রোববার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
২০ আশ্বিন ১৪৩২

মাদারীপুরকে ঢাকা বিভাগে রাখার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত
মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:৪২

‘ঢাকা বিভাগ ছাড়ব না অন্য বিভাগে যাবো না’- প্রতিপাদ্যে পালিত হয়েছে মাদারীপুরে এক পদযাত্রা, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা রোববার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ গ্রহন করেন বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবি, সুশীল সমাজ, ছাত্র সংগঠন, মানবাধিকার ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতাসহ সর্বস্তরের মানুষ। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের জেলা শাখার সভাপতি মনিরুজ্জামান ফুকু, জেলা আইনজীবি সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও মানবাধিকার সংস্থা, আসক ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মশিউর রহমান পারভেজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও এনসিপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. নেয়ামতুল্লাহ, বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ, কোচ ও মাদারীপুর ক্রিকেট ক্লিনিকের সভাপতি আমির বাবু, মানবাধিকার কর্মী মো. এনায়েত নান্নু সহ অন্যান্য প্রতিনিধি। এসময় মাদারীপুরে তৃণমূল থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষকেও অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, মাদারীপুরের মানুষের শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি-কালচার, ব্যবসা, বানিজ্য, যোগাযোগ, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রায় সকল কিছুই ঢাকার সাথে আত্মীকভাবে সম্পর্কিত। আমাদের ঢাকা বিভাগ স্বাধীনতার পর থেকেই ছিলো, আছে এবং থাকবে, আমরা এ বিভাগ ছেড়ে অন্য বিভাগে কোনো মতেই যেতে চাই না এবং যাবো না, প্রয়োজনে আমরা এজন্য বৃহৎ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেব, রক্ত দেব, জীবন দেব কিন্তু কোনো অবস্থাতেই ঢাকা বিভাগ ছাড়ব না। আমরা আজ মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে সরকারের কাছে এতদসংক্রান্ত স্মারকলিপি প্রদান করছি, যাতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের মাদারীপুরবাসীর আবেদন ও মনের কথা বুঝতে পারেন, আমাদের মূল্যায়ন করে মাদারীপুর জেলাকে ঢাকা বিভাগেই রাখেন। আর তা হলে আমরা মাদারীপুরবাসি ওই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশনসহ আরো বড়-বড় ধরণের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। এ সময় জেলা প্রশাসক মোছা. ইয়াসমিন আক্তার অন্যত্র থাকায় তার পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফাতেমা তন্বী।


দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে নির্বাচন অপরিহার্য: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে নির্বাচন অপরিহার্য বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে জনগণের সবচেয়ে বড় চাহিদা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধার করা। আর সেটা সম্ভব একমাত্র একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে।’

রোববার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতিসংঘের ঢাকাস্থ আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।

তিনি বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। এ জন্যে সবাইকে একসাথে মিলে কাজ করতে হবে।’

গোয়েন লুইসের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট, আসন্ন নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।’

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন এবং তারা যে মানবেতর জীবনযাপন করছে, সেটিও আলোচনার একটি বড় অংশ ছিল।’

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আগামী দিনে কীভাবে একযোগে কাজ করবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যতদিন তারা প্রত্যাবর্তন করতে না পারে, ততদিন তাদের বিষয়ে জাতিসংঘের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন গোয়েন লুইস।’

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী সম্পর্কে আমির খসরু বলেন, ‘বিগত দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে গোয়েন লুইসের অবদানকে আমরা স্বীকৃতি দিতে চাই’

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের চার্টার অনুযায়ী প্রতিটি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক, সাংবিধানিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে গোয়েন লুইস সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। এ জন্য আমরা দলের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।


নেত্রকোণায় সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এ বি চৌধুরী নাদিম, নেত্রকোনা

