বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
২১ কার্তিক ১৪৩২

সিলেটে সাদা পাথর লুটপাট জড়িতদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:০৪

সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট ও আর্থিক দুর্নীতির ঘটনায় রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার পর অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অভিযানে প্রাথমিক সত্যতা মেলায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। অনুসন্ধান পর্যায়ে অপরাধের মাত্রা ও সংশ্লিষ্টতার ধরন বিবেচনায় পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে গত মঙ্গলবার কমিশনের সভায় এই প্রস্তাব তোলা হলে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে দুদকের সিলেট কার্যালয় থেকে পরিচালিত অভিযানে ৪২ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সংস্থার নাম উঠে আসে। শিগগিরই অনুসন্ধান টিম গঠন করা হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে গত ১৩ আগস্ট দুদকের সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফি মো. নাজমুস সা’দাৎ-এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে। তারা পাথর লুটের ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে অনুসন্ধান চালায়। অভিযানে দুদকের দল দেখতে পায়, স্থানীয় প্রশাসনের পর্যটন সেবা এবং নদীর তীরেই বিজিবি ক্যাম্পের টহল চালু থাকা সত্ত্বেও বিগত কয়েক মাসে কয়েকশ কোটি টাকা মূল্যের পাথর উত্তোলন করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

দুদকের প্রাথমিক প্রতিবেদনে পাথরলুট কাণ্ডে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিন, সদস্য হাজি কামাল (পাথর ব্যবসায়ী), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান লাল মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে দুদু, সিলেট জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক রুবেল আহমেদ বাহার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুসতাকিন আহমদ ফরহাদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো. দুলাল মিয়া ওরফে দুলা, যুগ্ম আহ্বায়ক রজন মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন, সাজন মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মী জাকির হোসেন, সদস্য মোজাফর আলী, মানিক মিয়া, সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মকসুদ আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ওরফে শাহপরান, কোষাধ্যক্ষ (বহিষ্কৃত) শাহ আলম ওরফে স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম এবং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স।

তালিকায় আরও রয়েছে আওয়ামী লীগের সাত নেতাকর্মীর নাম। তারা হলেন- কার্যক্রম নিষিদ্ধ সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কর্মী বিলাল মিয়া, শাহাবুদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল ওদুদ আলফু, কর্মী মনির মিয়া, হাবিল মিয়া ও সাইদুর রহমান।

প্রতিবেদনে জামায়াতের দুজনের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন- সিলেট মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. ফকরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন। প্রতিবেদনে এনসিপির দুই নেতার নাম এসেছে। এরা হলেন- সিলেট জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিন ও মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী।

এছাড়া অনুসন্ধানে সাদা পাথর লুটের সঙ্গে আরও ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন- কোম্পানীগঞ্জ ভোলাগঞ্জের আনর আলী, উসমান খাঁ, ইকবাল হোসেন আরিফ, দেলোয়ার হোসেন জীবন, আরজান মিয়া, মো. জাকির, আলী আকবর, আলী আব্বাস, মো. জুয়েল, আলমগীর আলম ও মুকাররিম আহমেদ।

অন্যদিকে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে দায়ী করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিজুন্নাহার, কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাছনাত, ঊর্মি রায়, আবিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ উজায়ের আল মাহমুদ আদনান। এছাড়া বর্ডার গার্ডকেও দায়ী করা হয়েছে দুদকের প্রতিবেদনে।


বিপুলসংখ্যক জীবিত ঘোড়া ও ঘোড়ার মাংস জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের হায়দারাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিক্রি নিষিদ্ধ বিপুল পরিমাণ ঘোড়ার মাংস জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় ৩৭টি জীবিত ও ৮টি জবাইকৃতসহ মোট ৪৫টি ঘোড়া উদ্ধার করে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহম্মেদের নেতৃত্বে স্থানীয় কসাইখানায় গাজীপুর জেলার প্রশাসন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, র‍্যাব-১ ও পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান চালায়।

এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিত টের পেয়ে কারখানার মালিক শফিকুল ইসলাম (৪৫) ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানায়, শফিকুল ইসলামের বাবা জয়নাল আবেদীন হায়দারাবাদ (রথখলা) মৌলভী বাড়ির পাশেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে এক বছর ধরে নিয়মিতভাবে ঘোড়া কিনে জবাই করতেন। এরপর নিষিদ্ধ এই ঘোড়ার মাংস বিভিন্ন উপায়ে রাজধানী উত্তরাসহ দেশের নানা জেলায় সরবরাহ করতেন।

