বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
১৬ আশ্বিন ১৪৩২

কাপাসিয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডে অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত
কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১ অক্টোবর, ২০২৫ ২১:৪৭

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা সদর বাজারে রং, হার্ডওয়্যার ও লোহালক্করের দোকানে আগুন লেগে ৫ দোকান ভস্মিভূত হয়েছে। বুধবার সকাল পৌঁনে দশটার দিকে ইলেকট্রিক সর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, উপজেলা সদর বাজারের পূর্ব দিকে পুরাতন মাছ বাজার সংলগ্ন গৌতম বনিকের রং মেলা, লিটন কুমার বনিকের জিএনজি নামক ইলেকট্রিক সামগ্রী দোকান, লিটন ঘোষ, সুশান্ত মল্লিক ও শীতল মন্ডলের লোহালক্করের দোকানে আগুন লেগে মূহুর্তের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা আধা ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে উল্লেখিত ৫টি দোকানের সমস্ত মালামাল ভস্মিভূত হয়।

উপস্থিত কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসের হাউজ অ্যায়ার ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধা ঘন্টার মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু বাজারের ভিতরে যাবার রাস্তা সরু এবং রাস্তার উপর দোকানের মালামাল রাখায় গাড়ি ঢুকতে একটু সময় লেগেছে। তাছাড়া দাহ্য পদার্থ হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকানীদের ভাষ্যমতে গৌতমের রং মেলায় ২৫-৩০ লাখ টাকা, লিটন বনিকের ৮ লাখ টাকা, লিটন ঘোষের ৮০ হাজার টাকা, সুশান্ত মল্লিকের ২ লাখ টাকা ও শীতল মন্ডলের ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ইলেকট্রিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। নিয়ম থাকা সত্ত্বেও দোকানে কোনো ধরণের আগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ঘটনার সাথে সাথেই কাপাসিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে শৃঙ্খলা বজায় রেখে সহযোগিতা করেছেন।

আগুন লাগার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডা. তামান্না তাসনিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।


কাপ্তাই হ্রদে নৌকা ডুবে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটির লংগদুতে বাড়ি ফেরার পথে কাপ্তাই হ্রদে আকস্মিক ঝড়ে নৌকা ডুবিতে এক নারী ও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দিনব্যাপী অভিযানে ডুবে যাওয়া এক শিশু ও এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুড়ি দল। গত মঙ্গলবার রাতে আকস্মিক ঝড়ো বাতাসের মুখে পড়ে লংগদু উপজেলার গুলশাখালী থেকে মাইনীমুখে ফেরার নৌকা। ফলে নৌকায় থাকা স্থানীয় বাসিন্দা আছর উদ্দিন ও আরজ আলীর পরিবার এ দুর্ঘটনার শিকার হয়।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন আছর উদ্দিনের স্ত্রী শিরিনা বেগম (৪০) ও আরজ আলীর শিশু সন্তান রানা (৭)। পরে দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে শিশু মাসুম (৫) কে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের দল।

জানা যায়, কাপ্তাই হ্রদে হঠাৎ ঝড় শুরু হলে নৌকায় থাকা ৫ জনের মধ্যে দুই শিশুসহ তিনজন নিখোঁজ হয়। বাকি দুজন আছর উদ্দিন ও সালমা সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে। এরপর বুধবার সকালে নিখোঁজ নারী শিরিনা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। পরবর্তীতে নিখোঁজ অপর শিশু মাসুমকে উদ্ধার করছেন ডুবুরি দলের সদস্যরা।

লংগদু ফায়ার সার্ভিসের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, ‘স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন। আমাদের ডুবরি দল রাঙামাটি থেকে এসে সকালে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। নিখোঁজ নারী ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’

লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর হোসাইন জানান, ‘গুলশাখালী এলাকায় নৌকা ডুবে দুই শিশুসহ তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।’

এদিকে প্রায়ই একই সময়ে লংগদুর কাট্টলী বিল এলাকায় তিনটি মাছ ধরার নৌকা উল্টে দুর্ঘটনার শিকার ৬ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা।


দুর্গোৎসব বাঙালির ঐক্যের প্রতীক: উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

দুর্গাপূজা শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি এখন বাঙালির প্রাণের উৎসব সমাজে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। তাই এ উৎসব উদযাপনে রাষ্ট্র, প্রশাসন ও জনসাধারণ একযোগে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক।

