বিরল প্রজাতির পাখি শামুকখোল। গ্রামের একটি পুকুর পাড়ের গাছে বাসা বেঁধেছে হাজার হাজার শামুকখোল পাখি। নিরাপদ আশ্রয় পেয়ে প্রায় দুই দশক ধরে বছরের নির্দিষ্ট সময় পাখিগুলো এখানে বসবাস করে। সে জন্য গ্রামটি পরিচিতি পেয়েছে পাখির গ্রাম হিসেবে। সকালে এসব পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে স্থানীয়দের। এছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ পাখিগুলোকে দেখতে আসেন। বলছি, জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের কানাইপুকুর গ্রামের কথা। আর এখানে পাখি দেখতে প্রতিবছর ভিড় জমান দর্শনার্থীরা।
জানা যায়, উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের কানাইপুকুর গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির পাশে রয়েছে একটি পুকুর। সেই পুকুরের চারপাশে প্রায় ৫ বিঘা জমির ওপর বট, নিম, তেঁতুল, আম, বাঁশঝাড়সহ বিভিন্ন গাছ রয়েছে। এসব গাছে একটা সময় রাতচরা পাখি বাসা বেঁধেছিল। এরপর সাদা বকের পর ধীরে ধীরে সেখানে রাজত্ব চলে আসে শামুকখোল পাখির দখলে। প্রায় দুই দশক ধরে শামুকখোল পাখির স্থায়ী অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে এই স্থানটি।
এই শামুকখোল পাখিগুলো গাছের মগডালে নিজেদের আপন খেয়ালে বাসা বেঁধে আসছে। এছাড়াও এখানে রয়েছে বক, কানা বক, শঙ্খ চোরা, পানকৌড়ি ও হরিয়াল। তবে এর মধ্যে শামুকখোল রয়েছে সবচেয়ে বেশি। পাখির কিচিরমিচির ডাক সবসময় মুখরিত করে রাখে গ্রামবাসীকে। তাই নিজের সন্তানের মতো লালন করেন তারা পাখিদের। অন্যদিকে গাছে গাছে পাখিরা ডিম থেকে ফুটাচ্ছে বাচ্চাও।
জয়পুরহাট সদর উপজেলা থেকে পাখি দেখতে এসেছেন দর্শনার্থী আসাদুজ্জামান রাশেদ। তিনি বলেন, একসঙ্গে এত পাখি অন্য কোথাও দেখা যায় না। এখানে হাজার হাজার পাখি দেখলাম। দেখে মনটা ভরে গেল।
জয়পুরহাট শহরের পাচুরচক এলাকা থেকে পাখি দেখতে আসা রাতুল হাসান বলেন, ‘একসঙ্গে এত পাখি অন্য কোথাও দেখা যায় না। এখানে হাজার হাজার পাখি দেখলাম। দেখে মনটা ভরে গেল।’
সদরের পশ্চিম দেবীপুর গ্রামের আশিক হোসেন বলেন, ‘শামুকখোল পাখি এখন আর কোথাও দেখা যায় না। এখানে পাখি কলোনির কথা শুনে দেখতে আসছি। কাছ থেকে এত পাখি দেখে খুব ভালো লাগছে। কেউ পাখিদের বিরক্ত করে না। সরকারের উচিত পাখিগুলো সংরক্ষণ করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া।
কালাই উপজেলা থেকে দেখতে এসেছেন দর্শনার্থী আবুল বাশার লাইফ। তিনি বলেন, শামুকখোল পাখি এখন আর কোথাও দেখা যায় না। এখানে পাখি কলোনির কথা শুনে দেখতে আসছি। কাছ থেকে এত পাখি দেখে খুব ভালো লাগছে। কেউ পাখিদের বিরক্ত করে না। সরকারের উচিত পাখিগুলো সংরক্ষণ করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া।
কানাইপুকুর গ্রামের শিক্ষার্থী তানজিম আহমেদ তামিম বলেন, ‘পাখিগুলো আমাদের গ্রামকে মুখরিত করে রাখে। কেউ যেন পাখিগুলোর কোনো ক্ষতি করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা সবাইকে সচেতন করি। এপ্রিল মাসের দিকে পাখিগুলো এখানে এসে গাছে গাছে বাসা বাঁধে। এরপর জুন মাসের দিকে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটায়। সেই বাচ্চাগুলো বড় হয়ে উড়াল শিখতে শিখতে শীত চলে আসে। তখন তারা এখান থেকে অন্যত্র চলে যায়। পাখিগুলো চলে গেলে আমাদের অনেক খারাপ লাগে।’
এই পাখি কলোনির পৃষ্ঠপোষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই অতিথি পাখিগুলো এখানে প্রায় ২০ বছর ধরে বাস করে আসছে। এরা সাধারণত এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এখানে অবস্থান করে। পাখিগুলোকে কেউ কখনো বিরক্ত করে না। এ জন্য এরা এখানে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে বাসা বাঁধতে পারে। আমরা পারিবারিকভাবে এই পাখি কলোনি দেখাশোনা করি। এই পাখিগুলো সাধারণত সব জায়গায় বাসা বাঁধে না। এরা আমাদের এখানে বাসা বেঁধেছে এটা আমাদেরও একটা গর্বের বিষয়। এজন্য আমার ভালো লাগা কাজ করে।
বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মহসিনা বেগম জানান, শামুকখোল পাখি বাংলাদেশে আসে প্রজননের উদ্দেশে। বাচ্চা বড় হয়ে উড়তে শিখলে তারা চলে যায় রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলের দিকে। এরা সাধারণত কলোনিয়াল ভাবে বাস করে। নিরাপদ আশ্রয় ও পরিমিত খাবার পেলে এরা অনেক দিন থেকে যায়। সরকারের সহযোগিতা পেলে এটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।’
ক্ষেতলাল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমি পাখি কলোনিটি পরিদর্শন করেছি। পাখিগুলো যদি অসুস্থ হয় তাহলে চিকিৎসা বা কোনো পরামর্শের প্রয়োজন হলে আমরা সহযোগিতা করব।
বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে জার্মানি আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ঢাকায় দেশটির নবনিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাণিজ্য বহুমুখীকরণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে জার্মানি বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান কার্যক্রম গতিশীল রাখবে।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিরও প্রশংসা করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
জার্মানিকে আরও বেশি পরিমাণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইল, ওষুধ, প্লাস্টিক পণ্য, পাদুকা, সাইকেল এবং চামড়াজাত পণ্য আমদানির আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ এবং জার্মানির মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক জোরদার করতে উভয় দেশের বাণিজ্যকে বহুমুখী করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে উভয় দেশের লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে জার্মানি বাংলাদেশি পণ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য, যা আমাদের মোট রপ্তানি আয়ের ১০.৯৬ শতাংশ। এ সময় উপদেষ্টা জার্মানির আমদানিকারকদের প্রতি আরও বেশি পরিমাণে এ দেশের তৈরি পোষাক, হোম টেক্সটাইল, ওষুধ, প্লাস্টিক পণ্য, পাদুকা, সাইকেল এবং চামড়াজাত পণ্য আমদানির আহ্বান জানান।
জার্মানির রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ বলেন, বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে জার্মানি একসাথে কাজ করতে আগ্রহী। অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাণিজ্য বহুমুখীকরণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে তার দেশ বাংলাদেশের সাথে চলমান কার্যক্রম গতিশীল রাখবে।এ সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিরও প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জার্মানিতে ৪ হাজার ৮৫০ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং আমদানি মূল্য পরিশোধ করেছে ৯৪০ দশমিক ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান ও জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন এনজা ক্রিস্টেন উপস্থিত ছিলেন।
মা ইলিশ সংরক্ষণে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলা অভিযানে প্রায় ৩ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
অভিযান চলাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জনি হোসেন (৩০) নামের এক অসাধু জেলেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ। পরে জব্দকৃত জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এর আগে মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে আরও ৫ হাজার মিটার অবৈধ জাল ধ্বংস করা হয়েছিল।
অভিযানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমদ, দৌলতপুর থানা পুলিশের সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমদ বলেন, “মা ইলিশ রক্ষায় বর্তমানে পদ্মা নদীতে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রাখতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আজকের অভিযানে ৩ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। জালগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এসম এক জেলেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্যানেলকে সমর্থন জানিয়ে সরে দাঁড়ালেন সর্বজনীন শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ প্যানেলের দুই প্রার্থী। তারা হলেন, ভিপি প্রার্থী সাঈদ মোহাম্মদ রেদওয়ান ও দপ্তর সম্পাদক প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন সালমান। তারা উভয়ই শাখা ছাত্রদল কর্মী। মঙ্গলবার চাকসু ভবনে বিকেল ৪টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিদ্ধান্তটি জানান এই দুই প্রার্থী।
লিখিত বক্তব্যে সাঈদ মোহাম্মদ রেদওয়ান বলেন, ‘ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রতিটি শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন, আর ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের অংশ হতে পারাটা আমার জন্য ছিল গর্বের বিষয়। ছাত্রদলের সঙ্গে আমার আত্মিক বন্ধন রয়েছে। আমি এই সংগঠনকে হৃদয়ে ধারণ করি এবং সংগঠনের আদর্শ ও সিদ্ধান্তকে সর্বোচ্চ সম্মান করি। তাই আমার সংগঠন কর্তৃক মনোনীত ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় ভাইয়ের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে আমি আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিচ্ছি।’
