বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
১৬ আশ্বিন ১৪৩২

খাগড়াছড়িতে সেই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত পায়নি মেডিকেল বোর্ড

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশিত
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১ অক্টোবর, ২০২৫ ১০:৪৮

খাগড়াছড়িতে অষ্টম শ্রেণির সেই স্কুলছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষায় কোনো ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মেডিকেল বোর্ডের নেতৃত্বে থাকা চিকিৎসক।

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের পরীক্ষায় রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীর শরীরের ভেতরে ও বাইরে ধর্ষণের কোনো চিহ্ন মেলেনি।

২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় ওই শিক্ষার্থীকে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে সদর থানায় মামলা করেন। পর দিন ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ সন্দেহভাজন শয়ন শীলকে (১৯) গ্রেপ্তার করে।

মেডিকেল বোর্ডের নেতৃত্বাধীন খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. জয়া চাকমা বলেন, ধর্ষণের আলামত শনাক্ত করার ১০টি সূচকের সবগুলোই স্বাভাবিক পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে তার সঙ্গে স্বাক্ষর করেছেন আরও দুই চিকিৎসক ডা. মীর মোশারফ হোসেন ও ডা. নাহিদা আক্তার।

খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. ছাবের আহমেদ জানান, প্রতিবেদনটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে সেনা রিজিয়ন কমান্ডাররা অভিযোগ করেছেন, ইউপিডিএফ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড় অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

খাগড়াছড়ি সেনানিবাসে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেন, ধর্ষণের ঘটনাকে পুঁজি করে ইউপিডিএফ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে, যা বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।

গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম রানা বলেন, পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পেছনে ইউপিডিএফ দায়ী। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ঘটনার পর জুম্ম ছাত্র-জনতা অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধ ডাকে। তবে দুর্গাপূজা ও প্রশাসনের আশ্বাসে তা আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

গত কয়েকদিনের সংঘাতে তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ স্থানীয়রাও আহত হয়েছেন। সহিংসতায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি অফিস, দোকানপাট, বসতঘর, গুদাম ও মোটরসাইকেল। বর্তমানে খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে।


রাজধানীর ঢাকেশ্বরী ও রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী রাজধানী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঢাকেশ্বরী ও রমনা কালী মন্দিরে দুর্গাপূজা পরিদর্শন করেছেন।

বিজিবি মহাপরিচালক আজ বুধবার (০১ অক্টোবর) সকালে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে পূজার সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য রাজধানী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঢাকেশ্বরী মন্দির এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বহির্ভাগে অবস্থিত রমনা কালী মন্দিরে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক সনাতন ধর্মাবলম্বীদেরকে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানান এবং ঢাকেশ্বরী ও রমনা কালী মন্দিরের সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় বিজিবি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন এন্ড ট্রেনিং) এবং ঢাকা সেক্টর কমান্ডারসহ বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ও সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অত্যন্ত সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবিও দুর্গাপূজার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। বিজিবি সীমান্তবর্তী দুই হাজারের অধিক পূজামন্ডপের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের অন্যান্য বড় বড় পূজামন্ডপের নিরাপত্তায় দায়িত্বও পালন করছে। যার যার ধর্মীয় উৎসব সবাই যাতে নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে পারে সেলক্ষ্যে বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে। আর একটা দিন বাকি আছে, বাকি সময়টুকুতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবারের দুর্গাপূজা অত্যন্ত সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বিজিবি মহাপরিচালক।

উল্লেখ্য, গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ থেকে বিজিবির ৪৩০ প্লাটুন সদস্য রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় ২৪টি বেইজ ক্যাম্প স্থাপন করে সর্বমোট ২,৮৭০টি পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। বিজিবি নিয়ন্ত্রণাধীন ২,৮৭০টি পূজামণ্ডপের মধ্যে সীমান্তবর্তী (সীমান্তের ০৮ কিলোমিটারের মধ্যে ও পার্বত্য অঞ্চলের ১৫টি পূজামণ্ডপসহ) রয়েছে ১,৪১৭টি এবং সীমান্তবর্তী এলাকার বাইরে রয়েছে ১,৪৫৩টি পূজামণ্ডপ। সীমান্ত এলাকার বাইরের পূজামণ্ডপসমূহের মধ্যে রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ৪৪১টি, চট্টগ্রাম মহানগরী, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়ায় ৬৯৪টি এবং দেশের অন্যান্য স্থানে ৩১৮টি পূজামণ্ডপ বিজিবির নিয়ন্ত্রণাধীন রয়েছে।

