শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২১ ভাদ্র ১৪৩২

যথাযোগ্য মর্যাদায় বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ এর ৫৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন করলো বিজিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:১১

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী তৎকালীন ইপিআরের ল্যান্স নায়েক শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ এর অবিস্মরণীয় অবদানকে চিরস্মরনীয় করে রাখার জন্য প্রতিবছরের ন্যায় এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় তাঁর ৫৪তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

অদ্য ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সকালে বিজিবির যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) এর উপ-অধিনায়ক মেজর নূর উদ্দিন আহমাদ শার্শা উপজেলার কাশিপুরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এর সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় বিজিবির একটি সুসজ্জিত দল 'গার্ড অব অনার' প্রদান করে। পরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এর রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এসময় বিজিবি অন্যান্য কর্মকর্তা ও সৈনিকবৃন্দ, বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারবর্গ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল জেলার মহেষখোলা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মোহাম্মদ আমানত শেখ এবং মাতার নাম জেন্নাতুনেছা। নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর) এ যোগ দেন। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ৮ নম্বর সেক্টর, যশোরের অধীনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ২৫ মার্চ ১৯৭১ এর পর যখন মুক্তিবাহিনীকে সুসংগঠিত করা শুরু হয় তখন তিনি যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার গোয়ালহাটি গ্রামে স্থাপিত একটি ক্যাম্পের অধিনায়কের দায়িত্ব পান। নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৭১ সালের ০৫ সেপ্টেম্বর গোয়ালহাটি গ্রামের এক প্রান্তে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে শহীদ হন। তিনি দুজন সঙ্গী নিয়ে গোয়ালহাটি গ্রামের অনতিদূরে ছুটিপুর ঘাঁটি টহল দেয়ার সময় পাকবাহিনী তাঁদের আক্রমণ করে। নূর মোহাম্মদ শেখ তাঁর টহল দলটিকে রক্ষার প্রাণপণ চেষ্টা করেন। পাকবাহিনীর গুলিতে সহযোদ্ধা নান্নু মিয়া গুরুতর আহত হলে নূর মোহাম্মদ শেখ হাতে এলএমজি এবং কাঁধে গুরুতর আহত সঙ্গীকে নিয়ে শত্রুবাহিনীর দিকে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে নিরাপদ জায়গায় যেতে থাকেন। হঠাৎ শত্রুর দুই ইঞ্চি মর্টারের আঘাতে তাঁর হাঁটু ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। তাঁর সঙ্গীরা যেন প্রতিরক্ষা ঘাঁটিতে পৌঁছাতে পারেন সেজন্য মারাত্মক আহত অবস্থায়ও নূর মোহাম্মদ শেখ গুলি চালাতে থাকেন এবং এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। যশোরের শার্শা থানার কাশিপুর গ্রামে এই বীর যোদ্ধাকে সমাহিত করা হয়। নূর মোহাম্মদ শেখ নিজের প্রাণের বিনিময়ে সহযোদ্ধাদের জীবন রক্ষা করেছিলেন। তাঁর এই অপরিসীম বীরত্ব, সাহসিকতা ও দেশপ্রেমের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সর্বোচ্চ সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করে।


আফগানিস্তানে জরুরি ত্রাণ সহায়তা পাঠাল বাংলাদেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পর খাদ্য, পানি, বাসস্থান এবং জরুরি চিকিৎসার অভাবে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বন্ধুপ্রতিম দেশটির এই মানবিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশ অত্যন্ত মর্মাহত।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে ভূমিকম্পে সৃষ্ট আকস্মিক দুর্যোগ মোকাবেলায় আফগান জনগণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি মানবিক সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সকাল ৮টায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি পরিবহন বিমান জরুরি ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে কাবুলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

