সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
২১ আশ্বিন ১৪৩২

মা ইলিশ রক্ষায় পদ্মায় অভিযান, নৌকা জব্দের পর নিলাম, জাল ধ্বংস 

অভিযানে অবৈধ কারেন্ট জাল ধ্বংস করা হয়। ছবি: দৈনিক বাংলা
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ৬ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৩১

মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে তৃতীয় দিনের অভিযানে জাল ও নৌকা জব্দ করে উন্মুক্ত নিলাম করেছে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার সকালে পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ছাত্তার মেম্বার পাড়া ও কলাবাগান এলাকায় ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও একটি নৌকা জব্দ করেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহিদুর রহমান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট, দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওসি ত্রিনাথ সাহা, মা ইলিশ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের দাড়িত্বে থাকা পেটি অফিসার শাহিন আলমসহ পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের দল।

এ বিষয়ে ইউএনও মো. নাহিদুর রহমান বলেন, ‘মা ইলিশ রক্ষায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কঠোর অবস্থানে থেকে অভিযান পরিচালনা চলছে এবং এ অভিযান প্রতিদিনই পরিচালনা করা হবে। এ সময় নদীতে থাকা জেলেদের আটকসহ জাল ও অন্যান্য সামগ্রী জব্দ এবং আটকৃতদের মৎস্য আইন অনুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হবে। সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সময় পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, তৃতীয় দিনের মতো পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৫০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, মাছ শিকারে ব্যবহৃত একটি ট্রলার ও ৫ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত জাল ফেরিঘাটে এনে পুড়িয়ে ফেলা, মাছগুলো নদীর তীরবর্তী অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয় এবং জব্দকৃত নৌকাটি উন্মুক্ত নিলামে ৩৬ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।


হালুয়াঘাটে বালু নিলাম প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

হালুয়াঘাটে বালু নিলাম প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার শাকুয়াই ইউনিয়নের বালিজুড়ি এলাকার অর্ধশতাধিক কৃষক পরিবারের বাড়িঘর রক্ষায় কৃষকদের ব্যক্তিগত জায়গা থেকে বালু নিলাম প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

সোমবার দুপুরে উপজেলার বালিজুড়ি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ব্যানারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

বালিজুড়ি গ্রামের সৈয়দ সুলতান বলেন, আমাদের জমিতে ডকুমেন্ট করে বালু রাখার জন্য তখন অনুমতি দিয়েছিলাম। তৎকালীন পার্শ্ববর্তী ফুলপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউল করিম রাছেল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে নদী খননকারী প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের নিয়ে আমাদের সাথে কথা বলেন। সেসময় বলা হয় নদীর বালু ফেলার জন্য জায়গা দিলে আমাদের বাড়িঘর নদী ভাঙন ও পানি ওঠা থেকে রক্ষা পাবে। আমরা লিখিতভাবে তখন বালু ফেলার অনুমতি দেই। প্রায় ৩ বছর হলো আমরা এর সুফল ভোগ করছিলাম। এখন বন্যায় আমাদের ঘরে পানি ওঠে না। বৃষ্টির পানি উঠলে আমরা সেই বালু রাখার জায়গাতে গিয়ে আশ্রয় নিতে পারি। কিন্তু কিছুদিন আগে প্রশাসন আমাদের জমিতে রাখা বালু নিলামে বিক্রি করেছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শহিদুল ইসলাম বলেন, বালিজুড়ি গ্রামের অংশটি ৩ নদীর মোহনায় অবস্থিত। একদিকে কংশ ও খড়িয়া নদী। অন্যদিকে বটকালী খাল। ফলে প্রতিবছর বন্যায় আমাদের এলাকাটির বাড়িঘরে ঢলের পানি এসে ব্যাপক ক্ষতি হতো। তবে ৩ বছর আগে আমরা আমাদের ফসলি জমিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বালু রাখার অনুমতি দেই। নইলে নদী খননের বালু ফেলার জায়গা ছিলনা। বালু রাখার ফলে এখন কংস নদীর ভাঙন থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। কিন্তু আমরা হঠাৎ জানতে পারি এই বালু নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হবে। নদী থেকে উত্তোলনকৃত বালু নিলামের আগেই আমরা লিখিতভাবে প্রশাসন ও কৃষি বিভাগকে অবগত করেছিলাম। কিন্তু জনগনের কষ্টের কথা চিন্তা না করে প্রশাসন বালু নিলাম দিয়েছেন।

