মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫
১১ ভাদ্র ১৪৩২

আড়াই বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত
যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:০০

আড়াই বছর পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। প্রথম চালানে ভারতীয় একটি ট্রাকে ১৫ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেনাপোল বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী শ্যামল কুমার নাথ।

তিনি জানান, গতকাল (সোমবার) রাত ৮টার দিকে প্রথম চালানে ১৫ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজবোঝাই একটি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। আমদানি করা পেঁয়াজের মান পরীক্ষা শেষে বন্দর থেকে খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাগেরহাটের এসএম ওয়েল ট্রেডার্স এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের ন্যাশনাল ট্রেডিং করপোরেশন।

এর আগে, ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক আনু বলেন, এর আগে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করেছিল সরকার। পরে ভারতও রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।

তিনি জানান, বর্তমানে দেশে চাহিদার বিপরীতে আমদানি ও পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছিলেন। এতে পেঁয়াজ কিনতে নিম্ন আয়ের মানুষের গুনতে হচ্ছিল অতিরিক্ত টাকা। অবশেষে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।

কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে, প্রতি টন ৩০৫ ডলারে আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৭ হাজার ৪২৯ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে মানভেদে ৫৮ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে পারে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার রাজন হোসেন জানান, কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পেঁয়াজের চালানটি দ্রুত খালাসের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


শিম চাষ করে স্বাবলম্বী কেশবপুরের কৃষকরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুরে গৌরীঘোনা ইউনিয়নের ভরতভায়না থেকে সুফলাকাটি ইউনিয়নের কলাগাছি বাজার পর্যন্ত সড়কের পাশের বেশিরভাগ জায়গা শিম গাছের বেগুনি ও সাদা ফুলের সমারোহ মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে গাছের নিচে দেখা ছোট-বড় জলাশয় আর তার পাড় ঘেঁষে এখন শুধু ঝুলছে শিম গাছের লতা। কোনো কোনো জলাশয়ের পাড়ে দেখা মিলবে লাউ কিংবা কুমড়া গাছের।
উপজেলার গৌরীঘোনা ইউনিয়নের ভরতভায়না, সন্যাসগাছা, ভেরচি ও বুড়লি গ্রামেরে বেশিরভাগ মানুষ জলাশয়ে (ছোট-বড় পুকুর) মাছ চাষের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে আবাদ করেছেন নানা সবজি। রবি মৌসুমে এই অঞ্চলের জলাশয়ের পাশ ঘেঁষে শোভা পাচ্ছে শিমগাছ। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, তিন মৌসুমের মধ্যে এই উপজেলায় খরিপ এ ৭৫০ হেক্টর, খরিপ-২৩ ৮৪১ হেক্টর এবং রবি মৌসুমে কমবেশি ৯৮০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়। এর মধ্যে খরিপ-১এ গৌরীঘোনা ইউনিয়নে সমতল ও ঘের মিলিয়ে ১৩৫ হেক্টর, খরিপ-২এ ১৬৩ হেক্টর এবং রবি মৌসুমে ১৭০-১৮০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করেন তারা।
সন্যাসগাছা গ্রামের কৃষক আফসার সরদার বলেন, জলাশয়ের পাশে ৩০০ মান্দা (কয়েকটি গাছের সমষ্টি) শিমগাছ লাগিয়েছেন। এখন শিমের একটাই শত্রু, সেটি হলো কালোমাকড়। গাছের পাতার নিচে এই মাকড় লেগে পুরো পাতার রস খেয়ে ফেলে। এতে পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই ওষুধ ছিটানো লাগছে।’
কৃষি বিভাগের লোকজন পরামর্শ দিতে আসেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আসেন। দুই-একটা ওষুধের নাম বলে যান। কিন্তু তা দিলেও কাজ হয় না।’
পাশের গ্রাম ভরতভায়নার বাসিন্দা লাভলু হোসেন বলেন, ‘ঘেরের পাশে আমায় দেড়শ মান্দা আর ১০ কাঠা জমিতে রয়েছে শিমগাছ। সবমিলিয়ে চার শতাধিক মান্দা। তবে গাছে কালোমাকড় খুব সমস্যা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একটু আগে ডিলারের কাছ থেকে পাইন ও আশামিল ৭২ নামে দুটি ওষুধ এনেছি। এগুলো গাছে স্প্রে করলে হয়ত ঠিক হয়ে যাবে।
সন্যাসগাছা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস বলেই, ‘আমার পাঁচশ’ মান্দা গাছ রয়েছে। ঘের রয়েছে ৪৬ শতক জমিতে। ঘেরে চিংড়ি ও সাদা মাছ যেমন, রুই-কাতলা চাষ করছি। ঘেরের পাড়ে কিছু লাউগাছ আছে। গত মাস থেকে প্রতি দিন লাউ বিক্রি করছি। ১০-১৫টি লাউ প্রতিদিন তুলি। প্রতিটি ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিন মাস পরপর মাছ বিক্রি করি। গত সপ্তাহে ১৫ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেছি। আমাদের গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ ঘেরের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে সবজি চাষ করেন। এতে সবাই স্বাবলম্বী হয়েছেন।
গৌরীঘোনা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) আফজাল হোসেন বলেন, ‘গৌরীঘোনা, সুফলাকাটি, মঙ্গলকোট ইউনিয়নের মানুষ ঘেরের পাশে সবজি চাষ করেন। এই অঞ্চলে যেমন মাছের উৎপাদন ভালো তেমনি সবজিরও। বর্তমানে শিম চাষ হচ্ছে বেশি। এছাড়া লাউ, পালংশাক, কুমড়া ও টমেটোর আবাদ হয়। সবজি ও মাছ চাষ করে এসব গ্রামের প্রায় সবাই স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন।