নেত্রকোণায় বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নেত্রকোনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মহিউদ্দিনের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব নেত্রকোণা জেলা শাখার আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন দুদকের অভিযোগের তদন্তের নামে সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে নেত্রকোণা এডিএম সুখময় সরকার ও কেন্দুয়া উপজেলা কর্মকর্তা মো: ইমদাদুল হক ঘটনাস্থলে নিয়ে যান এবং সেখানে তাদের উপস্থিতিতে সাংবাদিক মহিউদ্দিনেরে উপর সন্ত্রাসী মোহাম্মদ এমদাদুল হক ওরফে হালিম মাস্টারতার দলবল নিয়ে হামলা চালায়।প্রশাসন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সাংবাদিক মহিউদ্দিন ও তানজিলা শাহ রুরিব বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইনে মামলা দায়ের করেন। এ সময় নেত্রকোণার কেন্দুয়া টিআর ও কাবিখা প্রকল্পে দুর্নীতি অনিয়মে জড়িত প্রশাসন ও প্রকল্প কমিটির বিরুদ্ধে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নেত্রকোণা ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় শাখার পক্ষে সভাপতি শামীম তালুকদার স্বাক্ষরিত মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান। বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ময়মনসিংহ বিভাগীয় শাখা সভাপতি শামীম তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক ও প্রভাষক সুমন আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এনসিপির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক প্রীতম সোহাগ, নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক হাফিজ উল্লাহ চৌধুরী আলিম, দেশ কণ্ঠস্বর পত্রিকার সম্পাদক জালাল চৌধুরী, আর টিভির নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি গজনবী বিপ্লব, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নেত্রকোনা জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল আলম, সাংবাদিক আবুল কাশেম আবাদী, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তালুকদার, সাংবাদিক মোনায়েম খান, সাংবাদিক তানজিলা শাহ রুবি ও ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোঃ মহিউদ্দিন তালুকদার প্রমুখ।


পিরোজপুরে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পিরোজপুর প্রতিনিধি

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণে সারাদেশের ন্যায় পিরোজপুরেও শুরু হয়েছে ২২ দিনের বিশেষ অভিযান।

‘মা ইলিশ রক্ষা করি, ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধি করি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর পিরোজপুর জেলার উদ্যোগে রোববার হুলারহাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে কচা নদীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এ সময় পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলাউদ্দিন ভুঁইয়া জনির নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জীব স্বন্নামত, পিরোজপুরে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর মেজর এস এম মোস্তফা কামাল, পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আল-আমিন, পাড়েরহাট নৌপুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস, উপজেলা মৎস্য অফিসাররা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা প্রমুখ। এ সময় ট্রলারযোগে হুলারহাট লঞ্চঘাট থেকে সেনাবাহিনী, জেলা পুলিশ, নৌপুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ডের সদস্যরা কড়া মহরায় ছিলেন।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানায়, মা ইলিশ সংরক্ষণে ৭টি উপজেলার বিশেষ টিম মাঠে কাজ করছে। অভিযান তদারকিতে নিয়োজিত আছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। অভিযানের মূল লক্ষ্য মা ইলিশ নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়ার সুযোগ নিশ্চিত করা, যাতে উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং দেশের ইলিশ সরবরাহ বাড়ে। কচানদীসহ জেলার অন্যান্য নদীতে এরই মধ্যে টানা টহল শুরু হয়েছে।

এ সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ । পাশাপাশি সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকায় সব রকম মৎস্য নৌযান কর্তৃক ইলিশসহ সব প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

অভিযান শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও মৎস্য কর্মকর্তারা বলেন, কঠোর নজরদারি থাকায় এ বছর মা ইলিশ রক্ষার অভিযান আরও সফল হবে।


চট্টগ্রামে দুই সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, সিইউজে’র ক্ষোভ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় বেসরকারি চ্যানেল এখন টেলিভিশনের চট্টগ্রামের ব্যুরোপ্রধান হোসাইন আহমেদ জিয়াদ এবং ক্যামেরাপার্সন মো. পারভেজ রহমান আহত হয়েছেন। রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