তিনি বলেন, ধর্মমত নির্বিশেষে বহুকাল ধরে আমরা বাঙালিরা দুর্গোৎসব উদযাপন করে আসছি। সে হিসেবে সনাতনীদের জন্য এটি দুর্গাপূজা হলেও, সমাজের জন্য এটি এক আনন্দঘন দুর্গোৎসব। তাই এই উৎসবকে ঘিরে রাষ্ট্র, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী এবং স্থানীয় জনসাধারণ একসঙ্গে কাজ করছে, যেন নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবটি শেষ করা যায়। বুধবার দুপুর ২টায় আনোয়ারা উপজেলার সদর ইউনিয়নের জয়কালী বাজার কচিকাঁচা পূজামণ্ডপ এবং রামকৃষ্ণ-সারদা সেবাশ্রম পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক বলেন, ধর্মমত নির্বিশেষে বহুকাল ধরে আমরা বাঙালিরা দুর্গোৎসব উদযাপন করে আসছি। সে হিসেবে সনাতনীদের জন্য এটি দুর্গাপূজা হলেও সমাজের জন্য এটি দুর্গোৎসব। তাই এই দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে রাষ্ট্র, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী এবং স্থানীয় সকল জনসাধারণ একাকার হয়ে আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত আছে যাতে নির্বিচ্ছন্নভাবে এই উৎসব সমাপ্ত হয়। বুধবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের জয়কালী বাজার কচিকাঁচা পূজামণ্ডপ এবং রামকৃষ্ণ-সারদা সেবাশ্রম পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি দীপক কুমার পালিত, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) পাঠান মো. সাইদুজ্জামান, চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার মো.সাইফুল ইসলাম সানতু, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল পালিত, আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উমা খান কাফি, আনোয়ারা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাগর মিত্র, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ ধর উপস্থিত ছিলেন।


গোয়ালন্দে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১০ ঘর আগুনে পুড়ে ছাই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপঁচা ১নং আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৭নম্বর শেড আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আগুন লাগলে মুহুর্তের মধ্যে সব পুড়ে যায়। এই শেডের ১০টি কক্ষে ১০টি পরিবার বসবাস করতো। তবে গত মঙ্গলবার রাতে সাতটি পরিবার ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুনের তাপে তাদের ঘুম ভেঙে গেলেও ঘর থেকে কিছুই বের করতে পারেনি।

আগুনের খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবি, অন্তত ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে তাদের। এসব অসহায় দরিদ্র পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

সরেজমিন দেখা যায়, তেনাপঁচা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৭নম্বর শেডের সম্পূর্ণ পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। ঘরের সকল জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। অনেকে ঘরে থাকা পোড়া জিনিসপত্র নেড়ে চেড়ে দেখছেন। কেউ পোড়া জিনিসপত্র সরানোর চেষ্টা করছেন। কেউ নিজের শেষ সম্বল হারিয়ে আহাজারি করছেন। আবার পরিবারের ছোট্ট শিশু শিক্ষার্থী স্তুপ থেকে তার পোড়া বই খুঁজে বের করছেন।

আরেক বাসিন্দা সাহেদা খাতুন আহাজারি করা অবস্থায় বলেন, তার ৯মাস বয়সী একমাত্র সন্তান স্বাধীনকে ফেলে স্বামী ফারুক শেখ ফেলে যান। ছেলেকে বিদেশে পাঠাবেন বলে অনেক কষ্টে রাস্তায়, মানুষের বাড়ি কাজ করে দুই লাখ টাকার বেশি জমিয়েছিলেন।

এদিকে খবর পেয়ে বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি ও রাজবাড়ী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আসলাম মিয়া ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারের মাঝে ১ বস্তা করে চাউল, শুকনো খাবার, কাপড় ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ত্রাণ সহায়তার জন্য তালিকা প্রস্তুত করে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।


পূজায় সন্তোষজনক নিরাপত্তা, আসন্ন নির্বাচনে সমন্বিত নিরাপত্তার গ্রীন সিগন্যাল: আনসার-ভিডিপি মহাপরিচালক

আপডেটেড ১ অক্টোবর, ২০২৫ ২২:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ আজ বুধবার টাঙ্গাইল ও গাজীপুর জেলার দুটি গুরুত্বপূর্ণ পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন। সফরকালে তিনি পূজা মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা প্রস্তুতিতে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, পূজা উপলক্ষে গড়ে ওঠা সমন্বিত নিরাপত্তা ধারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য ইতিবাচক বার্তা বা গ্রিন সিগন্যাল। দুর্গোৎসবে জনগণের ঐক্য ও বাহিনীর সতর্ক ভূমিকার কারণেই সব ধরনের গুজব ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে।
প্রথমে মহাপরিচালক টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী দানবীর রণদাপ্রসাদ সাহা পূজা মণ্ডপে যান। বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে মণ্ডপে পৌঁছান। পরিদর্শনকালে তিনি নিরাপত্তা প্রস্তুতিতে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করে কর্তব্যরত আনসার-ভিডিপি এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন।