‘‘অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাস কর্তৃক সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা আদায়’’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২৪ আগস্ট (সোমবার) ২০২৫ তারিখে জনাবা মনিজা খাতুন, সিনিয়র সহকারী সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ-মেঘনাঘাট আওতাধীন বালুয়াকান্দি (নাইটমুন হোটেল), মধ্য ভাটেরচর (খুলনা মিষ্টি ভান্ডার ও হোটেল), আনারপুরা (ফুড ভিলেজ হাইওয়ে রেস্তোরা),গজারিয়া,মুন্সিগঞ্জ এলাকার ৩টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ৩টি হোটেল ও রেস্টুরেন্ট, ১টি মিষ্টি কারখানা ও একজন আবাসিক গ্রাহকের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ৩/৪" ব্যাসের ৫০ ফুট (প্রায়) লাইন পাইপ, স্টার বার্ণার ২৮টি, ডাবল বার্ণার ২টি, সিঙ্গেল বার্ণার ১টি, গ্যাস জেনারেটর ২.৫ কি.ও.- ১টি অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

একই দিনে, জনাব সিমন সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ -০৬ আওতাধীন এলাকায় পেট্রোবাংলার ভিজিলেন্স টিম, কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স টিম ও মেঢাবিবি-৬ এর টিমের সমন্বয়ে আলুব্দী ও ইস্টাং হাউজিং এ অভিযুক্ত ১৯ টা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যৌথ অভিযানকালে সর্বমোট ১৪ টা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়েছে। তন্মধ্যে চারটা প্রতিষ্ঠানের সোর্স লাইন কিলিং করা হয়েছে, একটিতে সোর্স লাইন খুঁজে পাওয়া যায়নি, চারটা প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সংযোগ বিহীন, তিনটি তালাবদ্ধ, দুইটি এলপিজি দ্বারা চলতে পরিলক্ষিত হয়। অভিযানে, সুপার জিন্স ওয়াশিং, জি কেয়ার বিডি ওয়াশিং, ডেনিম এক্সপ্রেস এন্ড ক্লোদিং ওয়াশিং, এস, এস, ইন্টারন্যাশনাল (ওয়াশিং কারখানা), প্রত্যয় ইন্টারন্যাশনাল ও ডাইনামিক ওয়াশিং প্লান্ট লিমিটেড -এর সংযোগ পুনরায় বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে, ১ ইঞ্চি ১২০ ফিট এমএস পাইপ, ৩/৪ ইঞ্চি ২২৫ ফিট জিআই পাইপ , ১/২" জিআই পাইপ ৫০ ফুট, ৩/৪" ৮০ ফুট হোজ পাইপ, ৩/৮" পিভিসি হোস পাইপ ১০০ ফুট ও ৩ টি রেগুলেটর অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও, ঠিকানা: প্লট: এফ-৮, বর্ধিত পল্লবী, রোড ০১ একটি রাইজার আংশিক হাউজ লাইনসহ পাওয়া গেছে কিন্তু গ্যাস ব্যবহার পাওয়া যায়নি। গ্রাহক প্রতিনিধি কোন বিল বই প্রদর্শন করতে পারেননি। গ্রাহক অবৈধ বিবেচনায় অবৈধ গ্যাস ব্যবহার রোধকল্পে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং লক উইং কক বন্ধ করে TGTDCL-1388101 সিল স্থাপন করা হয়েছে ও ঠিকানা: প্লট: এফ-৯, বর্ধিত পল্লবী, রোড একটি বিচ্ছিন্নকৃত রাইজার পাওয়া গেছে এবং লক উইং কক খোলা অবস্থায় গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। গ্রাহক প্রতিনিধি কোন বিল বই প্রদর্শন করতে পারেননি। অবৈধ গ্যাস ব্যবহার রোধকল্পে লক উইং কক বন্ধ করে TGTDCL-1388109 সিল স্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়া, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর রাজস্ব উপশাখা-সাভার ও জোবিঅ-সাভারের বিশেষ অভিযানে এইচ.