স্থানীয় হাজি এমদাদ হোসেন বলেন, এখানে কখনো প্রশাসন থেকে কেউ না এসেই এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা না করে বালু নিলাম দিয়েছে। যদি বালু নিয়ে যায় তাহলে আমরা এলাকার সাধারণ মানুষের বাড়িঘরে আবারো নদীর পানি উঠে যাবে। নদীর পাড় ভেঙে বিলিন হয়ে যাবে এই গ্রাম। আমরা আশা করবো প্রশাসন সরজমিনে এসে তদন্ত করে নিলাম বাতিল করবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলীনূর খান বলেন, নিয়ম মেনেই আমরা বালু নিলাম করেছি। তবে এ বিষয়ে নিলামের আগে আমাদের কেউ আপত্তি জানায়নি। যদি আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ আসে তাহালে আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিব।


আমতলীতে বিএনপির মিছিলে পেট্রোল বোমা হামলা

আওয়ামী লীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার
আমতলীতে গ্রেপ্তারকৃত ৩ জন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলী উপজেলায় বিএনপির মিছিলে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার আমতলী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাহাত প্যাদা বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করলে ওই রাতেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- আমতলী উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক, আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবির, এবং পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অমিত রসুল অপু।

জানা যায়, গত বছর ২২ অক্টোবর রাতে আমতলী সরকারি কলেজের সামনে থেকে পৌর, উপজেলা ও কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি উপজেলা সড়কের কার্তিক মণ্ডলের বাড়ির সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।

এ ঘটনায় প্রায় এক বছর পর ছাত্রদল নেতা রাহাত প্যাদা বাদী হয়ে সোমবার ৬৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিত্তিতে রাতে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের ওই তিন নেতাকে নিজ নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বিএনপির মিছিলে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সোমবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।


ফেনীতে পুলিশে চাকরি পেলেন ২০ তরুণ

পুলিশে চাকরি পাওয়া তরুণরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

পরশুরামের রিকশাচালক সাগর আহমেদের ছেলে সাহাব উদ্দিন বলেন, আমি ১২০ টাকায় আবেদন করে পুলিশে চাকরি পেয়েছি, কাউকে কোনো উৎকোচ (ঘুষ) প্রদান করতে হয়নি। এ জন্য তিনি পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। সিএনজি চালক ইকবাল হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার পিতা সিএনজি চালক। আমি অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেছি। আমার ঘুষ দেওয়ার মতো অর্থ নেই, পুলিশে স্বচ্ছ নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ায় আমি উত্তীর্ণ হয়েছি।

কৃষক আব্দুল মতিন ছেলে আবু বকর ছিদ্দিক জানান, তারা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেখে একটি কম্পিউটার দোকান থেকে আবেদন করেন। মাত্র ১২০ টাকা ফি’তে অনলাইনে আবেদন করে কনস্টেবল পদে সুযোগ পেয়ে যাবেন, তা তিনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। তিনি বলেন, যদিও আগে বিভিন্ন লেনদেনের কথা শোনা যেত। কিন্তু আমরা কোনো ধরনের লেনদেন ছাড়াই চাকরি পেয়েছি। আমাদের এই আনন্দ বলে বোঝানোর মতো না।’

গত শনিবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ লাইনের গ্রিল শেডে পুলিশে কনস্টেবল পদে চুড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ২০ জন রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্দেশে যাওয়ার পূর্বে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানের এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন।

পুলিশ সুপার বলেন, আমরা শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছি। নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের কাউকে এক টাকাও দিতে হয়নি। তিনি নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২০জনের কাছে সরাসরি জানতে চান- কাওকে টাকা দিয়েছে কি না, তারা সবাই জানায়, কাউকে টাকা দিতে হয়নি।

পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান কনস্টেবল পদে উত্তীর্ণদের উদ্দেশে বক্তব্যে বলেন, আপনারা সবাই চাকরি জীবনে সততার সাথে চাকরি করবেন। মানুষকে সেবা দিবেন। আপনারা পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবেন। উত্তীর্ণ ২০ জনকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন পুলিশ সুপার।


