শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২১ ভাদ্র ১৪৩২

ফরিদপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত
ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:৪৬

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুরের সদরপুরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপি নেতা, বিশিষ্ট শিল্পপতি ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য চৌধুরী আকমল ইবনে ইউসুফের জামাতা- এম এম হোসাইনের নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে ওই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

শোভাযাত্রাটি সদরপুর উপজেলা কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর-৪ আসনের সাম্ভাব্য পদপ্রার্থী ও বিএনপি নেতা শিল্পপতি এম এম হোসাইন। সেসময় তিনি বলেন, সদরপুরের মাটি বিএনপির ঘাটি। তার প্রয়াত শ্বশুর এখানে এমপি ছিলেন। তার হাত ধরেই সদরপুরে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চৌধুরী পরিবার সবসময়ই গরিব দুঃখী মেহনতি মানুষের পাশে থেকেছে এবং এলাকার উন্নয়ন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমি এখানে এসেছি মানুষ ও এলাকার উন্নয়ন করতে। কোনো ক্ষমতার কাছে আপনারা মাথা বিক্রি করবেন না। কোনো অপশক্তি আপনাদের ক্ষতি করতে পারবে না। আমি আপনাদের পাশে আছি এবং আপনাদের নিয়েই নির্বাচনে জয়ী হব। সেসময় সদরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন খান, সদরপুর সরকারি কলেজের সাবেক জিএস শাহ জামাল সাহেব, সদরপুর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবু মোল্লা, কৃষ্ণপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি শুকুর মোল্লাসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ অংশ নেন।


মাগুরায় দেড় বছর পর পরিবারের কাছে ফিরল অপহৃত কিশোর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা

মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার বরুরিয়া গ্রামের হত দরিদ্র কৃষক মো. বাদশা শেখের পুত্র মো. আরশাদুল শেখ (১৪), খানিকটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরকে অপহরণের দেড় বছর পর উদ্ধার করে তার পিতামাতার কাছে ফিরিয়ে দিলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাগুরা আর্মি ক্যাম্প।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাগুরা সদর উপজেলার বেরোইল-পলিতা গ্রামের বাসিন্দা মো. লিটন শেখ আরশাদুলকে নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করে ফরিদপুরে নিয়ে যায়। সেখানে সে আরশাদুলকে নিজের সন্তান পরিচয়ে একটি মৎস্য খামারে কাজে লাগায় এবং তার বেতন নিজেই ভোগ করে।

পরে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে লিটন শেখ আবারও আরশাদুলকে মাগুরা সদরে নিয়ে আসে এবং একটি পোল্ট্রি ফার্মে কাজে লাগায়। এখানেও সে ছেলেটিকে নিজের সন্তান পরিচয় দেয়।

অসহায় বাবা-মা সন্তানের খোঁজ না পেয়ে হতাশার মধ্যে ছিলেন। অবশেষে চলতি বছরের আগস্ট মাসের শেষের দিকে তারা জানতে পারেন, তাদের সন্তানকে মাগুরা সদরে দেখা গেছে। এরপর তারা মাগুরা আর্মি ক্যাম্পে সহযোগিতা চাইলে সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিক তৎপর হয়ে ওঠে।

দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর অবশেষে গত বৃহস্পতিবার মাগুরা আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা সদর থানার কাদিরপাড় এলাকা থেকে অপহৃত আরশাদুলকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে যথাযথ প্রমাণ যাচাই শেষে তাকে তার বাবা-মায়ের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

অপহরণের খবর জানাজানি হলে প্রধান আসামি লিটন শেখ পালিয়ে যায়। তবে সংশ্লিষ্ট পোল্ট্রি ফার্মের মালিক এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানতেন না বলে তাকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ দেড় বছর পর সন্তান ফিরে পেয়ে অসহায় পরিবারটি আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়ে। পাশাপাশি মাগুরা আর্মি ক্যাম্প তাদেরকে আর্থিক সহায়তাও প্রদান করেছে। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর দ্রুত তৎপরতায় জনমনে তাদের প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এলাকাবাসীর মন্তব্য।