প্রতিদিন রাতে ৩০ থেকে ৪০টি ঘোড়া জবাই করত শফিকুল। সেই মাংস সারাদেশে পাঠাত। রাতে নিয়মিত ঘোড়া জবাইয়ের শব্দ, দুর্গন্ধ ও পরিবেশ দূষণে তারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন। রাতভর জবাইয়ের শব্দে ছোট বাচ্চারা লেখাপড়া করতে পারে না। দুর্গন্ধে ঘরেও থাকা যায় না। আমরা বহুবার প্রতিবাদ করেছি, কিন্তু কিছু হয়নি। পুরো পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছিল। এ ধরনের নিষিদ্ধ কাজ আর যেন না হয়। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।



গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহম্মেদ জানায়, ‘এটি সম্পূর্ণ অবৈধ ও দণ্ডনীয় কার্যক্রম। এর আগে বিভিন্ন সময়ে তাকে ৩বার জরিমানা করা হয়েছিল। তবুও সে থামেনি। এবার বড় আকারে অভিযান চালানো হয়েছে। ভবিষ্যতেও অভিযান চলবে। নিষিদ্ধ প্রাণী জবাইয়ের অভিযোগে মামলা রুজু করা হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘জবাই করে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যেই ঘোড়াগুলো এখানে আনা হয়েছিল। যেহেতু ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা যায়নি তাই উদ্ধারকৃত ৩৭টি জীবিত ও ৮টি জবাইকৃতসহ মোট ৪৫টি জব্দকৃত ঘোড়ার ৫ মন মাংস স্থানীয় একজনের জিম্মায় রাখা হয়েছে।’

তিনি আরো জানায়, বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে সেগুলোকে গাজীপুর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হবে। উদ্ধার হওয়া ঘোড়াগুলোর অধিকাংশ রুগ্ন এবং মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর।

র‍্যাব-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) শহিদুল ইসলাম জানায়, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হায়দারাবাদ (রথখলা) এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় গোপনে ঘোড়া জবাইয়ের কার্যক্রম চলছিল বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। অভিযানে বিপুলসংখ্যক জীবিত ঘোড়া, জবাইয়ের সরঞ্জাম ও মাংস সংরক্ষণের নানা প্রমাণ পেয়েছি।’

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুর দিকে গাজীপুরের হায়দারাবাদ (রথখলা) এলাকায় শুরু হয় ঘোড়ার মাংস বিক্রি। ধীরে ধীরে বিষয়টি চারপাশে ব্যাপক সাড়া ফেলে। পরে জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত মাধ্যমে ঘোড়ার মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করেন। এরপর কয়েকদিন বন্ধ থাকলেও ফের গোপনে কসাইখানায় আবার শুরু হয় ঘোড়ার মাংস বিক্রি।


সুনামগঞ্জ বিজিবির অভিযানে জব্দ ১৪ ভারতীয় গরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি 

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর অভিযাবেন জব্ধ করা হয়েছে ১৪ ভারতীয় গরু। বুধবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন ২৮ বিজিবি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাঁশতলা বিওপির টহল দল সীমান্ত পিলার ১২৩৪/এমপি থেকে প্রায় ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মৌলারপাড় এলাকা থেকে গরুগুলো আটক করে। আটককৃত ১৪টি ভারতীয় গরুর আনুমানিক বাজারমূল্য ১০ লাখ ৮ হাজার টাকা।

সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল একে এম জাকারিয়া কাদির জানান, ঊর্ধ্বতন সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা, চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে বিজিবির অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। গরুগুলো শুল্ক কার্যালয়, সুনামগঞ্জে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।


বোয়ালখালীতে জালে আটকা ৮ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বোয়ালখালী(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বোয়ালখালীতে মাছ ধরার জালে আটকা পড়া প্রায় ৮ ফুট লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার করলডেঙ্গা ইউনিয়নের তালুকদার পাড়ার একটি বিলে অজগরটি আটকে পড়ে।

খবর পেয়ে ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিমের সদস্য আমির হোসাইন শাওন জাল থেকে অজগরটি উদ্ধার করে।