ফরিদপুরে পদ্মা নদী ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজের উদ্বোধন

নদী ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফরিদপুর প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেছেন, ফরিদপুরে পদ্মা নদী ভাঙন রোধে সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আগামীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সর্বপ্রথম ফরিদপুরের পদ্মা নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের পদ্মা নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় নদী ভাঙন রোধে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

দীর্ঘদিন যাবত পদ্মা নদী ভাঙনের কারণে নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৪ থেকে ৫টি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ঘরবাড়ি সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে কয়েকশ’ পরিবার, এদের মধ্যে অনেকেই ছেলে সন্তান নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তায়, আবার কেউ আছেন ভাড়া বাড়িতে‌। এলাকাবাসীর দাবি ছিল দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে অবশিষ্ট গ্রামটুকু হারিয়ে যাবে পদ্মা নদীর ভাঙনে।

বিষয়টি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফের নজরে আসলে সোমবার সকালে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা এবং নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ভাঙন কবলিত ৮৬ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজের উদ্বোধন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ বি সিদ্দিকী মিতুল, জেলা কৃষক দলের সভাপতি রেজাউল ইসলাম, নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুস্তাকুজ্জামান মোস্তাক, নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আলমাস মন্ডল, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহরুখ ফয়সাল নিলয়, যুবদল নেতা পারভেজ বেপারী, ছাত্রদল নেতা সাইদুল ইসলামসহ বিএনপি সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।

পরে ভাঙন প্রতিরোধে এলাকাবসীদের সাথে নিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।


রংবিলাস জাতের আখের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

আখের খেতে কৃষক। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার মতো বরুড়া উপজেলার বাতাইছড়ি ইউনিয়নের তালুকপাড়াতে আখ চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় ভালো দামও পাচ্ছেন তারা। উৎপাদন ব্যয় বাদ দিয়েও দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় আখ চাষে কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি। কৃষি বিভাগ বলছে, আখ চাষ সম্প্রসারণে সরকারি প্রকল্প নেওয়া হবে, পাশাপাশি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে কৃষকদের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি জরিপ মৌসুমে কুমিল্লার মুরাদনগর, বুড়িচং, দেবিদ্বার, বিপাড়া, চান্দিনা, দাউদকান্দি, চৌদ্দগ্রাম, লাঙ্গল কোট, লালমাই, বরুড়াসহ ১০ উপজেলায় প্রায় ৩০০ শত হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০০ শত হেক্টর জমি।

অন্য জেলার তুলনায় আখ চাষ একসময় খুবই কম ছিল। তবে গত কয়েক বছরে লাভজনক হওয়ায় অনেক কৃষক আখ চাষে ঝুঁকছেন। বিশেষ করে উঁচু জমি ও বেলে-দোয়াশ মাটি আখ চাষের জন্য উপযোগী বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা হোসেন মিয়া।

বরুড়া উপজেলার বাতাইছড়ি ইউনিয়নের তালুকপাড়া গ্রামের কৃষক ইয়াছিন, খোকন মেম্বার, খায়ের মেম্বার, ফারুক আহম্মেদ,তা রু মিয়া, আলী নেওয়াজ তাদের নিজ ধানি জমিতে গত কয়েক বছর যাবত আখ চাষ শুরু করেন। আখ ফলনে কৃষক ইয়াছিন জানান, গত বছর ১ লাখ টাকা খরচ করে এবার প্রায় ৩ লাখ টাকার আখ বিক্রি করেন। চলতি বছরেও তার আখের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং ভালো দামের আশায় রয়েছেন তিনি। বর্তমানে বাজারে প্রতি পিস আখ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। এ আখ চিবিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি গুড় তৈরির জন্যও বেশ জনপ্রিয়।

কৃষক খোকন মেম্বার বলেন ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আখের ফলন ভালো হয়েছে। উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় বেশি দাম পাওয়ায় আমরা খুশি।’