পূজা উপলক্ষে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি ও বিশেষ টহল পরিচালনা করছে বিজিবি। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতেও কাজ করছে বিজিবি।


নির্বাচনে পুলিশের সক্ষমতা তৈরি ও ফ্যাসিস্ট মোকাবিলাই বড় চ্যালেঞ্জ: আইজিপি

বক্তব্য রাখছেন আইজিপি বাহারুল আলম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

‎বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর পুলিশ যে ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল সেখান থেকে গত এক বছরে অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। সামনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য পুলিশের সক্ষমতা তৈরি করা এবং ফ্যাসিস্টদের মোকাবিলা করাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
‎গতকাল মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘এমন একটি বিপ্লবের পরে পুলিশ তাদের স্টেশন ত্যাগ করেছে। সেখান থেকে পুলিশ আজকের অবস্থানে নিয়ে আসা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা চাচ্ছি, অন্তত নির্বাচনটাকে নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর করার জন্য আমাদের যে সক্ষমতা আছে সেটা দিয়েই কাজ করব। আমার বিশ্বাস আমরা সেটা পারব। এই যে আমার করতে পারার যেই প্রচেষ্টা, সেটা করতে পারাটা, এটা সফল হওয়া, এই জায়গাটাই আমি চ্যালেঞ্জ মনে করছি। আমি কিন্তু পালিয়ে যাচ্ছি না। এই চ্যালঞ্জগুলো নিয়েই সামনে এগিয়ে যাব এবং সফল হব।’
‎নির্বাচন চ্যালেঞ্জ হওয়ার পেছনে কী শক্তি রয়েছে সেই বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘কোন শক্তি সেটা আমি এখন বলতে পারব না। এখানে অনেক লোক, অনেক দল ও গোষ্ঠী রয়েছে। যারা পরাজিত ফ্যাসিস্ট তারা অবশ্যই একটা দল। এই দলের যারা সদস্য, সমর্থক, তারা তো অবশ্যই স্বাভাবিকভাবেই একটি বিরোধী শক্তি।’
দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা সম্পর্কে আইজিপি বলেন, ‘সারাদেশে ৩১ হাজার ৬০৬টা মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে সমান গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। ছোট যেকোনো ইস্যুতে খবর পেলেই আমরা গিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
গতরাত পর্যন্ত বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ৪৯টি ঘটনা ঘটছে। তবে কোনোটাই বড় কোনো বিপত্তি সৃষ্টি করেনি। এসব ঘটনায় ১৫টা মামলা হয়েছে এবং ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে আইজিপি বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অপর দুজন পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মামলা হওয়ার পরও এটাকে ইস্যু করার চেষ্টা করছে কেউ কেউ।’
জুলাই আন্দোলনের হতাহতের ঘটনায় মামলা সম্পর্কে আইজিপি বলেন, ‘১ হাজার ৭৬৯টি মামলার মধ্যে ৫৫টির চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি হত্যা মামলা এবং ৩৭টি অন্যান্য মামলা। মামলা তদন্ত শেষ করতে প্রায় এক বছর লেগেছে।’ বাকি মামলাগুলো তদন্ত কবে শেষ হবে তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।


ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এ বছরের ডিসেম্বরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে নিজের দপ্তরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কবে চালু হবে জানতে চাইলে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাশিয়াকে নভেম্বরে চালু করার জন্য চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা জানিয়েছে ডিসেম্বরে চালু করবে।’
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি চলে এসেছে। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) একটা দল পর্যবেক্ষণ করে কিছু সুপারিশ করেছে। আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করছি। তারা আবার এসে ফাইনাল সম্মতি দেবে।’
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম কত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
পদ্মা নদীর তীরে পাবনায় অবস্থিত এ দুই-ইউনিটের প্ল্যান্টটি রাশিয়ার নির্মিত ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টর রয়েছে, যা দুই ইউনিটে মোট ২,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম।
রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে, যেখানে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) নিরাপত্তা মান, প্রাসঙ্গিক দিকনির্দেশনা ও আন্তর্জাতিক সেরা অনুশীলন অনুসরণ করা হচ্ছে।
২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর নির্মাণকাজ শুরু হয়।


