বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
২৪ আশ্বিন ১৪৩২

রূপগঞ্জে সড়কে মৃত্যুর মিছিল

নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ
প্রকাশিত
নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ
প্রকাশিত : ৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৫৪

গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বেপরোয়া বাইক চালিয়ে পড়ে যান মামুন (২২) মিয়া, ততক্ষনাৎ একটি প্রাইভেটকার তার মাথায় চাপা দেয়। স্পটেই মারা যান মামুন মিয়া। পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কসহ রূপগঞ্জের এসিয়ান হাইওয়ে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কগুলো এখন এক ভয়ংকর মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। পুলিশ বলছে বেপরোয়া গতিই ক্ষতির কারন। গতিই প্রতিনিয়নত কেড়ে নিচ্ছে তাজা তাজা প্রাণ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, গত মাসে শুধু ৩০০’শ ফুট সড়কেই প্রাণ হারিয়েছে ১১ জনেরও বেশি। সড়কটিতে মোটরসাইকেল চালকদের বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনাও ঘটছে বেশি বেশি। গত পাঁচ বছরে সড়কটিতে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মারা যান ১৭৫ জন। পুলিশ বলছে, এসবের ৯০ শতাংশই মোটরসাইকেলে ঘটেছে।
স্থানীয় জনগন ও পুলিশের ভাষ্যমতে, রাত যত গভীর হয়, বাইকাররা তত বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠে সড়কে। যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের কারণে দ্রুতগতিতে গাড়ি চলাচল বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। অভিযান বন্ধ হওয়ার পর আবারও শুরু হয়েছে বেপরোয়া গতিতে বাইক চলাচল। সড়কে কয়েকটি চেকপোস্ট থাকলেও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বেপরোয়া বাইক চলাচল।
সড়কের এই নৈরাজ্য বন্ধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি জানিয়ে স্থানীয়রা বলছে, দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা গেলে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিনই এখানে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার খবর জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এছাড়াও কিশোর-তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল রেসের কারণেও অহরহ সড়কে অকালে প্রাণ ঝরছে। গত ১৬ সেপ্টম্বর রাতে স্কুল ছাত্র কাব্য তার বন্ধু সুজানাকে নিয়ে ঘুরতে আসে পূর্বাচলের এই সড়কে। বউরারটেক এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লেকে ডুবে যায়। ১৭ তারিখে সুজানার মরদেহ এবং ১৮ তারিখ কাব্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ১৮ তারিখে এই সড়কের সুলফিনা ভূঁইয়াবাড়ি ব্রিজে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মারা যান আব্দুর রউফ ও সিপন নামের দুই ব্যবসায়ী।
শুধু দুর্ঘটনাই নয়, এসব সড়ক ঘিরে রয়েছে আরো নানা অনিয়ম। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, উল্টো পথে যানবাহন চলা থামছে না। হকারদের অবৈধ দখলদারিও রয়েছে এখানে। সেই সঙ্গে ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার না করার চিত্র চোখে পড়ছে নিয়মিত। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয় না, যা নিরাপত্তাহীনতা আরো বাড়িয়ে তুলছে।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে, সড়কের আশপাশে খোলা বাজার থাকায় সেখানে গভীর রাত পর্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তিদের ভিড় থাকে। এ সময়ে রাজধানী ও আশপাশের এলাকার কিশোররা মাতাল অবস্থায় প্রতিযোগিতামূলকভাবে গাড়ি চালায় এই সড়কে। চেকপোস্টের অভাব ও প্রশাসনের নজরদারির শিথিলতার সুযোগেই তারা এমন ঝুঁকিপূর্ণ কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে।
রূপগঞ্জ থানার অফিসারইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের লোকবলের সঙ্কট রয়েছে। তারপরও আমরা স্বাধ্যমত চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। টহল পুলিশ এসব সড়কে রাতে সক্রিয় থাকে। আগের চেয়ে অনেকটা দুর্ঘটনা কমে আসছে। আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।


বর্ণিল সাজে কোটালীপাড়া পরিষদ লেক, দর্শনার্থীদের ভীড়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েল, কোটালীপাড়া

বর্ণিল সাজে সেজেছে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ লেক। একসময় যেখানে ছিল ময়লা আবর্জনা আর কচুরিপানার ভাগার আজ সেখানে দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য।

লেকের চারপাশে ফুটওয়াক তৈরি করা হয়েছে। লেকপাড়ে বসার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে শতাধিক রঙিন টুল। লেকে নামানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন চারটি প্যাডেল বোট। গত ৫ অক্টোবর লেকের সৌন্দর্যবর্ধন কাজ ও লেকবোট উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাগুফতা হক।