এলাকার আরেক কৃষক তারুমিয়া জানান, ‘আগে শুধু ধান করতাম। কিন্তু ধানে তেমন লাভ নেই। এখন আখ করে দেখছি খরচ কম, লাভ বেশি। তাই আগামীতে আরও বেশি জমিতে আখ চাষ করব। ৯ মাসে ফলন আসে, আমাদের এলাকায় প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে এবার রংবিলাস ২০৮ নম্বর ও ৫৩২ নম্বর জাতের আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। এসব আখ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে কুমিল্লা জেলা ও ঢাকা, চট্টগ্রামের খুচরা ব্যবসায়ীরা জমিতে কন্টাক করে ক্রয় করে প্রতিকানি ৩-৪ লাখ টাকা। এতে ধারণা করা হয় প্রতি ১০০ আখ ৪০০০-৫০০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে জমিতে।

স্থানীয় আখ বিক্রেতা খায়ের বলেন, ‘এলাকায় এখন আখের প্রচুর চাহিদা। বাজারে তুললেই বিক্রি হয়ে যায়। প্রতি পিস ৬০-৮০ টাকা দরে আখ বিক্রি করছি। এই আখ কার্তিক অগ্রহায়ণে রোপণ করা হয়, যত্ন দিয়ে কীটনাশক ছিটানোর পরে দীর্ঘ ৯ মাস অপেক্ষা করে ফলন বিক্রির জন্য রেডি হয়। এই ফলনে কৃষকরা খুশি কারণ অল্প খরচে তিনগুণ লাভ। তাই চাষিরা আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, আখ একটি অর্থকরী ফসল। একসময় আখ চাষ হারিয়ে যাচ্ছিল, তবে গত দুই বছর থেকে আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে প্রতিটি উপজেলায় আখ চাষ হচ্ছে। কৃষকরা আরও বেশি করে আখ চাষে আগ্রহী হন সে জন্য প্রশিক্ষণ ও সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে।


কমলগঞ্জে বজ্রপাতে ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বজ্রপাতে এক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান। সোমবার দুপুরে সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নে মোকাবিল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বজ্রপাতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবু আব্দুল্লা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কৃষি জমিতে তিনি ধানের মধ্যে ঘাস কাটতে গেছেন, তখন প্রচুর বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়। তখন কোনো একসময় তিনি মারা যান।

ইউপি সদস্য আবু আব্দুল্লা জানান, সকাল থেকে অনেক খুজাঁখুজি হয় ফজলুর রহমানকে। পরিবারের সদস্যরা জানান ধানি জমিতে গেছেন। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে কৃষি জমির মধ্যে ওনার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে আমরা বাড়িতে নিয়ে আসি।

মৃত্যুট কীভাবে হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুখের পুরো অংশ কালো হয়ে গেছে। বজ্রপাতে তিনি মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন এ প্রতিবেদককে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর জানান, ‘মৃত্যুর বিষয়টি শুনে আমি রওয়ানা হয়েছি। তবে কি কারণে মৃত্যু হয়েছে আমি এখনও নিশ্চিত না।’


প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে রাঙামাটির বৌদ্ধ বিহারগুলোতে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান

রাঙামাটির বৌদ্ধ বিহারে ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি

দেশের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে রাঙামাটি জেলায় যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার ও শাখা বন বিহারগুলোতে উদযাপিত হয়েছে বৌদ্ধধর্মালম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা।

সোমবার জেলার রাজ বনবিহারসহ বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ দানানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

রাঙামাটির সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন, ভিক্ষু সংঘের পিণ্ডদান ও প্রাতরাশ, মঙ্গল সূত্র পাঠ, বুদ্ধ পুজা, পঞ্চশীল প্রার্থনা, মহাসংঘ দান, প্রদীপ পুজা, হাজার বাতি দান, ফানুস দানসহ বিভিন্ন দানানুষ্ঠানের অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দায়ক-দায়িকাদের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন, রাজবন বিহারের র র আবাসিক প্রধান ও বনভান্তের প্রধান শিষ্য প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।

রাজবন বিহারের র র উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সহসভাপতি নিরুপা দেওয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপিরসহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ানসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।

এ সময় হাজার হাজার পূর্ণার্থীর সাধু-সাধু ধ্বণিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো রাজবন বিহার প্রাঙ্গণ। শুভ প্রবারণা পুর্ণিমা উপলক্ষে ওইদিন রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে পূর্ণার্থীর ঢল নামে।