বক্তব্যে সাখাওয়াত হোসেন সালমান বলেন, ‘আজকের এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমি গভীরভাবে উপলব্ধি করছি, ব্যক্তির চেয়ে দল কতখানি বড়।
ছাত্রদলের সঙ্গে আমার আত্মিক বন্ধন রয়েছে। আমি এই সংগঠনকে হৃদয়ে ধারণ করি এবং সংগঠনের আদর্শ ও সিদ্ধান্তকে সর্বোচ্চ সম্মান করি। তাই আমার সংগঠন কর্তৃক মনোনীত দপ্তর সম্পাদক প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম ভাইয়ের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে, আমি আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান, দল থেকে কোনো চাপ নয়, বরং ব্যক্তিগত কারণে তারা নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন। দীর্ঘদিন পর চাকসু নির্বাচনে দল থেকে তারা মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু প্যানেলে স্থান না পাওয়ায় তারা স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন দলের বৃহত্তর স্বার্থে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এই দুই প্রার্থী।
তারা আরো জানান, তাদের প্যানেল থেকে শুধু তারাই সরে এসেছেন। বাকিরা নির্বাচন করবে কি করবে না, সেটা তাদের একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল।
“টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫” উপলক্ষে সংবাদকর্মীদের জন্য এক ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে মাদারীপুর সমন্বিত সরকারি অফিস ভবনে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে এ সভার আয়োজন করা হয়। ওরিয়েন্টেশনে অংশ গ্রহন করেন জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৬০ জন প্রতিনিধি।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোছাঃ ইয়াসমিন আক্তার।
ওরিয়েন্টেশনে জেলা প্রশাসক বলেন, জনকল্যাণে ইউনিসেফের সহায়তায় এবং সরকার কর্তৃক গৃহীত এ বিষয়টিকে আপনারা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে গণমাধ্যমে তুলে ধরে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিবেন, তাহলে সবচেয়ে বেশী উপকৃত আপনাদের মাদারীপুরবাসি। আমরা চাই ৯ থেকে ১৫ বছর বয়সী সকল শিশু টাইফয়েড এর টিকাদান কর্মসূচীর আওতায় আসুক, কেউ যেনো টিকা থেকে বাদ না যায় এবং টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বিকলাঙ্গ পঙ্গু অথবা মৃত্যুবরণ না করে।
অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন জেলা তথ্য অফিসার মোঃ বেনজীর আহম্মেদ এবং মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগে (এলজিইডি) এর উপ-সচিব ও মাদারীপুর পৌরসভা প্রশাসক হাবিবুল আলম, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ খলিলুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিগার সুলতানা, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকতা মোঃ শহীদুল ইসলাম মুন্সী, মাদারীপুর জেলায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
অনুষ্ঠানে টাইফয়েড জ্বরের টিকার কার্যকারিতাসহ বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব ও ব্যাখ্যা দেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ খলিলুর রহমান। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ডিজিটাল পর্দায় ভার্চুয়ালি ঢাকা থেকে যোগদান করেন গণসংযোগ অধিদপ্তর (কারিগরি ও প্রশিক্ষণ) এর উপ-পরিচালক কাজী শাম্মিনাজ আলম।
শেরপুরের গারো পাহাড়ের হলদিগ্রাম সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পাচার কালে মানব পাচারকারীসহ ২৪ জনকে আটক করেছে বিজিবি।
সোমবার গভীর রাতে গারো পাহাড়ের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পিলার ১১১০/এমপি হতে ৮শ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গজারী বাগান নামক স্থান হতে ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন (৩৯ বিজিবি) এর হলদীগ্রাম বিওপি'র দায়িত্বরত বিজিবি‘র জোয়ানরা বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন (৩৯ বিজিবি) এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশী ১৮ নাগরিক ভারতের চেন্নাই শহরে রাজমিস্ত্রি ও শ্রমিক হিসেবে কাজ করার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। পরে প্রত্যেকে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতে যাওয়ার জন্য দালাল চক্রের সাথে লেনদেন করে। সে অনুযায়ী তাদেরকে গারো পাহাড় এলাকায় আনা হয়। গারো পাহাড়ী এলাকার হলদীগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে মানব পাচার হওয়ার খবরে হলদীগ্রাম বিওপি'র দায়িত্বরত বিজিবি‘র জোয়ানরা নজরদারীর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে রাত আড়াইটার দিকে দুই পাচারকারী, ১৮জন অনুপ্রবেশকারী ও ৪ জন সিএনজি চালকসহ ২৪জনকে আটক করে। আটককৃত ১৮ অনুপ্রবেশকারী সবাই রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তবে মানবপাচারকারী প্রধান হোতা নালিতাবাড়ী উপজেলার বরুঙ্গা এলাকার মহিদুল ইসলাম (৩০) পালিয়ে যায়।
