বরিশালের মুলাদী উপজেলায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আপন দুই ভাই মিলে আরেক ভাইয়ের চোখ তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ মর্মান্তিক ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম রিপন ব্যাপারী। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট রিপনের স্ত্রী নূরজাহান বেগম বাদী হয়ে স্বপন ব্যাপারী, রোকন ব্যাপারী, আর্শেদ ব্যাপারীসহ ৮ জনকে আসামি করে বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন।
মামলাটি গ্রহণ করে মুলাদী থানাকে প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদন (এফআইআর) দেওয়ার জমা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারি কৌঁসুলি নাজিম উদ্দিন পান্না।
এর আগে শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাতে রিপনের মেজো ভাই রোকন ব্যাপারী ও ছোটভাই স্বপন ব্যাপারী লোকজন নিয়ে তার দুই চোখ তুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একজন আঙুল দিয়ে রিপন ব্যাপারীর বাম চোখ তোলার চেষ্টা করছে। এ সময় আরও দুজন রিপনের পা ও শরীর চেপে ধরে আছে। ঘটনার সময় এক নারীর হাতে একটি উৎপাটিত চোখ দেখা যায়। একই সময় আরেক নারীকে রিপনের মুখমণ্ডলে মারধর করতে দেখা গেছে। ঘটনাস্থলে রিপনের বাবা উপস্থিত ছিলেন, এবং উৎপাটিত চোখ তার হাতে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
আহত রিপন ব্যাপারীর ছেলে শাহিন ব্যাপারী বলেন, তার মেজো চাচা রোকন ব্যাপারীর কাছে টাকা ও স্বর্ণালংকার গচ্ছিত রেখেছিলেন তার বাবা (রিপন)। এ ছাড়া জায়গা-জমি নিয়েও কিছু বিরোধ ছিল। ওই বিরোধ মেটাতে চাচারা তার বাবাকে সংবাদ দিয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে ডেকে নেন।
তিনি আরও জানান, গত শুক্রবার বিকেলে তার বাবা ভাইদের সঙ্গে কথা বলতে বাড়িতে পৌঁছলে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিরোধ মেটাতে শনিবার সকালে এলাকায় সালিশ বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু রাতে তার দুই চাচা লোকজন নিয়ে রিপন ব্যাপারীর চোখ তুলে নিয়েছেন।
শাহিন আরও বলেন, ভিডিওতে রিপনের বুকে চেপে যাকে আঙুল দিয়ে বাম চোখ উৎপাটন করতে দেখা গেছে, তিনি রোকন ব্যাপারী। রিপনের পা চেপে ধরা ব্যক্তি স্বপন ব্যাপারী। যার হাতে উৎপাটিত একটি চোখ ছিল তিনি রোকন ব্যাপারীর স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম এবং তার মেয়ে সুবর্ণা আক্তার মারধর করেছেন।
শাহিন জানান, চোখ তুলে নেওয়ার পরে স্থানীয় লোকজন তার বাবাকে প্রথমে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে তাকে ঢাকায় জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, বরিশাল আদালত থেকে বাদীর লিখিত আবেদনের অনুলিপি ও বিচারকের আদেশ থানায় পৌঁছানোর পরে বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে মামলা করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের দুটি দল নাজিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
শিশুদের টাইফয়েড প্রতিরোধে “টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫” সফল বাস্তবায়নে সিটি কর্পোরেশন পর্যায়ে অ্যাডভোকেসী সভা আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় নগরভবন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ জহিরুল ইসলাম উপর্যুক্ত সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। দেশব্যাপী ৯ মাস হতে ১৫ বছর কম বয়সী সকল শিশুদের এক ডোজ টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিবি) টিকা প্রদানের অংশ হিসেবে ডিএসসিসি এলাকায় ১২ অক্টোবর থেকে এই টিকা প্রদান শুরু হবে।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার ৩২টি প্রাতিষ্ঠানিক পুকুরে ২৫০ কেজি পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকালে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে রুই জাতীয় মাছের (রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউশ) পোনা বিতরণ করা হয়।