এছাড়া প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সন্ধ্যায় রাজবন বিহারে হাজার বাতি প্রজ্জ্বলণ ও ফানুষ উত্তোলনের মধ্যদিয়ে প্রবারণা পূর্ণিমা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।

রাজবন বিহার ছাড়াও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সন্ধ্যা নামলেই জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিহারগুলোতে ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠানসহ ফানুস ওড়ানো হবে।

উল্লেখ্য, আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ নির্বাণ লাভের পর আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পুর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা উৎসব পালন করেন। সেই থেকে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা বর্ষাবাস শেষে দিনটি পালন করে আসছেন। আজকের (সোসবার) এই দিন থেকে পার্বত্য অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারগুলোতে শুরু হবে কঠিন চীবর দানোৎসব।

কঠিন চীবর দানোৎসব উপলক্ষে আগামী ৩০ ও ৩১ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী রাজবন বিহারের দেশের সর্ববৃহৎ কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

রাজবন বিহারের র এই কঠিন চীবর দানোৎসবে দেশ, বিদেশ ও পার্বত্য অঞ্চলের প্রায় লক্ষাধিকেরও বেশি মানুষ সমাগম ঘটবে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি রাজবন বিহারের র র উপসক-উপাসিকা পরিষদের সহসভাপতি নিরুপা দেওয়ান।


ন্যায় ও ইনসাফের প্রতিক হলো দাঁড়িপাল্লা: আব্দুল হালিম

বক্তব্য রাখছেন আব্দুল হালিম। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, আমরা আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করব, কিন্তু প্রতিহিংসায় যাব না। জনগণের ভোটে যারাই নির্বাচিত হয়ে আসবে আমরা ফ্যাসিবাদ বিরোধী সবাই মিলে তাদেরকেই স্বাগত জানাব।

দেবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াত আয়োজিত আসন ভিত্তিক নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সোমবার দুপুর ৩ টায় দেবীগঞ্জ উপজেলা মডেল মসজিদের হল রুমে দেবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াত আয়োজিত আসনভিত্তিক নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি- ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন এবং বামপন্থি দলগুলোসহ সব দলের নেতারা একসঙ্গে বসেছে। আগামীর বাংলাদেশটা এমন হবে। সবার রাজনৈতিক আদর্শ নিজ নিজ দলের কাছে থাকবে। দেশের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদ মুক্ত বাংলাদেশের প্রশ্নে আমরা সবাই এক থাকবো। আমরা ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল দলকে বলেছি- আমরা সবাই মিলে ফ্যাসিবাদ তারিয়েছি, আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি।

মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ফ্যাসিস্ট ভারতে চলে গেছে, কিন্তু ফ্যাসিজমের যেসব রং, রূপ রয়ে গেছে- এগুলো সব বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে। এজন্য মানুষকে বুঝাতে হবে, তাদের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে- ন্যায় ও ইনসাফের প্রতিক হলো দাঁড়িপাল্লা।

তিনি আরো বলেন, মানুষের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হয়েছে- জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অতীতের তোকমা কেউ আর বিশ্বাস করে না। এই বিশ্বাসের রেজাল্ট পেয়েছি- ডাকসু এবং জাকসুতে। এই বিশ্বাসের রেজাল্ট আগামীর বাংলাদেশে আসবে। এজন্য অহমিকা শতভাগ বর্জন করতে হবে।

পঞ্চগড়-২ আসনের জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন পরিচালক মাওলানা আব্দুল বাসেত এর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টিম সদস্য আব্দুর রশিদ, পঞ্চগড়-২ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী সফিউল্লাহ সুফি, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি আবুল বাশার বসুনিয়া, দেবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলাল হোসেন প্রমুখ।


মাগুরায় বিশ্ব বসতি দিবস পালিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাগুরা প্রতিনিধি

‘পরিকল্পিত উন্নয়নের ধারা, নগর সমস্যায় সাড়া’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মাগুরায় বিশ্ব বসতি দিবস পালিত হয়েছে।

