সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১৭ ভাদ্র ১৪৩২

মেহেরপুরে মাদক মামলা ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত
মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১২

মেহেরপুরে একটি মাদক মামলায় ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা ও প্রত্যেকেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ সোমবার বেলা ১ টার সময় মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এএস্এম নাসিম রেজা এ দণ্ডাদেশ দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জামরুল ইসলাম মিস্ত্রীর ছেলে টিপু সুলতান, সাবের আলীর ছেলে স্বপন আলী, মৃতু আয়ূব আলীর ছেলে আবেদ আলী, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দাতপুর গ্রামের নুরু সর্দারের ছেলে রাজিব সর্দার ও গাংনী উপজেলার করমদী বহলপাড়া এলাকার মকলুচ ওরফে মকলেচুর রহমানের ছেলে জুয়েল রানা। এদের মধ্যে রাজিব সর্দার ও জুয়েল রানা পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভোররাতের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাংনী উপজেলার আকুবপুর নামক স্থানে চেক পোষ্ট বসিয়ে একটি ট্রাকে তল্লাশী চালান গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম। এসময় ট্রাক (যার নং কুষ্টিয়া ট ১১-২০০৯ ) থেকে ৪৬০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। এসময় জুয়েলরানা পালিয়ে যায়। পরে গাংনী থানার এসআই আলী রেজা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) স্বারণির ১৪(গ)/৩৮/৪১ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামালার নং ৫. তারিখ ০৬/০৯/২০১৯ ইং। জিআর মামলা নং ২০৬/১৯(ক)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালত স্বাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেন।
আসামি পক্ষের কৌশুলী ছিলেন অ্যাডভোকেট আজম খোকন ও রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী ছিলেন মেহেরপুর জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর এ এস এম সাইদুর রাজজাক সাদ্দাম।


টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ১ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫ রাউন্ড তাজা গোলাসহ ১ জন কুখ্যাত দুষ্কৃতিকারী আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সোমবার ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সোমবার মধ্যরাত ৩ টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন টেকনাফ ও পুলিশের সমন্বয়ে টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা রঙ্গীখালী এলাকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ১ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫ রাউন্ড তাজা গোলাসহ ১ জন কুখ্যাত দুষ্কৃতিকারীকে আটক করা হয়।

জব্দকৃত আলামত ও আটককৃত ব্যক্তির পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।


জয়পুরহাটে রেলওয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের রেলগেটের দক্ষিণ পাশে এ অভিযান চালানো হয়।

এ সময় আনুমানিক অর্ধশতাধিক টিনশেড স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানের সময় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, রেলগেটের সামনের কিছু স্থাপনা অক্ষত রেখে অন্যান্য দোকানপাট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা বলেন, এ রেলওয়ের জায়গাকে কেন্দ্র করে চোর-পুলিশ খেলা চলছে। প্রায় ৩৫ বছর ধরে রেলওয়ের জায়গা লিজ নিয়ে তারা ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। দুই দিন আগে মাইকিং করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কথা জানানো হলেও, লিজ নেওয়া দোকান ভাঙা হবে তা তারা জানতেন না।

এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, সকালে ভেকু দিয়ে আমার দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে আমার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অথচ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ টাকার বিনিময়ে বড় ব্যবসায়ীর ছানা ঘর অক্ষত রেখেছে।

এ সময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলে কর্তৃপক্ষ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে এবং উচ্ছেদ কাজে ব্যবহৃত বুলডোজার স্থানীয়রা আটকে দেয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে উচ্ছেদ কার্যক্রম চলছে। রেলওয়ের জায়গায় কোনো অবৈধ স্থাপনা রাখা হবে না।

ঈশ্বরদীর পাকশির বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর একই স্থানে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছিল। আদালতে মামলা থাকায় ছানা ঘর উচ্ছেদ করা হয়নি। রেলওয়ের সংস্কারের অংশ হিসেবে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।


বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নীলফামারীতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নীলফামারী প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মাদ কাবেরুল ইসলাম লিটনের উদ্যোগে নীলফামারীতে ফ্রি মেডিকেল ও ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের মাহাবুবা মেমোরিয়াল জেনারেল হাসপাতালে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে পাঁচ শতাধিক রোগী ফ্রি চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করে। মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিচালনা করেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আরিফুল ইসলাম ও জান্নাতুল নেছা।