শুক্রবার ১১.২২৭ টন ত্রাণ সহায়তার মধ্যে রয়েছে তাঁবু, কম্বল, শীতবস্ত্র, খাবার পানি, শুকনো খাবার, কাপড়, বিস্কুট, মিল্ক পাউডার, নুডলস ও ওষুধ। এসব ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর শেষে বিমান বাহিনীর পরিবহন বিমানটি আজই দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের অপারেশন ও পরিকল্পনা পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আলীমুল আমীন বিমানটি বাংলাদেশ ত্যাগের পূর্বে এ উপলক্ষ্যে প্রেস ব্রিফিং করেন। সেসময় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আইএসপিআর জানিয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বাস করে, সরকারের পাঠানো এই মানবিক সহায়তা আফগানিস্তানের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের দুর্ভোগ কমাতে সহায়ক হবে। আগামী দিনগুলোতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বৈশ্বিক যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী আত্মনিয়োগের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭মিনিটে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ৬.০ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২ হাজার ২০৫ জন নিহত এবং ৩ হাজার ৬৪০ জন আহত হন। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি।


চাকরির প্রলোভনে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

অনলাইনে চাকরির প্রলোভন ও টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণা চালানো সংঘবদ্ধ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চক্রের মূলহোতা আকাশ (২২), রাশাদ (২৮) এবং তাদের সহযোগী আসাদ (৩০)।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সিআইডি সাইবার ক্রাইম অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন অপারেশনের একটি টিম তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও অনলাইন গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে রাজধানীর ধানমন্ডি, ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তবর্তী এলাকা এবং দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

সিআইডির তদন্তে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা ভুয়া খণ্ডকালীন চাকরি ও বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলো। টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে কয়েক লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে স্বল্প সময়ে কয়েকগুণ মুনাফার প্রলোভন দেখাতো। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ চক্রের সঙ্গে দেশি বিদেশি আরও অনেক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন এবং ছদ্মনামে ব্যবহৃত বিভিন্ন সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সিআইডি জানিয়েছে, তদন্তের মাধ্যমে এ প্রতারণা চক্রের মূল রহস্য উন্মোচন করা হবে। জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।


ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকাকে স্বাস্থ্য কৌশলে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর চিকিৎসায় ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকাকে জাতীয় ক্লিনিক্যাল নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য কৌশলে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআর, বি যৌথভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিডিসি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের কারিগরি সহায়তায় ‘বাংলাদেশে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর চিকিৎসায় ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকার ভূমিকা: ভবিষ্যৎ পথ নির্দেশনা’ শীর্ষক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা এই মতামত তুলে ধরেন। গত ১ ও ৪ সেপ্টেম্বর দুই দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

কর্মশালায় জানানো হয়, মৌসুমি ইনফ্লুয়েঞ্জা বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর প্রায় ৫ মিলিয়ন মানুষের গুরুতর অসুস্থতা এবং প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশে ১৯টি হাসপাতালে পরিচালিত সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের জুন মাসে হাসপাতালে জ্বর ও কাশির লক্ষণ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৯ শতাংশই ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত ছিলেন, যা পূর্ববর্তী কয়েক বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

বাংলাদেশে প্রতি বছর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়কে (গ্রীষ্ম থেকে বর্ষা) ইনফ্লুয়েঞ্জার মৌসুম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী- ৬০ বছরের বেশি বয়সি প্রবীণ, ৫ বছরের নিচে শিশু, গর্ভবতী নারী, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী এবং ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, শ্বাসতন্ত্র ও কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে টিকা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। যাতে মৌসুম শুরু হওয়ার আগে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর জন্য প্রতি বছর নিয়মিত ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা প্রদানকে সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে জোর দিলেও বাংলাদেশে এই টিকা গ্রহণের হার সচেতনতার অভাব, নীতি নির্ধারণের ঘাটতি এবং প্রক্রিয়াগত বিভিন্ন চ্যালঞ্জের কারণে এখনো অনেক কম।

কর্মশালার প্রথম দিনে ইন্টার্নাল মেডিসিন, শিশু, প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ, কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি ও শ্বাসতন্ত্রবিষয়ক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আলোচনা করেন। তাদের লক্ষ্য ছিল ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর চিকিৎসায় ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকাদানকে নিয়মিত ক্লিনিক্যাল সেবার অন্তর্ভুক্ত করার কৌশল প্রণয়ন।

দ্বিতীয় দিনে আইইডিসিআরের পরিচালক প্রফেসর ডা. তাহমিনা শিরিন ২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া হাসপাতালভিত্তিক ইনফ্লুয়েঞ্জা পর্যবেক্ষণের ফলাফল উপস্থাপন করেন।

