রোববার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
২০ আশ্বিন ১৪৩২

গাজীপুরে তথ্য অফিসের আয়োজনে টাইফয়েড ভ্যাক্সিনেশন বিষয়ক কনসালটেশন ওয়ার্কসপ অনুষ্ঠিত

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:১৬

শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর আর্থিক সহায়তায় সংবাদকর্মীদের অংশগ্রহণে এবং তথ্য অফিস, গাজীপুরের আয়োজনে রোববার সকাল ১০টায় গাজীপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হলরুমে টাইফয়েড ভ্যাক্সিনেশন বিষয়ক কনসালটেশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা তথ্য অফিসার শামীমা নাসরিনের সভাপতিত্বে ও সহকারি তথ্য অফিসার নাঈমুল হকের সঞ্চালনায় কনসালটেশন ওয়ার্কশপে অনলাইনে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন- গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফায়জুল হক।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন- টাইফয়েড একটি মারাত্মক রোগ। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই শারিরিকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। ফলে এ রোগকে চির নির্মূল করার জন্য সরকারিভাবে টিকা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন- এ টিকার মাধ্যমে এক সময় টাইফয়েড অবশ্যই নির্মূল হবে। সে কারণে প্রত্যেক শিশুকে অবশ্যই এ টিকা গ্রহণ করা আবশ্যক। কোন ভাবেই কোন শিশুকে এ টিকা থেকে বাদ পড়া যাবেনা।

ওয়ার্কসপে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- গাজীপুরের সিভিল সার্জন মো: মামুনুর রহমান। তিনি বলেন- এ টিকার তেমন ক্ষতিকর কোন দিক নেই। শুধুমাত্র অসুস্থ শিশুদেরকে এ টিকা প্রদানে বিরত থাকতে হবে। আর খালি পেটে এ টিকা নেয়া যাবে না। টিকা প্রদানের বিষয়টি ব্যপক প্রচার-প্রচারণার জন্য তিনি উপস্থিত সাংবাদিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আবেদন জানান।

ওয়ার্কসপে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন- গণযোগাযোগ অধিদপ্তর (প্রশাসন) ঢাকা’র উপ-পরিচালক তারিক মোহাম্মদ, গাজীপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর ও অর্থ) ইয়াসমিন সাইকা পাশা, গাজীপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশন গাজীপুরের উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলম প্রমুখ।

সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দৈনিক মুক্ত বলাকা’র সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আলমগীর হোসেন, দৈনিক ইত্তেফাকের গাজীপুর প্রতিনিধি মো: মুজিবুর রহমান, ৭১ টিভি ও দৈনিক মানব জমিন’র গাজীপুর প্রতিনিধি ইকবাল আহমদ সরকার, মাছরাঙ্গা টিভি’র গাজীপুর প্রতিনিধি ফারদিন ফেরদৌস, দৈনিক কালের কন্ঠ’র গাজীপুর প্রতিনিধি শামীম আহমদ ও সাপ্তাহিক পিলসুজ সম্পাদক আবু হানিফা।


জয়পুরহাটে জনপ্রতিনিধির স্বজনদের নামে দুস্থদের কার্ড

প্রতিটি পরিবারের কাছ থেকে আদায় করা ২ থেকে ৫ হাজার টাকা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জয়পুরহাট প্রতিনিধি