২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট এতে চরম ভোগান্তিতে যাত্রী ও যানবাহন চালকরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের অংশে ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রী এবং যানবাহন চালকরা।

জানা যায়, বুধবার ভোররাতে মহাসড়কের মোগড়াপাড়া এলাকায় চট্টগ্রামগামী লেনে একটি যানবাহন বিকল হয়ে যানজটের সূত্রপাত হয়। সকালে কিছুটা যানজট কমলেও দুপুর থেকে আবারও তীব্র হয়েছে যানজট। অসহনীয় যানজেট আটকা পড়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ লক্ষ্য করা গেছে। দীর্ঘক্ষণ একই স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে যাত্রীবোঝাই দূরপাল্লার সব যানবাহন।

যানজটে আটকে পড়া কুমিল্লার চাঁদপুর যাত্রী মোঃ আনোয়র দৈনিক বাংলাকে জানান, ‘সকালে ঢাকা থেকে বাসে উঠে শিমরাইলে এসে যানজটে ৩/৪ ঘণ্টা আটকা পড়েছি।’

আছিয়া আক্তার নামে এক যাত্রী বলেন, ‘নিলাচল পরিবহনে শিমরাইল থেকে উঠেছি। কাঁচপুর পার হতে ২ ঘণ্টা সময় লেগেছে। এখনও যানজটে পড়ে আছি। গাড়ির নড়ছেই না। পুলিশ কী করছে জানি না।’

নোয়াখালীর যাত্রী ইউসুফ ও কাজী সোহেল বলেন, ‘শিমরাইল থেকে হিমাচল পরিবহনের একটি বাসে সকাল ১০টায় উঠি। কিন্তু ৫ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লেগেছে ২ ঘণ্টা। কখন নোয়াখালী পৌঁছাবো তার হিসেব নেই। মহাসড়কে পুলিশ ঠিকমতো কাজ করলে এমনটা হওয়ার কথা নয়।’

হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘মোগড়াপাড়া ও দড়িকান্দি এলাকায় বড় গাড়ি বিকল হওয়াতে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এর পাশাপাশি ছুটি উপলক্ষে মহাসড়কে গাড়িরও দ্বিগুণ চাপ রয়েছে। সাইনবোর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছিল যানজট। বুধবার দুপুর থেকে যানজট কমতে শুরু করেছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ‘গাড়ি বিকল হওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টি, অপরদিকে পূজা উপলক্ষে ছুটি থাকায় মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।’ আমরা হাইওয়ে পুলিশ ভোররাত থেকে যানজট নিরসনে কাজ করছি জানিয়ে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এখন যানজট অনকেটাই কেটে গেছে। ধীরগতিতে যানবাহন চলছে।


রাঙামাটির লংগদুতে নৌকা ডুবিতে দুজনের মৃত্যু, এক শিশু নিখোঁজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় কাপ্তাই হ্রদে ঝড়ো বাতাসে নৌকা ডুবে এক শিশু ও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অারও এক শিশু। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার গুলশাখালী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ,মাইনীমুখ ইউনিয়নের এফআইডিসি টিলা এলাকার বাসিন্দা মো. রানা (৮) এবং আছিয়া আক্তার (৩০)। এ ঘটনায় আছিয়া আক্তারের ছেলে মো. মাসুম (৫) এখনো নিখোজ রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, ওইদিন সন্ধ্যায় মাইনীমুখ ইউনিয়নের এফআইডিসি এলাকার কয়েকজন পরিবার-সদস্য গুলশাখালীতে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যান। ফেরার পথে হঠাৎ ঝড়ো বাতাসে তাদের ইঞ্জিনচালিত নৌকা ডুবে যায়। নৌকায় ছিলেন একজন পুরুষ, দুইজন নারী ও দুই শিশু। নৌকা চালক আছির আলী তীরে উঠতে সক্ষম হলেও বাকিরা পানিতে তলিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।

