প্রকৃতিতে এখন ভাদ্র মাস। অব্যাহত রয়েছে বৃষ্টি। খাল-বিল ও জলাশয় পানিতে পরিপূর্ণ। পানিতে মাছের ঝাঁকের বিচরণ। আর তাইতো জেলে ও শৌখিন মানুষদের পাল্লা দিয়ে চলছে মাছ শিকার।
সর্বত্র বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের ধুম পড়েছে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বড়রাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বড়শি ফেলে মাছ ধরছেন। সৌখিন মাছ শিকারিরা বলছেন, বড়শি দিয়ে মাছ শিকার মানে মনের সৌখিনতার পাশাপাশি একঘেয়ামি কর্মজীবনের ক্লান্তি দূর করে মনের উৎফুল্লতার প্রকাশ ঘটানো। এ জন্যই মূলত শখের বশে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে বসেন সৌখিন এসব মাছ শিকারিরা।
উপজেলার বিভিন্ন উন্মুক্ত জলাশয়ে অন্য বছরের তুলনায় এবছর মাছ শিকারে বেশি আগ্রহী হয়ে নিজের বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনসহ বড়শি দিয়ে মাছ ধরছেন সৌখিন এসব মাছ শিকারিরা। পাড়া-মহল্লার শিশু কিশোররাও দীর্ঘসময় ধরে দেখছেন মাছ শিকার করা।
মাছ শিকারিরা জানালেন, বড়শিতে ওঠা মাছ কেউ বিক্রি করেন, কেউ বাড়ি নিয়ে গিয়ে রান্নার পর পরিবারের সবাই মিলে আনন্দ করে খান। বিশেষ ধরনের তৈরি টোপে বড়শিতে ধরাও পড়ে একের পর এক মাছ।
খাল-বিল ও জলাশয়গুলোতে গেলে দেখা মিলছে মাছ শিকারিদের এ উৎসব। বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে মাছ শিকার করা হচ্ছে। ঝাঁকি জাল, টানা জাল, ঠেলা জাল, বেল, পেতে রাখা জাল, চাঁই, বড়শিসহ আরও নাম না জানা অনেক পদ্ধতি ব্যবহার করে মাছ শিকার করছেন স্থানীয় জেলেরা। এই মাছ স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চমূল্যে। রাজধানী শহর থেকে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকেরাই মাছের বড় ক্রেতা। বড়শিতে ধরা পড়ে রুই, কারফু, ছোট কাতল, শোল মাছসহ বিভিন্ন মাঝারি ও বড় প্রজাতির মাছ।
উপজেলার নগরপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা হয় সফিক মিয়ার সঙ্গে। তিনি বর্ষার পানিতে বড়শিতে মাছ ধরতে এসেছেন সাতারকুল থেকে। তাঁর শখ মাছ শিকার। প্রতিদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি বড়শিতে মাছ শিকার করেন।
জালাল মিয়া বলেন, বড়শিতে মাছ শিকারের জন্য প্রয়োজন হয় বিশেষ কিছু খাবার। যে খাবারের লোভে মাছেরা বড়শির কাছে আসে খাবারের আশায়। প্রতিদিনই তিনি এক-দুটি করে বড় মাছ শিকার করেন। তবে এতে কষ্টও হয় অনেক।
বড়শিতে মাছ ধরার প্রধান শর্ত হলো ধৈর্য ধরতে শেখা। সারা দিন চলে যাবে মাছ আসবে না, কিন্তু হঠাৎ করেই শেষ বেলায় এসে ধরা দেবে বড় আকারের মাছ, জানান আবুল কাজী।
মো. মোকাম্মেল বলেন, ‘মাছ মাইরাই সংসার চালাই। বাইরা মাস (বর্ষাকাল) আইলে বিলে যখন পানি আসে, তখন ডুলা বইরা মাছ দইরা বাজারে নিয়া বেচি। যে কয় টেহা পাই হেইডা দিয়া সংসার চালাই। হারা বছর এই সময়ডার লাইগাই অপেক্ষা করি।’
রূপগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় জলাশয়-বিলে জলাশয়গুলো ভরে উঠেছে দেশীয় জাতের ছোট-বড় মাছে। উপজেলার বিভিন্ন বিলে দিনরাত মাছ শিকার করছেন জেলে ও শৌখিন মাছ শিকারিরা। জেলেরা এর ওপর নির্ভর করে তাঁদের সংসার চালিয়ে থাকেন। কিন্তু কিছু কিছু অসৎ জেলে চায়না দুয়ারী জাল ব্যবহার করায় দেশীয় মাছের বংশ বিস্তার আজ হুমকির মুখে। বহুবার অভিযান পরিচালনা করেছি। তার পরেও তাঁরা তা ব্যবহার করছেন, যা আইনত দ-নীয়।’
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জলাধার প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ উপহার। এর রক্ষণাবেক্ষণ আমাদের দায়িত্ব। সুতরাং প্রকৃতিকে রক্ষা করে এর থেকে সর্বোচ্চ সম্পদ আহরণই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
অভিনব কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে এক ব্যক্তির প্রায় ৫৩ লাখ টাকা হাতিয়া নেওয়ার মামলায় অভিযান চালিয়ে মো.কামাল উদ্দিন মীর (৪৭) নামে এক জ্বীনের বাদশাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৮ এর ভোলা ক্যাম্প।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ৮টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা শহরের দক্ষিণ বাসষ্ট্যান্ড ডাইভারসন রোডের একটি চায়ের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি কাচিয়া ইউনিয়নের পদ্মা মনসা গ্রামের বাসিন্দা মুসা মীরের ছেলে।
এদিন দিনগত রাত ১১টার দিকে র্যাব-৮ এর ভোলা ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এতে জানানো হয়,প্রতারক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন মীরসহ অজ্ঞাতনামা কতিপয় প্রতারক জ্বীনের বাদশাহ সেজে প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে ভূয়া নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে অনলাইনে বিভিন্ন পারিবারিক সমস্যা সমাধানসহ বশীকরণ করার বিজ্ঞাপন প্রদান করে দেশের বিভিন্ন স্থানের সাধারণ মানুষের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণা করে আসছে।