গরিব, অসহায় ও দুস্থ নারীদের সহায়তার জন্য সরকারিভাবে চাল বরাদ্দের ভিডব্লিউবি (পূর্বে ভিজিডি) কর্মসূচি। প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার এই কর্মসূচি দরিদ্র, দুস্থ নারীদের জন্য এক বড় সহায়তা। কিন্তু ভিডব্লিউবি দুস্থদের কার্ড নিয়ে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নে এই কর্মসূচির তালিকা ঘিরে উঠেছে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।
শুধু তাই নয়, চুড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হওয়ার পর শফিকুল ইসলাম বড়তারা ইউনিয়নের প্রতিটি সুবিধাভোগীর কাছ থেকে ১০০ টাকা করে প্রায় ৪৪ হাজার টাকা আদায়ও করেছেন। এসব টাকা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও প্যানেল চেয়ারম্যান মিলে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে দাবি স্থানীয়দের।
অভিযোগ উঠেছে, বড়তারা ইউনিয়নের ৩নং প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে তালিকায় নিজের স্ত্রীসহ দুই হালি আত্মীয়ের নাম ঢুকিয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কার্ড করে দেয়ার নামে প্রতিটি পরিবারের কাছ থেকে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে।
তালিকায় দেখা যায়, শফিকুল ইসলামের ভাবি, চাচি, মামি, খালাসহ নিকট আত্মীয়দের নাম ঢুকানো হয়েছে। যাদের কারও জমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা পাকা বাড়ি রয়েছে। ফলে প্রকৃত অসহায় নারীরা তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।
প্রস্তুতকৃত তালিকা যাচাই করে দেখা যায়, ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের তালিকায় বড়তাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানের ৫নং ওয়ার্ডের ৫৩ জনের নাম রয়েছে। তালিকায় প্যানেল চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের স্ত্রী, ভাইয়ের স্ত্রী, চাচি, মামি ও খালার নাম দেখা গেছে। তাদের মধ্যে অনেকেরই ৬-৮ বিঘা ফসলী জমি, পাকা বাড়ি, পুকুরও আছে। তালিকার ২১২ ক্রমিক নম্বরে স্থান পাওয়া মাফুজা খাতুন ও ২৩০ নং সেলিনা খাতুন তার আপন বড় ভাইয়ের দুই স্ত্রী।
২১০ নাম্বরে খোতেজা সম্পর্কে মামি এবং ২১৪ নাম্বরে রিমা বেগম, ২১৬ নাম্বরে আলেয়া বেগম, ২১৭ নাম্বরে আমেনা বেগম তার সম্পর্কে চাচি। ১৮২ নাম্বরে শেফালী বেগম সম্পর্কে খালা, ১৯১ নাম্বরে রাজিয়া সুলতানা সম্পর্কে ভাবী (চাচাত ভাইয়ের স্ত্রী)। এসবই তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যনের সাথে যোগসাজস করে করেছেন বলে দাবি এলাকাবাসীর।
বড়তারা ইউনিয়নের বাঘাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর নুর বলেন, শফিকুল মেম্বার গরীবদের না দিয়ে আত্মীয়-স্বজনকে কার্ড দিয়েছে। টাকা ছাড়া সে কোনো কাজ করে না। আমরা এর বিচার চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপকারভোগী বলেন, আমার কার্ড করার জন্য শফিকুল মেম্বার ৫ হাজার টাকা চেয়েছিল। না দিলে অন্য কাউকে করে দেবে। পরে দেখি তালিকায় তার আত্মীয়-স্বজনের নামই বেশি।
ক্ষেতলাল উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা লায়লা নাসরিন জাহান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর শফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও এক ডাক্তার ভাগ্নির নাম বাদ দেয়া হয়েছে। তাকে অফিসে ডেকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে। নতুন করে কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তালিকা করেছে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। এবারে তালিকায় আমাদের কোনো হাত নেই।
এ বিষয়ে বড়তারা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের মুঠোফোনে বারবার ফোন করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ আল জিনাত বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী তালিকা করা হয়েছে। কোথাও অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


গুদাম ভর্তি আলু, ক্রেতা শূন্যতায় হতাশ কৃষক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় এবার আশানুরূপ হয়েছে আলুর ফলন। গতবার বাজার চড়া থাকায় চাহিদার চেয়ে আবাদ হয়েছে অনেক বেশি। কিন্ত কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে অনেকটাই হতাশ আলু চাষিরা। দাম না বাড়লে বড় ধরনের লোকশানের আশঙ্কা করছেন তারা। বিশেষ করে উপজেলার ব্রাক, সিদ্দিক ও হিমালয় (কোল্ডস্টোর) আলুর হিমাগারে রয়েছে পর্যাপ্ত মজুত। কৃষকরা জানায়, উৎপাদন খরচ উঠাতেই তারা উৎকণ্ঠিত। এদিকে উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এবার আলুর উৎপাদন বেশি থাকায় দাম অনেকটাই কম।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৪৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার ৪৫১ মেট্রিক টন।
উপজেলার নতুন ফেরিঘাট এলাকায় অবস্থিত ব্র্যাক, হিমালয় ও সিদ্দিক এই তিনটি কোল্ডস্টোরে (হিমাগারে) বর্তমানে ১৮ হাজার ৪১৫ মেট্রিক টন খাবার ও বীজ আলু মজুত আছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তিনটি হিমাগারের মোট ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনটি হিমাগারের শেডের মেঝেতে বিছানো শত শত মণ আলু। ভেতরে বস্তায় বস্তায় আলু সংরক্ষিত আছে। নারী ও পুরুষ শ্রমিকরা পচে যাওয়া আলু আলাদা করে ফেলে দিচ্ছেন। নামমাত্র বিক্রি থাকায় হিমাগার থেকে খুচরা বাজারে আলু যাচ্ছে খুবই কম বলছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
শ্রীরায়ের চর গ্রামের কৃষক সন্তোষ সরকার বলেন, প্রতি বছর ভুট্টা চাষে ভালো লাভ হতো। এবার আলু চাষ করে বিপদ ডেকে এনেছি। উৎপাদনের খরচই তুলতে পারছি না। ফলন ভালো হলেও বিক্রি করতে গেলে মাথায় হাত।
চর চাষি গ্রামের আলু ব্যবসায়ী জামসেদ আলী হতাশা প্রকাশ করে বলেন, খুচরা বাজারে দাম কিছুটা ভালো হলেও হিমাগারে ন্যায্যমূল্য মিলছে না। প্রতি কেজি আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণে খরচ ২৫-৩০ টাকা, অথচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১২-১৩ টাকায়। এতে কেজিপ্রতি ১২-১৫ টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে।
দৌলতপুর ইউনিয়নের কৃষক আবু হাসান বলেন, আগস্টে কৃষিমন্ত্রণালয় হিমাগার থেকে প্রতি কেজি ২২ টাকায় আলু বিক্রির নির্দেশ দিয়েছিল এবং সরকার ৫০ হাজার টন আলু কেনার সিদ্ধান্তও নেয়। কিন্তু বাস্তবে সেই দামে বিক্রি হচ্ছে না। হিমাগারে রাখা ৪ হাজার বস্তার মধ্যে বিক্রি হয়েছে মাত্র ১৫০ বস্তা তাও তিনগুণ লোকসানে।
ব্র্যাক কোল্ডস্টোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীর তারেক মাসুদ বলেন, বীজ আলু ছাড়া এখন সব আলু বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দাম কমে যাওয়ায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতে পারছেন না। তাদের লোকসানের কথা ভেবে আমরা কোল্ডস্টোর ভাড়া কমিয়ে দিয়েছি, তবুও ক্ষতি এড়ানো কঠিন।
দাউদকান্দি উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এ বছর আলুর উৎপাদন চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। তবে কৃষকদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার শিগগিরই সরকারি ক্রয় ও সংরক্ষণ কার্যক্রম বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে। আশা করছি, কৃষকরা লোকসান থেকে কিছুটা হলেও বাঁচতে পারবেন।