চিকিৎসা নিতে আসে হাসিনা বানু বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছি, কিন্তু অর্থের অভাবে নিয়মিত ডাক্তার দেখাতে পারি না। আজ এখানে এসে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পেয়ে আমি সত্যিই উপকৃত হয়েছি। সাধারণ মানুষের জন্য এ ধরনের আয়োজন অনেক উপকারী।’

গোড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের মেম্বার বলেন, ‘লিটন ভাই একজন অত্যন্ত ভালো মানুষ। তিনি শুধু রাজনীতি করেন না, মানুষের দুঃখ-দুর্দশার সময় পাশে দাঁড়ান। এলাকার উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে তার আন্তরিক ভূমিকা রয়েছে।’

সাবেক ছাত্রনেতা কাবেরুল ইসলাম লিটন মুঠোফোনে বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুধু আনন্দের দিন নয়, এটি মানুষের কল্যাণে কাজ করার এক সুযোগও বটে। তাই আমি চেষ্টা করেছি সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার। অনেক মানুষ আর্থিক কারণে ঠিকমতো চিকিৎসা নিতে পারেন না। সেই কথা মাথায় রেখে আমরা ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ব্লাড গ্রুপিংয়ের আয়োজন করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের মানবিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে, কারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমার রাজনৈতিক অঙ্গীকার।’


৪১ বছর শিক্ষকতা শেষে পেলেন রাজকীয় বিদায়

কাঁদলেন শত শত শিক্ষার্থী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আনোয়ারা, প্রতিনিধি

কেউ কেউ চোখ মুছছেন, কেউবা আঁকড়ে ধরছেন প্রিয় শিক্ষকের হাত, কেউ আবার নিঃশব্দে ফেলছেন অশ্রু। চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে বিদায়ের বিষণ্ণ সুর। আর সেই সুরের মাঝে ফুলের পাঁপড়ি বর্ষণের সঙ্গে ঘোড়ার গাড়িতে করে এগিয়ে চলছেন একজন শিক্ষক । এমনই এক আবেগঘন পরিবেশে রাজকীয় বিদায় জানানো হলো আনোয়ারা উপজেলার বখতিয়ারপাড়া চারপীর আউলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মাওলানা কাজী মো. আবুল কালামকে।

দীর্ঘ ৪১ বছর সুনামের সঙ্গে শিক্ষকতা শেষে কর্মজীবন থেকে অবসর নিলেন এই বরেণ্য শিক্ষক। শুধু শিক্ষক নন, ছিলেন একজন অভিভাবকতুল্য মানুষ, শিক্ষার্থীদের আদর্শ, সহকর্মীদের প্রেরণার উৎস।

গতকাল সোমবার সকাল থেকেই মাদ্রাসা চত্বরে এক ভিন্ন রকম পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। বিদায়ী শিক্ষককে ঘিরে আয়োজিত হয় নানা কর্মসূচি। শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর একে একে হামদ-নাত, আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, বিদায়ী শিক্ষক মাওলানা কাজী মো. আবুল কালাম ১৯৮৪ সালে আনোয়ারার স্বনামধন্য বখতিয়ারপাড়া চারপীর আউলিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় পাঠদান শুরু করেন। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি তার নিষ্ঠা, ধর্মীয় জ্ঞান এবং নৈতিক শিক্ষা দিয়ে হাজারও শিক্ষার্থীর জীবন গঠনে ভূমিকা রেখেছেন। তার হাত ধরে অনেকেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আলো ছড়াচ্ছেন।

এমন শিক্ষকের বিদায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে জানে আলম নামের এক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষক আমাদের পিতার সমতুল্য। আমার পিতা আমাদের জন্ম দিলেও শিক্ষকরা আমাদের জীবন দিয়েছেন। শিক্ষকদের শাসন আমাদের চলার পথকে মসৃণ করে। আমাদের এই শিক্ষক সকল শিক্ষার্থীর খুব পছন্দের একজন ছিলেন যার কারণে সবাই তার বিদায়ী শোকার্ত।