সম্প্রতি চট্রগ্রামের ফটিকছড়ি থানার জনৈক মো.দিদারুল আলম (৪০) অনলাইনে তাদের বিজ্ঞাপন দেখে তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে সে তার ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বললে প্রতারকরা বশীকরণের মাধ্যমে তার সমস্যা সমাধান করার জন্য তাকে আস্বস্ত করে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিকাশে ৫৩ লাখ ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে নিজে বাদী হয়ে চট্টগ্রামের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করলে আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ফটিকছড়ি থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা অভিযান চালিয়ে প্রতারক কামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্যান্য প্রতারকদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। দেশ ও জনগণের জানমাল রক্ষার্থে এবং সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধে র্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে গিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। পরিদর্শনকালে আহত শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে চমেক হাসপাতালে যান উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীকের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এ সময় ধর্ম উপদেষ্টা আহত শিক্ষার্থীদের যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও এ সংঘর্ষের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্ত করেন। এ ছাড়া তিনি আহতদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য চিকিৎসকদের নির্দেশনা দেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র। এখানে এরূপ সংঘর্ষের ঘটনা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতকারীদের নতুন কোনো চক্রান্ত বাস্তবায়নের সুযোগ দেওয়া হবে না। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অনুরোধ জানান।’
এ সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) ডা. কাজী সাইফুল ইসলাম আজিম, অতিরিক্ত পরিচালক (ফিন্যান্স) ডা. দেবপ্রসাদ চক্রবর্তী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাঈদ আহসান খালিদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ভোলার চরফ্যাশনের একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় সাতজন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও একজন জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ জেলের নাম মো. মিজানুর রহমান (৩১)। তিনি উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রহিজলের ছেলে।
ট্রলারের মালিক খোরশেদ মাঝি জানান, গত রবিবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় আটজন জেলেকে নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে বের হন তারা। জাল ফেলার পর সেটি তুলতে গেলে সোমবার রাত ১১ টার দিকে হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। পরে অন্য ট্রলারের সহায়তায় সাতজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও মিজানুরকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ জেলের খবরে তার পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্ত্রী-সন্তান, মা-বাবা ও স্বজনরা এখন তাকিয়ে আছেন সাগরের দিকে হয়তো কোনো এক অলৌকিক ভরসায় ফিরবেন তাদের মিজানুর।
সামরাজ ঘাটের ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন পাটোয়ারী জানান, বিষয়টি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, খবর পেয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। নিখোঁজ জেলেকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের বাইনচটকি এলাকায় বিষখালী নদীর তীর কেটে অবৈধভাবে মাটি নিচ্ছেন স্থানীয় কয়েকটি ইটভাটার মালিক। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ফলে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।
জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, বরগুনায় প্রায় ৬৮টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের অনুমোদন নেই। অধিকাংশ ভাটা নদীতীরবর্তী এলাকায় গড়ে ওঠায় মালিকরা নদীর চর থেকে মাটি কেটে ইট তৈরিতে ব্যবহার করছেন।
অভিযোগ রয়েছে, গত এক মাস ধরে কাকচিড়া ও বাইনচটকি এলাকায় আরএসবি ও আল মামুন এন্টারপ্রাইজের চারটি ইটভাটায় ভেকু মেশিন দিয়ে নদীর তীর কেটে মাটি তোলা হচ্ছে। নদী থেকে বেকু দিয়ে মাটি কাটার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, আরএসবি ইটভাটার একটি বার্জে বেড়িবাঁধ থেকে মাত্র ২০০ থেকে ৩০০ ফুট দূরে নদীর তীর কেটে মাটি তোলা হচ্ছিল। গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত হওয়ায় মাটি কাটা সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়। এ সময় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের উসকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ভাটা মালিক কিসলু মিয়ার বিরুদ্ধে।
