড়িগঙ্গা নদী থেকে নারী ও শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। শনিবার (২৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৭টার দিকে নদীর পৃথক স্থান থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সদরঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহাগ রানা জানান, উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩ বছরের এক শিশু, দুই নারী ও একজন পুরুষ। তাদের পরিচয় এখনও শনাক্ত হয়নি। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি সোহাগ রানা আরও বলেন, প্রথমে কেরানীগঞ্জের মীরেরবাগ কোল্ড স্টোরেজের কাছ থেকে ভাসমান অবস্থায় ৩০ বছরের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় কালো রঙের বোরকা পেঁচানো ছিল এবং পরনে ছিল গোলাপি রঙের সেলোয়ার-কামিজ। কিছুক্ষণ পর একই স্থান থেকে ওড়না দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় ৩ বছরের এক ছেলে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

অন্যদিকে, কেরানীগঞ্জের বরিশুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর মো. মোক্তার হোসেন জানান, রাত সাড়ে ৭টার দিকে জিনজিরা ইউনিয়নের মাদারীপুর জামে মসজিদের কাছ থেকে আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে একজন পুরুষ (৪০) ও একজন নারী (৩০)। পুরুষের পরনে ছিল কালো প্যান্ট ও চেক ফুল শার্ট এবং নারীর পরনে ছিল ছাই রঙের গেঞ্জি ও লাল সেলোয়ার। তাদের শরীরে আঘাতের সামান্য চিহ্ন পাওয়া গেছে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আকতার হোসেন জানান, মীরেরবাগ এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহ দুটি মা-ছেলের বলে ধারণা করা হচ্ছে। অপরদিকে জিনজিরা এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহ দুটি একজন নারী ও একজন পুরুষের।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে এবং মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।


শেরপুর জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. মেরাজ উদ্দিন, শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুর জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বেলা ১২ টায় জুলাই মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতেই পূর্ববর্তী মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়। পরে সভায় ক্রমান্বয়ে জেলার বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার, জেলার মুলতবি মামলা, গ্রেফতারি পরোয়ানা নিষ্পত্তি, স্পর্শকাতর মামলা সমূহের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়।

সভায় পুলিশ সুপার তাঁর বক্তব্যে জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সামগ্রিক বিষয়াদি নিয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পাশাপাশি জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি,সন্ত্রাস দমন, মাদক উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিট পুলিশিং কার্যক্রম, গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল, স্পর্শকাতর মামলা সমূহের অগ্রগতি, জেলার গোয়েন্দা কার্যক্রম ও নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন এবং জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব ও সততার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

সভায় পুলিশ সুপার জুলাই মাসে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন এবং চৌকস কার্য সম্পাদনের জন্য জেলা পুলিশের ০৬ জন বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুরষ্কার প্রদান করেন।

সভায় শেরপুর জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নির্বাচিত হন নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সোহেল রানা, শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে নির্বাচিত হন শেরপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খান, শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে নির্বাচিত হন নালিতাবাড়ী থানার এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ নুরুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ এএসআই হিসেবে নির্বাচিত হন নকলা থানার এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ হারুন অর রশিদ, শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক অফিসার নির্বাচিত হন টিএসআই মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোবাইল উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হন নালিতাবাড়ী থানার এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ উমর ফারুক।

সভায় শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শাহ শিবলী সাদিক, সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) আফসান-আল-আলম, জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, ইন্সপেক্টর (তদন্ত)'গণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।


ডেভিল হান্টের আসামি ধরতে গিয়ে ধস্তাধস্তি, ৪ পুলিশ আহত

আপডেটেড ২৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:২৩
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলে ডেভিলহন্টের অভিযানে নাশকতার মামলায় আলম শেখ (৩৫) নামে এক আসামি ধরতে গিয়ে ধস্তাধস্তিতে ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। সোমবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত রবিবার ২৩ আগস্ট রাতে উপজেলার গাবসার ইউনিয়নে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলম শেখ (৩৫) কে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। এ সময় তাকে গ্রেফতার করতে গিয়ে ধস্তাধস্তিতে ভূঞাপুর থানার ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়। আলম শেখ উপজেলার মেঘারপটল গ্রামের ফজলুল শেখের ছেলে।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, টাঙ্গাইল সদর থানার নাশকতা মামলার আসামি আলম শেখকে গ্রেফতার করতে শনিবার রাতে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় তিনি পুলিশের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয় এবং তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। রবিবার সকালে গ্রেফতারকৃত আলম শেখকে টাঙ্গাইল সদর থানায় প্রেরণ করা হয়।