বিদায়ী শিক্ষক মাওলানা কাজী মো. আবুল কালাম জানান, জীবনের বৃহৎ একটি অংশ এই প্রতিষ্ঠানে কাটিয়েছি। চেষ্টা করেছি নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব এবং শিক্ষার্থীদের হক যথাযথভাবে পালন করতে। হয়তো আনুষ্ঠানিক এই প্রতিষ্ঠানে আর ক্লাস নেওয়া হবে না; কিন্তু আমৃত্যু যদি শিক্ষার্থীদের পাঠদানে থাকতে পারতাম সেটাই হতো আমার জন্য বড় পাওয়া।

বখতিয়ারপাড়া চারপীর আউলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার পরিচালক অধ্যক্ষ কাজী মো. আবদুল হান্নান বলেন, আমাদের মাদ্রাসা শিক্ষক, আমার সহকর্মী দীর্ঘ ৪১ বছর তার শিক্ষকতা জীবন শেষ করেছেন। আমরা চেয়েছি তার বিদায়টা সম্মানজনক করতে। আমার দেখেছি যেসব শিক্ষক প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নেয় তাদের একটি ছাতা, কাপড় ইত্যাদি দিয়ে বিদায় দিত যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু এবং অসম্মানজনক। তাই ব্যতিক্রম কিছু করার প্রয়াস থেকে এই আয়োজন।

এদিন দিনব্যাপী আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফেরদৌস হোসেন, প্রধান আলোচক হিসেবে পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ ওসমান গণি উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অন্যানের মধ্যে মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ, শিক্ষকরা, পরিচালনা কমিটি সদস্য ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।


জামালপুরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আপডেটেড ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৯
জামালপুর প্রতিনিধি 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে কুটুক্তির মামলায় সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে জামালপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সোমবার (১লা সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরিষাবাড়ী আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোমানা আক্তার মামলাটি আমলে নিয়ে ডা. মুরাদ হাসানসহ দুইজন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ডা: মুরাদ হাসান তথ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন এক ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজের টক-শোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। অসৎ উদ্দেশ্যে এই মিথ্যাচার, অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের দশ হাজার কোটি টাকার অধিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় জামালপুর জেলা ট্রাক ও ট্যাঙ্ক লরি মালিক সমিতির সহ সভাপতি ও সাবেক ছাত্রদল নেতা লায়ন মো: রুমেল সরকার বাদী হয়ে মামলটি দায়ের করেন। মামলায় ডা. মুরাদ হাসান ছাড়াও টক-শোর উপস্থাপক চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর এলাকার এটিএম আবুল কাশেমের ছেলে মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদকে আসামী করা হয়েছে। বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো: মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এর আগে গত ২৪ মে সরিষাবাড়ী আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুকসানা পারভীন দশ হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলাটি আমলে নিয়ে ডা. মুরাদ হাসান ও মহি উদ্দিন হেলালের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিলেন। আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন না করে তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।


পিরোজপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পিরোজপুর প্রতিনিধি

নানা আয়োজন ও উৎসবমুখর পরিবেশে পিরোজপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)এর ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় পিরোজপুর পৌরসভা প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন ক্লাব স্বাধীনতা মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। এতে নেতাকর্মীদের হাতে ছিল রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা এবং দলীয় প্রতীক।

শোভাযাত্রা শেষে টাউন ক্লাব চত্বরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলুর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন,বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এলিজা জামান,জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আকন,
যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানা, আহবায়ক কমিটির সদস্য সাইদুল ইসলাম কিসমত,হাসানুল কবির লীন, জেলা শ্রমিকদলের সাধারন সম্পাদক আফজাল হোসেন টিপু, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান শাহীন,জেলা কৃষকদলের সভাপতি নাসির আহমেদ বাচ্চু,জেলা যুবদলের আহবায়ক(ভারপ্রাপ্ত) কামরুজ্জামান তুষার, সদস্য সচিব এমদাদুল হক মাসুদ,জেলা সেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনি,সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম তহিদ,জেলা মৎসজিবীদলের সভাপতি মোঃতারিকুল ইসলাম নজিবুল,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন তালুকদার কুমার, সাধারন সম্পাদক মাহামুদ হাসান শাহীন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জেলার ৭টি উপজেলার বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, শ্রমিক দলসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করবো।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো এবং দল যে প্রার্থীকে নমিনেশন দিবে আমরা তাকে বিজয়ী করে দেশনায়ক তারেক রহমান এর হাতকে শক্তিশালী করবো।
এছাড়াও বক্তারা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর আত্মত্যাগ নিয়ে আলোচনা করেন এবং আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।