তিনি জানান, জুন-জুলাই মাসে সংক্রমণ সর্বাধিক হয় এবং সময়মতো টিকা দিলে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অসুস্থতা ও মৃত্যু উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে পারে।

তিনি বলেন, এই জনগোষ্ঠীর জন্য টিকাদান বাংলাদেশে অর্থনৈতিকভাবে কার্যকর এবং খরচ সাশ্রয়ী। প্রফেসর তাহমিনা শিরিন টিকা প্রদানের সময়ের ওপর জোর দিয়ে বলেন, মৌসুমের আগে সর্বাধিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে টিকা প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে কয়েকটি বড় প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে টিকার অপ্রাপ্যতা ও উচ্চ মূল্য, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা, সচেতনতার ঘাটতি, কোল্ড চেইন ও সংরক্ষণ সমস্যা এবং জাতীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক নীতিমালার অভাব। এসব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় প্রস্তাবিত সুপারিশগুলো হলো- গবেষণার মাধ্যমে জাতীয় উপাত্ত প্রকাশ, টিকার সহজলভ্যতা বাড়ানো ও দাম কমানো, গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে সচেতনতা কর্মসূচি, বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক সমাজের মাধ্যমে প্রচারণা, এবং চিকিৎসার জাতীয় গাইডলাইনে ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকার অন্তর্ভুক্তি।

আইসিডিডিআর, বির গবেষক ডা. মো. জাকিউল হাসান জানান, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা সাধারণ মানুষের তুলনায় চারগুণ বেশি সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকেন। তবে তাদের মধ্যে টিকা গ্রহণের হার এখনো উদ্বেগজনকভাবে কম।

প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন প্রফেসর ডা. তাহমিনা শিরিন, ডা. ফেরদৌসী কাদরী, ডা. কে. জামান, প্রফেসর ডা. চৌধুরী আলী কাওসার এবং প্রফেসর ডা. ফারহাদ হোসেন। আলোচনার সঞ্চালনা করেন প্রফেসর ডা. মাহমুদুর রহমান ও ডা. উইলিয়াম ডেভিস।

প্যানেল আলোচকরা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকাদানকে জাতীয় ক্লিনিক্যাল গাইডলাইনে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে জোর দেন। তারা বলেন, টিকা সবসময় বিনা মূল্যে দিতে হবে- এটি ভবিষ্যতে টিকাদান কার্যক্রমকে টেকসই রাখতে প্রয়োজন। এছাড়া জনগণ ও চিকিৎসকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি, যাতে গ্রহণযোগ্যতা ও টিকা প্রদানের হার বৃদ্ধি পায়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য উইংয়ের যুগ্ম সচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী এবং ইউএস সিডিসির কান্ট্রি ডিরেক্টর প্রফেসর ডা. দিমিত্রি প্রিবিলস্কি।

ডা. ওসমানী কর্মশালার সুপারিশগুলো মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং জনস্বাস্থ্য কর্মসূচির মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

প্রফেসর প্রিবিলস্কি বলেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রাদুর্ভাব শনাক্তকরণ, সময়মতো অবহিতকরণ ও সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বয় টিকা কার্যক্রম সফল করার মূল চাবিকাঠি।


ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে ইউএনওর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খোরশেদ আলম, নোয়াখালী উত্তর

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাসরিন আক্তার।

ইউএনওর এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ফলে আনন্দের সঙ্গে বিদ্যালয়ে এসে অধ্যয়ন করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

শুধু তাই নয়, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের পুনরায় স্কুলমুখী করতে মিড ডে মিল, শিক্ষা উপকরণ বিতরণসহ নানা আয়োজন করেন তিনি। এতে অভিভাবক ও স্থানীয়রা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

সম্প্রতি ইউএনও নাসরিন ডাক্তারের উদ্যোগে গান্ধী আশ্রমের অর্থায়নে সোনাইমুড়ী উপজেলা ৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড-ডে মিল কার্যক্রম চালু করা হয়। উপজেলার শিলমুদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দেওটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড-ডে মিল কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আকতার।