শাওন বলেন, বার্মিজ প্রজাতির অজগরটি বিলে বসানো ভাসা জালে আটকে পড়েছিলো। প্রায় ৮ ফুট লম্বা অজগরটি ওজন ৯ কেজি হবে। বন বিভাগের সাথে কথা বলে অজগরটি অবমুক্তির জন্য হস্তান্তর করা হবে।


চাঁদপুরে পাসপোর্ট করতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়লেন দুই রোহিঙ্গা নারী  

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চাঁদপুর প্রতিনিধি

ভুয়া পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে পাসপোর্ট করতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন দুই রোহিঙ্গা নারী। তাদের দুইজনকে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নতুন পাসপোর্টের জন্য এসবি ক্লিয়ারেন্স বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই রোহিঙ্গা আতঙ্কে রয়েছেন চাঁদপুরের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা। বর্তমানে সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। এমন কঠোরতার মধ্যেও গতকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে ভুয়া এনআইডি দিয়ে পাসপোর্ট করতে এসে এক কর্মকর্তার হাতে ধরা পড়েন দুই রোহিঙ্গা নারী।

আটক রোহিঙ্গা নারীরা হলেন, কক্সবাজার কুতুপালংয়ের ২ নম্বর ক্যাম্পেরই-১১ ব্লকের বাসিন্দা সহিদুল আলমের মেয়ে সুরাইয়া (১৮) ও সোনা আলীর মেয়ে জুহুরা বেগম (৩৫)।

চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন। তিনি বলেন, ওই দুই নারীর সাথে আমি কথা বলেছি। তাদের ভাষা বোঝা যায় না। যতটুকু জানতে পেরেছি, তাদের ক্যাম্প এলাকার যুবক দালাল সোহাগের মাধ্যমে তারা চাঁদপুরে পাসপোর্ট করতে আসেন। কিন্তু তারা চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ঠিকানায় ভুয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করায় ধরা পড়েন।

চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা জানান, গতকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে দুই নারী পাসপোর্ট করার জন্য পাসপোর্ট অফিসে প্রবেশ করেন। এরমধ্যে সুরাইয়া পাসপোর্টের জন্য ব্যাংক ড্রাফট, আবেদনসহ অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে আসেন। ভোটার আইডির ভেরিফায়েড ও ফটোকপি একই সাথে সংযুক্ত করেন। তবে দেখা যায়, সরবরাহকৃত ওই এনআইডিটি শাহরাস্তি উপজেলার বাসিন্দা রুমা আক্তারের। তারা কর্মকর্তাদের কাছে এসব জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন।

জানা যায়, সুরাইয়া ও জহুরাকে সৌদি আরবে নেওয়ার কথা বলে এক লোক যোগাযোগ করে। সেই লোকের মাধ্যমেই পাসপোর্ট করার জন্য তারা এসব কাগজপত্র জোগাড় করেন। তারা দাবি করেন, ওই লোককে তারা চেনেন না।

চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা উত্তম সাহা বলেন, আসলে আবেদনের মাধ্যমে এ ধরনের রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করা কষ্টকর। যদিও চেহারা ও ভাষার মাধ্যমে অনুমান করে আমরা পাসপোর্ট গ্রহীতাদের প্রশ্ন করি। এমন প্রশ্নের মাধ্যমেই রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।

চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এসবি ক্লিয়ারেন্স বন্ধ হওয়ায় আমরা আরো সাবধান হয়েছি। তারপরেও আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। কারণ ফাঁকফোকর দিয়ে রোহিঙ্গারা পাসপোর্ট নিয়ে যেতে পারে। আমরা এক্ষেত্রে আরো সতর্ক হওয়ার চেষ্টা করছি।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, যেহেতু আটক দুই নারী বৈধভাবে ওই ক্যাম্পে থাকেন। তাই তাদের আজ ভোরে থানার কর্মকর্তা ও ফোর্সসহ ওই ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। ক্যাম্পে পৌঁছানোর পর ক্যাম্প প্রধান তাদের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।


চকরিয়ায় বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে ৫ জন নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ফাঁসিয়াখালীতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার।তিনি বলেন, ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয় এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নামপরিচয় পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।