পাচারকারীরা হচ্ছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের কুদালকাটির মিলন হক ও শেরপুরের নালিতাবাড়ীর মৃত আলাল উদ্দিনের ছেলে মজনু মিয়া। অনুপ্রবেশকারীরা হচ্ছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ উপজেলার বার বশিয়া ঘনটলার আনারুল ইসলামের ছেলে মজিবুর রহমান, গোটাপাড়ার শাহরিয়ার ইমন, ওয়াহিদ, কুরবান আলী, মিঠুন আল, জয়নুল হোসেন, ইব্রাহীম, মাহাবুর, আখতারুল, শাকিল, ইয়াকুব আলী, চরবাগডাঙ্গার তারিফ, আসমাউল, গোটাত্তপাড়ার মামুন, গোদাগাড়ী উপজেলার লারেংপুরের পানিহারের আজাহারের ছেলে মোঃ আকবর, চরআসরাদাও বিপ্লব হোসেন, মতিহার উপজেলার মাসকাটাদিঘীর তৌফিক ওমর (২৩) ও নাটর সদরের কৈপারিকৃষ্ণপুরের রতন আলী। পরে আটককৃতদের ৭ অক্টোবর দুপুরে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
ঝিনাইগাতী ওসি আল আমিন বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ভারত মহানন্দা নদীর ফুলবাড়ী বাঁধের ৯টি গেট এক সাথে খুলে দেয়ায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের ঝাড়ুয়াপাড়া এলাকায় মহানন্দা নদীর তীররক্ষা বাঁধের প্রায় ১ কিলো মিটার নদীর দুই পাশ্বের সাইট ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
গত রবিবার ভোররাতে অতি বর্ষণের কারণে পাহাড়ি ঢলে মহানন্দার পানি বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যায়। এতে ভারত শিলিগুড়ি শহরের ফুলবাড়ি নামক স্থানে মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত বাঁধের ৯টি গেট একসংগে খুলে দেয়। এতে ১৫-২০ ফুট উঁচু থেকে পানি মহানন্দার বুকে আছড়ে পড়ে বাংলাদেশ সীমানায় নদীর তীরে আঘাত হানে।
ভারত দুপুরের পর পুনরায় বাঁধের গেট বন্ধ করে দিলে নদীর পানি কমে যায়। কিন্তু বাংলাদেশ সীমান্তের ঝাড়ুয়াপাড়া নামক এলাকায় তীররক্ষা বাঁধের তীব্র ভাঙন দেখা দেয়।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার আগে মহানন্দা নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২০০৩-০৪ সালে নির্মিত সিসি ব্লক বাঁধের প্রায় ১ কিলোমিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
এছাড়া আরও কয়েক কিলোমিটার নদী তীররক্ষা সিসি ব্লক বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। এ সময় সীমান্তের ওপর লাগানো গাছপালা ও একটি টিনের ঘর ভেসে যায়। এতে ঝাড়ুয়াপাড়া, কাশিমগঞ্জ ও সন্ন্যাসীপাড়া গ্রামবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
ভারত পুনরায় বাঁধের গেট খুলে দিলে নদী ভাঙন তীব্র আকার করার আতঙ্কে অনেক পরিবার নির্ঘুম রাত কাটিয়েছিল। বর্তমানে ভারতের বাঁধের গেট বন্ধ রয়েছে ফলে মহানন্দা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। স্থানীয় এলাকাবাসীদের আতঙ্ক অনেকটা কেটে গেছে বলে জানান তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আফরোজ শাহীন খসরু।
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আফরোজ শাহীন খসরু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
রংপুর বিভাগীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী ড. মোঃ শফরাজ বান্ডা নদীতীর ভাঙন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে ভাঙনরোধে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন। গত সোমবার সকাল থেকে ভাঙন কবলিত এলাকায় সাময়িক রক্ষার জন্য প্রাথমিকভাবে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার জিও ব্যাগে বালি ভরে ফেলানো শুরু হয়েছে পঞ্চগড় জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশুতোষ বর্মণ জানান।
ঝাড়ুয়াপাড়া গ্রামের দুলাল, নাজির, নুর আলম ও রাশেদ জানান, ভারত ৯০ দশকের পর তাদের গ্রামের সহ তিনটি বিদ্যুতের স্টিল পোল স্থাপন করে নদীর পানি প্রবাহ ঘুরিয়ে দেন। তখন থেকে মহানন্দা নদীর পানি ওই গ্রোয়েন বাঁধে আঘাত পেয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত তীরে আছড়ে পড়ে এবং তখন থেকে নদীর পাড়ের ফসলি জমি ভাঙতে শুরু হয়।