সোমবার মাগুরা গণপূর্ত বিভাগের আয়োজনে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বসতি দিবসের মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন মাগুরা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ পারভেজ। সভাই প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাক্তার শামীম কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ শিবলী সাদিক, মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক।

এ সময় বক্তারা বলেন, নিরাপদ আবাসন তৈরিতে সরকারি নীতিমালা মেনে চলা উচিত।


ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জ অংশে দীর্ঘ যানজট, চরম ভোগান্তি

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট। ছবি: দৈনিক বাংলা ডেস্ক
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

সোমবার সকাল থেকেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জ অংশে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। কাচঁপুর থেকে গাউছিয়া পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটে দুর্ভোগ পোয়াচ্ছেন যাত্রী সাধারণ ও পরিবহন শ্রমিকরা।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজোলার যাত্রামুড়া সংলগ্ন মহাসড়কে বড় একটি মালবাহী কাভার্ড ভ্যান বিকল হয়ে যানজট শুরু হয়। দুপুর গড়িয়ে বিকেল ৪টার দিকে যানজট বেড়ে ১০ কিলোমিটারে বিস্তৃত হয়।

যাত্রী, পরিবহন শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারাব বিশ্বরোড গোলচত্বর থেকে বরাবো বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়কে খানাখন্দ, ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাটি দিয়ে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানটি অতিক্রম করার সময় চালকদের অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে।

মাঝে মধ্যেই মালবাহী গাড়ি বিভিন্ন স্থানে বিকল হয়ে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে দূরপাল্লার যানবাহন এখানে এসে ধীরগতিতে থেমে থেমে চলাচল করতে হচ্ছে। এতেই সকাল থেকেই যানজটের সূত্রপাত ঘটে।

দুপুরের পর থেকে যানজট দীর্ঘ হয়ে কাচঁপুর থেকে গাউছিয়া পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। যানবাহনের দীর্ঘ সারিতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের। শত শত যাত্রীকে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। এতে উপজেলার অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লার যানবাহনের হাজারও মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী যাতায়াত পরিবহন বাসের চালক কামাল হোসেন বলেন, ৩টা বাজে বরপা বাসস্ট্যান্ড পার হয়েই যানজটে আটকা পড়ি। এখন বিকেল সাড়ে ৪টা বাজে আছি তারাবো বিশ্ব রোড এলাকায়।

প্রতিনিয়ত এ সড়কে সমস্যায় ভুগছি। কিছু পরিমাণ রাস্তা ঠিক করে দিলে ভালো করে চলতে পারি; কিন্তু তা হচ্ছে না।

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রাকের চালক আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমাদের কপাল খারাপ। না হলে যখনই এ রাস্তায় আসি এইখানে এ দশা কেন অইবে! এইখানে আসলেই আমাদের যানজটে পড়তে অয়।’

কর্ণগোপ এলাকার বাসিন্দা নাছিমা আক্তার বলেন, ‘আমি ঢাকা থেকে মাল আনতে যাব; কিন্তু রুপসি বাসস্ট্যান্ডের পর ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করে আবার বাড়িতে ফিরে এসেছি।’

শিমড়াইল ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যাত্রামুড়া এলাকার কাছাকাছি বেলা ১১টার দিকে মালবাহী একটি বড় কভার্ট ভ‌্যান সড়কের প্রায় মাঝামাঝি অংশে বিকল হয়ে পড়ে। এতে উভয় পাশের গাড়ির স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হয়। এতেই যানজটের সৃষ্টি হয়। বিকল হওয়া গাড়িটি দ্রুত মেরামতের কাজ চলছে। মহাসড়ককে স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশ নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ডাক্তার সংকট, ভোগান্তিতে রোগীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড় জেলার স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্রবিন্দু ১০০ শয্যার আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রতিদিন শত শত রোগীর ভিড় লেগেই থাকে। জেলার পাঁচটি উপজেলার হাজারও মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে ছুটে আসে এই হাসপাতালে।

ভর্তি ও বহির্বিভাগ মিলে প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি রোগী চিকিৎসা নিতে আসলেও, পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় বিপাকে পড়ছেন রোগীরা।

জরুরি সেবা সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসাসেবা নেন এই হাসপাতালে।