আহত মো. পারভেজ বলেন, জঙ্গল ছলিমপুরের লোহারপুল এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে হঠাৎ ৫০-৬০ জন লোক আমাদের ওপর হামলা করে। তারা অস্ত্র ও গাছের টুকরো দিয়ে আমাদের আঘাত করে। আমাদের মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। ক্যামেরা ভেঙেছে। পরে আমাদেও জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। আমরা কোনোরকমে সেখান থেকে বেরিয়ে আসি।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে দায়িত্বরত জেলা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দীন তালুকদার বলেন, সলিমপুর থেকে আহত অবস্থায় দুই সাংবাদিককে হাসপাতালে আনা হয়েছে। মাথায় আঘাত থাকায় সাংবাদিক হোসাইন জিয়াদ ২৮ নম্বর নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

এর আগে গত শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত সলিমপুরের আলিনগর এলাকায় ইয়াছিন ও রোকন-গফুর বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে কালু নামে রোকন বাহিনীর এক সদস্য নিহত হন। আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৬ জন।

এ ঘটনায় সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় সাংবাদিক সমাজে ব্যাপক ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)’র সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ এ হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি বলেন, সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদেও উপর এ ধরণের সন্ত্রাসী হামলা ঘৃণ্য ন্যাক্কারজনক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর সরাসরি আঘাত। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেও দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।

টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সভাপতি শফিক আহমেদ সাজীব বলেন, 'চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুরে টিসিজেএ নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক ও এখন টেলিভিশনের ভিডিও জার্নালিস্টস মো. পারভেজ রহমান এবং চট্টগ্রাম অফিস প্রধান হোসেন জিয়াদের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এই হামলা ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।'


মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় প্রাণ গেল যুবকের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাকিবুল হাসান রোকেল, কিশোরগঞ্জ

মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল ২১ বছর বয়সি যুবক রামেলের। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে স্তব্ধ এলাকাবাসী। শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো গ্রামে। বাবা-মায়ের আহাজারি যেন থামছেই না। নিহত মো. রামেলের বাড়ি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার জিনারি গ্রামে।

জিনারি ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনসুর আহমেদ জানান, কিছুদিন পূর্বে রামেলের বাড়ির পাশে বসে মাদক সেবন করছিলেন পাশ্ববর্তী তেতুলিয়া গ্রামের নাঈমসহ (২২) কয়েক যুবক। এ সময় প্রতিবাদ করেন রামেল ও তার চাচাতো ভাই মো. রিফাত। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে শুরু হয় বিরোধ। ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে বেলতৈল স্কুল মাঠে ক্রিকেট খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে রামেল ও রিফাতের গতিরোধ হামলা চালায় নাঈম, তারেক, সাগর, রায়হানসহ বেশ কয়েকজন। এক পর্যায়ে রামেলকে করা হয় ছুরিকাঘাত। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত রামেলকে প্রথমে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩ টায় তার মৃত্যু হয়।

জিনারি গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ বুলবুল জানান, এ ঘটনায় ৩ অক্টোবর নিহত রামেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নাঈমসহ ৭ জনের নামোউল্লেখ করে হোসেনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারিনি পুলিশ।

রামেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে খুব একটা পড়াশোনা করতে পারেননি রামেল। সংসারের হাল ধরতে ঢাকায় গিয়ে একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। পরিবারে তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিই ছিলেন রামেল। শুধুমাত্র মাদকের প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। রামেলের হত্যকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

রামেলের মা যমুনা বেগম জানান, রামেলের স্বপ্ন ছিল কুয়েতে গিয়ে উপার্জন করে পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরাবেন। সে অনুযায়ী ঋণ করে ৫ লাখ টাকা ও পাসপোর্ট জমা দেওয়া ছিল একটা এজেন্সিতে। আর কদিন পরেই প্রবাসে পাড়ি জমানোর কথা ছিল রামেলের।