আর টেক্সটাইল লি. (৩৩৮/৮৩৮০০০০৭৪), কর্নপাড়া, সাভার, ঢাকা এর বকেয়ার কারণে আউটলেটে সিল স্থাপনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। ভরসা ফুড ইন্ডা. (৩৩৮০০০২৩৪), কর্নপাড়া, সাভার এর বকেয়ার কারণে আউটলেটে সিল স্থাপনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। স্টার লাইট নিট লি. (৩৩৮০০০৯৮৭) আমতলা, কাটগড়া, আশুলিয়া এর বকেয়ার জন্য আর.এম.এস অপসারণকরত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। শ্যানটেক্স প্রাইভেট লি: (৩৩৮/৮৩৮০০০৭৬৩), টঙ্গাবাড়ি, আশুলিয়া এর উভয় রানের জুন-২০২৫ মাসের বিল ২,১৪,৬৭,৯৬১/- টাকা তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়েছে।


বিদেশি কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে কক্সবাজারে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক অংশীজন সংলাপের শেষ দিনে আজ মঙ্গলবার বিদেশি কূটনীতিক, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং দেশের রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেছেন।

প্রতিনিধিরা শিবিরে রোহিঙ্গাদের জীবনযাপন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, খাদ্য সরবরাহ ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। তারা বিশেষভাবে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) পরিচালিত খাদ্য সরবরাহ কেন্দ্র, হাসপাতাল এবং ইউএনএইচসিআরের স্যানিটারি ন্যাপকিন উৎপাদন কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। এ সময় তাঁরা রোহিঙ্গা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের দৈনন্দিন চ্যালেঞ্জ, দীর্ঘ অনিশ্চয়তা ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা সম্পর্কে শোনেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে জানান, অংশগ্রহণকারীদের সরেজমিনে ঘুরে দেখানো হয়েছে যাতে তারা রোহিঙ্গাদের বাস্তব পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে উপলব্ধি করতে পারেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গেলে এ শিবিরগুলোতে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। এজন্য আমরা দাতা দেশ ও সংস্থাগুলোর কাছে অর্থায়ন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি সতর্ক করে আরও বলেন, এই সংকট দীর্ঘায়িত হলে তা শুধু বাংলাদেশের ওপর নয়, আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