যানজটে স্থবির গোটা রূপগঞ্জ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছে গোটা রূপগঞ্জ। যাত্রীসেবা একেবারেই নিম্মপর্যায়ে। ভ্যাবসা গরমে আর যানজটে নাকাল মানুষ। দেখার কেউ নেই বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

সকাল থেকেই ঢাকা সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জ অংশে তীব্র যানজট। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়াতে কর্মজীবী মানুষের ছুটে চলার চাপ বেড়েছে। ফলে দীর্ঘ যানজটে ও যানবাহনের ধীরগতিতে বিপাকে পড়েছেন কর্মমুখী যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।

রোববার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে থেমে থেমে যানজট শুরু হয়ে ধীরে ধীরে কাচপুর থেকে মৈকুলি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটারে বিস্তৃত হয়।

যাত্রী ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মহাসড়ক উন্নীতকরণ কাজের জন্য সড়ক সরু হয়ে যাওয়া ও ভারী বর্ষণে সড়কে তৈরি হওয়া খানাখন্দ দিয়ে যানবাহন পর্যাপ্ত গতিতে চলাচল করতে না পারা, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা, নিয়ম ভঙ্গ করে রুটে গাড়ির একাধিক লাইন করাসহ বিভিন্ন কারণেই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।এর উপর সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়াতে কর্মজীবীদের ঘিরে সড়কে চাপ বেড়েছে মানুষের চলাচলে। এতে সকাল থেকেই সড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। ফলে যানজটেরও দীর্ঘ হতে থাকে। এতে করে কাচপুর থেকে মৈকুলি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটারে যানজট ছড়িয়ে পড়ে।

যাত্রী সিয়াম আহমেদ বলেন, তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সকাল ৯ টায় কাজে যোগদান করার কথা। সকাল সাড়ে ৭টায় ভুলতা গাউছিয়া থেকে রওনা দিয়ে কাচপুর আসতেই বেজেছে সাড়ে ৮টা।

সিএনজি চালক বুলবুল বলেন, বরপা থেকে বরাব আসতেই ৪০ মিনিট লেগেছে। যানজট না থাকলে আসতে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৭ মিনিট লাগতো। সপ্তাহের প্রথম দিন হওয়াতে যাত্রীর চাপ ছিল। যানজট না থাকলে আয় রোজগার ভালো হতো।

মেঘালয় পরিবহনের চালক আজগর আলী বলেন, যাত্রামুড়া থেকে জ্যামে পড়েছি বরপা আসতেই ১ ঘন্টা লেগেছে। প্রতিদিনই এই এলাকায় যানজট থাকে। তবে সপ্তাহের প্রথম দিন হওয়াতে আজকে যাত্রীর চাপ বেশি হয়েছে। তাই সকাল থেকেই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে কাচপুর হাইওয়ে পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে সড়কে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। এতে গাড়ি ধীরগতিতে চালাতে হচ্ছে। অন্যদিকে সপ্তাহের প্রথম দিন হওয়াতে যাত্রী চাপ ও কিছুটা বেড়েছে। এতেও যানজট দীর্ঘ হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশের জনবলেরও কমতি রয়েছে। তাই সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমার এরিয়া আমি নজরদারিতে রাখি। অন্য সাইটে যানজট সৃষ্টি হয়ে এখানে অব্দি বিস্তৃত হয়। যানজট নিরসনে আমরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।


চুয়াডাঙ্গায় মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক ও সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রির অপরাধে প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জহির রায়হান সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক ও সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রির অপরাধে একটি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

আজ রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকন্দদবাড়িয়া এলাকায় ওই অভিযান চালানো হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মামুনুল হাসান জানান, দুপুরে সদর উপজেলার আকন্দবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক ও সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রির অপরাধে মেসার্স কামরুল ট্রেডার্সকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে ৮ বস্তা বাংলা টিএসপি সার নকল সন্দেহে জব্দ করে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সদর উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


পদুয়ার বাজার ইউটার্নে দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত হানিফ পরিবহনের বাস আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার পদুয়ার বাজার ইউটার্নে সড়ক দুর্ঘটনায় চার জন নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত হানিফ পরিবহনের বাসটিকে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। রোববার দুপুরে ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বাসটির চালককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার জানান, নূরজাহান হোটেল থেকে উল্টো পথে আসা ঘাতক বাস হানিফ এন্টারপ্রাইজ বাস নং- ঢাকা মেট্টো-ব-১২-২১৯৭ বাসটি দেবিদ্বার উপজেলার খাদ ঘর থেকে আটক করা হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় পদুয়ার বাজার ইউটার্নে লরির নিচে চাপা পড়ে একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় হানিফ পরিবহনের বাস ও লরির অজ্ঞাতনামা চালকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নিহতের ভাই আবুল কালাম। এছাড়া সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের সমন্বিত মতামতের ভিত্তিতে বাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে ইউটার্ন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত সদর দক্ষিণ উপজেলার দয়াপুর ইউটার্ন থেকে সকল যানবাহন ঘুরে আসতে হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান বিন হাসান।