মাগুরায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরা-যশোর মহাসড়কের সদরের ভাবনহাটি ঢাল এলাকায় বাস ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে দীনবন্ধু বিশ্বাস (৩৩) নামে এক ব্যক্তি নিহত এবং নারী শিশুসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। মাগুরা হাইওয়ে পুলিশের এস আই মাহবুবুর রহমান জানান, রবিবার সকাল দশটার দিকে মাগুরা-যশোর মহাসড়কের সদরের ভাবনাটি ঢাল এলাকায় সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাগামী এসপি গোল্ডেন লাইনের একটি বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি তেলবাহী ট্রাকের চাকা ফেটে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় গোল্ডেন পরিবহনে থাকা যাত্রী একই পরিবারের ৫ জনসহ দীনবন্ধু (৩৩),সোহেল (৩৬), মিন্টু (৩৪), আক্কাস (৫০), সিয়াম (২১) আহত হয়। আহতদের মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


নবীনগরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন—স্থানীয় মো. সাদ্দামের ছেলে মো. শরীফ (৭) ও মেয়ে শিফা (৮)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে শরীফ বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে বড় বোন শিফা পুকুরে ঝাঁপ দেয়। এক পর্যায়ে দুজনেই পানিতে ডুবে যায়। কিছুক্ষণ পর প্রতিবেশীরা তাদের ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই শিশুকেই মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে এখনও অবগত নই। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


২৫ লাখ ডলারের রপ্তানি আদেশ পেল বাংলাদেশ

মিহাস ২০২৫-এ নজিরবিহীন সাফল্য
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বের বৃহত্তম হালাল পণ্য প্রদর্শনী মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল হালাল শোকেস (মিহাস) ২০২৫-এ অংশ নিয়ে বাংলাদেশের কসমেটিক্স ও স্কিনকেয়ার শিল্প নজিরবিহীন সাফল্য অর্জন করেছে।

রোববার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া দেশি কোম্পানিগুলোর পণ্যের প্রতি ২১টি দেশের ১১৮টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও রিটেইলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ আয়োজনে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় ২৫ লাখ মার্কিন ডলারের সম্ভাব্য রপ্তানি অর্ডার পেয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে এবারে মোট ১২টি বুথ অংশ নেয়, যার মধ্যে দুটি পরিচালনা করে বাংলাদেশ হাইকমিশন। খাদ্য, কসমেটিক্স, হস্তশিল্প, সিরামিক, পাটজাত এবং পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতের পণ্য প্রদর্শিত হয়। হালাল সার্টিফায়েড কসমেটিক্স, স্কিনকেয়ার ও পার্সোনাল কেয়ার পণ্য মেলায় বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে জায়গা করে নেয়।

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, অস্ট্রেলিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত ক্রেতারা বাংলাদেশে উৎপাদিত হালাল কসমেটিক্সের গুণগত মান, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং প্যাকেজিং দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রদর্শনীর সময় একাধিক দেশি কোম্পানি সরাসরি রপ্তানি অর্ডার পায় এবং ভবিষ্যতে প্রাইভেট লেবেল উৎপাদন ও প্যাকেজিং সহযোগিতায় প্রাথমিক সমঝোতা হয়।

মালয়েশিয়ার জাতীয় ঐক্য মন্ত্রণালয়ের সচিব জেনারেল দাতো হাসলিনা বিনতে আবদুল হামিদ বাংলাদেশের পণ্যের মান ও উপস্থাপন দেখে প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে তৈরি হালাল পণ্যের মান আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছেছে এবং এটি বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা রাখে।’

প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোছাম্মৎ শাহানারা মনিকা এবং বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবির) মহাপরিচালক বেবি রানী কর্মকার। তারা প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর স্টল পরিদর্শন করে পণ্যের মান ও প্যাকেজিংয়ের প্রশংসা করেন।