চলতি অর্থ বছরের রাজস্ব বাজেটের আওতায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে পোনা মাছ বিতরণ ও অবমুক্তকরণে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো.আতিক উল্লাহ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.জাফরিন জাহেদ জিতি, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.রুমন তালুকদার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাঈম হাসানসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা শহর নওগাঁ। প্রতিদিন সকাল শুরু হয় শহরবাসীর যাটজটের মধ্য দিয়ে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তীব্র যানজটে নাকাল শহরবাসী ও পথচারীরা। এযেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে শহরবাসীর। স্থানীয়দের অভিযোগ, অব্যবস্থাপনার কারনে শহরের প্রাণকেন্দ্রেই যানজট এখন নিত্যসঙ্গী। দিন দিন লম্বা হচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোজট। এ ছাড়া সড়কে বড় যানবাহন রেখে মালামাল খালাস অন্যতম কারণ। এর ফলে পথচারীদের পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে জরুরি সেবার গাড়িগুলোও।
নওগাঁ পৌরসভার তথ্যমতে, নওগাঁ শহরের মোট আয়তন ৩৮ দশমিক ৪২ বর্গকিলোমিটার। ২০১০ সাল থেকে শহরে চলাচলে ইজিবাইকের লাইসেন্স দেওয়া শুরু করে পৌরসভা। ২০১৬ সালের পর থেকে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ইজিবাইকের লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ রেখেছে। ছোট এই শহরে পৌরসভার লাইসেন্সধারী ইজিবাইক রয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার। এর বাইরে লাইসেন্সবিহীন ইজিবাইক আছে আরো প্রায় ১০ হাজারের মত। সিএনজি, রিক্সা,ভ্যান, মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাসসহ ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে আরও প্রায় দশ হাজার। অন্যদিকে পৌর কৃর্তপক্ষ ও সড়ক বিভাগ বলছে, যানজট নিরসনে চারলেনের রাস্তা নির্মানসহ নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নওগাঁ শহরের মেইন রোডের কাঁঠালতলী থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বাসস্ট্যান্ড, তাজের মোড়, ব্রীজের বাটার মোড়, সরিষাহাটির মোড়, মুক্তির মোড়, কাজীর মোড়, রুবির মোড়, দয়ালের মোড় হয়ে বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ৪কিলোমিটার পর্যন্ত তীব্র যানজট লেগে থাকে। এছাড়া শহরের মধ্যে রাস্তার দুই পাশে স্থায়ী দোকান থাকার পর দোকানের সামনে ফুটপাত দখল করে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান পরিচালনা করেন। স্থায়ী দোকানীরা তাদের দোকানের সামনের জায়গা দখল করে মালামাল রাখে। এতে করে রাস্তায় ভ্যান, রিকশা, সাইকেল, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ও ছোট যান চলাচল করায় পথচারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। রাস্তার দুই পাশ দোকানীদের দখলে থাকায় পথচারীরা রাস্তার দুই পাশ দিয়ে যেতে পারেননা ঠিকমত।
আপেল মাহমুদ নামের পথচারী বলেন, শহর অনেক ছোট কিন্তু তীব্র যানজটে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। রাস্তার পাশে দিয়ে হেটে যাওয়ার মত অবস্থা নাই। দিন দিন যানজট বেড়েই চলেছে। কবে আমরা পরিত্রান পাবো জানা নেই।
আবুল কালাম আজাদ নামের স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, শুনছি লেনের রাস্তা হবে। কবে হবে বাস্তবায়ন হবে জানিনা। গত প্রায় ৮-১০বছর থেকে শহরে যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে। শহরের আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আর জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে শহর পরিকল্পনা ব্যবস্থা উন্নত করা না গেলে সামনে যানজট আরও ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮পর্যন্ত শহরের ভিতরে কোন ভাড়ি যানবাহন চলাচলের নিয়ম নাই। কিন্তু অনেক সময় ভারি যাববাহন চলাচল করতে দেখা যায়। সার্বিকভাবে পৌর কৃর্তপক্ষ ও প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো দরকার বলে মনে করছি।