এছাড়া তাদের প্রয়োজনে কোন রকম সতর্কতা বার্তা ছাড়াই গেট খুলে আমাদের পানিতে ডুবিয়ে মারছে যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। আমরা বর্তমান সরকারের মাধ্যমে ভারতের এ আগ্রাসী মনোভাব থেকে রক্ষার জোর দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, আমি ভাঙন কবলিত এলাকায় গত রবিবার এবং সোমবার পরিদর্শন করেছি। ইতোমধ্যে জিও ব্যাগে বালি ভরে প্রাথমিক ভাবে বাধ রক্ষার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশুতোষ বর্মণ বলেন, মহানন্দা নদীর পুর্বের দেয়া সিসি ব্লক বাঁধ ভাঙন এলাকা পরিদর্শ করেছি। প্রাথমিকভাবে ১০ হতে ১৫ হাজার জিও ব্যাগে বালি ভরে বাধ রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকা মাপজোঁক করে প্রকল্প বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রনালয়ের হতে বরাদ্দ এলে পুনাঙ্গ ভাবে কাজ শুরু করা হবে।
“শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফ বাংলাদেশের অর্থায়নে আয়োজিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে নওগাঁয় জেলা পর্যায়ের এক পরামর্শমূলক মিডিয়া কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে নওগাঁ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে ও সিভিল সার্জন অফিসের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত কর্মকর্তা ফায়জুল হক। সভাপতিত্ব করেন নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. মোঃ আমিনুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মনির আলী আকন্দ, জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক আবু সালেহ মো. মাসুদুল ইসলাম এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর প্রতিনিধি ডা. লুৎফর রহমান।
কর্মশালায় টাইফয়েড রোগ প্রতিরোধে দলগতভাবে টিকাগ্রহণের গুরুত্ব, বিশেষ করে শিশু, কিশোর ও নারীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর কার্যকর কৌশল নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানটি সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সফল টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
নীলফামারী জেলা শহরে যানজট নিরসনের লক্ষ্যে তিন বছর আগে ২৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রশস্ত করা হয় ৭ কিলোমিটার বাইপাস সড়ক। কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে এ সড়কটি প্রশস্ত করা হয়েছিলো, তা অপূর্ণই রয়ে গেছে। সড়কটিতে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ বাঁকের কারণে এ পথ ধরতে অনীহা প্রকাশ করেন ভারী যানবাহনের চালকরা। এমনকি হালকা গাড়ির চালকরাও এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন এই পথ। ৭ কিলোমিটারের এই বাইপাস সড়কে ছোট বড় ৪২টি বাঁক রয়েছে। যা বলা চলে রীতিমত একধরনের মরণফাদ। একটু হেরফের হলে দুর্ঘটনা অনিবার্য। যেহেতু বাইপাস তেমন কাজে আসছে না, তাই শহরের মূল সড়ক ধরেই অধিকাংশ যানবাহন চলাচল করে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ‘সৈয়দপুর হয়ে আঞ্চলিক সড়ক ধরে নীলফামারীর দিকে আসার পথে শহরের প্রবেশদ্বার মশিউর রহমান কলেজের সামনে থেকে শুরু হয় বাইপাস সড়কটি। এরপর জেলখানা, পাঁচমাথা, ইটাখোলা ইউনিয়নের বাদিয়ার মোড়, মায়ার মোড়, বড় দিঘির পাড়, শাহপাড়া, শিমুলতলী মোড়, পোড়পোড়ার মোড় হয়ে নটখানায় মূল সড়কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সড়কটি। সড়কের ৪২টি বাকের মধ্যে মধ্যে বাদিয়ার মোড় এলাকা থেকে পোড়পোড়ার মোড় পর্যন্ত ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ বাঁক রয়েছে বারোটি। মায়ার মোড়, বড় দিঘির পাড়, শাহ পাড়া, পোড়মোড়ার মোড় ও নটখানায় এলাকায় রায় প্রায় ৯০ ডিগ্রি এঙ্গেলের ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ বাঁক। এই বাকগুলোতে বিপরীত দিক থেকে কোনো যানবাহনা কিংবা মানুষ যাতায়াত করছে কি না তা বুঝার কোনো উপায় নেই। এসব বাঁকে ঝুঁকি নিয়ে জেলার ডোমার, ডিমলা এবং পঞ্চগড় পর্যন্ত যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।’
কুষ্টিয়া থেকে ইটবোঝাই ট্রাক নিয়ে নীলফামারীর বাইপাস সড়ক দিয়ে ডোমারে যাচ্ছিলেন মকবুল হোসেন। বাইপাস সড়কের শিমুলতলী মোড়ে কথা হলে তিনি বলেন, ‘সামান্য এ সড়কে চলতে গিয়ে ২৪টি বাঁক অতিক্রম করতে হয়। এর মধ্যে আবার কিছু বাঁক মরণ ফাঁদ। এই বাঁকগুলো অতিক্রম করার সময় প্রায়ই দুর্ঘটনার মুখোমুখি পড়তে হয়েছে।’
জেলা শহরের নিউবাবু পাড়ার ট্রাকচালক মো. খতিবর রহমান খোকন জানান, ‘কালিতলা থেকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত ৪০ থেকে ৪২টি বাগ বা মোড় অতিক্রম (পাড়) করতে হয়। বিশেষ করে বড় ট্রাক (১০ চাকা) ও কোচ (বাস) বাইপাশ সড়কের বাগগুলোতে ঘুরানো যায় না। মানুষের দোকানে ও বাসাবাড়ীতে ঢুকে যায়। তাই সড়কটি সোজা করলে যানবাহন চলাচল সহজ হবে ও শহরের লোক চলাচলের ঝুঁকি কমে আসবে।’