প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া রিমার্ক ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রাশেদুল ইসলাম জানান, ‘রপ্তানির এই নতুন দিগন্ত শুধু আমাদের জন্য নয়, দেশের জন্যও গর্বের বিষয়।’

মিহাস ২০২৫-এ অংশ নেয় বিশ্বের ৮০টি দেশের ১ হাজার ১৯টি কোম্পানি, যেখানে ছিল ২ হাজার ৩৮০টিরও বেশি স্টল। প্রায় ৪৫ হাজার দর্শনার্থী প্রদর্শনীতে অংশ নেন।

আয়োজনের মধ্যে ছিল ইনভেস্টমেন্ট ও পারচেজিং মিশন, বিজনেস সেমিনার, অ্যাওয়ার্ড শো এবং নলেজ হাব।


চা-বাগানের লেক থেকে অজগর উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ১২ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সাড়ে ১২টায় উপজেলার খাইছড়া চা-বাগানের লেক থেকে অজগরটি উদ্ধার করে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকালে খাইছড়া চা-বাগানে চা-শ্রমিকরা চাপাতা তুলার সময় হঠাৎ লেকের পাড়ে একটি বিশাল আকৃতির অজগর সাপ দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে কাজ বন্ধ করে বিষয়টি ম্যানেজারকে জানান।

পরবর্তীতে ভাড়াউড়া চা বাগানের ডেপুটি ম্যানেজার সাদিকুল রহমান ও

খাইছড়া চা বাগানের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার আবু নাসির মো. জামান নাহিদ বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনকে খবর দেন।

বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল জানান, খাইছড়া চা-বাগানে একটি লোকে বিশাল অজগর দেখতে পেয়ে বাগান কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনকে খবর দেন। খবর পেয়ে আমি পরিবেশ কর্মী রাজদীপ দেব দীপকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অজগর সাপটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করি। সাপটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ ফুট এবং ওজন ২১ কেজি। উদ্ধারকৃত অজগর সাপটিকে শ্রীমঙ্গল বন বিভাগের রেঞ্জ কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের শ্রীমঙ্গল রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, উদ্ধার করা অজগরটি লম্বায় প্রায় ১২ ফুট এবং জন প্রায় ২১ কেজি হবে। অজগরটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বনে অবমুক্ত করা হবে।


ভালুকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়ায় অবস্থিত ওরিয়ন নীট টেক্সটাইল লিমিটেড ফ্যাক্টরিতে অর্ডার সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়েছে। বেতন-বোনাসসহ বিভিন্ন পাওনা পরিশোধ না করায় ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রবিবার সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জামিরদিয়ার আইডিয়াল মোড় এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে প্রায় ১২৫০ জন কর্মকর্তা ও শ্রমিক বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা সেপ্টেম্বর মাসের বেতন এবং চাকরি হারানোর আশঙ্কা দূরীকরণসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

শ্রমিকরা জানান, কারখানায় কর্মরত ৪২ জন ম্যানেজমেন্ট স্টাফের আগস্ট মাসের বেতন ১৮ সেপ্টেম্বর দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো পরিশোধ করা হয়নি। পাশাপাশি, রিজাইন করা ৫৩ জন শ্রমিকের বেনিফিট ও অন্যান্য পাওনাও বকেয়া রয়েছে। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ৮ অক্টোবরের মধ্যে সব পাওনা পরিশোধ না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে নামবেন।

শিল্প পুলিশ-৫ এর পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন খান বলেন,‘শ্রমিকদের বিক্ষোভের পেছনে মূলত মালিকানা জটিলতা রয়েছে। শিল্প পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উভয়পক্ষের সঙ্গে বসে সমাধানের চেষ্টা চলছে। শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে।’