গত ১৯আগস্ট সোনাইমুড়ী উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অসহায় দারিদ্র্য ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন তিনি। নওয়াবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা উপকরণ বিতরণের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক (ডিসি) খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ। উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪০০জন ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ স্কুল ব্যাগ, টিফিন বক্স ও জ্যামিতির বক্স বিতরণ করা হয়। উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসায় একইদিন ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। সোনাইমুড়ী উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন একাডেমিতে গত ১৯শে আগস্ট ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ উদ্বোধন করা হয়। উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের ২৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রিকেট সেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, ক্যারামবোর্ড, দাবাসহ ও টেবিল টেনিসসহ ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার।

সোনাইমুড়ীর প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উপজেলার তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড ডে মিল চালু হওয়ায় শিক্ষকরা আনন্দিত। এতে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলমুখী হবে। না খেয়ে অনেক দরিদ্র্য শিক্ষার্থী স্কুলে চলে আসে। স্কুলে খাবার পাবে এ আশায় উপস্থিতি বেড়েছে। নতুন শিক্ষা উপকরণ পেয়েও তারা আনন্দিত। এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার।

সোনাইমুড়ী উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মহিউদ্দিন জানান, এ ধরনের উদ্যোগ ব্যতিক্রমী। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে এ ধরনের আয়োজন করা হয়েছে। তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এলাকার অসহায় ও হতদরিদ্ররা স্কুলে আসছে। এতে উপস্থিতিও বাড়ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার বলেন, বিদ্যালয় গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি কম দেখে এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি এই এলাকার অন্যান্য স্কুলেও এ ধরনের কার্যক্রম চালু করবেন।


সোনারগাঁওয়ে ব্রিজ ভেঙে যান চলাচল বন্ধ, জনসাধারণের চরম দুর্ভোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে দুই এলাকা দুটি ব্রিজ ভেঙে দীর্ঘদিন ধরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে রয়েছে। যেন দেখার কেউ নেই। উপজেলার সোনারগাঁও পৌরসভার ছাপেরবন্ধ খালের ব্রিজ ও সাদিপুর ইউনিয়নের বরগাঁও এলাকা ব্রিজটি ভেঙে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ফলে এলাকাবাসী, পর্যটকরা, হাসপাতালের রোগীসহ সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসী ব্রিজ দুটি পুনর্নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, গত ২০১৪ সালে সিআরডিপি প্রকল্পের আওতায় সোনারগাঁও পৌরসভার চৈতী কম্পোজিট লিমিটেড থেকে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের ২নং ফটক রাস্তা টেন্ডার দেওয়া হয়। এছাড়া টিপরদী মধুমতি ফিলিং স্টেশন থেকে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের ১নং ফটক পর্যন্ত রাস্তা, ড্রেন নির্মাণ ও একটি সেতু নির্মাণের জন্য ৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সেই টেন্ডারে ছাপেরবন্ধ খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও এ ব্রিজটি টেন্ডার প্রক্রিয়া আওতায় আনা হয়নি।
ফলে দীর্ঘ ১০ বছরেও এ ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়নি। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ওই সময়ে পৌর কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে এ ব্রিজের মাঝে গর্ত হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অংশে সিমেন্ট-সুরকি দিয়ে ঢেকে দেয়। গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টিতে ব্রিজের ঝুঁকিপূর্ণ অংশে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে পৌর কর্তৃপক্ষ গত এক সপ্তাহ ধরে বাঁশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। বিকল্প পথে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, পর্যটন নগরীর পানাম, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের আসা দর্শনার্থী, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা ও থানা প্রশাসনের আসা জনসাধারণ ভোগান্তিতে পড়ছেন।
অপরদিকে সাদিপুর ইউনিয়নের কাজিপাড়া-আমগাঁও খালের ওপর নির্মিত বরগাঁও এলাকার ব্রিজ ভেঙে দীর্ঘদিন যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই ইউনিয়নের প্রায় ৩০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর দাবি, বরগাঁও এলাকায় খালের ওপর প্রায় ৫০ বছর আগে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে তা ভেঙে যায়। ব্রিজের রেলিং-পাটাতন ভেঙে যাওয়ায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এতে এ সড়কে চলাচলরত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, শিল্প-কারখানার শ্রমিকসহ প্রায় কয়েক লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। ২ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
সাদিপুরের দবির উদ্দিন ভূঁইয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, বরগাঁও এলাকার ব্রিজটির মধ্যঅংশ ভেঙে যাওয়ার কারণে স্কুলে আসা-যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। তা ছাড়া এ ব্রিজের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তিনি ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণের দাবি করেন।
সোনারগাঁও পৌরসভার গোয়ালদী গ্রামের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে ছাপেরবন্ধ এলাকার ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। দ্রুত এ ব্রিজটি নির্মাণ করে পর্যটক, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাঘবের দাবি জানিয়েছেন।
সোনারগাঁও পৌরসভার আদমপুর গ্রামের বাসিন্দা ইমরান খাঁন জানান, ‘১০ বছরেও ব্রিজ নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানের এ এলাকার মানুষ অনেক পথ ঘুরে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন। সোনারগাঁও পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, ‘ছাপেরবন্ধ ব্রিজটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। সংস্কার করে কোনো লাভ হবে না। এ খালে নতুন ব্রিজ নির্মাণের টাকা তাদের ফান্ডে নেই বলে দাবি করেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সোনারগাঁও উপজেলা প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেন চৌধুরী বলেন, বরগাঁও এলাকার ব্রিজটি ভেঙে যান চলাচল বন্ধ থাকার খবর পেয়ে সেখানে সহকারী প্রকৌশলীদের পাঠানো হয়েছে। আশা করি ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার করা হবে।