কক্সবাজারে কর্মরত বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রোগ্রাম পলিসি অফিসার শেখ রবিউল আলম জানান, বিদ্যমান তহবিল দিয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা চালানো সম্ভব হবে। কিন্তু এখনো নতুন অর্থায়নের কোনো প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি, যা ইতোমধ্যেই শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ‘নতুন অর্থায়ন না এলে খাদ্য সহায়তার মতো গুরুত্বপূর্ণ মানবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।’

এদিকে শিবির পরিদর্শনে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি পুরো কার্যক্রমকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে। রাজনৈতিক নেতারা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট কোনো একক সরকারের সমস্যা নয়, বরং এটি জাতীয় ঐকমত্যের বিষয়। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ ১০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি সংলাপে অংশ নেন। তাদের মতে, সব দলের সক্রিয় সম্পৃক্ততা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের অবস্থানকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও শক্তিশালী করবে।

বিদেশি কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের অসাধারণ ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং এটিকে বৈশ্বিক মানবিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করেন। তারা মনে করেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত ও কার্যকর উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা সংলাপ থেকে প্রাপ্ত সুপারিশ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে। আশা করা হচ্ছে, বৈশ্বিক কূটনীতির এ প্ল্যাটফর্ম থেকে সংকট সমাধানে নতুন দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে।

কক্সবাজারে আয়োজিত এ সংলাপে সরকার, জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংগঠন, কূটনৈতিক মহল এবং রাজনৈতিক দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ কক্সবাজারকে রূপ দিয়েছে বৈশ্বিক মানবিক কূটনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে। রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো তিন দিনের এ সংলাপ।

রোহিঙ্গা সংকটকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে জোরালোভাবে তুলে ধরতে গত রোববার থেকে শুরু হয়েছিল ‘স্টেকহোল্ডার্স’ ডায়ালগ: টেকঅ্যাওয়েজ টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শীর্ষক এই সংলাপ।


অবৈধপথে  ভারতে প্রবেশের  সময় শার্শার কায়বা সিমান্তে ৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক  আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বেনাপোল প্রতিনিধি 

যশোরের শার্শার কায়বা সিমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় ৪ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলাকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সদস্যরা। আটককৃতরা সকলেই বাংলাদেশি নাগরিক। মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটক আসামীরা হলেন,রথিন্দ্রনাথ গাইনের ছেলে হৃদয় গাইন (২৩),শিশির মন্ডল,সুজিত মন্ডল (৩৪), শ্রীকান্ত গাইনের ছেলে কুমার জিন্দ্র গাইন (৫০), কলিন্ড মন্ডলের ছেলে পাঞ্চু মন্ডল (৩৬),মৃত সুশান্ত নন্দীর মেয়ে পুতুল (২০),বিনয় অধিকারীর মেয়ে তৃষ্ণা অনুকারী (১৭),মৃত শামসুর শেখের মেয়ে ছবুরণ বেগম (৪৫) তারা বিভিন্ন জেলার।

খুলনা ব্যাটালিয়ন (২১ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ খুরশীদ আনোয়ার, জানান গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে জানা যায় যে কায়বা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশী নাগরিকরা বাংলাদেশ হতে ভারতে প্রবেশ করতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে কায়বা বিওপি‘র একটি টহল দল সীমান্ত শার্শা থানাধীন কায়বা গ্রামস্থ পূর্ব রুদ্রপুর নামক স্থান হতে ২৫ আগস্ট রাত ১১ টার সময় অবৈধভাবে বাংলাদেশ হতে ভারতে প্রবেশের সময় তাদের আটক করা হয়।

বিজিবি অধিনায়ক আরো জানান যে, সাম্প্রতিককালে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধকল্পে বিজিবি সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে প্রতিনিয়ত প্রেষণা প্রদান করা হচ্ছে।এবং আটককৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের মালামালসহ শার্শাথানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তা।