গাংনীতে একদিন ব‍্যবধানে অর্ধেকে নেমেছে মরিচের দাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

পূজার ছুটিতে স্থলবন্দর বন্ধ থাকার অযুহাতে কৃষি নির্ভর মেহেরপুরে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে দ্বিগুন হয়ে গিয়েছিলো। আর এক ছুটি শেষে কাঁচা মরিচ আমদানির খবরে দাম কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। দাম কমে যাওয়াতে ক্রেতাদারের মাঝে স্বশ্তি ফিরলেও চাষিদের মাঝে অস্বস্তি কাজ করছে। কৃষকদের দাবি দাম কমে যাওয়ায় তাদের লাভের চেয়ে লোকশানের পাল্লা ভারি হতে চলেছে।
দেখা যায়, গেল চারদিন আগেও মেহেরপুর জেলায় পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৯০-১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, আর খুচরো বাজারে তা বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা করে।
পূজার ছুটির কারনে আমদানির বন্ধের অযুহাতে সেই কাঁচা মরিচ গত দুইদিন আগে পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা, আর খুচরো বাজারে বিক্রি হয়েছে ৩৭০ টাকা থেকে ৩৯০ টাকা পযর্ন্ত।
কাঁচা মরিচ আমদানির কথা শুনে সেই মরিচ আজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা ১৬০ টাকা পর্যন্ত। খুচরা বাজারেও পড়েছে এর প্রভাব। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা পযর্ন্ত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত দুইদিন আগে দাম বেড়ে যাওয়ায় চাষিরা পক্ক কিংবা অপরিপক্ক সব ধরনের কাঁচা মরিচ তুলে বাজারে নিয়ে আসছিল। আমদানিও ভালো ছিলো। আজ দাম কমে যাওয়ার কথা শুনে হাটে কাঁচা মরিচ আমদানি ও কমে গেছে। আমদানি কমে গেলে বিপরীতে আবার দাম বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে।
চাষিরা বলছেন, অতি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় মরিচ গাছ এমনিতেই মরে গেছে। যাতে করে আমাদের লোকশানে পড়তে হবে। হঠাৎ দাম বাড়াই লোকশান পুশিয়ে নেয়ার সুযোগ হয়েছিল। আমদানির কারনে চাষিরা লোকশানে পড়তে পারে। যার ফলে কাঁচা মরিচ চাষে আগ্রহ হারাবে।
মরিচ চাষি মজি বলেন, আমাদের মাঠ সব পানিতে ডুবে গেছে। এই পানি মাঠ থেকে নামতে একমাস সময় লাগবে। জলাবদ্ধতার কারনে মাঠে মরিচ গাছ অর্ধেক মরে গেছে। যার ফলে আমাদের এবার লোকশানে পড়তে হবে। গত দুদিন আগে মরিচের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় ভেবে ছিলাম। এবার মরিচ উৎপাদন কম হলেও দামে পুশিয়ে যেতো। আবার আজ থেকে আগের দামে চলে এসেছে,এতে করে আমাদের লাভের চেয়ে লোকশানের পাল্লা ভারি হয়ে যাবে।
আরেক মরিচ চাষি বেল্টু বলেন, মাঠে এমনিতেই গাছের সংখ্যা কমে গেছে। আবার একজন লেবারে সারাদিনে বিশ কেজি মরিচ তুলতে পারবে। আর তার মুজুরি খরচ ৪"শ টাকা। দাম কমে যাওয়ায় খরচ খরচা বাদ দিয়ে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।
কাঁচা মরিচ ব‍্যাবসায়ী আকাশ বলেন, তিনদিন আগে এই মরিচ কিনেছি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা করে। আর আজ পাইকারি কিনছি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা করে। আবার বাজার কাঁচা মরিচ আমদানি কমে গেছে। ডিজিটাল যুগে চাষিরা আমদানি রপ্তানির খোঁজ এক মিনিটের মধ‍্যে পেয়ে যাচ্ছে।
কাঁচা মরিচ হাট ইজারাদার তারিক আহমেদ বলেন, আমরা মরিচের হাট সরকারি ভাবে নিলামের মাধ‍্যমে বছর চুক্তিতে নিয়ে থাকি। বাজারে যতবেশি চাষি ও ব‍্যাবসায়ী আসবে আমাদের ততো লাভ। অথচ আজ মরিচ আমদানির কথা শুনে কাঁচা মরিচ চাষি অর্ধেকের কম এসেছে। আমাদের বাজারে যতো আমদানি হবে ততো বেশি খাজনা আদায় হবে।