মাগুরায় দেড় বছর পর পরিবারের কাছে ফিরল অপহৃত কিশোর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা

মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার বরুরিয়া গ্রামের হত দরিদ্র কৃষক মো. বাদশা শেখের পুত্র মো. আরশাদুল শেখ (১৪), খানিকটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরকে অপহরণের দেড় বছর পর উদ্ধার করে তার পিতামাতার কাছে ফিরিয়ে দিলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাগুরা আর্মি ক্যাম্প।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাগুরা সদর উপজেলার বেরোইল-পলিতা গ্রামের বাসিন্দা মো. লিটন শেখ আরশাদুলকে নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করে ফরিদপুরে নিয়ে যায়। সেখানে সে আরশাদুলকে নিজের সন্তান পরিচয়ে একটি মৎস্য খামারে কাজে লাগায় এবং তার বেতন নিজেই ভোগ করে।

পরে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে লিটন শেখ আবারও আরশাদুলকে মাগুরা সদরে নিয়ে আসে এবং একটি পোল্ট্রি ফার্মে কাজে লাগায়। এখানেও সে ছেলেটিকে নিজের সন্তান পরিচয় দেয়।

অসহায় বাবা-মা সন্তানের খোঁজ না পেয়ে হতাশার মধ্যে ছিলেন। অবশেষে চলতি বছরের আগস্ট মাসের শেষের দিকে তারা জানতে পারেন, তাদের সন্তানকে মাগুরা সদরে দেখা গেছে। এরপর তারা মাগুরা আর্মি ক্যাম্পে সহযোগিতা চাইলে সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিক তৎপর হয়ে ওঠে।

দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর অবশেষে গত বৃহস্পতিবার মাগুরা আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা সদর থানার কাদিরপাড় এলাকা থেকে অপহৃত আরশাদুলকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে যথাযথ প্রমাণ যাচাই শেষে তাকে তার বাবা-মায়ের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

অপহরণের খবর জানাজানি হলে প্রধান আসামি লিটন শেখ পালিয়ে যায়। তবে সংশ্লিষ্ট পোল্ট্রি ফার্মের মালিক এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানতেন না বলে তাকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ দেড় বছর পর সন্তান ফিরে পেয়ে অসহায় পরিবারটি আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়ে। পাশাপাশি মাগুরা আর্মি ক্যাম্প তাদেরকে আর্থিক সহায়তাও প্রদান করেছে। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর দ্রুত তৎপরতায় জনমনে তাদের প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এলাকাবাসীর মন্তব্য।


ডায়রিয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে নাটোরে আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের ডায়রিয়ায় কারণ জানতে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআরের) চার সদস্যদের চিকিৎসক এবং টেকনোলজিস্ট দল এসেছেন। শুক্রবার দুপুরে ডা. ক্য থোয়াই প্রু প্রিন্সের নেতৃত্বে ডা. মো. রাফিউল হাসান, টেকনোলজিস্ট লক্ষণ কর্মকার এবং আব্দুল কুদ্দুস সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। সেসময় তারা রোগীদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন এবং ডায়রিয়া আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। তবে আইইডিসিআর এর প্রতিনিধি দল গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