সারাদেশে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১,৭১১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ হাজার ৭১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর মধ্যে বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ১ হাজার ১৭০ জন এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত ৫৪১ জন রয়েছে।

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন আজ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে পুলিশ একযোগে অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ৭১১ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় একটি বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে।


নওগাঁয় তিন বছরেও ক্ষতিপূরনের টাকা পাননি ক্ষতিগ্রস্থরা, থমকে আছে কাজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

তিন বছরেও শেষ হয়নি নওগাঁ-বদলগাছি আঞ্চলিক সড়কের প্রশস্থকরনের কাজ। জমি থেকে স্থাপনা সরানো বাবদ ১০শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হলে কিছু কিছু জয়াগায় কাজ শেষ না হওযায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চলাচলকারীদের। এছাড়াও তিন বছরেও ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরনের টাকা বুঝে পাননি ক্ষতিগ্রস্তরা।

জানা যায়, শহরের বরুনকান্দি ঠেংভাঙার মোড় থেকে কীর্ত্তিপুর পর্যন্ত প্রায় ৬৮০জন জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরনের ৬২ কোটি টাকা পাবে সংশ্লিষ্টদের কাছে। কিন্তু ১০ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া নিয়ে জটিলতার কারণে আর কাউকেই দেওয়া হয়নি ভূমি অধিগ্রহণের টাকা। সড়ক বিভাগের অবহেলা ও উদাসীনতা কারনে তৈরি হয়েছে এমন জটিলত। নিয়ম না থাকলেও সড়ক বিভাগ থেকে স্থাপনা সরানো বাবদ ১০শতাংশ টাকা কেটে নিতে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেয়। আবার ক্ষতিগ্রস্তরাও এই টাকা দিতে রাজি নন। ফলে শুরু হয় এমন জটিলতা। এদিকে জায়গা বুঝে না পেয়ে কাজ রেখে চলে গেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

নওগাঁ সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সড়ক বিভাগ ১৯টি প্যাকেজে জেলার বিভিন্ন রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ করছে। এর মধ্যে এক নাম্বার প্যাকেজে শহরের বালুডাঙ্গা বরুকান্দি মোড় থেকে কীর্ত্তিপুর পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক ১৮ ফিট থেকে ২৪ ফিট (চওড়া) প্রশস্তকরণ কাজের প্রকল্প নেওয়া হয়। যার ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৫৪ কোটি টাকা। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব পান মেসার্স জামিল ইকবাল লিমিটেড নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। প্রশস্তকরণের এই কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু জায়গায় সড়কের পাশে থাকা ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি ও স্থাপনা পড়ে। এসব জমি ও স্থাপনার একটা নির্দিষ্ট মূল্য ধার্য করে অধিগ্রহণ করা হয়।

সড়ক বিভাগ বলছে, ক্ষতিপূরণের ৬২ কোটি টাকা জেলা প্রশাসনের কাছে অনেক আগেই হস্তান্তর করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অধিগ্রহণের জমি হস্তান্তর না করার সড়কের কাজ শেষ করতে পারছেন না।

ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা জানান, ‘তিন বছর পার হলেও জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকা এখনো তারা বুঝে পাননি। এছাড়াও জমি থেকে স্থাপনা সরানো বাবদ ১০শতাংশ টাকা কেটে নিতে নওগাঁ সড়ক বিভাগ থেকে জেলা প্রশাসন বরাবর একটি চিঠি দেওয়া হলে জটিলতা তৈরি হয়। ফলে ক্ষতিপূরনের টাকার জন্য প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন সমাধান পাচ্ছেন না তারা। প্রায় দেড় মাস আগে মানুষ দেখানোর জন্য নাম মাত্র একজনের কাছে চেক হস্তান্তর করা হলেও এরপর আর কোন অগ্রগতি নেই।’