সীমান্তে বিজিবির অভিযান, কুষ্টিয়া ও গাংনীতে বিপুল মাদক ও চোরাচালান পণ্য জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া বিভিন্ন স্থান ও মেহেরপুরে গাংনী অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানী মালামাল জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। চোরাচালান বিরোধী অভিযানে আসামিসহ ৫ গ্রাম ভারতীয় হেরোইন, ৪ পিস ইয়াবা। মালিকবিহীন অবস্থায় ৪ হাজা ৭০১ পিস ইয়াবা, ৫৬ বোতল ভারতীয় মদ এবং ২৭০০ পিস চকলেট বাজি উদ্ধার করে কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে ৪৭ ব্যাটালিয়নের দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানাযায়।

গত ৩ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নিমতলা নওদাপাড়া হাইওয়ে রোড এলাকায় আর বি অনিক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে অভিযান চালায় বিজিবির বিশেষ টহল দল। তল্লাশির একপর্যায়ে বাসের ভেতর মালিকবিহীন অবস্থায় ৪৭০১ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ১৪ লাখ ১০ হাজার ৩০০ টাকা।

এরপর ৪ নভেম্বর রাত ১টার দিকে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ মেহেরপুরের গাংনী সিমান্তের কাজীপুর বিওপির টহল দল সীমান্ত পিলার ১৪৫/২-এস হতে ২০০ গজ ভেতরে কাজীপুর মন্ডলপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ৫৬ বোতল ভারতীয় মদ ও ২৭০০ পিস চকলেট বাজি আটক করে। এসব মালামালের আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা।

এছাড়া একইদিন বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে দৌলতপুর সিমান্তের চল্লিশপাড়া বিওপির টহল দল চরপাড়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. মেহেদী হালসানা (পিতা: মৃত ইব্রাহিম হালসানা, গ্রাম: চরপাড়া, থানা: দৌলতপুর, জেলা: কুষ্টিয়া) নামে এক ব্যক্তিকে ৪ পিস ইয়াবা ও ৫ গ্রাম হেরোইনসহ আটক করে। এসবের আনুমানিক মূল্য ২ হাজার ২০০ টাকা।

বিজিবি জানায়, অভিযানে উদ্ধারকৃত সব মাদক ও চোরাচালানী পণ্যের মোট সিজার মূল্য আনুমানিক ১৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। আটক আসামিকে দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর এবং মালিকবিহীন মালামাল ধ্বংসের জন্য ব্যাটালিয়ন সিজার স্টোরে জমা করার প্রক্রিয়া চলছে।

কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান, পিএসসি বলেন, “সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান দমনে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সম্প্রতি চালানো এসব অভিযান বিজিবির দৃঢ় অবস্থানেরই প্রতিফলন। ভবিষ্যতেও অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”


গাংনীতে সাপে কেটে শিশুর মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনীতে সাপের কামড়ে শামীম হোসেন(১৪) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

শামীম হোসেন গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের মাঠপাড়া এলাকার হারান মন্ডলের ছেলে।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল আজিজ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, শামীমকে গতরাত দুইটার দিকে বিছানায় ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কাটে। পরিবারের লোকজন তাকে ঝোড়াগঘাট গ্রামের ওঝা আবেদ আলীর কাছে রাতভর ঝাড়ফুক করেছে। সকালের দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। অনেক চেষ্টা করার পরেও শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

তিনি জানান, হাসপাতালে এন্টিভেনম ইনজেকশন থাকার পরেও শুধুমাত্র সচেতনতার অভাবে এই উপজেলার প্রতিবছর সাপে কেটে অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। সাপে কাটা রোগীকে ওঝা দিয়ে ঝাঁড়ফুক না দিয়ে দ্রিত হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।


গাজীপুরে ঝুটের গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুর্চি মোড় এলাকায় একটি ঝুটের গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টায় এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। কোনাবাড়ি মর্ডান ফায়ার সার্ভিসের ২টি ও চৌরাস্তা ফায়ার সার্ভিসের আরও ২টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়।

কোনাবাড়ি মর্ডান ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঝুটের গোডাউনে আগুন লেগেছে। আমাদের ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি।’

এলাকাবাসী জানায়, ‘সকালে হঠাৎ ধোঁয়া দেখে তারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো গোডাউনে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়।’