ডায়রিয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে নাটোরে আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের ডায়রিয়ায় কারণ জানতে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআরের) চার সদস্যদের চিকিৎসক এবং টেকনোলজিস্ট দল এসেছেন। শুক্রবার দুপুরে ডা. ক্য থোয়াই প্রু প্রিন্সের নেতৃত্বে ডা. মো. রাফিউল হাসান, টেকনোলজিস্ট লক্ষণ কর্মকার এবং আব্দুল কুদ্দুস সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। সেসময় তারা রোগীদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন এবং ডায়রিয়া আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। তবে আইইডিসিআর এর প্রতিনিধি দল গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

সিভিল সার্জন ডা. মুক্তাদির আরেফিন জানান, শুক্রবার পর্যন্ত ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন ১০০জন পুরুষ, ৯৭ নারী ও ৪০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু। ইতোমধ্যে ১০০জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন। নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যাও অনেক কমে গেছে। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার থেকেই নাটোরে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাঠালবাড়িয়া, চৌকিরপাড় ও ঝাঁউতলাসহ আশপাশের এলাকা থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হতে থাকে। রোগী ও তাদের স্বজনরা বলছেন, পৌরসভার সরবরাহ করা পানি খেয়েই তারা অসুস্থ হয়েছেন। তবে পানি পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করে বগুড়ায় জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরে পরিক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেখানের রিপোর্টে জানানো হয় নমুনা পানিতে কোনো ধরনের জীবাণু নেই।


তালায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে লোকসানের আশঙ্কা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় অতিবৃষ্টির কারণে এ বছর গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে লোকসানের মুখে পড়তে পারেন কৃষকরা। তবে গত কয়েক বছর এই চাষে সফলতা পেয়েছেন স্থানীয় চাষিরা।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বালিয়াদহা, তেঁতুলিয়া ও ভায়ড়া গ্রামে কৃষকের ক্ষেতে মাচায় ঝুলছে শত শত তরমুজ। মধুমালা, ব্ল্যাক বেরি, কানিয়া (বাংলালিঙ্ক) জাতের এসব তরমুজের কোনোটি বাজারজাতের উপযোগী হয়েছে, আবার কোনোটি এখনো পরিপক্ব হয়নি। খেতেও এগুলো সুস্বাদু বলে জানান চাষিরা।

বালিয়াদহা গ্রামের তরমুজ চাষি মুনছুর গল্দার জানান, ৯৫ টি তরমুজের মান্দা আছে তার। প্রতিটি মান্দায় দুইটি তরমুজের গাছ আছে। দুইশ হাত মৎস্য ঘেরের আইলে তিনি তরমুজ চাষ করেছেন। এক একটি তরমুজ ৬ থেকে ৭কেজি করে হয়েছে।

প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করছেন। মৎস্য চাষের পাশাপাশি তরমুজ চাষাবাদ করে তিনি লাভবান হচ্ছেন।

তেঁতুলিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্না বিশ্বাস জানান, তিনি কয়েক বছর ধরে তরমুজ চাষ করে আসছেন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। এ বছর তিনি ৮ শতক জমিতে চার জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। এতে তার প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সাধারণত তিনি প্রতি মৌসুমে লাভবান হলেও এ বছর অতিবৃষ্টির কারণে তরমুজ গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তেমন লাভ হবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন।

চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, ধান ও পাট উঠতে চার মাসের বেশি সময় লাগে। কিন্তু তরমুজ মাত্র ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হয়। এজন্য তরমুজ চাষ করে আমরা উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছি।

তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে প্রচুর লাভের সম্ভাবনা থাকায় এটি চাষের জন্য কৃষকেরা আগ্রহী। এ বছর উপজেলায় ৩হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ হয়েছে। বৃষ্টির কারণে কিছু ক্ষতির আশঙ্কা থাকলেও কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। ফলে প্রতি বছর আবাদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।


ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসন সীমানা পরিবর্তনের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ, যাত্রীদের চরম ভোগান্তি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর

ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলার অন্তর্ভুক্ত আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে কেটে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন এলাকাবাসী। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে অবরোধকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই অবরোধ চলবে। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে হাজার-হাজার মানুষ ফরিদপুর-বরিশাল ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে গাছ ফেলে, বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ শুরু করে। এতে দক্ষিণাঞ্চলের যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবরোধ চলতে দেখা গেছে।