ঘটনার পর খবর পেয়ে রাঙামাটি থেকে আসা ডুবুরি দল উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। উদ্ধার অভিযানে সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনীর লংগদু জোনের সদস্যরাও।

লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, “ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। এখনো এক শিশু নিখোজ আছেন। উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে।


কুমিল্লার এএফসি হেল্থ লিমিটেড হাসপাতাল পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা

কুমিল্লার এএফসি হেল্থ লিমিটেড হাসপাতাল পুনরায় চালুর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে বিনিয়োগকারীরা।

বুধবার (১ অক্টোবর) সকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালটি পুনরায় চালুর জোর দাবি জানানো হয়। পরে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালটি যখন নানা অব্যবস্থাপনা ও সংকটে বন্ধ হওয়ার পথে ছিল, তখন ২৩ জন বিনিয়োগকারী মিলে প্রায় ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে সেটি সচল করেছিলেন। অথচ মালিকপক্ষ এখন চুক্তিভঙ্গ করে নতুনভাবে অন্যদের কাছ থেকে অর্থ নিচ্ছে। এ ধরনের প্রতারণার ফলে বিনিয়োগকারীরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

তারা আরও বলেন, “আমরা নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কুমিল্লাবাসীর স্বাস্থ্যসেবার কথা ভেবে হাসপাতালটি চালু করেছিলাম। অথচ মালিকপক্ষ আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। আমরা অবিলম্বে হাসপাতাল পুনরায় চালুর ব্যবস্থা চাই।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক খায়রুন্নেসা, হাবিবুর রহমান, মামুনুর রশীদ রিপন, জসিম উদ্দিন, মামুনুর রহমান, আসাদুজ্জামান রাসেল, মোজাম্মেল হকসহ আরও অনেকে।

উল্লেখ্য, এএফসি হেল্থ লিমিটেড হাসপাতালটি কুমিল্লা অঞ্চলে হৃদরোগ চিকিৎসায় আধুনিক সরঞ্জামসহ উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে কার্যক্রম শুরু করেছিল।


আমি নোবেল না পেলে সেটা হবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অপমান: ট্রাম্প

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নিজেকে নোবেল শান্তি পুরস্কার না দেওয়া হলে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় অপমান হবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে অপরাধ ও অভিবাসন সমস্যাকে তিনি ‘অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ’ আখ্যা দিয়ে সেনা মোতায়েনের ঘোষণাও দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নিজেকে নানা যুদ্ধ ও সংঘাতের মীমাংসার নেপথ্য নায়ক হিসেবে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার না দেওয়া হলে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হবে বড় এক “অপমান”।

মঙ্গলবার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, “আমি নোবেল পুরস্কার পাব? অবশ্যই না। ওরা সেটা দিয়ে দেবে এমন কাউকে, যে কিছুই করেনি। এটা আমাদের দেশের জন্য বিরাট অপমান।”

ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন ভেতর থেকেই এক ধরনের যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছে। আর সেটি অপরাধ ও অভিবাসন সমস্যার কারণে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের আহ্বানে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মার্কিন জেনারেল ও অ্যাডমিরালদের উদ্দেশে তিনি জানান, ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন বেশ কয়েকটি শহরে অপরাধ দমনে সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করা হবে।

মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা একে একে সেগুলো ঠিক করব। আর এ কাজের বড় অংশের দায়িত্ব নিতে হবে আপনাদের মধ্যে অনেককে। এটাও যুদ্ধ, এটা ভেতর থেকে আসা যুদ্ধ।

ট্রাম্প আরও জানান, তিনি ইতোমধ্যেই সেনাদের জন্য একটি বিশেষ কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্স গঠনের নির্দেশে স্বাক্ষর করেছেন। তার ভাষায়, “কারণ এটা ভেতরের শত্রু, আর তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই আমাদের সামলাতে হবে।”

ট্রাম্প এসময় সংবাদমাধ্যমের ওপরও ক্ষোভ উগরে দেন। এমনকি সাংবাদিকদের “অসম্মানিত বা ঘৃণ্য ব্যক্তি” বলেও আখ্যা দেন তিনি।


ফুলের মালা বিক্রি করে সংসার চালান বৃদ্ধ রশিদ মিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ 