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।


চার জেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নোয়াখালীর কবিরহাট, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এবং বাগেরহাটসহ চার জেলায় পৃথক চারটি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে নোয়াখালীর কবিরহাটে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে দুই যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় অটোরিকশার চালক-যাত্রী দুইজন এবং বাগেরহাটের রামপালের খুলনা-মংলা মহাসড়কের ট্রাকের ধাক্কায় তিন মোটরসাইকেল আরোহীসহ মোট ১৪ জন নিহত হন।

মঙ্গলবার দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নোয়াখালীতে ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬

নোয়াখালী প্রতিনিধির পাঠানো তথ্য থেকে জানা যায়, জেলার কবিরহাট উপজেলায় যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার আনুমানিক দুপুর আড়াইটার দিকে কবিরহাট আলিম মাদ্রাসার সামনে সোনাপুর–কোম্পানীগঞ্জ সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বসুরহাট থেকে কবিরহাট অভিমুখী দ্রুতগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে সোনাপুর থেকে বসুরহাটের উদ্দেশে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই সিএনজি চালকসহ পাঁচজন মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু ঘটে।

পুলিশ জানায়, কবিরহাট বাজার থেকে যাত্রীবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটের দিকে যাচ্ছিল। অটোরিকশাটি কবিরহাট হাটবাজার পার হয়ে কবিরহাট আলীম মাদ্রাসার সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া জানান, নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী ও তিনজন পুরুষ। এরমধ্যে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক শাহআলম খোকনও মারা গেছে। তার বাড়ি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। তবে নিহত ব্যক্তিদের কারও নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি যাত্রী নিয়ে মাইজদী থেকে বসুরহাট যাওয়ার পথে কবিরহাট পার হয়ে ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার সামনে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত হন। এছাড়া কবিরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও দুইজন মারা যান।

কবিরহাট ফায়ার সার্ভিসের লিডার ফিরোজ আলম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তিনটি মরদেহ ও দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলো উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করেছি। আহত তিনজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এসকে দেবনাথ বলেন, আহত তিনজনকে হাসপাতালে আনার পর একজন নারী মারা যান। পরে বাকি দুজনকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠালে পথে তাদেরও মৃত্যু হয়।

হবিগঞ্জে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৩০

হবিগঞ্জ প্রতিনিধির পাঠানো তথ্য থেকে জানা যায়, জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় দুই যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জের কদমতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এনা পরিবহনের একটি বাস ট্রাককে ওভারটেক করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা রিয়েল কোচ পরিবহনের বাসটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই বাসই দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

নিহতরা হলেন– জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বড়চড় গ্রামের মুকিত মিয়ার ছেলে রাজু মিয়া (৩৫), মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার শাহীবাগ গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে হামিদ মিযা (৬০)। নিহত অপরজনের পরিচয় শনাক্ত করতে পিবিআই কাজ করছে বলে জানা গেছে।

খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালায়। গুরুতর আহতদের হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করি। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়।’

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আবু তাহের বলেন, অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলে বাস চাপায় দুইজন নিহত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, জেলার মির্জাপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় অটোরিকশার চালক ও যাত্রীসহ দুইজনই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার দেওহাটা ওভারব্রিজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের রানাশাল গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে অটোচালক রহিজ সিকদার (৪৬) ও অটোর যাত্রী রশিদ দেওহাটা গ্রামের আজগর আলীর ছেলে আব্দুল হামিদ (৬০)।

জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা টাঙ্গাইলগামী যাত্রীবাহী একটি বাস মহাসড়কের দেওহাটা ওভারব্রিজ দিয়ে পার হয়ে যাওয়ার সময় অটোচালক যাত্রীসহ নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে অটোরিকশাটি মহাসড়কে তুলে দেয়। এ সময় দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাস অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোচালক ও যাত্রী দুইজনেই গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে মির্জাপুরের গোড়াইল হাইওয়ে পুলিশের ওসি সোহেল সারোয়ার জানান, অটোচালক মহাসড়কে উল্টো পথে দেওহাটা ওভারব্রিজে উঠার চেষ্টা করে। এ সময় টাঙ্গাইলগামী দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাস চাপা দিলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। যাত্রীবাহি বাসটি আটকের চেষ্টা চলছে।

বাগেরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

এদিকে বাগেরহাটের রামপালের খুলনা-মংলা মহাসড়কের ট্রাকের ধাক্কায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাবুরবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- রামপাল উপজেলার রাজনগর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী জামির ইজাদ্দার (৫০), মিজান ব্যাপারি (৪৫) ও হরিপদ রায় (৪০)। তারা এদিন বিকেলে ভাগা বালুর মাঠে অনুষ্ঠিত বিএনপির এক সভা শেষে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার দিকে বাবুরবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। ধাক্কায় মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তিনজন প্রাণ হারান।

রামপাল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়। এখনও ট্রাকটি জব্দে করতে পারি নাই। আমাদের চেষ্টা চলছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


৪৮ হাজার পুলিশ সদস্যের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে এ পর্যন্ত ৪৮ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এ নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানানো হয়।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের ৪৮ হাজার ১৩৪ জন সদস্য এ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এর আগে ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণের ওপর ট্রেনিং অব ট্রেইনার্স কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স জানিয়েছে, পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।

ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ পুলিশের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পরিচালনার জন্য পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যথাযথভাবে মনিটর করা হচ্ছে।

আইজিপি মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য রোববার রাজশাহী ও বগুড়া সফর করেছেন। তিনি নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স আরও জানিয়েছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এ নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ আগামী মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ সদস্যদের এ ধরনের প্রশিক্ষণ আয়োজন এবারই প্রথম।


দাউদকান্দির ধনাগোদা নদীতে কচুরিপানা, বাড়ছে দুভোর্গ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে প্রবাহমান ধনাগোদা নদীটি কচুরিপানায় পরিপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা কচুরিপানার কারণে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যাহত হচ্ছে নৌযান চলাচল। বিঘ্ন হচ্ছে মৎস্য আহরণ এবং নদীকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য। একসময় নৌকা, ট্রলার ও মাছ ধরার জালে মুখর ছিল এই নদী। এখন সেই নদীর বুকজুড়ে কচুরিপানার বিস্তীর্ণ স্তর। যার ওপর দিয়ে নির্বিঘ্নে হাঁটাচলা করছে মানুষ। বিকেলবেলা নদীর মাঝখানে খেলাধুলা করছে এলাকার শিশু-কিশোররা। প্রাণবন্ত জলপথ আজ পরিণত হয়েছে সবুজে ঢাকা নিস্তব্ধ এক মাঠে।

নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় আশপাশের বাজারগুলোতে পরিবহন ব্যয় বেড়ে গেছে। স্থানীয় জেলেরা দীর্ঘদিন মাছ ধরতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। নষ্ট হচ্ছে মাছের প্রজনন ক্ষেত্র, কমে যাচ্ছে নদীর জলজ প্রাণী। একই সঙ্গে নদীজীবী শতাধিক পরিবারের জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

কচুরিপানায় নদীর তলদেশে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হওয়ায় দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে পানি ধারণক্ষমতা। এর প্রভাবে আশপাশের কৃষিজমিতে পানি প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাড়ছে জলাবদ্ধতা।

দাউদকান্দি উপজেলার শ্রীরায়েরচর ব্রিজ থেকে মতলব উপজেলার কালিরবাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জমে আছে কচুরিপানার স্তর। এর ওপর দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করে মানুষ। এদিকে ধনাগোদার খেয়াঘাট, দুর্গাপুর, বাংলাবাজার, রায়েরকান্দি, নন্দলালপুর, বাইশপুর, গাজীপুর মোড়, সাহেববাজার, টরকী, মাছুয়াখাল ও শাহপুরসহ সব জায়গায় একই চিত্র।

একসময় এই ধনাগোদা নদী ছিল বৃহত্তর মতলবের নৌপথের একমাত্র ভরসা। এখান দিয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জগামী লঞ্চ ও পণ্যবাহী জাহাজ নিয়মিত চলাচল করত। কিন্তু গত পাঁচ-সাত বছরে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়া, অবৈধ দখল ও মাছ ধরার ঝাঁক স্থাপনের কারণে নদীটি এখন মৃতপ্রায়।

এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত কচুরিপানা অপসারণ করে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ উন্মুক্ত করা হোক।

দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন আক্তার বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। এরই মধ্যে নদী অধিদপ্তরের কাছে বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। স্থায়ীভাবে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আমরা কাজ করব। নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে কচুরিপানা অপসারণ ও অবৈধ ঝাঁক উচ্ছেদের উদ্যোগ নেওয়া হবে।