পাবনায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাবনা প্রতিনিধি

পাবনায় নানা আয়োজনে মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। (সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা বিএনপির আয়োজনে শহীদ রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বর থেকে এক র‌্যালি বের হয়।

র‍্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়। অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা। সভায় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার সহ জেলা উপজেলা বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে বাধা দেয়া হত। দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে এ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করেছে। বিএনপি একটি সুশৃঙ্খল দল আজকের এ বর্ণাঢ্য র‌্যালি তা প্রমাণ করে। আগামীতে দেশ পরিচালনায় বিএনপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে সাধারণ মানুষ নিয়ে কাজ করবেন বলে ব্যক্ত করেন বক্তারা।


মানুষ-হাতির সহাবস্থান নিশ্চিতে দ্রুততম সময়ে ক্ষতিপূরণ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মানুষ ও হাতির সহাবস্থান নিশ্চিত করা সরকারের অগ্রাধিকার উল্লেখ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে সহজে ও দ্রুত ক্ষতিপূরণ পান, সে জন্য সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সহজীকরণ ও সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

গতরাতে মানুষ ও বন্য হাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে করণীয় নির্ধারণে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, হাতির টিকে থাকার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে। এজন্য স্থানীয়দের মধ্য থেকে দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমকে আরও সক্রিয় করতে হবে এবং তাদের ওয়াকিটকি ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিতে হবে। একই সঙ্গে হাতির খাদ্যোপযোগী গাছ লাগানো জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সভায় তিনি আরও বলেন, বোরো মৌসুমে বিশেষ ব্যবস্থায় অতিরিক্ত জনবল পদায়ন করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করতে হবে। হাতি বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি। সতর্ক করে তিনি বলেন, হাতির নিকটে গিয়ে টিকটকসহ যেকোনো ধরনের ভিডিও করা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে।

সভায় প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, উপপ্রধান বন সংরক্ষক মো. রকিবুল হাসান মুকুল, শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আলী রেজা খান, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. ছানাউল্লাহ পাটোয়ারী, হাতি সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক এ. এস. এম. জহির উদ্দিন আকনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।


আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৬ শতাধিক মৃত্যু, আহত ১৫০০

আপডেটেড ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৫১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলের কুনার প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ছয় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ।

স্থানীয় সময় রোববার (৩১ আগস্ট) এক ‍বিৃবতিতে তালেবান সরকা‌রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে ৬ দশমিক শূন্য মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে কুনার প্রদেশে ৬১০ জন এবং পা‌শের নানগারহার প্রদেশে ১২ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হ‌য়ে‌ছে আরও দেড় হাজারের বেশি মানুষ। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার দূরত্ব এবং সেখানে পৌঁছানোর অসুবিধার কারণে নি‌হ‌তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বিবিসির এক প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, রোববার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ওই ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৮ কিলোমিটার গভীরে। এরপর থেকে অন্তত আরও তিনটি কম্পন অন‌ভূত হয়েছে। সেগুলোর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ২-এর মধ্যে।

স্থানীয়রা জানান, ভূমিকম্পকেন্দ্রের কাছাকাছি ভূমিধস হয়েছে। এতে অনেক এলাকা ‌যোগা‌যোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং উদ্ধারকারীদের জন্য সেখা‌নে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে জানিয়েছেন, কুনার প্রদেশের নুর গাল, সাওকি, ওয়াতপুর, মানোগি এবং চাপা দারা জেলায় হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, নিহত ও আহতদের সংখ্যা চূড়ান্ত নয়, কারণ কর্মকর্তারা এখনো অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ভূমিধসের কারণে সাওকি জেলার দেওয়া গুল এবং নূর গুল জেলার মাজার দারা যাওয়ার সড়কগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে উদ্ধারকারী দলগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছাতে অসুবিধা হচ্ছে।

আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ সামাজিক যোগা‌যোগমাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন, দুঃখের বিষয়, রোববার রাতের ভূমিকম্পে আমাদের পূর্বাঞ্চলীয় কিছু প্রদেশে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় কর্মকর্তা এবং বাসিন্দারা উদ্ধার প্রচেষ্টায় নিয়োজিত আছেন। বাসিন্দাদের জীবন বাঁচাতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন এই কর্মকর্তা।