মানুষের কাছে হাত না পেতে বৃদ্ধ বয়সে জীবন সংগ্রামে প্রতিনিয়ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন একাই। জয় পরাজয় বুঝেন না, বাঁচার জন্য খেতে হবে। ঘরে বসে থাকলে খাবার আসবে না। কাজ করেই খেতে হবে। কাজ না করলে ভিক্ষা করে খেতে হবে। মানুষের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করতে আব্দুর রশিদ মিয়ার লজ্জা করে। তাই তো জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও হাল ছাড়েননি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গুতিয়াবো গ্রামের আব্দুর রশিদ (৯০)। বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও প্রতিদিন সকাল পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে তিনি শুরু করেন জীবনের লড়াই। চন্ডীতলা এলাকার এক বকুল গাছের নিচে পড়ে থাকা ফুল কুড়িয়ে তিনি নিজেই মালা গেঁথে বাজারে বিক্রি করেন।

এত ব্যবসা থাকতে ফুল বিক্রি করেন কেন জানতে চাইলে মুচকি হেসে বলেন, একটা সময় আমিও ফুল খুব ভালবাসতাম। আজ সে ভালবাসা পেটের দায়ে টাকায় বিক্রি করি। বাবাগো এত শুধু ফুল বিক্রি না, ভালোবাসা বিক্রি করি, জীবন সংগ্রামের নামে আমি ভালোবাসা বিক্রি করি। ভালোবাসার প্রতিক ফুল। আজো মানুষ ভালোবাসে তাই ফুল কিনা ভালোবাসার মানুষকে দেয়, আমারও ভালো লাগে। আয়ও মন্দ না, চলে যায় মোটামুটি।

প্রতিটি মালা মাত্র ২০ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। দিনের পরিশ্রম শেষে প্রায় এক হাজার থেকে বারোশো টাকা আয় হয় তার। তবে সবদিন সমান যায় না—কখনো বিক্রি কম হয়, আবার কখনো ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে ভালো দামও পান। আব্দুর রশিদ নিজেই স্মৃতিচারণ করে বলেন, “পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকায় একদিন আমি দুইটা মালা নিয়ে গিয়েছিলাম। একজন ক্রেতা খুশি হয়ে আমাকে ৭০০ টাকা দিয়েছিলেন। তখন মনে হয়েছিল, এখনও মানুষ ভালোবাসা দিতে জানে।

৯০ বছরের এই বৃদ্ধের সংসারে রয়েছে দুই ছেলে ও চার মেয়ে। ছেলেরা নিজের মতো কাজকর্ম করেন, তবে সংসারের খরচ টানতে আব্দুর রশিদ এখনো নিজের শ্রমে নির্ভরশীল। রাজধানীর খিলক্ষেত, বসুন্ধরা, পূর্বাচল ৩০০-ফিট, গাউছিয়া—এসব এলাকার রাস্তা ঘুরে ঘুরে তিনি ফুল বিক্রি করেন।

জীবনের কঠিন বাস্তবতা সত্ত্বেও আব্দুর রশিদের মুখে নেই কোনো অভিযোগ। তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, শরীর যতদিন সায় দেবে, ততদিন নিজের হাতেই উপার্জন করে খাবো।

স্থানীয়রা জানান, আব্দুর রশিদ একজন পরিশ্রমী ও সৎ মানুষ। তার বয়সকে অতিক্রম করে কাজ করার ক্ষমতা দেখে অনেকে অনুপ্রাণিত হন। জীবনের সংগ্রাম আর শ্রমের মধ্য দিয়েই তিনি যেন এক জীবন্ত উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন—কষ্টকে জয় করার অদম্য শক্তি নিয়েই তিনি পথ চলছেন।

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, এত বয়সেও উনি কাজ করেন, এ জন্য উনাকে আমার পক্ষ থেকে স্যালুট জানাই। আমার সাথে যোগাযোগ করলে বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করে দিব। অন্যান্য সুযোগ থাকলে তাও দেখব।


পাবনার সাধুপাড়ায় পূর্ব শত্রুতা জেরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা; আটক-১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাবনা প্রতিনিধি