শহরের কাপড়পট্টির সুধির চন্দ্র, অখিল চন্দ্র, রুবেল হোসেনসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, এ শহর এখন জানযটের শহর। সকাল শুর হয় জ্যামের মাধ্যামে আমাদের। মটরসাইলকেল ভ্যান, ইজিবাইক ও অটোরিকশাগুলো যেখানে -সেখানে দাঁড় করিয়ে রাখে। অনেক সময় আমাদের দোকানগুলোর সামনেও দাঁড় করায়। এগুলোর কারনেও যানজট বেড়ে যায়। এত যানবাহনের চাপ, সে তুলনায় রাস্তা ছোট। আর শহরে কোন গোল চত্বরও নেই। চরম ভোগান্তি হচ্ছে আমাদের।
সোহেল রানা ও নাজমুল হোসেন নামের দুই চালকের সাথে কথা হলে তারা জানান, নওগাঁ শহরে ইজিবাইকের কোনো বৈধ স্ট্যান্ড নেই। তাহলে আমরা কোথায় দাঁড় করাবো। যার কারনে অস্থায়ী ভাবে শহরের বেশ কয়েকটি মোড় থেকে আমরা যাত্রী উঠা-নামানো করে থাকি। এছাড়্া অনেক অবৈধ ইজিবাইক চলাচল করছে শহরের ভিতরে। সেগুলোকে কৃর্তপক্ষের নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, নওগাঁ শহরের প্রধান সড়ক ফোর-লেনে উন্নীতকরণ শীর্ষক প্রস্তাবিত প্রকল্পের স্টেক হোল্ডার সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উল্লেখিত প্রকল্পের আওতায় সান্তাহার মোড় থেকে চৌমাসিয়া চত্বর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার সড়ক ফোরলেনে উন্নীত করণ এবং বেশ কিছু অবকাঠামো নির্মান পরিকল্প তুলে ধরা হয়েছে। এর সম্ভাব্য ব্যায় ধরা হয়েছে ১২’শ কোটি টাকা। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে শহরের যানযটের ভোগান্তি লাঘোবসহ নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত হবে।
নওগাঁ সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নূরে আলম সিদ্দিক বলেন, নওগাঁ শহরের যানজট নিরসনে চার লেনের সড়ক তৈরির প্রকল্পের উদ্যোগ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ কমবে যাবে। চার লেনের ১৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার রাস্তা শুরু হবে শহরের ঢাকা মোড় থেকে শুরু শহরের ব্রিটিশ আমলে তৈরি লিটন ব্রিজ হয়ে নওগাঁ-রাজশাহী সড়কের চৌমাশিয়া পর্যন্ত গিয়ে শেষ হবে।
তিনি আরো বলেন, এই মেগা প্রকল্পে থাকবে ৭ফুটওভার ব্রিজ, ২০টি মিনি বাসস্টপ, ১৩টি কালভার্ট, ৪টি ব্রিজ, সড়কবাতি, ফুটপাত ও উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ আধুনিক সব সড়ক কাঠামো ব্যবস্থা। বর্তমান যে রাস্তা আছে তা প্রশস্ত করে ৮০ ফুট করা হবে। আমরা করছি খুব দ্রতই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, নওগাঁ শহরের প্রধান সড়কটি দ্রুত চার লেনে উন্নীত করা হলে যানজট কমবে, শহর হবে আধুনিক। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সকল শ্রেণিপেশার মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
তিন দফা দাবিতে দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) পূর্ণ কর্মবিরতি বা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি এড়াতে শাহবাগ অবরোধ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। তবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন আন্দোলনের নেতারা।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট, কুয়েট ও চুয়েট) শ্রেণিকক্ষ ও পরীক্ষা হল ফাঁকা দেখা যায়। একই অবস্থা দেশের অন্যান্য প্রকৌশল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও লক্ষ্য করা যায়।
এক শিক্ষার্থী বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। দাবি পূরণ না হলে কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা হবে না।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
এর আগে, বুধবার রাতে শাহবাগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে যান ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিন দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেল থেকে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
এরপর বুধবার রাজধানীর শাহবাগে পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটে। দুপুর দেড়টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র দিকে অগ্রসর হতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক আহত হন।