তারা ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ড, হামেরদী বাসস্ট্যান্ড ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মুনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড, সুয়াদি বাসস্ট্যান্ড ও ফরিদপুর বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা দক্ষিণপাড় বাসস্ট্যান্ডে সড়কের উপর গাছ ফেলে, বাঁশ দিয়ে বেরিকেট দিয়ে ও টায়ারে আগুন ধরিয়ে এই অবরোধ শুরু করে।

সড়ক অবরোধের ফলে উভয় মহাসড়কে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী যানবাহন আটকে পড়ে। ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ থেকে শুরু হয়ে যানজট প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন আগামী ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩০০টি সংসদীয় আসনের নতুন সীমানা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে। এতে ফরিদপুর-৪ আসনের আলগী ও হামেরদী ইউনিয়নকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করা হয়।

এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় জনগণ রাতেই প্রতিবাদের ঘোষণা দেন এবং শুক্রবার সকালে তা বাস্তবায়ন করেন।

হামেরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খোকন মিয়া বলেন, আমরা কোনোভাবেই ফরিদপুর-২ এ যাব না। আমাদের ফরিদপুর-৪ এ ফিরিয়ে নিতে হবে। আগামী ৭দিনের মধ্যে গেজেট বাতিল না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।

বিএনপির ফরিদপুর-৪ এর সংসদ সদস্য প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, আমরা এই প্রহশন মানিনা। আমার নির্বাচনি আসনে যেই দুইটা ইউনিয়ন বিএনপির ভোট ব্যাংক, সেই দুইটা ইউনিয়নের বিরুদ্ধে কিছু কুচকক্রী মহলের তদবিরের কারণে আমার উক্ত দুইটা ইউনিয়ন কেটে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা সালথা) সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছে। আমরা বিএনপির ভাঙ্গা উপজেলার নেতারা ও জনগনকে সঙ্গে নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুরোধ আগামী রোববার পর্যন্ত অবরোধ শীতল করা হয়েছে। আগামী রোববার আমরা এই গেজেটের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব। আশাকরি অচিরেই আমরা আমাদের দুইটা ইউনিয়ন ফিরে পাব এবং বিএনপির ভোটের রাজনীতিতে এগিয়ে যাবে ইনশআল্লাহ।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ঘটনাস্থলে ছুটে যান ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন ও হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রোকিবুজ্জামান ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। সেসময় ইউএনও মিজানুর রহমান আশ্বস্ত করে বলেন- আমরা ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনসহ উধ্বর্তনদের জানিয়েছি, আশাকরি ভালো সমাধান হবে। তিনি অবরোধকারীদের সড়ক ছাড়ার অনুরোধ করেন। তবে স্থানীয়রা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে এলাকাবাসী।

ভাঙ্গা থানার ওসি আশরাফ হোসেন জানান, ইসির সংসদীয় আসন বিন্যাস গেজেট প্রকাশের পর গত বৃহস্পতিবার থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে ভাঙ্গাবাসী। এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে দলমত নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখে। আমি শুক্রবার সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে অবস্থান করেছি। আইনশৃঙ্খলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে অবরোধকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করেছি।


যথাযোগ্য মর্যাদায় বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ এর ৫৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন করলো বিজিবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী তৎকালীন ইপিআরের ল্যান্স নায়েক শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ এর অবিস্মরণীয় অবদানকে চিরস্মরনীয় করে রাখার জন্য প্রতিবছরের ন্যায় এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় তাঁর ৫৪তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