আল মামুন নামে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক বলেন, ‘১০ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া নিয়ে এই জটিলতা দেড় বছর ধরে চলে আসতেছি। আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। এইভাবে টাকা কেটে নেওয়ার কোন নিয়ম কোন জেলাতে নেই। আমরা দুই বছর থেকে ঘুরতেছি এখনো কোন টাকা পায়নি। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব জটিলতা নিরসন করে আমাদের পাওনা টাকা দিয়ে দেওয়া হোক।’

জাহাঙ্গীর আলম, জিল্লুর রহমানসহ আরো কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক বলেন, ১জমির সকল শুনানি শেষ হয়ে গেছে। আমাদে কাগজপত্র সব সঠিক আছে। টাকার জন্য আমরা শুধু ধরনা দিচ্ছি সড়ক বিভাগে ও ডিসি অফিসে। আজ দিবে কাল দিবে বলে শুধু ঘুরানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা কোন টাকা পাচ্ছি না।’

আব্দুর রহমান নামে ক্ষতিগ্রস্থ এক জমির মালিক বলেন, ‘ঠেংভাঙা মোড় এলাকায় ৬ শতাংশ জমি ও স্থাপনার ক্ষতিপূরণের টাকা পাবো। শুধুমাত্র জমির মূল্য বাবদ একটা চেক দেওয়া হয়েছে। স্থাপনার মূল্য এখনও দেওয়া হয়নি। ১০ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া নিয়ে জটিলতায় আটকে আছে। এর জন্য সড়ক বিভাগ দায়ী।’

এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘ তিন বছরেও যেসব এলাকায় কাজ শেষনি সেসব এলাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চলাচলকারী ও এলাকাবাসীকে। বিশেষ করে পাহাড়পুর ও কীর্ত্তিপুর বাজার এলাকায় সড়কের পিচ, ইট, পাথর উঠে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তগুলোতে পানি আটকে বড় ধরনের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলছে বাস, ট্রাক ও বিভিন্ন যানবাহন। সংস্কার না হওয়ায় হেঁটে চলাচলও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর। এর ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।

এই সড়কে চলাচলকারী বাস চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই রাস্তার এ অবস্থা। কিন্তু সমস্যার কোনো সুরাহা হচ্ছে না। রাস্তা যখন খারাপ ছিল, তখন কিন্তু কষ্ট ছিল না যতটা না রাস্তার কাজ শুরুর পর কষ্ট হয়েছে। বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে পানি জমে থাকে।’

এবিষয়ে নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল হক বলেন, ‘ক্ষতিপূরণের ৬২ কোটি টাকা জেলা প্রশাসন বরাবর অনেক আগেই হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিসি অফিসের পক্ষ থেকে অধিগ্রহণের জমি হস্তান্তর না করার কারণে সড়কের কিছু কিছু জায়গায় কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। জমি হস্তান্তর করা হলে খুব দ্রুত অসমাপ্ত সড়কের কাজ শেষ করা যাবে।’

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল রানা বলেন, ‘সড়ক বিভাগ থেকে দেওয়া একটা চিঠির বিষয়ে একটু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণের মালিকদের মধ্যে কিছু ঝামেলা আছে। কেউ কেউ অভিযোগ দিয়েছে, এমনকি আদালতে মামলা করেছে। তারপরও জনগণের ভোগান্তি লাঘবের জন্য একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১০ শতাংশ জটিলতার অবসান করা হয়েছে। জটিলতা থাকলেও আংশিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে কাজ শুরু করা হবে। আশা করছি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।’

এ পর্যন্ত কতজনকে জমি ও স্থাপনার মূল্য বাবদ চেক দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে সংখ্যাটা সরাসরি না বলে বিভিন্ন প্যাকেজে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।