পাকিস্তানের নাঙ্গা পর্বত আরোহণ করতে চান এভারেস্টজয়ী বাবর আলী

নেপালের মানাসলু জয়
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

এবার পাকিস্তানের আট হাজার মিটার উচ্চতার নাঙ্গা পর্বত আরোহণ করতে চান বলে জানিয়েছেন এভারেস্টজয়ী বাবর আলী। নেপালের মানাসলু জয়ের পর দেশে ফিরে গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মানাসলু অভিযানের সঙ্গী তানভীর আহমেদ।
বাবর আলী বলেন, এ বছরে দুইটা আট হাজারি পর্বত হয়ে গেছে। সামনে পরিকল্পনা হচ্ছে ধীরে ধীরে বাকি যে ১০টা আট হাজার মিটার বাকি রয়ে গেছে। আই লাইক টু মুভ টু পাকিস্তান। পাকিস্তানে পাঁচটা আট হাজার মিটার পর্বত আছে। এর মধ্যে আমার স্বপ্নের একটা হলো নাঙ্গা পর্বত। সামনে আমি নাঙ্গা পর্বতের দিকে যেতে চাই।
মানাসলু অভিযানে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছিলেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে বাবর বলেন, আমরা পুরো যাত্রাটা উপভোগ করেছি। এটা আমি সবাইকে বলি, পর্বতে অনেকে যেতে চায়। সঠিক প্রস্তুতিত নিয়ে গেলে আপনি উপভোগ করবেন।

তিনি বলেন, মানাসলুতে একটা সুবিধা হয়েছে, আমাকে অক্সিজেন সিলিন্ডার বহন করতে হয়নি। ৪-৫ লিটারের অক্সিজেন সিলিন্ডারটা অতিরিক্ত বহন করতে হচ্ছে না, এটা একটা সুবিধা; কিন্তু প্রত্যেকটা স্টেপ মেকস ইউ ব্রেথলেস। বাতাসের জন্য হাহাকার। সেটা ফিল করেছি।
কৃত্রিম অক্সিজেন ছাড়া মানাসলু আরোহণের কারণ জানতে চাইলে বাবর আলী বলেন, সব সময় দেখে এসেছি পশ্চিমারা সচরাচর এসব পাগলামিগুলো করে থাকে। বাঙালি ঘরকুণো ছিল বলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একটা ট্যাগ লাগানো থাকে। তিনি বলেন, যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং ওই মানসিক শক্তি থাকলে এটা সম্ভব। পরের জেনারেশন বা পরের পর্বতারোহীরা আশা করি এই ব্যাপারটা এগিয়ে নিবে। ইতিবাচক মানসিকতার সাথে আমাকে সহযোগিতা করেছে নিয়মানুবর্তিতা।
মানাসলু আরোহণকারী তানভীর আহমেদ বলেন, সবচেয়ে কঠিন হলো উচ্চতা। একটা নির্দিষ্ট উচ্চতার উপরে বিষয়টা ভিন্ন। সেখানকার তাপমাত্রা ও আবহাওয়ার সাথে শরীরকে অ্যাডজাস্ট করানো এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা। ক্যাম্প ১ থেকে ক্যাম্প ২ এবং ক্যাম্প ৩স থেকে ক্যাম্প ৪ এর রাস্তা কঠিন। অনেক বড় উচ্চতা একদিনে আরোহণ করতে হচ্ছে। এটা বেশ কঠিন।