ইটাখোলা ইউনিয়নের শাহ্ পাড়ার বাসিন্দা মাহাবুল হোসেন বলেন, ‘বাদিয়ার মোড় থেকে পোড়পোড়ার মোড় পর্যন্ত সড়কটি অতি ঝুকিপূর্ণ বাক রয়েছে। এসব বাঁকে চালকদের মোড় ঘুরতে সমস্যা হয়, তেমনি সড়কের পাশে বাড়ি হওয়ায় আমরাও সমস্যায় আছি। কিছুদিন আগে একটি পাথর বোঝাই ট্রাক ঠিকমত মোড় নিতে না পেরে আমার বাড়ীর মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। অল্পের জন্য বেঁচে গেছি।’
কান্দুরার মোড়ের মুদি দোকানদার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই সড়কটিতে অসংখ্য বাঁক থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় যানবাহন যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তেমনি অনেকে আহত হন। পাঁচ বছরে ছোটখাটো অর্ধশতাধিক যানবাহনকে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়েছে।’
নীলফামারী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগে তথ্য মতে, ‘মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে নটখানা পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ৭ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার। তিন দশমিক ৭০ মিটার প্রস্থের এটি ছিল একটি পুরাতন সড়ক। শহরের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে সেটিকে পাঁচ দশমিক পাঁচ মিটারে উন্নীত করে বাইপাস সড়কে রূপান্তর করে সওজ। ২০১৮ সালে ২৭ নভেম্বর নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারিতে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। তিন দশমিক ৭০ মিটার থেকে ৫ দশমিক পাঁচ মিটার প্রস্থ বৃদ্ধিকরণে মোট ব্যয় হয় ২৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।’
সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, ‘৭ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার সড়কে বাক বা মোড় (আঁকা বাঁকা) পড়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৪২টি। এটি সোজা করার কাজ প্রক্রিয়াধীন। বাইপাস সড়কটি চালু বা সোজা করতে গেলে প্রায় ৮ দশমিক ৪ একর জমির প্রয়োজন। এসব বাঁক সোজা করার বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। আমরা প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি, সেটি হয়ে গেলে খুব সহজে বাইপাস দিয়ে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করতে পারবে।’
তিস্তা নদীর পানি কমলেও গঙ্গাচড়া উপজেলার চর এলাকায় বন্যার ক্ষতচিহ্ন এখনো চোখে পড়ছে। হঠাৎ বেড়ে যাওয়া পানি ও উজানের ঢলে নদীর তীরবর্তী এলাকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর রক্ষা বাঁধে প্রায় ৩০০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে সেতু ও রংপুর-লালমনিরহাট আঞ্চলিক সড়ক প্রতিদিন যাতায়াত করা ৩০-৩৫ হাজার মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। প্রায় ৯০০ মিটার দীর্ঘ সেতুর রক্ষা বাঁধের ক্ষতি চলতে থাকে ১১ আগস্ট থেকে। প্রথমে ৬০ মিটার অংশ ধসে ৭০ ফুট গভীর গর্ত তৈরি হয়। সময়মতো সংস্কার না হওয়ায় ধস বৃদ্ধি পায়। ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০০ মিটার বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয় এবং ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩০০ মিটার।
নোহালী ইউনিয়নের চর বাগডহরা গ্রামের মধ্য চর বড়াইবাড়ী খেয়াঘাট সংলগ্ন মন্টু মিয়ার বাড়ির সামনে নদীভাঙন ঘটছে। এছাড়া মিনা বাজার সংলগ্ন আব্দুল হান্নানসহ কয়েকজনের জমিও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। একই সঙ্গে মিনা বাজার থেকে বড়াইবাড়ী খেয়াঘাট পর্যন্ত নির্মিত বাঁধের মাথাও ভাঙা শুরু হয়েছে। কাঁচারাস্তা ও ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলা এলজিইডি শাহ মো. ওবায়দুল রহমান জানান, সেতু রক্ষা বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশের বিষয়ে আমরা বিস্তারিত প্রতিবেদন ঢাকায় পাঠিয়েছি। অনুমোদন মিললেই দ্রুত সংস্কারকাজ শুরু করা হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রায় ২০ হেক্টর আমন ধান, ১ হেক্টর মাসকালাই, ২ হেক্টর বীজবাদাম এবং ০.৫ হেক্টর সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা জানিয়েছেন, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টির কারণে পানি হঠাৎ বেড়ে গিয়েছিল। এখন ধীরে ধীরে পানি কমছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রণে আসবে।