অদ্য ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সকালে বিজিবির যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) এর উপ-অধিনায়ক মেজর নূর উদ্দিন আহমাদ শার্শা উপজেলার কাশিপুরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এর সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় বিজিবির একটি সুসজ্জিত দল 'গার্ড অব অনার' প্রদান করে। পরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এর রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এসময় বিজিবি অন্যান্য কর্মকর্তা ও সৈনিকবৃন্দ, বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারবর্গ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল জেলার মহেষখোলা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মোহাম্মদ আমানত শেখ এবং মাতার নাম জেন্নাতুনেছা। নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর) এ যোগ দেন। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ৮ নম্বর সেক্টর, যশোরের অধীনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ২৫ মার্চ ১৯৭১ এর পর যখন মুক্তিবাহিনীকে সুসংগঠিত করা শুরু হয় তখন তিনি যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার গোয়ালহাটি গ্রামে স্থাপিত একটি ক্যাম্পের অধিনায়কের দায়িত্ব পান। নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৭১ সালের ০৫ সেপ্টেম্বর গোয়ালহাটি গ্রামের এক প্রান্তে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে শহীদ হন। তিনি দুজন সঙ্গী নিয়ে গোয়ালহাটি গ্রামের অনতিদূরে ছুটিপুর ঘাঁটি টহল দেয়ার সময় পাকবাহিনী তাঁদের আক্রমণ করে। নূর মোহাম্মদ শেখ তাঁর টহল দলটিকে রক্ষার প্রাণপণ চেষ্টা করেন। পাকবাহিনীর গুলিতে সহযোদ্ধা নান্নু মিয়া গুরুতর আহত হলে নূর মোহাম্মদ শেখ হাতে এলএমজি এবং কাঁধে গুরুতর আহত সঙ্গীকে নিয়ে শত্রুবাহিনীর দিকে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে নিরাপদ জায়গায় যেতে থাকেন। হঠাৎ শত্রুর দুই ইঞ্চি মর্টারের আঘাতে তাঁর হাঁটু ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। তাঁর সঙ্গীরা যেন প্রতিরক্ষা ঘাঁটিতে পৌঁছাতে পারেন সেজন্য মারাত্মক আহত অবস্থায়ও নূর মোহাম্মদ শেখ গুলি চালাতে থাকেন এবং এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। যশোরের শার্শা থানার কাশিপুর গ্রামে এই বীর যোদ্ধাকে সমাহিত করা হয়। নূর মোহাম্মদ শেখ নিজের প্রাণের বিনিময়ে সহযোদ্ধাদের জীবন রক্ষা করেছিলেন। তাঁর এই অপরিসীম বীরত্ব, সাহসিকতা ও দেশপ্রেমের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সর্বোচ্চ সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করে।


মাগুরায় দেড় বছর পর অপহৃত কিশোর উদ্ধার,পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিলো সেনাবাহিনী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা :-

মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার বরুরিয়া গ্রামের হত দরিদ্র কৃষক মোঃ বাদশা শেখের পুত্র মোঃ আরশাদুল শেখ (১৪), খানিকটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরকে অপহরণের দেড় বছর পর উদ্ধার করে তার পিতামাতার কাছে ফিরিয়ে দিলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাগুরা আর্মি ক্যাম্প।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাগুরা সদর উপজেলার বেরোইল-পলিতা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ লিটন শেখ আরশাদুলকে নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করে ফরিদপুরে নিয়ে যায়। সেখানে সে আরশাদুলকে নিজের সন্তান পরিচয়ে একটি মৎস্য খামারে কাজে লাগায় এবং তার বেতন নিজেই ভোগ করে।

পরে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে লিটন শেখ আবারও আরশাদুলকে মাগুরা সদরে নিয়ে আসে এবং একটি পোল্ট্রি ফার্মে কাজে লাগায়। এখানেও সে ছেলেটিকে নিজের সন্তান পরিচয় দেয়।

অসহায় বাবা-মা সন্তানের খোঁজ না পেয়ে হতাশার মধ্যে ছিলেন। অবশেষে চলতি বছরের আগস্ট মাসের শেষের দিকে তারা জানতে পারেন, তাদের সন্তানকে মাগুরা সদরে দেখা গেছে। এরপর তারা মাগুরা আর্মি ক্যাম্পে সহযোগিতা চাইলে সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিক তৎপর হয়ে ওঠে।

দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর অবশেষে ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে মাগুরা আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা সদর থানার কাদিরপাড় এলাকা থেকে অপহৃত আরশাদুলকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে যথাযথ প্রমাণ যাচাই শেষে তাকে তার বাবা-মায়ের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

অপহরণের খবর জানাজানি হলে প্রধান আসামি লিটন শেখ পালিয়ে যায়। তবে সংশ্লিষ্ট পোল্ট্রি ফার্মের মালিক এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানতেন না বলে তাকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

দীর্ঘ দেড় বছর পর সন্তান ফিরে পেয়ে অসহায় পরিবারটি আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়ে। পাশাপাশি মাগুরা আর্মি ক্যাম্প তাদেরকে আর্থিক সহায়তাও প্রদান করেছে।
এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর দ্রুত তৎপরতায় জনমনে তাদের প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এলাকাবাসীর মন্তব্য।


হাইওয়ে পুলিশের হাতে ৫০ কেজি গাঁজাসহ এক ব্যক্তি আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা

ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে হাইওয়ে পুলিশ সদস্যদের হাতে ৫০ কেজি গাঁজাসহ এক ব্যক্তিকে আটক হয়।

আটককৃত ব্যক্তি কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলার মিন্নতনগর এলাকার বাসিন্দা মো: ইব্রাহিম (৩৮)।

শুক্রবার ১১ টায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের আলেখারচর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার।

পুলিশ কর্মকর্তা ইকবাল বাহার জানান, গোপন সংবাদে জানতে পারি
কুমিল্লা সদর দক্ষিন সীমান্ত এলাকা থেকে একটি প্রাইভেট কার যার রেজিষ্ট্রেশন নং- ঢাকা মেট্টো-গ-১৫-৯০৬৪ এর চালক মাদক বহন করে মহাসড়ক দিয়ে ঢাকা নিয়ে যাচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে ময়নামতি ক্রসিং হাইওয়ে থানার এসআই ইকবাল হোসেন এএসআই রাজিবুল আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ প্রাইভেটকারটিকে ব্যারিকেড দিয়ে আটক করা হয় । এসময় প্রাইভেট কারটি তল্লাশি করে প্রাইভেট কারের পেছনের অংশের মধ্যে ২৫ (পঁচিশ) টি পোটলায় প্রতিটিতে ২ কেজি করে মোট ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

পরে আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


কুমিল্লায় বিজিবির অভিযানে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা
কুমিল্লা জেলার সীমান্ত এলাকায় বিজিবি অভিযানে প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যমানের মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে ও একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়।
কুমিল্লা ১০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ শুক্রবার সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিজিবি থেকে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি টহল দল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা মোবাইল ডিসপ্লে ভর্তি কাভার্ড ভ্যান ফেলে পালিয়ে যায়।
পরে বিজিবি সদস্যরা কাবার্ড ভ্যান তল্লাশি করে ১৩ হাজার ৫শ ২৭ পিস মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে জব্দ করে। কাভার্ড ভ্যান ও জব্দ করার ডিসপ্লে গুলোর আনুমানিক মূল্য চার কোটি ৯৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। জব্দকৃত মালামাল গুলো কাস্টমসে জমা দেওয়া হয়েছে।


দৈনিক বাংলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

দৈনিক বাংলা পত্রিকার ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে কেক কেটে দিনটি উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।

জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি বলেন, দৈনিক বাংলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রতিষ্ঠানটিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে পত্রিকাটি আরও এগিয়ে যাবে সেই কামনা করছি।

নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ও এনটিভির প্রতিনিধি বিল্লাল হোসেন রবিন বলেন, দৈনিক বাংলা প্রতিষ্ঠানটিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠান কাজ করে আসছে। আগামীর পথচলা আরও সুদৃঢ় হবে বলে প্রত্যাশা করছি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সাংবাদিক তমিজ উদ্দিন, একাত্তর টেলিভিশনের হাবিবুর রহমান, একুশে টেলিভিশনের রবিউল ইসলাম, বাংলা ট্রিভিউনের আরিফ হোসাইন কনক, দৈনিক বাংলার প্রতিনিধি সেলিম আহমেদ ডালিম, দৈনিক বাংলার ফটো সাংবাদিক পাপ্পা ভট্টাচার্য, প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক সংবাদের প্রণব কৃষ্ণ রয়, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দিদার খন্দকারসহ প্রমুখ।


মাদারীপুরে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাদারীপুর প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মাদারীপুর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মর্তুজা আলম ঢালী ও সাংগঠনিক সম্পাদক গাউছ উর রহমানের নেতৃত্বে বর্ণিল উৎসবে বিশাল আনন্দ র‍্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার মাদারীপুর সদর উপজেলা কমপ্লেক্সের সম্মুখে এ আলোচনা সভা ও আনন্দ র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মর্তুজা আলম ঢালীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক গাউছ-উর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. জাফর আলী মিয়া, সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহান, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. ফারুক বেপারী, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান ফুকু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. শাহাদাত হোসেন হাওলাদার প্রমুখ। এতে জেলা কৃষকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক লালচান, পৌর বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান কিচলু খানসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত হাজার হাজার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশনায় এদেশের মানুষ বিএনপি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপর আস্থা রেখেছে, তাই তারেক রহমানকেই আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় মানুষ। আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি নিরপেক্ষ, অবাধ, শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবে ইনশাআল্লাহ।


নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় ১জনের মৃত্যুদণ্ড

১৭ জনের যাবজ্জীবন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নজরুল ইসলাম বাবু হত্যা মামলায় তাওলাদ ওরফে জহিরুল নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই মামলায় আরও ১৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. মোমিনুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন, তাওলাদ ওরফে জহিরুল। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ জন হলেন, মিজান, মোহাম্মদ আলী, আব্দুল লতিফ, হানিফ, সোহেল, সবুজ, মিলন, সেলিম, গুলজার, লেদা ফারুক, রাসেল, মোমেন, সাদ্দাম, শাহীন, রুহুল আমিন, আবুল, পণ্ডিত।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, ২০১২ সালের ওই হত্যা মামলায় ২৬ জনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে তাওলাদকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া ৬ জন খালাস এবং ২ জন আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন। রায় ঘোষণার সময় একজন আসামি উপস্থিত ছিলেন, বাকি আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২ মে রূপগঞ্জের মাছিমপুর এলাকার নজরুল ইসলাম বাবু (৪৮) মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত নজরুলের বাবা জালালউদ্দিন বাদী হয়ে ভিপি সোহেল ও তার লোকজনদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় বিচার কার্যক্রম শেষে আদালত এই রায় দেন।


দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে দুই শতাধিক খাল-বিল

কোটালীপাড়ায় বিলুপ্তির পথে দেশীয় মাছ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েল, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ)

নিম্নাঞ্চল ও জলাভূমি বেষ্টিত গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক খাল-বিলে এক সময় ভরপুর থাকতো শোল, টাকি, কৈ, শিং, মাগুর, পাঙ্গাস, বোয়াল, চিতল, ফলি, পুটি, খলসে, চুচড়া, মলা, ভুষি চিংড়ি, টেংরাসহ শতাধিক রকমের মাছে। দিন দিন এসকল খাল-বিলগুলো দখল ও দূষণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। যার কারণে দেশীয় এই মাছগুলো এখন বিলুপ্তির পথে।

জানাগেছে, উপজেলার অর্ধশত ছোট-বড় বিলের প্রায় দেড় শতাধিক সরকারি খালের উপর বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে খাল দখল করে মাছের ঘের বানিয়েছে প্রভাবশালী মহল। অন্যদিকে ব্রিজ নির্মাণ ও খাল খনন কাজের জন্য প্রায় ৩০টি খাল বছরের পর বছর বাঁধ দিয়ে রাখায় খালজুড়ে জমাট বেঁধে আছে কচুরিপানা। কচুরিপানা জমে থাকায় পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে স্বাভাবিক গতি হারিয়েছে খালগুলো।

সরেজমিনে দেখা যায়, শুধুমাত্র উপজেলার পিঞ্জুরি ইউনিয়নের কলমুনিয়া খাল, তিতাল বাড়ি খাল, পেত্নীখালী খাল, বাসাখালী খাল, কুমলাবতী খাল, গোদার খাল, পুকুরিয়া খাল, পাথরিয়া খাল, চৌদ্দবুনিয়া খাল, রামমানির খাল, কুইচা মোড়া খাল, চাইর খাল, সিমানার খাল, কাটা খাল, দেওপুরা খালসহ প্রায় ৩০টি খাল বছরের পর বছর দখল করে রেখেছে ১৩ প্রভাবশালী ব্যক্তি। মৎস্য প্রজেক্টের নামে প্রতিটি প্রজেক্টে এদের এক একজনের রয়েছে ৫০ থেকে ১০০টি শেয়ার। সাধারণ মানুষের রয়েছে নামমাত্র শেয়ার। এই খাল দখলে ১৩ ব্যক্তির মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা, ইউপি মেম্বার, বিএনপি নেতাসহ স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।