সিভিল সার্জন ডা. মুক্তাদির আরেফিন জানান, শুক্রবার পর্যন্ত ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন ১০০জন পুরুষ, ৯৭ নারী ও ৪০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু। ইতোমধ্যে ১০০জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন। নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যাও অনেক কমে গেছে। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার থেকেই নাটোরে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাঠালবাড়িয়া, চৌকিরপাড় ও ঝাঁউতলাসহ আশপাশের এলাকা থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হতে থাকে। রোগী ও তাদের স্বজনরা বলছেন, পৌরসভার সরবরাহ করা পানি খেয়েই তারা অসুস্থ হয়েছেন। তবে পানি পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করে বগুড়ায় জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরে পরিক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেখানের রিপোর্টে জানানো হয় নমুনা পানিতে কোনো ধরনের জীবাণু নেই।


তালায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে লোকসানের আশঙ্কা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় অতিবৃষ্টির কারণে এ বছর গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে লোকসানের মুখে পড়তে পারেন কৃষকরা। তবে গত কয়েক বছর এই চাষে সফলতা পেয়েছেন স্থানীয় চাষিরা।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বালিয়াদহা, তেঁতুলিয়া ও ভায়ড়া গ্রামে কৃষকের ক্ষেতে মাচায় ঝুলছে শত শত তরমুজ। মধুমালা, ব্ল্যাক বেরি, কানিয়া (বাংলালিঙ্ক) জাতের এসব তরমুজের কোনোটি বাজারজাতের উপযোগী হয়েছে, আবার কোনোটি এখনো পরিপক্ব হয়নি। খেতেও এগুলো সুস্বাদু বলে জানান চাষিরা।

বালিয়াদহা গ্রামের তরমুজ চাষি মুনছুর গল্দার জানান, ৯৫ টি তরমুজের মান্দা আছে তার। প্রতিটি মান্দায় দুইটি তরমুজের গাছ আছে। দুইশ হাত মৎস্য ঘেরের আইলে তিনি তরমুজ চাষ করেছেন। এক একটি তরমুজ ৬ থেকে ৭কেজি করে হয়েছে।

প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করছেন। মৎস্য চাষের পাশাপাশি তরমুজ চাষাবাদ করে তিনি লাভবান হচ্ছেন।

তেঁতুলিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্না বিশ্বাস জানান, তিনি কয়েক বছর ধরে তরমুজ চাষ করে আসছেন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। এ বছর তিনি ৮ শতক জমিতে চার জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। এতে তার প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সাধারণত তিনি প্রতি মৌসুমে লাভবান হলেও এ বছর অতিবৃষ্টির কারণে তরমুজ গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তেমন লাভ হবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন।

চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, ধান ও পাট উঠতে চার মাসের বেশি সময় লাগে। কিন্তু তরমুজ মাত্র ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হয়। এজন্য তরমুজ চাষ করে আমরা উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছি।

তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে প্রচুর লাভের সম্ভাবনা থাকায় এটি চাষের জন্য কৃষকেরা আগ্রহী। এ বছর উপজেলায় ৩হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ হয়েছে। বৃষ্টির কারণে কিছু ক্ষতির আশঙ্কা থাকলেও কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। ফলে প্রতি বছর আবাদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।


ফরিদপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফরিদপুর প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুরের সদরপুরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপি নেতা, বিশিষ্ট শিল্পপতি ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য চৌধুরী আকমল ইবনে ইউসুফের জামাতা- এম এম হোসাইনের নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে ওই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