এ সময় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুম, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার এস এম শাহজাহান সিরাজ, কৃষি অফিসার দোলন চন্দ্র রায়, কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার হাফিজুর রহমান, পল্লী উন্নয়ন অফিসার আবু তাহের হেলালসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের পর থেকেই নানা বয়সের মানুষ ভীড় জমাচ্ছে অপার আনন্দে। লেকটি এখন পরিচিতি পেয়েছে বিনোদন স্পট হিসেবে।

আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে সরেজমিন লেকপাড়ে গিয়ে দেখা যায়, নানা বয়সের ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ভীড় জমাচ্ছে প্যাডেল বোটে ওঠার জন্য। দর্শনার্থীদের জন্য লেকে নামানো হয়েছে চারটি প্যাডেল বোট। প্রতিটি বোটেই রাখা হয়েছে লাইফ জ্যাকেট।

৫ম শ্রেণির ছাত্রী লাবিবা বলেন, আমাদের ঘোরার কোনো জায়গা ছিল না। এখন এই লেকের বোটে চড়ে খুব আনন্দ পেয়েছি। লেকের পাড়ে বসার জন্য খুব সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে।

কোটালীপাড়া কল্যাণ সংঘের সভাপতি সোহেল শেখ বলেন, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে লেকটির পুরো চেহারাই পরিবর্তন হয়ে গেছে। নর্দমার কারণে এখানে মশার উপদ্রব্য ছিল। অব্যবস্থাপনার কারণে লেকের পাড়ে হাসপাতালে রোগীরা দুর্ভোগে ছিল। এখন শুধু এসবেরই অবসান হয়নি বরং কোটালীপাড়াবাসীর জন্য বিনোদন স্পটে পরিণত হয়েছে।

কোটালীপাড়া সরকারি আদর্শ কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সমেন মজুমদার বলেন, প্যাডেল বোট দর্শনার্থীদের কাছে জনপ্রিয়, কারণ এটি একটি পরিবেশবান্ধব ও শান্ত বিনোদন। এর মাধ্যমে মানুষ জলজ জীবনকে বিরক্ত না করে শান্তভাবে লেকে ঘোরাঘুরি করতে পারে, যা একে পরিবার ও বন্ধুদের জন্য একটি উপভোগ্য অভিজ্ঞতায় পরিণত করে। কোটালীপাড়ার দক্ষিণ সীমান্তে মাচারতারা গ্রামে একটি শিশুপার্ক থাকলেও যাতায়াত সমস্যা ও দূরবর্তী হওয়ায় সেখানে নিয়মিত যাওয়া সম্ভব হয় না। উপজেলা পরিষদের এই লেকটি এখন সকলের মনের খোরাক জোগাবে।

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাগুফতা হক বলেন, লেকটিকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে আশা করছি এটি কোটালীপাড়াবাসীর জন্য একটি বিনোদন স্পট হিসেবে পরিচিতি পাবে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় লেকের চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। লেকের পাড়ে ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানগুলোর কারণে পানির বোতল, কাগজের প্যাকেটসহ নানা আবর্জনা লেকে ফেলে যাতে পানি দূষিত না হতে পারে এবং দর্শনার্থী ও পথচারীদের ভোগান্তির কারণ না সে জন্য পুরো লেকের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করাসহ দেখভাল করার লক্ষ্যে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে লেকে প্যাডেল বোড চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তারা জনসাধারণের কাছ থেকে নামমাত্র শুভেচ্ছামূল্যে নিয়ে লেকে প্যাডেল বোট পরিচালনা করবে।


ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোই ভরসা, স্থায়ী সেতুর দাবি পঞ্চগড় ও সখীপুরবাসীর

পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাওয়াই নদীর ওপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পঞ্চগড় সদর উপজেলার ১নং অমরখানা ইউনিয়নের শেষ প্রান্ত ও সাতমেড়া ইউনিয়নের সীমান্তে চাওয়াই নদীর ওপর ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো ও টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বাঘবেড়-গজারিয়া সড়কের গোহালিয়া খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকোতে পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী। এ দুই এলাকাবাসী দ্রুত স্থায়ী সেতুর নির্মাণের দাবি করেছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর তুলে ধরা হলো;

মিজানুর রহমান, পঞ্চগড় থেকে জানান, পঞ্চগড় সদর উপজেলার ১নং অমরখানা ইউনিয়নের শেষ প্রান্ত ও সাতমেড়া ইউনিয়নের সীমান্তে চাওয়াই নদীর ওপর একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকোই এখন এলাকাবাসীর একমাত্র ভরসা। দীর্ঘদিন ধরে এই সাঁকোটি ভাঙা ও নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে, তবুও প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়েই পারাপার করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙাচোরা কাঠের সাঁকোটি দিয়ে স্থানীয়রা প্রতিদিন হেঁটে পার হচ্ছেন। সাইকেল ও মোটরসাইকেল ছাড়া অন্য যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ফলে কৃষিপণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় মালপত্র পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের।

খইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মানিক ও বোড বাজারের মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, “এই ব্রিজটা প্রথমে বাঁশের সাঁকো ছিল। পরে আমাদের উদ্যোগে কাঠের সাঁকো তৈরি করা হয়। বর্ষাকালে পুরো সাঁকোটি পানির নিচে চলে যায়। যদি এটি পাকা করে দেওয়া হতো, আশপাশের সব গ্রামের মানুষ অনেক সুবিধা পেত।’

এক পথচারি বলেন, ‘আমাদের বাচ্চাদের স্কুলে যেতে খুব কষ্ট হয়। সরকার যদি ব্রিজটা করে দিত, তাহলে আমরা অনেক উপকৃত হতাম।’

অমরখানা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোছা. হাজরা খাতুন বলেন, ‘বর্ষাকালে সাঁকোটা ডুবে যায়। তখন স্কুলে যেতে ভয় লাগে, অনেক সময় যাওয়া হয় না। এতে পড়াশোনায় ক্ষতি হয়।’

ব্রিজ না থাকায় হাটে-বাজারে যেতে কষ্ট হয়। কোনো রোগী হাসপাতালে নিতে হলে আরও সমস্যা হয়। কৃষিপণ্য বিক্রি করতে আমাদের ৩-৪ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়।’

স্থানীয়দের দাবি, এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ শতাধিক মানুষ পারাপার করেন, ফলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

তাদের দীর্ঘদিনের দাবি—খইপাড়ার কাঠের সাঁকোটি দ্রুত পাকা সেতুতে রূপান্তর করা হোক, যাতে এলাকার মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারে।

এক পাশে ১ নং অমর খানা ইউনিয়নের বোদিনাজোত বোর্ড বাজার। অপর পাশে ৬ নং সাতমেড়া ইউনিয়নের, কই পাড়া, ফকিরপাড়া, ডাঙ্গাপাড়া, পখিলাগা, জামুড়ি দুয়ার, দুই পাশের হাজারো মানুষের যাতায়াত এই কাঠের সাকো দিয়ে।

পঞ্চগড় সদর উপজেলা এল,জি,ই,ডি, উপ সহকারী প্রকৌশলী কৃষ্ণ চন্দ্র রায়, তিনি জানান গ্রামীন অবকাঠামো রাস্তা ও ব্রিজ প্রকল্পে এল, জি,ই,ডি হেড অফিসে ছবি ও ভিডিও সহ দরখাস্ত করা হয়েছে

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি জানান, টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বাঘবেড়-গজারিয়া সড়কের গোহালিয়া খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকোতে পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ওই কাঁচা সড়কটি ও ভাঙাচোরা নড়বড়ে কাঠের সাঁকোটি পাকাকরণের। কিন্তু সে দাবি এখনো পূরণ হয়নি। ফলে ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পার হচ্ছে জনসাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, গোহালিয়া খালের উত্তরের শেষ সীমানায় কাঠের সাঁকোটিতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে লোকজন। ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে ভ্যান গাড়িসহ কোনো ধরনের যানবাহন চলে না। মালপত্র পরিবহন করেত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় গ্রামবাসীদের।

গজারিয়া গ্রামের নাছির উদ্দিন বলেন, এই ব্রিজটা প্রথম অবস্থায় বাঁশের সাঁকো ছিল। পরে আমাদের এলাকাবাসীর উদ্যোগে কাঠের সাঁকোতে রূপ দেওয়া হয়। বর্ষার সময় এই সাঁকো পুরোটা ডুবে যায়। এই ব্রিজটা যদি পাকাকরণ করা হয়, তাহলে আশেপাশের সকল গ্রামের মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারব।

ওই গ্রামের অজুফা খাতুন বলেন, আমাদের বাচ্চাদের স্কুলে যেতে সমস্যা হয়। সাধারণ মানুষের চলাচল করতে অসুবিধা হয়। সরকার যদি আমাদের ব্রিজটা করে দিত, তাহলে খুব উপকার হতো।

বাঘবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, খালের ওই পাড়ে আমাদের স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী আছে। এই সাঁকোটা বিভিন্ন সময় বাঁশ-কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই সাঁকোটার যদি স্থায়ী একটা সমাধান হতো, তাহলে ছেলে-মেয়েরা নিরাপদে স্কুলে আসা-যাওয়া করতে পারত।

সখীপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, গোহালিয়া খালের ওপর যে কাঠের সাঁকোটি রয়েছে, বর্তমানে এলজিইডির কোনো প্রজেক্টে অন্তর্ভুক্ত নেই। এটা ভবিষ্যতে নির্মাণের জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কারিগরি রিপোর্ট প্রদান করব। অনুমোদনসাপেক্ষে এটা পরবর্তীতে উন্নয়ন হবে আশা করি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল রনী বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে কাজটি দ্রুত করার চেষ্টা করব।


ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বেনাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বেনাপোল প্রতিনিধি 

বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার মি. পাওনকুমার তুলসিদাস বাদে ও দ্বিতীয় সেক্রেটারি মি. গৌরব কুমার আগারওয়াল বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন। পরে তিনি বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক মোঃ শামীম হোসেন রেজা সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং নবনির্মিত কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল ঘুরে ঘুরে দেখেন। এ সময় দুই দেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও সীমান্ত বাণিজ্যের সার্বিক উন্নয়ন বিষয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়।

সৌজন্য সাক্ষাৎ ও পরিদর্শন শেষে ডেপুটি হাইকমিশনার ও দ্বিতীয় সেক্রেটারি বেনাপোল ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন।

পরিদর্শনকালে বেনাপোল স্থলবন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও ইমিগ্রেশন অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন রেজা জানান, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার এবং দ্বিতীয় সেক্রেটারি ভারতে যাওয়ার জন্য বেনাপোলে আসেন। এরই ফাঁকে তিনি এবং দ্বিতীয় সেক্রেটারি বেনাপোল বন্দর ও নবনির্মিত কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালটি ঘুরে ঘুরে দেখেন। পরে বেনাপোল ইমিগ্রেশন হয়ে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।


জামালপুরে ধর্ষককে গ্রেফতারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরে ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান (৫২) কে গ্রেফতারের দাবিতে ও সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে শহরের দড়িপাড়া বাইপাস মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে মানববন্ধন করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম,বজলু মোল্লা,সাখাওয়াত হোসোন শুভ, আমির উদ্দিন সহ আরো অনেকে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে দড়িপাড়া এলাকায় শিশুটির বাবা-মা বাসায় না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী সিদ্দিক শিশুটিকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বিলকিছ বেগম বাদী হয়ে জামালপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা হলেও এখন পর্যন্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আসামি গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয়রা প্রায় এক ঘণ্টা জামালপুর–টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে, এতে উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় সাখাওয়াত হোসেন শুভ জানান, আগামী চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে আসামীকে গ্রেফতার করতে না পারলে আবারও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এ সময় পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী অবরোধ ও মানববন্ধন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়।


ঐক্যবদ্ধভাবে তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান বাচ্চু মোল্লার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে ‘তারুণ্যনির্ভর আগামীর নতুন বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার থানার মোড় এলাকায় উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাচ্চু মোল্লা বলেন, “জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির চলমান আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এই কর্মী সম্মেলন থেকেই আমরা আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই আসনে বিএনপিকে বিজয়ী করার অঙ্গীকার করছি।”

তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।”

অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেনসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন থেকে কয়েক শতাধিক নেতৃস্থানীয় নেতাকর্মী ও দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।


সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় এখন টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান হোসাইন জিয়াদ ও চিত্র সাংবাদিক পারভেজ রহমান এর ওপর সন্ত্রাসি হামলার প্রতিবাদ ও আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে নওগাঁ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নওগাঁয় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের আয়োজনে শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনারের পাশে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচী পালিত হয়।

মানববন্ধনে সাপ্তাহিক প্রজন্মের আলোর সম্পাদক আব্দুর রহমান রিজভী’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা সভাপতি ও বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি মোফাজ্জল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও ডিবিসি’ জেলা প্রতিনিধি একে সাজু, ইনডিপেনডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি সাদেকুল ইসলাম, সকালের সময় এর প্রতিনিধি মাহমুদুন নবী বেলাল, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি আশরাফুল নয়ন, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি সবুজ হোসেন , দপ্তর সম্পাদক মাহাবুল আলম মারুফ ও

এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি আব্বাস আলী সহ অন্যরা। মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন- সংবাদ সংগ্রহের সময় স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে ক্যামেরা ভাঙচুর সহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জেলার সংবাদিক সংগঠনগুলো ঘটনার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচী পালন করছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনগুলো। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের এখনো পুলিশ গ্রেফতার করছে না। পুলিশ প্রশাসনের নীবর ভূমিকা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে। অবিলম্বে হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানানো হয়।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা সভাপতি ও বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি মোফাজ্জল হোসেন বলেন, সাংবাদিকরা জনগণের স্বার্থ রক্ষায় তথ্য সংগ্রহ ও কলম ধরতে পারছে না। দূর্নীতির বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা কলম ধরলে বিভিন্ন ভাবে হেনস্তা হতে হচ্ছে। অনেকের প্রাণ চলে যাচ্ছে। এসময় সরকার কেন নীরব। বিষয়টি তদন্তপূর্বক দ্রুত হামলাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানাই। শুধু এখন টিভির সাংবাদিক না, সাগর রুনি সহ যত সাংবাদিককে হত্যা ও নির্যাতন করা হয়েছে সবগুলোর বিচার হওয়া দরকার। শুধু আইনের আওতায় নিয়ে আসলে হবে না, শাস্তি দিতে হবে যেন আগামীতে কেউ সাংবাদিকদের ওপর হামলা করার সাহস দেখাতে না পারে।