বুয়েটে ৩ দিন পর শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন দফা দাবিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) গতকাল রোববার তৃতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালিত হলেও রাতে তা প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর আগে বুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ছিল। দাবি আদায়ে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ওয়ালি উল্লাহ গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। তবে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি চলবে।’ এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।

এর আগে বুধবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার থেকে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন।

রোববার বুয়েট ক্যাম্পাসে দেখা যায়, কোথাও ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না। বিভাগগুলোতে কোনো শিক্ষার্থী আসেননি। পুরো ক্যাম্পাস কার্যত ফাঁকা। তবে প্রশাসনিক ভবনসহ অফিসগুলো খোলা। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস করেছেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো– নবম গ্রেড সহকারী প্রকৌশলী পদে কেবল পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ ও ন্যূনতম যোগ্যতা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার করা। দশম গ্রেডে শুধু ডিপ্লোমাধারীরা আবেদন করতে পারেন, সেখানে যেন উচ্চ ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা। শুধু বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং যারা সম্পন্ন করবেন, তারাই যেন প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ার) লিখতে পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া।

তিন দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় তাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করা হয়। ব্যবহার করা হয় জলকামান। তখন শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটার ঘটনাও ঘটে। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হন।

প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারী ব্যক্তিদের পেশাগত দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে।


জেলে ও পর্যটকদের জন্য আজ খুলে দেওয়া হচ্ছে সুন্দরবন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খুলনা প্রতিনিধি

টানা তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে জেলে, বনজীবী ও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য খুলছে সুন্দরবনের দ্বার।

বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে আজ থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলে সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সরব উপস্থিতিতে কোলাহলপূর্ণ হয়ে উঠবে সুন্দরবন।

দীর্ঘ সময়ের নিষেধাজ্ঞা শেষে সুন্দরবনের দ্বার খোলায় অপেক্ষার প্রহর গুনছেন পর্যটন ব্যবসায়ী ও জেলেরা। সেই লক্ষ্যে শরণখোলা উপজেলার জেলে পল্লীতে ফিরে এসেছে চিরচেনা রূপ। জেলে পল্লীতে ঠুকঠাক শব্দে নৌকা ও ট্রলার মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শেষে প্রথম দিনেই সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য নিরলস পরিশ্রম করছেন তারা।

এদিকে, পর্যটন ব্যবসায়ীরাও তাদের ট্যুরিস্ট বোটগুলো মেরামত ও রঙ দিয়ে প্রস্তুত করে তুলেছেন। দীর্ঘ বিরতির পর তারা আশা করছেন, পর্যটকদের আগমন সুন্দরবনের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনবে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মৎস্য ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম হওয়ায় প্রতিবছরের মতো এবারও ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

অন্যদিকে, টানা নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিপাকে পড়েছেন সুন্দরবনের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল জেলেরা। বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় অনেকেই পাড়ি জমিয়েছেন শহরে।

কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও শরণখোলা উপজেলার খুড়িয়াখালী গ্রামের জেলেরা বলেন, তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের চরম অভাব-অনটনে দিন কাটাতে হয়েছে। বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করলে জেলে পরিবারগুলোতে দারিদ্র্যতা থেকে যাবে। নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা তিন মাস থেকে কমিয়ে দুই মাসে আনা উচিত বলে দাবি করেন তারা।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি পাবেন জেলে ও পর্যটকরা। এ উপলক্ষে গত ২৭ আগস্ট বুধবার সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল পেশাজীবীদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়, যেখানে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


মেহেরপুরে অস্ত্রসহ এক আসামি গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাংনী,মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনীতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে একাধিক মামলার এক আসামিকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার গোলাম মোস্তফা ওরফে ডাকু (৫০) উপজেলার চৌগাছা গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে।

আজ সোমবার ভোরে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১২, মেহেরপুর সিপিসি-৩ অভিযানিক দল গাংনী সেনাবাহিনীর সহায়তায় আসামির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।

পরে সকাল ১০টার দিকে র‌্যাব-১২ কোম্পানি কমান্ডারের কার্যালয়, ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-৩ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১২ ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-৩ এর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ওয়াহিদুজ্জামান জানান, আসামির বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও মাদক মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে গাংনী থানায় আরও একটি মামলা করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।


banner close