মহাপরিচালক বলেন, “পূজা মণ্ডপগুলোর নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আনসার ও ভিডিপি সদস্যরাই মণ্ডপের প্রাথমিক প্রতিরোধশক্তি।” নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা অধিক হলে পরিস্থিতির প্রয়োজনে অন্যান্য বাহিনীর সাথেও তৎক্ষণাৎ তথ্য বিনিময় করা হচ্ছে, যাতে করে যেকোনো পরিস্থিতি সমন্বিতভাবে মোকাবেলা করা যায়।
উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, “শারদীয় দুর্গোৎসবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেভাবে সজাগ দায়িত্ব পালন করছেন, একই ধারা বজায় থাকলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনেও ইতিবাচক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি থাকবে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনী একসাথে কাজ করছে, পূজাকে ঘিরে যে সমন্বিত ধারা তৈরি হয়েছে তা ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য এক ইতিবাচক বার্তা বা গ্রিন সিগন্যাল।”
টাঙ্গাইলের পরিদর্শন শেষে মহাপরিচালক গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরের শ্রী শ্রী সার্বজনীন গৌর হরি মন্দিরে যান। সেখানে তিনি উৎসবমুখর পরিবেশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার দৃঢ়তা প্রত্যক্ষ করেন এবং উপস্থিত জনসাধারণের সঙ্গে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি বলেন, “জনগণের ঐক্য, প্রশাসনের সমন্বয় এবং বিভিন্ন বাহিনীর নিরলস দায়িত্বপালনের কারণে সব ধরনের গুজব ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে।" মহাপরিচালকের এ সফর স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও পূজা উদযাপন কমিটির মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টার গুরুত্ব আরও জোরদার করেছে।


পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. আশরাফুল আলম (উপমহাপরিচালক, আনসার ও ভিডিপি, ঢাকা রেঞ্জ), শরীফা হক (জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, টাঙ্গাইল), মো. মিজানুর রহমান (পুলিশ সুপার, টাঙ্গাইল), কাউছার আহাম্মেদ (উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কালিয়াকৈর, গাজীপুর), কুমুদিনী কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা এবং আনসার-ভিডিপির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।


নিরাপদে পূজা উদযাপনে আশাবাদ আনসার-ভিডিপি মহাপরিচালকের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ গত মঙ্গলবার নরসিংদীর মাধবদি থানার শ্রী শ্রী গৌরি-নিতাই আখড়া ধাম পূজামণ্ডপ এবং নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার চীনতলা চণ্ডী মন্দির সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন। শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৫ উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং নিশ্চিতকরণের অংশ হিসেবেই এ পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হয়। শারদীয় দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। যেকোনো উসকানি ও গুজব প্রতিহত করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা হয়েছে।

নরসিংদীতে পরিদর্শনকালে মহাপরিচালক পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। তিনি দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার-ভিডিপি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং দায়িত্ব পালনে সতর্কতা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। এসময় তিনি বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে রয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য যেকোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে আনসার-ভিডিপি সর্বদা সজাগভাবে দায়িত্ব পালন করছে।’

নরসিংদীতে কর্মসূচি শেষে মহাপরিচালক নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার চীনতলা চণ্ডী মন্দির সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন।

তিনি আরও জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনেও এই সম্মিলিত নিরাপত্তা প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী জনগণের বাহিনী হিসেবে সকল নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে একযোগে যেকোনো নিরাপত্তাবিঘ্নকারী প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে সক্ষম হবে। মহাপরিচালক আশা প্রকাশ করেন যে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ নির্বিঘ্নে শারদীয় দুর্গাপূজার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।

মহাপরিচালকের এ পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন উপমহাপরিচালক (অপারেশন) মো. সাইফুল্লাহ রাসেল, উপমহাপরিচালক (ঢাকা রেঞ্জ) মো. আশরাফুল আলম, নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, নরসিংদী পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলম, মেজর এ কে এম রিয়াদুল ইসলাম (উপ-অধিনায়ক, ৫১ এমএলআরএস রেজিমেন্ট আর্টিলারি), নারায়ণগঞ্জ জেলা কমান্ড্যান্ট কানিজ ফারজানা শান্তা, নরসিংদী জেলা কমান্ড্যান্ট এস. এম. আকতারুজ্জামান এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা।