রাজশাহীতে ট্রাকের ধাক্কায় সেনাবাহিনীর টহল গাড়ি খাদে, আহত ১০

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজশাহী প্রতিনিধি

রাজশাহীর মোহনপুরে সেনাবাহিনীর একটি টহল গাড়িকে পেছন থেকে একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে দুইটি যানবাহন রাস্তা থেকে ছিটকে খাদে পড়ে যায়। এতে আটজন সেনাসদস্যসহ মোট ১০ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের মোহনপুর মডেল টাউনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে ট্রাকের চালক ও তার সহকারীও রয়েছেন।

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে একজনকে রাজশাহী সিএমএইচ এবং দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ওসি বলেন, ‘মোহনপুর মডেল টাউনের সামনে সেনাবাহিনীর একটি টহল গাড়িকে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সেনাবাহিনীর টহলরত গাড়ি ও ট্রাক রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। দুর্ঘটনার পর ট্রাক চালককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।’


নড়াইলে সেরা চার গ্রাম পুলিশকে সম্মাননা প্রদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নড়াইল প্রতিনিধি

দিন নেই,রাত নেই নড়াইলের গ্রাম প্রতিরক্ষার কাজে নিয়োজিত(গ্রাম পুলিশ)এমন

চারজন(ভিডিপির)গুণী মানুষকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে । সম্মাননা স্বরুপ তাদের হাতে ক্রেষ্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি নড়াইলের জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস ।

সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন,ড্রিল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন,মাহির মোল্যা,অলরাউন্ডার হিসেবে তানভীর শিকদার,অ্যাকসিলেন্স হিসেবে ইয়ামিন হাসান ও মাহামুদুল হাসান ।

সোমবার (২৫ আগষ্ট)রাত ৭টার দিকে জেলা আনসার ও ভিডিপি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । অনুষ্ঠান ছিল গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর অগ্রীম প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠান । কর্মশালায় গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর সদস্যদের কর্মতৎপরতা আরো গতিশীল এবং সময়োপযোগি করতে কি কি করণীয় তার ওপর দিক নির্ধেশনা দেওয়া হয় । ২৮ দিন ব্যাপী এই কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাছাইকৃত ৫০ জন পুরুষ সদস্যকে সুযোগ দেওয়া হয় । প্রশিক্ষণ শেষে কর্মদক্ষতায় সেরা এমন ৪ জন সদস্যকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয় ।

সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন,জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর জেলা কমাড্যান্ট মো.নুরুল আবছার । অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,জেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয়ের সার্কেল অ্যাডজুটেন্ট মমতাজ খানম,সদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা ঈদুল তালুকদার,উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র পাল,উপচেজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক শুভ মালাকারসহ অন্যরা ।


দৌলতপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন নারী খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুষ্টিয়া (দৌলতপুর) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন নারী জাইমা খাতুনকে (৫৫) হত্যার ঘটনায় তাঁর ভাই আসানুল খাঁ বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার দুজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের চরশাদিপুর এলাকার একটি মাঠে ঘাসের জমি থেকে মুখ বাঁধা ও পায়ে আঘাতের চিহ্নসহ জাইমা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

জাইমা চরশাদিপুর গ্রামের মৃত আফাজ খাঁর মেয়ে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ও স্বামী পরিত্যক্তা ছিলেন বলে পরিবার ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন চরশাদিপুর গ্রামের মৃত আইজউদ্দিনের ছেলে সেন্টু আলী (৫৫) ও আনারুল ইসলাম (৪৬)। তাঁরা ওই এলাকার ধঞ্চে জমির মালিক।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাইমা নিয়মিত মাঠ থেকে ধঞ্চের পাতা কাটতেন তাঁর ছাগলের জন্য। এ নিয়ে ধঞ্চেচাষিরা তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। নিষেধ করার পরও পাতা কাটতে থাকায় ক্ষোভ থেকে কেউ তাঁকে হত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, সোমবার রাতেই নিহতের ভাই অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আটক তিনজনের মধ্যে দুজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


সমুদ্রে ডুবতে থাকা ফিশিং বোট হতে ৬ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