শোভাযাত্রাটি সদরপুর উপজেলা কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর-৪ আসনের সাম্ভাব্য পদপ্রার্থী ও বিএনপি নেতা শিল্পপতি এম এম হোসাইন। সেসময় তিনি বলেন, সদরপুরের মাটি বিএনপির ঘাটি। তার প্রয়াত শ্বশুর এখানে এমপি ছিলেন। তার হাত ধরেই সদরপুরে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চৌধুরী পরিবার সবসময়ই গরিব দুঃখী মেহনতি মানুষের পাশে থেকেছে এবং এলাকার উন্নয়ন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমি এখানে এসেছি মানুষ ও এলাকার উন্নয়ন করতে। কোনো ক্ষমতার কাছে আপনারা মাথা বিক্রি করবেন না। কোনো অপশক্তি আপনাদের ক্ষতি করতে পারবে না। আমি আপনাদের পাশে আছি এবং আপনাদের নিয়েই নির্বাচনে জয়ী হব। সেসময় সদরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন খান, সদরপুর সরকারি কলেজের সাবেক জিএস শাহ জামাল সাহেব, সদরপুর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবু মোল্লা, কৃষ্ণপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি শুকুর মোল্লাসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ অংশ নেন।


ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসন সীমানা পরিবর্তনের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ, যাত্রীদের চরম ভোগান্তি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর

ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলার অন্তর্ভুক্ত আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে কেটে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন এলাকাবাসী। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে অবরোধকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই অবরোধ চলবে। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে হাজার-হাজার মানুষ ফরিদপুর-বরিশাল ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে গাছ ফেলে, বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ শুরু করে। এতে দক্ষিণাঞ্চলের যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবরোধ চলতে দেখা গেছে।

তারা ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ড, হামেরদী বাসস্ট্যান্ড ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মুনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড, সুয়াদি বাসস্ট্যান্ড ও ফরিদপুর বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা দক্ষিণপাড় বাসস্ট্যান্ডে সড়কের উপর গাছ ফেলে, বাঁশ দিয়ে বেরিকেট দিয়ে ও টায়ারে আগুন ধরিয়ে এই অবরোধ শুরু করে।

সড়ক অবরোধের ফলে উভয় মহাসড়কে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী যানবাহন আটকে পড়ে। ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ থেকে শুরু হয়ে যানজট প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন আগামী ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩০০টি সংসদীয় আসনের নতুন সীমানা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে। এতে ফরিদপুর-৪ আসনের আলগী ও হামেরদী ইউনিয়নকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করা হয়।

এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় জনগণ রাতেই প্রতিবাদের ঘোষণা দেন এবং শুক্রবার সকালে তা বাস্তবায়ন করেন।

হামেরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খোকন মিয়া বলেন, আমরা কোনোভাবেই ফরিদপুর-২ এ যাব না। আমাদের ফরিদপুর-৪ এ ফিরিয়ে নিতে হবে। আগামী ৭দিনের মধ্যে গেজেট বাতিল না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।

বিএনপির ফরিদপুর-৪ এর সংসদ সদস্য প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, আমরা এই প্রহশন মানিনা। আমার নির্বাচনি আসনে যেই দুইটা ইউনিয়ন বিএনপির ভোট ব্যাংক, সেই দুইটা ইউনিয়নের বিরুদ্ধে কিছু কুচকক্রী মহলের তদবিরের কারণে আমার উক্ত দুইটা ইউনিয়ন কেটে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা সালথা) সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছে। আমরা বিএনপির ভাঙ্গা উপজেলার নেতারা ও জনগনকে সঙ্গে নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুরোধ আগামী রোববার পর্যন্ত অবরোধ শীতল করা হয়েছে। আগামী রোববার আমরা এই গেজেটের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব। আশাকরি অচিরেই আমরা আমাদের দুইটা ইউনিয়ন ফিরে পাব এবং বিএনপির ভোটের রাজনীতিতে এগিয়ে যাবে ইনশআল্লাহ।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ঘটনাস্থলে ছুটে যান ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন ও হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রোকিবুজ্জামান ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। সেসময় ইউএনও মিজানুর রহমান আশ্বস্ত করে বলেন- আমরা ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনসহ উধ্বর্তনদের জানিয়েছি, আশাকরি ভালো সমাধান হবে। তিনি অবরোধকারীদের সড়ক ছাড়ার অনুরোধ করেন। তবে স্থানীয়রা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে এলাকাবাসী।