রাণীনগরে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর রাণীনগরে মাঠে গরু চরানোর সময় বজ্রপাতে তাহের (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলার ছোট যমুনা নদীর তীরে কৃষ্ণপুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত তাহের উপজেলার কৃষ্ণপুর সরদারপাড়া গ্রামের মৃত আশরাফ হাজী মন্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে গরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য গরু নিয়ে ছোট যমুনা নদীর তীরে কৃষ্ণপুর এলাকায় মাঠে যান কৃষক তাহের। এরপর তিনি মাঠে গরু ছেড়ে দিয়ে গরু চরাচ্ছিলেন। সকাল পৌঁনে ১০টার দিকে হটাৎ আকাশে কালো মেঘ জমে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মুষলধারে বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় মাঠে গরু রেখে একটি বটগাছের নিচে আশ্রয় নেন কৃষক তাহের। সেখানে বজ্রপাত পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।


নির্বাচনী তফশীলের আগে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরুর দাবি

রংপুরে পদযাত্রা ও স্বারকলিপি প্রদান
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রংপুর ব্যুরো

নির্বাচনী তফশীল ঘোষণার আগে নভেম্বর মাসে নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরুর দাবিতে রংপুরে পদযাত্রা ও স্বারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন। রোববার ভারী বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলুর নেতৃত্বে নগরীর শিক্ষা কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে পদযাত্রা বের হয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এরপর জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব অ্যাড. মাহফুজ-উন-নবী ডনসহ অন্যরা।

তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মাঝে মধ্যে বলছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু হবে। কিন্তু কখন শুরু হবে, কীভাবে শুরু হবে সেটি স্পষ্ট করেনি। সে জন্য আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি। আজ (রোববার) রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীবেষ্টিত ৫ জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্বারকলিপি দেওয়া হলো। আগামী ৯ অক্টোবর গণমিছিল ও গণসমাবেশ এবং ১৬ অক্টোবর নদী-নদীর অববাহিকার ১৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচি পালিত হবে। এসব শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেও যদি সরকার দাবি বাস্তবায়নে উদ্যোগী না হয়, তবে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি দিয়ে রংপুরকে অচল করে দিতে বাধ্য হব।

তিনি বলেন, সরকার বলছে জানুয়ারিতে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু হবে। কিন্তু নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা হলে সেই কাজ ঝুলে যেতে পারে। সরকার যেহেতু এ প্রকল্প বাস্তবায়নে টাকা দিতে চেয়েছে। তাই অভ্যন্তরীণ অর্থ দিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করা হোক। এটি যত তাড়াতাড়ি হবে, সরকার এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তরিক বলে আমরা আশ্বস্ত হব। আমরা এ কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।


টানা ছুটির পর রাকসু নির্বাচনের প্রচারণা শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজশাহী প্রতিনিধি

টানা ছুটির পর আবারও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ- রাকসু নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হয়েছে রোববার থেকে। প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, টুকিটাকি চত্বর, পরিবহন মার্কেট, অ্যাকাডেমিক ভবন সংলগ্ন সড়কগুলোতে প্রচারপত্র বিতরণ করতে দেখা গেলেও ছুটির পর হওয়ায় সংখ্যায় অনেকটাই কম।

এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের প্রচারণার সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে ৫-১৪ অক্টোবর পর্যন্ত আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালাতে পারবে প্রার্থীরা। রোববার এ কথা বলেছেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা সেতাউর রহমান। তিনি বলেন, আগামী ১৬ অক্টোবর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হচ্ছে। কমিশন জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সংসদ, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রচারণা ৫-১৪ অক্টোবর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। সে কারণে যথাযথভাবে আচরণবিধি অনুসরণে সকলকে প্রচারণা করতে হবে। এর আগে, প্রতিষ্ঠানিক সুবিধার দাবিতে শিক্ষক ও কর্মকর্তারা ক্যাম্পাস শাটডাউন ঘোষণা করেন। এতে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছাড়তে থাকেন। এতে ছাত্রদলসহ অনেকে ভোট পেছানোর দাবি তোলেন। ফলে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর জরুরি সভায় ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ভোটগ্রহণ পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।


banner close