সোমবার ২৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখ রাতে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ২৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখ এম ভি আবুল হাশেম নামক ফিশিং বোট মাছ ধরার উদ্দেশ্যে ৬ জন জেলেসহ সমুদ্রে গমন করে। অতঃপর আজ ২৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখ সোমবার দুপুর ২ টায় মাছ ধরে ফেরার সময় তীব্র ঢেউ এবং স্রোতের কারণে শাহপরীর গোলারচর সংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় বোটটি ডুবতে থাকে। এসময় স্থানীয় একজন জেলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কোস্ট গার্ডকে বিষয়টি অবগত করে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে তৎক্ষণাৎ কোস্ট গার্ড স্টেশন সেন্ট মার্টিন কর্তৃক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে উক্ত এলাকা হতে ৬ জন জেলেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা এবং প্রয়োজনীয় খাবার প্রদান করে বোট মালিকপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ভবিষ্যতেও এরূপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।


কোস্ট গার্ডের অভিযানে প্রায় ৪ শত কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ অবৈধ কারেন্ট ও চায়না দুয়ারি জাল জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

ঢাকার দোহারে কোস্ট গার্ডের অভিযানে প্রায় ৪ শত কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ অবৈধ কারেন্ট ও চায়না দুয়ারি জাল জব্দ।

মঙ্গলবার ২৬ আগস্ট ২০২৫ তারিখ সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল ২৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখ সোমবার দুপুর ২ টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন পাগলা এবং কম্পোজিট স্টেশন পদ্মার সমন্বয়ে ঢাকার দোহার থানাধীন মেঘুলা বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকায় ৬ টি স্টোরহাউস তল্লাশি করে প্রায় ৪ শত ১৩ কোটি ৭ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫ শত টাকা মূল্যের ১০ হাজার টি অবৈধ চায়না দুয়ারি জাল এবং ১১ কোটি ৬৫ লক্ষ ৯২ হাজার ৫০০ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।

পরবর্তীতে জব্দকৃত জাল নির্বাহী মেজিস্ট্রেট এবং উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জনসম্মুখে বিনষ্ট করা হয়।

তিনি আরও বলেন, মৎস্য সম্পদ রক্ষায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।


অবৈধ পথে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে পাচারকারীসহ ৭ বাংলাদেশী আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর জেলা প্রতিনিধি

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর নিরাপত্তাহীনতায় পুনরায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যসহ ৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি।

সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল পৌণে সাতটার দিকে শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার নকশি সীমান্ত পথে নকশি ক্যাম্পের টহলরত বজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে বিকেলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

বিষয়টি ২৬ আগষ্ট সকালে বিজিবি পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।

আটককৃতরা হলো মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রমজান আলী (২৪) ও আসমত আলীর ছেলে রাসেল (১৬)। আটক অনুপ্রবেশকারীরা হলো, নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বোমবাঘ গ্রামের শামীম শেখ (২৩), আফসানা খানম (২২), রুমা বেগম (৩২), মিলিনা বিশ্বাস (২৮) ও তিন বছর বয়সী শিশু কাশেম বিশ্বাস।

বিজিবি এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, মাথাপিছু ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে গত ২৩ আগস্ট রাতের আধারে নালিতাবাড়ীর সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ পথে নারী এবং শিশুসহ ৫ বাংলাদেশীকে ভারতে পাঠায় মানব পাচারকারী রমজান আলী ও রাসেল। কিন্তু ভারতীয় পুলিশের তৎপরতায় নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে এ পাঁচ বাংলাদেশী। এ কারণে ২৫ আগষ্ট সোমবার সকাল পৌণে সাতটার দিকে ঝিনাইগাতির নকশি সীমান্তের কালিমন্দির এলাকা দিয়ে পুনরায় তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা টের পেয়ে সবাইকে আটক করে। পরে মানব পাচারে জড়িত দুইজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে এবং অন্য ৫ জনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অপরাধে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং সবাইকে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ময়মনসিংহ বিজিবি’র ৩৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।


banner close