মেহেরপুরে সাপে কেটে মৃত্যু হয়েছে ফারিয়া আক্তার নামের ৮ বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে সাপে কামড় দেয়।
রাত দেড়টার দিকেই পরিবারের সদস্যরা আহত অবস্থায় তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে , জেলার গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের ওলিনগর গ্রামের বাবুল আক্তারের মেয়ে ফারিয়া আক্তার প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার রাতে তার দাদীর সাথে ঘরের মেঝেতে ঘুমিয়ে ছিল। রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ ফারিয়া কান্না শুরু করে।
পরিবারের অন্য সদস্যরা দ্রুত ফারিয়ার কাছে ছুটে আসে। পরে পরিবারের সদস্যরা ফারিয়ার পায়ে সাপে কাটার চিহ্ন দেখতে পেয়ে তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
ফারিয়ার বাবা বাবুল আক্তার জানান, ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় কখন তাকে সাপে কেটেছে তারা টের পাইনি। যখন তার শ্বাস কষ্ট শুরু হয়েছে তখন সে কান্না শুরু করে। কান্না শুনে পাশের ঘর থেকে গিয়ে দেখি মেয়ের মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছে। পায়ে খেয়াল করে দেখি সাপে কাটা দাগ। তার অবস্থা খারাপ দেখে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল পারভেজ বলেন, এবছর মৌসুমের শুরু থেকেই বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হওয়াই খাল- বিল, মাঠ, ঘাট পানিতে ভর্তি হয়ে যাওয়ায় বিষধর সাপ গুলো সব শুকনো জায়গাই এসে আশ্রয় নিচ্ছে। বতর্মানে আমার এলাকার বিভিন্ন বাড়িতেই সাপের দেখা মিলছে। তাই আমার সকলকেই একটু সতর্ক হতে হবে।
কর্ণফুলী টানেলের মেইনটেন্যান্স কাজের জন্য ট্রাফিক ডাইভারসনের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কর্ণফুলী টানেলের রুটিন রক্ষণাবেক্ষণ (জেট ফ্যান পরিষ্কার/ রক্ষণাবেক্ষণ ও রোড মার্কিং) কাজের জন্য আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) থেকে আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন দিবাগত রাত ১১টা হতে ভোর ৫টা পর্যন্ত ‘পতেঙ্গা হতে আনোয়ারা’ টিউব ট্রাফিক ডাইভারসন করে ‘আনোয়ারা হতে পতেংগা’ টিউবের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিতভাবে যানচলাচল অব্যাহত রাখা হবে।
এ সময় বিদ্যমান ট্রাফিকের পরিমাণ অনুযায়ী সর্বনিম্ন পাঁচ হতে সর্বোচ্চ দশ মিনিট টানেলের উভয়মুখে যাত্রীদের অপেক্ষমাণ থাকার প্রয়োজন হতে পারে।
কর্ণফুলী টানেলের নিরাপদ ও কার্যকর রুটিন রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নাগরিকদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর বাজারে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক শাখায় ডাকাতির চেষ্টার সময় সহিদুল হক (২৮) নামে এক যুবককে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাতে ব্যাংকের ভেতর থেকে ডাকাতির সরঞ্জামসহ তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকের নাইটগার্ড রাতের খাবারের জন্য নিচে নামেন। কিছুক্ষণ পর তিনি ব্যাংকের ভেতরে হঠাৎ লাইটের আলো দেখতে ও শব্দ পান। সন্দেহ হলে তিনি ব্যাংক ম্যানেজার ও কর্মকর্তাদের জানিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করে ওই যুবককে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। একই সাথে ব্যাংকের টাকা রাখার ভল্টে ডাকাতির চেষ্টার চিহ্ন দেখতে পান।
খবর পেয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক যুবককে থানায় নিয়ে যায়। আটক সহিদুল ভজনপুর ইউনিয়নের সারাপিগছ এলাকার শুক্রু মোহাম্মদের ছেলে।