আধুনিক সদর হাসপাতাল, পঞ্চগড় এ চিকিৎসকের পদ সংখ্যা ৩৭টির বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ২২ জন। ১৫টি পদ শূন্য।

এর মধ্যে মেডিসিন কনসালটেন্ট, গাইনি কনসালটেন্টের পদ ও শূন্য রয়েছে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- আবাসিক মেডিকেল অফিসারের পদও শূন্য রয়েছে, একজন মেডিকেল অফিসারকে সাময়িকভাবে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাই মেডিকেল অফিসারেরও সংকট প্রকট। প্রায় ১০টির মতো মেডিকেল অফিসারের পদ শূন্য রয়েছে।

বহির্বিভাগে প্রতিদিনই প্রায় ১২০০-১৪০০ রোগী সেবা নিচ্ছে, এর মধ্যে মহিলা রোগী সবচেয়ে বেশি প্রায় ৬০০-৮০০, পুরুষ প্রায় ৩০০-৪০০, শিশু প্রায় ৩০০।

চিকিৎসককে একাধিক ওয়ার্ড, বহির্বিভাগ এবং জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করতে হয়, যা বাস্তবে অত্যন্ত কঠিন। বিশেষ করে শিশু বিভাগ, মেডিসিন, গাইনি ও সার্জারি বিভাগে রোগীর চাপ সবচেয়ে বেশি থাকায় সেখানে চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

অন্যদিকে হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হলেও, নার্স ও সেবা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। চিকিৎসক না থাকায় অনেক সময় জটিল রোগীদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে।

ডা. মো. রহিমুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে ডাক্তার সংকট বহুদিনের সমস্যা। আমাদের এখানে ৩৭ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ২২ জন। তা ছাড়া স্পেশালাইজড ডাক্তারও খুব কম। ফলে আমাদের চিকিৎসকদের একাধিক বিভাগে কাজ করতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত নতুন ডাক্তার নিয়োগ হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’

পঞ্চগড় জেলার অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও একই সমস্যা বিরাজ করছে। জেলার দেবীগঞ্জ, বোদা, আটোয়ারী, তেঁতুলিয়া ও সদর উপজেলায় সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার সংখ্যা খুবই সীমিত। ফলে সেবার মান স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়।

স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের প্রত্যন্ত জেলা হিসেবে পঞ্চগড়ে চিকিৎসক নিয়োগে অনীহা দেখা যায়। অনেকে পদায়ন পেলেও যোগ দিতে চান না, আবার কেউ যোগ দিয়ে কিছুদিন পর বদলি হয়ে যান। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই এ জেলায় ডাক্তার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।

এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন নাগরিকরা বলছেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকলে আধুনিক হাসপাতাল থাকার কোনো সুফলই জনগণ পাচ্ছে না। দ্রুত ডাক্তার নিয়োগ এবং পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি সরবরাহের দাবি তুলেছেন তারা।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে এখনকার বাস্তব চিত্র- দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা অসহায় রোগী, ব্যস্ত নার্স ও সেবিকারা, আর একদিকে হিমশিম খাওয়া স্বল্পসংখ্যক চিকিৎসক।

স্বাস্থ্যসেবার এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দ্রুত পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি। যদিও ২৫০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ হয়েছে; কিন্তু ডাক্তারও সরঞ্জাম নেই। এসব না থাকায় এ পর্যন্ত হাসপাতাল চালু হয়নি।


নেত্রকোনায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে র‍্যালি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি

‘শিক্ষকতা পেশা, মিলিত প্রচেষ্টার দীপ্তি’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নেত্রকোনায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০২৫ উদযাপিত হয়। শিক্ষক দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান মহোদয়ের নেতৃত্বে সকালে একটি র‍্যালি বের হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু হওয়া এ র‍্যালি পাবলিক হলে গিয়ে শেষ হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শামীমা ইয়াসমিন, সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা বিনতে রফিক। আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার জাহাংগীর কবির আহমেদ।

এতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে পাবলিক হল মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। বক্তব্যে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি তাদের দায়িত্ব আরও নিষ্ঠার সাথে পালনের কথা বলেন তিনি। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা এবং শিক্ষকদের সাথে সম্মান বজায় রেখে ব্যবহার করার নির্দেশনা দেন।


banner close