সাপ্তাহিক প্রজন্মের আলোর সম্পাদক আব্দুর রহমান রিজভী বলেন- সমাজের রন্ধে রন্ধে দূর্নীতি। এসব দূর্নীতি যখন সামনে নিয়ে আসা হয় তখনই সাংবাদিকের ওপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয় এবং হামলা চালানো হয়। সঠিক বিচার না হওয়ায় অপরাধীরা বার বার হামলা করে পার পেয়ে যায়। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তা না হলে রাষ্ট্র ব্যবস্থা এক সময় ভঙ্গুর হয়ে যাবে।


মেহেরপুরে কালোবাজারে পাচারের সময় সার জব্দ, খুচরা ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি

মেহেরপুরে সার সংকটে কৃষক দিশেহারা। বিভিন্ন ডিলারদের কাছে থেকেও সরকারি মুল্যে সার কিনতে পারছেননা। অথচ, ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের যোগসাজসে কালোবাজারে সেই সার পাচার হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর ) সকালে গাংনী উপজেলার বিএডিসির ডিলারের সার খুচরা ব্যবসায়ীর মাধ্যমে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহে পাচারের সময় জনতার আটক করেন। স্থানীয় জনতা গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসকে খবর দেন। উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন ও গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে আসেন। পরে সার ব্যবস্থাপনা সংশোধনী আইন ২০১৮ এর ৪ ধারায় দোষী সাবস্থ হওয়ায় খুচরা সার ব্যবসায়ী মের্সাস আলীম ট্রেডার্সের মালিক বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মাহাবুব হাসানকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও উদ্ধার হওয়া ১২ বস্তা টিএসপি সার স্থানীয় কৃষকদের মাঝে সরকারি মূল্যে তাৎক্ষণিক বিক্রি করেন।
এদিকে খুচরা সার ব্যবসায়ী মাহবুব হোসেন জানান, সে মুলত কীটনাশক ব্যবসায়ী। স্থানীয় বিসিআইসি সার ডিলার এনআর ট্রেডার্সরে মালিক এনামুল হকের কাছ থেকে গোপনে ১২ বস্তা সার কিনে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ গ্রামের খুচরা সার ব্যবসায়ী লাল মোহাম্মদের কাছে বিক্রি করেছি। তিনি আরও জানান,প্রত্যেকটা ডিলার আমাদের মত খুচরা সার ব্যবসায়ীদের কাছে গোপনে সার বিক্রি কেরেন। আমরা কৃষকদের কাছ থেকে তাদের এনআইডি কার্ড জমা নিয়ে সার বিক্রি করি।
এদিকে স্থানীয়রা এলাকার জন্য বরাদ্দকৃত সার অন্যস্থানে কালোবাজারীর মাধ্যমে পাচার হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, আমরা ডিলারদের কাছে ধর্ণা দিয়েও সরকারি মূল্যে সার কিনতে পারছিনা। কিন্তু খুচরা দোকানে গেলে ১৪ শ টাকা বস্তার টিএসপি সার সাড়ে ২২ শ বা ২৩ শ টাকা দিলে দিচ্ছে। আবার গাংনীর সার কালোবাজারীর মাধ্যমে মেহেরপুর ও মুজিবনগর উপজেলার খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে চলে যাচ্ছে। মার খাচ্ছে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা।
জানা গেছে, সার ডিলার এনামুল হকের বাড়ি গাংনী উপজেলা শহরে হলেও তিনি ধানখোলা ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এনামুল হক সার কৃষকদের মাঝে সরকারি মুল্যে বিক্রি না করে অতিরিক্ত মুনাফার আশায় কালোবাজারে বিক্রি করে থাকেন।িইতোমধ্যে এলাকার ভূক্তভোগী কৃষকরা তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কৃষি বিভাগে লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্ত অজ্ঞাত কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ধরণের ব্যবস্থা নেইনি জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ।
সার কালোবাজারী সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য কৃষি বিভাগ চেষ্টা করছে বলে জানালেন, গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার
ইমরান হোসেন। তিনি বলেন, আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি যেসব ডিলার সার কালোবাজারে দিচ্ছেন তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


৮০ পয়সার ভ্যাকসিন ৩০ টাকা!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
‎সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