হরিরামপুরে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে সারের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে কৃষকদের কাছে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ডিলারদের বিরুদ্ধে। নিয়ম অনুযায়ী ক্যাশ মেমো দিয়ে সার বিক্রি করার কথা থাকলেও তা মানছেন না অনেক ডিলার। অভিযোগ রয়েছে, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি বস্তায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি নিচ্ছেন তারা। এমনকি অপরাধ ঢাকতে ক্যাশমেমোতে সঠিক দাম লিখলেও ক্যাশমেমোর পেছনে অতিরিক্ত দাম লিখে বস্তাপ্রতি ২০০/২৫০ টাকা নিচ্ছে। আর সেইসাথে অপ্রয়োজনীয় কিটনাশক জোর করে চাপিয়ে দিচ্ছে। কিটনাশক না নিলে বাড়তি আরও ২০০ টাকা জোর করেও নিচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর উপজেলার চরাঞ্চলে সারের বেশি চাহিদা বলে ডিলার থাকতেও ঝিটকা, আন্ধারমানিক, লেছড়াগঞ্জ, কান্ঠাপাড়া বাজার থেকেও বাধ্য হয়ে সার নিতে হচ্ছে কৃষকদের।

উপজেলার লেছড়াগঞ্জ চর, আজিমনগর, হারুকান্দিসহ কয়েকটি ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডিলারদের সিন্ডিকেট আর লুটপাটে অসহায় কৃষকের আর্তনাদ যেন কেউ দেখার নেই। অথচ উপজেলা ভিত্তিক প্রতি ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সারের খুচরা ডিলার থাকলেও বড় ডিলারদের সিন্ডিগেটে খুচরা ডিলাররা অসহায় আর লুটপাটের কাছে হেরে যাচ্ছে।

পাটগ্রামের কৃষক সুমন মিয়া জানান, প্রতিবস্তা ইউরিয়া সারের ১৩৫০ টাকা সরকারি দামে থাকলেও আজ আমি ঝিটকা বাজার থেকে ‘মেসার্স পলাশ ট্রেডার্স’ বস্তাপ্রতি ১৫০ টাকা করে বেশি রাখে। আর এমওপি বস্তাপ্রতি ১ হাজারের পরিবর্তে ১১৫০ আর ডিএপি ১২শ টাকা রাখে। ক্যাশমেমোতে লেখা সঠিক থাকলেও অপরপাতায় ১৫০/২০০ টাকা করে বেশি রেখেছে। তাছারা কিটনাশক নিতেও বাধ্য করেছে আমাকে। এরকম ঝিটকা বাজারে গত দুইবছর যাবৎ চলছে নিয়মিত। আর কোথাকার ডিলার কোথায় হতে সার বিক্রি করে, সেটাও আমরা বুঝতে পারিনা।

আরেক কৃষক রনি মিয়া বলেন, সারের বাড়তি দামে আমাদের মতো কৃষকদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। মৌসুমের শুরুতেই স্থানীয় বাজার থেকে সরকারি দামের চেয়ে কেজি প্রতি ২ থেকে ৫ টাকা বেশি দিয়ে সার কিনতে হচ্ছে, যা উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা আর কৃষি কাজ করুম না।

লেছড়াগঞ্জের কৃষক হারুনার রশিদ বলেন, ঝিটকা বাজারের সারের ডিলারেরা আমাদের জিম্মি করে গত এক বছরেই কোটিপতি হয়ে গেছে। তারা ঘাম ঝরানো অসহায় কৃষকের রক্ত চুষে খাচ্ছে। দেখার কেউ নেই। দেশে বিভিন্ন দলের দলীয় নেতা মস্তান আছে, তারা পদ পদবী পেয়ে আমাদের মত অসহায় কৃষকের পাশে নেই।

ঝিটকা বাজারের কয়েকজন সারের ডিলারের সাথে বক্তব্যের জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, তারা জানান, এসে দেখা করেন। আর সাংবাদিক পরিচয় দিলে রং নাম্বার বলে ফোন কেটে দেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌহিদুজ্জামান জানান, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রয়ের সুযোগ নেই। আমরা মনিটরিং করছি নিয়মিত। অ্যাসিল্যিান্ডের সাথে কথা বলে অতি দ্রতই ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। যারা সারের দাম বেশি নেবে, তাৎক্ষনিকভাবে আমরা জানতে পারলে সাথে সাথেই ব্যবস্থা গ্রহণ


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের অংশের ২৩ কি.মি সড়কে

ভয়াবহ যানজট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের অংশে ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রী এবং যানবাহন চালকরা। জানা যায়, বুধবার ভোররাতে মহাসড়কের মোগড়াপাড়া এলাকায় চট্টগ্রামগামী লেনে একটি যানবাহন বিকল হয়ে যানজটের সূত্রপাত হয়। সকালে কিছুটা যানজট কমলেও দুপুর থেকে আবারও তীব্র হয়েছে যানজট। অসহনীয় যানজেট আটকা পড়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ লক্ষ্য করা গেছে। দীর্ঘক্ষণ একই স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে যাত্রীবোঝাই দূরপাল্লার সব যানবাহন। আর অল্প দূরত্বের যাত্রীরা হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন।