পাবনার সাধুপাড়ায় পূর্ব শত্রুতা জেরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (০১ অক্টোবর) গেল রাত এক টার দিকে সদর উপজেলা দোগাছি ইউনিয়ন দক্ষিণ চর-সাধপাড়া ব্রিজের পাশে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত রায়হান শেখ আকাশ (২৩) পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সে দক্ষিণ চর-সাধপাড়া এলাকার মো: সোহেল শেখ ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, মুক্তারের স্ত্রী কাজ করে বাড়ি ফেরার পথে মিল্লাত নামে এক যুবক উত্তপ্ত করলে আকাশ তার প্রতিবাদ করে। এ নিয়েই বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল রাতে মিল্লাত আব্দুল রশিদ, রাজু পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে কুপিয়ে গুরুতর যখন করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তৃবরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে ।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধার করে থানার মর্গে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুবেল হোসেন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।


শ্রীমঙ্গলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে আব্দুল গফুর শেখ (৪১) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।

বুধবার (১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার মতিগঞ্জ লইয়ারকুল ব্রিজের উপর এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল গফুর ওই প্রাইভেটকারের যাত্রী ছিলেন। তিনি শ্রীমঙ্গল উপজেলার মুসলিমবাগ এলাকার বাসিন্দা।

আহতরা হলেন— লক্ষীনারায়ণ সিং এর ছেলে অজয় সিং (৪২), নিউ পূর্বাসা এলাকার বাসিন্দা, এবং মো. তানভীর হোসেন (জনি), রেলগেইট এলাকার বাসিন্দা। অজয় সিং বর্তমানে মৌলভীবাজার লাইফ লাইন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর তানভীর হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেটে প্রেরণ করা হয়েছে।

শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার মো. নাজিম উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

শ্রীমঙ্গল সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শারমিন দৈনিক বাংলাকে বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।


পূজার ছুটি ঘিরে কুয়াকাটায় বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে আবাসিক হোটেল-মোটেলের ব্যবসা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
 কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটিকে কেন্দ্র করে সূর্যোদয় সূর্যাস্তের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটায় বিপুল সংখ্যক পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটবে। আজকে ব্যাপক পর্যটকের আনাগোনা। ইতোমধ্যে আবাসিক হোটেল মোটেল রিসোর্ট গুলোর অধিকাংশই আগাম বুকিং হয়ে গেছে। এখনো বুকিং এর জন্য অনেক পর্যটকরা যোগাযোগ করছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী সংগঠন হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

মঙ্গলবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত পূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির বন্ধ। চার দিনের এ লম্বা ছুটিকে ঘিরে আবাসিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্টসহ পর্যটন নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো আগত পর্যটকদের বরণে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। ধুয়ে মুছে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।

শারদীয় উৎসবকে ঘিরে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে। এবার পূজোর ছুটিতে লক্ষাধিক লোক সমাগমের আশা করছেন ব্যবসায়িরা। পুজোর ছুটির পর অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যটন মৌসুম শুরু হবে। পূজোর ছুটির মধ্যদিয়ে এ-মৌসুমের ঘাটতি কাটিয়ে উঠবে এমনটাই মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়িরা।

এদিকে বিপুলসংখ্যক পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন কে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ গোয়েন্দা সদস্যদের নজরদারিতে থাকবে সৈকত এলাকা। আগতরা যাতে নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন কতৃপক্ষ।

আগত পর্যটকদের বরণে এরইমধ্যে প্রস্তুত হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ফিসফ্রাই, আচার ঝিনুক, বারমিজ প্রসাধনী ব্যবসায়ীসহ মোট ১৬টি পেশার প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক। দেশের চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আসছে পর্যটন মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটবে বলে জানান পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীরা। এজন্য তারা দেশের অস্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকারের কাছে আহবান জানান তারা।

তা নাহলে পর্যটনে এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবাসিক হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটায় ছোট বড় মিলে আড়াই শতাধিক হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলোর বেশির ভাগই বুকিং রয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোতেও ৫০-৬০ ভাগ আগাম বুকিং রয়েছে। তবে শতভাগ বুকিং হয়ে যাবে এমনটাই আশা তাদের।