তিনি বলেন. বারবার পর্বতে যাওয়া এবং সেখানে শরীর কেমন আচরণ করছে। এটার সাথে মানিয়ে নেয়া। কোনো ঘাটতি আছে কি না, সে অনুসারে অনুশীলন করা। একেক জনের শরীর একেক রকম। তাই সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ‘সামুদা’ এর চিফ বিজনেস অফিসার বিকাশ কান্তি দাস এবং ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা আশরাফুল আরেফীন আসিফ।
গত ২৬ অক্টোবর ভোরে নেপালের মানাসলু পর্বতে আরোহণ করেন দুই বাংলাদেশি পর্বতারোহী বাবর আলী এবং তানভীর আহমেদ।


ঝিনাইদহে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

‘শিক্ষকতা পেশা: মিলিত প্রচেষ্টার দীপ্তি’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও জেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল, জেলা শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরাসহ শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন।
সেসময় বক্তারা বলেন, শিক্ষকদের হাতেই গড়ে ওঠে জাতির ভবিষ্যৎ। তাই তাদের মর্যাদা রক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তারা আরও বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর যুগে শিক্ষকদের দায়িত্ব আরও বেড়েছে—শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও মানবিকতায় গড়ে তোলাই এখন মূল লক্ষ্য। তাই শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, নৈতিকতা ও মানবিকতায় গড়ে তুলতে প্রতিটি শিক্ষককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।


গুদামভর্তি আলু, ক্রেতা শূন্যতায় হতাশ কৃষক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় এবার আশানুরূপ হয়েছে আলুর ফলন। গতবার বাজার চড়া থাকায় চাহিদার চেয়ে আবাদ হয়েছে অনেক বেশি। কিন্ত কাঙ্খিত দাম না পেয়ে অনেকটাই হতাশ আলু চাষীরা। দাম না বাড়লে বড় ধরনের লোকশানের আশংকা করছেন তারা। বিশেষ করে উপজেলার ব্রাক,সিদ্দিক ও হিমালয় (কোল্ডস্টোর) আলুর হিমাগারে রয়েছে পর্যাপ্ত মজুদ। কৃষকরা জানান উৎপাদন খরচ উঠাতেই তারা উৎকণ্ঠিত। এদিকে উপজেলা কৃষি অফিস জানায়,এবার আলুর উৎপাদন বেশি থাকায় দাম অনেকটাই কম।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৪৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার ৪৫১ মেট্রিক টন।

উপজেলার নতুন ফেরিঘাট এলাকায় অবস্থিত ব্র্যাক, হিমালয় ও সিদ্দিক এই তিনটি কোল্ডস্টোরে (হিমাগারে) বর্তমানে ১৮ হাজার ৪১৫ মেট্রিক টন খাবার ও বীজ আলু মজুত আছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তিনটি হিমাগারের মোট ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনটি হিমাগারের শেডের মেঝেতে বিছানো শত শত মণ আলু। ভিতরে বস্তায় বস্তায় আলু সংরক্ষিত আছে। নারী ও পুরুষ শ্রমিকরা পচে যাওয়া আলু আলাদা করে ফেলে দিচ্ছেন। নামমাত্র বিক্রি থাকায় হিমাগার থেকে খুচরা বাজারে আলু যাচ্ছে খুবই কম বলছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

শ্রীরায়ের চর গ্রামের কৃষক সন্তোষ সরকার জানান,প্রতিবছর ভুট্টা চাষে ভালো লাভ হতো। এবার আলু চাষ করে বিপদ ডেকে এনেছি। উৎপাদনের খরচই তুলতে পারছি না। ফলন ভালো হলেও বিক্রি করতে গেলে মাথায় হাত।

চর চাষি গ্রামের আলু ব্যবসায়ী জামসেদ আলী হতাশা প্রকাশ করে বলেন,খুচরা বাজারে দাম কিছুটা ভালো হলেও হিমাগারে ন্যায্যমূল্য মিলছে না। প্রতি কেজি আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণে খরচ ২৫–৩০ টাকা, অথচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১২–১৩ টাকায়। এতে কেজিপ্রতি ১২–১৫ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।

দৌলতপুর ইউনিয়নের কৃষক আবু হাসান বলেন,আগস্টে কৃষি মন্ত্রণালয় হিমাগার থেকে প্রতি কেজি ২২ টাকায় আলু বিক্রির নির্দেশ দিয়েছিল এবং সরকার ৫০ হাজার টন আলু কেনার সিদ্ধান্তও নেয়। কিন্তু বাস্তবে সেই দামে বিক্রি হচ্ছে না। হিমাগারে রাখা ৪ হাজার বস্তার মধ্যে বিক্রি হয়েছে মাত্র ১৫০ বস্তা তাও তিনগুণ লোকসানে।