যানজটে আটকে পড়া কুমিল্লার চাঁদপুর যাত্রী মো. আনোয়র দৈনিক বাংলাকে জানান, ‘সকালে ঢাকা থেকে বাসে উঠে শিমরাইলে এসে যানজটে ৩/৪ ঘণ্টা আটকা পড়েছি।’

আছিয়া আক্তার নামে এক যাত্রী বলেন, ‘নিলাচল পরিবহনে শিমরাইল থেকে উঠেছি। কাঁচপুর পার হতে ২ ঘণ্টা সময় লেগেছে। এখনও যানজটে পড়ে আছি। গাড়ির নড়ছেই না। পুলিশ কী করছে জানি না।’

নোয়াখালীর যাত্রী ইউসুফ ও কাজী সোহেল বলেন, ‘শিমরাইল থেকে হিমাচল পরিবহনের একটি বাসে সকাল ১০টায় উঠি। কিন্তু ৫ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লেগেছে ২ ঘণ্টা। কখন নোয়াখালী পৌঁছাবো তার হিসেব নেই। মহাসড়কে পুলিশ ঠিকমতো কাজ করলে এমনটা হওয়ার কথা নয়।’

হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘মোগড়াপাড়া ও দড়িকান্দি এলাকায় বড় গাড়ি বিকল হওয়াতে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এর পাশাপাশি ছুটি উপলক্ষে মহাসড়কে গাড়িরও দ্বিগুণ চাপ রয়েছে। সাইনবোর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছিল যানজট। বুধবার দুপুর ১টার পর থেকে যানজট কমতে শুরু করেছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ‘গাড়ি বিকল হওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টি, অপরদিকে পূজা উপলক্ষে ছুটি থাকায় মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।’ আমরা হাইওয়ে পুলিশ ভোররাত থেকে যানজট নিরসনে কাজ করছি জানিয়ে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এখন যানজট অনকেটাই কেটে গেছে। ধীরগতিতে যানবাহন চলছে।


নেদারল্যান্ডসে ফুড সিস্টেমস প্রতিযোগিতায় সেরা তিনে বাংলাদেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাকৃবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা ওয়াগেনিঙ্গেন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রিসার্চ ও নেদারল্যান্ডস ফুড পার্টনারশিপ আয়োজিত ফুড সিস্টেমস ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৫-এ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের প্রেস রিলিজে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এ বছরের প্রতিযোগিতার মূল প্রতিপাদ্য ছিল, ‘প্রকৃতি ভিত্তিক সমাধান’ যার লক্ষ্য জীববৈচিত্র্য রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা এ আয়োজনের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয় গত ৩০ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওম্নিয়া ভবনে। সেখানে দলগুলো তাদের বাস্তবায়িত প্রকল্প আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শন করে। পিচিং রাউন্ড, সম্মানিত জুরি বোর্ডের প্রশ্নোত্তর এবং অতিথিদের সামনে উপস্থাপনার মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।

বাংলাদেশ থেকে একমাত্র অংশ নেয় বাকৃবির দুটি দল, ‘অ্যাগ্রো ফেম সেপ্টেট’ ও ‘অ্যাকোয়াফোর’। দল দুটির প্রতিনিধিত্ব করেন বাকৃবির ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী রুবাইয়া বিনতে রেজওয়ানুর পূর্ণা ও ফুড সেফটি বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী শবনম ফেরদৌস। প্রতিযোগিতায় তাদের সমন্বয় ও পরামর্শ দেন ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমান।

অসাধারণ কৃতিত্বের মাধ্যমে, ‘অ্যাগ্রো ফেম সেপ্টেট’ দলটি শীর্ষ তিন বিজয়ীর মধ্যে স্থান পায় এবং অর্জন করে ৩,৫০০ ইউরোর গ্র্যান্ড প্রাইজ। অপরদিকে, ‘অ্যাকোয়াফোর’ দর্শকদের ভোটে ৫০০ ইউরোর ভিউয়ার্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়। বিজয়ী দলটি ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম ও ইয়াস-এর সহযোগিতায় পরিচালিত ইয়ুথ ফুড ল্যাব ইনকিউবেশন প্রোগ্রামে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে।

বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া নেদারল্যান্ডসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ফোন করে অভিনন্দন জানান।