তিনি জানান, পদুয়ার বাজার ইউটার্ন এলাকাটি সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, হাইওয়ে পুলিশ ও ভারতের জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রবিবার সড়ক ও যোগাযোগ বিষয়ক একটি সমন্বিত সভা রয়েছে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। সেখান থেকে সমন্বিত ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আপাতত এই ইউটার্নটি বন্ধ থাকবে।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বাজারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে ইউটার্নে সিমেন্ট বাহি লরির নিচে প্রাইভেট কার ছাপা পরে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়। এছাড়াও একই সময়ে ওই লরির সামনের অংশের নিচে চাপা পড়ে সিএনজির তিন যাত্রী আহত হয়। নিহতারা হলেন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোহাম্মদ ওমর আলী(৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম(৬৫), তার৷ বড় ছেলে আবুল হাশেম (৫০)ও ছোট ছেলে আবুল কাশেম(৪৫)। প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন আবুল হাশেম।


জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশ পরিচালনার প্ল্যান তৈরি করছে বিএনপি: শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, তারেক রহমান আগামি নির্বাচনে জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপির নেতৃত্বে দেশ পরিচালনার প্ল্যান তৈরি করছেন। জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন যতদিন পর্যন্ত বাস্তবায়ন না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ধীরে ধীরে এই প্ল্যানগুলোকে তারেক রহমান লন্ডনে বসে একটা উন্নত বিশ্বের প্ল্যানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। আমরা তার অপেক্ষায় রয়েছি। এখনো কিছু মামলা জটিলতা রয়েছে। আসার ক্ষেত্রে নেই খুব একটা সমস্যা নেই। নভেম্বরের মধ্যে আমরা তাকে কাছাকাছি দেখতে পাবো ইনশাআল্লাহ।

রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে তিন আরও বলেন, তারেক রহমান দেশে আসবেন। তারেক রহমান দেশে আসার আগে কি কি পরিকল্পনা, কি কি কাজ, দুর্নীতি বন্ধ করার ক্ষেত্রে কি উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে তিনি প্ল্যান করছেন। আমরা যদি অপরাধ এবং দুর্নীতিকে কন্ট্রোল করতে না পারি, তাহলে হাসিনা যে কাজগুলো করেছে অনেকে তখন বলবে এ কাজতো বিএনপি করতে পারে না। এজন্য তারেক রহমান ১৮০ দিনের প্ল্যান নিয়েছে। তারেক রহমান ৩৬৫ দিনের প্ল্যান নিচ্ছেন।

কমলনগর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম কাদেরের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, বিএনপির সহ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক,সাবেক এমপি এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান। নুরুল হুদা চৌধুরী ও এম দিদার হোসেনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম-আহবায়ক এডভোকেট হাসিবুর রহমান, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জেলা সভাপতি হাফিজুর রহমান, বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া ও জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবুল হাশেম প্রমুখ। সম্মেলন শেষে নুরুল হুদা চৌধুরীকে সভাপতি, গোলাম কাদেরকে সিনিয়র সহসভাপতি ও এম দিদার হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে কমলনগর উপজেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করেন শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী।


ভালুকায় বিদেশি মদ-উত্তেজক ট্যাবলেট ও সিরাপসহ গ্রেপ্তার ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও সিরাপসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের ক্লাবের বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।

যৌথবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ভরাডোবা ক্লাবের বাজার মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস থেকে রয়েল স্ট্যাগ ব্র্যান্ডের ৭৫০ মিলিলিটারের ৬ বোতল বিদেশি মদ, ২ হাজার ৬০০ পিস যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট এবং ২৫৮ বোতল অবৈধ উত্তেজক সিরাপ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—হালুয়াঘাট উপজেলার কালিয়াকান্দি গ্রামের শামসুল হকের ছেলে মো. সুজন মিয়া (৩০) ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বরজোরা গ্রামের নবাব আলী ফকিরের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৬২)।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, মাদক ও অবৈধ ঔষধসহ গ্রেপ্তার দুই আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।


মাগুরায় কৃষকদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে গণ কমিটির মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা প্রতিনিধি

অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত মাগুরার কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে গণ কমিটির পক্ষ থেকে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