কোটালীপাড়া উপজেলার রামনগরের বিল, রথিয়ারপাড় বিল, মাছপাড়ার বিল, কুমুরিয়া বিল, বৈকণ্ঠপুর বিল, লখন্ডার বিল, মুশুরিয়ার বিল, পিড়ারবাড়ি বিল, পলোটানা বিল, ধোরাল বিল, চিথলিয়ার বিল, পশ্চিম দীঘলিয়ার বিল, পূর্বপাড়া বিল, চিত্রাপাড়া-শুয়াগ্রাম বিল, সাতুরিয়ার বিল, কান্দি বিল, আশুতিয়ার বিল, পোলশাইর বিল, বর্ষাপাড়া বিল, ছত্রকান্দা বিল, দেওপুরা বিল, সোনাখালি বিল, ফুলবাড়ি বিল, কোনের বাড়ি বিলসহ প্রায় অর্ধশত ছোট বড় বিল রয়েছে। এসবে অধিকাংশেই খাল দখল করে নিয়ে মাছ চাষ করছে প্রভাবশালী মহল।

খালগুলো আটকিয়ে মাছের ঘের করায় ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীরা খাল-বিল থেকে মাছ ধরতে পারছে না। যে কারনে চরম অভাব অনাটনে কাটছে দরিদ্র মৎস্যজীবীদের সংসার।

অন্যদিকে গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া খালটি খননের জন্য ঘাঘর নদীর মোহনায়, কুশলা ব্রিজের নিচে, ধোরালসহ আরো কয়েক জায়গায় জায়গায় প্রায় ১ বছর ধরে বাঁধ দেওয়া হয়। বছর পার হলেও সামান্য কিছু জায়গা খনন করে বন্ধ রয়েছে খনন কাজ। বর্তমানে বাঁধ দেওয়ার কারণে কচুরিপানায় আটকে বন্ধ হয়ে গেছে পানির প্রবাহ।

পুরো খালের পানি পচে যাওয়ায় এই পানি ব্যবহার করতে না পারায় ও মালামাল নিলে খাল দিয়ে চলাচল বন্ধ হওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে খালপাড় এলাকার বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা।

কোটালীপাড়া-পয়সারহাট খালের গচাপাড়া এলাকায় ব্রিজ নির্মাণের জন্য এবং ওয়াবদারহাট এলাকায় স্লুইস গেট নির্মাণের জন্য দুই স্থানে বাঁধ দিয়ে খাল আটকে রাখায় এই খালেরও একই অবস্থা দেখা দিয়েছে। একই অবস্থা গোপালপুর-পিঞ্জুরি খালের। এই খালের পূর্ণবতী ব্রিজ নির্মাণের জন্য ৩ বছর ধরে বাঁধ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে খালটি। এছাড়া কালিগঞ্জ, লখন্ডা, টিহাটি, মান্দ্রা, কুশলাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০ টি খাল ব্রিজ নির্মানের জন্য বছরের পর বছর বাঁধ দিয়ে আটকে রাখায় চরম সমস্যায় হাজার হাজার জনসাধারণ।

মুক্ত জলাশয় থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা মৎস্যজীবী ও সাধারণ জনগণ দ্রুত সময়ের মধ্যে দখলকৃত খাল উদ্ধারের দাবি জানিয়ে গত ১৩ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামানের কাছে গণশুনানিতে অভিযোগ জানিয়েছে কয়েকজন ভুক্তভোগী। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে গত ১৮ আগস্ট খাল উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে কোটালীপাড়ার ইউএনওকে লিখিতভাবে জানানো হলেও কার্যকরী কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গণশুনানিতে খাল দখলের অভিযোগ জানানো শিক্ষার্থী মাহফুজ শেখ।

এনিয়ে কোটালীপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার এস এম শাহজাহান সিরাজ বলেন, কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন খালে বাধঁ দিয়ে মাছচাষ করার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও মৎস‍্য অধিদপ্তরের নজরে এসেছে। এসকল অবৈধ বাঁধ দিয়ে মাছচাষ করার কারণে দেশীয় মাছের প্রজনন ও বিস্তারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দেশীয় মাছের প্রজনন ও উৎপাদন নিশ্চিত করতে এখন থেকে উপজেলা প্রশাসন ও সিনিয়র উপজেলা মৎস‍্য অফিস ও অন‍্যান‍্য সংশ্লিস্ট দপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

কোটালীপাড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার (অ: দা:) মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, এ উপজেলা একটি নিম্ন জলাভূমি এলাকা। এখানে অধিকাংশ জণসাধারণ কৃষি ও মৎস্য কাজে জড়িত। এই এলাকায় প্রচুর মাছের ঘের রয়েছে। যা মৎস্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখে। আমরা এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি। ইতোমধ্যে এই বিষয়ে অভিযান হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।


banner close