‎গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে গবাদিপশুর তড়কা রোগ (অ্যানথ্রাক্স) প্রতিরোধে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করেছে প্রাণিসম্পদ দপ্তর। কিন্তু ভয় দেখিয়ে সরকার নির্ধারিত ৮০ পয়সার ভ্যাকসিনের দাম নেয়া হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। ফলে সরকারি দামের অতিরিক্ত কয়েক লাখ টাকা লুট করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

‎‎খামারিদের অভিযোগ, গত কয়েক দিনে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে অ্যানথ্রাক্স। এ পর্যন্ত শতাধিক গবাদিপশু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। আর এই সুযোগে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের লোকজন ভ্যাকসিনের সরকারি দামের থেকে ২০-৩০ টাকা বেশি নিচ্ছেন। দূর্যোগের সময় সেবার পরিবর্তে টাকা লুটে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ খামারিদের।

‎‎জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী রংপুর জেলার পীরগাছা ঘেঁষে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা। তড়কা রোগে এ পর্যন্ত পীরগাছায় মারা গেছেন ২ এবং আক্রান্ত আছেন ৭ জন ব্যাক্তি। আর এ রোগের জীবাণু ছড়ায় অসুস্থ গবাদিপশুর মাংস থেকে। পীরগাছা উপজেলা ঘেঁষা সুন্দরগঞ্জেও এ পর্যন্ত শতাধিক গরু মারা গেছে। প্রতিনিয়ত জবাই করা হচ্ছে আক্রান্ত গরু। আর এ সকল গরুর মাংস কেটে অসুস্থ আছেন প্রায় অর্ধশত লোক। এ সংক্রান্ত নিউজ হলে নড়েচড়ে বসে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। গবাদিপশু গুলোকে ভ্যাকসিন দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় জরুরি এক বৈঠকে। সেই থেকে চলছে অ্যানথ্রাক্স রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন কার্যক্রম। এতে বিভিন্ন কৌশল ও হয়রানির ভয়ভীতি দেখিয়ে ৮০ পয়সার ভ্যাকসিন নেয়া হচ্ছে ২০-৩০ টাকা। সচেতনতায় কোনো প্রচারণা না থাকায় এখনো ৯০ শতাংশ গবাদিপশু ভ্যাকসিনের বাহিরে আছে। এ উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ গবাদিপশুর মধ্যে ভ্যাকসিন পাবে প্রায় ২ লাখ। তাতে অর্ধ কোটির অধিক টাকা লুটে নিবেন ভ্যাকসিন কার্যক্রমে জড়িতরা। এ দূর্যোগপূর্ণ সময়ে তাদের মানবিক হওয়ার দাবি জানিয়েছেন পশুমালিকরা।

‎‎এদিকে, আড়াই লাখ গবাদিপশুর বিপরীতে ভ্যাকসিন এসেছে মাত্র ২৬ হাজার ৪০০। ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে ২২ হাজার গবাদিপশু। অবশিষ্ট ৪ হাজার দিয়ে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান রেখে প্রাণিসম্পদ দপ্তর। তবে, নতুন করে আরও ৫০ হাজার ভ্যাকসিন চেয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আড়াই লাখ গবাদিপশুর বিপরীতে মাত্র ২৬ হাজার ভ্যাকসিন বরাদ্দ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খামারিরা।

‎‎বামনডাঙ্গার দিনমজুর আজহার মিয়া জানান, আমার ৪ টা গরু এবং ২ টা ছাগল। প্রাণিসম্পদ দপ্তরের দুইজন এসে বললো তড়কার ভ্যাকসিন নেন। জিজ্ঞেস করলাম কতো করে দিতে হবে। তখন তারা ২০ টাকা দাবি করেন। কম করে নিতে বললাম, তখন তারা জানালো ২০ টাকায় দিতে হবে। প্রাণিসম্পদ অফিসে গেলে আরও বেশি লাগবে। তখন আর আমাদের খুজে পাবেন না। আমি বাধ্য হয়ে ২০ টাকা করে দিয়েছি।

‎‎মনমথ গ্রামের ভ্যান চালক মজিবর রহমান বলেন, এটেতো সবাই বসি আছি। ওমরা মটর সাইকোল নিয়া আসিয়া কয় ভ্যাকসিন নেও গরুর। কনু বলে কতো করি নেন। তকন কয় বিশ টেকা করি নেই। দশ টেকা করি দিবার চাইনো তাক কয় না। বাজারোত ফুরি আইনো ম্যালা গরু। বিশ টেকা করি ওমরা সবাই দিছে। পরে ২০ ট্যাকা দিয়া একটা গরুর টিকা নিছোম।

‎‎সোনারায় ইউনিয়নের পূর্ব সোনারায় গ্রামের মো. রফিক মিয়া বলেন, 'আমি শুনলাম গরুর নতুন একটা রোগ ছড়াইছে। হামার বাড়িত ৫ টা গরু আছে। এখন টিকা কই আছে, কি ভাবে পাওয়া যাবে কিছুই জানি না।'