ব্র্যাক কোল্ডস্টোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীর তারেক মাসুদ বলেন,বীজ আলু ছাড়া এখন সব আলু বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দাম কমে যাওয়ায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতে পারছেন না। তাদের লোকসানের কথা ভেবে আমরা কোল্ডস্টোর ভাড়া কমিয়ে দিয়েছি, তবুও ক্ষতি এড়ানো কঠিন।

দাউদকান্দি উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এ বছর আলুর উৎপাদন চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। তবে কৃষকদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার শিগগিরই সরকারি ক্রয় ও সংরক্ষণ কার্যক্রম বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে। আশা করছি, কৃষকরা লোকসান থেকে কিছুটা হলেও বাঁচতে পারবেন।


শিগগিরই সরকারকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে ঐকমত্য কমিশন

আপডেটেড ৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:৩০
নিজস্ব প্রতিবেদক

খুব শিগগিরই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

রোববার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশন সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ কথা জানান তিনি।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে জুলাই সনদের বিষয়বস্তু ও এর বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোভাব ও এবিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের অবস্থান সম্পর্কে সভাকে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ঐকমত্য কমিশনের কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ঐকমত্য কমিশন সকল রাজনৈতিক দল থেকে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা পেয়েছে। এছাড়া, গণমাধ্যমগুলো ঐকমত্য কমিশনকে অকল্পনীয় সমর্থন দিয়েছে।

কমিশন সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস কমিশনের সকল সদস্যদের ধন্যবাদ ও শুভ কামনা জানিয়েছেন। কমিশনের কাজের চুড়ান্ত অগ্রগতি সম্পর্কে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাঁকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

আজকের বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ, কমিশন সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

পাশাপাশি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আসিফ নজরুল ও আদিলুর রহমান খান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


কর্ণফুলী টানেলে দুর্ঘটনায় ১ জনের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আনোয়ারা প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেলে বাস উল্টে দুর্ঘটনায় মো. ফয়সাল (৪৭) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (০৫ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এঘটনায় নিহত ফয়সালের স্ত্রী রাণী আকতার (৩১) সহ আরও ৪জন গুরুতর আহত অবস্থায় সেখানে চিকিৎসাধীন আছে।

এর আগে, শনিবার ৪ অক্টোবর দুপুর ১টার দিকে টানেলের পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা প্রান্তে যাওয়ার সময় বরযাত্রীবাহী বাসটি অতিরিক্ত গতির কারণে এ দূর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।

নিহত ফয়সাল নগরীর পতেঙ্গা থানার নিজাম মার্কেট এলাকার হোসেন আহমেদের ছেলে। তার দুই ছেলে-মেয়ে রয়েছে।

নিহত ফয়সালের ছোট ভাই সালাহ উদ্দিন জানান, শনিবার দুপুরে একটি বিবাব অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে বাস চালক দ্রুত গতিতে বাস চালানো কারণে টানেলের মাঝে পথে বাসটি উল্টে যায়। এসময় বাসে থাকা ৩০ যাত্রীর মধ্যে ১২ জন আহত হয়। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করলে তাদের নগরীর ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে বড় ভাই ফয়সালের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, এঘটনায় বড় ভাই ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও ৪জন গুরুতর আহত অবস্থায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। বাস চালকের অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে আমরা এরকম দুর্ঘটনার শিকার হয়েছি।

আনোয়ারা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, টানেলে দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় ৬ জনকে আনা হয়। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুনেছি তাদের মধ্যে ফয়সাল নামের একজনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।


মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় প্রাণ গেল যুবকের 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল ২১ বছর বয়সী যুবক রামেলের। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে স্তব্ধ এলাকাবাসী। শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো গ্রামে। বাবা-মায়ের আহাজারি যেন থামছেই না। নিহত মো. রামেলের বাড়ি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার জিনারি গ্রামে।

জিনারি ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনসুর আহমেদ জানান, কিছুদিন পূর্বে রামেলের বাড়ির পাশে বসে মাদক সেবন করছিলেন পাশ্ববর্তী তেতুলিয়া গ্রামের নাঈমসহ (২২) কয়েক যুবক। এ সময় প্রতিবাদ করেন রামেল ও তার চাচাতো ভাই মো. রিফাত। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে শুরু হয় বিরোধ। ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে বেলতৈল স্কুল মাঠে ক্রিকেট খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে রামেল ও রিফাতের গতিরোধ হামলা চালায় নাঈম, তারেক, সাগর, রায়হানসহ বেশ কয়েকজন। এক পর্যায়ে রামেলকে করা হয় ছুরিকাঘাত। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত রামেলকে প্রথমে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩ টায় তার মৃত্যু হয়।