৬ মাস ধরে ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগে ১২ গ্রামের মানুষ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মনপাল গ্রামে নলুয়া খালের ওপরে নির্মিত একটি ব্রিজটি ছয় মাস ধরে ভেঙে পড়ে আছে। এতে চলাচলের দুর্ভোগে পড়েছেন ১২ গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। ব্রিজটির অবস্থান মনপাল গ্রামের হাজী মার্কেট সংলগ্ন স্থানে। ব্রিজের ওপর দিয়ে হাঁটলে সেটি দুলতে থাকে। যেকোনো সময় এটি ভেঙে পড়তে পারে। স্থানীয়রা ব্রিজটি পুন:নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৯৯৬সালে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। দুই বছর আগে ব্রিজের ওপর দিয়ে সড়ক নির্মাণ সামগ্রী নিতে রেলিং ভেঙে ফেলা হয়। এতে ব্রিজটি দুর্বল হয়ে পড়ে। ছয় মাস আগে ব্রিজের কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। এতে ব্রিজের রড দেখা যায়। রেলিং বিহীন ভাঙা ব্রিজটি যেন রড সিমেন্টের কংকাল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই ব্রিজের ওপর দিয়ে কৃষ্ণপুর,তপৈয়া, মনপাল, রাজাপুরের লোকজন পাশের ষোলদনা, পলকট, মামিশ্বর, আতাকরা, দীঘধাইর, বরইমুড়ি, শেরপুর, নাড়িদিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামে যাতায়াত করেন। এছাড়া খিলা গণউদ্যোগ বালিকা বিদ্যালয়, বারাকাতবাগ দাখিল মাদ্রাসা, উত্তরদা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা এই পথে চলাচল করেন। এবার বোরো মৌসুমে ধান কেটে বাড়িতে নিতে কৃষকদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।

গ্রামের বাসিন্দা ওবায়দুল হক মজুমদার, সামছুল হুদা, নুর মিয়া মোল্লা বলেন, এই ব্রিজের ওপর দিয়ে ১০-১২গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে। ব্রিজটি ৬মাস ধরে ভেঙে পড়ে আছে। এনিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই। আমরা ভাঙা ব্রিজটির স্থানে নতুন ব্রিজ স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।

অটোরিকশা চালক সোহাগ মিয়া ও জাকির হোসেন বলেন, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় আমরা এই পথে যাতায়াত করতে পারছি না। রামপুর ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। এতে আমাদের ভাড়া কমে গেছে।

লাকসাম উপজেলা প্রকৌশলী সাদিকুল জাহান রিদান বলেন, মনপালে ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে পিআইও অফিস থেকে আমরা একটি প্রস্তাবনা পেয়েছি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


নারী ভোট ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই: মাহমুদুল হক রুবেল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর প্রতিনিধি

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে মহিলা দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের অর্ধেক ভোট হচ্ছে নারী। নারী ভোটারদের উপস্থিতিও সবসময় বেশি থাকে। কাজেই প্রার্থী এবং দলের বিজয় দেখতে চাইলে এখন থেকেই নারী ভোটারদের কাছে যেতে হবে। নারী ভোট ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা সম্পর্কে তাদেরকে অবগত করতে হবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় এ নেতা বিএনপির ৩১দফা বাস্তবায়নের জন্য মহিলা দলের নেতাকর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

গত মঙ্গলবার বিকেলে ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন মহিলা দলের নেতাকর্মীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ঝিনাইগাতী উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি জেবুন নেছা হক কোহিনুরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোছা. জেসমিন আক্তারের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শাহজাহান আকন্দ, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান, যুগ্ম আহ্বায়ক ও মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি লুৎফর রহমান প্রমুখ।


ফুলের মালায় সংসার চলে বৃদ্ধ রশিদ মিয়ার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা

মানুষের কাছে হাত না পেতে বৃদ্ধ বয়সে জীবন সংগ্রামে প্রতিনিয়ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন একাই। জয় পরাজয় বুঝেন না, বাঁচার জন্য খেতে হবে। ঘরে বসে থাকলে খাবার আসবে না। কাজ করেই খেতে হবে। কাজ না করলে ভিক্ষা করে খেতে হবে। মানুষের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করতে আব্দুর রশিদ মিয়ার লজ্জা করে। তাই তো জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও হাল ছাড়েননি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গুতিয়াবো গ্রামের আব্দুর রশিদ (৯০)। বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও প্রতিদিন সকাল পাঁচটায় ঘুম থেকে ওঠে তিনি শুরু করেন জীবনের লড়াই। চন্ডীতলা এলাকার এক বকুল গাছের নিচে পড়ে থাকা ফুল কুড়িয়ে তিনি নিজেই মালা গেঁথে বাজারে বিক্রি করেন।
এত ব্যবসা থাকতে ফুল বিক্রি করেন কেনো জানতে চাইলে মুচকি হেসে বলেন, একটা সময় আমিও ফুল খুব ভালবাসতাম। আজ সে ভালবাসা পেটের দায়ে টাকায় বিক্রি করি। বাবাগো এত শুধু ফুল বিক্রি না, ভালোবাসা বিক্রি করি, জীবন সংগ্রামের নামে আমি ভালোবাসা বিক্রি করি। ভালোবাসার প্রতিক ফুল। আজো মানুষ ভালোবাসে তাই ফুল কিনে ভালোবাসার মানুষকে দেয়, আমারও ভালো লাগে। আয়ও মন্দ না, চলে যায় মোটামুটি।
প্রতিটি মালা মাত্র ২০ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। দিনের পরিশ্রম শেষে প্রায় এক হাজার থেকে বারোশো টাকা আয় হয় তার। তবে সবদিন সমান যায় না- কখনো বিক্রি কম হয়, আবার কখনো ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে ভালো দামও পান। আব্দুর রশিদ নিজেই স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকায় একদিন আমি দুইটা মালা নিয়ে গিয়েছিলাম। একজন ক্রেতা খুশি হয়ে আমাকে ৭০০ টাকা দিয়েছিলেন। তখন মনে হয়েছিল, এখনও মানুষ ভালোবাসা দিতে জানে।
৯০ বছরের এই বৃদ্ধের সংসারে রয়েছে দুই ছেলে ও চার মেয়ে। ছেলেরা নিজের মতো কাজকর্ম করেন, তবে সংসারের খরচ টানতে আব্দুর রশিদ এখনো নিজের শ্রমে নির্ভরশীল। রাজধানীর খিলক্ষেত, বসুন্ধরা, পূর্বাচল ৩০০-ফিট, গাউছিয়া—এসব এলাকার রাস্তা ঘুরে ঘুরে তিনি ফুল বিক্রি করেন।
জীবনের কঠিন বাস্তবতা সত্ত্বেও আব্দুর রশিদের মুখে নেই কোনো অভিযোগ। তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, শরীর যতদিন সায় দেবে, ততদিন নিজের হাতেই উপার্জন করে খাব।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুর রশিদ একজন পরিশ্রমী ও সৎ মানুষ। তার বয়সকে অতিক্রম করে কাজ করার ক্ষমতা দেখে অনেকে অনুপ্রাণিত হন। জীবনের সংগ্রাম আর শ্রমের মধ্য দিয়েই তিনি যেন এক জীবন্ত উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন- কষ্টকে জয় করার অদম্য শক্তি নিয়েই তিনি পথ চলছেন।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, এত বয়সেও উনি কাজ করেন, এ জন্য উনাকে আমার পক্ষ থেকে স্যালুট জানাই। আমার সাথে যোগাযোগ করলে বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করে দিব। অন্যান্য সুযোগ থাকলে তাও দেখব।


ভরা মৌসুমেও পদ্মা-যমুনায় মিলছে না ইলিশ, হতাশ জেলেরা

দিন-রাত নদী চষে বেড়ালেও জ্বালানি খরচ উঠছে না
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

ইলিশের এ ভরা মৌসুমেও পদ্মা-যমুনা নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। ফলে বাজারে চলছে ইলিশের চরম সংকট এবং দামও অনেক চড়া। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মাছ না পাওয়ায় জেলেরা দিন-রাত নদী চষে বেড়ালেও জ্বালানি খরচ উঠছে না তাদের। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটছে তাদের। ইলিশ সংকটের কারণে পদ্মা-যমুনার তীরবর্তী মাছের আড়তগুলোতেও ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন আরিচা ঘাটের আড়তদার ও পদ্মা-যমুনা মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলেরা।
ইলিশের এমন সংকটের কারণ হিসেবে মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, ভরাট হয়ে নদীর গভীরতা কমে যাওয়া, নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল নির্বিচারে মাছ ধরা, নদীর তলদেশে খাদ্য সংকট এবং নদীর পানি দূষণসহ অন্যান্য কারণে ইলিশের সংকট দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এখন বর্ষাকাল চলছে। পদ্মা-যমুনা পর্যাপ্ত পানি রয়েছে। নদীতে রয়েছে মাছ শিকারী জেলে নৌকার আনাগোনা। কিন্তু এ দৃশ্যের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে দীর্ঘশ্বাস এবং হতাশার কালো মেঘ। কারণ ভরা মৌসুমেও জেলেদের জালে উঠছে না কাঙ্ক্ষিত চক চকে রুপালি ইলিশ। সারাদিন নদীতে জাল ফেলে উঠছেনা কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। এতে জেলেদের জ্বালানি খরচসহ খোরাকিই উঠছে না। হতাশার সাগরে পড়ে হাবু-ডুবু খাচ্ছে পদ্মা-যমুনার জেলেরা।
এদিকে মৌসুমের শুরুতেই মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়েছিলেন যেসব জেলেরা, তাদের ঋণের বোঝা ক্রমেই বেড়েই চলছে। এ প্রতিনিধিকে এমন তথ্যই জানিয়েছেন শিবালয় উপজেলার পদ্মা-যমুনায় মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলেরা।
গত মঙ্গলবার সকালে আরিচা ঘাটের আড়তে গিয়ে দেখা গেছে দেশীয় কিছু মাছ উঠেছে। দু-একটি আড়তে ইলিশ মাছ দেখা গেলেও সেগুলো পদ্মা-যমুনার নয়। এগুলো চাঁদপুর, চট্রগ্রাম থেকে আমদানি করা ইলিশ। কাক ডাকা ভোরে জেলেদের নৌকা তীরে এসে ভেড়া দেখে আশায় বুক বাঁধে আড়তদাররা। কিন্তু নদীতে টানা ১০-১২ ঘণ্টা জাল ফেলে দু-একজন ১ থেকে ২টি ইলিশ মাছ নিয়ে আসে। বাকিরা কেউ আসে শূন্য হাতে, না হয় অন্যমাছ নিয়ে। ৩ থেকে ৫ জনের একটি জেলে নৌকায় অনেক খরচ হয়। এর মধ্যে জ্বালানিসহ অন্যান্য খরচ তুলতে জেলেরা আড়তে এনে ইলিশ মাছের চড়া দাম হাঁকেন। চড়া দামে মাছ ক্রয়ের পরে পাইকাররাও চড়া দামে তা কিনে নিয়ে চড়াদামে বিক্রি করে সাধারণ মানুষের নিকট।
আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে এক কেজি ইলিশের দাম ছিল ১ হাজার টাকা। এখন সেই একই ইলিশের দাম ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শিবালয় উপজেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, শিবালয়ের জাফরগঞ্জ পাল পাড়া থেকে বাল্লা মালুচি পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকা ইলিশের বিশেষ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্ষার এ সময়ে শিবালয় উপজেলার পদ্মা-যমুনার ওই এলাকাজুড়ে ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। উপজেলায় কার্ডধারী মৎস্যজীবী রয়েছে ৪ হাজার ২০০ জন এবং এর বাইরেও আরও অনেক জেলে রয়েছে। শিবালয়ে পর্যাপ্ত মাছের চাহিদা থাকলেও উৎপাদন অনেক কম। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শিবালয় উপজেলায় ৪৯৯ মেট্রিন টন ইলিশ মাছ উৎপাদন হয়। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বছরে দুবার জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। গত অর্থবছরে মা ইলিশ সংরক্ষণের সময় ২ হাজার ১১৪ জন জেলে পরিবারকে মাসে ২৫ কেজি করে দুই মাসের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়। এছাড়া জাটকা সংরক্ষণের সময় ৬৫০ জন জেলে পরিবারকে প্রতি পরিবারকে ৮০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এছাড়া এসব জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে প্রকল্পের মাধ্যমে গরু-বাছুরসহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণ দেওয়া হয়েছে। এ বছর ইলিশ উৎপাদন কমে যাওয়ার পেছনে প্রয়োজনের তুলনায় নদীর নাব্যতা কম, পানি দূষণ, অবৈধ জাল ব্যবহার, অতিরিক্ত মাছ ধরা এবং জলবায়ু পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য কারণ। নদীর নাব্যতা সংকট এবং ইলিশের খাদ্যের অভাবও মাছের সংখ্যায় প্রভাব ফেলছে।
আড়তদার হাজী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ইলিশের আমদানি না থাকায় অনেক আড়তদারের বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে অনেক আড়ত বন্ধ হয়ে গেছে আবার অনেক আড়ত এখন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে।’
চৌহালির জেলে ইউসুফ আলী বলেন, ‘আমরা নৌকায় ৬ জন জেলে মিলে নদীতে দিন-রাত মাছ ধরি। ১০-১২ ঘণ্টা পরিশ্রম করে ইলিশ পাই ২-৩ হাজার টাকার কিন্তু আমাদের খরচ হয় তার থেকে অনেক বেশি। গত বছরের তুলনায় এই বছর নদীতে ইলিশ নেই বললেই চলে।’
মানিকগঞ্জ জেলা মাৎস্য বিভাগের মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘জাফরগঞ্জ, তেওতা, নিহালপুর, বাল্লা, মালুচিসহ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে পদ্মা-যমুনা নদী। এ বছর আমরা লক্ষ্য করছি এবং জেলেদের থেকে জানতে পেরেছি নদীতে ইলিশ সংকট। তবে আমরা আশাবাদী, আমাদের যে মা ইলিশ সংরক্ষণ করার সময় সূচি, তার আগেই নদীতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ইলিশ আসবে এবং জেলেরা ইলিশ শিকার করতে পারবেন।’


banner close