নদীর তীরে গভীর গর্ত করে মাটি তুলে পাশে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রকল্পের নামে মাছ চাষ দেখিয়ে প্রশাসনকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করছে ভাটা মালিকরা। এতে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, নদীর তীর থেকে কিসলু মিয়া মাটি কেটে নিচ্ছেন। এতে ভাঙন হলে আমরা গরিব মানুষ মাথা গোঁজার ঠাঁই হারাব।
অন্য বাসিন্দা সুজন হাওলাদার জানান, আমাদের এলাকা ভাঙনকবলিত। ভাটা মালিকরা নদীর পাড় কেটে নিলে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হতে সময় লাগবে না।
এছাড়া, কবরস্থানের জায়গা দখল করে ইটভাটা তৈরির অভিযোগ উঠেছে কিসলু মিয়ার বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের দাবি, নদীর তীরের ১৫ থেকে ২০টি কবরের ওপরে ইটের স্তুপ ফেলে রাখা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতাও মিলেছে।
অভিযোগের বিষয়ে মেসার্স আল মামুন এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. লিটন বলেন, আমরা যে জমি থেকে মাটি নিচ্ছি তা ক্রয়কৃত। এটি সরকারের জমি নয়।
বরগুনা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আরএসবি ইটভাটার মালিক আবদুর রাজ্জাক কিসলু দাবি করেন, ‘যেখানে মাটি কাটা হচ্ছে তা রেকর্ডীয় জমি। দলিল ও খতিয়ান দেখলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
তবে পরিবেশকর্মী আরিফুর রহমান বলেন, ‘নদীতীর কেটে মাটি নেওয়ায় ভাঙন বাড়ছে, নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। এতে পরিবেশ, মৎস্যসম্পদ ও প্রতিবেশ হুমকির মুখে পড়ছে। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রশাসনের নীরবতা ও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অবৈধ ইটভাটা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তারা দ্রুত ইটভাটা উচ্ছেদ ও নদী দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
বরগুনা নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক নির্মল কুমার রায় বলেন, ‘নদীর তীর কেটে মাটি নেওয়া হলে তা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান জানান, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। অভিযান চলছে। কেউ নদীর চর থেকে মাটি কাটায় জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে টমেটো আমদানি শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের নাসিক রাজ্য থেকে এসব টমেটো আমদানি করছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় ভারত থেকে টমেটো বোঝাই একটি ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশের মধ্য দিয়ে টমেটো আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিন ২৮ টন টমেটো আমদানি করা হয়েছে। প্রতিকেজি টমেটো আমদানি করতে শুল্কসহ খরচ গুণতে হচ্ছে ৬১ টাকা।
আমদানিকারক এনামুল হক বলেন, দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় ভারতের নাসিক রাজ্য থেকে এসব টমেটো আমদানি করা হচ্ছে। বন্দরে প্রতিকেজি টমেটো ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা থাকলে আরও বেশি পরিমাণ টমেটো আমদানি করা হবে।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বলেন, আজ হিলি বন্দর দিয়ে এক ট্রাকে ২৮ টন টমেটো আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত এসব টমেটো ৫০০ ডলারে শুল্কায়ণ করা হচ্ছে। যেহেতু টমেটো কাঁচাপণ্য তাই দ্রুত ছাড় করণে আমদানিকারককে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধের তথ্যমতে, গত ২০২২ সালের ৬ আগস্ট সবশেষ এই বন্দর দিয়ে টমেটো আমদানি করা হয়েছিল।
ময়মনসিংহের ত্রিশালের রামপুর এলাকায় চেচুয়া ও গলহর বিলে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। চেচুয়া ও গলহর বিল দুটি এখন যেন রূপকথার রাজ্যে পরিণত হয়েছে। বিলের চারদিকে ফুটে থাকা হাজারো শাপলা ফুল যেন এক লাল গালিচা বিছিয়ে রেখেছে। যা দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত দর্শনার্থী। এই মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।
স্থানীয়দের মতে, বর্ষার সময় এই বিলের সৌন্দর্য পূর্ণতা পায়। সাদা, লাল এবং গোলাপি শাপলার পাপড়ি সূর্যের আলোয় ঝলমল করে, যা মনকে এক অনাবিল শান্তি এনে দেয়। ভোর সকালে বিলের মধ্য দিয়ে নৌকা বা ডিঙি নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে শাপলা ফুল স্পর্শ করার অভিজ্ঞতা মানুষদেরকে মুগ্ধ করেছে।
স্থানীয়রা বলছে, বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। শুধু স্থানীয়রাই নয়, ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছেন। বিলের পাশে দোকানপাট গড়ে উঠেছে। যেখানে হালকা খাবার ও পানীয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
গলহর বিলের শাপলা ফুল দেখতে আসা শারমিন সুলতানা বলেন "শহরে এমন দৃশ্য দেখা যায় না। এখানকার স্নিগ্ধ ও শান্ত পরিবেশ আমাদের মনকে সতেজ করে তুলেছে।" আমি প্রতিবছর ফুলগুলো দেখতে আসি।
কলেজ শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, "এটি শুধু একটি বিল নয়, যেন প্রকৃতির এক অসাধারণ চিত্রকর্ম। আমরা আশা করি, এই সৌন্দর্য চিরকাল টিকে থাকবে।" পর্যটকদের কাছ থেকে নৌকার ভাড়া বেশি নেওয়ার তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিশোরগঞ্জ থেকে ফুল দেখতে আসা পর্যটক কাঞ্চন মিয়া বলেন ত্রিশালের এ দুটি বিল প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে একটি সুন্দর সেতুবন্ধনও তৈরি করছে।
নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়ে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী।
নীলফামারী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আবদুর রহিম জানান, দুইজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং আরও ১৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সংঘর্ষের সময় সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তবে এই সংঘর্ষের কারণ ও বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনের বাফার হুক ও হোস পাইপ ভেঙে ইঞ্জিন থেকে ১৯টি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মাঝপথে বগিগুলো রেখেই চট্টগ্রাম পৌঁছে যায় ইঞ্জিন। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পটিয়ার কমলমুন্সির হাট স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাত ১১টা পর্যন্ত বগিগুলো রেললাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। পরে চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থেকে উদ্ধারকারী ইঞ্জিন পাঠানো হয়।
ট্রেনটিতে প্রায় ৯০০ যাত্রী ছিলেন। হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও দীর্ঘ সময় ভোগান্তির শিকার হন তারা। অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনটি কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসার পর কমল মুন্সির হাট স্টেশনে পৌঁছালে ইঞ্জিনের বাফার হুক ও হোস পাইপ ভেঙে যায়। এতে বগিগুলো থেকে ইঞ্জিন আলাদা হয়ে যায়। এ সময় চালক ইঞ্জিন নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে চলে যান, আর যাত্রীবাহী বগিগুলো স্টেশনেই দাঁড়িয়ে থাকে। পরে বগিগুলোকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রাত ১১টার দিকে পাহাড়তলী থেকে উদ্ধারকারী ইঞ্জিন পাঠানো হয়।
পটিয়া রেল স্টেশনের মাস্টার মোহাম্মদ পাভেল জানান, উদ্ধারকারী ইঞ্জিন পৌঁছালে যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এর আগে, গত ২৬ জুলাই কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড ব্রেক বগির হুক ভেঙে গিয়ে মূল ট্রেন থেকে বগিটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার গোমদণ্ডী স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ৩০ মিনিট ট্রেনটি সেখানে আটকে ছিল। পরে বিচ্ছিন্ন বগি ফেলে মূল ট্রেন চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
একের পর এক এ ধরনের ঘটনায় রেলওয়ের যান্ত্রিক ত্রুটি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা।
২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সাভার থেকে গুম হওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন মেধাবী শিক্ষার্থী দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওয়ালি উল্লাহ এবং আল-ফিক্হ অ্যান্ড ল’ বিভাগের আল মুকাদ্দাসকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির মানববন্ধনের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যানুসন্ধানের জন্য পুনর্গঠিত ৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়।
এ কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হান্নান শেখ এবং সদস্য সচিব হিসেবে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন দায়িত্ব পেয়েছেন। এছাড়া সদস্যরা হলেন দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আ হুম তরীকুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. খাইরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা দায়রা জজকোর্টের অ্যাডভোকেট এস এম শাতিল মাহমুদ।
কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হান্নান শেখ বলেন, আমি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি ভাইবা বোর্ডের সদস্য হিসেবে। কমিটির ব্যাপারে আমি আপাতত কিছু জানি না। শুনেছি ডিপার্টমেন্টে একটা চিঠি এসেছে। ক্যাম্পাসে ফিরে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সৈয়দপুরে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকাল ৫ টায় সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের রংপুর রোডে বাংলা হাইস্কুল মাঠে আলোচনা ও সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এরপর আলোচনা সভা শেষে র্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল সড়কসহ সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে র্যালিটি শেষ হয়।
সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকারের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন আকতার শাহীনের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস ইসলাম, সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম জনি, কাজী একরামুল হক, দেলোয়ার চৌধুরী, জিয়াউল হক জিয়া, সি. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, হাফিজ খান, বিএনপি নেতা শওকত চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমাণিক, এমএ পারভেজ লিটন, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী মন্টু, প্রচার সম্পাদক আবু সরকার, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও নীলফামারী জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সৈয়দপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লোকমান, সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল হাসান কার্জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও নীলফামারী জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ রশিদুল হক সরকার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ওসমান প্রমুখ।
নেতারা বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। তাই বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলীয় ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতারা দল গোছানোর পাশাপাশি ভোটের জন্য সাধারণ জনগণের পাশে গিয়ে তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
এই সময়ে সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা- ১৪ ইউনিয়ন ও সৈয়দপুর পৌর এলাকার ১৫ ওয়াডের বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের এই দলটি গঠন করেন। এর পূর্বে তিনি ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রাক্কালে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল -জাগদল- নামে একটি দল গঠন করেন। পরে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দলের কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে ঢাকার রমনা ময়দানে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেন।
নোয়াখালীর মাইজদী শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে হামলা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার সাড়ে ১১ টার দিকে নোয়াখালী জিলা স্কুলের সামনে ওই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১ টায় নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফাহিম হাসান খানের নেতৃত্বে জেলা শহরের সড়কের দুপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেসময়ে সড়কের পাশে অবৈধভাবে থাকা বিভিন্ন গাড়ি ডাম্পিং করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গাড়ির মালিক ও চালকরা মাইজদী প্রধান সড়ক অবরোধ করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একাধিক টিম উপস্থিত হয়ে দুপুর একটা দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীতে বাস, প্রাইভেট কার ও মাইক্রো চালকদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্টভাবে স্ট্যান্ডের জায়গা দেওয়া হয়েছে। প্রাইভেটকার ও মাইক্রোচালকদের জন্য নোয়াখালী নতুন বাসস্ট্যান্ডের একটি অংশ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা সেখানে তাদের গাড়ি না রেখে নোয়াখালী জিলা স্কুলের সামনের প্রধান সড়কের উপরে এলোমেলোভাবে তাদের গাড়ি রাখেন। এতে সারা শহর জুড়ে যানজট তৈরি হয়। বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে একাধিকবার এ বিষয়ে নিষেধ করা হলেও তারা তার তোয়াক্কা করছেন না।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেত্রকোনায় বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১১টায় ছোট বাজারের দলীয় কার্যালয় থেকে জেলা বিএনপির উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি জোলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় পাবলিক হলে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
নেত্রকোনা জেলা বিএনপির নব নির্বাচিত সভাপতি বিশিষ্ট অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তাজেজুল ইসলাম ফারাস সুজাতের সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ রাবেয়া আলী, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম শফিকুল কাদের সুজা, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান পাঠান, জেলা কৃষক দলের সভাপতি সালাহউদ্দিন খান মিল্কী, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিন ফারাস সেন্টু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা বিএনপি নেতা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনি, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান মশু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোলায়মান হাসান রুবেল, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আকিকুর রেজা খান খোকন, জেলা তাতী দলের সভাপতি সাইফ উদ্দিন আহমেদ লেলিন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক হাফিজা ইসলাম, জেলা ওলামা দলের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা কাজী তসনীম আলম ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনীক মাহবুব চৌধুরী প্রমুখ।
পরে বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি এবং দেশের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।