জিনারি গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ বুলবুল জানান, এ ঘটনায় ৩ অক্টোবর নিহত রামেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নাঈমসহ ৭ জনের নামোউল্লেখ করে হোসেনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারিনি পুলিশ।

রামেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে খুব একটা পড়াশোনা করতে পারেননি রামেল। সংসারের হাল ধরতে ঢাকায় গিয়ে একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। পরিবারে তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিই ছিলেন রামেল। শুধুমাত্র মাদকের প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। রামেলের হত্যকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

রামেলের মা যমুনা বেগম জানান, রামেলের স্বপ্ন ছিল কুয়েতে গিয়ে উপার্জন করে পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরাবেন। সে অনুযায়ী ঋণ করে ৫ লাখ টাকা ও পাসপোর্ট জমা দেওয়া ছিল একটা এজেন্সিতে। আর কদিন পরেই প্রবাসে পাড়ি জমানোর কথা ছিল রামেলের। তার আগেই চলে গেল পরপারে।

রামেলের চাচী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, রামেলের মতো এত নম্র-ভদ্র ছেলেই হয় না। খুব অল্প বয়সেই পরিবারের হাল ধরেছিল ছেলেটি।

রামেল হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শনিবার বিকেলে জিনারি গ্রামে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন এলাকাবাসী। পুলিশ রামেলের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করে আশ্রয় দিচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ হোসেন বলেন "ঘটনার পর থেকেই আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। খুব দ্রুতই আমরা তাদের ধরতে পারব।”


একদিন ব‍্যাবধানে ঝাঁজ কমেছে কাঁচা মরিচের,দাম নেমে এসেছে অর্ধেকে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরপুর, গাংনী প্রতিনিধি

পূজার ছুটিতে স্থলবন্দর বন্ধ থাকার অযুহাতে কৃষি নির্ভর মেহেরপুরে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে দ্বিগুন হয়ে গিয়েছিলো। আর এক ছুটি শেষে কাঁচা মরিচ আমদানির খবরে দাম কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে।

দাম কমে যাওয়াতে ক্রেতাদারের মাঝে স্বশ্তি ফিরলেও চাষিদের মাঝে অস্বস্তি কাজ করছে। কৃষকদের দাবি দাম কমে যাওয়ায় তাদের লাভের চেয়ে লোকশানের পাল্লা ভারি হতে চলেছে।

জেলার কাঁচা মরিচ বাজার ঘুরে দেখা যায়, গেল চারদিন আগেও মেহেরপুর জেলায় পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৯০-১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, আর খুচরো বাজারে তা বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা করে।

পূজার ছুটির কারনে আমদানির বন্ধের অযুহাতে সেই কাঁচা মরিচ গত দুইদিন আগে পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা, আর খুচরো বাজারে বিক্রি হয়েছে ৩৭০ টাকা থেকে ৩৯০ টাকা পযর্ন্ত।

কাঁচা মরিচ আমদানির কথা শুনে সেই মরিচ আজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা ১৬০ টাকা পর্যন্ত। খুচরা বাজারেও পড়েছে এর প্রভাব। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা পযর্ন্ত।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত দুইদিন আগে দাম বেড়ে যাওয়ায় চাষিরা পক্ক কিংবা অপরিপক্ক সব ধরনের কাঁচা মরিচ তুলে বাজারে নিয়ে আসছিল। আমদানিও ভালো ছিলো। আজ দাম কমে যাওয়ার কথা শুনে হাটে কাঁচা মরিচ আমদানি ও কমে গেছে। আমদানি কমে গেলে বিপরীতে আবার দাম বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে।

চাষিরা বলছেন,অতি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় মরিচ গাছ এমনিতেই মরে গেছে। যাতে করে আমাদের লোকশানে পড়তে হবে। হঠাৎ দাম বাড়াই লোকশান পুশিয়ে নেয়ার সুযোগ হয়েছিল। আমদানির কারনে চাষিরা লোকশানে পড়তে পারে। যার ফলে কাঁচা মরিচ চাষে আগ্রহ হারাবে।

মরিচ চাষি মজি বলেন, আমাদের মাঠ সব পানিতে ডুবে গেছে। এই পানি মাঠ থেকে নামতে একমাস সময় লাগবে। জলাবদ্ধতার কারনে মাঠে মরিচ গাছ অর্ধেক মরে গেছে। যার ফলে আমাদের এবার লোকশানে পড়তে হবে। গত দুদিন আগে মরিচের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় ভেবে ছিলাম। এবার মরিচ উৎপাদন কম হলেও দামে পুশিয়ে যেতো। আবার আজ থেকে আগের দামে চলে এসেছে,এতে করে আমাদের লাভের চেয়ে লোকশানের পাল্লা ভারি হয়ে যাবে।