গত সোমবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় ২০ মেট্রিক টন চাল ও দুই লাখ টাকা নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের পদ্মা নদীতে স্থানীয়দের একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে কুষ্টিয়া বিজিবি-৪৭ ব্যাটালিয়নের দ্রুত তৎপরতায় নৌকার সকল আরোহীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত বা নিখোঁজ হননি। মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া বিজিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে উদয়নগর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার নং ৮৪/৩ থেকে প্রায় ৭০০ মিটার দক্ষিণে ডিগ্রি চর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নদীর পানি কমে যাওয়ায় সৃষ্ট চরে হাত দিয়ে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় আনুমানিক ১৫ জন আরোহী বহনকারী একটি নৌকা প্রবল স্রোতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবে যায়।
ঘটনাটি নদীর তীর থেকে প্রত্যক্ষ করে উদয়নগর বিওপির টহলরত দল দ্রুত চারটি নৌকা নিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার অভিযানে নামে। তাদের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় সকল আরোহীকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়, যদিও নৌকাটি পানির নিচে তলিয়ে যায়।
ঘটনার পর থেকে উদয়নগর বিওপির টহল দল নৌযোগে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি স্থানীয়দের সতর্ক করা হচ্ছে, যাতে তারা প্রবল স্রোতের সময় নৌকা নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে না যান।
উদয়নগর বিওপির কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নৌকাডুবির ঘটনার পরপরই আমাদের টহল দল ও স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই সকল আরোহীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’
কেশবপুর উপজেলা মাসিক এনজিও সমন্বয় কমিটির সভা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভা কক্ষে গত সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার এনজিও কর্মকর্তাদের নিয়ে
এনজিও সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন দুস্থ শিশু শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থার এনজিও পরিচালক মো. হারুনার রশীদ বুলবুল, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন। অনুষ্ঠানে ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত মানব উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিচালক মো. মোসলেম উদ্দিনের উপস্থাপনায় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অত্র এলাকার অসহায় দরিদ্র, শিক্ষা বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মানব উন্নয়ন সংস্থা। বর্তমানে ‘মানব উন্নয়ন সংস্থা’ কেশবপুরের পাঁজিয়া ইউনিয়নের গড়ভাঙ্গা অঞ্চলে ১০টি গ্রামে কাজ করছে। অনুষ্ঠানে উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন বলেন, কেশবপুর সকল জিও-এনজিও কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে কাজ করলে কেশবপুরের উন্নয়ন সম্ভব। অনুষ্ঠানে (জিইপি) এনজিও কর্মকর্তার মাধ্যমে গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার বিষয় গুরুত্ব দেন। আরও উপস্থিত ছিলেন, দুস্থ শিশুশিক্ষা উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক মো. হারুনার রশীদ, সমাধান এনজিও সিনিয়র ম্যানেজার মুনছুর আলী, রিইব এনজিও সমন্বয়ক খালেদ হাসান, ভানু রানী, সুবোধ মিত্র মেমোরিয়াল অটিজম ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম, এস আর যুব ও সমাজকল্যাণ সংস্থার পরিচালক গোলাম কিবরিয়া, মায়া পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. মিলন হোসেন, কামরুজ্জামান রাজু ফিল্ড অফিসার ভাব, পল্লী মঙ্গল কর্মসূচির বুলবুল ইসলাম, ওই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেশবপুর এনজিও কর্মকর্তারা, সুপিয়া পারভীন, মনিরা খানম, সবুরোন নেছা, মোসলেম উদ্দিন, মো. মোসলেম উদ্দিন মানব উন্নয়ন সংস্থা মনিরা খানম জীবিকা নারী উন্নয়ন সংস্থা, বিপ্লব কুমার পাল এনডিও ম্যানেজার প্রমুখ।