কুষ্টিয়ায় হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মার চরে সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে নিহত লিটনের পরিবার ও স্থানীয়রা মানববন্ধন করেছেন। গত সোমবার দুপুর ১২ ঘটিকার সময় ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুরের রায়টায় পদ্মা নদীর পাড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত লিটনের পরিবার ছাড়াও কয়েকশ স্থানীয় নারী পুরুষ অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে নিহত লিটনের পরিবার ও স্থানীয়রা মানববন্ধনের ব্যানারের ফেস্টুনে থাকা লিটনের ছবিতে হাত বুলিয়ে উচ্চ শব্দে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

নিহত লিটনের পিতা জামিরুল প্রামানিক জানান, নদীর চরে গেজে ওঠা আমার নিজের জমিতে কাশবনে খড় কাটতে গেলে আমার ছেলেকে সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে মাদককারবারী বিল্লাল মন্ডল, মুন্তাজ মন্ডল, জাকারিয়া পিন্টুসহ আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। আমি দোষীদের ফাঁসি দাবি করছি।

নিহত লিটনের মা আলেয়া খাতুন বলেন, আমার ছেলে আগে কসমেটিকস এর ব্যবসা করত। বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা পয়সা সব জমা দিয়ে রেখেছে। কিছুদিন পর ছেলে বিদেশ যাবে। বিল্লাল মন্ডল, মুন্তাজ মন্ডল, জাকারিয়া পিন্টু আমার কলিজার ধনকে কেড়ে নিয়েছে। আমি তাদের ফাঁসি চাই।

স্থানীয়রা বলেন, মুনতাজ ও বিল্লাল বাহিনীর ভয়ে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তারা চরের জমিতে ঠিকমতো চাষাবাদ করতে পারছে না। আবাদ করা ফসল ঠিকমতো ঘরে তুলতে পারছেন না। সন্ত্রাসীবাহিনীর সদস্যরা সবসময় ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছেন। পুলিশ এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয় না। এ কারণে তারা অনেকটা সন্ত্রাসীবাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। তারা অবিলম্বে এই বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর ভেড়ামারা উপজেলার রায়টা নতুনহাট এলাকার বাসিন্দা লিটন পদ্মাচরে নিজের জমিতে খড় কাটতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পদ্মায় ফেলে দেন।

পরের দিন ২৮ অক্টোবর নদী থেকে লিটনের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা। দোলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।


গজারিয়ায় এবার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ডাকাতি

৪৮ লাখ টাকার মালামাল লুট
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় একদিনের ব্যবধানে আবারো সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এবার উজেলার সাতকাহনিয়া গ্রামে বৃদ্ধ এক দম্পতির মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত দল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৪৮ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।

গত সোমবার গভীর রাতে উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের সাতকাহনিয়া গ্রামে ব্যবসায়ী আলম মিয়ার বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী আলম মিয়া বলেন, ‘ব্যবসায়ী কাজে আমরা দুই ভাই পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকি। গত সোমবার বিকেলে পরিবার নিয়ে ঢাকায় চলে আসি। বাসায় ছিল আমার বৃদ্ধ বাবা-মা। রাতের খাবার খেয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক দুইটার দিকে সঙ্ঘবদ্ধ একটি ডাকাত দল জানালার গ্রিল কেটে আমাদের ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা অস্ত্রের মুখে বাবা-মাকে জিম্মি করে ঘরে থাকা প্রায় তিন লাখ টাকা ও ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।

আলমের বাবা সিরাজুল ইসলাম বলেন, গ্রিল কেটে যখন ডাকাতরা বাসায় প্রবেশ করে তখন আমার স্ত্রী বিষয়টি প্রথম খেয়াল করেন। বাসায় আমরা দুজনই ছিলাম। প্রথমে ডাকাত দলের ৬/৭ জন প্রবেশ করার পরে আরো ১৪/১৫ জন আসে করে। ডাকাত দলের সদস্যরা বিভিন্ন রুমে রুমে অবস্থান নেয় এবং আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আলমারি ও শোকেসের তালা খুলিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।

গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, এমন একটি খবর আমরাও পেয়েছি। খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এরআগে গত রবিবার রাতে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়া এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত সেনার সদস্য ফজলুল হকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। একই কায়দায় জানালার গ্রিল কেটে বাসায় ঢুকে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ ৫৪ লাখ টাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল।


banner close