আরেক মরিচ চাষি বেল্টু বলেন, মাঠে এমনিতেই গাছের সংখ্যা কমে গেছে। আবার একজন লেবারে সারাদিনে বিশ কেজি মরিচ তুলতে পারবে। আর তার মুজুরি খরচ ৪"শ টাকা। দাম কমে যাওয়ায় খরচ খরচা বাদ দিয়ে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।

কাঁচা মরিচ ব‍্যাবসায়ী আকাশ বলেন, তিনদিন আগে এই মরিচ কিনেছি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা করে। আর আজ পাইকারি কিনছি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা করে। আবার বাজার কাঁচা মরিচ আমদানি কমে গেছে। ডিজিটাল যুগে চাষিরা আমদানি রপ্তানির খোঁজ এক মিনিটের মধ‍্যে পেয়ে যাচ্ছে।

কাঁচা মরিচ হাট ইজারাদার তারিক আহমেদ বলেন, আমরা মরিচের হাট সরকারি ভাবে নিলামের মাধ‍্যমে বছর চুক্তিতে নিয়ে থাকি। বাজারে যতবেশি চাষি ও ব‍্যাবসায়ী আসবে আমাদের ততো লাভ। অথচ আজ মরিচ আমদানির কথা শুনে কাঁচা মরিচ চাষি অর্ধেকের কম এসেছে। আমাদের বাজারে যতো আমদানি হবে ততো বেশি খাজনা আদায় হবে।


ট্রাম্পের নির্দেশ উপেক্ষা করে গাজায় ইসরাইলি হামলা, নিহত আরও ৪৬

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশ উপেক্ষা করে ইসরাইল ফের হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় আরও ৪৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

শনিবার (৪ অক্টোবর) ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দখলদার বাহিনী এই হামলা চালায়।

এর আগে শুক্রবার রাতে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি জানানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধে ইসরাইলকে নির্দেশ দেন।

কিন্তু তার এ নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শনিবার আরও ৪৬ জনকে হত্যা করেছে দখলদাররা। এরমধ্যে সর্বশেষ গাজা সিটির তুফ্ফাহ এলাকার একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে একসঙ্গে ১৭ জনকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী।

যারা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে তিনজন ত্রাণ প্রত্যাশী ছিলেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

অপরদিকে তুফ্ফার এক বাড়িতেই হামলা চালিয়ে যে ১৭ জনকে ইসরাইলিরা হত্যা করেছে তাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে কম বয়সি শিশুটির বয়স মাত্র ৮ মাস।

শনিবার মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট প্রাণহানি দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ৭৪ জনে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ চরম আকার ধারণ করেছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) গত এক দিনে তাদের হামলা বা অভিযানের বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, খাদ্যাভাব ও পুষ্টিহীনতায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অনাহার ও অপুষ্টিজনিত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫৯ জনে। এর মধ্যে ১৫৪ জন শিশু।

সূত্র: আলজাজিরা


এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা বাসের পেছনে আরেক বাসের ধাক্কা, নিহত হেলপার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসের পেছনে আরেক বাসের ধাকায় এক যুবক (৩৫) নিহত হয়েছেন। রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিরাজদীখান উপজেলার চালতিপাড়া নামক এলাকায় মাওয়াগামী লেনে এ দুর্ঘটনায় অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।

নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। তবে তিনি দুর্ঘটনাগ্রস্ত ইমাদ পরিবহনের হেলপার ছিলেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এক্সপ্রেসওয়ের মাওয়ামুখী চালতি পাড়া নামক এলাকায় হানিফ পরিবহনের দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসের পেছনে মাওয়াগামী ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ইমাদ পরিবহনের বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই বাসটির হেলপার মারা যায়। এতে ইমাদ পরিবহনের চালকসহ আহত হয় অন্তত আটজন। আহতেদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাসাড়া হাইওয়ে থানার এসআই নুর মোহাম্মদ বলেন, হানিফ পরিবহনের বাসটি নষ্ট হওয়ার কারণে বাসটি রাস্তায় থামানো ছিল। কিন্ত ইমাদ পরিবহনের দ্রুতগামী বাস হানিফ পরিবহনের পেছনে ধাক্কা দিলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই ইমাদ পরিবহনের হেলপার মারা যায়। চালকসহ কয়েকজন আহত আছে তাদের শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।

দুর্ঘটনার ফলে এক্সপ্রেসওয়েতে মাওয়ামুখী লেনে ৪০ মিনিটের মতো যান চলাচল বিঘ্নিত হয় এবং দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে হাসাড়া হাইওয়ে থানার এসআই নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘সড়ক এখন স্বাভাবিক আছে।’


banner close