‎‎‎খামারি সেজে কথা হয় ভ্যাকসিনেটর চন্দন কুমার রায়ের সাথে। তিনি বলেন, ‘পশু প্রতি ২০ টাকা করে নিচ্ছি। আর এ টাকা আমাদের অফিসে জমা দিতে হয়। ভ্যাকসিনের দাম ৮০ পয়সা সরকারি নির্ধারিত হলেও কেন বেশি নিচ্ছেন জানতে চাইলে বলেন- আমাদের অফিসের আনুষঙ্গিক কিছু খরচ আছে সেগুলো এখান থেকে তুলতে হবে।

‎‎উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিপ্লব কুমার দে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আনুষাঙ্গিক কিছু খরচ থাকায় ১০ টাকা করে নিতে বলা হয়েছে। এর বেশি নিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো গবাদিপশুর মালিককে ভয় দেখিয়ে নয় বরং কেউ টাকা দিতে অক্ষম হলেও তাকে ভ্যাকসিন দেয়ায় নির্দেশনা দেয়া আছে।

‎‎উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজ কুমার বিশ্বাস প্রতি ভ্যাকসিন ৮০ পয়সা বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, 'ভ্যাকসিন প্রতি কতো টাকা নেয়া যাবে বিষয়টি প্রাণিসম্পদ ভালো বলতে পারবে। তবে আমি যতটুকু জানি তাতে টিকা প্রতি ১০ টাকা করে নিচ্ছেন তারা। তবে এটা তাদের সিদ্ধান্ত, এখানে আমাদের বলার কিছু নাই বলেও জানান ইউএনও।'


মধুপুর গড়ে নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর সুবিধাভোগীদের ছাগল প্রদান

মধুপুর গড়ে নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির সুবিধাভোগীদের ছাগল বিতরণ করছেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়া।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে সমতল এলাকায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগীদের মাঝে ছাগল বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার সকালে মধুপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের ব্যবস্থাপনায় এ বিতরণ কার্যক্রম হয়।

উপজেলার গাছাবাড়ি মিশনারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মধুপুরের সহকারি কমিশনার ভূমি রিফাত আনজুম পিয়া। মধুপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার ডা. শহিদুজ্জামান এতে সভাপতিত্ব করেন। এর আগেও এ প্রকল্পের কর্মসূচিতে প্রশিক্ষণসহ জীবনমান উন্নয়নে হাঁস, মুরগী, ভেড়া, গরু, ছাগল বিতরণও করা হয়েছে। সুবিধাভোগীরা এবার ছাগল পালনে এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সমতল এলাকার লাল মাটিতে গারো, কোচ, বর্মণদের বসবাস। এ এলাকার ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর গারো কোচ বর্মণদের জীবনমান উন্নয়ন ও অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিতে সরকারের প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাণীসম্পদ বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে । আলোচনা সভা ও বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মধুপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শহিদুজ্জামান, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সাবেক সভাপতি অজয় এ মৃ, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন একাংশের সভাপতি রঞ্জিত নকরেক, মধুপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান ও জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক দলের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক পবিত্র সিমসাং প্রমুখ।

পরে এ প্রকল্পের ১৫০ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে ৫০ জনকে দুইটি করে ছাগল বিতরণ করে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গবাদিপশুর তড়কা রোগের ভ্যাকসিন প্রদান ও সচেতনতা লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম করা হয়।


গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াত নেতাদের মতবিনিময় সভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (চজ) নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুষ্টিয়া জেলা শাখা। দলটির নেতারা মনে করেন, এই ব্যবস্থা চালু হলে ভোটারদের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটবে, সংখ্যালঘু ও নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে এবং অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। বুধবার দিকে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব মত প্রকাশ করেন জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।

কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে সূরার সদস্য ও যশোর অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যক্ষ খন্দকার এ.কে.এম আলী মুহসিন।

কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের প্রচার-মিডিয়া বিভাগের সম্পাদক ও কুষ্টিয়া শহর জামায়াতের আমীর এনামুল হকের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও কুষ্টিয়া-২ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী আব্দুল গফুর, ইসলামি চিন্তাবিদ ও জামায়াত মনোনীত কুষ্টিয়া সদর-৩ আসনের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মুফতি আমীর হামজা, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সুজা উদ্দিন জোয়ারদার, কেন্দ্রীয় মজলিসে সূরার সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, দৌলতপুর উপজেলা আমীর ও জামায়াত মনোনীত কুষ্টিয়া-১ আসনের প্রার্থী অধ্যক্ষ বেলাল উদ্দীন, কুষ্টিয়া-৪ আসনের প্রার্থী আফজাল হোসেন এবং কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম।

এ সময় কুষ্টিয়ার সাংবাদিক নেতারা, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিষয়েও নেতাদের প্রতি দাবি জানান সাংবাদিকরা।