আবাসিক হোটেল সৈকত এর ম্যানেজার রাজিব হোসেন জানান, তাদের হোটেলে ৭০টি রুম রয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত একটানা বুকিং রয়েছে। এখনো অনেক পর্যটকরা রুমের জন্য ফোন দিলেও তারা রুম দিতে পারছেন না।

পর্যটন করপোরেশনের মোটেল ইয়ুথ ইন ও হলিডে হোমস কতৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের মোটেলে ৭৭টি রুম রয়েছে। এরই মধ্যে ৯০ ভাগ রুম আগাম বুকিং হয়ে গেছে।

অভিজাত আবাসিক হোটেল সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড বিলাসের এজিএম আল-আমিন খান উজ্জ্বল বলেন, ২৮-৩০ সেপ্টেম্বর ৬০ ভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে।আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত রিসোর্ট এবং ভিলা শতভাগ বুক হয়েছে। এছাড়াও ৪-৬ অক্টোবর পর্যন্ত আশানুরূপ বুকিং রয়েছে।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম. এ মোতালেব শরীফ জানান, চলতি সপ্তাহে দুর্গাপূজা আর সাপ্তাহিক ছুটি মিলে লম্বা ছুটিকে কাজে লাগাতে এরইমধ্যে কুয়াকাটায় থাকা প্রথম শ্রেণির আবাসিক হোটেলের প্রায় শতভাগ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। ছোট-বড় আবাসিক হোটেল গুলোতেও ৬০-৭০ শতাংশ হোটেল কক্ষ হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান জানান, পূজো ও সাপ্তাহিক ছুটিকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটায় প্রচুর সংখ্যক পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। আগত পর্যটক দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত সহ তারা যেন নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারে এজন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ দর্শনীয় স্পটগুলোতে ভ্রাম্যমাণ টহল থাকবে।

কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো ইয়াসিন সাদেক বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় পৌর কতৃপক্ষ, মহিপুর থানা পুলিশ, ব্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সড়ক মহাসড়ক সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেক পোস্টের মাধ্যমে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।


মুরাদনগরে অবৈধ ড্রেজারে মাটি উত্তোলন, হুমকিতে ফসলি জমি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মুরাদনগর (কুমিল্লা)

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার চাপিতলা ইউনিয়নে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এতে একদিকে নষ্ট হচ্ছে উর্বর তিন ফসলি জমি, অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা।

জানা যায়, চাপিতলা গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে মীর আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে ফসলি জমিতে ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করছেন। পাইপলাইন সংযোগ দিয়ে উত্তোলিত মাটি কখনো অন্য ফসলি জমি, আবার কখনো পুকুর বা গর্ত ভরাটে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে তিন ফসলি জমি জলাশয়ে পরিণত হয়ে আশপাশের কৃষি জমি চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

অপর দিকে উপজেলার সিমানাপাড় ২টি ড্রেজার, কোরবানপুর জিএম উচ্চবিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে পুকুরের ভেতরে ১টি ও তার আরও ৪০০ মিটার দক্ষিণে ২ এবং কোরবানপুর নতুন কবরস্থানের পাশে ১টি ড্রেজার দেদারসে চলছে।

অভিযোগ রয়েছে, ড্রেজার সিন্ডিকেট প্রথমে একটি জমিতে গর্ত সৃষ্টি করে, পরে আশপাশের জমি ভেঙে পড়তে শুরু করলে মালিকদের জিম্মি করে কম দামে জমি বিক্রিতে বাধ্য করা হয়। এতে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এলাকাবাসীর দাবি, অবৈধ ড্রেজিং কার্যক্রমে শুধু জমিই নয়, আশেপাশের রাস্তা ও ঘরবাড়িও হুমকির মুখে পড়েছে। দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানান তারা।

সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস জানান, আলমগীর বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এই ড্রেজার ব্যবসা করছে যা খুবই নিন্দনীয়। আমরা চাই এই এলাকায় কোণো ড্রেজার না চলুক।

অভিযুক্ত ড্রেজার ব্যবসায়ী মীর আলমগীর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমি ড্রেজার ভাড়ায় এনেছি আমার নিজস্ব জমি ভরাটের জন্য।

মুরাদনগরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাছান খান বলেন, ‘অবৈধ ড্রেজিং বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


banner close