ভাঙ্গা থানার ওসি আশরাফ হোসেন জানান, ইসির সংসদীয় আসন বিন্যাস গেজেট প্রকাশের পর গত বৃহস্পতিবার থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে ভাঙ্গাবাসী। এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে দলমত নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখে। আমি শুক্রবার সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে অবস্থান করেছি। আইনশৃঙ্খলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে অবরোধকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করেছি।


মাগুরায় দেড় বছর পর অপহৃত কিশোর উদ্ধার,পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিলো সেনাবাহিনী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা :-

মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার বরুরিয়া গ্রামের হত দরিদ্র কৃষক মোঃ বাদশা শেখের পুত্র মোঃ আরশাদুল শেখ (১৪), খানিকটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরকে অপহরণের দেড় বছর পর উদ্ধার করে তার পিতামাতার কাছে ফিরিয়ে দিলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাগুরা আর্মি ক্যাম্প।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাগুরা সদর উপজেলার বেরোইল-পলিতা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ লিটন শেখ আরশাদুলকে নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করে ফরিদপুরে নিয়ে যায়। সেখানে সে আরশাদুলকে নিজের সন্তান পরিচয়ে একটি মৎস্য খামারে কাজে লাগায় এবং তার বেতন নিজেই ভোগ করে।

পরে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে লিটন শেখ আবারও আরশাদুলকে মাগুরা সদরে নিয়ে আসে এবং একটি পোল্ট্রি ফার্মে কাজে লাগায়। এখানেও সে ছেলেটিকে নিজের সন্তান পরিচয় দেয়।

অসহায় বাবা-মা সন্তানের খোঁজ না পেয়ে হতাশার মধ্যে ছিলেন। অবশেষে চলতি বছরের আগস্ট মাসের শেষের দিকে তারা জানতে পারেন, তাদের সন্তানকে মাগুরা সদরে দেখা গেছে। এরপর তারা মাগুরা আর্মি ক্যাম্পে সহযোগিতা চাইলে সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিক তৎপর হয়ে ওঠে।

দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর অবশেষে ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে মাগুরা আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা সদর থানার কাদিরপাড় এলাকা থেকে অপহৃত আরশাদুলকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে যথাযথ প্রমাণ যাচাই শেষে তাকে তার বাবা-মায়ের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

অপহরণের খবর জানাজানি হলে প্রধান আসামি লিটন শেখ পালিয়ে যায়। তবে সংশ্লিষ্ট পোল্ট্রি ফার্মের মালিক এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানতেন না বলে তাকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

দীর্ঘ দেড় বছর পর সন্তান ফিরে পেয়ে অসহায় পরিবারটি আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়ে। পাশাপাশি মাগুরা আর্মি ক্যাম্প তাদেরকে আর্থিক সহায়তাও প্রদান করেছে।
এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর দ্রুত তৎপরতায় জনমনে তাদের প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এলাকাবাসীর মন্তব্য।


হাইওয়ে পুলিশের হাতে ৫০ কেজি গাঁজাসহ এক ব্যক্তি আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা

ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে হাইওয়ে পুলিশ সদস্যদের হাতে ৫০ কেজি গাঁজাসহ এক ব্যক্তিকে আটক হয়।

আটককৃত ব্যক্তি কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলার মিন্নতনগর এলাকার বাসিন্দা মো: ইব্রাহিম (৩৮)।

শুক্রবার ১১ টায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের আলেখারচর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার।

পুলিশ কর্মকর্তা ইকবাল বাহার জানান, গোপন সংবাদে জানতে পারি
কুমিল্লা সদর দক্ষিন সীমান্ত এলাকা থেকে একটি প্রাইভেট কার যার রেজিষ্ট্রেশন নং- ঢাকা মেট্টো-গ-১৫-৯০৬৪ এর চালক মাদক বহন করে মহাসড়ক দিয়ে ঢাকা নিয়ে যাচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে ময়নামতি ক্রসিং হাইওয়ে থানার এসআই ইকবাল হোসেন এএসআই রাজিবুল আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ প্রাইভেটকারটিকে ব্যারিকেড দিয়ে আটক করা হয় । এসময় প্রাইভেট কারটি তল্লাশি করে প্রাইভেট কারের পেছনের অংশের মধ্যে ২৫ (পঁচিশ) টি পোটলায় প্রতিটিতে ২ কেজি করে মোট ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

পরে আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


banner close