মুরাদনগরে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা দক্ষিণ

কুমিল্লার মুরাদনগরে ৫২তম জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরিশিক্ষা ক্রীড়া সমিতির গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে উপজেলা স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরিশিক্ষা ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে কবি নজরুল মিনার প্রাঙ্গণে এ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিউল আলম তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাছান খাঁন।

সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মুরাদনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিন কাদের খাঁন, একাডেমিক সুপারভাইজার কোহিনুর বেগম, কাজী নোমান আহমেদ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান, সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, রামচন্দ্রপুর রামকান্ত উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম, নুরুন্নাহার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দা হাছিনা আক্তারসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীরা।


কুষ্টিয়ার মিরপুরে কচুর লতি চাষ করে স্বাবলম্বী অনেকে

নারী উদ্যোক্তা আসমা খাতুনের ভাগ্য বদল
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার মিরপুরে বারি পানি কচু-১ জাতের লতি কচুর চাষ করে নারী উদ্যোক্তা আসমা খাতুনের ভাগ্য বদলে গেছে। বর্ষার পানিতে ডুবে যাওয়া নিচু জমিতে সাধারণত কৃষকের চাষাবাদের আগ্রহ থাকে না। তবে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের খাঁড়ারা গ্রামের সেই জমিগুলোতে এখন সার্থকভাবে চাষ হচ্ছে লতি কচু। স্যাঁতসেতে নিচুও পানিযুক্ত জমিতে লতি কচুর আবাদ করে নিজের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও এলাকার কৃষককে চাষে উদ্বুদ্ধ করতে প্রেরণা জোগাচ্ছে আসমা খাতুন। এলাকাটি ভেড়ামারা উপজেলা লাগোয়া হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরাও তাদের নিচু জমিতে লতি কচু আবাদের জন্য আগ্রহ দেখিয়ে আসমা খাতুনের সরণাপন্ন হচ্ছেন।

যশোর অঞ্চলের টেকসহ কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় বাণিজ্যিকভাবে লতি কচু চাষে উদ্যোগ নেন তিনি। গত ২০ মার্চ মিরপুর কৃষি অফিসের মাধ্যমে উন্নত জাতের বারি পানি কচু-১ এর চারা সংগ্রহ করে খাঁড়ারা ব্লকে ২০ শতক জমিতে তিনি এর চাষাবাদ শুরু করেন। অল্প সময়ে ভালো ফলন আর সুস্বাদু ও অন্যান্য ফসলের উৎপাদন খরচের চেয়ে লতি কচু চাষে খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় কচু চাষে অনেক ভালো সাফল্য পেয়েছেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আসমা খাতুন খুবই খুশি। মাত্র ১৫ হাজার টাকা খরচ করে তিনি এই কচু চাষ করে অন্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি কচুর লতি বিক্রি করছেন। প্রতি সপ্তাহে দুবার করে কচুর লতি বিক্রি করেন তিনি। প্রতিবারে ৫০ কেজি করে তিনি কচুর লতি বাজারে নিয়ে যান। প্রতি কেজি ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা দরে তিনি এ কচুর লতি বিক্রি করে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা এনেছেন।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকার কচুর লতি বিক্রি করেছি বিক্রি করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আরও ১ লাখ টাকা কচু বিক্রির করার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি জানান।

বারি পানি কচু-১ জাতের কচু আবাদ করছেন আমাদের গ্রামের আসমা খাতুন নামের একজন নারী। এই জাতের কচু চাষ করে তিনি নারী উদ্যোক্তা হিসেবে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছেন, এখন অনেক নারীই আসমা খাতুনের দেখা দেখি এই লতি কচুর চাষ করছেন।

তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা আব্দুর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, লতি কচুর ফলন ভালো, স্বাদ উন্নত এবং বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অল্প খরচে অধিক মুনাফার জন্য ক্রমে কৃষকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

মিরপুর উপজেলার উপসহকারী কৃষি অফিসার ময়নুল ইসলাম বলেন, উপজেলার বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের খাঁড়ারা ব্লকে জমিতে লতি কচুর চাষ হচ্ছে এবং প্রতি বছরই এখানে আবাদ বাড়ছে। সাধারণ কৃষক ছাড়াও নারীরা এই লতি কচু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, বর্ষায় নিচু জমিতে লতি কচুর চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। সরকারিভাবে যশোর অঞ্চলের টেকসহ কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। কৃষকরা এখন এই ফসলকে অর্থকরী সবজি হিসেবে বিবেচনা করছে। সঠিক পরিচর্যায় অতি দ্রুত এর ফলন পাওয়া যায়। পুরুষদের পাশাপাশি এখন অনেক নারী উদ্যোক্তাও তৈরি হচ্ছে।


banner close