রবিবার দুপুরে মাগুরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেয় গণ কমিটি। এ সময় গণকমিটির আহ্বায়ক এটিএম মহব্বত আলীর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব প্রকৌশলী শম্পা বসুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন, গণকমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী ফিরোজ, সদস্য বীরেন বিশ্বাস ও বাসারুল হায়দার বাচ্চু।

বক্তারা বলেন, অতি বৃষ্টিতে ও জলবদ্ধতায় মাগুরা সদর উপজেলার দরিবিলা, জাগলা, ভাবনহাটি, শালিখা উপজেলার তালখড়ি মাঠসহ প্রায় ২০০০ হেক্টর জমির ধান ও সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এসব এলাকার কৃষকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবিলম্বে তাদেরকে সরকারি বরাদ্দ দিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান করেন।

মানববন্ধন শেষে গণকমিটির একটি প্রতিনিধি দল মাগুরা জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করেন ।


জয়পুরহাটে নাগরিক সেবার মান উন্নয়ন না করেই পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাব্বিউল হাসান রমি, জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাট পৌরসভায় নাগরিক সেবার মান উন্নয়ন না করেই এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে বর্ধিত পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বেলা ১২টায় শহরের জিরো পয়েন্টে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালিত হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন, সচেতন পৌর নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক এমএ ওয়াহাব, জেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক শাহনেওয়াজ কবির শুভ্র, গ্রীন এন্ড ক্লিন জেলার সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশেদ, সাবেক ছাত্রনেতা আলী হাসান মুক্তা, মতিয়র রহমান ও এস এম আসিফ শাহরিয়ার।

বক্তারা বলেন, জয়পুরহাট পৌরসভার প্রশাসক সেবার মান উন্নয়ন না করে হঠাৎ করে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করেছেন। যা পৌরবাসীর জন্য অনেক কষ্টদায়ক। তাই বর্ধিত ট্যাক্স প্রত্যাহার করা না হলে পৌরসভা ঘেরাও সহ আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।


কোম্পানিগঞ্জ-নবীনগর সড়কে সিএনজি-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. তরিকুল ইসলাম তরুন কুমিল্লা -দক্ষিণ

কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রাক-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে মালু মিয়া(৫৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় সিএনজি চালক সাগর মিয়া(২৭)কে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিবার ভোররাতে কোম্পানিগঞ্জ-নবীনগর সড়কের টনকি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নিহত মালু মিয়া নবীনগর উপজেলার লাউরফতেপুর গ্রামের মৃত চান্দার আলীর ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিমসার বাজার থেকে নিয়ে আসা কাঁচামাল বোঝাই একটি সিএনজি নবীনগরের দিকে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আশা গরু বোঝাই একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় সিএনজির যাত্রী কাঁচা তরকারি ব্যবসায়ী মালু মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান।

খবর পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত ছুটে এসে মরদেহ উদ্ধার করে এবং আহত সিএনজি চালককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর ট্রাকের চালক গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা বাঙ্গরা বাজার থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে সিএনজি ও ট্রাক দুটি জব্দ করে এবং নিহতের লাশ থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও সিএনজিটি জব্দ করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত মালু মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ২০১৮ সালের সড়ক ও পরিবহন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে হঠাৎ এ মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের পরিবারে গভীর শোক নেমে এসেছে। সড়কে অতিরিক্ত গতির কারণে বারবার এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে বলে এলাকাবাসী জানান। তারা দ্রুত সড়কে গতি নিয়ন্ত্রণ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।


কুলাউড়ায় ক্লাসে হঠাৎ ভেঙে পড়লো সিলিং ফ্যান, ছাত্রী হাসপাতালে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুলাউড়া প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় অগ্রণী উচ্চবিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলাকালে হঠাৎ সিলিং ফ্যান খুলে পড়ে আফরোজা আক্তার (১৪) নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী আহত হয়েছে। রবিবার (২৪ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সঞ্জয় দেবনাথ জানান, সকাল পৌনে ১১টার দিকে অষ্টম শ্রেণির গণিত ক্লাস চলাকালে বিকট শব্দে একটি ফ্যান নিচে পড়ে যায়। এতে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। ফ্যানের ব্লেডে আঘাত পেয়ে আফরোজার নাক কেটে যায় এবং রক্তক্ষরণ হয়। পরে তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মন্তাজ আলী বলেন, ভবনটি আগে একতলা ছিলো। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) মাধ্যমে ২০২৩ সালে এটি তিনতলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়। সে সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফ্যান বসায়। সম্ভবত নাট-বোল্ট ঢিলা বা ক্ষয়ে যাওয়ায় ফ্যানটি পড়ে যায়। শিক্ষার্থীর মাথায় পড়লে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। ইতোমধ্যে ভবনের সব ফ্যান পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে।


banner close