ব্যাংকের গার্ড আনিস বলেন, রাতে বাইরে থেকে হঠাৎ ব্যাংকের ভেতর লাইট জ্বলে থাকতে দেখতে পাই। একই সাথে কিছু একটা শব্দ আসতে থাকে। একা প্রবেশের সাহস পাচ্ছিলাম না। সাথে সাথে ব্যাংক ম্যানেজারকে ও কর্মকর্তাদের জানিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ভেতরে যাই। এরপর ওই ডাকাতকে দেখতে পাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তবিবর রহমান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে আটক ঐ যুবক বিকেলে ব্যাংকে এসে লুকিয়ে ছিল। এর মাঝে রাতে সবাই বের হলে ডাকাতির চেষ্টা করে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক হামিদুল হাসান লাবু বলেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজারের উপর ব্যাংকটির অবস্থান। অনেক রাত পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি থাকে। তারপরও এখানে ডাকাতির চেষ্টা চালিয়েছে। গার্ড আনিস বুঝতে পেরে সবাইকে অবগত করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।
ঘটনার বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ব্যাংকের গার্ডের তৎপরতা ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদ ডাকাতির চেষ্টায় আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে তদন্তসহ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজায় বাঁকখালী নদীতে ‘ফুটবল খুঁজতে গিয়ে’ নিখোঁজ স্কুলছাত্রের মৃতদেহ ৪০ ঘন্টা পর উদ্ধার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার স্টেশন সংলগ্ন বাঁকখাল নদীর ব্রিজ এলাকা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে বলে জানান, স্থানীয় ইউএনও নিলুফা ইয়াসমিন।
মৃত উদ্ধার মিজবাহ উদ্দিন (১৪) কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের চাঁদের পাড়ার বাসিন্দা নুরুল আলমের ছেলে। সে বাংলাবাজারস্থ আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
স্থানীয়দের বরাতে নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাবাজার স্টেশন সংলগ্ন বাঁকখালী নদীর ব্রিজের পাশে নিখোঁজ শিশু মিজবাহ উদ্দিনের মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে। খবরটি শোনার পর তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে রওনা হয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে মিজবাহ উদ্দিন স্কুলে সাময়িকী পরীক্ষা শেষে বাড়ী ফিরে। পরে সে প্রতিবেশী বন্ধুদের সঙ্গে বাঁকখালী নদীর তীরে ফুটবল খেলতে যায়। খেলার এক পর্যায়ে ফুটবলটি বাঁকখালী নদীতে গিয়ে পড়ে। এতে ফুটবলটি নিয়ে আসতে গিয়ে সে নিখোঁজ হয়।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রামকৃষ্ণপুর সীমান্তে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে সিমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বিজিবি সদস্যরা।
উদ্ধারকৃত গাঁজার আনুমানিক বাজারমূল্য ধরা হয়েছে ৮৯ হাজার ২৫০ টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিজিবি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ ভোর ৫টার দিকে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) এর রামকৃষ্ণপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
সীমান্ত পিলার ১৫৭ এর মেইন পিলার থেকে প্রায় ৩০০ গজ ভেতরে মদনের ঘাট নামক স্থানে হাবিলদার মো. আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।
এ সময় ভারত থেকে পাঁচার হয়ে বাংলাদেশে আসা ২৫ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বিজিবি সদস্যরা।
উদ্ধারকৃত গাঁজার সিজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৯ হাজার ২৫০ টাকা। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
বিজিবি জানায়, মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে তাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুর নজরুল পরিষদের আয়োজনে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর মুসলিম মিশন কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট স্বর্ণপদক প্রাপ্ত সমাজসেবক অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুস সামাদ।
ফরিদপুর নজরুল পরিষদের সভাপতি প্রফেসর মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে
আলোচনা সভায় দৈনিক ফতেহাবাদ সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম সাত্তার, বিশিষ্ট নজরুল গবেষক অধ্যাপক সিরাজুল হক, ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক সাংবাদিক মফিজ ইমাম মিলন, অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন, অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক খালিদুজ্জামান মিঠু সহ অন্যান্যরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফরিদপুর নজরুল পরিষদের সম্পাদক এ্যাডভোকেট আলমগীর ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ ও নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী লিয়াকত হোসেন, কবি নীলুফার ইয়াসমিন রুবী, শরীফ মাহমুদ সোহান ও বেলায়েত হোসেন।
অনুষ্টানে বক্তরা বলেন, জাতীয় কবির সৃষ্টিকর্ম থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করে তা জীবন ব্যবস্থায় প্রতিফলিত করতে হবে। নজরুলকে নিয়ে যতটা গবেষণা হওয়া উচিত ছিল, তা এখনো হয়নি। ‘গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্রের মাধ্যমেও কবি নজরুলের বিভিন্ন বিষয়- বিশেষ করে যেগুলো নিয়ে এখনো গবেষণা হয়নি, সেগুলো নিয়ে গবেষণা করে আমাদের জ্ঞানভাণ্ডরে যোগ করতে হবে।’
অনুষ্ঠান শেষে কবির আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় উর্মী ইসলাম (১৫) নামের এক কিশোরীকে। হত্যার অভিযোগে নিহতের বাবা, মা ও ভগ্নিপতিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে তারা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নিহত কিশোরীর মা আমেনা বেগম, বাবা নজরুল বয়াতি ও ভগ্নিপতি কামাল হোসেন ।
বাউফল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফ মুহাম্মদ শাকুর বাউফল থানায় প্রেস ব্রিফ করে জানান, নিহত উর্মী ইসলামের (১৫) সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার মা আমেনা বেগম (৪০), বাবা নজরুল বয়াতি (৪৫) ও ভগ্নিপতি কামাল হোসেন (৩২) মিলে গত ২২ আগস্ট রাত দেড়টার দিকে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। এরপর মরদেহ গোপন করতে তারা উর্মীর লাশ কুম্ভখালী খালে ফেলে দেয়।
পরে ২৩ আগস্ট সকালে কুম্ভখালী খাল থেকে উর্মীর ম’রদে’হ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে বাউফল থানা পুলিশের একাধিক টিম তদন্তে নামে। তদন্তে পরিবারের তিন সদস্যের সম্পৃক্ততা বেরিয়ে আসলে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
প্রেস ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার, বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম ও স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা।
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ (ইকসু) গঠন এবং নির্বাচনের গঠনতন্ত্র বা সংবিধি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান ও সদস্য-সচিব হিসেবে আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান দায়িত্ব পেয়েছেন।
কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ হলেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আলীনূর রহমান, দা'ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের
অধ্যাপক ড. শহীদ মুহাম্মদ রেজওয়ান, আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. তোজাম্মেল হোসেন, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নজিবুল হক, আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরীফ।
এছাড়া, বহিরাগত সদস্যবৃন্দ হিসেবে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. একরামুল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাফর উল্লাহ তালুকদার, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র এ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার ইমাম হোসেন সিডনী।
গঠিত কমিটির আহ্বায়ক হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগ অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি শুনেছি তবে এখনও চিঠি হাতে পাইনি। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি হয়ে গেছে, আগামী শনিবারে বসে সবাইকে নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’