নাটোরের সিংড়ায় সুপ্রিম বীজ এর ব্রিধান-৭৫ রোপা আমন ধান আবাদ করে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২০ জন কৃষক। শতাধিক বিঘা জমি আবাদ করে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের পমগ্রামের কৃষকরা। ব্রিধান-৭৫ আবাদ করে এসব কৃষকের মাথায় হাত । খরচের টাকাই উঠছে না এবার কৃষকদের। বিঘাকে বিঘা ধান জমিতেই পড়ে আছে কোনো কোনো কৃষকের। এবার এই গ্রামের এসব কৃষকদের মাঝে আনন্দ নাই। পরিবার পরিজন নিয়ে দু:চিন্তা তাদের। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা উপজেলা কৃষি অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সিংড়া উপজেলা কৃষি বিভাগ সরেজমিন পরিদর্শন করলেও এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। তবে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে তারা এ বিষয়ে তারা সুপ্রিম বীজ কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন। তারা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য আশ্বাস দিয়েছেন।
কৃষকরা জানায়, এ বছর জুন মাসে উপজেলা কৃষি বিভাগের প্রাক্তন সহকারী কৃষি অফিসার নিখিল এবং কেউ কেউ নাটোর সুপ্রিম ডিলার পয়েন্ট থেকে বীজ সংগ্রহ করে রোপন করে। ২০২৪ সালে কৃষি বিভাগ থেকে বীজ সংগ্রহ করে বিঘা প্রতি ১৮/২০ মন ধান পেলেও এবার পাওয়া গেছে মাত্র ৪/৫ মন ধান ধান। যারা ধান কেটেছে তারা হতাশায় মাথায় হাত দিয়েছেন। আর যারা ধান কাটতে পারেনি তাদের ধান মাঠেই পড়ে আছে। বিঘা প্রতি ৪/৫ হাজার খরচের টাকা ও উঠছে না কৃষকদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিধান-৭৫ রোপন করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ধান জমিতেই পড়ে আছে। একটি গোছে কোনো ধান কাঁচা, কোনোটা পাকা, কোনোটার শীষ ফেটে গেছে।
কৃষক জিয়াউর জানান, আমি ৬ বিঘা জমিতে লীজ নিয়ে এবার ব্রিধান-৭৫ ধান আবাদ করি। কোম্পানি আমাদের অপক্ক বীজ দিয়েছে আমরা ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। বিঘা প্রতি ৫/৬ মন ধান হবে। কাটার খরচই উঠবে না। তাই মাঠেই ধান পড়ে আছে।
কৃষক শাহিন আলম জানান, আমি ১০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে আবাদ করেছি ৫ মন করে ধান পেয়েছি। অনেক লোকসানের সম্মুখীন। ৩০ কেজি বীজ ৩ হাজার টাকায় সংগ্রহ করি। আমরা কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত।
কৃষক আতাউর রহমান জানান, ৪ বিঘা জমিতে ৭৫ ধান রোপন করি। ১২ কেজি বীজ আমাকে দেয়। ধান কাটতে পারিনি। খরচের টাকাই উঠবে না। হতাশায় আছি। আমার লিজ নেয়া জমি। পরিবার নিয়ে দু:চিন্তায় আছি।
কৃষক আ. সালাম, শাহীনুর ইসলাম, সুমন, রাশিদুল, আ. মান্নান, আবুল কালাম, আ. সামাদ, আ. হাকিম, শাহিন আলম সহ অনেক কৃষক ব্রিধান-৭৫ আবাদ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বিঘা প্রতি ধান কাটা পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা খরচ হবে সেখানে ধান কাটলে তারা ঘরে তুলতে পাচ্ছে ৪/৫ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার খন্দকার ফরিদ জানান, আমার কাছে ওই এলাকার কয়েকজন কৃষক আসছিল। সরেজমিনে গিয়ে সত্যটা পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। আশা করি দ্রুত বিষয়টি সমাধান হবে।
প্রতি বছর ইরি - বোরো ধান এবং রোপা আমন ধান আবাদ করে চলনবিলের কৃষকরা। কিছু কিছু কোম্পানির নিম্নমানের বীজের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকরা। এ বিষয়ে কৃষকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের কোলদিয়াড় এলাকায় পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, বাজার, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৫ কোটি টাকার জিও ব্যাগ প্রকল্প। নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে কোলদিয়াড় এলাকায় মানববন্ধন করেছে শত শত এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত এক সপ্তাহ ধরে পদ্মা নদীর পানি কমার সাথে সাথে কোলদিয়াড় গ্রামের নিচ দিয়ে ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়। বর্তমানে কোলদিয়াড় থেকে হাটখোলা পাড়া বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।
এলাকাবাসীর আশঙ্কা, ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে চলমান প্রায় ৫ কোটি টাকার জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এর ফলে শুধু মরিচা ইউনিয়নই নয়, পাশ্ববর্তী ভেড়ামারা উপজেলার রাইটা পাথরঘাটা থেকে দৌলতপুরের আল্লাহর দর্গা বাজার সংযোগ সড়ক, রাইটা-মহিষকুন্ডী বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ, ভুরকা-বৈরাগীরচর সড়কসহ বিস্তীর্ণ এলাকার জনজীবন হুমকির মুখে পড়বে।
এ প্রসঙ্গে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, দুই এক দিনের মধ্যে এলাকা পরিদর্শন করে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ শুরু হবে।
এদিকে, ভাঙ্গন প্রতিরোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছে।